অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা-অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু

অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা খুঁজছেন? অধ্যাপক মার্শালের দেওয়া অর্থনৈতিক সংজ্ঞাটিব্যাপক জনপ্রিয় এবং এ সংজ্ঞাটি পরীক্ষাতে বারবার আসে। তাই আমরা আজকের এই পোস্টে দেখবো অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু এবং অর্থনীতির জনক কে। 
অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা-অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু

আপনারা যারা অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রয়েছেন আপনাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে আজকের এই পোস্টে আমরা অর্থনীতি সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞানের কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর শেয়ার করব। চলুন ঝটপট দেখে আসি অধ্যাপক মার্শালের অর্থনৈতিক সংজ্ঞা অর্থনীতির সংখ্যা ও বিষয়বস্তু এবং অর্থনীতির জনক কে।

পেজ সূচিপত্র : অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা-অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু

অর্থনীতির জনক কে

আমাদের অনেকের মনে এ প্রশ্নটি জেগে উঠে যে অর্থনীতির জনক কে অর্থনীতি এ সাবজেক্টি আবিষ্কার করেছে? প্রিয় শিক্ষার্থী আপনি জানলে অবাক হবেন যে অর্থনীতি এ সাবজেক্টির কোন আবিষ্কারক নেই অর্থাৎ  এক সময়ে সমাজে অর্থনীতি বিষয়ে মানুষের মধ্যে ধারণা এসেছে যার পর থেকে অর্থনীতি এই শব্দটি আবিষ্কৃত হয়েছে তবে কে এই শব্দটি আবিষ্কার করেছে এই বিষয়ে এখনও কোন প্রকার তথ্য পাওয়া যায়নি।

তবে ১৯৭৬ সালের ''The wealth of nation'' বইয়ে প্রথম অ্যাডাম স্মিথ এর একটি সংজ্ঞা প্রকাশ পায় যার মাধ্যমে অর্থনীতির পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যায়। এবং সেই সংজ্ঞাটি হল'' অর্থনীতি হল জাতির সেই সম্পদের প্রকৃতি ও কারণ সম্পর্কে অনুসন্ধান''। এইখানে সেই অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ জাতির সেই সম্পদ বলতে বুঝিয়েছেন উৎপাদিত দ্রব্য অথবা পণ্যকে এবং প্রকৃতি বলতে কিভাবে উৎপাদিত হবে এবং কারণ বলতে বুঝিয়েছেন কেন এই পণ্য উৎপাদন করা হবে।

এডাম স্মিথ এর এই সংজ্ঞাটি অনেক বেশি কার্যকারী ছিল। যার কারণে এই সংজ্ঞাটি প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে অ্যাডাম স্মিথ ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং তাকে অর্থনীতির জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়। অর্থাৎ অর্থনীতির জনক হল অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ । এই প্রশ্নটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাই তোমরা প্রত্যেকে এই প্রশ্নটি মুখস্ত করে রাখো যে অর্থনীতির জনক কে অর্থনীতির জনক হল অর্থনীতিবিদ এডাম স্মিথ।

প্রিয় শিক্ষার্থী  বৃন্দরা আশা করছি তোমরা বুঝতে পেরেছ যে অর্থনীতির জনক কে এবার চলো আমরা দেখে আসি অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞাটি। এবং অর্থনীতিতে অধ্যাপক মার্শালের সংজ্ঞা কি কতটুকু গ্রহণযোগ্য সেই বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পেতে নিচে দেখো।

অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা

তুমি কি অধ্যাপক মার্শালের অর্থনৈতিক সংজ্ঞা খুঁজছো? অর্থনীতিকে বুঝতে এবং অর্থনৈতিক প্রকাশ করতে বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রদান করেছেন তবে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা হলো অ্যাডাম স্মিথের। ১৮৯০ সালে অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শাল তার বিখ্যাত প্রিন্সিপাল অফ ইকোনমিক্স গ্রন্থটি প্রকাশ করেন।

এই অর্থনীতির সংজ্ঞাটি দেওয়ার পর থেকে অধ্যাপক মার্শাল দাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন এবং তার এই সংজ্ঞাটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আজকে আমরা অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা প্রকাশ করব। নিচে দেখে নিন অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শালের ব্যাপক জনপ্রিয় অর্থনীতির সংজ্ঞা।

প্রখ্যাত নয়া ক্লাসিক্যাল অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শাল অ্যাডাম স্মিথ এর অর্থনীতির সংজ্ঞার সমালোচনা করে উন বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে অর্থনীতির এক নতুন সংগ্রহ প্রদান করেন। অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শাল সম্পদের চেয়ে মানব কল্যাণের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ  করে অর্থনীতির একটি যুগান্ত কারি শংকর প্রদান করেন।

তার এ সংজ্ঞা দ্বারা অর্থনীতিকে একটি সংকীর্ণ ও নিন্দনীয় পরিবেশ থেকে রক্ষা করা অনেকটা সক্ষম হয়েছে। তার এই সংজ্ঞাটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ছিল অধ্যাপক আলোফ্রেড মার্শাল মানব কল্যাণের ওপর অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে এই সংজ্ঞাটি তৈরি করেছিলেন। এই জন্য প্রত্যেকের কাছে আলফ্রেড মার্শালের সংজ্ঞাটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে।

অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা
অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শাল তার প্রকাশিত  সেই ''Economics of industry'' ইকোনমিক্স অফ ইন্ডাস্ট্রি নামক গ্রন্থতে বলেন  Economics Is The Study Of Mankind In The Ordinary Businesses Of Life। অর্থাৎ এখানে তিনি বুঝিয়েছেন অর্থনীতি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাধারন কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা করে।

তবে এক ব্যক্তি তার দৈনন্দিন জীবনে কি কি কার্যক্রম সম্পন্ন করছে সেই বিষয়ে নয় একজন ব্যক্তি অর্থ উপার্জনের জন্য দৈনন্দিন জীবনে কি কি কার্য সম্পাদন করে থাকে তাকে অর্থনীতি বলে। যেমন একজন শিক্ষক সে স্কুলের বাচ্চাদেরকে পাঠ দান করতে চাই এটি সে অর্থ উপার্জনের জন্য করছে সে ক্ষেত্রে এটি অর্থনীতি।  দেখুন মার্শালের সংজ্ঞাটির বৈশিষ্ট্য।

মার্শালের সংজ্ঞার বৈশিষ্ট্য

অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শালের সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করলে আমরা অনেক বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করতে পারি। যেমন সামাজিক বিজ্ঞান , বস্তুগত পণ্য, সাধারন কার্যকলাপ, মানব কল্যাণ এবং আর্থিক পরিমাণ। অধ্যাপক মার্শালের সংজ্ঞার বৈশিষ্ট্য গুলোর নিচে আলোচনা করা হলোঃ

সামাজিক বিজ্ঞান
অর্থনীতি একটি সামাজিক বিজ্ঞান। অর্থনীতি সমাজের মানুষের কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা করে থাকে এই কার্যকলাপের মূল উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য হলো মানব কল্যাণ সাধন করা। অর্থাৎ অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হলো মানুষের কল্যাণ করা।

এবং অর্থনীতি শাস্ত্রে মানুষের কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা করা হয় কিভাবে কি করলে মানুষের কল্যাণ হবে সেই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। যেমন একটি দেশের অর্থ ব্যবস্থা কে কিভাবে আরো বেশি উন্নত করা যায় কিভাবে মানব কল্যাণ করা যায় সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে অর্থনীতিতে পর্যালোচনা করা হয়।

বস্তুগত পণ্য
মার্সাদের সঙ্গে বস্তুগত পণ্যের ওপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয় এর কারণ হলো তিনি মনে করেন প্রয়োজনীয় বস্তু প্রাপ্তি ও ব্যবহারের মধ্যে মানব কল্যাণ নিহিত রয়েছে। অধ্যাপক মার্শালের মতে প্রয়োজনীয় বস্তু ঠিকভাবে ব্যবহার করায় মানব কল্যাণ। তাহলে কি প্রয়োজনীয় বস্তুর সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে মানব কল্যাণ হবে না?

মানব কল্যাণ
অধ্যাপক মার সালের মতে অর্থনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষ মানুষের কল্যাণ ও কল্যাণের লক্ষ্যে আয় উপার্জন ও তার যথাযথ ব্যবহার এবং ব্যয় সাধন। এক কথায় মানব কল্যাণী হল অর্থনীতির মূল উদ্দেশ্য। অধ্যাপক মার্শালের সঙ্গাটির মাধ্যমে মানব কল্যাণের দিকে বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। অধ্যাপক মার্শালের সংঘাতে কিভাবে মানব কল্যাণ সাধন হবে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

কিভাবে একটি পণ্য ব্যবহার করলে ব্যক্তি উপকৃত হবে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এবং একজন ব্যক্তি তার কল্যাণের লোক এসে কিভাবে আয় করবে কিভাবে উপার্জন করবে এবং সেই অর্থ কিভাবে যথাযথ জায়গায় ব্যবহার করবে এবং সঞ্চয় করবে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলফ্রেড মার্শাল ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

সাধারণ কার্যকলাপ
মার্শালের মতে অর্থনীতি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা করেন। অর্থাৎ মার্শাল মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কি কি তারা কার্যসম্পাদন করছে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে। অভাব পূরণের লক্ষ্যে মানুষ কিভাবে আয় করে এবং অর্জিত আই কিভাবে ব্যয় করে তার দৈনন্দিন কার্যকলাপের অন্তর্ভুক্ত।

অর্থাৎ অভাব পূরণের লক্ষ্যে একজন ব্যক্তি কিভাবে সে উৎপাদন করবে কিভাবে আয় করবে এবং কিভাবে প্রয়োজনীয় জায়গায় অর্থ ব্যয় করবে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলফ্রেড মার্শাল বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। আলফ্রেড মার্শালের অর্থনীতি শাস্ত্রে ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনের কার্যকলাপের দিকে বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

আর্থিক পরিমাপ
অর্থনীতির সকল অর্থনৈতিক কার্যাবলী অর্থের মাধ্যমে পরিমাপ যোগ্য। অর্থাৎ অর্থনীতির সকল কার্যাবলী যেমন একজন ব্যক্তি দৈনন্দিন জীবনে অর্থ নের জন্য কি কি কার্যাবলী সম্পাদন করছে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে অর্থনীতিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং পরিমাপ করা হয়।

অর্থনীতির সংজ্ঞার মূল বক্তব্য হলো একজন ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনে অর্থ উপার্জনের জন্য কি কি উৎপাদন করে কি কি দ্রব্য অথবা সেবা উৎপাদন করে এবং সেই সেবার মাধ্যমে কিভাবে আয় করে এবং আয় করে কিভাবে সেটার প্রয়োজনীয় জায়গায় অর্থ ব্যয় করে।

তবে অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শালের অর্থনীতির সংঘাতে কোনপ্রকার সঞ্চয় নামক শব্দটি পাওয়া যায়নি অর্থাৎ একজন ব্যক্তির প্রয়োজনীয় জায়গায় কত ব্যয় করার পর কত টাকা কিংবা কিভাবে অর্থ সঞ্চয় করবে সে বিষয় সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এবার চলুন আমরা দেখে আসি মার্শালের সংজ্ঞার সমালোচনা গুলো।

মার্শালের সংজ্ঞার সমালোচনা 

 ওপরে আমরা দেখলাম মার্শালের সংজ্ঞাটি তবে সংজ্ঞাটিতে কোথাও সঞ্চয় নামক শব্দ ব্যবহার করা হয়নি আবার তার সংজ্ঞা অসম্পূর্ণ রয়েছে। অর্থনীতি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা তিনি প্রদান করতে পারেনি যেমন মার্শালের সংজ্ঞা অনুযায়ী মানুষের যে সমাজ কার্যাবলীদের বাস্তব প্রদান সাধন করে,

কেবল তাই অর্থনীতির আলোচ্য বিষয় কিন্তু বাস্তবে মানব কল্যাণ সম্পর্কিত এমন অনেক আলোচিত বিষয় রয়েছে শেষ বিষয়গুলো সম্পর্কে আলফ্রেড মার্শাল কোন প্রকার ধারণা দিতে পারেনি। অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শালের সমালোচনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে নিচে দেখুন

অবস্তু জাত দ্রব্য 
অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শালের সংজ্ঞায় শুধুমাত্র মাত্র বস্তুগত দ্রব্য নিয়ে আলোচনা করে। কারণ এমন অনেক অবস্ত জাত দ্রব্যের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ সাধিত হয় যেমন শিক্ষক গায়কের গান আইনজীবী পরামর্শ ইত্যাদি। গায়ক রয়েছেন যারা নিজেদের গানের মাধ্যমে কল্যাণ সাধন করেছেন আবার আর্টিস্ট রয়েছেন যারা নিজেদের আর্ট অথবা চিত্রকলার মাধ্যমে নিজেদের কল্যাণ সাধন করেছেন এই জন্য শুধুমাত্র বস্তুগত দ্রব্যের মাধ্যমে কল্যাণ সাধিত হয় না অ বস্তুগত দ্রব্যের মাধ্যমেও কল্যাণ সাধন হয়। 

অর্থের দ্বারা কল্যাণের পরিমাণ 
অধ্যাপক মার্শাল মানব কল্যাণকে অর্থ, আয় ব্যয় এর সাথে সম্পৃক্ত করেছেন অর্থাৎ তিনি কল্যাণকে অর্থের মাধ্যমে পরিমাপ করেছেন অথচ কল্যাণ একটি মানসিক বিষয় তাই কল্যাণকে অর্থের মাধ্যমে পরিমাপ করা ঠিক হয়নি। মানবকল্যাণ সব সময় অর্থের দ্বারা পরিমাপ করা সম্ভব হয় না। তবে তিনি শুধুমাত্র কল্যাণকে অর্থের দ্বারা পরিমাপ করেছেন যা সম্পূর্ণ ভুল। 

অর্থনীতির নীতিশাস্ত্র নয় 
অর্থনীতিকে অধ্যাপক মার্শাল নীতিশাস্ত্রে পরিণত করেছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে অর্থনৈতিক একটি নিরপেক্ষ বিজ্ঞান। এটি ভালো-মন্দ বা কল্যাণ অকল্যান বিচার করে না এবং কোন ইতিবাচক মতামত প্রকাশ করা এর কাজ নয়।  অধ্যাপক মার্শনের সংজ্ঞা অনুযায়ী জানা যায় যে শুধুমাত্র সমাজের কার্যাবলী গুলো মানব কল্যাণ সাধনের সহায়তা করে কিন্তু ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভুল অর্থনীতিতে এমন আরো অনেক বিষয় রয়েছে যে সমস্ত বিষয়গুলোর সাথে মানব কল্যাণ জড়িত রয়েছে। 

মানবীয় বিজ্ঞান 
মার্শাল অর্থনীতিকে সামাজিক বিজ্ঞান হিসেবে বিবেচনা করেছেন কিন্তু অধ্যাপক এর রবিন্স বলেন অর্থনীতি একটি মানবীয় বিজ্ঞান। এটি মার্শালের সংজ্ঞার একটি অন্যতম দুর্বলতা। অর্থাৎ মার্শাল অর্থনীতিকে সামাজিক বিজ্ঞান হিসেবে বিবেচনা করেছেন কিন্তু সমাজের বিজ্ঞানের পাশাপাশি অর্থনীতি মানবীয় বিজ্ঞান হিসেবে পরিচিত কারণ অর্থনীতিতে একজন ব্যাক্তি কল্যাণ থেকে শুরু করে তার আচার-আচরণ সবকিছু নিয়ে আলোচনা করা হয়। 

অর্থনীতি শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির সমাজকে নিয়ে আলোচনা করে না বরং এটি দেশের অর্থ ব্যবস্থা এবং মানবকল্যাণ সহ একজন ব্যক্তির প্রতিটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করে এর জন্য প্রতিটি দেশের জন্য একজন অর্থনীতিবিদের প্রয়োজন রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির ব্যবস্থা যত উন্নত হবে সেই দেশের জনগণ তত বেশি সুবিধা লাভ করতে পারবে। 

স্বল্পতার সমস্যাকে উপেক্ষা
আধুনিক অর্থনীতিবিদগণের মতে স্বল্পতার সমস্যায় অর্থনীতির মূল সমস্যা। মানুষের অসীম অভাব ও সীমাবদ্ধ সম্পদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করাই হলো মানব জীবনের মৌলিক অর্থনীতি সমস্যা। অধ্যাপক এর রবিনস বলেন মার্শালের সঙ্গে মানব জীবনের নানারকম মৌলিক সমস্যার প্রতি কোন দৃষ্টিপাত করা হয়নি। অর্থনীতি মৌলিক বিষয় হলো সীমিত সম্পদের সাহায্যে অসীম অভাবকে পূরণ করা তবে অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শালের সংঘাতে এমন কোন মৌলিক বিষয় লক্ষ্য করার যায়নি যার কারণে আলফ্রেড মার্শালের সংজ্ঞাটি  অসম্পূর্ণ ।

মানব কল্যাণের ওপর অধিক গুরুত্ব আরোপ 
মানব কল্যাণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে গিয়ে অধ্যাপক মার্শাল অর্থনীতিকে কল্যাণমূলক বিজ্ঞানের পরিণত করেছেন। কিন্তু এমন অনেক বস্তু আছে যার উৎপাদন ও ভোগ কল্যাণকর নয় অথচ তা অর্থনীতির আলোচনা ভুক্ত। যেমন মদ গাঁজা হিরোইন ইত্যাদি। অর্থনীতির প্রতিটি বিষয় কল্যাণমূলক হয় না অনেক বিষয়ে মানবের অকল্যাণ মূলকও হয়ে থাকে। যেমন মদ ও গাজা উভয় মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর। 

উপরই উক্ত সমালোচনা সত্ত্বেও মার্শালের সংজ্ঞা অর্থনীতির মানব কল্যাণ ভিত্তিক সংখ্যার মর্যাদা লাভ করে তিনি অর্থনীতিকে মানব ধর্মী বিজ্ঞানী হিসেবে চিহ্নিত করেন অর্থনীতির সাথে মানব জীবনের এই যোগসূত্র স্থাপনের কারণে তার সংজ্ঞা এখনো যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তাই সঙ্গে যথেষ্ট খুদ থাকা সত্বেও তার সংজ্ঞা মানব কল্যাণ ভিত্তিক হওয়ার কারণে সে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং মর্যাদা লাভ করেছে। 

প্রিয় পাঠক গন আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অধ্যাপক মার্শাল এর অর্থনীতির সংজ্ঞা সম্পর্কে। এই ছিল অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শাল এর অর্থনীতির সংজ্ঞা এই সংজ্ঞাটি দেওয়ার মাধ্যমে অধ্যাপক আলফ্রেড মার্শাল ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। তবে তার এই সংজ্ঞা অসম্পূর্ণ থাকার। এবার চলুন আমরা দেখে আসি বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ কোনটি। 

বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ কোনটি

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ কোনটি? অর্থাৎ কোন দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সবচেয়ে উন্নত। আমরা প্রত্যেকে জানি যে যে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি উন্নত সেই দেশের জনগণ সবচেয়ে বেশি সুবিধা এবং সুযোগ লাভ করতে পারে। যে দেশের অর্থনীতিবিদ যত বেশি উন্নত সেই দেশের অর্থ ব্যবস্থা তত উন্নত একজন অর্থনীতিবিদ জানেন কিভাবে একটি দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হয়। 

সে ক্ষেত্রে দেখা যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রতে বসবাস করার জনগণ সবচেয়ে বেশি দেশের সুযোগ সুবিধা লাভ করতে পারে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ হিসেবে দ্বিতীয়তে রয়েছে চীন অথবা চায়না। চায়না দেশের অর্থব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত এবং সেই দেশের জনগণ অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা লাভ করতে পারে। বিশ্বের সবচেয়ে পর অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় রয়েছে জাপান এবং জার্মান। 

এই তিনটি দেশ সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিচিত। এই তিনটি দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত আরও একটি দেশ রয়েছে যেমন রাশিয়া। রাশিয়া দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত। তবে রাশিয়ার প্রতিটি জেলার অর্থ ব্যবস্থা উন্নত নয় যার কারণে রাশিয়াকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ হিসেবে গণ্য করা হয় না।

প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ কোনটি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র চাইনা এবং জাপান। এবার চলুন আমরা দেখে আসি অর্থনীতিকে সম্পদের বিজ্ঞান বলে অভিহিত করেছেন কে। 

অর্থনীতিকে সম্পদের বিজ্ঞান বলে অভিহিত করেছেন কে

আপনি কি জানেন অর্থনীতিকে সম্পদের বিজ্ঞান বলে অভিহিত করেছেন কে? অর্থনীতি হলো সম্পদের বিজ্ঞান এ কথাটি কে বলেছেন? পরীক্ষাতে এই প্রশ্নটি আসতে পারে অথবা আপনারা যারা অর্থনীতিবিভাগের শিক্ষার্থী রয়েছেন আপনাদের জন্য এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা খুবই জরুরি। অর্থনীতিকে সম্পদের বিজ্ঞান বলে অভিহিত করেছেন অর্থনীতিবিদ এবং অর্থনীতির জনক এডাম স্মিথ।

তিনি মনে করতেন অর্থনীতির মানুষের সম্পদ নিয়ে আলোচনা করে এবং সম্পদের বিষয়বস্তু সম্পদ আহরণ সঞ্চয় এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে। এইজন্য তিনি তার বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত গ্রন্থটিতে অর্থনীতির সংজ্ঞা প্রদান করেন এবং সেই সংঘাতে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেন অর্থনীতি সম্পদের বিজ্ঞান। তার এই ব্যাখ্যা প্রত্যেকের মন ছুয়েছিল এবং তার এই সংজ্ঞাটি পুরো বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত হয়ে পড়েছিল যার কারণে এডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

অ্যাডাম স্মিথ সম্পদের বিজ্ঞানের ধারণা সমূহr7

এটি অর্থনীতির মূল বিন্দু হিসেবে সম্পদ উৎপাদন ও বিতরণ এর উপর জোর দেয়।
এটি ব্যক্তিগত বাজার ব্যবস্থাকে সমর্থন করে এবং তার ওপর জোর দেয়। 
তার ধারণাই সীমিত সম্পদের কথাটি স্পষ্ট প্রকাশ পায়। 

উপরিক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে  অর্থনীতিকে সম্পদের বিজ্ঞান বলে অভিহিত করেছেন অর্থনীতিবিদ এবং অর্থনীতির জনক অ্যাডাম স্মিথ। তিনি তার বিখ্যাত সেই বইটির মধ্যে সংহার সাথে অর্থনীতির ধারণা হিসেবে ব্যাখ্যা করেন যে অর্থনীতি সম্পদের বিজ্ঞান। এবার চলুন আমরা দেখে নেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাত কয়টি ও কি কি। 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাত কয়টি ও কি কি 

পরীক্ষাতে অনেক সময় এ প্রশ্নটি আসে যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাত কয়টি ও কি কি ব্যাখ্যা কর। তাই আমাদের প্রত্যেকের জেনে রাখতে হবে যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাত কয়টি ও কি কি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কিত আমরা প্রত্যেকেই জানি তবে বাংলাদেশের খাত তিনটি এবং তা হল কৃষি শিল্প এবং সেবা। বাংলাদেশ একটি কৃষি উন্নয়ন দেশ। 

বাংলাদেশের কৃষকের সংখ্যা অনেক বেশি এমনকি প্রথম থেকে বাংলাদেশে বেশিরভাগ কৃষক অবস্থান করে যার কারণে বাংলাদেশকে কৃষি উন্নয়ন দেশ বলা হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি সবচেয়ে বড় খাট এটি বাংলাদেশের মোট জিডিপিতে ১৩.৫% অবদান রাখে আর ৪৫ শতাংশ কর্মসংস্থান তৈরি করতে সহায়তা করে। যে অঞ্চলের কৃষি ব্যবস্থা যত বেশি উন্নয়ন সেই অঞ্চলের কর্মসংস্থান তত বেশি।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত হিসেবে পরিচিত রয়েছে শিল্পখাত। বাংলাদেশের অন্যান্য বিভাগের দুজনে ঢাকা বিভাগের সবচেয়ে বেশি শিল্প খাত রয়েছে অর্থাৎ শিল্প কারখানা রয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিবছর পোশাক রপ্তানি করে প্রচুর টাকা আয় করেন। বাংলাদেশের মোট জিডিপিতে শিল্পখাত ২৫.৯% অবদান রাখে এবং এ শিল্প খাতের মাধ্যমে ১৪% কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। 

এবং সর্বশেষ খাত হলো সেবা খাত। সেবা খাত বাংলাদেশের মোট জিডিপিতে প্রায় ৬০.২% অবদান রাখে এবং সেবা খাতের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির হার হল প্রায় ৪৫ পার্সেন্ট। সেবা খাত বলতে বোঝায় যেমন শিক্ষক চিকিৎসক তারা যে সেবা প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ একজন শিক্ষকের কাজ যেমন শিক্ষার্থীদের কে শিক্ষা দেওয়া জ্ঞান প্রদান করা তেমনি ডাক্তারের দায়িত্ব হল একজন রোগীকে সারিয়ে তোলা।

এই ছিল বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম খাত। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বাংলাদেশের কয়টি খাত ও কি কি বাংলাদেশের তিনটি খাত। যেমন কৃষি শিল্প এবং সেবা। আজকের এই পোস্টে আমরা অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতির সংগা সহ অর্থনীতির জনক কে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাত কয়টি ও কি কি সাথে অর্থনীতিকে সম্পদের বিজ্ঞান বলে অভিহিত করেছেন কে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম। এবার চলুন আমরা দেখে আসি অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে। 

অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু

উপরে আমরা অর্থনীতির সংজ্ঞা সম্পর্কে জেনেছি তবে আপনার সুবিধার্থে আমরা আরও একটি ছোট সংজ্ঞা চলুন জেনে আসি। ''চাহিদা পূরণের জন্য সীমিত সম্পদের উত্তম ব্যবহারকে অর্থনীতি বলা হয়''। অথবা ''চাহিদা পূরণের জন্য সীমিত সম্পদের ব্যবহারের অধ্যয়নকেই অর্থনীতি বলা হয়''। উভয় ভাবেই বলা যায় অর্থনীতিতে সীমিত সম্পদের মাধ্যমে অসীম চাহিদা পূরণ করার ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অর্থনীতির বিষয়বস্তু দুইটি। ১) সামষ্টিক অর্থনীতি, ২) ব্যষ্টিক অর্থনীতি। 

সামষ্টিক অর্থনীতি

১) অর্থনীতিতে একটি দেশের সমগ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। যেমন মোট জাতীয় আয় বেকারত্ব। অর্থাৎ একটি দেশের সকল জনগণের কি কি সমস্যা রয়েছে কোন কোন সমস্যা রয়েছে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে সামষ্টিক অর্থনীতিতে আলোচনা করা হয়। একটি দেশের সমগ্র বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করাকে সামস্তিক অর্থনীতি বলা হয়।

২) মোট জাতীয় আয়: একটি দেশের নির্দিষ্ট একটি সময়ে উৎপাদিত পণ্যের  ও সেবার মোট আয় কত? অর্থাৎ সাধারণত এক বছরে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের এবং সেবার দ্বারা মোট কত টাকা আয় করা সম্ভব হয়েছে সেই বিষয়ে সামষ্টিক অর্থনীতি আলোচনা করে। আবার

৩) বেকারত্ব:
একটি দেশের নির্দিষ্ট সময়ে বেকারত্বের হার এত বেশি কেন? কেন তাদের কোন চাকরি নেই? একটি দেশে কতজন ব্যক্তির চাকরি নেই? কতজন ব্যক্তি বেকার বসে রয়েছে? এই সমস্ত বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা ও আলোচনাকেই সামষ্টিক অর্থনীতি বলা হয়।

ব্যষ্টিক অর্থনীতি 

১) ব্যষ্টিক অর্থনীতি সবসময় পরিবার এবং ফার্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপর নির্ভরশীল থাকে। ব্যষ্টিক অর্থনীতিতে গ্রাহক আচরণ বাজার এবং উৎপাদন নিয়ে আলোচনা করা হয়। ব্যষ্টিক অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় যেমন সামষ্টিক অর্থনীতিতে একটি দেশের সমগ্র জনগণ সমগ্র জনগণের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয় তেমনি ব্যষ্টিক অর্থনীতিতে একটি দেশের কয়েকটি নাগরিকের সমস্যা সমাধান করা হয়।

২) গ্রাহকের আচরণ :
কিভাবে একজন গ্রাহক সে পরিষেবাটি ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং আচরণ করে? গ্রাহক কেন সেই পণ্যটি কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ব্যষ্টিক অর্থনীতিতে বিস্তারিত আলোচনা করা রয়েছে। আবার

৩) বাজার:
কিভাবে বাজার ব্যবস্থাতে দাম নির্ধারণ হয়? বাজারে বিভিন্ন উপায়ে দাম নির্ধারিত হয় তবে বেশিরভাগ বাজারে অগাধ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করা হয়। এখানে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়েই নিজেদের একটি দাম উপস্থাপন করেন এবং প্রত্যেকের দাবি উপস্থাপন করার মাধ্যমে অগাধ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয় এবং এই অগাধ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাজার ভারসাম্য অনুসারে একটি দাম নির্ধারিত হয়।

ওপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। অর্থনীতির সংজ্ঞা উপরে আমরা ব্যাখ্যা করেছি এবং অর্থনীতির বিষয়বস্তু দুইটি একটি ব্যষ্টিক অর্থনীতি আর একটি সামষ্টিক অর্থনীতি। আপনারা যারা অর্থনৈতিক শিক্ষার্থী রয়েছেন আপনারা নিশ্চয় জানেন ব্যষ্টিক অর্থনীতি এবং সামষ্টিক অর্থনীতি সম্পর্কে।

উপসংহার :অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা-অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু 

প্রিয় পাঠক বৃন্দ উপরই উক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতির সঙ্গ সম্পর্কে এবং অধ্যাপক মার্শালের সমালোচনা সম্পর্কে। অধ্যাপক মার্শালের সংজ্ঞাটি অসম্পূর্ণ ছিল যার কারণে সেই সংজ্ঞা সম্পর্কে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। আজকের এই পোস্টে আমরা অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা সহ অর্থনীতির জনক কে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ কোনটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাত কয়টি ও কি কি

এবং অর্থনীতিকে সম্পদের বিজ্ঞান বলে অভিহিত করেছেন কে? সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত দেখলাম। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে অর্থনীতির জনক কে? অর্থনীতির জনক হলে অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ তিনি তার বিখ্যাত একটি বইয়ের প্রথম সংজ্ঞাটি প্রকাশ করেন এবং এই সংজ্ঞাটির মাধ্যমে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এডাম স্মিথ এর সংজ্ঞার মাধ্যমে অর্থনীতির পূর্ণাঙ্গ মানে বোঝা যায় যার কারণে অ্যাডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়।

এছাড়াও আমরা আজকের এই পোস্টে আরো আলোচনা করলাম যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ কোনটি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সবচেয়ে উন্নত এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ সবচেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা লাভ করতে পারে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ হিসেবে দ্বিতীয়তে রয়েছে চীন অথবা চায়না। আর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে রয়েছে জাপান।

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন আজকের এই পোস্টে আমরা অধ্যাপক মার্শালের অর্থনীতির সংজ্ঞা সহ তার সঙ্গে কি কি ক্ষুদ রয়েছে কোন কোন দিকগুলো অসম্পূর্ণ রয়েছে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছি। এই পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানিয়ে দিবেন আর আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url