বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা দেখুন সুষম খাদ্য তালিকা
পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা খুঁজছেন? মানবদেহে সঠিক বিকাশের জন্য এবং শরীরের সুস্থ রাখার জন্য একটি পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা তৈরি করার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরের জন্য আলাদা আলাদা পুষ্টি প্রয়োজন সেক্ষেত্রে আমরা আজকের এই পোষ্টের বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা এবং সুষম খাদ্য তালিকা কোন খাবারে কতটুকু পুষ্টি রয়েছে সে সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়েন তাহলে আশা করছি আপনি আপনার জন্য সঠিক খাদ্য তালিকা ধারণ করতে পারবেন। আমাদের বয়স ৫০ এর উপরে গেলেই নানান প্রকার রোগ ব্যাধি দেখা দেয় এর কারণ হলো আমাদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। আমরা কেউ পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা মেনে খাবার গ্রহণ করি না এজন্য আমাদের বয়স ৫০ এর ওপরে গেলে নানান প্রকার রোগ ব্যাধি দেখা দেয়। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে নিজের এই বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাতা তালিকা দেখুন সুষম খাদ্য তালিকা।
পেজ সূচিপত্রঃ বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা দেখুন সুষম খাদ্য তালিকা
- সুষম খাদ্য তালিকা
- বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা
- ১ থেকে ৩ বছর বয়সী বাচ্চার পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা
- ৩ থেকে ৬ বছর বয়সী বাচ্চার পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা
- ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর কিশোরীর জন্য পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা
- প্রাপ্তবয়স্কের পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা
- বয়স্ক মানুষের পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা
- পাঠকদের কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর
- উপসংহারঃ বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা দেখুন সুষম খাদ্য তালিকা
সুষম খাদ্য তালিকা
একজন ব্যক্তির শারীরিক বিকাশে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং ডায়াবেটিস সহ আরো অন্যান্য রোগ বালাই দূর করতে সুষম খাদ্য তালিকার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা অনেকেই সুষম খাদ্য তালিকা এই নামটি আমরা অনেকেই শুনেছি তবে সুষম খাদ্য তালিকা কাকে বলে এবং কোন কোন খাদ্যকে সুষম খাদ্য হিসেবে বলা হয় সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আজকে আমরা দেখব। নিচে দেখুন সুষম খাদ্য তালিকা দেওয়া রয়েছে- চাল
- গম
- রুটি
- আটা
- ভুট্টা
- ভুট্টার আটা
- চিনি
- গুর
- আলু
- মধু
- মসুর ডাল
- কালাই এর ডাল
- সিমের বিচি
- কুমড়ার বিচি
- কচুর লতি
- সূর্যমুখী
- বাদাম
- ঘী
- সয়াবিন
- সামুদ্রিক মাছ
- মাছের তেল
- চর্বি
- ডিম
- কলিজা
- পাকা পেঁপে
- গাজর
- ড্রাগন
- রঙিন শাকসবজি
- ফলমূল
- পাকা আম
- ডুমুর
- বাদাম
- দুধ
- ডিম
- মাছ
- মাংস
- ছোট মাছ
- মাছের ডিম
- কলিজা
- ভুট্টা
- দুধ
- গাজর
- সিম
- আঙ্গুর
- ভিটামিন সি যুক্ত খাবার
সকালের নাস্তা : এক গ্লাস দুধ, ফলমূল
দুপুরের খাবার : ভাত, শাক সবজি, মাছ, ডাল
সন্ধ্যার খাবার : জুস, রুটি, সবজি, দই
রাতের খাবার : রুটি, সবজি, দুধ
এই জন্য প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় সুষম খাদ্য রাখতে হবে। আপনারা যারা জানেন না সুষমা খাদ্য কাকে বলে ওপরে আমরা সুষমা খাদ্য তালিকা শেয়ার করলাম উপরের এই প্রতিটি খাদ্য সুষম খাদ্য। আমরা বাংলাদেশীরা সাধারণত প্রতিদিন চাল থেকে ভাত খেয়ে থাকি।
ভাত আমাদের প্রধান খাবার এক্ষেত্রে ভাত একটি সুষম খাদ্য। ভাত থেকে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট ও পানি পাওয়া যায় সাথে ভাত থেকে ফ্যাটও পাওয়া যায়। ভাত একটি সুষম খাদ্য পাশাপাশি ডিম কলিজা দুধ এগুলো সুষম খাদ্য।
সয়াবিন কুমড়ার বিচি কচুর লতি সূর্যমুখী এই খাবার গুলোও সুষম খাদ্য হিসেবে পরিচিত এই খাবারগুলো থেকে ভরপুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। মানব শরীরের সঠিক বৃদ্ধিতে এবং রোগবালাই দূর করতে সুষম খাদ্যের ভূমিকা অনেক।
সয়াবিন কুমড়ার বিচি কচুর লতি সূর্যমুখী এই খাবার গুলোও সুষম খাদ্য হিসেবে পরিচিত এই খাবারগুলো থেকে ভরপুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। মানব শরীরের সঠিক বৃদ্ধিতে এবং রোগবালাই দূর করতে সুষম খাদ্যের ভূমিকা অনেক।
সুষমা খাদ্য গ্রহণ করলে শরীরে এনার্জি ও শক্তি বৃদ্ধি পায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় শরীর থেকে রোগ ব্যাধি দূর হয়। এছাড়াও সুষমা খাদ্য গ্রহণ করলে শরীরে পুষ্টি যোগায়। বাচ্চাদেরকে বেশি বেশি সুষম খাদ্য খাওয়াতে হবে এতে তাদের মস্তিষ্ক দ্রুত বিকাশ হবে এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকবে।
বাচ্চাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম হয় এইজন্য বাচ্চারা বারবার যেকোনো রোগ বালাই দাড়া আক্রান্ত হয়ে পড়ে এজন্য বাচ্চাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য এখন থেকে তাদের খাদ্য তালিকাতে সুষম খাদ্য রাখতে হবে। ওপরে আমরা সুষম খাদ্য তালিকা শেয়ার করলাম এবার চলুন আমরা দেখে আসি বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা।
বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা
আমাদের প্রত্যেকের বয়স অনুযায়ী আলাদা আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে সেক্ষেত্রে আমাদের পরিবারের প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে। বাসার দশ বছরের শিশুকে আমরা যে খাবার দেই সে খাবার নিশ্চয়ই আমরা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক অথবা বৃদ্ধ বয়স্ক মানুষকে দিতে পারবো না। আমাদের প্রত্যেকের শরীরের আলাদা আলাদা চাহিদা এবং আলাদা আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে।এইজন্য আজকে আমরা দেখব বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা গুলো। বাচ্চাদের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে সাথেই তাদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা না যায় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য সুষম খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে ওপরে আমরা সুষম খাদ্য তালিকা তৈরি করেছি আপনি চাইলে দেখতে আসতে পারেন এবার চলুন আমরা দেখব বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা গুলো।
পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা যেমন
পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা যেমন
- সামুদ্রিক মাছ
- টুনা মাছ
- চিংড়ি মাছ
- সামুদ্রিক কৈ মাছ
- পোয়া মাছ
- চিতই মাছ
- ইল মাছ
- কোড মাছ
- সামুদ্রিক পাখি মাছ
- রূপচাঁদা মাছ
- লইট্যা মাছ
- সামুদ্রিক লাল পোয়া মাছ
- চাপা সুরমা মাছ
- সামুদ্রিক রিটা মাছ
- মেক্রেল সুরমা মাছ
- নরওয়ে স্যালমন মাছ
- ডিম
- পাখির ডিম
- কোয়েল পাখির ডিম
- আখরোট
- আমন্ড
- কুমড়ার বিচি
- চাল গম
- রুটি
- ভাত
- ওটস
- বাদাম
- কাজু বাদাম
- পেস্তা বাদাম
- কমলা
- কলা
- আম
- টমেটো
- দেশী মুরগীর মাংস
- মাছ
- দুধ
- দই
- পালংশাক
- করলা
- বেগুন
- পটল
- লাউ
- পনির
- চিজ
- ১ দিনের পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা
- সকালের নাস্তা
- এক গ্লাস দুধ
- হাফ বইল ডিম
- সাথে পাউরুটি
- ফলমূল
- রঙিন শাকসবজির সালাদ
- দুপুরের খাবার
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ভাত
- ভাতের সাথে যে কোন ডাল
- টমেটো অথবা শসা সালাদ
- মাছ অথবা মাংস
- রঙিন শাকসবজি ভাজি
- স্যুপ
- বিকালের খাবার
- ফলমূল যেমন
- কমলা
- পেয়ারা
- আপেল
- ড্রাগন ফল
- রাতের খাবার
- রুটি
- শাক সবজি
- সালাদ
- মাংস অথবা মাছ
- বাদাম
- ফলমূল
- এক গ্লাস দুধ
১ থেকে ৩ বছর বয়সী বাচ্চার পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা
আপনার বাসায় যদি এক থেকে তিন বছরের শিশু থাকে তাহলে তাদের জন্য এই পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা টি দেখে নিন। এক থেকে তিন বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য বিশেষ রপ্তানিতে হবে এবং তাদের জন্য আলাদা খাদ্য তালিকায় তৈরি করতে হবে কারণ আমাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা চাহিদা রয়েছে এবং প্রত্যেকে শরীরে আলাদা আলাদা পুষ্টি প্রয়োজন। ঝটপট নিচে দেখে নিন আপনার বাসার বাচ্চাদের জন্য কোন খাদ্য তালিকা অনুসরণ করতে হবে।- মায়ের দুধ
- অথবা কিনা দুধ
- দুধের সাথে কলা অথবা
- কমলা অথবা
- লিচু অথবা
- আপেল অথবা
- ড্রাগন ফল
- রুটি ছোট ছোট টুকরো করে দুধের সাথে দিতে পারেন।
৩ থেকে ৬ বছর বয়সী বাচ্চার পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা
আপনার বাচ্চার বয়স যদি ৩ থেকে ৬ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে নিচের এই খাদ্য তালিকা টি অনুসরণ করুন। তিন থেকে ছয় বছর বয়সী বাচ্চাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম থাকে এজন্য তাদের শরীর ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য নিচে খাদ্য তালিকা গুলি অনুসরণ করুন পাশাপাশি তাদের শরীরে শক্তি উৎপাদন করার জন্য কোন কোন খাবার তাদেরকে গ্রহণ করাতে হবে সেই বিষয়ে জানতে নিচে দেখে নিন,- দুধ
- সামুদ্রিক মাছ
- রঙিন শাকসবজি
- সিদ্ধ শাকসবজি
- সালাদ
- স্যুপ
- মুরগির মাংস
- হাফ বয়েল ডিম
- প্রচুর ফলমূল
১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর কিশোরীর জন্য পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা
আপনার বাসায় যদি ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর কিশোরী থাকে তাহলে তাদের জন্য নিজের এই পুষ্টিকর খাদ্য তালিকাটি আপনার কাজে আসবে। ১২- ১৮ বছর বয়সেই কিশোর কিশোরীদের জন্য একটু বিশেষ নজর রাখতে হবে এবং তাদের খাদ্য তালিকাতে বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার এড করতে হবে।কারণ এই সময় তাদের শরীরে বেশি পুষ্টি প্রয়োজন তাদের বিভিন্ন প্রকার পরিবর্তন দেখা দেয়। কিশোর এবং কিশোরী এই সময় উভয়ের বিশেষ ছাত্র রাখতে হবে খালে তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে এবং তাদের সাথে সবসময় ভালো ব্যবহার করতে হবে।
এই সময় মাঝে মাঝে তাদের মুড সুইং এর সমস্যা দেখা দেয়। এইজন্য এই সময় সব সময় তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন এবং বেশি বেশি পুষ্টিকর খাদ্য তাদের খেতে দিতে হবে চলুন দেখে আসি ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সে কিশোর কিশোরীর জন্য পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা।
- ভাত
- রুটি
- ওটস
- মাছ
- মাংস
- মুরগির মাংস
- কলিজা
- হাফ বয়েল ডিম
- দুধ
- দুধের সর
- শাক সবজি
- সিদ্ধ শাক সবজি
- বাদাম
- শুকনো ফল
- ফলমূল
প্রাপ্তবয়স্কের পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা
আপনাদের যাদের বয়স ১৯ থেকে শুরু করে ৩০ অথবা ৪০ এর মধ্যে তারা নিঃসন্দেহে প্রাপ্তবয়স্ক। প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন প্রায় প্রচুর পরিশ্রম করে । প্রচুর এনার্জি লস হয় এর জন্য প্রাপ্তবয়স্কের জন্য আলাদা খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে যেখা তালিকা যে বেশি বেশি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাদ্য এড করতে হবে। চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি প্রাপ্তবয়স্কর পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা গুলো।
- শস্য জাতীয় খাবার
- ভাত
- গমের রুটি ভুট্টার রুটি
- চিরা
- দুধ
- দই
- মধু
- সিমের বিচি
- কুমড়ার বিচি
- চিজ
- পনির
- মুরগির মাংস
- মাছ
- সামুদ্রিক মাছ
- ছোট মাছ
- শুঁটকি মাছ
- সমস্ত রঙিন সবজি
- ফলমূল
- শুকনো ফল
- দুগ্ধ জাতীয় খাবার
- প্রচুর পানি
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রচুর পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে পানি শুনাতে দেখা যেতে পারে। এজন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখতে হবে। শুটকি মাছ থেকেও ভরপুর কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায় যার শরীরে শক্তি উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।
দুগ্ধ জাতীয় খাবার থেকে এবং দুধ থেকে ভরপুর কার্বোহাইড্রেট সহ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করবে এবং শরীরের শক্তি উৎপন্ন করবে। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাংকের খাদ্য তালিকাতে অবশ্যই ওপরের এই খাবারগুলো রাখতে হবে পাশাপাশি সালাদ।
আরো পড়ুনঃ দিনে 500 টাকা ইনকাম করার উপায় জানুন
প্রতিদিন খাবারের সাথে বিভিন্ন শাকসবজি সালাদ রাখতে হবে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে খাদ্য তালিকায় লেবু রাখতে হবে। প্রিয় পাঠক বৃন্দরা আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন প্রাপ্তবয়স্কের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে আসি বয়স্ক মানুষের পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা।
বয়স্ক মানুষের পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা
আপনার বাসায় কি কোন বয়স্ক মানুষ রয়েছে? কমবেশি আমাদের প্রত্যেকের বাসা দিয়ে বয়স্ক মানুষ থাকে যেমন আমাদের বাবা মা শ্বশুর-শাশুড়ি অথবা নানা দাদু। তাদের বয়স অনুসারে অবশ্যই তাদের জন্য আলাদা খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে কারণ তাদের শরীরে এখন বিভিন্ন পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে। বয়স ৫০ এর ওপরে গেলেই শরীরে নানান প্রকার রোগবালায় দেখা যায় এই অবস্থায় বেশি বেশি পুষ্টিকর খাদ্যগুলো গ্রহণ করতে হবে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি কমাতে হবে। শরীরে পুষ্টির ঘাটতি কম করতে নিচে খাদ্য তালিকা অনুসরণ করুন।
১) ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য
- দুধ
- দই
- পনির
- চিজ
- পালং শাক
- কেল
- ব্রকলি
- বাঁধাকপি
- বাদাম
- ভেন্ডি
- তিল
- স্যালমন মাছ
- টুনা মাছ
- সয়াবিন
- কমলা
- আপেল
- ড্রাগন
- ডুমুর
২) ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য
- স্যালমন মাছ
- টুনা মাছ
- মেকরেল মাছ
- ব্রকলি
- ডিম
- দুধ
- কলিজা
- শুঁটকি মাছ
- ঝিনুক
- কুমড়োর বিচি
- মুরগির মাংস চামারা বিহীন
৩) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য
৪) প্রচুর পানি
বয়স্ক মানুষের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। যেমন সকালের নাস্তা হিসেবে দুধ কিছু ফলমূল, বাদাম দিতে পারেন। দুপুরের খাদ্য তালিকা তে রুটি অথবা ভাত মুরগির মাংস কলিজা কিংবা মাছ, শাকসবজি যেমন ব্রকলি পালং শাক, ডাল দিতে পারেন।
বিকালের নাস্তা তে দুধসহ হাফ বয়েল ডিম তিল চিজ দই অথবা বাদাম দিতে পারেন। আর রাতের খাবারের রুটি অথবা ভাতের সাথে মুরগির মাংস কিংবা টুনা মাছ অথবা ঝিনুক দিতে পারেন। সাথে প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই দুধ দিতে হবে। সুপ্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা দেখলাম বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা এবং বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা সহ সুষম খাদ্য তালিকা।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর
বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকার গুরুত্ব কি?
বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকার গুরুত্ব অনেক আমাদের পরিবারে আমরা প্রত্যেকেই সমবয়সী থাকে না কারোর বয়স বেশি কারোর বয়স কম থাকে এক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের শরীরের আলাদা আলাদা পুষ্টি এবং ভিটামিনের প্রয়োজন। ১০ বছর বয়সী বাচ্চার খাবার এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির খাবার কখনোই একই হতে পারে না এই জন্য প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা খাবার তালিকা তৈরি করতে হবে।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য কোনগুলো?
আপনি কি জানেন ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য কোনগুলো? দুধ থেকে প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় পাশাপাশি দুগ্ধ জাতীয় খাবারগুলো থেকেও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। শরীরে ক্যালসিয়ামের বিশেষ ঘাটতি দেখা দিলে ক্যালসিয়াম ক্যাপসুল সেবন করতে পারেন।
পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা কাকে বলে?
যে খাদ্য তালিকাতে সমস্ত ভিটামিন বিদ্যমান থাকবে সে খাদ্য তালিকা কে পুষ্টিকর এবং সুষম খাদ্য তালিকা বলে।
উপসংহারঃ বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা দেখুন সুষম খাদ্য তালিকা
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দরা আশা করছি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আজকের এই শিরোনাম দেখে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে আজকে আমরা কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের আজকের এই পোষ্টের মেইন টপিক ছিল বয়স অনুযায়ী পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা এবং সুষম খাদ্য তালিকা গুলো কি কি সেই বিষয়ে।
আমরা অনেকেই সুষম খাদ্য তালিকা এই নামটি নিশ্চয়ই শুনেছি তবে সুষম খাদ্য তালিকা কাকে বলে সেই বিষয় হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা তাই আজকের এই পোস্টে আমরা দেখলাম যে আসলে সুষম খাদ্য তালিকা বলতে কী বোঝায়। সুষম খাদ্য তালিকা বলতে বোঝায় যে খাবারগুলোতে সমস্ত পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকবে।।
আমাদের প্রত্যেকের শরীরে আলাদা আলাদা পুষ্টির চাহিদা রয়েছে আমাদের প্রত্যেকের বয়স অনুসারে পুষ্টি প্রয়োজন। একজন ১০ বছরের বাচ্চা যতটুকু পুষ্টি প্রয়োজন তার তুলনায় নিশ্চয়ই প্রাপ্তবয়স্কদের বেশি পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে এজন্য আমাদের বাসায় প্রত্যেকের প্রয়োজন অনুসারে খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে বাসায় থাকলে তাদের জন্য আলাদা খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে এবং বাসায় বয়স্ক মানুষদের জন্য আলাদা খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে।
উপরে আমরা প্রতিটি বয়সের ব্যক্তিদের জন্য আলাদা আলাদা খাদ্য তালিকায় শেয়ার করেছি এবং প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে কেমন পুষ্টি প্রয়োজন বয়স্কদের শরীরে কেমন পুষ্টি প্রয়োজন, পাশাপাশি কিশোর-কিশোরী এবং বাচ্চাদের শরীরের জন্য কেমন পুষ্টি প্রয়োজন সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আজকের এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে একটি শেয়ার করে দিবেন।
ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url