মহাকর্ষ বল কাকে বলে ও নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র দেখুন
মহাকর্ষ বল কাকে বলে? তোমরা যারা বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থী রয়েছে তোমাদের জন্য এই বিষয়গুলো জেনে রাখা খুবই জরুরী মহাকাশে বল কাকে বলে ও নিউটনের মহাকাশের সূত্র। নিউটন মহাকাশে বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র প্রদান করেছে সেই সূত্রটি আজকে আমরা তোমাদের সাথে শেয়ার করব। চলো ঝটপট দেখে আসি মহাকর্ষ বল কাকে বলে ও নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র।
আজকের এই পোস্টে আমরা নিউটনের মহাকাশের সবচেয়ে সহজ সূত্রটি প্রদান করব এই সূত্রটি খুব সহজে আপনারা প্রত্যেকে মুখস্ত করতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা ঝটপট দেখে আসি মৌলিক বল কাকে বলে নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র এবং মহাকর্ষ বল কাকে বল কাকে বলে । মহাকর্ষ বল কাকে বলে ও নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র দেখুন।
মহাকর্ষ বল কাকে বলে
আপনি কি জানেন মহাকর্ষ বল কাকে বলে? নভোমন্ডলে অবস্থিত একটি বস্তুর প্রতি আরেকটি বস্তুর আকর্ষণ বলকে মহাকর্ষ বল বলে। ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন এর আপেল পতনের বিষয়টি কেন্দ্র করে নিউটন এই মহাকর্ষ বলের সূত্রটি আবিষ্কার করেন।বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন তিনি একটি আপেল গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন এবং সেই সময় গাছ থেকে একটি আপেল ঝরে তার মাথায় পতিত হয় এই দেখে তার মাথায় বিভিন্ন চিন্তাভাবনা আসে কেন আপেলটি সরাসরি নিচের দিকেই পরলো? এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই সার্বজনীন মহাকর্ষের তত্ত্বটি অথবা সূত্রটি আবিষ্কার করেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী নিউটন।
মহাকর্ষ বল মহাবিশ্বের সবচেয়ে মৌলিক বল গুলোর মধ্যে একটি । মহাকাশে বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যেমন গ্যালাক্সি, তারা, গ্রহ। মহাকর্ষ বলের কাজ হল এই মহাকাশে বিভিন্ন উপাদান গুলোকে আকর্ষণ করা। এক কথায় মহাকর্ষ বল বলতে বোঝায়, ''মহাকর্ষ বল হল, দুটি বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ বল''। দুইটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ বল কাজ করে তাকেই মহাকর্ষ বল বলা হয়।
দুইটি বস্তুর আকার এবং ওজন যত বেশি হবে তাদের মধ্যেকার মধ্যাকর্ষণ বল তত বেশি হবে। আর দুইটি বস্তু যত বেশি দূরত্বে থাকবে তাদের মধ্যে মহাকর্ষ বল ঠিক ততই কম হবে। মহাকর্ষ বল বলতে একটি শক্তিকে বোঝায় যে শক্তির মাধ্যমে দুইটি বস্তু একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। মহাকাশে বিভিন্ন উপাদান রয়েছে সেই উপাদান গুলো এদিক থেকে ওইদিক ছিটকে পড়ে না কেন?
কারণ সেই বস্তুগুলোর মধ্যে মহাকর্ষ বল কাজ করে এর জন্য তারা একে অপরের সাথে সংযুক্ত রয়েছে এবং এইদিক ঐদিক ছিটকে পড়ার কোন আশঙ্কা নেই। তাদের মধ্যে যদি কোন প্রকার মহাকর্ষ বল কাজ না করতো তাহলে তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করত। মহাকর্ষ বলের কয়েকটি উদাহরণ নিচে দেওয়া রয়েছে।
গাছ থেকে আপেল নিচে পতিত হওয়া : গাছ থেকে আপেল নিচে কেন পতিত হয়? পৃথিবী তার বিশাল মহাকর্ষণ বল দিয়ে আপেল কে নিচের দিকে টেনে নেয়। এই জন্য আপেলটি গাছ থেকে সরাসরি নিচের দিকে পড়ে যায়। আবার আমরা চাইলেই লাফিয়ে উপরে উঠতে পারি না এর কারণ হলো পৃথিবীতে বিশাল মহাকর্ষণ বলের মাধ্যমে আমাদেরকে তার নিজের দিকে টেনে নেয় এতে আমরা চাইলেও উপরে উঠতে পারিনা।
উদাহরণ ২
পৃথিবীর চারপাশে চাঁদ ঘুরে:- পৃথিবীর মহাকর্ষণ বল এতটাই তীব্র যে সে চাঁদকে তার মহাকর্ষণ বলের মাধ্যমে নিজের দিকে টেনে নেয়। যার ফলে চাঁদ পৃথিবীর থেকে দূরে কোথাও অবস্থান করতে পারে না। চাঁদ তার গতিবেগের কারণে প্রতি মুহূর্ত পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে থাকে। ঠিক এই ভাবে সৌরজগৎ তার বিশাল মহাকর্ষ বলের মাধ্যমে গ্রহগুলোকে নিজের কাছে টেনে নেয়। গ্রহ গুলোর নিজের গতিবেগ রয়েছে। সেই গতিবেগ এর কারণে তারা প্রতুহূর্ত সূর্যের চার পাশে আবর্তিত হয়।সুপ্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দরা আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মহাকর্ষ বল কাকে বলে। মহাকর্ষ বল দুটি বস্তুর মধ্যে আকর্ষণ বলেন নাম যা একে অপরকে সংযুক্ত রাখতে সাহায্য করে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি মহাকর্ষ বলের প্রয়োজনীয়তা কি কি।
মহাকর্ষ বলের প্রয়োজনীয়তা
মহাকর্ষ বলের কি কোন প্রয়োজনীয়তা আছে? মহাকর্ষ বল না থাকলে কি হত? যদি মহাকর্ষ বল না থাকতো তাহলে কি এই পৃথিবীতে কোন পরিবর্তন আসতো? হ্যাঁ। এই পৃথিবীতে কিংবা এই মহাবিশ্বে যদি মহাকর্ষ বল কাজ না করতো তাহলে এই পৃথিবী কখনোই গঠন হতো না। মহাকর্ষ বলের কারণেই এই পৃথিবীতে বায়ু পানি আরো অন্যান্য উপাদান গুলো আবদ্ধ থাকে। এই পৃথিবীতে কিংবা মহাবিশ্বে যদি কোন মহাকর্ষ বল কাজ না করতো তাহলে আমরা কোথাও ছিটকে পড়তাম। মহাকর্ষ বলের কারণেই আমরা পৃথিবীতে সুষ্ঠুভাবে জীবন যাপন করতে পারছি।এই পৃথিবীতে যদি মহাকর্ষ বল কাজ না করতো তাহলে আমাদের বেঁচে থাকা মুশকিল হতো এমনকি মহাকর্ষ বল কাজ না করলে এই পৃথিবী হয়তো গঠিত হতো না। মহাকাল সব বলের কারণেই পৃথিবী ধীরে ধীরে গঠিত হয়েছে মহাকাশে বলের প্রভাবে পৃথিবীতে বায়ু পানি আগুন আর অন্যান্য উপাদান গুলো আবদ্ধ হয়েছে এবং এর ফলে ধীরে ধীরে পৃথিবী গড়ে উঠেছে । মহাকর্ষ বলের কারণেই মহাকাশের গ্রহ চাদ তারা গুলো নিজ অবস্থানে রয়েছে। যদি মহাকর্ষ বল কাজ না করত তাহলেই তারা হইলো স্থানে ছিটকে পড়তো।
চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষণের কারণেই সমুদ্রোতে জোয়ার ভাটা আসে। মহাকর্ষের কারণেই মহাকাশের চাঁদ গ্রহ গ্যালাক্সি তৈরি হয়েছে যদি মহাকর্ষ বল কাজ না করতো তাহলে এরা নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করত। এইজন্য মহাকর্ষণ বলের প্রয়োজনীয়তা অনেক । মহাকর্ষণ বল সঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিলে এই পৃথিবীর মানুষের বেঁচে থাকা খুবই মুশকিল হবে। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দরা, আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মহাকর্ষণ বলের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে আসি মৌলিক বল কাকে বলে।
মৌলিক বল কাকে বলে
আপনি কি জানেন মৌলিক বল কাকে বলে? আপনারা যারা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রয়েছেন আপনাদের জন্য এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা খুবই জরুরী কারণ পরীক্ষাতে বারবার এ প্রশ্নগুলো আসতে পারে। আপনারা যারা মৌলিক বল কাকে বলে সে বিষয়ে ক্রিয়ার ধারণা পেতে চান এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়তে থাকুন। মৌলিক বল কাকে বলে?সহজ ভাষায় স্বাধীন অথবা মূল বল কে মৌলিক বল বলা হয়। যে বলগুলো অন্যান্য বলের সমন্বয়ে গঠিত নয়, বরং মৌলিক বল গুলোর কাজ হলো অন্যান্য বলের কোন না কোন রূপকে প্রকাশ। মনে রাখবেন মৌলিক বল এটি সব সময় স্বাধীন। আর অন্যান্য বল গুলো অধীন। যেমন উদাহরণস্বরূপ একটি ফুটবল জোরে আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে এই সময় থেকে আমরা কোন কিছু সাহায্যে থামিয়ে দেই অর্থাৎ বল প্রয়োগ করি। এই অবস্থায় আমরা যেই মাধ্যমে ফুটবলটিকে থামিয়ে দিলাম। একেই বল অথবা force বলা হয়।
প্রতিটি বলে কিন্তু মৌলিক বল হয় না। মৌলিক বল গুলো স্বাধীন হয় এবং মৌলিক বলের জন্য অন্য কোন বলের প্রয়োজন হয় না। মৌলিক বলে চারটি ধরন রয়েছে যেমন:
- মহাকর্ষ বল
- সবল নিউক্লিয় বল
- বিদ্যুৎচুম্বকীয় বল
- দুর্বল নিউক্লিয় বল
মহাকর্ষ বল
মহাকর্ষ বল এটি একটি মৌলিক বল। মহাকাশেবল সম্পূর্ণ স্বাধীন মহাকর্ষ বল বলতে বোঝায় নভোমন্ডলের দুটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ বল কাজ করে যাকে মহাকর্ষ বল বলে মহাকর্ষ বলের প্রভাবে মহাকাশের গ্রহ তারা নক্ষত্র গ্যালাক্সি প্রতিটি বস্তু একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকে।অর্থাৎ তাদের মধ্যে একটি আকর্ষণ বল কাজ করে এই আকর্ষণ বল কে মহাকর্ষ বল বলা হয়। মহাকর্ষ বল এটি সম্পূর্ণ স্বাধীন মহাকর্ষ বল অন্যান্য বলেন সমন্বয়ে গঠিত নয়। বরং মহাকর্ষ বল অন্যান্য কোন না কোন বলের রূপ প্রকাশ এজন্য বিজ্ঞানীরা মহাকর্ষ বল কে স্বাধীন বলেছেন।
মহাকর্ষ বলের প্রভাবে গ্রহ নক্ষত্র নিজ অবস্থানে বসবাস করছে। যদি মহাকর্ষ বল কাজ না করতো তাহলে গ্রহ নক্ষত্র তাদের অবস্থার হারিয়ে কোথাও ছিটকে পড়তো ঠিক একই ভাবে আমরা পৃথিবী থেকে কোন না কোন অবস্থানে ছিটকে পড়তাম।
সবল নিউক্লিয় বল
পরমাণুতে নিউক্লিয়াস প্রোটন ও নিউট্রন দ্বারা গঠিত হয়। প্রোটন ও নিউট্রন একে অপরকে আকর্ষণ করে যার ফলে একটি পরমাণুতে নিউক্লিয়াস গঠিত হয়। এদের পরস্পরকে নিউক্লিয়ন বলা হয়। নিউক্লিয়াসের এই নিউক্লিয়ন গুলোকে একে অপরের সাথে আবদ্ধ রাখে যে বল তাকে মূলত সবল নিউক্লিয় বল বলা হয়।নিউক্লিয়াসের ধনাত্মক আধান ধর্মী প্রোটন যদি অপর ধনাত্মক আধান ধর্মী প্রোটনের কাছাকাছি যায় তাহলে এদের মধ্যে বিকর্ষণ দেখা দেয় এবং বিকর্ষণের মাধ্যমে এদের ভেঙ্গে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রকৃত অবস্থায় দেখা যায় ধনাত্মক আধান ধর্মী প্রোটন একে অপরের পাশাপাশি কাছাকাছি থাকার পরেও এরা ভেঙ্গে যায় না এর কারণ এদের মধ্যে শাবল নিউক্লিয় বল কাজ করে যা এদেরকে একে অপরের সাথে আবদ্ধ রাখে এবং ভাঙতে দেয় না।
দুর্বল নিউক্লিয় বল
তেজস্ক্রিয় কণা ক্ষয়ের জন্য দায়ী বলকেই দুর্বল নিউক্লিয় বলা হয়। যে স্বল্প পাল্লার ও স্বল্পমানের বলগুলো নিউক্লিয়াসের মৌলিক কণাগুলোর মধ্যে ক্রিয়া গঠন করে এবং অস্থিতিশীলতা তৈরি করে তাকেই দুর্বল নিউক্লিয় বল বলে। এই পৃথিবীতে বেশ কিছু নিউক্লিয়াস রয়েছে যেগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভেঙে যায়।বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বল
দুইটি আহিত অথবা চার্যত বস্তুর মধ্যে যে চৌম্বকিকা অথবা বল কাজ করে তাকে বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বল বলে। তড়িৎ বল এবং চৌম্বক বল একে অপরকে আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ উভয় করতে পারে। লক্ষ্য করে দেখবেন দুটি চুম্বক পদার্থ থেকে যদি বিশেষ দূরত্ব তে রাখা হয় তবুও তারা একেঅপরকে একটি অদৃশ্য বলের মাধ্যমে টানতে থাকে। অথবা একটি বিদ্যুৎ পদার্থ এবং চুম্বক পদার্থকে যদি কিছু দূরত্বে রাখা হয় তাহলে তারা একটি অদৃশ্য বলের মাধ্যমে একে অপরের সাথে চিপকে যায় এর কারণ হলো তাদের মধ্যে বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বল কাজ করছে। এই বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বলটি অনেক বেশি শক্তিশালী এবং এই বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বলটি সম্পূর্ণ স্বাধীন।
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মৌলিক বল কাকে বলে এবং মৌলিক বলে চারটি ধরন কি কি এবং সেই চারটি ধরন গুলোর ব্যাখ্যা কি। এবার চলুন আমরা দেখে আসি নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র।
নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র
১6৮৭ সালে বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন মহাবিশ্বের অথবা নভ মন্ডলের দুইটি বস্তুর মধ্যে একটি আকর্ষণ বল কে সূত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন এবং তার এই সূত্রটি পুরো বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত হয়ে ওঠে। সেই সূত্রটি হলো নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র। একটি সূত্রের সাহায্যে মহাকর্ষের সার্বজনীন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।তবে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্বের আবিষ্কারের পর নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র কে সার্বজনীন হিসেবে বলা যাবে না কিন্তু মহাকর্ষ ধ্রুবকের সার্বিকতা এখনো ক্ষুন্ন হয়নি। নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রটি নিচে দেওয়া রয়েছে দেখে নিন।
নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রটি হল ঃ''এই মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু একে অপরকে নিজের কাছে অথবা দিকে আকর্ষণ করে এবং এই আকর্ষণ বল এর মান বস্তু কণাগুলোর ঘরের গুণফল এর সমানুপাতিক সাথেই এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক। এই বল বস্তুদয়ের কেন্দ্র বরাবর সরলরেখা করে''।
সহজ ভাষায় বলি নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র হলোঃ ''একটি মৌলিক ভৌতিক নিয়ম যা মহাবিশ্বের যেকোনো দুটি বস্তু পরস্পরকে আকর্ষণ করে। এই আকর্ষণ বল কে মূলত মহাকর্ষ বল বলা হয়। এবং এই মহাকর্ষ বলের প্রভাবে এই পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে''।
সূত্রের ব্যাখ্যা
সূত্র অনুযায়ী দেওয়া রয়েছে বস্তু দুটির মধ্যকার আকর্ষণ বল কে মহাকর্ষণ বল বলা হয় এক্ষেত্রে, দুটি বস্তুর ভরের গুণফলের সমানুপাতিক অর্থাৎ বস্তু দুটির ভর অথবা বেশি হবে তাদের মধ্যে আকর্ষণ বল ঠিক ততই তীব্র হবে।বস্তু দুটির মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক অর্থাৎ সেই বস্তু দুটি যত বেশি দূরত্বে অবস্থান করবে তাদের মধ্যে আকর্ষণ বল ততই হ্রাস পাবে। এবং তাদের দূরত্ব যত কম হবে তাদের মহাকর্ষ বল তত বেশি হবে।
মনে করি, m1 এবং m2 দুটি বস্তুর ভর এবং এরা পরস্পর r সমান দূরত্বে অবস্থান করছে। তাহলে নিউটনের সূত্র অনুযায়ী দুটি বস্তু একে অপরকে আকর্ষণ করছে এবং ধরি তাদের মধ্যে F1 মহাকর্ষ বল কাজ করছে। তাহলে নিউটনের মহাকর্ষ বলে সূত্র অনুযায়ী m1 বস্তু m2 বস্তুকে F1 বল দ্বারা r সমান দূরত্বে আকর্ষণ করছে।'
ঠিক একইভাবে m2 বস্তু m1 বস্তুকে F2 বল দ্বারা r সমান দূরত্বে আকর্ষণ করছে। তাহলে আমরা মনে করতে পারিF1=F2 অথবা F1=F2=F তাহলে নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র অনুযায়ী,
এখানে G = মহাকর্ষীয় ধ্রুবক এই মহাকর্ষীয় ধ্রুবককে বিশ্বজনীন ধ্রুবক বলা হয় কারণ এর মান নির্দিষ্ট থাকে কখনো এর মান পরিবর্তন হয় না।
G এর মান হল 6.673
G=6.673
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ এই ছিল মহাকর্ষ বল কাকে বলে ও নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র। আপনারা যারা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রয়েছেন আপনাদের জন্য এই সূত্রটি মনে রাখা খুবই জরুরী কারণ এটি পরীক্ষাতে বারবার আসে এছাড়াও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীর জন্য মহাকর্ষ বল এবং নিউটনের সার্বজনীন মহাকর্ষ সূত্র সম্পর্কে জেনে রাখা আবশ্যক।
G=6.673
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ এই ছিল মহাকর্ষ বল কাকে বলে ও নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র। আপনারা যারা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রয়েছেন আপনাদের জন্য এই সূত্রটি মনে রাখা খুবই জরুরী কারণ এটি পরীক্ষাতে বারবার আসে এছাড়াও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীর জন্য মহাকর্ষ বল এবং নিউটনের সার্বজনীন মহাকর্ষ সূত্র সম্পর্কে জেনে রাখা আবশ্যক।
আশা করছি ওপরের এত আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন মহাকর্ষ বল কাকে বলে? মহাকর্ষ বলের প্রয়োজনীয়তা কি কি এবং মৌলিক বল কাকে? মৌলিক বলের প্রকারভেদ গুলো কি কি সাথে নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র কি।
উপসংহারঃ মহাকর্ষ বল কাকে বলে ও নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র দেখুন
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই পোস্টে আমরা দেখলাম নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র মহাকর্ষ বল কাকে বলে মহাকর্ষ বলের প্রকারভেদ গুলো কি কি এবং মৌলিক বল কাকে বলে সাথে মৌলিক বলেন চারটি ধরন কি কি। মৌলিক বল এর ৪টি ধরন হলো বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বল মহাকর্ষ বল নিউক্লিয় বল এবং দুর্বল নিউক্লিয় বল।
ওপরে আমরা এই চারটি বল সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করেছি আপনি চাইলে এই ব্যথাগুলো মুখস্ত করে রাখতে পারেন। যে বলগুলো স্বাধীন এবং অন্যের উপর নির্ভরশীল নয় সেই বল গুলোকে মূলত মৌলিক বল বলে। যেমন মহাকর্ষ বল এটি সম্পূর্ণ স্বাধীন মহাকর্ষ বল কার উপর নির্ভর করে না বরং অন্যান্য বল গুলোর রূপ প্রকাশ করে।
আর যেই বলগুলো অন্যান্য বলের উপর নির্ভরশীল থাকে অথবা অন্যান্য বলের সম্মানয়ে গঠিত হয় তাদেরকে অধীন বল বলে। সাথে আমরা আজকের এই পোস্টে আরো আলোচনা করলাম মহাকর্ষ বল কাকে বলে? মহাকর্ষ বল বলতে বোঝায় নভোমন্ডলে অথবা মহাবিশ্বে দুইটি বল পরস্পরকে যে বলের মাধ্যমে আকর্ষণ করে সেই বলকে মহাকর্ষ বল বলা হয়।
মহাবিশ্বে বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যেমন গ্যালাক্সি তারা গ্রহ এই উপাদানগুলো নিজ অবস্থানে বসবাস করে এরা কেন অন্য কোথাও ছিটকে পড়ে না? কোন শক্তির মাধ্যমে এরা এভাবে মহাবিশ্বে আছে? তাদের মধ্যে মহাকর্ষ বল কাজ করে মহাকর্ষ বলের প্রভাবে তারা নিজ অবস্থানে বসবাস করছে এবং অন্য কোথাও ছিটকে পড়ছে না।
ঠিক একইভাবে পৃথিবীতে মহাকর্ষ বল কাজ করে পৃথিবীর গভীর মহাকর্ষ বলের টানে আমরা পৃথিবীর বুকে বসবাস করছি আমরা অন্য কোথাও ছিটকে পড়ছি না। এই পৃথিবীতে যদি মহাকর্ষ বল কাজ না করতো তাহলে আমাদের অবস্থান পরিবর্তন হতো। এবং আমরা এই পৃথিবীতে বসবাস করতে পারতাম না।
আজকের এই পোস্টে আমাদের মূল বক্তব্য ছিল নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র নিয়ে নিউটন যে সার্বজনীন মহাকর্ষ সূত্রটি প্রদান করেছে সেই সূত্রটি ব্যাখ্যা উপরে দেওয়া রয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নিউটনের এই সূত্রটি খুবই জরুরী তাই আশা করছি আজকের এই পোস্টটিআপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।
ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url