গর্ভাবস্থায় সঠিক পজিশনে ঘুমানোর নিয়ম (A - Z)

গর্ভাবস্থায় শোয়ার নিয়ম খুজছেন? গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়? আমাদের অনেকেরই ডান পাশে ঘুমানোর অভ্যাস রয়েছে এক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়? জানতে আজকের এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ দেখতে থাকুন। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা গর্ভাবস্থায় সঠিক পজিশনে ঘুমানোর নিয়ম (A - Z)  , গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে কি হয় সে সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। 
গর্ভাবস্থায় সঠিক পজিসনে ঘুমানোর নিয়ম
গর্ভাবস্থায় সঠিক পজিসনে ঘুমানোর নিয়ম 
আপনি যদি গর্ভাবস্থায় সঠিক পজিশনে ঘুমানোর নিয়ম (A - Z) জানতে চান তাহলে এই প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন। আপনারা যারা গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। চলুন তাহলে এবার আমরা ঝটপট দেখে আসি গর্ভাবস্থায় শোয়ার নিয়ম গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয় গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে কি হয়।

গর্ভাবস্থায় সঠিক পজিশনে ঘুমানোর নিয়ম (A - Z)

গর্ভাবস্থায় সঠিক পজিসনে ঘুমানোর নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। গর্ভকালীন সময়টি নারীদের জন্য খুবই স্পেশাল হয় এবং এই সময়টিতে নারীরা তাদের সন্তানকে প্রতি মুহূর্তে অনুভব করতে পারে, যাতে তাদেরকে আনন্দ দেয়। পেটের মধ্যে নিজের সন্তানকে অনুভব করা তাদের নড়াচড়া তাদের নিঃশ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া এসব কিছু নারীদের কে আরো বেশি আনন্দ দেয়। 

তাই গর্ভকালীন সময়টি নারীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবই আনন্দদায়ক হয়। আনন্দদায়ক হওয়ার পাশাপাশি গর্ভকালীন সময় নারীদের জন্য একটু কষ্টকরও হয়ে থাকে। কারন এই সময় নারীদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় যেমন অ্যালার্জির সমস্যা ওঠাবসা সমস্যা পেটে ব্যথা হাত পায়ে ব্যথা পাশাপাশি আরও বিভিন্ন সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য হজম শক্তির সমস্যা।

এই সময় নারীরা বিভিন্ন চিন্তায় থাকেন কি করলে সন্তানের মঙ্গল হবে কি করে সন্তানের অমঙ্গল হবে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় সঠিক পজিশনে ঘুমানোর নিয়ম (A - Z) কি। 

কোন পাশে ঘুমালে সন্তানের মঙ্গল হবে এবং অমঙ্গল হবে? কিভাবে শুয়ে থাকলে শরীর ভালো থাকবে? গর্ভাবস্থায় কতক্ষণ শুয়ে থাকতে হবে? গর্ভাবস্থায় বেশি সময় শুয়ে থাকলে কি হতে পারে? সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। নিচে দেখুন গর্ভাবস্থায় সঠিক পজিশনে ঘুমানোর নিয়ম (A - Z)। 

১) গর্ভাবস্থায় নিজের শোয়ার মধ্যে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে গবেষণাবিদ বলেন গর্ভাবস্থায় এসওএস পজিশনে ঘুমাতে হবে। এসওএস পজিশন বলতে বোঝায় যেকোন একসাইডে ঘুমাতে হবে। আমরা অনেকে চিৎ হয়ে কিংবা উভোর হয়ে শুয়ে থাকতে ভালোবাসি। কিন্তু গর্ভাবস্থায় নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী ঘুমানো যাবে না। 

আপনাকে চিকিৎসা যেভাবে ঘুমাতে বলবে ঠিক সেভাবেই আপনাকে ঘুমিয়ে থাকতে হবে। গর্ভাবস্থায় চিত হয়ে শুয়ে থাকলে এটি বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গর্ভাবস্থায় চিত হয়ে শুয়ে থাকলে মৃত শিশু জন্ম দেওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। গর্ভাবস্থায় যখন চিত হয়ে শুয়ে থাকবেন তখন শিশুর অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাবে এবং শিশুর হৃদ স্পন্দন কমে যাবে। 

যার ফলে তার মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এইজন্য গর্ভাবস্থায় কখনো চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা যাবে না গর্ভকালীন সময়ে সবসময় এক কাত হয়ে শুয়ে থাকতে হবে। যেমন ডান সাইড অথবা বাম সাইড হয়ে শুয়ে থাকতে হবে এটি শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। 

২) গর্ভকালীন সময়ে পা দুমড়ে শুয়ে থাকতে পারেন। অথবা পায়ের নিচে কোলবালিশ কিংবা নরম বালিশ নিয়ে শুয়ে থাকতে পারেন যদি মাজায় ব্যথা অনুভূত হয় তাহলে মাজার পিছে আরো একটি নরম বালিশ দিয়ে রাখতে পারেন। আর গর্ভকালীন সময় বেশি নড়াচড়া করা যাবে না। 

উঠা বাসা ধীরে ধীরে করতে হবে। অনেকেই গর্ভকালীন সময়ে অতি দ্রুত উঠাবসা করে এবং অতিরিক্ত নড়াচড়া করে। এগুলো শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এজন্য গর্ভকালীন সময়ে সব সময় ধীরে ধীরে হাঁটাচলা এবং নড়াচড়া করতে হবে।

৩) গর্ভকালীন সময়ে পেটের নিচে একটি নরম বালিশ রেখে দিবেন এতে ঘুম আরামদায়ক হবে। গর্ভকালীন সময়ে শিশুর আকারের সাথে পেট বড় হতে থাকে। এই সময় ঘুমানো একটি কষ্টকর হয়ে ওঠে এই জন্য ঘুমানোর সময় পেটের নিচে একটি নরম বালিশ দিয়ে রাখবেন এতে আরামদায়ক ঘুম হবে। 

৪) গর্ভকালীন সময়ে শোয়ার সময় অতিরিক্ত এদিক ওদিক নাড়াচাড়া করবেন না। অনেকেই সবার সময় এদিকে ওদিকে অতিরিক্ত নাড়াচাড়া করে যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর যে কোন অক্সাইড হয়ে শুয়ে থাকতে হবে এবং অতিরিক্ত নড়াচাড়া করা যাবে না। আর বারবার চেক করতে হবে শিশুর হৃদ স্পন্দন সঠিক রয়েছে কি।

৫) গর্ভাবস্থায় শোয়ার আগে ভারী খাবার গ্রহণ করা যাবে না। গর্ভাবস্থায় শোয়ার আগে ভারী খাবার গ্রহণ করলে এতে হজম শক্তিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এর জন্য গর্ব অবস্থায় শোয়ার আগে কখনোই ভারী খাবার সেবন করবেন না এবং গর্ভাবস্থায় রাতের খাবারের পর হালকা একটু হাটাহাটি করবেন। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ওপরের এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে চললে আশা করছি গর্ভকালীন সময়টি আপনার জন্য আরো বেশি আনন্দদায়ক হবে। সঠিক নিয়মে না ঘুমালে এতে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে এর জন্য গর্ব অবস্থায় এই নিয়মগুলো একটু মেনে চলতে হবে। 

পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে যে কিভাবে ঘুমাতে হবে কোন কোন খাবার খেতে হবে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় সঠিক পজিশনে ঘুমানোর নিয়ম সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে আসি গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়। 

গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয় 

আপনি কি জানেন গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়? আপনারা যারা গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন তাদের জন্য এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা খুবই জরুরী কারণ যে কোন একটি ভুল সিদ্ধান্ত আপনার জন্য এবং আপনার সন্তানের জন্য ভয়বহ হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভকালীন সময়ে শোয়ার নিয়ম গুলো জেনে নিতে হবে। 

গর্ভকালীন তিন থেকে চার মাস সময় এই সময় যে কোন সাইডে ইচ্ছা অনুসারে ঘুমানো যায় আপনি যে সাইডে আরামদায়ক ফিল করছেন সেই সাইড হয়ে ঘুমাতে পারবেন এতে কোন সমস্যা নেই। গর্ভকালীন হওয়ার পাশাপাশি এটি কষ্টকর হয়। গর্ভকালীন সময়ে পিঠের উপর ভর দিয়ে বিছানার দিকে উপর হয়ে শুয়ে থাকলে এতে বাচ্চা ও মায়ের রক্ত সঞ্চালন গতি কমে যায়।

যা উভয়ের জন্য ক্ষতিকর এর জন্য গর্ভাবস্থায় যে কোন এক সাইডে হয়ে ঘুমানোর জন্য চিকিৎসকরা বলেন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ইচ্ছা অনুসারে যে কোন এক সাইড হয়ে ঘুমাতে পারবেন। গর্ভকালীন সময়ে নিজের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরী। শুধুমাত্র শোয়ার নিয়ম জানতে হবে না গর্ভকালীন সময়ে নিজের পরিপূর্ণ যত্ন নিতে হবে। 

গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি শাকসবজি খেতে হবে পুষ্টিকর ফলমূল খেতে হবে। রাতে ঘুমানোর এক ঘন্টা আগে দুধ খেতে হবে শুকনো ফল যেমন কিসমিস বাদাম খেতে হবে। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গুলো গর্ভকালীন সময়ে নিজের শরীরে একটি অক্সিডেন্ট তৈরি করবে এটি রোগবালাই দূর করবে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে। তাই গর্ভকালীন সময় বেশি বেশি পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং নিজের যত্ন নিতে হবে। 

আরো পড়ুন: এই ৮ টি উপায়ে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করতে চান? ক্লিক করুন
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়। গর্ভাবস্থায় ডানপাশে ঘুমালে কোন ক্ষতি নেই এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বিজ্ঞানীরা গর্ভাবস্থায় যেকোনো এক সাইড হয়ে ঘুমাতে বলেছেন। এটি বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবার চলুন আমরা দেখে আসি গর্ভাবস্থায় বাম পাশে ঘুমালে কি হয়। 

গর্ভাবস্থায় বাম পাশে ঘুমালে কি হয় 

আপনি কি জানেন গর্ভাবস্থায় বাম পাশে ঘুমালে কি হয়? ইতিমধ্যে আমরা জেনে গেছি যে গর্ভাবস্থায় যে কোন এক সাইড হয়ে ঘুমাতে হবে অর্থাৎ গর্ব অবস্থায় চিৎ হয়ে ঘুমানো যাবে না আবার পিঠের ওপর ভর দিয়ে উভর হয়েও ঘুমানো যাবে না। 

গর্ভাবস্থায় পিঠের ওপর ভর দিয়ে উভোর হয়ে শুয়ে থাকলে এতে পেটে চাপ লাগবে এবং পেটে ব্যথা অনুভূত হবে পাশাপাশি এটি বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর। এইজন্য গর্ভাবস্থায় সব সময় যেকোনো এক সাইড হয়ে ঘুমিয়ে থাকতে হবে হয়তো বাম সাইড নয়তো ডান সাইড। 

তবে ডান সাইড হয়ে ঘুমানোর তুলনায় বাম সাইড হয়ে ঘুমানো সবচেয়ে উত্তম গর্ভাবস্থায় বাম পাশে ঘুমালে বাচ্চার এবং মায়ের শরীরে রক্ত সঞ্চালন গতি বৃদ্ধি পায় এবং এই সময় বাচ্চা অনেক বেশি একটিভ থাকে বাচ্চার হৃদ স্পন্দন গতি সঠিক থাকে। গর্ভাবস্থায় বাম পাশে ঘুমালে পুরো শরীরের রক্ত সঞ্চালন গতি সঠিক থাকে এবং এদের বাঁচার কোন ক্ষতি হয় না মায়ের শরীরও ঠিক থাকে। 

এইজন্য চিকিৎসকরা সবসময় বলেন গর্ভকালীন সময়ে বাম পাশে ঘুমাতে। বাম পাশে দীর্ঘ সময় অব্দি ঘুমিয়ে  শরীর ব্যথা করলে আবার একটু ডান পাশে ঘুমিয়ে পড়ুন যদি হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে দেখেন আপনি উভর হয়ে কিংবা চিৎ হয়ে শুয়ে আছেন তাহলে উঠে পড়ুন এবং দুই থেকে তিন গ্লাস পানি পান করুন এবং নিজেকে শান্ত রাখুন। গর্ভাবস্থায় নিজেকে শান্ত রাখা খুবই জরুরী আপনি যত বেশি মানসিকভাবে শক্ত থাকবেন আপনার বাচ্চা তত বেশি সুস্থ থাকবে। 

গর্ভাবস্থায় চিন্তা করার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে পাশাপাশি এটি বাঁচার জন্য ক্ষতিকর এর জন্য গর্ভাবস্থায় সবসময় নিজেকে শান্ত রাখতে হবে। আর কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে চিত হয়ে শুয়ে থাকবেন না সবসময়ই যে কোন এক পাশে হয়ে শুয়ে থাকবেন। চেষ্টা করবেন সব সময় বাম পাশে শুয়ে থাকার। বাম পাশে শুয়ে থাকলে বাচ্চারা সব সময় অ্যাক্টিভ থাকে এবং তাদের শরীর সুস্থ থাকে। 

প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় বাম পাশে ঘুমালে কি হয়। ওপরে আমরা দেখলাম গর্ভাবস্থায় সঠিক পজিশনে ঘুমানোর নিয়ম গুলো এবং গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয় পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় বাম পাশে ঘুমালে কি হয় এবার চলুন আমরা দেখে আসি গর্ভাবস্থায় চিত হয়ে শোয়া যাবে কি?

গর্ভাবস্থায় চিত হয়ে শোয়া যাবে কি 

ইতিমধ্যেই আমরা জেনে গেছি গর্ভাবস্থায় চিত হয়ে শোয়া যাবে কি। গর্ভাবস্থায় কখনোই চিত হয়ে শোয়া যাবে না গর্ভাবস্থায় চিত হয়ে শুয়ে থাকলে রক্ত সঞ্চালন গতি কমে যেতে পারে পাশাপাশি বাচ্চার হৃদ  স্পন্দনও কমে যেতে পারে এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এমনকি বিজ্ঞানীরা বলেন গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ সময় চিত হয়ে শুয়ে থাকলে মৃত সন্তান জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি বেড়ে যায়। 

গর্ভাবস্থায় যখন একজন মা চিত হয়ে শুয়ে থাকবে তখন তার শরীরের রক্ত সঞ্চালন গতি গুলো অনেকাংশ কমে যাবে যার ফলে বাচ্চার শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হবে এবং এদের স্পন্দন ধীরগতির হয়ে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় বাচ্চার হৃদযন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দিবে যার ফলে বাচ্চার মৃত্যু হবে। 

এজন্য কখনোই ভুল করেও চিত হয়ে সোয়া যাবে না এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যদিও ঘুম থেকে উঠে দেখেন আপনি ভুলবশত চিৎ হয়ে শুয়ে আছেন তাহলে দ্রুত উঠে পড়ুন এবং উঠে দুই থেকে তিন গ্লাস পানি পান করুন আর নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। তারপর যেকোনো এক সাইড হয়ে শুয়ে দেখুন, বাচ্চা একটিভ রয়েছে কি? বাচ্চা নড়াচড়া করছে কি? এবং হৃদ স্পন্দন একটিভ রয়েছে কি। 

যদি বাচ্চার হৃদ স্পন্দন বোঝা না যায় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।  প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় চিত হয়ে শোয়া যাবে কি। এবার চলুন আমরা দেখে আসি গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে? 

গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে

গর্ভকালীন সময়টিতে নারীদের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন আসতে থাকে যে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার পেটের কোন পাশে থাকে বাচ্চা কি করে বাচ্চা কিভাবে খাবার খায় বাচ্চা কিভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়। প্রথম প্রথম মা হলে তো প্রশ্নই নেই তাদের মনের সব সময় এই প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খায় এবং তারা সবসময় আনন্দ অনুভব করে। 
গতকালের সময়টি প্রতিটি মেয়ের জন্য খুবই আনন্দদায়ক। তবে এখন প্রশ্ন হল যে গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে? প্রিয় বন্ধুরা গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের যেকোনো পাশে থাকতে পারে এটি নির্ভর করে বাচ্চার উপর। চিকিৎসকরা বলেন প্রথম অবস্থাতে বাচ্চারা মাঝ বরাবর অবস্থান করে। 

তাদের আকার যখন ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তারা চঞ্চল অথবা একটিভ হতে থাকে। তারা সবসময় নড়াচড়া করে এবং এক সাইট থেকে আরেক সাইড যেতে থাকে যেমন বাম থেকে ডান সাইডে কখনো ডান সাইড থেকে বাম সাইডে।

বাচ্চারা পেটের মধ্যে নড়াচড়া করতে থাকে যা প্রতি মুহূর্তে একজন মা অনুভব করতে পারে। প্রথম প্রথম বাচ্চার এই নড়াচড়া মাকে প্রচুর আনন্দ দেয়। বাচ্চারা পা দিয়ে হাত দিয়ে এদিকে ওদিকে পেটের মধ্যে ঘুরে ফির করে। এজন্য গর্ভাবস্থায় বাচ্চা কোন পাশে থাকে এই বিষয়ে ক্লিয়ার বলা খুবই মুশকিল কারণ গর্ভাবস্থায় বাচ্চারা যে কোন পাশে থাকতে পারে। 

অনেকে বলে গর্ভবস্থায় বাচ্চারা বেশিরভাগ সময় ডান পাশে থাকে। তবে এগুলো শুধুমাত্র ভুল ধারণা। এই বিষয়ে আরো ক্লিয়ার তথ্য জানতে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। আজকের এই প্রতিবেদনে আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল গর্ভাবস্থায় সঠিক পজিশনে ঘুমানোর নিয়ম সম্পর্কে । আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় সঠিক পজিশনে ঘুমানোর নিয়ম কি এবার চলুন আমরা দেখে আসি গর্ভাবস্থায় কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত। 

গর্ভাবস্থায় কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত 

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে গর্ভাবস্থায় কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত? প্রথম অবস্থায় গর্ভকালীন সময় বিভিন্ন হরমোন এর পরিবর্তন ঘটে যার ফলে ঘুমঘুম ভাব দেখা দেয় তবে গর্ভাবস্থায় ৭ থেকে ৮ মাসে কিংবা নয় মাসে অনেকের ঘুম না হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় পেটের আকার ধীরে ধীরে আরো বড় হতে থাকে এবং সাথে বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তন এর কারণে সঠিকভাবে ঘুম হয় না এমন কি রাতে ঘুম আসে না সারারাত প্রায় জাগ্রত অবস্থায় কাটাতে হয়। 

তবে প্রত্যেকের শরীর একই নয়। অনেকের গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা দেখা দেয় আবার অনেকের গর্ভকালীন সময়ে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ঘুম আসার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই জন্য গর্ভকালীন সময়ে হাঁটাচলা করতে হবে এক্সারসাইজ করতে হবে অতিরিক্ত ঘুমিয়ে থাকা এবং সব সময় রেস্ট করা ওজনকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে পাশাপাশি এটি বাচ্চা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

গর্ভকালীন সময়টিতে বেশি বেশি পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং পাশাপাশি একটু হাঁটাচলা করতে হবে এক্সারসাইজ করতে হবে আর ভারী কাজ করা থেকে থাকতে হবে। প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যদি একটু এ বিষয়গুলো মেনে চলেন তাহলে আশা করছি আপনারা সুস্থ-সবল বাচ্চা জন্ম দিতে সক্ষম হবেন। 

অনেকেই এই বিষয়গুলো মেনে চলেনা গর্ভকালীন সময় অনেক বেশি রেস্ট করে বেশিরভাগ সময় ঘুমের মাধ্যমে কাটিয়ে দেয় যার ফলে সন্তান কোন দিক থেকে অক্ষম হয়ে জন্ম নেয়। সবসময় ঘুমিয়ে থাকার ফলে সন্তানের বিভিন্ন ক্ষতি সাধন হয় এজন্য দিনে আট থেকে নয় ঘন্টার বেশি ঘুমানো যাবে না।
 
গর্ভকালীন সময়ে একটু হাঁটাচলা করতে হবে এবং এক্সারসাইজ করতে হবে। আর সব সময় মনকে শান্ত রাখতে হবে। অতিরিক্ত নড়াচড়া কিংবা ভারী কাজ করা ভারী বস্তু উঠানো যাবে না। গর্ভাবস্থায় সর্বোচ্চ ৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। এর চেয়ে বেশি ঘুমালে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। 

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত। গর্ভাবস্থায় সর্বোচ্চ ০৯ ঘন্টা ঘুমানো উচিত এর চেয়ে বেশি ১০ থেকে ১২ ঘন্টা ঘুমালে বাচ্চার জন্য এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমানো যাবে না, হালকা এক্সারসাইজ করতে হবে, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে, মাঝে মাঝে বাচ্চা কেমন আছে চেক আপ করতে হবে।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর 

গর্ভাবস্থায় বাম পাশে ঘুমানো ভালো? 
হ্যাঁ গর্ভাবস্থায় বাম পাশে ঘুমানো ভালো এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেন গর্ভাবস্থায় বাম পাশে ঘুমালে শরীরের রক্তের সঞ্চালন ক্ষতি অথবা রক্ত সরবরাহ অনেক দ্রুত হয় যার ফলে বাচ্চা অনেক বেশি একটিভ থাকে এবং বাম পাশে হয়ে শুনে পুরো শরীরে রক্ত দ্রুত গতিতে সঞ্চালন হয়। বাম পাশে ঘুমালে বাচ্চার হার্ট সঠিকভাবে কাজ করে। ডান পাশ হয়ে ঘুমানোর তুলনায় বাম পাশে ঘুমালে এতে বাচ্চা অনেক বেশি সুস্থ অনুভব করে। 

গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে কি হয়? 
গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমানো বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি কর। এই জন্য গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণে তুলনায় বেশি ঘুমানো যাবে না। গর্ভাবস্থায় মেয়েদের শরীর অনেক বেশি দুর্বল থাকে পাশাপাশি বিভিন্ন হরমনের পরিবর্তন ঘটে যা শরীরকে আরো বেশি দুর্বল করে তোলে এই জন্য গর্ভাবস্থায় ঘুম আসে স্বাভাবিকভাবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঘুমানো বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি করে এছাড়াও অতিরিক্ত ঘুমানোর ফলে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যেতে পারে। 

 উপসংহার : গর্ভাবস্থায় সঠিক পজিশনে ঘুমানোর নিয়ম (A - Z)

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দরা আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা গর্ভাবস্থায় সঠিক পজিশনে ঘুমানোর নিয়ম গর্ভাবস্থায় শোয়ার নিয়ম কি গর্ব অবস্থায় কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয় গর্ভাবস্থায় বাম পাশে ঘুমালে কি হয় এবং গর্ভাবস্থায় চিত হয়ে শোয়া যাবে কি এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম। 

গতকালের সবাইকে এটি নারীর জন্য খুবই স্পেশাল হয় এবং সবচেয়ে বেশি আনন্দদায়ক হয় এই সময়টি তারা নিজেদের পাশাপাশি নিজের সন্তানকে অনুভব করতে পারে যা সব সময় তাদেরকে একটি আলাদা শান্তি দেয়। সন্তানের নড়াচড়া শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ব্রিজ স্পন্দন এসব কিছু মেয়েদেরকে মানসিক শান্তি প্রদান করে। 

এইজন্য গর্ভকালীন নারীদের জন্য খুবই স্পেশাল হয়। তবে এই সময়টিতে যার নারীদের মাথায় চিন্তা ভাবনা আসে কিভাবে শুলে কিভাবে ঘুমালে বাচ্চার মঙ্গল হবে কিংবা অমঙ্গল হবে। তাই আমরা আজকের এই প্রতিবেদনে দেখলাম গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয় এবং গর্ভাবস্থায় বাম পাশে ঘুমালে কি হয়। 

গর্ভাবস্থায় বাম পাশে ঘুমানো খুবই ভালো চিকিৎসকরা বলেন গর্ভাবস্থায় বাম পাশে ঘুমালে বাচ্চারা অনেক বেশি একটিভ থাকে এবং তাদের স্পন্দন নরমাল থাকে। এই জন্য গর্ভাবস্থায় সবসময় বাম পাশে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। যদি দীর্ঘ সময় বাম পাশে ঘুমানোর পর শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, তাহলে একটু ডানপাশে ঘুমাতে হবে।

তবে যদি ভুলবশত কখনো দেখেন আপনি চিত হয়ে শুয়ে আছে তাহলে উঠে পড়তে হবে। গর্ভাবস্থায় চিত হয়ে শুয়ে থাকা বাচ্চার জন্য খুবই ক্ষতিকর বিজ্ঞানীরা বলে গর্ভাবস্থায় চিত হয়ে শুয়ে থাকলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন গতি কমে যায় এতে বাচ্চার শরীর কমতে থাকে এভাবে চলতে থাকলে বাচ্চার হৃদ যন্ত্র এর কার্যক্রম ব্যাহত হবে 

এবং বাচ্চার মৃত্যু ঘটবে এতে মৃত বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যাবে। তাই কখনো চিত হয়ে শোয়া যাবে না আর অতিরিক্ত সময় ঘুমানো যাবে না। গর্ভকালীন সময়ে সই ক্লান্ত থাকে এবং বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তন ঘটে যার ফলে ঘুম চলে আসতে পারে তবে অতিরিক্ত ঘুমানোর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

এই জন্য হালকা এক্সারসাইজ করতে হবে, বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে হবে। গর্ভাবস্থায় সবসময়ই মুডকে ফ্রেশ রাখতে হবে। আর বেশি বেশি পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে । পুষ্টিকর শাকসবজি সিদ্ধ করে খেতে হবে তরকারি হিসেবে খেলে অনেক পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় এজন্য শাকসবজি সিদ্ধ করে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকারে লাভ করা যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url