অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

 আপনি কি অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। বেশিরভাগ মানুষই অ্যালোভেরার   উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানে না। যার ফলে অ্যালোভেরা  আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তাও বুঝতে পারে না। তাই আমরা অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো।
অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

অ্যালোভেরা ইংরেজি শব্দ। অ্যালোভেরার বাংলা অর্থ ঘৃতকুমারী। অ্যালোভেরা পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। এতে রয়েছে  বিভিন্ন উপাদান। যা আমাদের মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার লাগানোর কোন সময় নেই। এটি বারোমাসই পাওয়া যায়। অ্যালোভেরার উপকারিতা অনেক। চলুন তাহলে আমরা ঝটপট দেখে আসি অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো

তেজ সূচিপত্রঃ অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন 

      ভূমিকা      

অ্যালোভেরা এমন একটি গাছ যা বিভিন্নভাবে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা রাসারা প্রজাতির উদ্ভিদ। এটা এলো পরিবারের একটি উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদ  কাটাওয়ালা অনেকটা ক্যাক্টাসের মত। এটি ক্যাক্টাসের মতো দেখতে হলো ক্যাক্টাস নই। অ্যালোভেরা ওষুধি গুণাবলী সম্পন্ন উদ্ভিদ।  এর পাতার সবুজ অংশের ভিতরে স্থিতিস্থাপক জেলির মত মূল উপাদান পানি এবং এবং এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ।

অ্যালোভেরাতে রয়েছে ২০ ধরনের খনিজ উপাদান। যেমন: ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, সোডিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্রোমিয়াম, পটাশিয়াম, কপার ইত্যাদি। ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই এবং ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৬, বি১২ ইত্যাদি। এতে আরও রয়েছে  ফলিক অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড, কোলিন এবং অ্যামাইনো এসিড। তাই অ্যালোভেরা খাওয়ার ফলে এসব উপাদান আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। আপনি যদি অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন

অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা

অ্যালোভেরা বিভিন্ন ধরনের উপাদান বিদ্যমান। যা আমাদের শরীরে বিভিন্নভাবে উপকার করে থাকে। অ্যালোভেরা খাওয়ার ফলে প্রাকৃতিকভাবে শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জামা খাওয়ার ফলে যেমন আমাদের শরীরের উপকার করে পাশাপাশি এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে বা অপকারিতা রয়েছে। অ্যালোভেরা বিভিন্নভাবে কাজ করে। এটি অনেকে জুস করে খাই আবার অনেকে সালাড হিসেবে খেয়ে থাকেন। নিম্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
উপকারিতা:

  • হজনের সমস্যা সমাধান: আমাদের অনেকেরই হজমের সমস্যা হয়ে থাকে। আর হজমের সমস্যা থেকে শরীরে অনেক রোগ হতে পারে। অ্যালোভেরা খেলে এটি শরীরে পরিপাকতন্ত্রকে ঠিক রাখে এবং পরিপাক যন্ত্র কে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আবার অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য ডায়রিয়া হতে পারে। তারা যদি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস খাই, তাহলে  তারা সহজে সুস্থ হয়ে যাবে। কারণ অ্যালোভেরার রস পরিপাকতন্ত্র ও রেচন  যন্ত্রকে ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত রাখে। 
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে: যাদের ওজন বেশি। তারা  অ্যালোভেরার রস নিয়মিত খেলে বাটি ওজন কমে যাবে। আবার এলোভেরা রস খেলে খাবার হজমে সাহায্য করে এবং শরীরকে দূষণমুক্ত করে। যার ফলে কর্মশক্তি বেড়ে যাবে এবং পাশাপাশি আপনার ওজনও কমবে।  
  • ভিটামিনের অভাব পূরণ: অনেকেরই শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি রয়েছে। তারা যদি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করে, তাহলে তাদের ভিটামিনের অভাব পূরণ হবে। কারণ অ্যালোভেরাতে রয়েছে ভিটামিন- এ, সি, ই এবং ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৬ ও ভিটামিন- বি১২। অ্যালোভেরাতে এসব ভিটামিন থাকার ফলে, অ্যালোভেরা রস পান করলে ভিটামিনের অভাব পূরণ হবে। 
  • প্রদাহর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: অ্যালোভেরা শরীরে নানা ধরনের প্রদাহ দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। অ্যালোভেরাতে সিস্টাররোলসহ এই ধরনের আরো ১২টি উপাদান রয়েছে।  যা শরীরে প্রদাহ তৈরি হওয়া ঠেকায় এবং শরীরে প্রদাহ হয়ে গেলে তা কমিয়ে আনে।
  • দূষণ দূরীকরণ:  অ্যালোভেরা এমন একটি উদ্ভিদ যার রস খুবই আঠালো। অ্যালোভেরার রস পান করলে এটি খাদ্যনালীর ভেতরে দিয়ে শরীরের ভেতরে প্রবেশের সময় থেকে পুরো পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করতে করতে যায়। এলোভেরার রস শরীরের অভ্যন্তরীণ নানা দূষিত উপাদান শুষে নিয়ে মলাশয় দিয়ে বের হয়ে যায়। ফলে সূর্যের ভেতর থেকে দূষণ দূর করতে অ্যালোভেরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 
  • চাপ ও রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে: অ্যালোভেরা অ্যাডাপ্টোজেন হিসেবে কাজ করে থাকে। শরীরের প্রাকৃতিক ক্ষমতা কে বাড়িয়ে বাহ্যিক নানা ধরনের চাপ ও রোগ প্রতিরোধ পড়তে সহায়ক ভূমিকা পালনকারী উপাদান কে অ্যাডাপ্টোজেন  বলা হয়। অ্যালোভেরা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো সক্রিয় করে তোলে এবং শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে। শারীরিক ও মানসিক চাপ মোকাবেলার পাশাপাশি পরিবেশগত জনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও শরীরকে সুরক্ষিত করে। 
  • কোলেস্টেরল ও সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: অ্যালোভেরাতে বিভিন্ন উপাদান থাকায় এটি ঔষধি গুন সম্পন্ন। যা শরীরের রক্তচাপ কমায় এবং রক্তের কোলেস্টেরল ও সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। 
  • হাড়কে শক্তিশালী করে: অ্যালোভেরাতে বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে। সেসব উপাদান হাড় ও মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যাকে প্রতিরোধ করে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে:  আমাদের কাছে বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস একটি পরিচিত রোগ। নবজাতক শিশু থেকে শুরু করে বুদ্ধবাস পর্যন্ত উভয় এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মোটা থেকো সবাই এই রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। এই রোগ একবার ধরলে নিরাময় করা অসম্ভব। নিরাময়ী না হলেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করতে পারেন। কারণ এলোভেরার রস একটি উপযুক্ত উপাদান। নিয়মিত এলোভেরা রস পান করলে শরীরে বিদ্যমান গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে আনে ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। 
  • সং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে: অ্যালোভেরা তে অ্যাডমিন নামের এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা স্তন ক্যান্সারের বিস্তারকে রোধ করতে পারে। 
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান: অনেকেরই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে। গ্যাসের ফলে অনেকের বুক জ্বালাপোড়া করে। আর যাদের বুক জ্বালাপোড়া করে তারা নিয়মিত অ্যালোভেরা শরবত খেতে পারেন। তাহলে তাদের গ্যাস  কমবে। 

এলোভেরার অপকারিতা গুলো

  1. ডাযরিয়ার সমস্যা: সব কিছুরই একটা মাত্রা রয়েছে। অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালোভেরার রাস পান করলে ডায়রিয়া হতে পারে। 
  2. এলার্জির সমস্যা: অনেক অনেক এলার্জি রয়েছে। তা যদি এলোভেরা রস ব্যবহার করে বা পান করে তাহলে তার এলার্জি হতে পারে। তাই যাদের এলার্জি রয়েছে তাদের থেকে দূরে থাকাই উচিত। 
  3. হৃদপিন্ডের সমস্যা: অতিরিক্ত পরিমাণে করলে হৃদপিন্ডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
প্রিয় পাঠক গন আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সবকিছু খুঁটিনাটি বিস্তারিত আলোচনা করলাম। এবার চলুন আমরা দেখে আসি অ্যালোভেরা রস পান করার উপকারিতা কি কি।

অ্যালোভেরা রস পান করার  উপকারিতা

অ্যালোভেরাতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন উপকার সাধন করে। হলে এলোভেরা জুস খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার হবে। আমাদের অনেক সময় ত্বকের চামড়া জড়ো হয়ে যায় বুড়ো মানুষের মতো দেখা যায়, আবার অনেকের বিভিন্ন ধরনের ব্ল্যাকহেডস হয়,  রিংকেলস বেড়ে যায়।  যার ফলে সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে।

 এসব সমস্যা দূর করার জন্য যদি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করতে পারি। কারণ অ্যালোভেরা রস এর ময়শ্চেরাইজার হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকের মৃত কোষ কে দূর করতে সাহায্য করে। আবার কোলাইটিসের তো প্রধা ও মতে সকালে খালি পেটে অ্যালোভেরা রস খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। আবার অনেক সময় মানসিক চিন্তার মধ্যে পরি। আর নিয়মিত অ্যালোভেরার রস খেলে আমাদের মানসিক চিন্তা দূর হবে।

কারণ অ্যালোভেরাতে বিদ্যমান উপাদান মানসিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আবার নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করার ফলে আমাদের শরীরে করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে এবং দেহে রক্ত প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে। তাইবো আমরা বলতে পারি যে অ্যালোভেরার রস আমাদের শরীরের ও ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। 

আপনারা অনেকেই অ্যালোভেরার রস পান করার উপকারিতা সম্পর্কে জানতেন না। আশা করি এখানে আপনি অ্যালোভেরার পান করা আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা জানতে পারলেন। তাই বলা যায় যে, অ্যালোভেরার রস পান করা জন্য  কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন। নিচে আমরা ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জানবো 

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা অতুলনীয়। ত্বককে সুন্দর, কোমল, উজ্জল ও সুস্থ করার জন্য অ্যালোভেরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অ্যালোভেরাতে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুণ। তাই ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে অ্যালোভেরার ব্যবহার অনেক বেশি দেখা যায়। তাকে সৌন্দর্য চর্চায় অ্যালোভেরা অসাধারণ কাজ করে যা অনেকেই জানেনা।
অ্যালোঅ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন ভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
ছুরি  দিয়ে অ্যালোভেরার জেল বের করে তা মুখের ত্বকে ব্যবহার করলে, ত্বকের ব্রণ দূর করে, সানবার্ন দূর করে, ত্বকের বলি রেখা রোধ করে এবং ত্বকের যৌবন ধরে রাখে। আবার পায়ের গোড়ালিতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে পায়ের গোড়ালি ফাটা কমায়। আবার অনেক সময় মেকআপ উঠাতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা হয়।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের চামড়ায় ভাঁজ পড়ে, যা রুতে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করা হয়। কারণ অ্যালোভেরাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চামড়ায় ভাঁজ পড়া রোধ করে।  নিয়মিত এলোভেরা জেল ব্যবহার করলে তাক হয় উজ্জ্বল ও কোমল।

আপনারা অনেকেই ত্বকে যত্নে অ্যালোভেরা কতটা উপকারিতা সম্পর্কে জানতেন না। আশা করি এখানে আপনি অ্যালোভেরার ত্বকের যত্নে কতটা উপকারী তা জানতে পারলেন। তাই বলা যায় যে,  ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন। নিচে আমরা চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জানবো।

চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা 

চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা অতুলনীয়। অ্যালোভেরাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকরণ। যার কারণে অ্যালোভেরা  ঔষধি গুন সম্পন্ন। তাই চুলে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে চুলকে সুন্দর ও ভালো রাখতে অ্যালোভেরা উপযুক্ত ভূমিকা পালন করে। আমরা এখন চুলের যত্নে এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম জানবো। যথা:

ছুরি দিয়ে অ্যালোভেরা জেল বের করে তা আমরা চুলের মধ্যে লাগিয়ে নিব। তারপর কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করবো এবং সেই অবস্থাতেই ১-২ ঘন্টা রাখবো। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলব। এতে করে আমাদের চুল পড়া কমে যাবে। দোকানে বিভিন্ন ধরনের অ্যালোভেরা শ্যাম্পু পাওয়া যায়। এই অ্যালোভেরা শ্যাম্পুর সাথে সামান্য পরিমাণে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে তা ব্যবহার করলে ভালো থাকবে।

অ্যালোভেরার হেয়ার প্যাক  ব্যবহার করলে ভালো রাখতে সাহায্য করে। হেয়ার প্যাক  তৈরি  করতে প্রথমে লাগবে নারকেল তেল, সামান্য পরিমাণে লেবুর রস এবং নারিকেলে দুধ এসব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর এই উপাদানের সাথে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিলে হেয়ার প্যাক তৈরি হয়ে যাবে। অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে আমাদের চুলের ক্ষতি হতে পারে। তাই শ্যাম্পুর পরিবর্তে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা উচিত।

কারণ এলোভেরা জেলে থাকা উপাদান চুল পড়া রোধ, চুল ভেঙ্গে পড়া রোধ, চুল রুক্ষ হওয়ার রোধ করে এবং পাশাপাশি চুলকে বৃদ্ধি ও সিল্কি করে। তাই যাদের চুল পড়ে, চুলের আগা ফাটে, চুল রুক্ষ এবং খুশকি রয়েছে, তারা যদি এলোভেরা জেল ব্যবহার করে এবং উপর্যুক্ত নিয়ম মেনে চলে তাদের চুলের সকল সমস্যা দূর হবে। 

আপনারা অনেকেই চুলের যত্নে অ্যালোভেরা কতটা উপকারিতা সম্পর্কে জানতেন না। আশা করি এখানে আপনি অ্যালোভেরার চুলের যত্নে কতটা উপকারী তা জানতে পারলেন। তাই বলা যায় যে, চুলের যত্নে অ্যালোভেরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন। নিচে আমরা ঠোঁটের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জানবো।

ঠোঁটের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা

ঠোঁটের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা অতুলনীয়। অ্যালোভেরা জেলের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান। যা ঠোঁটে ব্যবহার করলে বিভিন্ন উপকার হয়। অনেকেরই ঠোঁট হয় রুক্ষ ও শুষ্ক। এই রুক্ষ ও শুষ্ক ঠোঁটে আর্দ্রতা ফেরার জন্য অ্যালোভেরা জেল  ব্যবহার করতে হবে। কারণ অ্যালোভেরা  ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই এলোভেরা তৈরি লিখবা আম ব্যবহার করুন এতে ঠোঁটের রুক্ষ ও শুষ্কতা দূর হয়ে আদ্রতা ফিরে আসবে।

অনেকেরই ঠোঁট ফেটে যায়  ফলে রক্ত বের হয়। তারা যদি নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহার করে তাহলে ঠোঁট ফাটা ও রক্তপাত দূর হবে।  কারণ অ্যালোভেরাই রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি যা তোকে জ্বালা ও সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করে।  নিয়মত ঠোঁটে অ্যালোভেরা লিপ বাম ব্যবহার করলে ঠোঁটে ক্ষতি রোধ হবে, ঠোঁটে বলিরেখা পড়বে না এবং ঠোঁট হবে মসৃণ, কোমল ও উজ্জ্বল। তাই ঠোটের যত্নে অ্যালোভেরার লিপবাম ব্যবহার করুন। 

 আপনারা অনেকেই ঠোঁটের যত্নে অ্যালোভেরা কতটা উপকারিতা সম্পর্কে জানতেন না। আশা করি এখানে আপনি অ্যালোভেরার ঠোঁটের যত্নে কতটা উপকারী তা জানতে পারলেন। তাই বলা যায় যে, ঠোঁটের যত্নে অ্যালোভেরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন। নিচে আমরা অ্যালোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানবো। 

অ্যালোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় 

অ্যালোভেরাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান। তাই অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে ত্বকের  উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হয় বা ফর্সা হওয়া যায়। রূপচর্চায় অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। কিভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে ফর্সা হওয়া যায়, সেই সম্পর্কে আমরা নিচে আলোচনা করবো:

প্রথমতঃ আমাদের অ্যালোভেরার ক্লিনজার তৈরি করতে হবে। অ্যালোভেরার ক্লিনজার তৈরি  করার জন্য আমাদের লাগবে ১-২ চা চামুচ অ্যালোভেরা জেল এবং ২-৩ চা চামুচ দুধ এই দুটি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে তৈরি করে নিতে হবে অ্যালোভেরার ক্লিনজার। তারপর এই ক্লিনজারটি আমাদের মুখে লাগিয়ে নিতে হবে এবং হালকা করে মেসেজ করতে হবে। এরপর ৩-৪ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে, তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে। 

দ্বিতীয়তঃ আমাদের অ্যালোভেরার স্ক্রার্ব তৈরি করতে হবে। জন্য আমাদের লাগবে ২-৩ চা চামুচ এলোভেরা জেল এবং  ১-২ চা চামুচ চালের গুড়া এই দুইটি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে তৈরি করে নিতে হবে অ্যালোভেরার স্ক্রার্ব। তারপর এই স্ক্রার্বটি আমাদের ত্বকে ৪-৫ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলতে হবে। 

তৃতীয়তঃ অ্যালোভেরা দিয়ে ফেসিয়াল ম্যাসাজ ক্রিম তৈরি করে নিতে হবে। এর জন্য আমাদের লাগবে ২-৩ চা চামুচ অ্যালোভেরা জেল, ১-২ চা চামুচ আমন্ড অয়েল  এবং ২টা ভিটামিন-ই ক্যাপসুল এই তিনটি উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে তৈরি করে নিতে হবে অ্যালোভেরার ফেসিয়াল ম্যাসাজ ক্রিম। এই ফেসিয়াল ম্যাসাজ ক্রিম তকে লাগিয়ে ৪-৫ মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে এবং ধুয়ে ফেলতে হবে। এর ফলে আমাদের ত্বকের রক্ত প্রবাহ বেড়ে যাবে এবং আমাদের ত্বক উজ্জ্বল হবে। 

চতুর্থতঃ অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক  তৈরি করে নিতে হবে। এর জন্য আমাদের লাগবে ২-৩ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, ১/২ চা চামুচ হলুদের গুড়া এবং ১-২ চা চামচ আটা এই তিনটি উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে তৈরি করে নিতে হবে অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক। এই ফেস প্যাকটি আমাদের ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে।  তারপর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে।  

এভাবে আমাদের ত্বকে অ্যালোভেরার ক্লিনজার, স্ক্রার্ব, ফেসিয়াল ম্যাসাজ ক্রিম, ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে আমাদের ত্বক হবে ফর্সা, উজ্জ্বল এবং কোমল।

আপনারা অনেকেই অ্যালোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানতেন না।  আশা করি এখানে আপনি অ্যালোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে  জানতে পারলেন। 

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই এই পোস্টটি পড়ে এই মুহূর্তে জানতে পেরেছেন অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এছাড়াও জানতে পেরেছেন অ্যালোভেরার রস পান করার উপকারিতা, ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা, চুলের যত্নে এলোভেরার উপকারিতা, ঠোঁটের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা এবং অ্যালোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ।

আরো জানতে পেরেছেন যে অ্যালোভেরা যেমন আমাদের উপকার করে পাশাপাশি এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। তবে এর উপকারিতাই বেশি পাওয়া যায় কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালোভেরা পান  করলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর। আশা করি এই পোস্ট পড়ে আপনি অ্যালোভেরা উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তার ধারণা পেয়েছেন। এতক্ষণ ধরে আমার এই পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অ্যালোভেরার  উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার বন্ধুদের ও আত্মীয়দের জানাতে এই পোস্টটি তাদের সাথে শেয়ার করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url