২২ ক্যারেট রূপা চেনার উপায়-কোন রূপা ভালো জানুন

২২ ক্যারেট রূপা চেনার উপায় কি? ২২ ক্যারেট রুপা চিনা খুবই মুশকিল। ২২ ক্যারেট রুপা চেনার  উপায় সম্পর্কে জানতে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন। আজকের এই পোস্টে আমরা ২২ ক্যারেট রুপা চেনার উপায়, কোন রুপা ভালো এবং ইটালিয়ান রুপার ভরি কত ২০২৪ সাথে ১ ভরি রুপার দাম কত ২০২৪ সালে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
২২ ক্যারেট রূপা চেনার উপায়-কোন রূপা ভালো জানুন
২০২৪ সালে কোন রূপার সবচেয়ে ভালো এবং ২২ ক্যারেট রুপা চেনার উপায় কি সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়তে থাকো। ২২ ক্যাডেট রুপা চিনার বিশেষ কয়েকটি উপায় রয়েছে এই উপায় অবলম্বন করে সহজেই ২২ ক্যারেট রুপা এবং ১৮ ক্যারেট অথবা ১৯ ক্যারেট রুপার মধ্যে তফাৎ বের করা সম্ভব। চলো তাহলে এবার আমরা ঝটপট দেখে আসি ২২ ক্যারেট রুপা চেনার উপায়গুলো এবং কোন রুপা ভালো।

পেজ সূচিপত্র: ২২ ক্যারেট রূপা চেনার উপায়-কোন রূপা ভালো জানুন

বর্তমান সময় ২০২৪ সালে আকাশ ছোয়া স্বর্ণের দাম। এত দাম দিয়ে গরিব এবং মধ্যবিত্তদের জন্য স্বর্ণের অলংকার ক্রয় করা কোনভাবেই সম্ভব না। এক্ষেত্রে রুপার অলংকার দিয়ে শখ মেটানোর এই ক্ষুদ্র চেষ্টা। এখন বাজারে প্রতারকের সংখ্যা এত বেশি যে তারা ২২ ক্যারেট রুপা বলে ১৯ ক্যারেট কিংবা ১৮ ক্যারেট রুপার অলংকার বানিয়ে দেয় এবং আমরা বুঝতেও পারি না,

যে তারা আসলে আমাদেরকে কত ক্যারেটের রুপার অহংকার দিয়েছে এভাবে তারা দিনের পর দিন গরিব মধ্যবিত্তদের চোখে ধুলো দিয়ে মোটা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখব ২২ ক্যারেট রুপা চেনার উপায়গুলো। প্রিয় পাঠক বৃন্দ চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি ২২ ক্যারেট রূপা চেনার উপায় গুলো। নিচে দেখুন আমরা ২২ ক্যারেট রুপা চেনার সাতটি উপায় ব্যাখ্যা করেছি। 

 ২২ ক্যারেট রূপা চেনার উপায়

২২ ক্যারেট রূপা চেনার উপায় খুবই মুশকিল। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিটি অলংকারের নিচে একটি হলমার্ক দেওয়া থাকে এবং এ হলমার্কের উল্লেখ করা থাকে রুপা অথবা স্বর্ণের ক্যারেট। যা দেখে বোঝা যায় আসলে এই অলংকারটি কত ক্যারেট রুপা অথবা স্বর্ণ দ্বারা তৈরি হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশ এখনো এমন কোন পদ্ধতি কিংবা সিস্টেম তৈরি হয়নি যার কারণে সহজেই গরিব ও মধ্যবিত্ত ব্যক্তিরা প্রতারক স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতারিত হচ্ছেন।

২২ ক্যারেট রুপাতে প্রায় ৯৫ শতাংশ রুপার ধাতু ব্যবহার করা হয় যার কারণে প্রত্যেকের চাহিদা ২২ ক্যারেট রুপার ওপর। ২২ ক্যারেট রুপার দাম একটু বেশি তবে ভালো পণ্য পেলে ক্রেতারা বেশি দাম দিতেও রাজি রয়েছে তবে অসাধু ব্যবসায়ীরা তারা ২২ ক্যারেট রুপা হিসেবে ১৯ ক্যারেট কিংবা ২০ ক্যারেট  রূপা বিক্রি করেন। এবং এই রুপার অলংকার গুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর কালচে আকার ধারণ করে। তাই আমাদেরকে জানতে হবে ২২ ক্যারেট রুপা চেনার উপায় কি। নিচে দেখুন ২২ ক্যারেট রুপা চেনার সাতটি উপায়।

৯৫% রুপার ধাতু রয়েছে
২২ ক্যারেট রুপাতে ৯৫ শতাংশ রুপাত ও ব্যবহার করা হয় যার কারণে রুপার অলংকাটি অনেক বেশি নরম হয় এবং পড়ে বেশ আরামদায়ক। অনেক রুপার অলংকার থাকে যেগুলো অনেক বেশি শক্ত হয় এবং রুপার অলংকার গুলো ব্যবহার করার ফলে ক্ষত সৃষ্টি হয়। ১৮ অথবা ১৯ ক্যারেটের রুপার অলংকার গুলো অনেক বেশি শক্ত হয় এবং এ অলংকার গুলো পড়ে আরাম পাওয়া যায় না কিন্তু ২২ ক্যারেট ঢুকার অলংকারে প্রায় 95 শতাংশ ব্যবহার করা হয় যার কারণে এই রুপার অলংকারটি আপনি যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে বাঁকাতে পারবেন এবং ব্যবহার করতে পারবেন। 

২২ ক্যারেট রুপার অলংকার ভেঙে যাওয়া সম্ভাবনা প্রায় অনেক কম কারন এই ধাতুগুলো যেভাবে ইচ্ছা আপনি বাকাতে পারবেন কিন্তু এগুলো ভাঙবে না। আর অন্যান্য যে সমস্ত 18 ক্যারেট কিংবা ১৯ ক্যারেট রুপার অলংকার রয়েছে সে সমস্ত অলংকার গুলো অনেক বেশি শক্ত হয় এবং এগুলো একটু চাপ লাগলে ভেঙে যায় সম্ভাবনা রয়েছে। কোন রুপার অলংকার যদি বারবার বেকা হয়ে যায় তাহলে বুঝবেন সেই রুপার অলংকারটি ২২ ক্যারেট রুপার ধাতু দ্বারা তৈরি।

চুম্বক প্রক্রিয়া
রুপার ধাতু যাচাই করার এটি একটি দারুন প্রক্রিয়া। চুম্বক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহজে যাচাই করা সম্ভব যে ধাতুটি কত ক্যারেটের। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী তারা ১৮ কিংবা 19 ক্যারেটের ধোপার অলংকারকে ২২ ক্যারেটের রুপার অলংকার বলে বিক্রি করে। কিন্তু আপনি চাইলে এখন তাদেরকে হাতেনাতে ধরতে পারবেন আপনি যদি এই নিয়মটি জেনে রাখেন যেকোনো ২২ ক্যারেট রুপার ধাতুর দুই সাইডে দুইটা চুম্বক রাখতে হবে।

এতে যদি রুপার অলংকারটি চুম্বকের দিকে আকর্ষিত হয় তাহলে বুঝবেন রুপার অলংকারটি ১৯ ক্যাডেট অথবা ২০ ক্যারেট। কারণ ২২ ক্যারেটের রুপা কখনোই কোন চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত হবে না। 22 ক্যারেটের রুপাতে সম্পূর্ণ ৯৫ শতাংশ রুপার ধাতু ব্যবহার করা থাকে এবং রুপার ধাতু কখনো চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত হয় না। এইজন্য রুপার অলংকারের দুই সাইডে যদি দুটি চুম্বক রাখেন এবং রুপার অলংকারটি যদি চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত হয় তাহলে বুঝবেন এটি কখনো 22 ক্যারেট রুপার অলংকার নয়।

অন্যান্য ১৮ ক্যারেট এবং ১৯ ক্যারেট রূপার অলংকার গুলোতে পারদ দস্তা এবং লোহা মেশানো হয় যার কারণে এই রুপার অলংকার গুলো অনেক বেশি শক্ত হয় এবং এগুলো চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত হয়। কিন্তু 22 ক্যারেট রুপাতে কোন প্রকার লোহা কিংবা পারদ দশটা ব্যবহার করা হয় না এই জন্য এই ধাতু গুলো অনেক বেশি নরম এবং আরামদায়ক হয়। এই উপায়টি অনেক বেশি কার্যকরী। তাই ২২ ক্যারেট রুপা যাচাই করতে চুম্বক প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে পারেন।

জারক এসিড পরীক্ষা 
জারক অ্যাসিড যেমন অক্সিজেন সালফিউরিক অ্যাসিড নাইট্রিক অ্যাসিড ক্লোরিন এবং ফ্লোরিন দ্বারা ২২ কারেট রূপার যাচাই করা সম্ভব। ২২ ক্যারেট রুপা গুলোতে যেহেতু ৯৫ শতাংশ রুপার ধাতু ব্যবহার করা হয় সেক্ষেত্রে এই রুপা গুলোর উপর জারক এসিড ব্যবহার করলে রুপা গুলোর তেমন কোন ক্ষতি হয় না। আর ১৮ ক্যারেট কিংবা ১৯ ক্যাডেট রুপার উপর যদি জারক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয় তাহলে মুহূর্তেই রুপার অলংকারকে নষ্ট হয়ে যেতে পারে এটি দেখেই বুঝা সম্ভব যে রুপার অলংকারটি কোন ক্যারেট দ্বারা তৈরি হয়েছে।

তবে এই প্রক্রিয়াটি একটু জটিল রয়েছে অর্থাৎ কোন অলংকার যদি 22 ক্যারেট না হয় সেক্ষেত্রে সেই অলংকার টি উপর জারক এসিড ব্যবহার করার ফলে অলংকারটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে যা অর্থের অপচয়। এইজন্য উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করায় উত্তম হবে যেহেতু উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করার ফলে রুপার অলংকারটি কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এইজন্য উপরের চুম্বক প্রক্রিয়া ব্যবহার করতে পারেন। 

আইস প্রক্রিয়া 
বাসায় ছোট ছোট আইস কিউব থাকলে  সেই আইস কিউবি গুলোর উপরে রুপার অলংকারটি রাখবেন এবার যদি আইস কিউবটি অতি দ্রুত গোলে পানিতে পরিণত হয় তাহলে বুঝবেন রুপার অলংকারটি 22 ক্যারেটের। আর যদি রুপার অলংকারটি গলতে অনেক বেশি সময় নাই সে ক্ষেত্রে রুপার অলংকার টি ১৮ ক্যারেট কিংবা 19 ক্যারেটের।

২২ ক্যারেটের রুপার অলংকার গুলো তাপ সুপরিবাহী হয়। ২২ ক্যারেটের রুপার পাশে যদি অতি কোন গরম জিনিস কিংবা অতি ঠান্ডা জিনিস রাখা হয় তাহলে ধীরে ধীরে রূপার অলংকারটি সেই জিনিস থেকে তাপ গ্রহণ করবে। এই জন্য ২২ ক্যারেট রূপার অলংকারের পাশে যদি একটি আইস কিউব রাখা হয় তাহলে আইস কিউব থেকে ২২.২ রুপা ধীরে ধীরে ঠান্ডা তাপ গ্রহণ করবে এতে দ্রুত আইস কিউবটি গোলে পানিতে রূপান্তরিত হবে। 

লেবুর রস
লেবুর রস ব্যবহার করেও রূপা যাচাই করা সম্ভব। লেবুর রসে থাকে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক এসিড এবং এই সাইট্রিক এসিড যখন কোন ১৮ ক্যারেট কিংবা ১৯ কারের রুপার উপর দেওয়া হয় তখন সেই রুপার অলংকারটি কালচে আকার ধারণ করে । যা দেখে নিশ্চিত করা সম্ভব হয় যে রুপার অলংকারটি আসলে ১৮ ক্যারেটের নাকি 22 ক্যারেটের।

22 ক্যারেটের যেকোনো রুপার অলংকার কিংবা স্বর্ণের অলংকার এর উপর যদি লেবুর রস দেওয়া হয় এতে ২২ ক্যারেটের রুপার অথবা স্বর্ণের কোন প্রকার কালার চেঞ্জ হবে না। আর যদি সেই অলংকারটি 18 ক্যারেট কিংবা ১৯ ক্যারেটের হয়ে থাকে তাহলে তার কালার দ্রুত চেঞ্জ হয়ে কালচে রং ধারণ করবে। এই উপায় কি বেশ কার্যকারী । বাসাতে সবসময় লেবু থাকে সেই ক্ষেত্রে লেবুর রস দিয়ে রুপার অলংকার যাচাই করতে পারবেন। 

উপরের এই উপায় গুলো খুবই কার্যকরী প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে ২২ ক্যারেট রুপা চেনার উপায় কি। উপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করে সহজে বুঝতে পারবেন যে ২২ ক্যারেট এর রুপা কোনটি এবং 19 ক্যারেট এর রুপা কোনটি। যেকোনো প্রকার স্বর্ণের কিংবা রুপার অলংকার ক্রয় করার আগে একটি ভালো সুনাম যোগ্য

এবং খ্যাতিমান জুয়েলারির দোকান থেকে অলংকার ক্রয় করতে হবে এতে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়। উপরের এই পাঁচটি উপায় অনেক বেশি কার্যকারী তবে চলুন আমরা দেখে আসি আরো দুইটি উপায় সম্পর্কে। অর্থাৎ ২২ ক্যারেট রুপা চেনার আরো ২টি উপায় নিচে দেখুন।

উপায় ১
২২ ক্যারেট এর রুপা কখনোই কালো হয় না কিংবা এই রুপা গুলোর কালার চেঞ্জ হয় না কিন্তু যে ১৮ ক্যারেট এবং ১৯ ক্যারেটের রুপা গুলো রয়েছে সে সমস্ত রুপা গুলো রেখে দেওয়ার ফলে রুপার কালার চেঞ্জ হয়ে যায় যা দেখে বোঝা যায় এই রূপা গুলো ভালো কোয়ালিটি নয় কিংবা ১৮ ক্যারেট অথবা ১৯ ক্যারেটের রুপা। আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন বাসায় দীর্ঘদিন যাবত কোন রুপা ফেলে রাখলে সেই রুপা গুলো কালার চেঞ্জ হয়ে যায়। 

অর্থাৎ রুপার অলংকার কোন কালচে আকার ধারণ করে। এই রুপা গুলো নিঃসন্দেহে ১৮ ক্যারেট অথবা ১৯ ক্যারেটের রুপা। ১৮ ক্যারেট অথবা ১৯ ক্যারেট এর রুপাতে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ রুপা ধাতু ব্যবহার করা থাকে এবং বাকি অন্যান্য ধাতু ব্যবহার করা থাকে যার কারণে এই রুপার অলংকার গুলো খুব অল্প সময়ে কালচে আকার ধারণ করে এবং আকারে অনেক বেশি শক্ত হয়।

উপায় ২
১৮ ক্যারেট কিংবা ১৯ ক্যারেট এর রুপা গুলো গ্রামের সংস্পর্শে আসলে কালচে রং ধারণ করে কিংবা হালকা হলুদ রং ধারণ করে। আর যেই রুপা গুলো সম্পূর্ণ ২২ ক্যারেটের সেই রুপা গুলো কখনোই পানি থেকে ঘাম থেকে কিংবা দীর্ঘদিন ফেলে রাখলে কালকে রং ধারণ করবে না কিংবা সবুজ অথবা হলুদ রংও ধারণ করবে না। ২২ ক্যারেটের রুপা গুলো অনেক বেশি পিওর হয় এবং এই রুপার অলংকার গুলোতে প্রায় ৯৫ শতাংশ রূপা ধাতু ব্যবহার করা থাকে।

এইজন্য এই রুপার অলংকার গুলো সহজেই বাঁকা হয়ে যায় এবং এই রুপার অলংকার গুলো কখনোই কালার চেঞ্জ হয় না অথবা কালচে রং ধারণ করে না। ২২ ক্যারেট রুপা এবং ১৮ ক্যারেট রুপার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী একটি পার্থক্য হল ২২ ক্যারেটের রুপার অলংকার গুলো অনেক বেশি নরম হয় এবং এগুলো চাইলেই ইচ্ছামত বাঁকানো যায় কিন্তু ১৯ ক্যারেট কিংবা 18 ক্যারেট এর রূপকথা গুলো কখনোই আপনি আপনার ইচ্ছা অনুসারে বাঁকাতে পারবেন না এই রুপা গুলো বাঁকানোর চেষ্টা করলে ভেঙে যেতে পারে। 

প্রিয় পাঠক বৃন্দ এই ছিল ২২ ক্যারেট রুপার চেনার উপায়। এই সাতটি উপায় খুবই কার্যকারী আপনি চাইলে যেকোনো একটি উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে 22 ক্যারেটর রুপা এবং ১৯ ক্যারেট অথবা ১৮ ক্যাডেট রুপার মধ্যে পার্থক্যটি বুঝতে পারবেন। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি ২২ ক্যারেট রুপার চেনার উপায় গুলো আপনি বুঝতে পেরেছেন এবার চলুন আমরা দেখে আসি রুপার বর্তমান বাজার মূল্য কত। 

রুপার বর্তমান বাজার মূল্য কত 

রুপার বর্তমান বাজার মূল্য কত? বর্তমান সময়ে বাজারে চড়া দামে রুপা ধাতু বিক্রি করা হয়। আপনি জানলে অবাক হবেন যে বহু কাল আগে স্বর্ণের রুপার দাম অনেক বেশি ছিল অর্থাৎ স্বর্ণের চেয়ে রুপার চাহিদা অনেক বেশি ছিল। এখন যেমন রুপার তুলনায় স্বর্ণের দাম অনেক বেশি এবং প্রত্যেকের স্বর্ণের প্রতি আকৃষ্ট হয় তেমনি এক যুগ আগে সোনার তুলনায় রুপার প্রতি প্রত্যেকে বেশি আকৃষ্ট হতো এবং সোনার তুলনায় রুপার দাম অনেক বেশি ছিল।

কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এখন বাজারে রুপার তুলনায় স্বর্ণের দাম অনেক বেশি প্রায় রুপার সাথে স্বর্ণের দামের আকাশ পাতাল তফাৎ বললেই চলে। এখন রুপার বর্তমান বাজার মূল্য ২ হাজার টাকা আর স্বর্ণের বাজার মূল্য ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা।  যতই দিন যাচ্ছে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে যেন সোনার দাম বৃদ্ধি বাড়ছে আর এত দাম দিয়ে এখন স্বর্ণের অলংকার ক্রয় করা কোনোভাবেই তো সম্ভব নয়। কিন্তু সখ তো মিটাতেই হবে, তাই না?

আর মেয়েদের সৌন্দর্যতা অলংকারেই আবদ্ধ রয়েছে। মেয়েদেরকে অলংকার পরলে দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দেখব রুপার বর্তমান বাজার মূল্য কত। এত দাম দিয়ে সোনার অলংকার ক্রয় না করে রুপার অলংকার এর প্রতি প্রত্যেকে আকৃষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও রুপার অলংকারকে স্বর্ণের পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে রুপার অলংকার সোনার মত চকচকে হয়। তাহলে রুপার বর্তমান বাজার মূল্য কত? 

বর্তমান সময় ২০২৪ সালে জুলাই মাসের রুপার বাজার মূল্য প্রতি ভরিতে ২১১০ টাকা। রুপার বাজার মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভরশীল। তাই যেকোনো সময় রুপার বাজার মূল্য পরিবর্তিত হতে পারে। রুপার বাজার মূল্য কমতেও পারে। আবার বৃদ্ধি করতে পারে। তবে বর্তমান সময়ে রুপার বাজার মূল্য অন্যান্য অবস্থা তুলনায় অনেক বেশি।

২২ ক্যারেট রুপার মূল্য ২১১০ টাকা। ২১ ক্যারেট রুপার মূল্য ১৯৯০ টাকা। আর ১৮ ক্যারেট রুপার দাম ১৭০০ টাকা।
বর্তমান সময়ে রুপার বাজার মূল্য অনেক বেশি। এক ভরির দাম প্রায় ২১১০ টাকার কাছাকাছি। তবে যে কোন সময় রুপার বাজার মূল্য কমতে পারে। ২২ ক্যারেট রুপার বাজার মূল্য ২১১০ টাকা। ২২ ক্যারেট রুপাতে ৯৫% পার্সেন্ট রুপা ধাতু থাকে। এইজন্য ২২ ক্যারেট রুপা গুলো অনেক বেশি নরম হয় এবং এগুলো সহজে পাকা চাকা হয়ে যায়। আর ২১ ক্যারেট রুপাতে প্রায় ৮৭% রুপা ধাতু থাকে এজন্য ২২ ক্যারেট তুলনায় 21 ক্যারেটের রুপা গুলো একটু শক্ত হয়।
 
২২ ক্যারেট রুপার তুলনায় ২১ ক্যারেটের রুপার দাম একটু কম। আবার ২১ ক্যারেটের রুপার তুলনায় ১৮ ক্যারেট রুপার দাম আরো কম। তবে ২২ ক্যারেট রুপার তুলনায় ১৮ ক্যারেট রুপা অনেক বেশি নিম্নমানের এবং এখানে প্রায় ৫০% থেকে ৬০% রুপা ধাতু থাকে। ১৮  ক্যারেটের রুপা গুলো একসময় কালচে বর্ণ ধারণ করে। আর ২২ ক্যারেটের রুপা গুলো কখনোই কালচে হয় না এবং এই রুপা গুলো কখনোই ভেঙ্গে যায় না। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন রুপার বর্তমান বাজার মূল্য কত। আপনার সুবিধার্থে আবারো বলি,
বর্তমান সময়ে রুপার বাজার মূল্য ২২ ক্যারেট রুপার দাম 2110 টাকা।
২১ ক্যারেট রুপার দাম প্রায় 1990 টাকা।
এবং ১৮ ক্যারেট রুপার দাম 1700 টাকা।

বর্তমান সময়ের স্বর্ণের দাম এত বেশি এত দাম দিয়ে স্বর্ণের অলংকার না কিনে রুপার অলংকার ক্রয় করুন রুপার অলংকার সুন্দর ডিজাইনের তৈরি করলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন রুপার বর্তমান বাজার মূল্য কত। এবার চলুন আমরা দেখে আসি কোন রুপা ভালো? 

কোন রুপা ভালো

অনেকের মনে এ প্রশ্ন থাকে যে কোন রুপা ভালো? প্রতিটি রূপার অলংকারই ভালো। তবে রুপা অলংকার এর মধ্যে কিছু তফাৎ থাকে। কোন অলংকারে অনেক বেশি রুপা ধাতু ব্যবহার করা থাকে। যেই রূপার অলংকারে রুপার ধাতুর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে সেই রুপার অলংকারটি দীর্ঘদিন টিকসই হয়। এইজন্য প্রত্যেকেই ২২ ক্যারেট রুপা ক্রয় করে। ২২ ক্যারেট রুপার দাম একটু বেশি হলেও প্রত্যেকে বেশি দাম দিয়ে ভালো মানের অলংকার ক্রয় করতে আগ্রহী। 
২২ ক্যারেট রূপা চেনার উপায়-কোন রূপা ভালো জানুন
অনেক রুপা রয়েছে যে রুপা গুলো অনেক বেশি শক্ত হয় এবং চাপ দিলে ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু ২২ ক্যারেট রুপা গুলো চাপ দিলে ভেঙে যায় না। বরং এগুলো বাঁকা হয়ে যায় এবং যদি কোন রুপার অলংকার চাপ দেওয়ার ফলে বাঁকা হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন নিঃসন্দেহে এই রুপার অলংকারটি কিংবা স্বর্ণের অলংকারটি 22 ক্যারেটর রুপা অথবা স্বর্ণ দ্বারা তৈরি।

বর্তমান সময়ে ২০২৪ সালের ২৪ ক্যারেটের রূপায় সবচেয়ে ভালো ২৪ ক্যারেট রুপাতে প্রায় 97 শতাংশ রুপা ব্যবহার করা থাকে যার কারণে এটি অনেক বেশি নরম হয়। এই অলংকার গুলো অনেক বেশি নরম হওয়ায় ব্যবহার করতে বেশ অসুবিধা হয়। এই জন্য বর্তমান সময়ে বাজারে 24 ক্যারেট রুপার পরিমাণ অনেক কম। অনেক জুয়েলারি দোকানদার 24 ক্যারেট রুপার দাম নিয়ে ২২ ক্যারেট রুপা দিয়ে থাকেন। 

মনে রাখবেন ২৪ ক্যারেট রুপার সংখ্যা খুবই কম এবং ২৪ ক্যারেট গ্রুপে গুলো কখনোই পড়ার উপযোগী হয় না। এই রূপা গুলো অনেক বেশি নরম হয়। এতে সহজে এগুলো বাঁকা হয়ে যায়। কিন্তু কিছু ভূয়া সরানো ব্যবসায়ী অথবা জুয়েলারির দোকানদার ২৪ ক্যারেট এর দাম নিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ অথবা রুপা বিক্রয় করে। এতে তারা মোটা টাকা ইনকাম করে।

বর্তমান সময়ে বাজারে আরও একটি ব্যবহার উপযোগী রূপার আবিষ্কার হয়েছে তা হলো ইটালিয়ান রুপা। বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে ইটালিয়ান রুপা ব্যাপক জনপ্রিয়। এই রুপার দামে কম এবং মানে ভালো। আপনারা যারা দামি কম মানে ভালো প্রোডাক্ট কিংবা অলংকার ক্রয় করতে চান তাদের জন্য ইটালিয়ান রুপা সেরা হবে। ইটালিয়ান রুপা রুপা অনেক বেশি পিওর হয় এবং ইটালিয়ান রুপা দিয়ে যে কোন অলংকার বানানো সম্ভব।

আর ইটালিয়ান রুপার দাম বর্তমান সময়ে বাজারের রুপার দামের তুলনায় অনেক কম ইটালিয়ান রুপা মানে ভালো হওয়ার পাশাপাশি এর দামও কম। তাই আমি সাজেস্ট করবো আপনারা যারা রুপা দিয়ে অলংকার তৈরি করতে চাচ্ছেন তারা ইটালিয়ান রুপা ক্রয় করুন। ইটালিয়ান রুপা কখনো কালচে হওয়া সম্ভাবনা নেই এবং এই রূপা গুলো অনেক বেশি নরম হয় অর্থাৎ এগুলো জোরে চাপ লাগলে বাঁকা হয়ে যেতে পারে তবে এগুলো কখনোই ভাঙবে না।

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কোন রুপা ভালো। ২২ ক্যারেট রুপা সবচেয়ে ভালো এবং ব্যবহার উপযোগী পাশাপাশি ইতালিয়ান রুপা বর্তমান সময়ে বাজারে সবচেয়ে সেরা। বাজারের রুপার প্রচলিত দামের তুলনায় ইটালিয়ান রুপার দাম অনেক কম এ ছাড়াও ইটালিয়ান রুপার মানে এবং গুনে সবদিক থেকে ভালো। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন কোন রুপা সবচেয়ে ভালো এবার চলুন আমরা দেখে আসি ইটালিয়ান রুপার ভরি কত ২০২৪।

ইটালিয়ান রুপার ভরি কত ২০২৪

ইতিমধ্যে ইতালিয়ান রুপার ভূমি সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। বর্তমান বিশ্ববাজারে ইটালিয়ান রুপার সবচেয়ে ভালো এবং ইটালিয়ান রুপা দিয়েই সমস্ত রুপার তৈরি করা সম্ভব। ইটালিয়ান রুপার দাম কম হওয়ার পাশাপাশি ইটালিয়ান রুপা গুলোর মানে অনেক বেশি উন্নত। এছাড়াও বর্তমান সময়ে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের মূল্যের দাম অনেক বেশি আর এত দাম দিয়ে স্বর্ণের অলংকার ক্রয় করা কোনোভাবেই যেন সম্ভব হচ্ছে না। তবে যেভাবেই হোক ইচ্ছা তো পূরণ করতেই হবে তাই না?

ইচ্ছে পূরণ করতে ইতালিয়ান রুপা ব্যবহার করুন। আপনারা যারা স্বল্পমূল্যে ভালো রুপার অলংকার তৈরি করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য ইতালিয়ান রুপা সবচেয়ে সেরা হবে। তবে ইটালিয়ান রুপা ক্রয় করার আগে আমাদেরকে জানতে হবে ইটালিয়ান রুপার ভরি কত ২০২৪ সালে। ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে ইতালিয়ান রুপার ভরি সবচেয়ে কম। নিচে দেখে নিন ইটালিয়ান রুপার ভরি কত ২০২৪

ইটালিয়ান ২২ ক্যারেট রুপার ভরি কত ২০২৪
ইটালিয়ান ৫ ভরি ২২ ক্যারেট রুপার দাম  ৯০০০ টাকা।
ইটালিয়ান ৪ ভরি ২২ ক্যারেট রুপার দাম ৭২০০ টাকা।
ইটালিয়ান ৩ ভরি ২২ ক্যারেট রুপার দাম ৫৪০০ টাকা।
ইটালিয়ান ২ ভরি ২২ ক্যারেট রুপার দাম ৩৬০০ টাকা।
ইটালিয়ান ১ ভরি ২২ ক্যারেট রুপার দাম ১৮০০ টাকা।

বর্তমান সময়ের বিশ্ব বাজারের ইটালিয়ান ২২ ক্যারেট রুপার দাম সবচেয়ে কম। যেখানে বাংলাদেশে ২২ ক্যারেট রুপার দাম প্রায় ২১০০ টাকা সেখানে ইতালিয়ান রুপার দাম মাত্র 1800 টাকা। আর ইটালিয়ান ৫ ভরি ২২ ক্যারেট রুপার দাম প্রায় ৯০০০ টাকা। বিভিন্ন জুয়েলার্স এর দোকানে দামের ভিন্নতা দেখা গেছে তবে আন্তর্জাতিক বাজারে পাঁচ ভরি ২২ ক্যারেট রুপার দাম নয় হাজার টাকা। আর এক ভরি ইটালিয়ান রুপার দাম ১৮০০ টাকা। এবার চলুন আমরা দেখে আসি ইটালিয়ান ২১ ক্যারেট রুপার ভরি কত ২০২৪ 

ইটালিয়ান ২১ ক্যারেট রুপার ভরি কত ২০২৪ 
ইটালিয়ান ২১ ক্যারেট ৫ ভরি রুপার দাম ৮৮৫০ টাকা।
ইটালিয়ান ২১ ক্যারেট ৪ ভরি রুপার দাম ৭০৮০ টাকা।
ইটালিয়ান ২১ ক্যারেট ৩ ভরি রুপার দাম ৫৩১০ টাকা।
ইটালিয়ান ২১ ক্যারেট ২ ভরি রুপার দাম ৩৫৪০ টাকা।
ইটালিয়ান ২১ ক্যারেট ১ ভরি রুপার দাম ১৭৭০ টাকা।

বিশ্ববাজারে ইতালিয়ান ২১ ক্যারেট রুপার এক ভরির দাম প্রায় 1770 টাকা। ইতালিয়ান রুপা ২২ ক্যারেটের তুলনায় ২১ ক্যারেট রুপার দাম একটু কম।   ২২ ক্যারেট রুপার তুলনায় ২১ ক্যারেট রুপার গুণগত দিক থেকে একটু নিম্নমানের। এই জন্য ২২ ক্যারেট রুপার তুলনায় ২১ ক্যারেট রূপার দাম একটু কম। বর্তমান সময় আন্তর্জাতিক বাজারে যেকোনো সময় ইটালিয়ান রুপার দাম আরো কমে যেতে পারে আবার ইটালিয়ান রুপার দাম বৃদ্ধি ও পেতে পারে তবে বাংলাদেশের রুপার তুলনায় ইতালিয়ান রুপার দাম অনেক কম। প্রিয় পাঠক বৃন্দ এবার চলুন আমরা দেখে আসি ইটালিয়ান ১৮ ক্যারেট রুপার দাম কত ২০২৪।

ইটালিয়ান ১৮ ক্যারেট ৫ ভরি রুপার দাম ৮০০০ টাকা
ইটালিয়ান ১৮ ক্যারেট ৪ ভরি রুপার দাম ৬৪০০ টাকা
ইটালিয়ান ১৮ ক্যারেট ৩ ভরি রুপার দাম ৪৮০০ টাকা
ইটালিয়ান ১৮ ক্যারেট ২ ভরি রুপার দাম ৩২০০ টাকা
ইটালিয়ান ১৮ ক্যারেট ১ ভরি রুপার দাম ১৬০০ টাকা

১৮ ক্যারেট রুপার অলংকারে প্রায় 50 থেকে 60% রুপাত ধাতু ব্যবহার করা থাকে যার কারণে এই রুপাটি সবচেয়ে নিম্নমানের রুপা হিসেবে জানা হয়। তবে অন্যান্য রুপার তুলনায় যেমন ২২ ক্যারেট কিংবা ২১ ক্যারেট রুপার তুলনায় ১৮ ক্যারেট রুপার দাম অনেক কম। এছাড়াও 18 ক্যারেট ইটালিয়ান রুপা গুলো হালকা চাপ লাগার ফলে এগুলো ভেঙে যেতে পারে। আবার একটি নির্দিষ্ট সময় পর এই রুপার অলংকার গুলো কালচে রং ধারণ করে। গায়ের ঘামের কারণেও এই রুপার অলংকার গুলো কালচে রং ধারণ করে। 

তবে বাজেট কম থাকার কারণে অনেকে 18 ক্যারেট রুপার  অলংকার ক্রয় করে থাকে। প্রিয় পাঠকবৃন্দ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে ইটালিয়ান রুপার ভরি কত ২০২৪ সেই বিষয়ে  আপনি বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি ১ ভরি রুপার দাম কত ২০২৪। অর্থাৎ ২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক বাজারে 1 ভরি রুপার দাম কত?

১ ভরি রুপার দাম কত ২০২৪

 বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের তুলনায় এখন রুপার দাম অনেক বেশি। শুনে বেশ অবাক হচ্ছেন তো? স্বর্ণের দাম গত মাসে ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা ছিল তবে এখন কমে স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। আর গত মাসে রুপার দাম ছিল 22 ক্যারেট ১ভরি ১৭০০ টাকা। যা এখন বৃদ্ধি পেয়ে ২২ ক্যারেট ১ ভরি রুপার দাম দাঁড়িয়েছে ২১১০ টাকা। এইজন্য বলা যায় যে বাংলাদেশের বাজারে এখন সোনার তুলনায় রুপার দাম বেশি।

২২ ক্যারেট ৩ ভরি রুপার দাম ৬৩৩০ টাকা।
২২ ক্যারেট ২ ভরি রুপার দাম ৪২২০ টাকা।
২২ ক্যারেট ১ ভরি রুপার দাম ২১১০ টাকা।
২১ ক্যারেট ৩ ভরি রুপার দাম 5,970 টাকা।
২১ ক্যারেট ২ ভরি রুপার দাম 3,980 টাকা।
২১ ক্যারেট ১ ভরি রুপার দাম ১৯৯০ টাকা।
১৮ ক্যারেট ৩ ভরি রুপার দাম ৫১০০ টাকা।
১৮ ক্যারেট ২ ভরি রুপার দাম ৩৪০০ টাকা।
১৮ ক্যারেট ১ ভরি রুপার দাম ১৭০০ টাকা।

প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন এক ভরি রুপার দাম কত ২০২৪ সালে। উপরে আমরা একবারই রুপার দাম সহ তিন ভরি রুপার দাম আলোচনা করলাম এবং ২২ ক্যারেট সহ ২১ ক্যারেট এবং 18 ক্যারেটের রুপার দাম কত সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন ২০২৪ সালে এক ভরি রুপার দাম কত।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন 

রুপার তুলনায় স্বর্ণের দাম বেশি কেন? 
রুপার তুলনায় স্বর্ণের দাম বেশি কেনো? রুপার তুলনায় প্রত্যেকে স্বর্ণের প্রতি অনেক বেশি আকৃষ্ট হয় এই জন্য রুপার তুলনায় স্বর্ণ এর  দাম অনেক বেশি। বর্তমান সময়ে রুপার দাম 2110 টাকা ভরি এবং স্বর্ণের এক ভরির দাম ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা। এর কারণ হলো আমরা প্রত্যেকের প্রতি আকৃষ্ট হই এবং স্বর্ণ তেই নারীদের সৌন্দর্যতা আবদ্ধ রয়েছে। 

২২ ক্যারেট রুপাতে কত গ্রাম রুপা ধাতু থাকে? 
অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে ২২ ক্যারেট রুপাতে কত গ্রাম রুপা ধাতু থাকে? ২২ ক্যারেট রুপাতে প্রায় 95 পার্সেন্ট রূপা ধাতু থাকে। এইজন্য ২২ ক্যারেট রুপা গুলো সহজে বেঁকে যায় এবং এই রুপা গুলো কখনোই কালচে হয় না। অন্যান্য রুপার ধাতুর তুলনায় 22 ক্যারেট রুপার দাম একটু বেশি। 

22 ক্যারেট রূপা চেনার উপায় কি?
22 ক্যারেট রুপা চেনার উপায় কি? আপনি কি ২২ ক্যারেট রুপার চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি ২২ ক্যারেট রুপা চেনার উপায় কি। ২২ ক্যারেট রুপা চেনার সাতটি উপায় শেয়ার করেছি। এই সাতটি উপায় অনেক বেশি কার্যকারী।

লেখকের শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা আজকের এই পোস্টে আমরা ২২ ক্যারেট রুপা চেনার উপায়, রুপার বর্তমান বাজার মূল্য, ১ ভরি রুপার দাম কত ২০২৪, ইটালিয়ান রুপার ভরি কত ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।  বর্তমান সময়ের স্বর্ণের আকাশছোঁয়া দাম সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই জানি আর এত দাম দিয়ে স্বর্ণের অলংকার ক্রয় করা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে শখ মিটানো জন্য রুপার অলংকার ব্যবহার করা যেতে পারে।

আপনি জানলে অবাক হবেন যে এককালে সোনার তোগো নাই রুপার দাম অনেক বেশি ছিল তবে সময়ের ব্যবধানে সেই কাল হারিয়ে যে এখন সোনার দাম সবচেয়ে বেশি। যার কারণে প্রত্যেকে দৃষ্টি এখন স্বর্ণের দিকে কিন্তু এত দাম দিয়ে স্বর্ণের অলংকার ক্রয় করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাই আমরা আজকের এই পোস্টে রুপার অলংকার নিয়ে আলোচনা করলাম ইটালিয়ান রুপার দাম কত এবং ২২ ক্যারেট রুপা চেনার উপায় কি।

বর্তমান সময়ে অসাধু ব্যবসায়িক সংখ্যা এত বেশি যে তারা ২২ ক্যারেট রুপা হিসেবে ১৯ ক্যারেট কিংবা ১৮ ক্যারেট রুপা বিক্রি করে মোটা অর্থ উপার্জন করে। তাদের অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য হাজার হাজার গরীব মধ্যবিত্ত মানুষ প্রতি মুহূর্তে প্রতারিত হচ্ছে। তাই আমরা আজকের এই পোস্টে ২২ ক্যারেট রুপা চেনার কয়েকটি উপায় আলোচনা করলাম এই উপায় গুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই ২২ ক্যারেট রুপা এবং ১৮ ক্যারেট রুপার মধ্যে পার্থক্যটি বুঝতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url