ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা - মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা অনেক। পড়ালেখায় মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব অনেক। পড়ালেখায় মনোযোগ নষ্ট হয় এমন কি এটাই শারীরিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব মোবাইল ফোনের বিপক্ষে যুক্তি সমাজের উপর মোবাইল ফোনের প্রভাব কেমন মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ কেন এবং মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন কত সালে সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি এই পোস্টটির সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে, পড়ালেখায় মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে। আমরা প্রত্যেকেই এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করি কিন্তু মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানিনা। মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সুযোগ-সুবিধা অনেক কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে এটি মানব জীবনে ভয়াবহ ক্ষতিসাধন করতে পারে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে আসি পড়ালেখায় মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব, ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা, মোবাইল কে আবিষ্কার করেন কত সালে মোবাইল ফোন পরিবেশের উপর কি কি প্রভাব ফেলে মোবাইল ফোনের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব, মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ কেন এবং ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা।
পেজ সূচিপত্র : ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা - মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব
- ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
- মোবাইল ফোন পরিবেশের উপর কি কি প্রভাব ফেলে
- মানব স্বাস্থ্যের উপর মোবাইল ফোনের প্রভাব
- মোবাইল ফোনের বিপক্ষে যুক্তি
- মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন
- মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর ৫টি দিক
- মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব
- মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ কেন?
- পাঠকদের কিছু প্রশ্ন
- লেখকের শেষ কিছু
ভূমিকা
স্মার্ট বাংলাদেশে এখন সবাই স্মার্ট । এখন রাস্তায় বের হলে হাতে মোবাইল ফোন নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। এমনকি ছোট বাচ্চাদের হাতে এখন স্মার্টফোন দেখা যায় এর কারণ হলো সময়ের প্রভাব।
করোনা মহামারী তো চলে গেছে কিন্তু কিন্তু করনার প্রভাব গুলো এখনো আমাদের সমাজ থেকে যায়নি শুধু সমাজ থেকে নয় বরং পুরো বিশ্ব আজ করনার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আর এই করোনা শুধু আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেনি বরং এটি শিক্ষা ব্যবস্থাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
করোনায় লকডাউন চলাকালীন অবস্থাতে আমরা প্রত্যেকেই বাসায় বন্দি হয়ে পড়েছিলাম এই অবস্থায় বাইরে যাওয়া মানা ছিল এক্ষেত্রে বাসায় বসে সময় কাটতো না যার কারণে প্রত্যেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সময় কাটাতো। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একে অপরের সাথে হাসি-ঠাট্টা,
মজা ভিডিও দেখে দিন পার করত কিন্তু করোনা তো চলে গেছে তবুও করুনার প্রভাব যেন এখনো সমাজে রয়ে গেছে এখনো প্রত্যেকে আমরা মোবাইল ফোনের সাথে আকৃষ্ট রয়েছে মোবাইল ফোন ছাড়া যেন ৫ মিনিটও থাকা সম্ভব নয়।
এখন বড় থেকে শুরু করে ছোট ছোট বাচ্চারা পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তারা দীর্ঘ রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আগে মানুষ অবশ্যই সময় কাটানোর জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করত কিন্তু এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অবশ্যই সময় পেলে বাচ্চারা পড়াশোনা করে। পার্থক্যটা আপনি বুঝতে পারছেন?
এখন বাচ্চারা দীর্ঘ রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তারা মোবাইল ফোনে ভিডিওস গেমস অডিওস শুনে পাশাপাশি চ্যাটিং করে। এভাবে চলতে থাকলে বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ বেহালে যেতে চলেছে। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা এমনই একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি নিচে দেখুন ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা অনেক। আপনি যদি ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে জানেন তাহলে আপনি অবাক হবেন। আমার মতে বাচ্চাদের হাতে কখনোই মোবাইল ফোন দিবেন না।
বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন দিলে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হয় পাশাপাশি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে যেমন বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন দিলে তারা দীর্ঘরাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এবং এতে ঘাড় ব্যথা ও মাথা ব্যথা থেকে শুরু করে,
বিভিন্ন প্রকার শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তাই আমি বলব বাচ্চাদের হাতে অথবা ছাত্রদের হাতে কখনো মোবাইল ফোন দিবেন না। ছাত্র জীবনে ছাত্রদের মনোযোগ শুধুমাত্র পড়াশুনার প্রতি হওয়া উচিত এতে তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। কিন্তু এখন ছাত্র জীবনে এমন কোন ছাত্র নেই যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেনা।
অথবা মোবাইল ফোনের সাথে যুক্ত নয়। করোনা মহামারীর পর থেকে আমরা প্রত্যেকেই মোবাইল করার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছি এই মোবাইল ফোন ছাড়া যেন একটি দিনও কাটানো সম্ভব নয়। নিচে দেখুন ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা।
- পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হওয়া
- পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে না পারা
- দীর্ঘরাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা
- অল্প বয়সে ক্ষিণ দৃষ্টিশক্তির স্বীকার হওয়া
- মাথাব্যথা
- কানে কম শোনা
- শুক্রাণু কমে যাওয়া
- নেমো ফোবিয়া
- খারাপ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া
- হতাশা
- ঘাড় ব্যথা
- হঠাৎ কানে আওয়াজ আসা
- মেজাজ খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যাওয়া
- স্মৃতিশক্তির ব্যাঘাত ঘটা
- ভবিষ্যৎ খারাপ হওয়া
- পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হওয়া
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকলে পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হয়। অনেক মা বাবা ভেবে থাকে বাচ্চাকে মোবাইল ফোন দিলে তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পড়াশোনায় আরো উন্নতি ঘটাতে পারবে। অথবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পড়াশোনা করতে পারবে
কিন্তু বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই এই সুযোগটির অসৎ ব্যবহার করে। তারা পড়াশোনার বদলে আরো মোবাইল ফোন নিয়ে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে এবং ভিডিও এবং গেম খেলে ব্যস্ত হয়ে পড়ে এতে পড়াশোনা মনোযোগ নষ্ট হয় এবং ফলাফল ভালো হয় না ।
পড়াশোনা করার সময় পাশে মোবাইল ফোন থাকলে নষ্ট হয় বারবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে শুরু করে এদের সময় নষ্ট হয় আর পড়াশোনা হয় না এই জন্য আমি সাজেস্ট করব পড়াশোনা করার সময় আসে পাশে কোথাও মোবাইল ফোন রাখবে না।
বেশিরভাগ স্টুডেন্টরাই এই ভুলটি করে তারা পড়াশোনার সময় আশেপাশে মোবাইল ফোন রাখে এবং একটু ৫-৬ মিনিট পরেই আবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে শুরু করে এতে পড়াশোনা মনোযোগ নষ্ট হয় এবং সময়ও নষ্ট হয়।
রেজাল্ট খারাপ হয়
ছাত্র জীবনে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এতে পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হয়। কারণ তুমি যখন পড়াশোনার সময় আশেপাশে মোবাইল ফোন রাখবে এতে তোমার মনোযোগ নষ্ট হবে পড়াশোনা হবে না আবার সময় নষ্ট হবে আবার এভাবে পড়াশোনা করতে থাকলে
তোমার রেজাল্টও খারাপ হবে। এইজন্য ছাত্ররা তোমরা সময় থাকতে সাবধান হও এবং অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বাদ দাও। কারণ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এতে তোমার রেজাল্ট খারাপ হবে আবার ভবিষ্যতও নষ্ট হয়ে যাবে।
দীর্ঘরাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার
তোমার সময় বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীরা গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এতে তারা অকালে ক্ষিন দৃষ্টিশক্তির শিকার হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এটি চোখের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
আবার এটি স্মৃতিশক্তির ওপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে। বর্তমান সময়ে প্রায় ৭০% ছাত্রছাত্রীরা গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোনে চ্যাটিং করে ভিডিওস দেখে গেমস খেলে।
এভাবে চলতে থাকলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তাই বাচ্চাদের হাতে কখনোই মোবাইল ফোন দিবেন না। বর্তমান সময়ে অনেক মা বাবা ভাবে যে বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন দিলে এতে পড়াশোনায় উন্নতি হবে তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পড়াশোনা করতে পারবে।
কিন্তু এ ধারণা গুলোর সম্পূর্ণ ভুল বাচ্চাটা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পড়াশোনা করা দূরের কথা তাদের হাতে মোবাইল ফোন দিলে তাদের মনোযোগ নষ্ট হয় এবং পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে।
মাথাব্যথা ও ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি
দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকলে এতে মাথাব্যথা শুরু হয় এবং অল্প বয়সেই দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হয়। বর্তমান সময়ে এখন ছোট ছোট বাচ্চাদের চোখে এই বড় বড় চশমা দেখা যায় এর কারণ হলো তারা গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে।
এই অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে অল্প বয়সেই ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তির স্বীকার হচ্ছে । আবার দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকলে এতে মাথা ব্যথা শুরু হয় মাথা ব্যথা নিয়ে পড়াশোনা করাতে সম্ভব নয় এই জন্য ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এতে পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হয় এবং ফলাফলও খারাপ হয়।
খারাপ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া
বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী প্রায় ৭০% মানুষই প্রেম অথবা ভালোবাসার সম্পর্কে আবদ্ধ রয়েছে। যার কারণে তাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটেছে। বর্তমান সময়ের সাথে জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে এখন সহজে দেশ-বিদেশে মানুষ হিসেবে যোগাযোগ করা সম্ভব।
আর এই ফেসবুকের মাধ্যমে এখন হাজার হাজার ছেলে মেয়েরা খারাপ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে অথবা আবদ্ধ হয়ে পড়ছে। এই সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়ার ফলে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে । ফলে পড়াশোনাও হচ্ছে না আবার রেজাল্টও খারাপ হচ্ছে।
স্মৃতিশক্তির ব্যাঘাত ঘটা
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে স্মৃতিশক্তির ব্যাঘাত ঘটে। এখন বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের এক এই সমস্যা তারা বলে আজকে কি পড়েছি আমি কালকে আর মনে করতে পারি না এর কারণ হলো দুর্বল স্মৃতি শক্তি।
আর দুর্বল স্মৃতি শক্তির প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার।। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পড়া মনে রাখা খুবই কষ্টকর হয়ে ওঠে। এইজন্য এখন থেকে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বাদ দাও।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এই সমস্ত ক্ষতিগুলো বেশি লক্ষ্য করা যায়। এইজন্য ছাত্র জীবনে কখনো অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করবে না। তুমি যদি মোবাইল ফোনের প্রতি অলরেডি আকৃষ্ট হয়ে থাকো তাহলে চেষ্টা করবে ধীরে ধীরে এই অভ্যাসটি বাদ দেওয়ার এবং নিজেকে অন্যান্য কাজে ব্যস্ত রাখার। নিজেকে অন্যান্য কাজে ব্যস্ত রাখতে পারলে মোবাইল ফোনের প্রতি আকৃষ্টতা তোমার কমে যাবে।
ছাত্র জীবন থেকে মোবাইল ফোনের প্রতি এত বেশি আকৃষ্ট হলে পরবর্তী সময় তুমি ভবিষ্যতে ভালো কিছু কখনো অর্জন করতে পারবে না। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এটি শুধুমাত্র তোমার পড়াশোনায় ক্ষতি করে এমনটা কিন্তু পড়াশোনা ক্ষতি করার পাশাপাশি
এটা তোমার ভবিষ্যৎকে খারাপ করে এবং শারীরিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকলে তুমি অল্প বয়সেই চোখের সমস্যায় ভুগবে পাশাপাশি দুর্বল স্মৃতিশক্তি স্বীকার হবে।
প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা আশা করছি তোমরা বুঝতে পেরেছ ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা গুলো কি কি। ছাত্রজীবনের মোবাইল ফোন ব্যবহারের অপকারিতা অনেক সে বিষয়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে
এতে পড়াশোনা ক্ষতি হয় এবং শারীরিকভাবেও ক্ষতি হয়। এবার চলো আমরা দেখে আসি মোবাইল ফোন পরিবেশের উপর কি কি প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে সমাজে কি কি ক্ষতিকর প্রভাব দেখা যেতে পারে।
মোবাইল ফোন পরিবেশের উপর কি কি প্রভাব ফেলে
মোবাইল ফোন কি শুধু শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে নাকি সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে? আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো মোবাইল ফোন পরিবেশের উপর কি কি প্রভাব ফেলে। মোবাইল ফোন মূলত যোগাযোগের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজেই যে কোন স্থানে যেকোনো ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব।
কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করি আর এই অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে আমরা শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আবার অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ততা দেখা যায়। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এতে
- পারিবারিক কলহ দেখা যায়
- সমাজে মাদকাসক্ত দের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়
- কিশোর গেং সৃষ্টি হয়
- সমাজে বিচ্ছেদের হার বৃদ্ধি পায়
- সমাজে বেকারত্ব সৃষ্টি হয়
- দেশ আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পরে
- সমাজে নারীদের হেনস্তার শিকার হতে হয়
- পারিবারিক কলহ দেখা যায়
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে পারিবারিক কলহ দেখা যায় যা সমাজকে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে বাচ্চারা ধীরে ধীরে মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হতে থাকে
এবং এতে বাচ্চারা পরিবারের অবাধ্য হয় এবং পরিবারের শুরু হয় কলহ। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকলে পরীক্ষায় রেজাল্ট ভালো হয় না এতে মা-বাবা অসন্তুষ্ট হয়। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সমাজকে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সমাজে মাদকাসক্তদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকলে ছাত্র-ছাত্রীরা ধীরে ধীরে খারাপের মধ্যে জড়িয়ে যায় এবং এতে তারা ধীরে ধীরে নেশায় আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী দের মধ্যে প্রায় ৭০% ছাত্র-ছাত্রীরা এখন প্রেম ও ভালোবাসার সম্পর্কে আবদ্ধ।
এবং একসময় যখন বিচ্ছেদ ঘটে তখন তারা নেশায় আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। এতে ধীরে ধীরে সমাজে মাদকাসক্তদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা সমাজে বিশেষ ক্ষতি করে।
সমাজে কিশোর গেং সৃষ্টি হয়
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকলে সমাজে কিশোর গেং সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে করতে একসময় মেজাজ খিটখিটে হতে থাকে এবং এতে শুরু হয় পারিবারিক কলহ।
এবং এই পারিবারিক কলহ থেকে ছাত্রছাত্রীরা সমাজের নেশাগ্রস্ত ছেলেদের সাথে মিশতে শুরু করে, যার ফলে সৃষ্টি হয় কিশোর গেং। তাই বলবো অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সমাজ কিশোর গেং সৃষ্টি হয়।
সমাজে বিচ্ছেদের হার বৃদ্ধি পায়
বর্তমান সময়ে আমরা প্রত্যেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি। আর মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কিন্তু ফেসবুক সম্পর্কে জানি না অথবা চিনি না। ফেসবুকের মাধ্যমে সহজে দেশ-বিদেশের মানুষদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেসবুকের মাধ্যমে আপনি সহজে সেকেন্ডের মধ্যে যেকোনো ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
এখন ছাত্রছাত্রীরা ঘন্টার পর ঘন্টা আমি এই ফেসবুকে সময় নষ্ট করে যার ফলে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হয় আবার সমাজে বিচ্ছেদের হার বৃদ্ধি পায়।আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সাথে সমাজে বিচ্ছেদের হারের সম্পর্ক কি?
এখন যেহেতু আমরা প্রত্যেকের ফেসবুক ব্যবহার করি আর এই ফেসবুকের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারি সে ক্ষেত্রে এভাবে পরকীয়ার হার অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়, যার ফলে সমাজে বিচ্ছেদ সৃষ্টি হয়।
আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন সমাজে যে সমস্ত বিচ্ছেদ গুলো হয় সেগুলো প্রায়ই মোবাইল ফোনের জন্য হয়। কারণ বাসার আশেপাশে পরকীয়া করা কখনই সম্ভব নয়। বেশিরভাগ পরকীয়া মেয়ে অথবা ছেলেরা
এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করে থাকে। আর এই পরকীয়ার কারণে পরিবারের জানা জানি হলে বিচ্ছেদ দেখা দেয়। এইজন্য আমি বলব অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে সমাজে বিচ্ছেদের হার বৃদ্ধি পায়।
সমাজে বেকারত্ব সৃষ্টি হয়
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে পড়াশোনা আজকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরেকদিকে সমাজে বেকারত্ব সৃষ্টি হয়। তুমি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা শুরু করো তাহলে তোমার পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হবে পড়াশোনা ঠিকভাবে হবে না তোমার রেজাল্টও খারাপ হবে।
এতে তোমার ভবিষ্যৎ বিহারে যাবে যার কারণে সমাজে বেকারত্ব সৃষ্টি হবে। কারণ পড়াশোনায় মনোযোগ না বসলে তুমি পরীক্ষা ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেনা আর পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন না হলে,
আরও পরুনঃ মেয়েদের ইংলিশ ফেসবুক স্টাইলিশ নাম
তুমি ভালো এটি চাকরিতে জয়েন করতে পারবেনা ভালো চাকরি না পেলে তুমি বেকার বসে থাকবে যার ফলে সমাজে বেকারদের সৃষ্টি হবে। এভাবে তোমার মত আরও দশটি ছাত্রছাত্রী যদি মোবাইলের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে
এবং পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে না পারে তাহলে তারাও তোমার মত বেকার করে থাকবে এতে সমাজে বেকারত্ব সৃষ্টি হবে। এভাবে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে সমাজে বেকারত্ব সৃষ্টি হয়।
সমাজে নারীদের হেনস্থার শিকার হতে হবে
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ছেলেরা পর্নো গ্রাফির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। এতে তারা সমাজে নারীদের হেনস্থা করতে শুরু করে। রাস্তায় মেয়েদের অসম্মান করে এবং বাজে মন্তব্য করে যার সমাজ চেয়ে কলহ সৃষ্টি করে।
অনেক সময় সঙ্গদোষে ও ছেলেরা এমন আচরণ শুরু করে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ছেলেরা অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে এমন বাজে আচরণ শুরু করে।
প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অতৃপ্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে পরিবেশের উপর কি কি প্রভাব পড়তে পারে অথবা মোবাইল ফোন পরিবেশের উপর কি কি প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এটি শুধুমাত্র আপনারই ক্ষতি করে না এটি আপনার পাশাপাশি সমাজের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে আপনি পড়াশোনা নষ্ট হবে, আরেকদিকে আপনার ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হবে আবার সমাজে ও বেকারত্বের হার বাড়বে পাশাপাশি দেশ আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়বে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি মানব স্বাস্থ্যের উপর মোবাইল ফোনের প্রভাব।
মানব স্বাস্থ্যের উপর মোবাইল ফোনের প্রভাব
ওপরে আমরা দেখলাম অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সমাজের উপর কি কি ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে তবে এবার আমরা দেখবো অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এটি কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এটি একদিকে যেমন পড়াশোনা ক্ষতি করে আরেক দিকে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর আবার এটি মানসিকভাবে আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে।
বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিকোণ থেকে জানা যায় যে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তুমি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে পাশাপাশি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে আর তোমার অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে তোমার জন্য পুরো দেশ পিছিয়ে পড়বে।
এখন তোমার মনে প্রশ্ন আসতে পারে আমার মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সাথে দেশের কি সম্পর্ক অথবা দেশের পিছিয়ে পড়ার কি সম্পর্ক? সেই সবকিছু নিচে ব্যাখ্যা করা রয়েছে দেখে নাও।
- অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকলে ঘাড়ে ব্যথা শুরু হয়।
- মেরুদণ্ড ব্যাঁকা হয়ে যায়।
- দৃষ্টিশক্তির দুর্বল হয়ে পরে।
- মাথা ব্যাথা শুরু হয়।
- মেজাজ খিটখিটে স্বভাবের হতে থাকে।
- হতাশা সৃষ্টি হয়।
- কানে কম শোনার সমস্যা তৈরি হয়।
- প্যানিক এটাক হতে পারে।
- দুর্বল স্মৃতিশক্তি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঘাড়ে ব্যথা শুরু হয়
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ঘাড়ে ব্যথা শুরু করে। যেমন আমরা যখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করি তখন কিন্তু আমরা ঘাড় মোবাইলের দিকে নিচু করে ব্যবহার করি এতে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত এভাবে ঘাড় নিচু করে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এতে ঘাড়ে ব্যথা শুরু হয়। এভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকলে একসময় মেরুদন্ড ব্যাকা হয়ে পড়ে।
মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। মোবাইল ফোনের ব্রাইটনেস চোখে রেটিনায় যেয়ে পৌঁছালে এতে চোখের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এরপরে অল্প বয়সে ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি শিকার হতে হয়। তুমি লক্ষ করে দেখবা এখন ছোট ছোট বাচ্চাদের চোখেও বড় বড় চশমা দেখা যায় এর কারণ হলো তারা অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে।
মাথা ব্যথা শুরু হয়
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে অথবা দীর্ঘ সময় থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকলে মাথা ব্যথায় শুরু হয়। তুমি লক্ষ করে দেখবা তুমি যদি একটা না তিন থেকে চার ঘন্টার মোবাইল ফোন ব্যবহার করো তাহলে তোমার মাথা ভার হয়ে আসবে এবং মাথা ব্যথা শুরু হবে। এটি খুবই স্বাভাবিক আমরা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত যখন একটি জিনিসকে গভীর মনোযোগ সহ দেখতে থাকি এতে আমাদের মাথা ব্যথা শুরু হয়।।
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকলে মেজাজ খিটখিটে স্বভাবের হতে থাকে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে আমরা ধীরে ধীরে মোবাইল ফোনের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকি। আর এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে করতে আপনি লক্ষ্য করবেন আশেপাশে কেউ কথা বললে আমাদের রাগ হয়। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এটি আমাদের ব্রেইনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে যার কারণে আমাদের মেজাজ খিটখিটে স্বভাবের হতে থাকে।
হতাশা সৃষ্টি হয়
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকলে হতাশার সৃষ্টি হয় যা সামাজে কলহ তৈরি করে। বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী দের মধ্যে প্রায় ৭০% মানুষই এখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রেম অথবা ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছেন। এই সোশ্যাল মিডিয়াতে সম্পর্ক হওয়া এবং বিচ্ছেদ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। প্রতিদিন প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষের এই সোশ্যাল মিডিয়াতে সম্পর্ক এবং বিচ্ছেদ ঘটে থাকে। আর এই বিচ্ছেদ থেকে সৃষ্টি হয় হতাশা।
অনেকেই এই হতাশা থেকে আত্মহত্যা পর্যন্ত করে। এইজন্য অতীতের মোবাইল ফোন ব্যবহার করার পরে এটি শুধু আপনাকে মানসিকভাবেই হেনস্থা করে না এটি আপনাকে শারীরিকভাবেও হেনস্থা করে থাকে। তাই আমি বলব এখন থেকে শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা থেকে রেহাই পেতে অতিরিক্ত
মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বাদ দিন। এই অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে শুধু আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না আপনার পাশাপাশি আপনার পরিবার আপনার সমাজ এবং এই পুরো দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্যানিক অ্যাটাক
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে প্যানিক অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে। এটাক বলতে বোঝায় যা হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভূত হওয়া এবং কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞান হারিয়ে ফেলা। এই মুহূর্তটি খুবই কষ্টকর হয়ে ওঠে।
বর্তমান সময়ে এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে বেশিরভাগ মানুষের এই প্যানিক অ্যাটাক হয়ে থাকে। মোবাইল ফোন যেমন একদিকে উপকারী আরেকদিকে এটি মানুষের জীবনের জন্য মানত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মোবাইল ফোন থেকে বন্ধু-বান্ধব সৃষ্টি হয়, সম্পর্কের বন্ধন সৃষ্টি হয়। এর থেকে পরবর্তী সময়ে বিচ্ছেদ দেখা দিলে সেখান থেকে দেখা যায় হতাশা এবং পরবর্তী সময়ে হতাশা থেকে প্যানিক অ্যাটাক।
এই সব কিছুর মূলে রয়েছে মোবাইল ফোন। বেশিরভাগ মেয়ে অথবা ছেলের প্যানিক অ্যাটাক এর মূল কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে তাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে ঝগড়া বিবাদ অথবা ভালোবাসার মানুষের সাথে বিচ্ছেদ।
প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন মানব স্বাস্থ্যের উপর মোবাইল ফোনের প্রভাব কতটুকু এবং কি কি। মানব স্বাস্থ্যের উপর অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
শুধু মানব স্বাস্থ্যের উপরেই নয়, এটি আপনার পরিবারের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে পাশাপাশি সমাজে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে আবার এটি দেশের জন্য ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি মোবাইল ফোনের বিপক্ষে যুক্তি।
মোবাইল ফোনের বিপক্ষে যুক্তি
মোবাইল ফোনের বিপক্ষে যুক্তি অনেক রয়েছে। মোবাইল ফোনের উপকারিতা থাকলেও অপকারিতাই বেশি। মোবাইল ফোনের বিপক্ষে হাজার যুক্তি রয়েছে যেমন অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে এতে মাথা ব্যথা শুরু হয় এবং এটি বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন
যে মানুষ যখন দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কোন একটি জিনিসের প্রতি গভীর মনোযোগ সহ দেখতে থাকে এতে মাথাব্যথা শুরু হয়। আবার মোবাইলের ব্রাইটনেস যখন চোখের রেটিনাতে বারবার পড়ে তখন চোখের দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে।
লক্ষ্য করে দেখবেন যখন আপনি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন তখন আপনার মাথা হঠাৎ ঝিমঝিম করে উঠবে এবং ভার হয়ে যাবে। আবার দীর্ঘ রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার পরে মোবাইলে
যে ব্রাইটনেসটি আপনার রেটিনায় আসে এটি আপনার দৃষ্টিশক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিজ্ঞানীরা আরও যুক্তি দেখিয়েছেন যে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এতে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।
প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি মোবাইল ফোনের বিপক্ষে যুক্তিগুলো আপনি বুঝতে পেরেছেন এবার চলুন আমরা দেখে আসি মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন। অর্থাৎ মোবাইল ফোন কিভাবে আবিষ্কার হয়।
মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন
আমাদের অনেকের মনে এই অজানা প্রশ্নগুলো থেকে থাকে মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন কত সালে আবিষ্কার করেন? প্রথম মোবাইল ফোন দেখতে কেমন ছিল?. এখন মোবাইল ফোন ছিল না তখন যোগাযোগ কিভাবে করতো?
আগে যখন মোবাইল ফোন ছিল না তখন মানুষ চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ করত এত একে অপরকে চিঠি পাঠিয়ে তথ্য আদান প্রদান করত। কিন্তু এখন মোবাইল ফোন আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত হয়েছে।
সহজেই মিনিটের মধ্যে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা যায় এবং তথ্য আদান প্রদান করা যায়। ১৯৭৩ সালে এপ্রিল মাসের প্রথম একটি ফোন আবিষ্কার করা হয় যার ওজন ছিল প্রায় দুই কেজি সমান।
এই ফোনটি আবিষ্কার করেছিল মটোরোলা কোম্পানি থেকে জন ফ্রান্স মিচেলকে এবং ড: মার্টিন কুপার। এরা মটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত ছিল এবং এরা প্রথম ১৯৭৩ সালের এপ্রিল মাসে একটি ফোন আবিষ্কার করেছিল যে ফোনের মাধ্যমে সফলভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর ৫টি দিক
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর ৫টি দিক সম্পর্কে জানতে চান? মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক অনেক রয়েছে তবে আজকের এই পোস্টে আমরা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এবং প্রচলিত সেই পাঁচটি দিক সম্পর্কে আলোচনা করব।
বর্তমান সময়ে তো আমরা প্রত্যেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করি তাই না কিন্তু মোবাইল ফোন ব্যবহার করার পরে আমাদের জীবনের যে মারাত্মক ক্ষতিগুলো হয় সে সম্পর্কে আমরা অনেকে অবগত নয়। তাই নিচে দেখুন মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর পাঁচটি দিক।
- অল্প বয়সেই ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তির শিকার হওয়া।
- স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পরা।
- তীব্র মাথা ব্যথা অনুভূত হওয়া।
- মেরুদন্ড ব্যাঁকা হয়ে যাওয়া।
- পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হওয়া এবং পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে না পারা।
- হতাশা এবং প্যানিক অ্যাটাক।
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে অল্প বয়সে ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি শিকার হওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি কারণ যখন আপনি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন তখন মোবাইল ফোনে যে ব্রাইটনেস রয়েছে এটি আপনার রেটিনায় বারবার আঘাত করবে এতে আপনি অল্প বয়সেই দুর্বল দৃষ্টিশক্তি শিকার হবেন।
আবার অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে অর্থাৎ কোন জিনিস ঠিকভাবে মনে করতে পারি না আমরা। আপনি একটু লক্ষ্য করে দেখুন তো আগের তুলনায় আপনার স্মৃতিশক্তি অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়েনি? আপনি ৩ থেকে ৪ দিন আগে কি খাবার খেয়েছেন অথবা কি পড়া পড়েছেন সেই সমস্ত বিষয়গুলো কি আপনার মনে আছে?
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এতে মাথায় তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে কারণ যখন আমরা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কোন একটি জিনিসের প্রতি গভীর মনোযোগ প্রদান করি তখন সরাসরি আমাদের নার্ভে যেয়ে আঘাত করে যার ফলে মাথায় তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।
আমরা যখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করি তখন আমাদের মেরুদন্ড একটু বেকা হয় অর্থাৎ আমরা মাথা নিচু করে মোবাইল ফোন ব্যবহার করি। এতে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মাথা নিচু করে থাকার পরে মেরুদন্ড ব্যাকা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে পড়াশোনা থেকে মনোযোগ নষ্ট হয় এবং পড়াশোনায় আর মন বসে না এতে ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয় না। বর্তমান সময় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের এই একই সমস্যা রয়েছে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে পড়াশোনায় মনোযোগ বসাতে পারছে না। যার কারণে ফলাফল ভালো হচ্ছে না।
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকলে হতাশা দেখা দেয় যেমন বর্তমান সময়ে আমরা প্রত্যেকে সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত রয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রায় ৭০% মানুষেরই বিভিন্ন প্রকার সম্পর্ক রয়েছে।
হতে পারে বন্ধুত্বের কিংবা ভালোবাসার। এখান থেকে কোন এক কারণে আমরা কষ্ট পেলে আমাদের মনে সেটি হতাশার জন্ম দেয় এবং এই হতাশা মেনে নিতে না পারলে অনেকের প্যানিক অ্যাটাক হয়।
প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি তোমরা বুঝতে পেরেছ মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর ৫ টি দিক সম্পর্কে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই পাঁচটি দিক সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ তীব্র মাথাব্যথা দুর্বল দৃষ্টি শক্তি দুর্বল স্মৃতিশক্তি এবং হতাশা। আজকের এই পোস্টে আমরা মানব স্বাস্থ্যের উপর মোবাইল ফোনের প্রভাব
মোবাইল ফোন পরিবেশের ওপর কি কি প্রভাব ফেলে মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করে এবং মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব গুলো কি কি সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।এবার চলুন আমরা দেখে আসি মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব।
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব
ইতিমধ্যে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন মোবাইল ফোনে ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে। মোবাইলে ক্ষতিকর প্রভাব শুধু আমাদের জীবনের উপর পড়ে না এটি আমাদের পরিবারের উপর পড়ে আমাদের সমাজের উপর পরে এবং আমাদের দেশের উপর পড়ে।
মোবাইল মূলত আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা কে আরো উন্নত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজেই যে কোন অবস্থানে যেকোনো ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব।
কিন্তু এটি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করতে থাকি তাহলে এটি মানব জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। যেমন উপরে আমরা জানলাম অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এতে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অর্থাৎ অল্প বয়সে দুর্বল দৃষ্টি শক্তি শিকার হতে পারি আবার দুর্বল স্মৃতিশক্তি স্বীকার হতে পারি এটি সামাজিক কুপ্রভাব সমাজে মাদকাসক্তদের হার বৃদ্ধি করে মানব জীবনে হতাশার সৃষ্টি করে, এমনকি এই হতাশা থেকে পরবর্তী সময় প্যানিক অ্যাটাক পর্যন্ত দেখা যায়।
মানব জীবন থেকে শুরু করে সমাজ জীবন পর্যন্ত এই মোবাইলের ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তৃত রয়েছে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে আমাদের পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হয় পড়ালেখা নষ্ট হয়।
এতে ফলাফল ভালো হয় না রেজাল্ট খারাপ হয় ফলে পারিবারিক কলহ দেখা দেয় ব্যক্তির মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয় এবং এই হতাশা থেকে সমাজের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ সব কিছুর মূলে রয়েছে এই মোবাইল ফোন।
মোবাইল ফোন যদিও আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনকে আরো উন্নত এবং সহযতর করার জন্য তৈরি করা হয়েছে তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে এটি আমাদের জীবনে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
এইজন্য এখন থেকে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বাদ দিন এবং বাসায় বাচ্চাদের হাতে কখনো মোবাইল ফোন দিবেন না। অনেক বাবা মা মনে করেন বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন দিলে হয়তো যারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পড়াশোনা করবে কিন্তু এ ধারণা গুলো সম্পন্ন ভুল।
তারা বেশিরভাগ সময় গেমস এবং অ্যাপ ভিডিওস এর মাধ্যমে কাটিয়ে থাকে যার ফলে পড়াশোনা মনোযোগ নষ্ট হয় এবং সে শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে ও মোবাইল ফোনে ক্ষতি করার প্রভাব অনেক আপনি যদি বুঝতে পারেন তাহলে এখন থেকে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বাদ দিন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ কেন।
মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ কেন?
আমার মতে এই কথাটি ঠিক যে মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ। বর্তমান সময়ে বয়স ১৫ এর ওপরে এমন কোন শিক্ষার্থী নেই যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না অথবা মোবাইল ফোন চিনে না।
এখন ছোট ছোট বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন দেখা যায়। এই মোবাইল ফোন শিক্ষা যদি ভবিষ্যৎ কে নষ্ট করছে। মোবাইল ফোন মূলত যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং অবসর সময়ে টাইম কাটানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু এখন শিক্ষার্থীরা মোবাইল ব্যবহার করা থেকে সময় পেলে তখন পড়াশোনা করে। এর থেকে বোঝা যায় তারা পড়াশুনা কতটুকু অমনোযোগী। মূলত এই মোবাইল ফোনের কারণে তাদের পড়াশোনা মনোযোগ নষ্ট হয়েছে।
এখন বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই হাতে মোবাইল ফোন রেখে পড়াশোনা করে যার ফলে পড়াশোনা মনোযোগ বসেনা এবং একটু পর পর মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে শুরু করে এতে একদিকে যেমন সময় নষ্ট হয় আরেক দিকে পড়াশোনা হয় না এভাবে চলতে থাকলে
পরীক্ষা তে ভালো ফলাফল অর্জন করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে এতে শিক্ষার্থীর পাশাপাশি দেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। কারণ একজন শিক্ষার্থী যদি ভালোভাবে পড়াশোনা না করে তাহলে সে বেকার জীবন যাপন কাটাবে।
এতে তার পরিবারে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি সে বেকার থাকলে তার মত আরও ১০ জন শিক্ষার্থী এভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তারাও তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবে এবং বেকার থাকবে এতে দেশ আর্থিকভাবে সংকটে পড়বে।
এইজন্য মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থীর জন্য অভিশাপ বলা হয়। এছাড়াও এখন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী প্রায় ৭০% মেয়ে এবং ফেসবুক ব্যবহার করে। এই ফেসবুকে দ্বারা ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয় করে। এখান থেকে অনেকের বন্ধুদের সম্পর্ক তৈরি হয় আবার অনেকের ভালোবাসা সম্পর্ক তৈরি হয়।
পরবর্তী সময়ে বন্ধুত্বে কিংবা ভালোবাসায় কোনো সমস্যা অথবা বিচ্ছেদ দেখা দিলে শিক্ষার্থীর জীবনে নেমে আসে গভীর হতাশা। এই হতাশের কারনেও পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হয়। এই সবকিছু মনে রয়েছে মোবাইল ফোন।
তাই আমি সবাইকে সাজেস্ট করবো আপনাদের বাসা কোন ছোট ছেলে মেয়ে থাকলে তাদের হাতে কখনোই মোবাইল ফোন দিবেন না। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হয় এবং ধীরে ধীরে সে মোবাইল ফোনের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকে। একদিকে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারে না আরেকদিকে মোবাইল ফোনের প্রতি অতিরিক্ত আকৃষ্ট হয়ে পড়ে ফলে ভবিষ্যতেও খারাপ হয়।
প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ কেন। আজকের এই পোস্টে আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর ৫টি দিক,
মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন কত সালে, মানব স্বাস্থ্যের ওপর মোবাইল ফোনের প্রভাব, সমাজের উপর মোবাইল ফোনের প্রভাব কেমন ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখায় মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব এবং ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব কি?
মোবাইল ফোনে ক্ষতি করার প্রভাব সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। কারণ আমরা আজকের এই পোস্টের মোবাইল ফোনে ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করছি।আপনি যদি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন মানব জীবনে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব কতটুকু এবং কি কি ।
মোবাইল ফোনের বিপক্ষে যুক্তি
মোবাইল ফোনের বিপক্ষে যুক্তি অনেক রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে এখন ছেলে মেয়েদের পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে যার কারণে তারা পরীক্ষাতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারছে না। ফলে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে পাশাপাশি দেশ আর্থিকভাবে সংকটে পড়ছে।
সমাজের উপর মোবাইল ফোনের প্রভাব কেমন?
সমাজের উপর মোবাইল ফোনের প্রভাব অনেক। যদিও এই মোবাইল ফোন শুধুমাত্র যোগাযোগের জন্য তৈরি করা হয়েছিল অর্থাৎ এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করার জন্য এবং যোগাযোগ মাধ্যমকে আরও সহজতর করার জন্য মোবাইল ফোন তৈরি করা হয়। কিন্তু বর্তমান সময় শিক্ষার্থীর এত বেশি মোবাইল ফোনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে যে তারা দিনে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা এই মোবাইল ফোনের পিছে ব্যয় করে। এতে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারেনা। ফলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করাও সম্ভব হয় না।
মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ কেনো?
আপনি কি জানতে চান মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ কেন? তাহলে এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়তে থাকুন। আমরা আজকের এই পোস্টে মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ কেন সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন দেখেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আসলে মোবাইল ফোন শিক্ষা জন্য অভিশাপ কেন।
পড়ালেখায় মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব কি?
শিক্ষার্থীদের সাথে মোবাইল ফোন দিলে তারা বেশিরভাগ সময় মোবাইল ফোনের পিছনে নষ্ট করে। এতে পড়াশোনা মনোযোগ স্থাপন করতে পারে না। ফলে পড়াশোনা হয় না আবার অযথা সময় নষ্ট হয়। এতে পরীক্ষায় ফলাফলও ভালো হয় না।
মোবাইল কে আবিষ্কার করেন কত সালে?
মটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত ড: মার্টিন কুপার এবং ফ্রান্স মিচেলক ১৯৭৩ সালে একটি মোবাইল আবিষ্কার করে এই মোবাইলটির ওজন ছিল প্রায় দুই কেজি সমান।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর ৫টি দিক কি?
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক তো অনেক রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম পাঁচটি দিক হলো পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হয় ফলে ফলাফল ভালো হয় না, অকালে দুর্বল দৃষ্টি শক্তি শিকার হয়, দুর্বল স্মৃতিশক্তি শিকার হয়, মাথাব্যথা শুরু হয় এবং পারিবারিক কলহ দেখা দেয়।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠকগণ আমরা আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে মোবাইল ফোনকে আবিষ্কার করেন কত সালে, মানব স্বাস্থ্যের ওপর মোবাইল ফোনের প্রভাব সমাজের ওপর মোবাইল ফোনের প্রভাব কেমন ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর পাস্টের দিক সাথে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। বর্তমান সময়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না এমন মানুষ কিন্তু খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল কারণ আমরা প্রত্যেকে এখন মোবাইল ফোনের সাথে যুক্ত রয়েছি।
মোবাইল ফোন ছাড়া যেন একটি দিনও কাটানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এই মোবাইল ফোন তৈরি করা হয়েছিল আমাদের যোগাযোগ মাধ্যম কে আরো বেশি সহজতার করার জন্য কারণ আগে যখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হতো না তখন চিঠির মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করা হতো এবং যোগাযোগ করা হতো কিন্তু এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আধার প্রদান করে থাকি। এই মোবাইল ফোনকে যোগাযোগের জন্য তৈরি করা হলেও অনেকে এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে থাকে।
মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখে, গেমস খেলে কিংবা চ্যাটিং করে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ব্যয় করে। এই সময়টুকুতে তারা যদি পড়াশোনা করে তাহলে তাড়াতাড়ি পড়াশোনায় অনেক বেশি উন্নতি করতে পারবে কিন্তু বর্তমান সময়ের ছাত্র জীবনে শিক্ষার্থীরা এত বেশি মোবাইল ফোনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে যে তাদের জন্য দিনে দুই ঘন্টা মোবাইল ছেড়ে কাটানো খুবই কষ্টকর। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে তারা পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়েছে, যার ফলে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারছে না।
এতে তাদের ভবিষ্যৎ খারাপ হচ্ছে শুধু তাদেরই নয় তাদের জন্য তাদের পরিবার অসন্তুষ্ট রয়েছে এতে সমাজে কলহ দেখা দিচ্ছে পাশাপাশি দেশের ক্ষতি হচ্ছে দেশ আর্থিকভাবে সংকটে পড়ে যাচ্ছে। এক কথায় শিক্ষার্থীদের জীবনে এই মোবাইল ফোন যেন অভিশপ্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মোবাইল ফোনের কারণে তাড়াতাড়ি ভবিষ্যৎ নষ্ট করছেন। তাই আপনার বাসায় কোন ছোট বাচ্চা থাকলে তাদের হাতে কখনো মোবাইল ফোন দিবেন না কিংবা মোবাইল ফোন দ্বারা তাদেরকে অভ্যস্ত হতে দিবেন না। প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url