ইতিবাচক অর্থনীতি ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য
ইতিবাচক অর্থনীতি ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য কি? ইতিবাচক অর্থনীতি ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে বিশেষ কয়েকটি পার্থক্য রয়েছে আজকের এই পোস্টে আমরা সেই সমস্ত পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করব সাথেই ইতিবাচক অর্থনীতি এর সুবিধা এবং নীতিবাচক অর্থনীতি এর সুবিধা গুলো, ইতিবাচক অর্থনীতি কি,নীতিবাচক অর্থনীতি কি সেই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করবো।
উপকার পেতে এই পোস্টটি সম্পন্ন করতে থাকুন। ইতিবাচক অর্থনীতি ও নেতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে কোন অর্থনীতি সবচেয়ে বেশি উত্তম সেই বিশ্ব সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। চলুন তাহলে ঝটপট দেখে আসি ইতিবাচক অর্থনীতি ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য কি এবং ইতিবাচক অর্থনীতি কি নীতিবাচক অর্থনীতি কি, ইতিবাচক অর্থনীতির সুবিধা এবং নীতিবাচক অর্থনীতি ও সুবিধাগুলো কি কি।
পেজ সূচিপত্র: ইতিবাচক অর্থনীতি ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য
ইতিবাচক অর্থনীতি কি
ইতিবাচক অর্থনীতি কি? ইতিবাচক অর্থনীতি শাস্ত্রের ঐ অংশ যেখানে অর্থনীতিবিদরা কি করা যায় কিভাবে করা যায় কি কারনে করা হবে এবং ওই জাতীয় বক্তব্য পর্যালোচনা অথবা আলোচনা করেন। অর্থাৎ কোন একটি দ্রব্য কে আমরা কিভাবে উৎপাদন করব কি উৎপাদন করব এবং কি কারণে উৎপাদন করব এই সমস্ত বিষয়ে পর্যালোচনা করাকেই ইতিবাচক অর্থনীতি বলা হয়।
যেমন সরকারের কোন কোন নীতি বেকারত্ব দূর করবে এবং কি কি নীতি মুদ্রাস্ফীতি দূর করবে ওই জাতীয় বক্তব্য কে ইতিবাচক বক্তব্য বলা হয়। ইতিবাচক বক্তব্য সাধারণত বাস্তব তথ্য দ্বারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়। যেমন সরকারি ঘাটতি ব্যয় বেকারত্ব দূর করবে এবং তার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করতে পারে , ওই বক্তব্য বাস্তব তথ্য দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব। যদি বাস্তবত অর্থ এই বক্তব্য প্রতিফলিত করে তবে ওই জাতীয় বক্তব্য ইতিবাচক অর্থনীতির অন্তর্ভুক্ত বলা হবে।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন ইতিবাচক অর্থনীতি কাকে বলে। ইতিবাচক অর্থনীতি বলতে বোঝায় প্রথমে কোন একটি দ্রব্য সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা অর্থাৎ কোন দ্রব্য আমরা উৎপাদন করব এবং কিভাবে উৎপাদন করব কি কারণে উৎপাদন করব এবং এই দ্রব্য উৎপাদনের ফলে কি কি সুবিধা আমরা উপভোগ করতে পারব। এবার চলুন আমরা দেখে আসি নীতিবাচক অর্থনীতি বলতে কী বোঝায়।
নীতিবাচক অর্থনীতি কি
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে নীতিবাচক অর্থনীতি কি? অর্থনীতির যে শাখায় নীতিগত মূল্যায়নের ভিত্তিতে বিভিন্ন বক্তব্য উপস্থাপন করা হয় তাকে নীতি বাচক অর্থনীতি বলা হয়। অর্থনীতির এই শাখায় কোনটি করা উচিত নয় আর কোনটি করা উচিত এই ধরনের নেতিবাচক বক্তব্য পর্যালোচনা অথবা আলোচনা করা হয় যেমন বেকারত্বের চেয়ে মুদ্রাস্ফীতি ভালো এবং এই কারণে বাজেট উদ্রিত নীতি ভালো এটি একটি নেতিবাচক বক্তব্য।
আবার আয় বন্টন সমাজে শোষণ হওয়া উচিত এটি একটি নীতিবাচক বক্তব্যের উদাহরণ সাধারণত নেতিবাচক বক্তব্যগুলো কল্যাণমুখী ধাওরার সাথে সম্পর্কযুক্ত এজন্য সংকীর্ণ অর্থে নীতিবাচক অর্থনীতি অনেকে কল্যাণ অর্থনীতি হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। নীতিবাচক অর্থনীতির সাহায্যে প্রত্যেকের কল্যাণ নিশ্চিত করা হয় এজন্য নীতিবাচক অর্থনীতিকে কল্যাণ অর্থনীতি হিসেবে আমরা জানি।
আবার নেতিবাচক অর্থনীতিকে আদর্শ অর্থনীতি বলে অভিহিত করা হয় কারণ এটি সরাসরি অর্থনীতির আচরণকে ব্যাখ্যা করে। প্রিয় শিক্ষার্থী বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন নীতিবাচক অর্থনীতি কি এবং ইতিবাচক অর্থনীতি কি এবং এই দুইটি অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্যটা কি। চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি ইতিবাচক অর্থনীতি ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য কি?
ইতিবাচক অর্থনীতি ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য
ইতিবাচক অর্থনীতি ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে মেইন কয়টি পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে পরীক্ষাতে প্রশ্নটি আসতে পারে এ প্রশ্নটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাই তোমরা মনোযোগ সহ সম্পন্ন পোস্টটি দেখতে থাকো। ইতিবাচক অর্থনীতি এবং নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে একটি ক্লিয়ার ধারণা হলো মনে রাখবে ইতিবাচক অর্থনীতি বলতে সব সময় এটি বর্ণনা প্রকাশ করে।
আর নেতিবাচক অর্থনীতি যে কোন সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করে যেমন সরকারের বেকারত্ব দূরীকরণে এটা করা উচিত সরকারের ওইটা করার উচিত এমন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর ইতিবাচক অর্থনীতি বর্ণনা প্রদান করে থাকে। ইতিবাচক অর্থনীতি ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য আরো ক্লিয়ার জানতে নিচে দেখে নিন।
ইতিবাচক অর্থনীতি বনাম নীতিবাচক অর্থনীতি
ইতিবাচক অর্থনীতি
- ইতিবাচক অর্থনীতিকে বর্ণনা কারী অথবা বর্ণনামূলক অর্থনীতিও বলা হয়।
- ইতিবাচক অর্থনীতিতে সবসময় কি এবং কেন হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিশ্লেষণ করা হয়। যেমন অর্থনীতিতে কি ঘটেছে? বাংলাদেশে বেকারত্বের হার এত বেশি কেন? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বর্ণনা প্রদান করে থাকে।
- ইতিবাচক অর্থনীতিতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় সঠিক তথ্য জানার জন্য।
- মূল্যস্ফীতির হার কত
- বাংলাদেশের বেকারত্বের হার কত?
- বাংলাদেশে বেকারত্বের হার এত বেশি কেন?
- সরকার এই বেকারত্বের হারকে দূর করতে কি কি পদক্ষেপ অনুসরণ করবেন? এবং কেন করবেন?
ইতিবাচক অর্থনীতিতে সবসময় কি এবং কেন এই দুইটি শব্দ ব্যবহার করা হয় যেমন সরকার বেকারত্বের হার দূর করতে কি কি স্টেপ অথবা পদক্ষেপ অনুসরণ করতে পারবেন এবং সে কেন এই স্টেপ অথবা পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করবে? সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করাকেই ইতিবাচক অর্থনীতি বলা হবে।
নীতিবাচক অর্থনীতি
নীতিবাচক অর্থনীতিকে প্রেসক্রিপ্তিভ অর্থনীতি অথবা আদর্শ অর্থনীতিও বলা হয়।। নীতিবাচক অর্থনীতি সবসময় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান প্রদান করে থাকে। ইতিবাচক অর্থনীতিতে যেমন প্রতিটি সমস্যার কেন হয়েছে কিভাবে হয়েছে সে বিষয়ে সম্পর্কে বর্ণনা প্রদান করে তেমনি নীতিবাচক অর্থনীতিতে এই সমস্যার সমাধান কি এই সমস্যার সমাধানে সরকার কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অথবা জ্ঞান প্রদান করে থাকে।
- নীতিবাচক অর্থনীতির কাজ হল বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে নীতি অথবা নীতিমালা তৈরি করা।
- আর নীতি বাচক অর্থনীতিতে সবসময় ''কি করা উচিত'' ''কিভাবে ঠিক হবে'' সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
- নেতিবাচক অর্থনীতির বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য ও নীতিমালা ব্যবহার করে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান বের করা হয় যেমনঃ
- বাংলাদেশ দরিদ্রের হার কমাতে সরকার এর কি করা উচিত?
- বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের কি পদক্ষেপ অনুসরণ করা উচিত অথবা কি করা উচিত?
- পরিবেশের দূষণের হার কমাতে সরকারের কি কি পদক্ষেপ অনুসরণ করা উচিত?
- মূল্য স্মৃতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশের সরকারের কি করা উচিত অথবা কোন নীতি অনুসরণ করা উচিত?
ইতিবাচক অর্থনীতিতে সবসময় কি এবং কেন হয় এই বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয় আর নীতিবাচক অর্থনীতিতে কি করা উচিত কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সেই উত্তর দেওয়া হয়। এর জন্য ইতিবাচক অর্থনীতির তুলনায় নীতিবাচক অর্থনীতি বেশি গ্রহণযোগ্য। ইতিবাচক অর্থনীতি সবসময় এই সমস্যাটি কেন হয়েছে কি হয়েছে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিশেষ বর্ণণা দিয়ে থাকে।
আর নীতিবাচক অর্থনীতি প্রেস্ক্রিপটিভ হয় অর্থাৎ এই সমস্যাটি সমাধান কিভাবে করব এই সমস্যার সমাধানে কি করা উচিত সে বিষয়গুলো সম্পর্কে উত্তর দেয়। অর্থাৎ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে নীতিবাচক অর্থনীতি ব্যবহার করা হয় আর কোন সমস্যা সম্পর্কে জানতে যে কেন হয়েছে কি হয়েছে সে বিষয়ে বর্ণনামূলক অর্থনীতি অথবা ইতিবাচক অর্থনীতি ব্যবহার করা হয়।
ইতিবাচক অর্থনীতি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অথবা বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে আসল তথ্য খুঁটিয়ে দেখার জন্য আর নীতিবাচক অর্থনীতি অর্থনীতির বিভিন্ন শাস্ত্র অথবা নীতিমালা ব্যবহার করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে। পরিশেষে বলা যায় যে একটি দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অর্থনীতি এবং নীতিবাচক অর্থনীতি উভয়ই অপরিহার্য।
একটি সমস্যা কেন হয়েছে এবং কিভাবে হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য কিংবা ধারণা জানতে ইতিবাচক অর্থনীতি ব্যবহার করা হয় আর সেই সমস্যার সমাধানে কোন নীতি কিংবা কি করা উচিত কিভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে সেই বিষয়গুলো নিয়ে নীতি বাচক অর্থনীতি। নীতিবাচক অর্থনৈতিক বিভিন্ন শাস্ত্র দেখে সে সমস্যার সমাধান করা হয়।
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আশা করছি তোমরা বুঝতে পেরেছ যে ইতিবাচক অর্থনীতি ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য কি? ইতিবাচক অর্থনীতি এবং নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে একটি বিশেষ পার্থক্য হল ইতিবাচক অর্থনীতিতে কি এবং কেন এই দুটি শব্দ ব্যবহার করা হয় আর অপরদিকে নীতিবাচক অর্থনীতিতে কি করা উচিত কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
আর ইতিবাচক অর্থনীতিতে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় অপরদিকে নীতিবাচক অর্থনীতিতে অর্থনৈতিক শাস্ত্র অথবা নীতিমালা ব্যবহার করে সমস্যা সমাধান করা হয়। উভয় অর্থনীতি একটি দেশের জন্য অপরিহার্য। একটি অপরটির ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল। অর্থাৎ নীতিবাচক অর্থনীতি ইতিবাচক অর্থনীতির উপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল। এবার চলুন আমরা দেখে আসি
ইতিবাচক এবং নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে কোনটি বেশি উন্নত?
ইতিবাচক এবং নীতিবাচক অর্থনীতি সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকে বুঝতে পেরেছি তবে এই দুইটি অর্থনীতির মধ্যে কোন অর্থনীতি বেশি উন্নত সেই বিষয়ে আমরা দেখব। ইতিবাচক অর্থনীতিতে কি এবং কেন হয় এই দুটি শব্দ ব্যবহার করা হয় আর নীতিবাচক অর্থনীতিতে কি করা উচিত কি পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত?
সে বিষয়ে সম্পর্কে আলোচনা করা হয় অর্থাৎ একটি দেশের অর্থ ব্যবস্থাতে কি কি সমস্যা রয়েছে এবং কেন এই সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়েছে সেই বিষয়ে সম্পর্কে ইতিবাচক অর্থনীতিতে আলোচনা করা হয় আর সেই সমস্যার সমাধান কি সেই বিষয় নিয়ে নীতিবাচক অর্থনীতিতে নীতি শাস্ত্র দেখে সমস্যা সমাধান ব্যাখ্যা করা হয়।
এখন প্রশ্ন হল এই দুইটি অর্থনীতির মধ্যে কোন অর্থনীতি বেশি উন্নত অথবা বেশি কার্যকারী? অর্থনীতিতে
উভয় অর্থনীতি অপরিহার্য কারণ যেকোনো একটি অর্থনীতি বাদ দিলে অপরটি আর কাজ করবে না। যেমন উদাহরণস্বরূপ ইতিবাচক অর্থনীতিতে একজন ব্যক্তির রোগ নির্ণয় করা হয় অর্থাৎ ব্যক্তিটি কি রোগে আক্রান্ত এবং সেই রোগ নিরাময়ে অথবা চিকিৎসাতে নীতিবাচক অর্থনীতি ব্যবহার করা হয় সে ক্ষেত্রে প্রথমে যদি আমরা জানতেই না পারি যে ব্যাক্তিটির কোন রোগ হয়েছে অথবা সে কোন রোগে আক্রান্ত তাহলে কিভাবে তার চিকিৎসা করব তাই না?
এর জন্য প্রথমে প্রয়োজন ইতিবাচক অর্থনীতির অর্থাৎ সে সমস্যার কারণ এবং কিভাবে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদেরকে জানতে হবে। তারপর সে সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন নীতি শাস্ত্র অবলম্বন করতে হবে। এই অবস্থায় বলা যায় যে নীতিবাচক অর্থনীতি বিশেষভাবে ইতিবাচক অর্থনীতির উপর নির্ভরশীল।
তবে প্রশ্ন যদি হয় ইতিবাচক অর্থনীতির এবং নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে কোনটি বেশি উন্নত তাহলে উত্তর হবে এই দুইটি অর্থনীতি একটি দেশের জন্য অপরিহার্য যেকোনো একটি বাদ দিলে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ যদি ইতিবাচক অর্থনীতিকে বাদ দেওয়া হয় তাহলে আমরা সমস্যার সম্পর্কে বুঝতে পারব না যার ফলে নীতিবাচক অর্থনীতির ব্যবহার করতে পারবো না।
কারণ প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে তার কি রোগ হয়েছে অথবা সে কোন রোগে আক্রান্ত তারপর সেই রোগ অনুসারে আমাদেরকে এই নীতি শাস্ত্র করে চিকিৎসা করতে হবে। আবার একইভাবে যদি অর্থনীতির নীতিবাচক অর্থনীতি বাদ দেওয়া হয় তাহলে সমস্যার সমাধান করা মুশকিল। কারণ ইতিবাচক অর্থনীতি থেকে আমরা জানতে পারবো সমস্যাটি কেন হয়েছে এবং কিভাবে হয়েছে।
তবে সেই সমস্যার সমাধান কি সেই বিষয়ে নীতিবাচক অথচ ছাড়া আমরা জানতে পারবো না। এই জন্য বলা যায় যে একটি দেশের অর্থ ব্যবস্থা তে ইতিবাচক অর্থনীতি এবং নীতিবাচক অর্থনীতি উভয়ই অপরিহার্য। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আশা করছি তোমরা বুঝতে পেরেছ ইতিবাচক এবং নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে কোনটি বেশি উন্নত? উভয় অর্থনীতির একটি দেশের জন্য অপরিহার্য।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন
নিতীবাচক অর্থনীতি কি?
নীতিবাচক অর্থনীতিকে আমরা অনেকেই না বাচক অর্থনীতি মনে করে থাকি কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। যখন কোন অর্থনীতিতে নেতিবাচক অর্থনীতি ব্যবহার করা হবে অর্থাৎ নেতিবাচক শব্দটি ব্যবহার করা হবে তখন সেখানে না শব্দ ব্যবহার করা হবে কিন্তু এখানে নীতিবাচক শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
আর নীতি শব্দের অর্থ হলো আদর্শ। তাই নীতি বাচক অর্থনীতি বলতে বোঝায় কোন একটি দেশের সে সমস্যা সমাধানে কি করা উচিত কি কি উপায় অবলম্বন করা উচিত এরূপ নীতি শাস্ত্র কে নীতিবাচক অর্থনীতি বলা হয়। আপনি যদি নীতিবাচক অথরিটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে উপরে দেখুন। নীতিবাচক অর্থনীতি সম্পর্কে ওপরে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া রয়েছে।
অর্থনীতি কাকে বলে?
তোমরা যারা অর্থনৈতিক শিক্ষার্থী রয়েছে তোমরা নিশ্চয়ই জানো অর্থনীতি কাকে বলে? অসীম অভাবকে কিভাবে সীমিত সম্পদের মাধ্যমে পূরণ করতে হয় এরূপ নীতি শাস্ত্রকেই অর্থনীতি বলা হয়।। একটি দেশের অর্থব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একজন অর্থনীতিবিদের প্রয়োজন রয়েছে।
ইতিবাচক অর্থনীতি ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য কি?
ইতিবাচক অর্থনীতি ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য কি? ইতিবাচক অর্থনীতি এবং নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে একটি বিশেষ পার্থক্য হল ইতিবাচক অর্থনীতিকে বর্ণনামূলক অর্থনীতি বলা হয় আর নীতিবাচক অর্থনীতিকে প্রেস্ক্রিপটিভ অর্থনীতি বলা হয়। ইতিবাচক অর্থনীতিতে কি এবং কেন হয় এই দুটি শব্দ বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয় আর নীতিবাচক অর্থনীতিতে কি করা উচিত কি পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত সে বিষয়ে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
উপসংহার: ইতিবাচক অর্থনীতি ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য
প্রিয় শিক্ষার্থীরা আজকের এই পোস্টে আমরা দেখলাম ইতিবাচক অর্থনীতি ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য গুলো। তোমরা অনেকেই আমাকে কমেন্ট বক্সে জিজ্ঞাসা করো যে ইতিবাচক অর্থনীতি ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য কি? তাই আমরা আজকের এই পোস্টে দেখলাম ইতিবাচক অর্থনীতি বলতে বোঝায় যে অর্থনীতির শাস্ত্রে কি এবং কেন শব্দটি ব্যবহার করা হবে।
আর নীতিবাচক অর্থনীতিতে কি করা উচিত কিভাবে সে সমস্যার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে সম্পর্কে আলোচনা করা হয় অর্থাৎ মনে করো একটি দেশের দারিদ্র্যের হার অনেক বেশি সেক্ষেত্রে দারিদ্র্যের হার কমাতে সরকার কি কি পদক্ষেপ অনুসরণ করবে অথবা সরকারের কি করা উচিত সে বিষয়ে সম্পর্কে নীতিবাচক অর্থনীতি আলোচনা করবে।
আর সেই দেশে এত বেশি দরিদ্রের হার কিভাবে হল কেন হল সেই বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা ইতিবাচক অর্থনীতি দিবে। এই দুইটি অর্থনীতি একটি দেশের অর্থ ব্যবস্থা কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অপরিহার্য যেকোনো একটি বাদ দিলে দেশের অর্থ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে।। তাই আমরা আজকের এই পোস্টের আলোচনা করলাম যে ইতিবাচক ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে কোনটি উন্নত।
একটি দেশের অর্থব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য উভয় অর্থনীতি অপরিহার্য। তুমি যদি অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী হয়ে থাকো তাহলে তোমার জন্য এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রশ্নটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে ইতিবাচক অর্থনীতি ও নীতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য কি। এই পোস্টটি তোমার কাছে কেমন লাগলো কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন ভালো লেগে থাকলে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবে/।
ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url