হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে এই ১১টি উপায় অনুসরণ করুন

হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায় খুঁজছেন? হার্ট মানব শরীরের একটি বড় অংশ কোনভাবে হার্টের রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে হার্টের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়বে এমন অবস্থায় ব্যক্তির মৃত্যুর নিশ্চিত। এজন্য হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে এই ১১টি উপায় অনুসরণ করুন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখব কেন হার্ট অ্যাটাক হয় হার্ট দুর্বলের লক্ষণ হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ এবং হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায় কি। 
হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায়
হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে এই ১১টি উপায় অনুসরণ করুন হার্ট মানবদেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি হার্টের কাজ হল রক্ত নিষ্কাশন করা এবং সরবরাহ করা। কোনভাবে এই হার্ট অকেজ হয়ে পড়লে কিংবা রক্তের সরবরাহ করতে অক্ষম হয়ে পড়লে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এইজন্য হার্ট এটাক করলে মানব শরীর অচল হয়ে পড়ে এবং মৃত্যু ঘটে। চলুন আর দেরি না করে আমরা ঝটপট দেখে আসি হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায় কি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ কি হার্ট দুর্বলের লক্ষণ কি কখন হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে এই ১১টি উপায় অনুসরণ করুন।

কেনো হার্ট অ্যাটাক হয়

আপনি কি জানেন কেন হার্ট এটাক হয়? হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পিছনে বিশেষ কয়েকটি প্রধান কারণ রয়েছে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সেই কারণ গুলো দেখবো। হার্ট অ্যাটাক বিভিন্ন কারণে হতে পারে তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি কারণ হলো রক্তের সঠিকভাবে সরবরাহ করতে না পারা হার্টের ধমনী গুলোতে চর্বি অথবা ফ্ল্যাট জমে যাওয়া এবং হার্ট আগে তুলনায় শক্ত হয়ে যাওয়া যার ফলে স্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।

হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই জানি বর্তমান সময় সমাজে সবচেয়ে ভয়াবহ একটি রোগের নাম হলো হার্ট এটাক। আমাদের অজানাতে অনেকের হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। যেকোনো মুহূর্তে হঠাৎ হার্ট এটাক করে যে কোন ব্যক্তি মারা যেতে পারে এজন্য আগে আমাদেরকে জেনে নিতে হবে হার্ট অ্যাটাকের পূর্ববর্তী লক্ষণ গুলো কি কি।  ইতিমধ্যেই আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে হার্ট মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ভারী অঙ্গ গুলোর মধ্যে একটি। 

কোনভাবে হার্ট অচল হয়ে পড়লে ব্যক্তি বেঁচে থাকার মুশকিল কারণ হার্ট মানবদেহের রক্ত নিষ্কাশন করে এবং রক্ত অন্যান্য অঙ্গ গুলোতে সরবরাহ করে। যদি রক্ত সরবরাহ অথবা রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে এতে শরীর অচল হয়ে পড়বে। যখন হাট রক্ত সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় অথবা শরীরের অন্যান্য অঙ্গ গুলোতে রক্ত সরবরাহ করতে পারে না এই অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক হয়। 

হার্টের ফ্যাট জমলেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। হার্ট এর ধমনী গুলোতে ফ্ল্যাট জমে থাকলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয় এই অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক হয়। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক বেশি পরিমাণে থাকলে হার্টের চর্বি জমে। আপনি যদি হার্ট অ্যাটাক কেন হয় এ বিষয়ে সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে দেখে নিন। 
  • শারীরিক পরিশ্রমের অভাব
  • অতিরিক্ত ওজন উচ্চ কোলেস্টেরল
  • অতিরিক্ত ধূমপান অথবা মদ্যপান
  • ডায়াবেটিস
  • পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস
দিনে পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম না করলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়া হার্টের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে। এতে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি তবুও মানুষ ধূমপানে আগ্রহী। ধূমপান হার্ট এর জন্য ক্ষতিকর এটি হার্টের রক্ত সরবরাহের গতিকে ধীর করে।

যার ফলে শরীর সঠিকভাবে শরীরে রক্ত সরবরাহ করতে পারে না এতে হার্ট অ্যাটাক হয়। আবার ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে হার্ট এটাকের ঝুঁকি বাড়তে পারে এছাড়াও পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস থাকলে অর্থাৎ আপনার মা বাবা অথবা পরিবারে এমন কোন ব্যক্তির যদি হার্টের সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে জিনগত কারণে আপনারও হার্ট এটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। 

আমাদের অস্বাস্থ্যকর খাদ্য আভাসের কারণে অজানাতেই আমরা হার্টের ক্ষতি করে বসি এবং আমরা বুঝতেও পারিনা যে আমাদের হার্ট দুর্বল হয়ে গেছে। এভাবে চলতে চলতে একদিন হঠাৎ হার্ট এটাক হয়। এইজন্য আমাদেরকে প্রথমে জানতে হবে দুর্বল হার্টের লক্ষণ গুলো কি কি এবং হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণ গুলো কি কি আর হার্ট অ্যাটাক।থেকে বাঁচার উপায় কি। হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায় বিশেষ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে, এই নিয়ম গুলো একটু মেনে চললে সহজে হার্টের যত্ন নিতে পারব এবং হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে পারব। 

হার্ট দুর্বলের লক্ষণ 

আপনার হার্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে এটি আপনি কিভাবে বুঝবেন? হার্ট দুর্বল হয়ে পড়লে বিশেষ কয়েকটি লক্ষণ দেখে বোঝা যায় যে হার্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে হার্ট মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ যা অচল হয়ে পড়লে ব্যক্তি বেঁচে থাকা মুশকিল কোনভাবে হার্টের কার্যকারিতা নষ্ট হলে কিংবা হার্ট রক্ত সরবরাহ করতে অক্ষম হয়ে পড়লে এই অবস্থায় ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে। উপরে আমরা দেখলাম কেন হার্ট অ্যাটাক হয় এবার আমরা দেখবো হার্ট দুর্বলের লক্ষণগুলো। আপনার হার্ট দুর্বল হয়ে গেছে নাকি সে বিষয়ে জানতে নিচের লক্ষণ গুলো দেখুন।

শ্বাসকষ্ট 
হার্ট দুর্বল হয়ে পড়লে শ্বাস কষ্টের সমস্যা দেখা দেয় অর্থাৎ ছোটখাটো সামান্য কাজ করতে গিয়েও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় উঠে দাঁড়ালে কিংবা বসলে অথবা হাঁটাচলা করলে শ্বাসকষ্ট হয়। সিঁড়ি দিয়ে নানা উঠা করলে শ্বাসকষ্ট হয়।

দুর্বলতা
হার্ট দুর্বল হয়ে পড়লে শরীরে দুর্বলতা দেখা দেয় অল্প পরিশ্রমেই দুর্বল হয়ে পড়া কাজে মন না বসা। তবে প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে দুর্বল হার্টের লক্ষণগুলো ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

ক্লান্ত হয়ে পড়া 
অনেক সময় দেখা যায় আমরা অল্প পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে পড়ি আর কাজে মন বসে না। ঘর ঝাড়ু দিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ি আর কোন কাজ করি না অথবা হালকা একটু কাজ করলে মাথা করা শুরু হয় শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয় এরূপ অবস্থায় বুঝতে হবে হার্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে।

মাথা ঘোরা 
হার দুর্বল হয়ে পড়ার সবচেয়ে প্রধান একটি লক্ষণ হল মাথা ঘোরা। হার্ট দুর্বল হয়ে পড়লে হঠাৎ মাথা ঘোরা শুরু হবে মাথার এক সাইড থেকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হবে।

বমি বমি ভাব 
শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে বমি বমি ভাব দেখা যায় এইজন্য হার্ট দুর্বল হয়ে পড়লেও বমি বমি সমস্যা তৈরি হয়। সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করলে যদি শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয় এবং বমি বমি ভাব দেখা যায় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

খাবার হজম না হওয়া 
হার্টের কার্যকারিতা দুর্বল প্রকৃতির হয়ে পড়লে হজম শক্তির ব্যাঘাত ঘটে। অর্থাৎ দ্রুত কোন খাবার হজম হয় না। যেকোনো খাদ্য গ্রহণ করার পর পেট ফুলে থাকে এবং পেটে গ্যাস এর সমস্যা দেখা দেয়।

চোখে ঝাপসা দেখা
হার্ট দুর্বল গতির হয়ে পড়লে চোখে ঝাপসা দেখা দেয় উঠে দাঁড়ালে মাথা ব্যথা অনুভূত হয় এবং চোখে ঝাপসা দেখা দেয়। এরূপ অবস্থায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

হার্ট দুর্বল গতির হয়ে পড়লে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিবে মাথা ঘোরার সমস্যা তৈরি হবে খাবার হজম হবে না হজম শক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে চোখে ঝাপটা দেখা দিবে এবং ক্লান্ত হয়ে পড়বে। তবে হাট দুর্বল হয়ে পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করলে আর স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

প্রিয় পাঠক গন আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন হার্ট দুর্বল হয়ে পড়লে কি করা উচিত এবং হার্ট দুর্বলের লক্ষণ কি কি এবার চলুন আমরা দেখে আসি হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায় গুলো। হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে এই ১১ টি উপায় অনুসরণ করুন।

হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে এই ১১টি উপায় 

হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায় খুঁজছেন? হার্ট অ্যাটাকের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকে জানি যে কোন মুহূর্তে হার্ট অ্যাটাক হয় এবং হার্ট অ্যাটাক হলে ব্যক্তির মৃত্যুর নিশ্চিত। ওপরে আমরা দেখলাম কেন হার্ট অ্যাটাক হয় এবং হার্ট দুর্বলের লক্ষণ গুলো কি কি। তবে এই হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে চাইলে আমাদেরকে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে এবং সঠিক জীবন যাপন করতে হবে সুস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। 
হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায়
পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে আপনাকে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। যেকোনো রোগ সৃষ্টি হবার পিছে কোন কারণ থাকে সেক্ষেত্রে হার্ট এটাক হবার পিছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। ওপরে আমরা সেই কারণগুলো ব্যাখ্যা করেছি তবে এবার আমরা জানবো যে হার্ট এটাক থেকে বাঁচতে কি কি উপায় অনুসরণ করতে হবে। হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে নিচের এই ১১ টি উপায় অনুসরণ করুন। 

ফল সবজি 
হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে দেরি খাদ্য তালিকাতে ফল সবজি যোগ করুন। রঙিন ফল সবুজ শাকসবজি হাটের জন্য খুবই উপকারী। এবং এন্টি অক্সিডেন্ট ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করুন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের কার্যক্ষমতা থেকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফল এবং সবজির চেয়ে বেশি পুষ্টিকর আর কিছুই নেই । এইজন্য বেশি বেশি ফল এবং শাকসবজি যোগ করতে হবে।

ওমেগা থ্রি ফ্যাট যুক্ত মাছ 
ওমেগা থ্রি ফ্যাট যুক্ত মাছগুলো হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এইজন্য খাটো তালিকাতে ওমেগা থ্রি ফ্যাট যুক্ত মাছ গুলো যোগ করুন। ওমেগা থ্রি ফ্যাট যুক্ত মাছ বলতে বোঝায় সামুদ্রিক মাছগুলো। টুনা মাছ স্যালমন মাছ থেকে ওমেগা থ্রি ফ্যাট পাওয়া যায়। এছাড়াও কিছু ফল থেকে ওমেগা থ্রি ফ্যাট সংগ্রহ করা সম্ভব।

ডেইলি শরীর চর্চা 
শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে হার্টের যত্ন নিতে চাইলে অবশ্যই শরীর চর্চা করতে হবে উচ্চ গতিতে হাঁটাহাঁটি করতে হবে সাঁতার কাটতে হবে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত 200 মিনিট শরীর চর্চা করতে হবে। শুধু হার্টের যত্ন নেওয়ার জন্যই নয় বরং নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য ফিট রাখার জন্য শরীরচর্চা করা খুবই জরুরী। চর্চা করলে মন মেজাজ ভালো থাকে শরীর ফিট থাকে শরীর সুস্থ থাকে এবং মানসিক চাপ কম হয়।

মসলাযুক্ত খাবার 
হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাথাটা বাড়তে থাকে যা হার্টের ফ্যাট অথবা চর্বি তৈরি করে।। হার্টের ধমনী গুলোতে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়তে থাকলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে।। এইজন্য অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। 

ধূমপান 
হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে প্রথমে ধূমপান বাদ দিতে হবে। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ধূমপান হার্টের রক্তে সরবরাহে বাধা প্রদান করে যার ফলে হাড় সঠিকভাবে অঙ্গে প্রত্যঙ্গে রক্ত সরবরাহ করতে পারে না এতে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকে জানি তবুও ধূমপান করে থাকি। হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে চাইলে যত দ্রুত সম্ভব ধূমপান বাদ দিতে হবে।

উচ্চ রক্তচাপ 
হার্ট অ্যাটাক এর অন্যতম একটি কারণ হলো উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে হার্ট অ্যাটাক হয়। উচ্চ রক্তচাপ থেকে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এজন্য নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ঔষধ সেবন করতে হবে। অনেকে উচ্চ রক্তচাপ থাকার পরেও সঠিকভাবে ঔষধ সেবন করেন না। এক্ষেত্রে তাদের হার্ট অ্যাটাকের যদি আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। এজন্য উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ঔষধ সেবন করতে হবে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ঔষধ সেবন করতে হবে।

অতিরিক্ত ওজন 
হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে চাইলে প্রথমে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। শারীরিক ওজন যত বেশি বৃদ্ধি পাবে হার্ট এটাকের ঝুঁকি তত বেশি বৃদ্ধি পাবে এর জন্য প্রথমে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনুন । অতিরিক্ত ওজন থাকলে হার্টের সমস্যা তৈরি হয় এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার সৃষ্টি হয়। এইজন্য অতিরিক্ত ওজন দূর করতে  তৈলাক্ত এবং মশলাযুক্ত খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আর ফলমূল এবং সিদ্ধ শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।

মানসিক চাপ 
বেশি রাখার সময় অতিরিক্ত মানসিক চাপ এর কারণে ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাক করে এই জন্য প্রথমে মানসিক চাপ কমাতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কোনো না কোনো কারণ নিয়ে মানসিক চাপ থাকে তবে মানসিক চাপের ফলে কখনোই সমস্যার সমাধান হবে না এজন্য যেকোন সমস্যার সমাধানে নিজেকে স্থির রাখুন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করুন এবং সমস্যা সমাধান করুন। আপনি যত বেশি মানসিক চাপে থাকবেন আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ততো বেশি বৃদ্ধি পাবে।

উচ্চ কোলেস্টেরল 
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল উচ্চ মাত্রায় থাকলে হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় যখন শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে তখন হার্টের ধমনী গুলোতে ফ্যাট তৈরি হবে যার ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি হবে এবং হার্ট এটাকের ঝুঁকি বাড়বে।। এজন্য উচ্চ কোলেস্টেরল দূর করতে নিয়মিত শরীরচর্চা অথবা ব্যায়াম করতে হবে এবং নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ 
শরীরে ডায়াবেটিস অথবা ইনসুলিনের ঘাটতি দেখা দিলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পায় এজন্য প্রথমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণকারী ঔষধ সেবন করতে হবে। অনেকে রয়েছে যারা ডায়াবেটিস থাকা সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রণ করেন না এবং কোন প্রকার ঔষধ সেবন করে না এক্ষেত্রে তাদের যেকোনো মুহূর্তে হার্ট এটাক দেখা দেয়।

নিয়মিত চেকআপ
উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অথবা ডায়াবেটিস থাকলে নিয়মিত চেকআপ করতে হবে। বিশেষ করে শরীরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে চেকআপ করতে হবে এবং ঔষধ সেবন করতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে হার্ট এটাকের ঝুঁকি প্রায় ৮০ পারসেন্ট বৃদ্ধি পায়। এইজন্য উচ্চ রক্তচাপ নিয়মিত চেকআপ করতে হবে।

হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে এই ১১ টি উপায় অনুসরণ করুন। তাহলে আপনার কখনো হার্ট অ্যাটাক হবে না। আর যদি দুর্বল হার্টের সমস্যা থাকে তাহলে উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন তাহলে সহজেই আপনি হার্ট অ্যাটাক থেকে রক্ষা পাবেন। এছাড়াও যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাহলেও চিকিৎসা নিতে হবে নিয়মিত চেকআপ করতে হবে। আর যদি উচ্চ রক্তচাপে সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত চেকআপ করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায় গুলো কি কি। 

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর 

কেন হার্ট অ্যাটাক হয়
আপনি কি জানেন কেন হার্ট অ্যাটাক হয়? অনেকে হার্ট এটাক বলতে আমরা বুঝি হার্টের কোন ব্যক্তি অথবা কোন বস্তু দ্বারা অ্যাটাক হওয়া কিন্তু এ ধারণা গুলি সম্পূর্ণ ভুল। হার্ট অ্যাটাক বলতে বোঝায় যখন হার্টটা কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে অথবা হার্টের ধমনী গুলোতে চর্বি অথবা তেল জমবে কিংবা হার্ট শক্ত হয়ে উঠবে এই অবস্থায়  ব্যক্তি অচেতন হয়ে উঠে এবং শ্বাস নিয়ে কষ্ট অনুভূত হয় এবং বুকে তীব্র ধরফর করে এবং ব্যক্তি তার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরূপ অবস্থাকে হার্ট অ্যাটাক বলে।

হার্ট দুর্বলের লক্ষণ
আপনি কি হার্ট দুর্বলের লক্ষণ গুলো কি কি সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান? হার্ট অথবা হৃদপিণ্ড মানব শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। তাই হার্টের যত্ন নেওয়া আবশ্যক আর হার্টের যত্ন নিতে চাইলে অবশ্যই হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে এই ১১টি উপায় অনুসরণ করুন। ওপরে দেখুন আমরা হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে ১১টি উপায় শেয়ার করেছি।

হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণ
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ কি? হার্ট অ্যাটাক বলতে সাধারণত হার্টের কার্যক্ষমতা হারানো এবং শরীরে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে যখন কোন ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাক করে তার পূর্ববর্তী লক্ষণ হিসেবে অতিরিক্ত মাথাব্যথা, শরীরে প্রচুর ঘাম, বুক ধরফর করা, বমি বমি ভাব এবং চোখে ঝাপসা দেখা দেয়। আর বুকের বাম সাইড থেকে চিন চিন ব্যথা অনুভূত হয়। এই ব্যথাটি দুই থেকে তিন সেকেন্ড স্থায়ী হতে পারে।

উপসংহার ঃহার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে এই ১১টি উপায় অনুসরণ করুন

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমরা দেখলাম কেন হার্ট অ্যাটাক হয় হার্ট দুর্বলের লক্ষণ গুলো কি কি এবং হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায় গুলো কি কি। হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে এই ১১টি উপায় অনুসরণ করুন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম একটি সমস্যা হল হার্ট অ্যাটাক হার্ট এটাকের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকে জানি হার্ট অ্যাটাক এমন একটি রোগের নাম যা যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে হতে পারে এবং একবার হার্ট অ্যাটাক হলে বাঁচা খুবই মুশকিল। 

হার্ট অ্যাটাক বলতে বোঝায় যখন আপনার শরীরে হার্ট কাজ করবে না অথবা হার্ট তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে তখন হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্টের কাজ হল রক্ত নিষ্কাশন করা এবং রক্ত সরবরাহ করা হার্ট মানব শরীরের সবচেয়ে ভারী অঙ্গ গুলোর মধ্যে একটি। হার্টের গুরুত্ব অনেক তাই আমাদেরকে হার্টের যত্ন নিতে হবে আর হার্টের যত্ন নিতে চাইলে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে অতিরিক্ত তৈলাক্ত এবং মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে। 

এছাড়াও বাইরের ফাস্টফুড হার্টের জন্য ক্ষতিকর এই জন্য ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন। ফাস্টফুড বলতে বোঝায় অতিরিক্ত তেল যুক্ত, হাইড্রোজেনিক তেল যুক্ত, স্যাচুরেটেড ফ্যাট অথবা ট্রান্স ফ্যাট যুক্ত খাবার গুলো। যেমন  বার্গার, পিজ্জা, হট  ডগ, চিপস। বিজ্ঞানীরা বলেন সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ফাস্টফুড খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং এটি সরাসরি হার্টের ক্ষতি করে হার্টকে দুর্বল করে তোলে। এইজন্য এখন থেকে অতিরিক্ত ফাস্টফুড এবং তেলাক্ত খাবার থেকে এড়িয়ে চলতে হবে আর হার্টের যত্ন নিতে বেশি বেশি শাকসবজি গ্রহণ করতে হবে।হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে এই ১১টি উপায় অনুসরণ করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url