পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় - পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায়

অনলাইনে গেম খেলে ইনকাম করুন

পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় খুঁজছেন?  তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন। কারণ আজকের এই আরটিকেলে আমরা অল্প পড়ে ভালো  রেজাল্ট করার উপায,  অল্প পড়ে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার দোয়া এবং পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায় গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় - পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায়

আপনি যদি নিচের উপায় গুলো অনুসরণ করে বুঝে বুঝে পড়াশোনা করেন তাহলে আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিয়েছি আপনার পরীক্ষাটা ভালো ফলাফল অর্জন হবেই। কারণ ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য শুধু পরিশ্রম করলেই হবে না অবশ্যই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে পরিশ্রম করতে হবে তাহলে অল্প পড়ার মাধ্যমে পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট অর্জন করা যায়। চলুন তাহলে আর দেরি না করে এবার আমরা ঝটপট জেনে আসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় পরীক্ষায় এ প্লাস পাওয়ার উপায় পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার দোয়া এবং অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো কি কি।

পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়

পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট করার উপায় খুঁজছো? তাহলে তুমি সঠিক জায়গাতে এসেছ কারণ আমরা আজকের এই পোস্টে তোমাদের সাথে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো শেয়ার করব যার মাধ্যমে তুমি অল্প পরেও পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে। আমাদের বর্তমান সমাজে পড়াশোনা না করলে কেউ মূল্য দেয়না এজন্য আমাদের প্রত্যেকের পড়াশুনা করতে হবে। তবে হ্যাঁ শুধু পড়াশোনা করলেই হবে না পরীক্ষাতে অবশ্যই ভালো ফলাফল অর্জন করতে হবে। 

পড়াশোনা বলতে এখন মানুষ শুধু ভালো রেজাল্টকে বুঝে ভালো রেজাল্ট অর্থাৎ জিপিএ ৫। পরীক্ষাতে জিপিএ ফাইভ অর্জন করতে না পারলে কেউ মূল্য দেয় না। এইজন্য আমরা আজকে জানবো কিভাবে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করা যায়। প্রিয় শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ অর্জন করা কিন্তু খুব বড় কোন বিষয় না তুমি যদি একটু চেষ্টা করো তাহলে সহজে পরীক্ষার জিপিএ 5 পেয়ে উত্তীর্ণ হতে পারবে। সারাদিন গাধার মত পরিশ্রম করে পড়াশোনা করে জিপিএ ফাইভ পাওয়া সম্ভব নয়।

তুমি যদি জিপিএ ৫ পেতে চাও তাহলে তোমাকে একটু বুদ্ধি খাটে পরিশ্রম করতে হবে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা তোমাদের সাথে আলোচনা করব পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো এবং পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায় গুলো। চলো আর দেরি না করে এবার ঝটপট জেনে নেই পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়।

সকালে উঠতে হবে 
আপনি যদি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সকালে উঠতে হবে আর শুধু ভালো ফলাফল অর্জনের জন্যই নয় আপনি যদি আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করুন সকালে উঠে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। আবার সকালে উঠলে আরো এক্সট্রা টাইম পাওয়া যায়। এই সময় আপনি পড়াশোনা করতে পারবেন চাইলে, শরীর চর্চা করতে পারবেন কিংবা অন্যান্য সকল কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

তাই এখন থেকে সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করুন। প্রথম অবস্থায় যদিও আপনার সকালে উঠতে একটু কষ্ট হবে তবে ধীরে ধীরে এটি আপনার অভ্যাসে পরিণত হতে থাকবে। এখন থেকে সকালে ৫.৩০ এ আলার্ম সেট করে রাখুন এবং প্রতিদিন সকাল ৫:৩০ এ উঠার অভ্যাস তৈরি করুন। সকালে উঠে হালকা একটু শরীরচর্চা করার পর বই নিয়ে পড়তে বসুন। সকাল সময়টি পড়াশোনার জন্য পারফেক্ট। কারন এই সময় আমাদের মাথায় অন্য কোন চিন্তাভাবনা থাকে না। তাই যে কোন পড়া দ্রুত সম্পন্ন হবে সাথেই পড়া গুলো দীর্ঘদিন আপনার ব্রেনের সংরক্ষণ থাকবে।

চেয়ার টেবিলে বসে পড়তে হবে
সবসময় চেষ্টা করবেন চেয়ার টেবিলে বসে পড়াশোনা করার এতে আমাদের ঘুম আসবে না এবং পড়ায় বেশি মনোযোগ হবে। অনেক শিক্ষার্থীরা যে ভুলটি করে তাহলে তারা বিছানাতে বসে অথবা শুয়ে পড়াশোনা করে এতে আমাদের পড়ায় অলসতা আসে এবং দ্রুত ঘুম চলে আসে এতে আমাদের পড়াশোনা ঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না সাথেই সময় নষ্ট হয় এর জন্য এইজন্য সবসময় চেষ্টা করবেন চেয়ার টেবিলে বসে পড়াশোনা করার। চেয়ার টেবিলে বসে পড়াশোনা করলে,

পড়াশোনায় মনোযোগ আরো বেশি গভীর হয়। সাথেই প্রতিটি পড়া সময় মত সম্পন্ন হয় এই জন্য এখন থেকে সব সময় চেয়ার টেবিলে বসে পড়াশোনা করবেন আপনার পাশে যদি চেয়ার টেবিল উপস্থিত না থাকে সেক্ষেত্রে নিচে বসে পড়াশোনা করবেন।

পড়ার সময় মোবাইল ফোন দূরে রাখতে হবে 
পড়াশোনা করার সময় কখনো আশেপাশে মোবাইল ফোন রাখবেন না এটি আমাদের মনোযোগ নষ্ট হবে। বর্তমান সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করার এমন শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল কারণ আমরা প্রত্যেকে এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করি তবে চেষ্টা করবেন পড়াশোনার সময় মোবাইল ফোনটি দূরে রাখার আমরা বেশিরভাগ সময় যে ভুলটি করি তা হল আশেপাশে মোবাইল ফোন রেখে পড়া শুরু করি এরপর একটু পর পর আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করি,

এতে একদিকে যেমন আমাদের মনোযোগ নষ্ট হয়, আরেক দিকে সময় নষ্ট হয় ফলে পড়াশোনা ঠিকভাবে সময় মতো সম্পন্ন হয় না এই জন্য পড়াশোনা করার সময় কখনই আশেপাশে মোবাইল ফোন রাখবেন না চেষ্টা করবেন মোবাইল ফোন দূরে রাখতে অথবা আম্মু আব্বু কিংবা ভাই বোনের কাছে মোবাইল ফোনটি দিয়ে আসবেন এতে আপনার পড়াশোনায় মনোযোগ আরো বেশি গভীর হবে সাথেই যে কোন বড় দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং সময়ও নষ্ট হবে না।

প্রতিদিনের একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করতে হবে
প্রতিদিনের একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করতে হবে। আপনি যদি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চান কিংবা পরীক্ষাতে এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিদিনের একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করতে হবে। প্রিয় শিক্ষার্থী শুধু পড়াশোনার জন্যই নয় চেষ্টা করবেন নিয়মিত সকালে উঠে সবার আগে একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করার অর্থাৎ আপনি কোন সময় কোন কাজ সম্পন্ন করবেন সেই সমস্ত কিছুকে তালিকাভুক্ত করবেন এবং সময় মত প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করবেন।

এভাবে ডেইলি রুটিন তৈরি করে ডেইলি রুটিন অনুযায়ী কাজ করলে আপনি লক্ষ্য করবেন আপনার প্রতিটি কাজ সবার মত সম্পন্ন হবে সাথেই আপনি সেখান থেকে কিছু এক্সট্রা টাইম বাঁচাতে পারবেন এই জন্য এখন থেকে প্রতিদিন সকালে ওঠে সবার আগে একটি ডেইলি রুটিন তৈরি করবেন এবং কোন সময় কোন কাজটি সম্পন্ন করতে হবে সেই সমস্ত বিষয়ে তালিকায় তুলে ধরবেন।

পড়াশোনার রুটিন তৈরি করতে হবে
উপরে আমরা এতক্ষণ জানলাম যে ডেইলি রুটিন তৈরি করতে হবে তবে ডেইলি রুটিন তৈরি করার পাশাপাশি আপনাকে পড়াশোনার মান উন্নত করতে চাইলে পড়াশোনার রুটিন তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ আপনি কোন সময় কোন সাবজেক্টে পড়বেন সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করতে হবে এবং প্রতিটি সময় অনুসারে প্রতিটি সাবজেক্টের পড়া সম্পূর্ন করতে হবে এভাবে রুটির অনুযায়ী পড়াশোনা করলে আশা করছি দ্রুত আপনার পড়াশোনায় উন্নতি আসবে।

সময়মতো খাদ্য গ্রহণ করতে হবে 
পড়াশোনায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাইলে অবশ্যই তোমাকে সময়মতো খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এখন তোমার মনে প্রশ্ন আসতে পারে পড়াশোনার সাথে খাদ্যর কি সম্পর্ক? তুমি যদি ভালোভাবে খাদ্য গ্রহণ না করো তাহলে তুমি দুর্বল হয়ে পড়বে এবং এনার্জি পাবে না ফলে পড়াশোনায় তোমার মনোযোগ বসবে না। এইজন্য নিয়মিত সময়মত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। সকাল ৮ টা থেকে ৯ টা এর মধ্যে সকালের খাবার সম্পন্ন করে দুফুর ১ টা থেকে ১.৩০ এর মধ্যে দুপুরের খাবার সম্পন্ন করতে হবে। 

আর বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে তুমি যদি বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করো তাহলে তোমার শরীর সুস্থ থাকবে সাথেই তোমার শরীরে এনার্জি আসবে এবং তুমি পড়াশোনায় মনোযোগ বসাতে পারবে। তুমি যদি উপরের এই সম্পূর্ণ নিয়ম গুলো মেনে চলো তাহলে আশা করছি তুমি  সহজে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে
 
রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে 
প্রতিদিন রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে ঘুম সঠিকভাবে না হলে আমাদের ব্রেনের উপর চাপ পড়ে এতে পড়াশোনায় মনোযোগ বসবে না সাথে ই পড়া দ্রুত ভুলে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে এই জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমায় না, এতে তাদের ব্রেনের ওপর একটি চাপ পড়ে এতে পড়াশোনা মনোযোগ বসানো আবার যে কোন পড়া দ্রুত ব্রেইন থেকে আউট হয়ে যায়।

অযথাই সময় নষ্ট করা যাবে না 
পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাইলে অথবা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে চাইলে তোমাকে অযথাই সময় নষ্ট করা যাবে না সময়ের মূল্য দিতে হবে। ভালো স্টুডেন্টরা কখনোই সময় অযথাই নষ্ট করে না আর শুধু পড়াশোনা ভালো ফলাফলের জন্যই নয় তুমি যদি সময়ের মূল্য দিয়ে কাজ করো তাহলে লক্ষ্য করে দেখবে, তোমার প্রতিটি কাজ সময়মতো সম্পন্ন হবে। এইজন্য এখন থেকে অযথাই সময় নষ্ট করা বাদ দাও এবং প্রতিটি কাজের মধ্যে সম্পন্ন কর।

তুমি যদি উপরের এই নিয়মগুলো মেনে পড়াশোনা করো তাহলে আশা করছি তুমি দ্রুত তোমার পড়াশোনায় উন্নতি করতে পারবে। পড়াশোনায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাইলে উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করতে হবে। শুধু গাধার মত পরিশ্রম করে পড়াশোনা করলেই ভালো ফলাফল অর্জন হয় না। পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাইলে এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে চাইলে তোমাকে বুদ্ধি খাটিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে তুমি বুঝতে পেরেছ পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো এবার চলো আমরা জেনে আসি পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায়।

পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায়

পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায় খুঁজছো? তাহলে তোমার খোঁজাখুঁজি এখানেই শেষ হচ্ছে কারণ আজকের এই পোস্টে আমরা তোমাদের সাথে পরীক্ষায় a+ পাওয়ার এমন কিছু টিপস শেয়ার করব যার মাধ্যমে তুমি সহজে অল্প পরে পরীক্ষায় এ প্লাস অর্জন করতে পারবে। পরীক্ষায় এ প্লাস পাওয়া কিন্তু কঠিন কোনো বিষয় নয় তুমি যদি একটু চেষ্টা করো তাহলে সহজেই পরীক্ষাতে এ প্লাস পেতে পারবে। পরীক্ষাতে a+ পেতে নিচে দেখো আমরা নিচে পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায় গুলো শেয়ার করেছি।

পড়া শেষে খাতায় লিখে প্র্যাকটিস 
তুমি যদি পরীক্ষাতে এ প্লাস পেতে যাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে পড়া শেষে প্রতিটি পড়া খাতায় লিখে প্র্যাকটিস করতে হবে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা এখানে যেই ভুলটি করে তা হল তারা একটি  বই পড়া শেষে আরেকটি সাবজেক্ট বের করে পড়া শুরু করে। কিন্তু এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ ভুল কারণ এভাবে পড়াশোনা করলে আগের পড়া গুলো তোমার ব্রেন থেকে আউট হয়ে যাবে। এতে একদিকে যেমন সময় নষ্ট হবে আরেকদিকে পড়াও সম্পন্ন হবে না। এইজন্য সবসময় চেষ্টা করবে পড়া শেষে পড়াটি খাতায় লিখে প্র্যাকটিস করার। 

এক্ষেত্রে বড় প্রশ্ন হলে সেটি চেষ্টা করবেন না দেখে মুখে বলার আর ছোট প্রশ্ন হলে সেটি খাতায় লিখে প্র্যাকটিস করবে। এতে পড়াগুলো দীর্ঘদিন তোমার ব্রেনে সংরক্ষণ থাকবে আর বারবার পড়ার প্রয়োজন হবে না। এভাবে পড়াশোনা করলে তুমি দ্রুত অল্প করার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারবে। এই যেন এখন থেকে প্রতিবার পড়া শেষে সেই পড়াটিকে খাতায় লিখে প্র্যাকটিস করবে আর বড় প্রশ্নগুলোকে না দেখে মুখে বলার চেষ্টা করবে।

ডেইলি রুটিন তৈরি করতে হবে 
প্রতিদিন সকালে উঠে সবার আগে একটি রুটিন তৈরি করবে। এই রুটিনে তোমার সারাদিনের সমস্ত কার্যক্রম কে তালিকাভুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ তুমি কোন সময় কোন কাজ সম্পন্ন করবে সেই সমস্ত সময়ের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। তারপর সময় অনুসারে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তুমি যদি এভাবে রুটিন অনুযায়ী কাজ কর তাহলে লক্ষ্য করে দেখবে তোমার প্রতিটি কাজ একদিকে যেমন সময় মতো সম্পন্ন হবে। আরেকদিকে তুমি সেখান থেকে অতিরিক্ত টাইম বাঁচাতে পারবে।

সাজেশন অনুযায়ী পড়তে হবে
পরীক্ষাতে এ প্লাস অর্জন করতে চাইলে তোমাকে অবশ্যই সাজেশন অনুসরণ করতে হবে আর সাজেশন অনুযায়ী পড়তে হবে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা আমরা এইখানে যেই ভুলটি করি তা হলো আমরা সাজেশন বাদ দিয়ে শুধু বোর্ড বই আর গাইড বই পড়েই পরীক্ষাতে ভালো ফল অর্জন করতে চাই। কিন্তু সাজেশন ছাড়া কিন্তু কখনোই পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব নয়। সাজেশন অনুযায়ী পড়লে একদিকে যেমন পড়া কমে যায়, আরেক দিকে অল্প পরেও পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করা যায় এই জন্য সবাই প্রথমে তোমাকে সাজেশন খুঁজতে হবে।

প্রিয় শিক্ষার্থী আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে তুমি বুঝতে পেরেছ পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায় গুলো। তুমি যদি উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করে পড়াশোনা করো তাহলে আশা করছি তুমি অল্প পড়াশোনা মাধ্যমে পরীক্ষাতে এ প্লাস অর্জন করতে পারবে। পরীক্ষাতে এ প্লাস পাওয়া কিন্তু খুব কঠিন কোন বিষয় নয়। তুমি যদি ওপরে নিয়মগুলো অনুসরণ করে পড়াশোনা করো, তাহলে কোন ঝামেলা ও পরিশ্রম ছাড়াই পরীক্ষাতে অল্প করে এ প্লাস অর্জন করতে পারবে।

পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার দোয়া

আমরা অনেকেই মনে করি পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে দোয়া পাঠ করলে এতে আমাদের পরীক্ষা ভালো হবে এই কথাটুকু কতটুকু জ্যোতি তার প্রমাণ না থাকলেও আমরা আজকের এই পোস্টে তোমাদের সাথে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার দোয়া শেয়ার করব তোমরা চাইলে এই দোয়াটি পাঠ করে পরীক্ষা দিতে যেতে পারো। অনেক সময় দেখা যায় পরীক্ষায় দোয়া পাঠ করে পরীক্ষা দিলে এতে পরীক্ষা ভালো হয়। তাই পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার দোয়া জানতেই নিচে দেখো,
প্রথমে সূরা ফাতিহা পাঠ করবে
সূরা ফাতিহা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন 
আল্লাহ রহ্ মানির রহিম 
মালিকি- ইয়াওমিদ্দিন 
ইয়াকা আনা বুদুয়া
ওয়া ইয়ে কা- আনা স্তাইন
ইহ দিনা ছিরাতল মুস্তাকিম 
ছিরাতল্লাজিনা আন - আম তায়ালা আলাইহিম 
গাইরিল মাগদুবি ওয়া আলাইহিম 
ওয়া আলা দল লিন
আমিন

সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর দরুদ শরীফ পাঠ করবে
দরুদ শরীফ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিউ 
ওয়া-আলা আলী মোহাম্মাদিন
কামা সাল্লাইতা-আলা
আলা ইব্রাহীমা ওয়ালা আলী ইব্রাহিম
ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ 
আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মদিউ 
ওয়া-আলা আলি মোহাম্মাদিন
কামা বারাকতা - আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলী ইব্রাহীম
ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ
বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে। এতে আমাদের স্মৃতিশক্তি আরো বেশি মজবুত হবে এবং আমরা পরীক্ষাতে মনোযোগ সহ লিখতে পারব। প্রিয় শিক্ষার্থী আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে তুমি বুঝতে পেরেছ পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার দোয়া কি কি। তোমার সুবিধার্থে আমি আবারও বলছি পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট করার দোয়া হলো প্রথমে সূরা ফাতিহা পাঠ করবে তারপর দরুদ শরীফ পাঠ করবে। এই দুইটি সূরা খুবই বেশি কার্যকরী এই জন্য বেশি বেশি দরুদ শরীফ এবং সূরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে।

অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায়

ওপরে আমরা এতক্ষণ জানলাম পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার দোয়া সম্পর্কে এবার আমরা জানবো কিভাবে অল্প পড়ে পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করা যায় অর্থাৎ অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো। অল্প পড়ে কি সত্যিই ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব? হ্যাঁ অবশ্যই সম্ভব তুমি যদি নিজের টিপস গুলো অনুসরণ করো এবং নিচের নিয়ম অনুযায়ী পড়াশোনা করো তাহলে আমি তোমাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি তুমি পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করবেই। 

সারাদিন গাধার মতো পরিশ্রম করে পড়াশোনা করলে কিন্তু পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করা যায় না পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য আমাদেরকে একটু বুদ্ধি খাটে পড়াশোনা করতে হবে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা তোমাদের সাথে আলোচনা করব যে কিভাবে তুমি অল্প পড়ে পরীক্ষাতে ভালো রেজাল্ট অর্জন করতে পারবে। চলো তাহলে এবার আর দেরি না করে আমরা দ্রুত জেনে আসি অল্প করে ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলো।

পড়া শেষে প্র্যাকটিস করতে হবে 
আমরা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই এখানে ভুলটি করি। আমরা একটি বই পড়া শেষ করে আরেকটি বই পড়া শুরু করি এতে আমরা কিছুক্ষণ আগে যা পড়েছি সে সমস্ত তথ্য গুলো আমাদের ব্রেইন থেকে আউট হয়ে যায় এতে শুধু শুধু সময় নষ্ট হয়। তাই এখন থেকে চেষ্টা করবে প্রতিবার পড়া শেষে ছোট ছোট জ্ঞানমূলক প্রশ্নগুলোকে খাতায় লিখে প্র্যাকটিস করার এতে পড়াটি দীর্ঘদিন তোমার ব্রেইনে থাকবে। আর বড় প্রশ্নগুলোকে না দেখে মুখে বলার চেষ্টা করবে।

বোর্ড প্রশ্ন পড়তে হবে 
তুমি যদি পরীক্ষাতে অল্প করে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাও তাহলে তোমাকে অবশ্যই বোট প্রশ্ন করতে হবে তুমি জানলে অবাক হবে যে শুধুমাত্র বোর্ড প্রশ্ন করে তুমি তোমার ৭৮% পার্সেন্ট পড়া কভার করতে পারবে। প্রিয় শিক্ষার্থী বোর্ড প্রশ্নও পড়া খুবই জরুরী প্রশ্ন না পড়লে কিন্তু তুমি কখনোই পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে না কারণ পরীক্ষাতে প্রায় ৯০% প্রশ্ন গুলোই বোর্ড প্রশ্ন থেকে আসে। আর তুমি যদি অল্প পরে পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাও তাহলে তোমাকে বোর্ড প্রশ্ন পরতেই হবে।

বোর্ড প্রশ্ন পড়লে বোঝা যায় যে পরীক্ষাতে কেমন প্রশ্ন আসতে পারে অথবা বোর্ড প্রশ্ন থেকে পরীক্ষার প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যায়। এইজন্য বোর্ড বই এবং গাইড বই দুটি সাইডে রেখে বোর্ড প্রশ্ন নিয়ে পড়া শুরু করো দশ বছরের প্রতিটি বোর্ড প্রশ্নকে খুঁটিয়ে মুখস্ত করো। এতে তুমি অল্প করেও পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে এক্ষেত্রে তোমার প্রয়োজন একটি প্রশ্ন ব্যাংক বইয়ের। তোমার কাছে যদি প্রশ্ন ব্যাংক বই না থাকে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব  একটি প্রশ্নব্যাংক বই কিনে ফেলো।

পড়া শেষে গুরুত্বপূর্ণ অংশ নোট করতে হবে 
পড়া শেষে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোকে নোট করে রাখতে হবে অথবা একটি কালার পেনের সাহায্যে সেখানে মার্ক করে রাখতে হবে এতে পরীক্ষার আগে তুমি নজরে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোকে তোমার ব্রেনে সেট করে নিতে পারবে। এইজন্য পড়ার সময় হাতে একটি কালার পেন ডাকবে এবং কালার পেনের সাহায্যে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোকে মার্ক করে রাখবে। আর যে অংশগুলো তোমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে, সে অংশগুলোকে নোট খাতায় নোট করে রাখবে।

সাজেশন অনুযায়ী পড়তে হবে
অল্প পড়ে পরীক্ষাতে ভালো ফল ফল অর্জন করতে চাইলে তোমাকে অবশ্যই সাজেশন অনুযায়ী করতে হবে। সাজেশন অনুযায়ী না পড়লে তুমি কখনোই পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে না সাজেশন অনুযায়ী পড়লে একদিকে যেমন পড়া কমে যায় আরেক দিকে অল্প পরেও পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করা যায়। এইজন্য পরীক্ষার আগে ক্লাস টিচার অথবা অন্য কোন জ্ঞানী ব্যক্তিদের চেয়ে থেকে সাজেশন নিয়ে নিবে। অথবা আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবে এই ওয়েবসাইটে আমরা বিভিন্ন সাজেশন দিয়ে থাকি। 

মুখস্ত নয় বুঝে পড়
মুখস্ত নয় বুঝে পড়। আমি তো বুঝে পড়াকে সমর্থন করি। কারণ বুঝে পড়লে পড়াটি দীর্ঘদিন ব্রেনে থাকে আরেক দিকে যে কোন পড়া দ্রুত সম্পন্ন হয় এই জন্য প্রতিটি পড়াকে চেষ্টা করবে বুঝে পড়ার। মুখস্ত বিদ্যা অনেক ভয়ঙ্কর এখন মুখস্ত করে সেটি বারবার চর্চা না করলে ব্রেন থেকে আউট হয়ে যায় এই জন্য বুঝে পরো বুঝে পড়লে সেটা দীর্ঘদিন তোমার ব্রেনের সংরক্ষণ থাকবে প্রতিটি পড়াকে মজা হিসেবে নাও, কখনো পড়াকে চাপ মনে করবে না।

পড়াকে চাপ হিসেবে নিলে অথবা পড়াকে বিরক্ত মনে করলে পড়াশোনাতে কখনোই মনোযোগ বসবে না। এইজন্য সবসময় পড়াকে মজা হিসেবে নাও। এতে পড়ার প্রতি তোমার আরো বেশি মনোযোগ বসবে এবং পড়া দ্রুত সম্পন্ন হবে। এই জন্য এখন থেকে সব সময় বুঝে বুঝে পড়বে।

প্রিয় শিক্ষার্থী তুমি যদি ওপরে নিয়মগুলো অনুসরণ করে পড়াশোনা করো তাহলে আমি তোমাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি তোমার পরীক্ষাটা ভালো ফলাফল অর্জন হবেই পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে চাইলে তোমাকে উপরের নিয়ম গুলো অনুসরণ করতে হবে। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে তুমি উপকৃত হয়েছ। এই বিষয়ে তোমার আর কোন প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকলে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবে আর তুমি যদি কোনো সাবজেক্টের সাজেশন পেতে চাও তাহলে সেটিও কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখবে।

শেষ কথা

প্রিয় শিক্ষার্থী আমরা আজকের এই আর্টিকেলে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় ভালো রেজাল্ট করার দোয়া অল্প করে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায় এবং পরীক্ষা a+ পাওয়ার উপায় গুলো তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমাদের প্রত্যেকেরই আশা থাকে পরীক্ষাতে এ প্লাস অর্জন করা, তাই আমরা আজকের এই পোস্টে তোমাদের সাথে পরীক্ষাতে এ প্লাস পাওয়ার উপায় গুলো তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম। তুমি যদি উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করো, তাহলে আমি তোমাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি তোমার পরীক্ষা দিয়ে প্লাস আসবেই।

বর্তমান সময়ে এ প্লাস পাওয়া কিন্তু খুব কঠিন কোন বিষয় নয় তুমি যদি সাজেশন অনুযায়ী পড়ো এবং বেশি বেশি প্রশ্ন করো তাহলে সহজেই পরীক্ষাতে এ প্লাস অর্জন করতে পারবে। কারণ পরীক্ষাতে বেশিরভাগ প্রশ্নগুলোই বোর্ড প্রশ্ন থেকে আসে। আর পাশাপাশি একটু সাজেশন পেলে পরীক্ষাতে অল্প পরেই তুমি ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে। এইজন্য এখন থেকে বেশি বেশি বোর্ড প্রশ্ন গুলো পড়তে হবে আর পাশাপাশি সাজেশন অনুযায়ী পড়াশোনা করতে হবে।

আর হ্যাঁ প্রত্যেকবার পড়া শেষে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোকে কালার পেনের সাহায্যে মার্ক করে রাখবে। এতে পরীক্ষার আগে তুমি এক নজরে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোকে দেখে নিতে পারবে। আর প্রতিটি চ্যাপ্টার থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ নির্বাচন করে সেটি একটি নোট খাতায় লিখে রাখবে পরীক্ষার আগে এই নোট খাতাটি তোমার বিশেষ কাজে আসবে। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে তুমি উপকৃত হয়েছো। এই বিষয়ে তোমার আর কোন মতামত কিংবা প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url