অর্থনীতি কাকে বলে ৫ম শ্রেণি - অর্থনীতি জনক কে

অর্থনীতি জনক কে? অর্থনীতি কাকে বলে ৫ম শ্রেণি? তুমি কি পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী? অর্থনীতির আলাদা আলাদা ব্যাখ্যা রয়েছে তবে প্রতিটি ব্যাখ্যার মিনিং একই। বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ অর্থনীতির সংজ্ঞা কে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তবে সবচেয়ে সহজ ব্যাখ্যা আমরা আজকে তোমাদের সাথে শেয়ার করব। আজকের এই পোস্টে অর্থনীতি কাকে বলে ৫ম শ্রেণি? অর্থনীতি জনক কে এবং আধুনিক অর্থনীতির জনক কে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানব। 
অর্থনীতি কাকে বলে ৫ম শ্রেণি - অর্থনীতি জনক কে
আজকের এই পোস্টটি তোমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে পরীক্ষাতে অনেক সময় অর্থনীতি কাকে বলে অর্থনীতির সংজ্ঞা, পল স্যামুয়েলসন এর অর্থনীতির সংজ্ঞা চায়। এইজন্য এই সংজ্ঞা গুলো আমাদেরকে মুখস্ত করে রাখতে হবে। চলো তাহলে আর দেরি না করে আমরা ঝটপট দেখে আসি অর্থনীতি কাকে বলে ৫ম শ্রেণি অর্থনীতি জনক কে এবং আধুনিক অর্থনীতির জনক কে।

পেজ সূচিপত্রঃ অর্থনীতি কাকে বলে ৫ম শ্রেণি - অর্থনীতি জনক কে

 অর্থনীতি জনক কে 

অর্থনীতির জনক কে? আমাদের অনেকের মনে যথেষ্ট কনফিউশন রয়েছে অর্থনীতির জনক অ্যাডাম স্মিথ নাকি পল স্যামুয়েলসন? আজকে আমরা একটি ক্লিয়ার তথ্য জানতে পারবো যে অর্থনীতি জনক কে?

১৯৭৬ সালে রচিত একটি গ্রন্থ থেকে স্মিথ এর অর্থনীতির সংখ্যাটি পাওয়া যায় এবং এই সংখ্যাটি প্রত্যেকের মন কেড়েছিল যার ফলে অ্যাডাম স্মিথ এর সংগ্রহের কারণে প্রচুর খ্যাতি লাভ করেছিল এবং অ্যাডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় তারপর থেকে অ্যাডাম স্মিথ কে অর্থনীতির জনক হিসেবে আমরা প্রত্যেকেই চিনি।

স্মার্ট প্রথম অর্থনীতির এই সংজ্ঞাটি প্রদান করেছিলেন যে অসীম অভাবকে কিভাবে সীমিত সম্পদের মাধ্যমে পূরণ করা যায় তাকেই অর্থনীতি বলা হয়। অর্থনীতি সম্পর্কে প্রথমে কারো কাছে কোন ক্রিয়ার তথ্য ছিল না কিন্তু অ্যাডাম স্মিথ প্রথম তার একটি গ্রন্থের এই সংজ্ঞাটি ব্যাখ্যা করেন যে অর্থনীতি কাকে বলে। 

এই সংজ্ঞাটি প্রত্যেকের মন ছুঁয়েছিল এবং এ সংখ্যাটির কারণে অ্যাডাম স্মিথ প্রচুর খ্যাতি লাভ করেছিল তারপর থেকে অ্যাডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক হিসেবে জানা হয়। প্রতিটি অর্থনীতির বইয়ে অর্থনীতির জনক হিসেবে অ্যাডাম স্মিথের নাম রয়েছে এই সংজ্ঞাটি প্রদান করার মাধ্যমে অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ প্রচুর খ্যাতি লাভ করেছিলেন।

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আশা করছি তোমরা বুঝতে পেরেছ যে অর্থনীতি জনক কে। তোমাদের সুবিধার্থে আমি আবারো বলি বর্তমান সময়ে অর্থনীতি জনক হল মহান অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ। তবে অর্থনীতির জনক হিসেবে আমরা আরও একজনকে চিনি চলো আমরা দেখে আসি আধুনিক অর্থনীতির জনক কে।

আধুনিক অর্থনীতির জনক কে 

আধুনিক অর্থনীতির জনক কে? উপরে আমরা দেখলাম অর্থনীতির জনক কে তবে আধুনিক অর্থনীতির জনক আবার কে? আমাদের প্রত্যেকের মনে এই দুইটি প্রশ্ন বড্ড কনফিউশন সৃষ্টি করে যে অর্থনীতির জনক আবার আধুনিক অর্থনীতির জনক কে? ওপরে তো আমরা দেখলাম অর্থনীতির জনক অ্যাডাম স্মিথ তাহলে আধুনিক অর্থনীতির জনক কে? 

আধুনিক অর্থনীতির জনক হল পল স্যামুয়েলসন। পল স্যামুয়েলসন এর অর্থনৈতিক সংজ্ঞাটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রত্যেকেই মনে করেছেন যার কারণে বর্তমান সময়ে আধুনিক অর্থনীতির জনক হিসেবে পল স্যামুয়েলসনকে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ১৯৭৬ সালে মহান অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক হিসেবে জানা যেত।

কিন্তু পরবর্তী সময়ে পল স্যামুয়েলসন অর্থনীতির একটি সংজ্ঞা প্রদান করেন যেখানে লেখা থাকে মানুষের অসীম অভাবকে কিভাবে সীমিত সম্পদের মাধ্যমে পূরণ করা যায় একই অর্থনীতি বলা হয়। অথবা অর্থনীতি শাস্ত্রী আলোচনা করা হয় যে অসীম অভাবকে সীমিত সম্পদের মাধ্যমে পূরণ করার উপায় গুলো ।

পল স্যামুয়েলসন এই সংজ্ঞাটি দেওয়ার পর অনেক বেশি খ্যাতি লাভ করে এবং তাকে আধুনিক অর্থনীতির জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আশা করছি তোমরা বুঝতে পেরেছ আধুনিক অর্থনীতির জনক কে। আধুনিক অর্থনীতির জনক হল পল স্যামুয়েলসন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি অর্থনীতি কাকে বলে ৫ম শ্রেণি।

অর্থনীতি কাকে বলে ৫ম শ্রেণি

৫ম শ্রেণিতে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য অর্থনীতির ব্যাখ্যা খুবই সহজ এই এক লাইনের ব্যাখ্যাটি পরীক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তুমি যদি এই এক লাইনটি হুবহু খাতায় লিখতে পারো তাহলে ফুল মার্ক লাভ করতে পারবেন। বর্তমান সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কিত আমরা প্রত্যেকেই জানি। 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিহারে যদি চলেছে এর পিছে বিভিন্ন কারণ রয়েছে সেই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আমরা অন্যদিন জানব আজকে আমরা অর্থনীতি কাকে বলে এবং এর সংজ্ঞা গুলো দেখব। নিচে দেখো অর্থনীতি কাকে বলে ৫ম শ্রেণি সংজ্ঞা দেওয়া রয়েছে।

''মানুষের অসীম অভাব কিভাবে সীমিত সম্পদের মাধ্যমে পূরণ করা যায় সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে যে আলোচনা করা হয় তাকে অর্থনীতি বলা হয়''। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে অভাবের কোন শেষ নাই। আমাদের আজকে এই জিনিসের অভাব অনুভূত হয়, কালকে আরেকটি জিনিসের অভাব অনুভূত হয়।

অর্থাৎ আমাদের মানব জীবনে অভাবের কোন শেষ নেই কিন্তু সম্পদ তো সীমিত। এই সীমিত সম্পদ নিয়ে কিভাবে অসীম অভাবকে পূরণ করা যায় সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে অর্থনীতিতে আলোচনা করা হয়। মানুষের জীবন যাত্রার মানকে আরও বেশি উন্নত করার জন্য এবং অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটনার জন্য অর্থনীতির আবিষ্কার হয়। 

তোমাকে এত ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র উপরের এই লাইনটি খাতায় উল্লেখ করবে যে ''মানুষের অসীম অভাব কিভাবে অল্প সম্পদ অথবা সীমিত সম্পদের মাধ্যমে পূরণ করা যায় সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে যেখানে আলোচনা করা হয় তাকে অর্থনীতি বলা হয়''। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আশা করছি তোমরা বুঝতে পেরেছ যে অর্থনীতি কাকে বলে ৫ম শ্রেণি। এবার চলো আমরা দেখে আসি অর্থনীতি কাকে বলে ৭ম শ্রেণি।

অর্থনীতি কাকে বলে ৭ম শ্রেণি

পঞ্চম শ্রেণীতে তুলনায় সপ্তম শ্রেণীতে অর্থনীতি কাকে বলে? এই ব্যাখ্যাটি আরো একটু স্পষ্টভাবে লিখতে হবে। এবং খাতায় ব্যাখ্যা লিখতে হবে  অর্থনীতি কাকে বলে সেই সম্পর্কে। অর্থনীতি কাকে বলে প্রথমে একটি সংজ্ঞা দিতে হবে তারপর সংজ্ঞার নিচে অল্প ব্যাখ্যা উল্লেখ করে দিতে হবে। চলো তাহলে আমরা ঝটপট দেখে আসি অর্থনীতি কাকে বলে ৭ম শ্রেণি।

''অর্থনীতি হল এমন একটি সমাজবিজ্ঞান যা মানুষের সীমিত সম্পদ এবং অসীম অভাবের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এবং মানব জীবনকে আরো উন্নত করে তোলে''। অর্থনীতি মানব জীবনে কল্যাণ স্বরূপ। এবং অর্থনীতির উদ্দেশ্য হলো মানুষের সীমিত সম্পর্কে সর্বোত্তম ব্যবহার করা এবং সীমিত সম্পদের মাধ্যমে অসীম অভাবকে পূরণ করা। অর্থনীতির প্রথম ধাপ হল যদি সম্পদের হার সীমিত হয় তাহলে নির্বাচন করতে হবে। 

আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সম্পদের হার অনেক সীমিত যার কারণে আমাদেরকে নির্বাচন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে অভাব পূরণ করতে হয় অর্থাৎ আমাদের সবচেয়ে বেশি অভাবটি আগে পূরণ করতে হয়। সহজ ভাষায় বলি নির্বাচন বলতে বোঝায়, অনেকগুলো অভাবের মধ্যে থেকে যেই অভাবটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই অভাবটি সবার আগে পূরণ করা।

অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপের নাম হলো নির্বাচন। আশা করছি তুমি নির্বাচন সম্পর্কে বুঝতে পেরেছ।  অর্থনীতি কাকে বলে ৭ম শ্রেণি সংজ্ঞাটি একটু বড় তবে বুঝে পড়লে তোমার কাছে সহজ মনে হবে। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আশা করছি তুমি বুঝতে পেরেছ অর্থনীতি কাকে বলে ৭ম শ্রেণি সম্পর্কে।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন 

অর্থনীতির জনক কে? 
অর্থনীতির জনক কে? অনেকের মনে এই প্রশ্নটার নিশ্চয়ই আসে, যে অর্থনীতির জনক কে? অর্থনীতির জনক হল আদম স্মিথ ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত একটি গ্রন্থে অ্যাডাম স্মিথ এর সংজ্ঞাটিক প্রকাশ পায় যার ফলে অ্যাডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় কারণ সেই সংজ্ঞাটির মাধ্যমে অর্থনীতির সম্পূর্ণ অর্থ ফুটে ওঠে। সেই সংজ্ঞাটি প্রদান করার মাধ্যমে এডাম স্মিথ প্রচুর খ্যাতি লাভ করেছিলেন। 

আধুনিক অর্থনীতির জনক কে?
আধুনিক অর্থনীতির জনক কে? অর্থনীতির জনক হল এডাম স্মিথ তাহলে আধুনিক অর্থনীতির জনক অ্যাডাম স্মিথ হবে? ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত একটি গ্রন্থে অ্যাডাম স্মিথের সেই বিখ্যাত অর্থনৈতিক সংখ্যাটি প্রকাশ পেয়েছিল যার ফলে এডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয় তবে সময়ের ব্যবধানে পল স্যামুয়েলসনকে এখন আধুনিক অর্থনীতির জনক হিসেবে জানা হয়। 

অ্যাডাম স্মিথ কত সালে অর্থনীতির জনক হিসেবে আখ্যা পায়? 
১৯৭৬ সালে অ্যাডাম স্মিথ অর্থনীতির জনক হিসেবে আখ্যা পেয়েছিল। 

অর্থনীতির সংজ্ঞা কোথায় পাবো?
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দরা তোমরা কি অর্থনীতির সঙ্গা খুঁজছো? বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ অর্থনীতিকে বিভিন্ন সংজ্ঞায় প্রকাশ করেছেন তবে আজকের এই পোস্টে আমরা সবচেয়ে সহজ ভাষায় তোমাদের সাথে অর্থনীতির সংজ্ঞা শেয়ার করলাম। তোমরা যদি বউয়ের ভাষায় অর্থনীতির সংজ্ঞা মুখস্থ করতে অভ্যস্ত না হয়ে থাকো তাহলে তোমরা তোমাদের নিজের ভাষায় অর্থনীতিকে বিচার বিশ্লেষণ করবে।

লেখকের শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই পোস্টে আমরা দেখলাম অর্থনীতি জনক কে অর্থনীতি কাকে বলে ৫ম শ্রেণি, অর্থনীতি কাকে বলে ৭ম শ্রেণি, পল স্যামুয়েলসন এর অর্থনীতির সংজ্ঞা এবং আধুনিক অর্থনীতির জনক কে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম। তোমরা যারা পঞ্চম শ্রেণি এবং সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রয়েছে তোমাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তাই এই পোষ্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহ পড়তে থাকো । পরীক্ষাতে অর্থনীতি কাকে বলে অর্থনীতি এর সংজ্ঞা দাও এই প্রশ্নগুলো বারবার আসে এর জন্য প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে মুখস্ত করে রাখো। এছাড়াও আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করেছি অর্থনীতির জনক কে অর্থনীতির জনক হল অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ। 

১৯৭৬ সালের একটি গ্রন্থের মাধ্যমে অ্যাডাম স্মিথ এর সংজ্ঞাটি সবার সামনে প্রকাশ পায় এবং এই সংজ্ঞাটির পর থেকে অ্যাডাম স্মিথের খ্যাতি আরো ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। এই সংখ্যাটির মাধ্যমে অর্থনীতির সম্পূর্ণ প্রেক্ষাপটকে বোঝা যায় যার কারণে ১৯৭৬ সালে অ্যাডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

তবে সময়ের ব্যবধানে অর্থনীতির জনক হিসেবে অ্যাডাম স্মিথ থাকার পাশাপাশি আধুনিক অর্থনীতির জনক হিসেবে অর্থনীতিবিদ পল স্যামুয়েলসনকে আখ্যায়িত করা হয়েছে অ্যাডাম স্মিথ এরপর পল স্যামুয়েলসন সীমিত সম্পদ এর মাধ্যমে অসীম অভাবকে পূরণ করার ক্ষমতা কে অর্থনীতি বলা হয় এই সংজ্ঞাটি দেওয়ার মাধ্যমে আধুনিক অর্থনীতির জনক হিসেবে খ্যাতি লাভ করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url