রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম কি? বিস্তারিত জানুন

সুপ্রিয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছু অথবা ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা তোমরা যারা রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাও তারা এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন দেখতে থাকো। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা স্লিপে আবেদন করার নিয়ম কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। চলুন তাহলে আমরা ঝটপট দেখে আসি রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম কি এবং রিলিজ স্লিপ আবেদন প্রক্রিয়ার সাথে চূড়ান্ত ভর্তি ফর্ম সংগ্রহ করার উপায় গুলো। 
রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম কি
তোমরা যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে চাচ্ছে তোমাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই মনোযোগ সহ সম্পন্ন দেখতে থাকো আজকের এই পোষ্টের সম্পূর্ণ নির্দেশিকা দেওয়া রয়েছে। নিচে দেখো রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম অথবা রিলিজ স্লিপ আবেদন প্রক্রিয়া সাথে চূড়ান্ত ভর্তি ফরম সংগ্রহ নিয়ম গুলো দেওয়া রয়েছে।

পেজ সূচিপত্র:রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম কি? বিস্তারিত জানুন

রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম

রিলিজ স্লিপ এ আবেদন করতে চাও? কিন্তু বুঝতে পারছ না কিভাবে রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে হয়? রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম খুবই সহজ। বর্তমান সময় প্রযুক্তি যুগ এখন ঘরে বসেই অনলাইনে আবেদন করা সম্ভব। আগে কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য সরাসরি কলেজের যে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আবেদন করতে হতো কিন্তু এখন প্রযুক্তি কল্যাণে তুমি ঘরে বসে national university তে ভর্তি হওয়ার জন্য রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে পারছ।

তবে আমরা অনেকেই জানিনা কিভাবে আবেদন করতে হয় অথবা রিলিজ স্লিপ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাই আমরা আজকের এই পোস্টে তোমাদের সাথে প্লিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম পদ্ধতি সবকিছু স্টেপ বাই স্টেপ ব্যাখ্যা করব। নিচে দেখো আমরা রিলিজ লিপি আবেদন করার নিয়ম গুলো অথবা রিলিজ স্লিপ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেছি।

ধাপ ১: রেজিস্ট্রেশন
রিলিজ লিপে আবেদন করার জন্য প্রথমে গুগলে nuedubd সার্চ দিতে হবে। এটি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ওয়েবসাইট এইখান থেকে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সমস্ত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকার তথ্য-উপাত্ত এই ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। 

তাই রিলিজ স্লিপে আবেদন করার জন্য গুগল থেকে national university অথবা Nuedubd সার্চ দিতে হবে। তারপর নিচে দেখো এপ্লাই নাও অনার্স নামক অপশন রয়েছে তার ওপর ক্লিক কর। 

এখানে শিক্ষার্থীর নাম, শিক্ষার্থী বাবা মা এর নাম এবং, শিক্ষার্থীর রোল নাম্বার সাথে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং অন্যান্য তথ্যাদি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। 

ধাপ ২: ডিভিশন / বিভাগ
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, এখানে তোমার ডিভিশন বেছে নিতে হবে। বাংলাদেশে মোট ৮ টি বিভাগ রয়েছে । তুমি চাইলে এই ৮টি বিভাগের মধ্যে যে কোন বিভাগে আবেদন করতে পারবে তবে তুমি যে বিভাগে বসবাস করো তোমাকে সে বিভাগেই আবেদন করতে হবে আর অন্যান্য বিভাগে আবেদন করলে এতে কলেজে যাওয়া আসার বেশ সমস্যা দেখা দিবে।

ধাপ ৩: জেলা নির্বাচন
ধাপ ৩ হল জেলা নির্বাচন করতে হবে। তুমি যেখানে বসবাস করো কিংবা তুমি যে জেলার কলেজে ভর্তি হতে চাও সেই জেলাটি এখানে নির্বাচন করতে হবে। অন্যান্য ভুল নির্বাচন করলে তুমি তোমার পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। 
ধাপ ৪: কলেজ চয়েস
এই ধাপটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এখানে খুব ভালোভাবে মাইন্ড  সেট করে কলেজ চয়েজ করতে হবে। কলেজ চয়েসের উপর একটি শিক্ষার্থী সম্পন্ন ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। যদি তোমার জিপিএ খুব ভালো হয় সে ক্ষেত্রে তুমি সহজে যে কোন কলেজে চান্স পেয়ে যাবে তবে তোমার জিপিএ যদি ৭/৮ হয় তাহলে তোমাকে খুব ভালোভাবে ভেবেচিন্তে করে চয়েজ করতে হবে। এইখানে পাঁচটি  কলেজ চয়েস করার সুযোগ পাবে।

প্রথমে তোমার পছন্দের কলেজটি চয়েস করবে তারপর তোমার পছন্দ লিস্টে আরও বাকি কলেজ গুলো চয়েস করবে। এইখানে সর্বমোট পাঁচটি কলেজ চয়েস করতে পারবে। সবগুলা সরকারি কলেজ চয়েস না করে তিনটি সরকারি কলেজ এবং দুইটি বেসরকারি কলেজ দিবে। কলেজ চয়েস সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীর উপর নির্ভরশীল। তবে শিক্ষার্থীর জিপিএ ভালো না হলে একটু ভেবেচিন্তে কলেজ চয়েস করতে হবে।

ধাপ ৩: সাবজেক্ট লিস্ট
ধাপ ৩ রয়েছে সাবজেক্ট লিস্ট। প্রত্যেকটি কলেজের উপর ক্লিক করলে সেখানে তুমি দেখতে পারবে প্রতিটি কলেজে কতটি আসন ফাঁকা রয়েছে । অর্থাৎ বাংলা সাবজেক্টে কয়টি আসন ফাঁকা রয়েছে ইংরেজি সাবজেক্টে কয়টি আসন ফাঁকা রয়েছে সেই সমস্ত তথ্য সাবজেক্ট লিস্ট এর উপর ক্লিক করলে তুমি দেখতে পারবে। এখান থেকে তোমার প্রিয় সাবজেক্ট গুলো ট্রাই করতে হবে। 

তুমি যে সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করতে চাও কিংবা তুমি যে সাবজেক্ট নিয়ে ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে চাও সেই সাবজেক্টিভ চয়েজ করতে হবে। প্রতিটি কলেজে পছন্দ অনুসারে সাবজেক্ট চয়েস করো। তারপর নিচের কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক কর। এইখানে চাইরে একটি অথবা দুইটি সাবজেক্ট করতে পারবে আবার চাইলে প্রতিটি সাবজেক্টটি লাইন বাই লাইন চয়েস করতে পারবে। 

এভাবে প্রতিটি কলেজে পছন্দের সাবজেক্ট গুলো বেছে নিয়ে নিচের কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবার সঠিক ইনফরমেশন গুলো প্রদান করেছিল কি সে বিষয়ে আরো একবার যাচাই করে নিতে নিচের রিভিউ অপশনে ক্লিক করো। সমস্ত ইনফরমেশন সঠিক থাকলে নিচের কনফার্ম বাটনে ক্লিক করো এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন কর।

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আশা করছি তোমরা উপরের আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছ রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম কি এবং স্লিপ আবেদন প্রক্রিয়া । উপরের এই নিয়ম অনুসারে তুমি সহজে যেকোনো সময় ঘরে বসেই তোমার সম্পন্ন করতে পারবে। তবে যদি তুমি প্রথম অনার্সে আবেদন করে থাকো। তাহলে তুমি আবেদন করতে পারবে আর যদি তুমি প্রথমবার অনার্সে আবেদন না করো তাহলে আবেদন করতে পারবে না।

এখানে প্রথম অনার্সে আবেদন বলতে বোঝায় অনার্সে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সময় যে কোন একটি কলেজে যে আবেদন প্রক্রিয়া চলে সেই আবেদনের চান্স না পেলে তুমি  রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে পারবে। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ রিলিজ স্লিপে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে তোমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছ এবার আমরা দেখে আসি রিলিজ স্লিপে আবেদন কারা করতে পারবে ?

রিলিজ স্লিপে আবেদন কারা করতে পারবে

প্রিয় ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীবৃন্দ যেহেতু রিলিজ স্লিপে আবেদন প্রক্রিয়া চালু হয়ে গেছে সেক্ষেত্রে রিলিজ দিলীপে আবেদন করার আগে আমাদেরকে জানতে হবে যে রিলিপি আবেদন কারা করতে পারবে?

  • যারা অনার্সে প্রথম আবেদন করেছে তারা এপ্লাই করতে পারবে।
  • যারা অনার্সে একটি কলেজে চান্স পেয়েও ভর্তি হয়নি তারাও রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে পারবে।
  • অনার্সে চান্স পেয়ে কোথাও ভর্তি অবস্থায় রয়েছে এই অবস্থায় তারা রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে পারবে না।
  • প্রথম এবং দ্বিতীয় রিলিজ স্লিপে চান্স পাইনি সে সমস্ত শিক্ষার্থীরাও ৩য় রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে পারবে।
  • যারা মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও ভর্তি ক্যান্সেল করেছে আবেদন করতে পারবে।

তোমরা যারা প্রথমে মেধা তালিকায় এবং দ্বিতীয় মেধা তালিকায় চান্স পাওনি তোমরা নিঃসন্দেহে তৃতীয় মেধা তালিকা তে অংশগ্রহণ করতে পারো এবং রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে পারো। তৃতীয় মেধা তালিকা তে শিক্ষানিদের চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৭৭%। 

অনার্স আবেদন প্রক্রিয়া তোমাদের কাছে সহজ মনে হলো তোমাদের যাদের জিপিএ কম রয়েছে তাদের জন্য অনার্সে আবেদন প্রক্রিয়া একটি জটিল রয়েছে একটু মেধা খাটিয়ে আবেদন করতে হবে। একটু মেধা খাতিয়ে আবেদন করলে গ্যারান্টি সহ পছন্দের কলেজের  তুমি চান্স পেয়ে যাবে। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দরা তোমরা যারা national university ভর্তি হতে চাচ্ছ,

কিন্তু মেধা তালিকায় চান্স পাওনি তোমাদের জন্য আমরা আজকের এই আর্টিকেলে এমন কয়েকটি শেয়ার করব যার মাধ্যমে তোমরা সহজে গ্যারান্টি সহ পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারবে। চলো তাহলে এবার আমরা ছটফট দেখে আসি পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ার গোপন টিপস গুলো।

পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ার গোপন টিপস

পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে চাও? কিন্তু জিপিএ কম? চিন্তার কোন কারণ নেই। নিচের টিপস গুলো গুরুত্বসহ অনুসরণ কর আশা করছি তুমি পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারবে। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দরা তোমাদের যাদের জিপিএ ৭ থেকে ৮ এর মধ্যে রয়েছে তোমাদের সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়া একটু জটিল রয়েছে।
রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম কি
অনেক সময় দেখা যায় কম জিপিএ পাওয়া রেস্টুরেন্ট গুলো ভালো করে যে চান্স পায় আবার ভালো জি পি এ পাওয়া স্টুডেন্ট গুলো খারাপ কলেজ চান্স পায়। এর কারণ কি? এর কারণ হলো তারা বুদ্ধি খাটিয়ে এই টিপস গুলো অনুসরণ করে আবেদন করে যার কারণে তারা সহজে কম জিপিএ নিয়ে ভালো সরকারি কলেজে ভর্তি হতে পারছে।

ভালো সরকারি কলেজে চান্স পেতে চাইলে প্রথমে তোমাকে তোমার জিপিএ দেখতে হবে এবং তোমার অঞ্চল দেখতে হবে। তুমি যদি কম গি পি এ নিয়ে ভালো সরকারি কলেজে ভর্তি হতে চাও সে ক্ষেত্রে বিভাগীয় কলেজে আবেদন না করে জেলা ভিত্তিক অথবা অঞ্চল ভিত্তিক কলেজে আবেদন করতে হবে। যেমন একটু ভিতর এলাকায় সরকারি কলেজগুলোতে আবেদন করতে হবে।

বিভাগীয় কলেজের তুলনায় জেলাভিত্তিক কলেজে কম্পিটিশন অনেক কম থাকে অর্থাৎ এখানে স্টুডেন্টদের সংখ্যা অনেক কম থাকে এতে সহজে ৭ থেকে ৮ জি পি এর থেকেও ভালো সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়া যায়।

এই জন্য  প্রথমেই তোমার জিপিএ দেখতে হবে। তোমার জিপিএ যদি ৭ হই তাহলে একটু ভেতরের অঞ্চলের উপজেলা ভিত্তিক কলেজে আবেদন করো। উপজেলা ভিত্তিক কলেজ বলতে বোঝায় যেমন রাজশাহী জেলাতে পুঠিয়া উপজেলা অথবা নাটোর উপজেলা। ৭ জিপিএ নিয়ে উপজেলা ভিত্তিক সরকারি কলেজের সহজে ভর্তি হতে পারবে।

এবার রিলিজ স্লিপে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে আবেদন করতে হবে। যেহেতু তোমার জিপি এর টোটাল ৭ সে ক্ষেত্রে প্রথমে একটি সরকারি তোমার পছন্দের কলেজ নির্বাচন করো। তারপর দ্বিতীয় কলেজে উপজেলা ভিত্তিক একটি সরকারি কলেজ নির্বাচন করতে হবে তারপর তৃতীয় কলেজেও একটি উপজেলা ভিত্তিক সরকারি কলেজ নির্বাচন করতে হবে।

তারপর বাকি দুইটি তোমার আশেপাশের বেসরকারি কলেজে আবেদন করতে হবে। এভাবে টোটাল পাঁচটি কলেজে বুদ্ধি খাটি রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে হবে। এভাবে আবেদন করলে গ্যারান্টি সহ মাত্র ৭ জিপিএ নিয়েও ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারবে। এবার যাদের টোটাল জিপিএ ৮ এর মধ্যে রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে যেভাবে রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে হবে।

জিপিএ ৮ এর মধ্যে থাকলে প্রথমে তোমার পছন্দের দুইটি সরকারি নির্বাচন করতে হবে তারপর তৃতীয় কলেজে উপজেলা ভিত্তিক একটি সরকারি কলেজ নির্বাচন করবে। তারপর বাকি দুইটি আশেপাশের বেসরকারি কলেজ নির্বাচন করতে হবে। শুধুমাত্র সরকারি কলেজে আবেদন করা যাবে না যেহেতু জিপিএ কম রয়েছে সেক্ষেত্রে সরকারি কলেজের পাশাপাশি বেসরকারি কলেজেও আবেদন করতে হবে।

বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই এই ভুলটি করে তারা একসাথে সমস্ত সরকারি কলেজে আবেদন করে কিন্তু শুধুমাত্র সরকারি কলেজে আবেদন করলে সেই আবেদন কার্যক্রম কখনোই গ্রহণযোগ্য হয় না। যদি জিপিএ ভালো থাকে তাহলে যে কোন কলেজে চান্স পেয়ে যাবে আর যদি জি পি এ ৭ কিংবা ৮ হয় তাহলে প্রথম এবং দ্বিতীয় রিলিজ স্লিপে ভালো কলেজে চান্স পাওয়া খুবই জটিল।

এই টিপস অনুসারে আবেদন করলে আশা করছি ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারবে এটি ছিল পছন্দের কলেজে ভর্তি হবার গোপন টিপস ০১। এবার চলো আমরা দেখে আসি পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ার গোপন টিপস ০২।

পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ার গোপন টিপস ০২

উপজেলা ভিত্তিক কলেজ এবং বেসরকারি কলেজে আবেদন করার পাশাপাশি সাবজেক্ট লিস্টের উপর নজর দিতে হবে। সাবজেক্ট লিস্ট এর উপর নজর দিয়ে আবেদন করতে চাইলে তোমাকে বাসায় বসে আবেদন করতে হবে আর যদি কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করো তাহলে তারা কখনই তোমাকে এত গুরুত্ব দিয়ে আবেদন করে দিবে না।

এর জন্য বাসাই রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে হবে। ওপরে যেমনটা আমরা রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম আলোচনা করলাম। এখানে কলেজ চয়েসের পরে সাবজেক্ট লিস্ট আসে এবং প্রত্যেকটি কলেজের সাবজেক্ট লিস্ট দেখা যায়। কোন সাবজেক্টে কতগুলো আসন ফাকা  রয়েছে সেই দিকে আগে নজর দিতে হবে। জিপিএ কম থাকলে

প্রথমে দেখতে হবে সেই কলেজের সবচেয়ে বেশি আসন ফাঁকা রয়েছে কোন সাবজেক্টে। যদি হিসাববিজ্ঞান কিংবা ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আসন পাকা থেকে থাকে তাহলে সে সাবজেক্টটি সবার প্রথমে নির্বাচন করতে হবে। আর যে সাবজেক্টে সবচেয়ে কম আসন ফাঁকা রয়েছে সেই সাবজেক্টে সবার শেষে নির্বাচন করতে হবে।

আমরা অনেকেই জিপিএ কম থাকার পরেও পছন্দ অনুসারে সাবজেক্ট নির্বাচন করি এতে ভালো কলেজে চান্স পাই না। এই জন্য জিপিএ কম থাকলে সবার প্রথমে উপজেলা ভিত্তিক এবং বেসরকারি কলেজে আবেদন করতে হবে তারপর সেই কলেজের সবচেয়ে বেশি আসন ফাঁকা রয়েছে এমন সাবজেক্ট সবার প্রথমে নির্বাচন করতে হবে। আর আমরা অনেকেই পছন্দ অনুসারে একটি অথবা দুইটি সাবজেক্ট নির্বাচন করি কিন্তু এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ ভুল।

হতে পারে তুমি যে সাবজেক্টে নির্বাচন করছ সেই সাবজেক্টটি আরো অনেকে নির্বাচন করছে। ফলে তাদের জি পি এ যদি তোমার তুলনায় ভালো হয়। তাহলে অবশ্যই তারা সেই সাবজেক্টে সেই কলেজে চান্স পাবে এবং তুমি কলেজেই চান্স পাবে না। এই জন্য প্রথমে লক্ষ্য রাখতে হবে কোন সাবজেক্টে সবচেয়ে বেশি আসন ফাঁকা রয়েছে,

সেই সাবজেক্টটি সবার প্রথমে চয়েস করতে হবে। তারপর সিরিয়ালে আরো অন্যান্য যে সমস্ত সাবজেক্টে সবচেয়ে বেশি আসন ফাঁকা রয়েছে সেই সাবজেক্ট করতে হবে এভাবে ধীরে ধীরে প্রতিটি সাবজেক্ট নির্বাচন করতে হবে। এভাবে যেকোনো একটি সাবজেক্টে যে কোন কলেজে চান্স পেয়ে যাবে।

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আশা করছি তোমরা বুঝতে পেরেছ রিলিজ স্লিপে আবেদন করার গোপন টিপস গুলো কি কি। এভাবে তোমরা যদি আবেদন করো তাহলে সহজে যেকোনো একটি ভাল সাবজেক্ট তোমরা চান্স পেয়ে যাবে। এবার চলো আমরা দেখে আসি চূড়ান্ত ভর্তি ফরম সংগ্রহ করার উপায় গুলো কি কি।

চূড়ান্ত ভর্তি ফরম সংগ্রহ করার উপায়

চূড়ান্ত ভর্তি ফরম সংগ্রহ করার উপায় খুবই সহজ সহজ। ওপরে আমরা রিলিজ স্লিপে আবেদন প্রক্রিয়া শেয়ার করলাম উপরের নিয়ম অনুযায়ী, রোল নাম্বার এবং পিন নাম্বার দিয়ে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিট ওয়েবসাইটে  লগইন করতে হবে লগইন কার্যক্রম শেষ হলে তুমি যে কলেজে ভর্তি পেয়েছো সে কলেজের নাম এবং সাবজেক্ট তোমার সামনে শো হবে সেখানে নিচে ডাউনলোড ভর্তি ফরম নামক অপশন আসবে।

ভর্তি ফরম অপশনে ক্লিক করে ভর্তি  ফর্মটি pdf আকারে মোবাইল ফোনের সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। এই ভর্তি ফরমটি খুবই জরুরি এ ভর্তি ফন্টের সাহায্যে কলেজে ভর্তি হতে হবে সেই ক্ষেত্রে এই ভর্তি ফরমটি অবশ্যই পিডিএফ আকারে মোবাইল ফোনে সেভ করে রাখতে হবে। এটি মোবাইল করে পিডিএফ আকারে সেভ করার পর একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে এই পিডিএফ ফাইলটি কে ফটোকপি করতে হবে।

তুমি চাইলে কম্পিউটারের দোকান থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে অথবা তুমি বাসায় বসে ভর্তি পরীক্ষার সম্পন্ন করতে পারবে। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আশা করছি তোমরা বুঝতে পেরেছ চূড়ান্ত ভর্তি ফরম সংগ্রহ করার উপায় সম্পর্কে তোমরা অনেকে আমাকে কমেন্ট বক্সে জিজ্ঞাসা করো কিভাবে অনলাইন থেকে  চূড়ান্ত ভর্তি ফরম সংগ্রহ করতে হবে। 

রিলিজ স্লিপে ভর্তি তারিখ আশা করছি তোমরা বুঝতে পেরেছ চূড়ান্ত ভর্তি ফরম সংগ্রহ করার উপায় সম্পর্কে এবার চলো আমরা দেখে আসি গত বছরের শিক্ষার্থী এইবারঋলিজ স্লিপে আবেদন করবে কিভাবে। অর্থাৎ গত বছরের শিক্ষার্থীকে এবার আবেদন করতে পারবে আর কিভাবে করবে? গত বছরের শিক্ষার্থী এইবার রিলিজ স্লিপে আবেদন করবে যেভাবেঃ

গতবছরের শিক্ষার্থী এই বার রিলিজ স্লিপে আবেদন করবে যেভাবেঃ

তোমরা যারা ২০২৩ সালের এইচএসসি শিক্ষার্থী রয়েছ তোমরা কি এই বছরের আবেদন করতে পারবে? শুধুমাত্র গতবছরের এইচ এস সি শিক্ষার্থীরাই এই বছর এই রিলিজ স্লিপে আবারো আবেদন করতে পারবে অর্থাৎ তোমরা যারা গত বছরে মেধা তালিকায় চান্স পাওনি এবং কোন কলেজে ভর্তি হতে পারোনি তোমরা আবারও এই বছরে একটি কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। 

এই জন্য তোমাদেরকে আবারও রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে হবে। তোমরা যারা ভাবছো তোমরা গত বছরের স্টুডেন্ট তাই তোমাদের জন্য এবার আবেদন করা বেশ জটিল এ ধারণাগুলো সম্পূর্ণ ভুল। প্রত্যেকের রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম একই। ওপরে আমরা রিলিজ স্লিপে আবেদন প্রক্রিয়া শেয়ার করেছি ওপরের নিয়ম অনুসারে আবেদন করে ফেলো। তবে আবেদন করার আগে এই বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবেঃ

তুমি যদি গত বছর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে থাকো, যেমন কোন ডিগ্রী কোর্সে কিংবা কোন বেসরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে থাকো তাহলে তোমাকে ভর্তি বাতিল করতে হবে। তবে যদি তুমি রিলিজ স্লিপে আবেদন করার পর ভালো কোন কলেজে ভালো সাবজেক্টে চান্স পেয়ে থাকো এবং তুমি সে কলেজে ভর্তি হতে ইচ্ছুক হও

সে ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব আগের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাতিল কর। এখানে যদি ভর্তি বাতিল না করো তাহলে ভালো কলেজে চান্স পাওয়ার সত্ত্বেও ভর্তি হতে পারবে না। এই জন্য তুমি চাইলে আগেই প্রতি বাতিল করে রাখতে পারো অথবা ভালো কলেজে চান্স পাওয়ার পর আগের কলেজে ভর্তি ক্যান্সেল করতে পারো।

ভর্তি বাতিল করার নিয়ম খুবই সহজ। ভর্তি বাতিল করতে চাইলে তোমার আশেপাশে যে কোন একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে তোমার রেজিস্ট্রেশন কার্ড থেকে রোল নাম্বার ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার নিয়ে ভর্তি বাতিল করে ফেলো। ভর্তি বাতিল হতে সর্বোচ্চ .০৭ দিন সময় প্রয়োজন হয়। এই জন্য ভালো কলেজে চান্স পাওয়ার পর অপেক্ষা করা যাবে না যত দ্রুত সম্ভব আগে ভর্তি ক্যান্সেল করতে হবে।

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দরা আশা করছি তোমরা বুঝতে পেরেছ ভর্তি ক্যান্সেল করার উপায় কি এবং গত বছরের শিক্ষার্থীরা এই বছরের রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে পারবে কি। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম অথবা রিলিজ স্লিপ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। এবার চলো আমরা দেখে আসি রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে কত টাকা লাগে?

রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে কত টাকা লাগে

তোমরা কি জানো রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে কত টাকা লাগে? আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে কত টাকা লাগে? রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে কোন প্রকার টাকা লাগে না তবে কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করলে তারা ৫০ থেকে ৬০ টাকা চার্জ নেই। 

কিন্তু তুমি যদি বাসায় বসে ওপরের নিয়ম অনুসারে রিলিজ স্লিপে আবেদন করো তাহলে কোন প্রকার টাকা প্রয়োজন। তবে প্রথমবার অনার্সে আবেদন করতে ২০০ অথবা ২৫০ টাকা প্রযোজ্য এটি কলেজ কর্তৃপক্ষ নিয়ে থাকে সাথেই কম্পিউটারের দোকান থেকে করলে তারা ৮০ থেকে ৯০ টাকা চার্জ নেই।

এর জন্য আমরা আজকের এই আর্টিকেলে শেয়ার করলাম কিভাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তুমি ঘরে বসে  রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে পারবে।রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম খুবই সহজ। তাই তুমি যদি ঘরে বসে  রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে চাও তাহলে ওপরে দেখো রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম গুলো।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন 

রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম কি?
রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাও? তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহ দেখতে থাকো আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম অথবা রিলিজ স্লিপ আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে। তুমি যদি আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ করো তাহলে তুমি সহজেই রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে সক্ষম হবে।

গত বছরের শিক্ষার্থী এইবার রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে পারবে?
অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে গত বছরের শিক্ষার্থীরা এবার রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে পারবে কি? অর্থাৎ 2022 কিংবা ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা কি এই বছরে অনার্সে স্লিপে আবেদন করতে পারবে? ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা চাইলে ২০২৪ এ রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে পারবে। অথবা তারা চাইলে ২০২৫ সালের অনার্সের রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে পারবে। তবে ২০২২ চালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের অনার্সের আবেদন করতে পারবে তবে সে ২০২৫ সালে অনার্স এ আবেদন করতে পারবেনা। 

রিলিজ স্লিপে আবেদন করার জন্য কি কি প্রয়োজন? 
রিলিজ স্লিপে আবেদন করার জন্য রেজিস্ট্রেশন নাম্বার রোল নাম্বার এবং পিন নাম্বার প্রয়োজন। অনার্সে প্রথম একটি কলেজে আবেদন না করলে পরবর্তী সময়ে সেই শিক্ষার্থী রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে সক্ষম হবে না। এবং প্রথমবার অনার্সে এপ্লাই করার সময় যেই আবেদন ফরমটি পেয়েছিলে সেই আবেদন ফরমের একটি পিন নাম্বার দেওয়া আছে সেই পিন নাম্বারের মাধ্যমে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ওয়েবসাইটে login করতে হবে। 

উপসংহার

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আমরা আজকের তোমাদের সাথে রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম কি, রিলিজ স্লিপে আবেদন কারা করতে পারবে? গত বছরের শিক্ষার্থী এইবার রিলিজ স্লিপে আবেদন করবে যেভাবেঃ রিলিজ স্লিপ আবেদন প্রক্রিয়া এবং পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ার গোপন টিপসহ চূড়ান্ত ভর্তি ফরম সংগ্রহ করার উপায় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম।

যেহেতু তোমরা অনার্সে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেক্ষেত্রে তোমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নিয়ম কি। তুমি চাইলে আবেদন কম্পিউটারের দোকান থেকে করতে পারবে তবে এক্ষেত্রে যদি তোমার জিপিএ কম থাকে তাহলে নিজে রিলিজ স্লিপে আবেদন করার উত্তম হবে।

উপরে আমরা যেমনটা আলোচনা করলাম কিভাবে রিলিজ স্লিপে আবেদন করলে গ্যারান্টি সহ পছন্দের কলেজে চান্স পেয়ে যাবে। সেভাবে তুমি যদি আবেদন করো তাহলে কম জিপিএ যেমন ৭ থেকে নিয়েও ভালো সরকারি কলেজে চান্স পেতে পারবে। আজকের এই পোস্টে আমরা রিলিজ স্লিপে আবেদন করার সমস্ত উপায় সম্পর্কে আলোচনা করলাম।

সাথেই ভালো কলেজে চান্স পাওয়ার কিছু গোপন টিপস শেয়ার করলাম তোমরা যদি এই টিপ অনুসরণ করো তাহলে আশা করছি উপকৃত হবে। এছাড়াও আজকের এই পোস্টে আমরা আরও আলোচনা করলাম যে কার রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে পারবে?  প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দরা আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে তোমরা উপকৃত হয়েছো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url