বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে? জানুন বিস্তারিত

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে চান? নিঃসন্দেহে আমেরিকা পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ একটি দেশ যেখানে সবকিছু উন্নত। আমরা অনেকেই পড়াশোনা যেন আমেরিকায় গিয়ে থাকি অথবা জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজ করতে আমেরিকা যেয়ে থাকি। আপনারা যারা আমেরিকা যেতে চান তাদের জন্য এ বিষয়গুলো যেন খুবই জরুরী যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। আজকের এই পোস্টে আমরা দেখব বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে এবং কিভাবে কম খরচে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়া যায় সাথে স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে।
বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা দেখুন সুষম খাদ্য তালিকা
আপনি যদি আমেরিকা যেতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে আজকের এই পোস্টে আমরা আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে এবং আমেরিকান স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতাগুলো কি কি ? সেই সকল বিষয়গুলো নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন ঝটপট দেখে আসি বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। 

পেজ সূচিপত্র: বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে? জানুন বিস্তারিত

আমেরিকা যাওয়ার উপায় কি

আমেরিকার উচ্চমানের জীবন যাপনের জন্য হাজার হাজার মানুষ বাংলাদেশ থেকে এবং আরো অন্যান্য দেশ থেকে আমেরিকা যে বসবাস করে কারণ আমেরিকাতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার সুযোগ রয়েছে, আমেরিকার শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত, আমেরিকায় কর্মসংস্থান অনেক বেশি,

আমেরিকাতে পরিশ্রম করলে জীবনে কোটিপতি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এখন প্রশ্ন হল আমেরিকা যাওয়ার উপায় কি? আপনি যদি আমেরিকায় যেতে চান তাহলে আপনাকে নিচের এই উপায় গুলো অনুসরণ করতে হবে।

  • পাসপোর্ট 
  • ভিসা 
  • আর্থিক যোগ্যতা
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা 
  • কর্মের প্রমাণ এবং 
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য উপরের এই জিনিসগুলোর প্রয়োজন রয়েছে। আপনি যদি শিক্ষা ক্ষেত্রে আমেরিকা যেতে চান তাহলে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে কম খরচে আমেরিকা যেতে পারবেন আর যদি আপনি কর্মের জন্য আমেরিকার যেতে চান তাহলে কর্মের প্রমাণ দেখিয়ে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে যেতে পারবেন। অথবা যদি আমেরিকাতে আপনার করে সদস্য থাকে তাহলে শুধুমাত্র পাসপোর্ট এবং ভিসার মাধ্যমে আমেরিকা যেতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়ার সুযোগ সুবিধা অনেক। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে হাজার হাজার বাঙ্গালীদের কে বিনামূল্যে আমেরিকায় যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তাই এই সুযোগ হাতছাড়া না করে দ্রুত লটারিতে নাম লিখুন এবং আমেরিকা যাওয়ার ভিসা এবং পাসপোর্ট জিতে নিন।

আমেরিকা যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে পাশাপাশি ভিসা তৈরি করতে হবে এবং আর্থিক সাপোর্ট থাকতে হবে।আমেরিকাতে যদি আপনার কোন পরিবারের সদস্য থাকে কিংবা আত্মীয় স্বজন থাকে তাহলে ভিসা পেতে খুব সহজ হবে।

এছাড়া যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে চান তাহলে অল্প খরচে অল্প সময়ের মধ্যে আমেরিকা যেতে পারবেন। কিভাবে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায় এবং আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা গুলো কি কি সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে  নিচে দেখুন।

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার গুরুত্ব অনেক এটি শুধুমাত্র একটি কাগজ না। এই ভিসার মাধ্যমে আপনার সম্পূর্ণ জীবন বদলে যেতে পারে। এছাড়াও আপনারা যারা কম বাজেটের মধ্যে আমেরিকা যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা সবচেয়ে সেরা হবে।

কারণ স্টুডেন্ট ভিসায় একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে আপনারা অল্প খরচে আমেরিকা যেতে পারবেন। তবে আপনারা যারা পড়াশোনা জন্য আমেরিকা যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসার আরো বিশেষ কয়েকটি গুরুত্ব রয়েছে, 

  • স্টুডেন্ট ভিসা থাকলে আমেরিকার বিখ্যাত ইউনিভার্সিটিগুলোতে চান্স পাবেন। 
  • স্টুডেন্ট ভিসা থাকলে নিজের পছন্দ অনুসারে যেকোন সাবজেক্টের উপর কোর্স করতে পারবেন। 
  • স্টুডেন্ট ভিসা থাকলে থিউরিকাল ক্লাসগুলোর পাশাপাশি প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
  • এছাড়াও স্টুডেন্ট ভিসার আরো অনেক সুবিধে রয়েছে। স্টুডেন্ট ভিসা থাকলে নিজের আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি পায়। 
  • স্টুডেন্ট ভিসা থাকলে ভবিষ্যতে ভালো চাকরি লাভ করার সুযোগ রয়েছে।।
  • স্টুডেন্ট ভিসা থাকলে আপনি আপনার সমস্ত স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারবেন।
  • স্টুডেন্ট ভিসা থাকলে আমেরিকাতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন। বিভিন্ন ব্যবসা করতে পারবেন ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।


এছাড়াও স্টুডেন্ট ভিসা থাকলে আমেরিকাতে বসবাসকৃত বিভিন্ন মানুষের সাথে চলাফেরা করে তাদের মত আচার-আচরণ শিখতে পারবেন।

স্টুডেন্ট ভিসা সুযোগ সুবিধা অনেক তাই আপনারা যারা পড়াশোনার জন্য আমেরিকা যেতে চাচ্ছেন আমেরিকার শ্রেষ্ঠ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা করা খুবই জরুরী। স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে আগে আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা গুলো নিচে দেওয়া রয়েছে দেখে নিন। 
আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসাকে F 1 ভিসা বলা হয়। এই স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনি যেই কলেজে অথবা ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়েছেন তার প্রমাণস্বরূপ কাগজপত্র দেখাতে হবে। 

আর্থিক প্রমাণস্বরূপ দেখাতে হবে যে আপনি আমেরিকাতে থাকলে আপনার নিজের খরচ বহন করতে পারবেন অথবা আপনার পরিবারের আপনার খরচ বহন করার সামর্থ্য রয়েছে সেই বিষয়ে ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং স্পন্সরশিপ লেটার সংগ্রহ করতে হবে। 

আমেরিকাতে পড়াশোনা শেষ হওয়ার মাত্রই আপনি দেশে ফিরে আসবেন সেই বিষয়ে প্রমাণ স্বরূপ লেটার তৈরি করতে হবে। 
ইংরেজি ভাষায় বিশেষভাবে দক্ষ হতে হবে। শুধুমাত্র ইতি মুখে বললেই হবে না এর জন্য প্রমাণ স্বরূপ IELTS  কিংবা TOEFL  এর স্কোর প্রয়োজন।

নিজের সম্পর্কে লেটার তৈরি করতে হবে এবং সেখানে সম্পূর্ণ অপরাধ মূলক বিষয়টিকে তুলে ধরতে হবে। এখানে প্রমাণ করতে হবে যে আপনার কোন প্রকার অপরাধ মূলক কোনো আচরণ আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি। 

ভিসা অফিসারের কাছে ইন্টারভিউ দিতে হবে । ইন্টারভিউ এ বিষয়টি বারবার উল্লেখ করতে হবে যে আপনি আপনার পড়াশোনা শেষে দেশে আবার ফিরে আসবেন। 

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য উপরের এই যোগ্যতা গুলো প্রয়োজন রয়েছে। আপনার কাছে এই যোগ্যতাগুলো যদি থাকে তাহলে আপনি নিঃসন্দেহে আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাবেন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। 

স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে চান? আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে চান তাহলে উপরের যোগ্যতা গুলো দেখে নিন। আপনি যদি একটি স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে আমেরিকা যেতে চান তাহলে মোট ৩  লক্ষ ৭০ হাজার থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তবে যদি আপনি সরকারি মালিকানাধীন এর আওতায় স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে চান তাহলে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ ১০ হাজার অথবা ৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।

স্টুডেন্ট ভিসা সুযোগ সুবিধা অনেক। স্টুডেন্ট ভিসা থাকলে একদিকে অল্প খরচে আমেরিকা যেতে পারবেন আর একদিকে সেখানে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন আমেরিকাতে ব্যবসা করতে পারবেন ব্যবসা করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আমেরিকাতে প্রতিদিন ১০০ ডলার ইনকাম করলে প্রায় দিনে ১২০০০ টাকা ইনকাম হবে। সেই টাকা দিয়ে আমেরিকাতে সচ্ছল ভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন।

আমেরিকাতে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে কম থাকাতে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও আমেরিকাতে যাওয়ার পর বই খাতা কিনা এবং বাসা ভাড়া সাথেই কোর্সের ফি সবমিলিয়ে মোটা   টাকা খরচ হতে পারে। প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি আমেরিকার ভিসা খরচ কত?

আমেরিকার ভিসা খরচ

আপনি কি জানেন আমেরিকার ভিসা খরচ কত? আপনি যদি আমেরিকা যেতে চান তাহলে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জেনে রাখতে হবে যে আমেরিকার ভিসা খরচ কত এবং সব মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা খরচ হয়। প্রথমে আমরা জানবো আমেরিকার ভিসা খরচ কত। 

আমেরিকার ভিসা খরচ হলো 185$যা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে প্রায় 21500 টাকা। আমেরিকার ভিসা করতে ২১৫০০ টাকা ফিস প্রযোজ্য। আমেরিকাতে যাওয়ার জন্য আমেরিকার ভিসার পাশাপাশি পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে সাথেই আরও বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি করতে হবে নিজের ইংলিশ দক্ষতা কে আরো বেশি মজবুত করতে হবে। 
আপনারা অনেকেই মনে করেন আমেরিকা ভিসা তৈরি করতে হয়তো দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা খরচ হয় কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল আমেরিকার ভিসা তৈরি করতে শুধুমাত্র একুশ হাজার পাঁচশ টাকা খরচ হয়। আপনি যদি মাত্র ২১ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করে আমেরিকার ভিসা অর্জন করতে চান তাহলে গুগলে সার্চ দিন US VISA। তারপর এই ওয়েবসাইট থেকে আমেরিকার ভিসার জন্য আবেদন করুন। 

আরো পড়ুন: এড দেখে টাকা ইনকাম করতে চান? ক্লিক করুন
আমেরিকার ভিসার পাশাপাশি প্লেন ভাড়া সহ যাবতীয় সমস্ত কার্যপ্রণালী সম্পন্ন করতে আরও বেশি টাকা প্রয়োজন হয়। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে চান তাহলে দেখে নিন নিচে দেওয়া আছে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে অর্থাৎ সবমিলিয়ে মোট বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা প্রয়োজন?

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

উপরে আমরা দেখলাম বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় ভিসা খরচ প্রায় 21500 টাকা। তবে আমরা যতটুকু জানি বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয় এই বিষয়টি কি সত্যি?
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে মোট কতটুকু খরচ হতে পারে? আমেরিকার জীবনযাত্রার মানে অনেক বেশি উন্নত। এজন্য আমরা অনেকে আমেরিকা যেতে চাই এবং আমেরিকাতে যে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে চাই। 

আমেরিকাতে বসবাস করে একদিনের ইনকাম বাংলাদেশে বসবাস করে এক মাসের ইনকাম হতে পারে। অর্থাৎ আপনি যদি আমেরিকাতে দিনে ৩০০ $ ইনকাম করেন, তাহলে বাংলাদেশে এটি প্রায় ৩২ হাজার থেকে ৩৩ হাজার টাকা কাছাকাছি।

হ্যাঁ বন্ধুরা সত্যি আমেরিকাতে বসবাস করে একদিনে এত টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। আমেরিকাতে যে কোন ছোট খাটো কাজ করার মাধ্যমে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমেরিকাতে রেস্টুরেন্টে ওয়েটার এর কাজ করে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। 

এজন্য হাজার হাজার বাঙালি আমেরিকা তে কাজ করছেন এবং আমেরিকাতে কাজ করে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন তাহলে আপনিও পারবেন। আমেরিকাতে যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে জানতে হবে যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। 

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে প্রায় ১৮ থেকে ২৮ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। আমেরিকাতে ভিসা খরচ প্রায় 21500 টাকা, তারপর প্লেন ভাড়া প্রায় ২ লক্ষ ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা, আবার পাসপোর্ট খরচ অন্যান্য সকল কাগজপত্র কালেক্ট করতে খরচ হয়। আমেরিকাতে ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য গরম জামাকাপড় সব মিলিয়ে প্রায় আমেরিকাতে যাওয়ার জন্য ১৮ লক্ষ থেকে ২৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। 

তবে আপনি চাইলে খরচ কমাতে পারেন। আপনি যদি অল্প খরচে আমেরিকা যেতে চান তাহলে স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করুন। স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে খুব অল্প খরচের মাধ্যমে আমেরিকা যেতে পারবেন। আপনার কাছে যদি স্টুডেন্ট ভিসা থাকে তাহলে শুধুমাত্র ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মাধ্যমে আমেরিকা যেতে পারবেন আর যদি সরকারি ভিসার মাধ্যমে আমেরিকা যেতে চান তাহলে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।

আমেরিকাতে আপনার কোন আত্মীয় স্বজন থাকে কিংবা পরিবারের সদস্য থাকে তাহলে খুব অল্প খরচের মাধ্যমে ভিসা পেয়ে যাবেন পাশাপাশি খুব অল্প খরচে আমেরিকা যেতে পারবেন। প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে। 

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে প্রায় একদিনেরও বেশি সময় প্রয়োজন। আমরা প্রতি কি জানিয়েছে আমরা প্রত্যেকেই জানি যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা দূরত্ব অনেক বেশি। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরত্ব প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার।

বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আমেরিকা প্লেনে যাওয়া সম্ভব নয় এজন্য বিভিন্ন দেশের থামতে হবে এবং প্লেন চেঞ্জ করতে হবে। এভাবে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে প্রায় ১৮ ঘণ্টা থেকে শুরু করে ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রয়োজন।  সর্বনিম্ন ১৮ ঘণ্টা প্রয়োজন এবং সর্বোচ্চ ছত্রিশ ঘন্টা।

এবং বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা এর প্লেন ভাড়া প্রায় ২ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। প্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে এবং বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা এর দূরত্ব কত।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় দ্রুত প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার এবং বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে প্রায় 18 ঘন্টা থেকে শুরু করে ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রয়োজন সর্বনিম্ন ১৮ ঘণ্টা প্রয়োজন এবং সর্বোচ্চ ৩৬ ঘণ্টা প্রয়োজন। 

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর 

মানুষ আমেরিকায় কেন যায়? 
আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্নের লক্ষ্য করা যায় যে মানুষ আমেরিকায় কেন যায়? মানুষ আমেরিকায় কেন যায় এই বিষয়ে সঠিক উত্তর প্রদান করা খুবই মুশকিল আমাদের প্রত্যেকের আমেরিকা যাওয়ার পিছে বিভিন্ন প্রকার কারণ লুকিয়ে থাকে অনেকে পড়াশোনা করার জন্য আমেরিকা যেতে চাই আবার অনেকেই কর্মসংস্থানের জন্য আমেরিকা যেতে চাই।

অনেকেই নিজের ভবিষ্যতকে আরো সুন্দর করার জন্য আমেরিকার যেতে চাই। আমেরিকাতে জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত। আমেরিকাতে 10000 থেকে 15 হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব এর জন্য যারা অল্প বয়সেই কোটিপতি হতে চাই তারা আমেরিকাতে চাই। আমেরিকাতে এক ডলার সমান ১২০ টাকা। যখন আমেরিকার ডলার আমরা বাংলাদেশি জায়গায় কনভার্ট করি

তখন প্রচুর টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও আমেরিকাতে স্বাধীনতা অনেক বেশি। আমেরিকাতে আপনি ইচ্ছার সাথে ঘুরতে পারবেন। আমেরিকার পড়াশোনার মানে অনেক বেশি আমেরিকাতে পড়াশোনা করলে আপনি বাংলাদেশের যেকোনো ভালো ইনস্টিটিউটে চাকরি লাভ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরত্ব কত? 
আপনি কি জানেন বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরত্ব কত? বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা দূরত্ব প্রায় 13 হাজার কিলোমিটার। আপনি যদি আমেরিকায় যেতে চান তাহলে আপনাকে ১৩ হাজার কিলোমিটার পার করে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে হবে। 

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা খরচ হয়? 
আপনি কি জানেন বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে? আপনি যদি জানতে চান বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখুন। আজকের এই পোস্টে আমরা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে?

সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। তবে আপনি যদি অল্প খরচে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে চান তাহলে উপরে উপায় গুলো দেখে নিন।

উপসংহার: বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে? জানুন বিস্তারিত

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই পোস্টে আমরা দেখলাম আমেরিকার ভিসা খরচ কত আমেরিকা যাওয়ার উপায় কি স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে এবং বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে প্রায় ১৮ লক্ষ থেকে শুরু করে ২৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে আর আমেরিকাতে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে চাইলে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। 

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা কাকে বলে এবং আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা গুলো কি কি আমরা সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে উপরে আলোচনা করেছি আপনি যদি আমেরিকাতে যেতে চান তাহলে চেষ্টা করবেন স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে আমেরিকা যাওয়ার। আর প্রতিটি আমেরিকার ভিসার দাম প্রায় 21500 টাকা অর্থাৎ ১৮৫ ডলার। আমেরিকার জীবনযাত্রার মান অনেক বেশি উন্নত এই জন্য হাজার হাজার মানুষ আমেরিকাতে যে বসবাস করে আমেরিকাতে পড়াশোনার সুযোগ সুবিধা অনেক। 

আমেরিকা থেকে পড়াশোনা করলে বাংলাদেশের যে কোন ভালো ইনস্টিটিউটে উচ্চ পদে চাকরি করতে পারবেন। আমেরিকাতে পড়াশোনা করলে আমেরিকাতে ভালো জব পেতে পারেন। এর কাছে যদি স্টুডেন্ট ভিসা থাকে তাহলে আমেরিকাতেই ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারবেন। আমেরিকাতে বসবাস করলে খুব সহজে কোটিপতি হওয়া সম্ভব। আমেরিকাতে একদিনে যদি আপনি 300 থেকে 400 টাকা ইনকাম করেন তাহলে আপনার  একদিনের ইনকাম বাংলাদেশি টাকায় প্রায়  ৩৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা।

আমেরিকাতে যে কোন ছোটখাট কাজ করার বিনিময় ভালো টাকা উপার্জন করা সম্ভব। আমেরিকাতে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে গেলে সেখানে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন পাশাপাশি ব্যবসা করতে পারবেন ব্যবসা করে নিজের আর্থিক খরচ নিজেই চালাতে পারবেন এখানে পরিবারের আর্টিক সাপোর্টের প্রয়োজন হবে না। আপনি যদি আমেরিকাতে ভালো কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি আপনার পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে পারবেন। 

আজকের এই পোস্টে আমাদের মেইন টপিক ছিল বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে? বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতেই প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ২৮ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। আমেরিকার ভিসার পাশাপাশি প্লেন ভাড়া প্রায় ২ লক্ষ ১৫ হাজার থেকে শুরু করে দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা। সাথে আমেরিকার পাসপোর্ট রয়েছে এছাড়াও আরো অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সব কিছু মিলিয়ে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ২৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url