মাত্র ২ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করুন

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করার উপায় কি? আপনি যদি অনলাইনে মাত্র ২ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টের সম্পূর্ণ মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন। আজকের এই পোস্টে আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট কাটার নিয়ম, অনলাইন টিকিট বুকিং নিরাপদ নাকি সে সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। মাত্র ২ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করুন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করুন
বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে অনলাইনে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করা যাচ্ছে তাই এই সুযোগ হাতছাড়া না করে দ্রুত মাত্র ২ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করুন। আগে রেলওয়ে টিকিট বুকিং করার জন্য শত শত মানুষের ভিড়ে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট বুকিং করতে হতো কিন্তু এখন খুব সহজে আপনি নিচের উপায় গুলো দেখে মাত্র দুই মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করতে পারবেন। 

পেজ সূচিপত্রঃ মাত্র ২ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করুন

        ভূমিকা        

দীর্ঘদিন থেকেই মানুষের জনপ্রিয় একটি যাতায়াত ব্যবস্থা হল রেলওয়ে। পুরো বিশ্বব্যাপী রেলওয়ে যাতায়াতের সংযোগ রয়েছে। এটা সহজে পুরো বিশ্বব্যাপী রেলওয়ের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়। রেলওয়ে যাতায়াতের সুবিধা অনেক। একটি বাসের সর্বোচ্চ 80 থেকে 90 জন অথবা ১০০ জন যাতায়াত করতে পারবে। তবে একটি ট্রেনের কয়েক হাজার মানুষ পর্যন্ত একসাথে ভ্রমণ করতে পারবে। 

এছাড়াও ট্রেনে ভ্রমণ এটি অর্থশাস্ত্রই প্লেনের তুলনায় ট্রেনের টিকিট ভাড়া অনেক কম এতে যে কেউ খুব সহজেই ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবে। ভ্রমণ অনেক আরাম দেওয়া হয়। এই ট্রেনের ভিতরে অনেক স্পেস  থাকে এতে আমরা আরামে ভ্রমন করতে পারি। ট্রেনে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। ট্রেনের জানালা দিয়ে পৃথিবীর প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে। এই জন্য বেশিরভাগ মানুষের ট্রেনে ভ্রমণ খুব পছন্দ করে। 

ট্রেনে ভ্রমণের জন্য নির্দিষ্ট সময় দেয়া রয়েছে আপনারা যারা ট্রেনে ভ্রমণ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্টটি খুবই উপকারী হতে চলেছে। আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনারা বাসায় বসে অনলাইন থেকে রেলওয়ে টিকেট বুকিং করবেন। 

ট্রেনে ভ্রমণ করার জন্য প্রথমে রেলওয়ে টিকিট বুকিং করতে হবে রেলওয়ে টিকিট বুকিং করার জন্য হাজারো মানুষের ভিড়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তবে এখন থেকে চাইলে আপনি আপনার বাসায় বসে মাত্র দুই মিনিটেই রেলওয়ে টিকিট বুকিং করতে পারবেন। 

মাত্র ২ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করুন

মাত্র ২ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করতে চাচ্ছেন? অনলাইন টিকিট বুকিং কি নিরাপদ এবং অনলাইন ট্রেনের টিকিট কি বৈধ? আজকে আমরা আপনাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিব সাথী আপনাদের সাথে মাত্র ২ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং এর নিয়ম গুলো শেয়ার করব। 
বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করুন
অনলাইন থেকে রেলওয়ে টিকিট বুকিং করা খুবই সহজ রেলওয়ে টিকিট বুকিং এর পাশাপাশি বাসটিকেট বুকিং এবং বিমান টিকিট বুকিং করতে পারবেন।  যত সময় যাচ্ছে, প্রযুক্তি ঠিক ততই উন্নত হচ্ছে। প্রযুক্তি যেন সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে। প্রযুক্তির পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষ যেন এখন উন্নত হচ্ছে তাদের দৈনন্দিন জীবনের কার্যক্রম উন্নত হচ্ছে। 

প্রযুক্তি মানব জীবনকে আরো বেশি সহজ করে তুলেছে আমাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপে নানান ভাবে সাহায্য করছে । প্রযুক্তির সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার হল মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি এবং সবচেয়ে সুখী ব্যক্তি। 

এখন মোবাইল ফোনের সাথে ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করে ঘরে বসেই সমস্ত কার্যকলাপ সম্পন্ন করা যায় যেমন আমরা ঘরে বসেই রেলওয়ে টিকিট বুকিং করতে পারছি ঘরে বসে খাবার অর্ডার করতে পারছি। আজকের এই পোস্টের শিরোনাম দেখে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন আজকের এই পোস্টে আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং সম্পর্কে আলোচনা করব। কিভাবে অনলাইনে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করা যায় সে বিষয়ে জানতে নিচের নিয়ম গুলো দেখে নিন। 

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করার জন্য কোন ব্রাউজার কিংবা গুগল এর প্রয়োজন। গুগল ওপেন করে সার্চ দিন eTicket railway bangladesh। 
বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং
এই ওয়েবসাইটটি ওপেন করুন। অনলাইন থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করার জন্য এই ওয়েবসাইটটি সবচেয়ে সেরা। গুগলে আরো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি দেখবে টিকিট বুকিং করতে পারবেন তবে রেলওয়ে টিকিট বুকিং করার জন্য সবচেয়ে সেরা হলো eticket ওয়েবসাইটটি।

এই ওয়েবসাইটে কোন ঝামেলা ছাড়াই বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটটি ওপেন করলে আপনার সামনে ফ্রম স্টেশন {From Station} এবং টু স্টেশন {To Station} নামক অপশন আসবে।

অর্থাৎ আপনি কোন স্টেশন থেকে আপনার যাত্রা শুরু করতে চান এবং কোন স্টেশনে যাত্রা শেষ করতে চান সেই বিষয়টি জিজ্ঞেস করছে। যেমন মনে করুন আপনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম স্টেশনে যেতে যাচ্ছেন সেক্ষেত্রে ফ্রম স্টেশন {From Station} এ ক্লিক করে ঢাকা নির্বাচন করুন।
 
যেহেতু চট্টগ্রাম যেতে চাচ্ছেন তাহলে টু স্টেশন {To Station} এ ক্লিক করে চট্টগ্রাম স্টেশন নির্বাচন করুন। এভাবে গন্তব্য নির্বাচন করুন তারপর দেওয়া রয়েছে পিক এ ডেট {pick a date} । আপনি কত তারিখে ভ্রমণের যেতে চান? সেই তারিখটি এখানে নির্বাচন করুন। 

পিক এ ডেট {pick a date} বাটনের ক্লিক করলে বর্তমান মাসের ক্যালেন্ডার আসবে, সেই ক্যালেন্ডারের ডেট ফিক্স করুন। এবার চুজ এ ক্লাস {choose a class} বাট অনেক ক্লিক করে কেমন সিটে যেতে চান সে বিষয়টি নির্ধারণ করুন। 

এইখানে বিভিন্ন ক্লাস দেওয়া রয়েছে যেমন AC B, AC S, F CHAIR, S CHAIR, SHOVAN, SHULOI, SNIGDHA। এইগুলো আলাদা আলাদা সিটের নাম। আপনি যদি নরমাল চেয়ারে বসে ট্রেনে ভ্রমণ করতে চান তাহলে F Chair সিলেক্ট করুন আর যদি আপনি ভালো মানের এয়ারকন্ডিশনার যুক্ত সিটে ভ্রমণ করতে চান তাহলে AC B অথবা AC S সিলেক্ট করুন।

বর্তমান সময় কিছু আধুনিক ট্রেন রয়েছে এই ট্রেনগুলোতে বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে পাশাপাশি এসি ব্যাবস্থা রয়েছে। এছাড়াও এখন ট্রেনে বেড দেওয়া রয়েছে যেখানে আপনি আরামে শুয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন।

তবে বেড সিস্টেম সিট গুলোর জন্য বেশি ভাড়া প্রযোজ্য। সাথে যদি এয়ারকন্ডিশনার যুক্ত রুম ভাড়া নেন তাহলে ভাড়া বেশি হবে। আপনি চাইলে নরমাল সিট সিলেক্ট করতে পারেন। সিট সিলেক্ট করে নিচে সার্চ ট্রেন { Search Train}  বাটনের এর উপর ক্লিক করতে হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং

যেমন আমি এইখানে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী ট্রেন খুঁজছিলাম। এইখানে নিচে স্ক্রল করুন দেখুন প্রতিটি টিকিটের দাম দেওয়া রয়েছে। নরমাল sit S chair এর টিকিট ভাড়া সবচেয়ে কম আর এসি সিট সহ স্নিগ্ধ অথবা শোভান সিটের টিকিট ভাড়া বেশি।

এই যে প্রতিটি সিটের টিকেট ভাড়া নিচে দেওয়া রয়েছে আপনার বাজেট অনুসারে এখান থেকে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং
যে টিকিট ট্রাই করতে চাচ্ছেন তার নিচে দেখুন বুক নাও BOOK NOW নামক বাটন রয়েছে তার ওপর ক্লিক করতে হবে। আগে যদি রেজিস্টার করে থাকেন তাহলে সরাসরি পেমেন্ট করতে পারবেন আর যদি রেজিস্টার করা না থাকে তাহলে মোবাইল নাম্বার এবং একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন। 

রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে যেকোনো একটি ফাঁকা সিট বেছে নিতে হবে। এইখানে প্রতিটি সিট শো করবে । কমলা বর্ণের সিট গুলো অলরেডি কেউ বুক করে রেখেছে। ফাঁকা সিটগুলো বুক করতে পারবেন। যদি একজন ভ্রমন করতে চান তাহলে একটি সিট বুক করতে হবে আর যদি দুইজন কিংবা তিনজন ভ্রমণ করতে চান তাহলে ২ কিংবা তিনটি সিট বুকিং করতে হবে।
নিচে স্ক্রল করলে এমন একটি অপশন পেয়ে যাবেন। স্টেশনসহ সময় দেওয়া রয়েছে অর্থাৎ কোন সময় ভ্রমণ শুরু হবে সেই সময় এর আগে ট্রেনে উপস্থিত থাকতে হবে। নিচের continue purchase নামক অপশনের উপর ক্লিক করতে হবে।

continue purchase বাটনে ক্লিক করলে যে নাম্বারটি দ্বারা রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন সেই নাম্বারটিতে এটি otp কোড আসবে। সেই কোডটি এখানে বসিয়ে দিতে হবে। কোটি সঠিক থাকলে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন গুলো টিকিটে দেখাবে।

সমস্ত ইনফরমেশন সঠিক থাকলে নিচের কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এভাবে আপনি চাইলে যেকোনো সময় বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করতে পারবেন। ওপরের এই উপায়টি খুবই সহজ। এই ওয়েবসাইটি সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় এই জন্য এখানে প্রতারিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। আপনি চাইলে সরাসরি অনলাইনে টিকিটের নির্ধারিত টাকা পেমেন্ট করতে পারবেন অথবা সরাসরি ট্রেনে টাকা পেমেন্ট করতে পারবেন। অনলাইনে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং এর পেমেন্ট সিস্টেম দেখে নিন।

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং এর পেমেন্ট সিস্টেম 

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং এর পেমেন্টের জন্য চারটি উপায় দেওয়া রয়েছে। বিকাশ, নগদ, রকেট এবং উপায়। অনলাইনে পেমেন্ট করার জন্য এই পেমেন্ট পদ্ধতিগুলো থাকার জরুরী। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটি মালয়েশিয়া এখন বিকাশ ব্যবহার করে কারণ বিকাশের সুবিধা অনেক। 

আপনার মোবাইল ফোনে যদি বিকাশ থাকে তাহলে খুব সহজে অনলাইনে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং এ পেমেন্ট করতে পারবেন। অথবা নগদ রকেট কিংবা উপায় থাকলেও বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং এর পেমেন্ট করতে পারবেন। 

বিকাশ নাম্বার থাকলে বিকাশ বাটনের উপর ক্লিক করুন অথবা নগদ রকেট কিংবা উপায় থাকলে সেই বাটন গুলোর উপর ক্লিক করুন। তারপর নিচে দেখুন  proceed to payment নামক অপশন রয়েছে তার ওপর ক্লিক করুন। এবার আপনার পেমেন্টের নাম্বারটি দিতে হবে। যদি বিকাশ এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চান তাহলে বিকাশ নাম্বারটি টাইপ করুন। একটি otp কোড আসবে সেই ওটিপি কোডটি দিয়ে এখানে বসিয়ে দিন।তারপর আপনার বিকাশের পিন কোডটি এখানে বসিয়ে দিয়ে টিকিট ক্রয় করুন।

অভিনন্দন আপনি সফলভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করতে সক্ষম হয়েছেন এই উপায়টি ছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং এর সবচেয়ে সহজ একটি উপায়। কিভাবে চাইলে যেকোনো সময় অনলাইনে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করতে পারবেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং এর সুবিধা অনেক অনলাইনে টিকিট বুকিং করলে বিশেষ টাকা ছাড়িয়ে টিকেট বুকিং করতে পারবেন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং এর আরো একটি উপায়। 

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং উপায় ২

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে তবে আমরা দেখব কোন ওয়েবসাইট গুলো থেকে ১০০ পার্সেন্ট নিশ্চয়তা সহ টিকিট বুকিং করা যায় এবং সবচেয়ে সহজ এবং কম মূল্য টিকিট বুকিং করা যায়। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে টিকিটের মূল্য বিভিন্ন হতে পারে। অনলাইনে টিকিট বুকিং করলে বিশেষ সুবিধা লাভ করা যায়। 

অনলাইনে টিকিট বুকিং করলে ইচ্ছা অনুসারে সিট বেছে নিতে পারবেন, লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না অনলাইনে দুই থেকে তিন মিনিটেই টিকিট বুকিং করা যায়, অনলাইনে অফারের বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করা যায়। এইজন্য এখন বেশিরভাগ মানুষের অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট বুকিং করে কারণ এটি একদিকে সময় সাশ্রয়ী আরেকদিকে আরামদায়ক। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা ঝটপট দেখে আসি বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং উপায় ২।

অনলাইনে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং করার জন্য প্লে স্টোর ওপেন করুন এবং সার্চ দিন rail sheba। বাংলাদেশ রেলওয়ে এর পক্ষ থেকে এই অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করা হয়েছে এই অ্যাপ্লিকেশন এর সাহায্যে যেকোন ব্যক্তির যেকোনো সময় অনলাইনে টিকিট বুকিং করতে পারবে। Rail sheba অ্যাপে অনলাইন টিকিট বুকিং করা খুবই সোজা। 

এপ্লিকেশনটি দ্রুত ডাউনলোড করুন। ডাউনলোড শেষে অ্যাপটি ওপেন করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। রেল সেবা অ্যাপ রেজিস্ট্রেশন করার জন্য এনআইডি কার্ডের নাম্বার গুলোর প্রয়োজন। আপনার কাছে যদি এনআইডি কার্ড থাকে তাহলে নাম্বারগুলো টাইপ করুন। তারপর আপনার চলমান মোবাইল নাম্বার এবং ঠিকানা এড্রেস দিয়ে নিচের কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। 

তারপর আপনি কোন স্টেশন থেকে ভ্রমণে অংশগ্রহণ করতে চান (From Station) বাটনে ক্লিক করে আপনার বর্তমান জায়গাটি নির্বাচন করতে হবে।  (To Station) বাটনের এর উপর ক্লিক করে আপনার গন্তব্য নিশ্চিত করুন। যেমন আপনি যদি খুলনা থেকে ময়মনসিং যেতে চান তাহলে  (From Station)  বাটনে অনেক ক্লিক করে খুলনা সিলেক্ট করুন। (To Station) বাটনের উপর ক্লিক করে ময়মনসিংহ সিলেক্ট করুন। 

তারপর জার্নি ডেট নিশ্চিত করে সার্চ ট্রেন নামক অপশনে ক্লিক করুন। চেষ্টা করবেন ভ্রমণের পাঁচ থেকে ছয় দিন আগে টিকিট বুকিং করতে। তারপর আপনার বাজেট অনুসারে একটি সিট নির্বাচন করুন। যে সিট আপনার পছন্দ হয়েছে তার নিচে দেখুন বুকিং নাও নামক অপশন রয়েছে সেই অপশনে ক্লিক করে সিটটি আপনার নামে বুক করে ফেলুন।

রেল সেবা অ্যাপের একটি সুবিধা হল এখানে আপনি চাইলে টিকিট আপনার নামে বুক করে রাখতে পারবেন এবং পরে ট্রেনে উঠে টিকিটের পেমেন্ট করতে পারবেন। অথবা আপনি চাইলে সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিটের পেমেন্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। উপরে আমরা যে উপায়টি শেয়ার করেছি সেই উপায়ে সরাসরি অনলাইনে টিকিটের ফি পেমেন্ট করতে হবে।

তবে রেল সেবা অ্যাপের মাধ্যমে যদি বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করেন তাহলে বিনামূল্যে অনলাইনে টিকিট বুকিং করতে পারবেন এবং পরবর্তী সময়ে ট্রেনে উপস্থিত থেকে সেখানে ট্রেনের টিকিটের পেমেন্ট করতে পারবেন। 

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দরা আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বুকিং করতে হয় অথবা বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং ২ সিস্টেম গুলো কি কি। আজকের এই পোস্টে আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং এ দুইটি নিয়ম শেয়ার করলাম। 

এই দুইটি নিয়ম খুবই সহজ। আপনারা চাইলে যেকোনো সময় এই দুইটি নিয়ম অনুসরণ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করতে পারবেন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকেট বুকিং কি নিরাপদ?

বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকেট বুকিং কি নিরাপদ?

আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্ন আসে কি বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকেট বুকিং কি নিরাপদ নাকি? কারণ বর্তমান সময়ে অনলাইনে প্রতারকের সংখ্যা অনেক বেশি এত প্রতারকের মাঝে সঠিক ওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল হতে পারে আমরা অনলাইনে পেমেন্ট করলাম কিন্তু আমাদের নামে কোন টিকিট বুকিং হলো না।

এইজন্য মানসম্মত ওয়েবসাইট থেকে টিকিট বুকিং করতে হবে। অনলাইনে হাজার হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে অনলাইনে রেলওয়ে টিকিট বুকিং করা হয়।। এজন্য অনেকেই সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে ভুল ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করে পেমেন্ট করে প্রতারিত হয়।

আজকের এই পোস্টে আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকিট বুকিং সম্পর্কে দুইটি উপায় শেয়ার করলাম।  এই দুইটি উপায় অনুসরণ করলে সম্পূর্ণ নিরাপদে বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকিট বুকিং করতে পারবেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকিট বুকিং এর পাশাপাশি যদি বাসটিকেট বুকিং করতে চান। 

তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করে সরাসরি বাসটিকেট বুকিং করার নিয়ম গুলো দেখে নিন। এখন অনলাইনে সুযোগ সুবিধা অনেক ঘরে বসে বাস টিকিট বুকিং সহ রেলওয়ে ট্রেন টিকিট বুকিং করা যায়। 

অনলাইন ট্রেনের টিকিট কি বৈধ?

আপনি কি জানেন অনলাইন ট্রেনের টিকিট কি বৈধ? নাকি? অবৈধ এবং বৈধ এই দুইটি শব্দের মধ্যে পার্থক্য কি? সরকার যে সমস্ত পদ্ধতি কিংবা কার্যকলাপ গুলো দেশে নিষিদ্ধ করে সেই সমস্ত পদ্ধতি গুলোকে অবৈধ বলা হয় আর যে পদ্ধতিগুলো দেশে চলমান থাকে সেই পদ্ধতি গুলোকে আমরা বৈধ বলে থাকি। 

এক্ষেত্রে বাংলাদেশে অনলাইন হলে টিকিট ক্রয় করা এটি সম্পূর্ণ বৈধ প্রক্রিয়া। কারণ এইখানে কোন হারাম জালিয়াতি কিংবা প্রতারণা এমন কোন কিছু জড়িত নেই এই জন্য অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করা এটি সম্পূর্ণ বৈধ। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করার সিস্টেম চালু করা হয়েছে মানব কল্যাণের জন্য। 

মানব কল্যান এর উদ্দেশ্যে তৈরি হওয়া কোন কিছু কখনোই অবৈধ হতে পারে না। রেলওয়ে স্টেশনে দুই থেকে তিন ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে শত শত মানুষের ভিড়ে গরমে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে এইজন্য সরকার মানব কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে এবং এই ওয়েবসাইটের সাহায্যে এখন ঘরে বসেই যাত্রীরা তাদের ভ্রমণের জন্য অনলাইন টিকিট ক্রয় করতে পারবে। 

আপনারা যারা মনে করছেন অনলাইন ট্রেনের টিকিট অবৈধ , এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বাসের টিকিট এবং বিমানের টিকিট এগুলো সম্পূর্ণ বৈধ। সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ আশা করছি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয়।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বুকিং কিভাবে করবো?
মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বুকিং করতে চাচ্ছেন? মোবাইল দিয়ে অনলাইনের ট্রেনের টিকিট বুকিং করা সম্ভব? বন্ধুরা এখন প্রযুক্তির কল্যাণে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বুকিং করা সম্ভব। এখন বাংলাদেশ অনেক উন্নত হচ্ছে আর বাংলাদেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণও অনেক বেশি আধুনিক হচ্ছে তারা এখন নিজেদের জীবনকে উন্নত করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। 

প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাইরে বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করছে এখন আর ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য কিংবা বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করার জন্য আমাদেরকে রেলওয়ে স্টেশনে সশরীরে উপস্থিত থাকার কোন প্রয়োজন নেই। 

আমরা চাইলে বাসায় বসে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট অথবা বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করতে পারব। আপনি যদি ঘরে বসে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করার উপায় জানতে চান তাহলে ওপরে দেখে নিন। আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করার সিস্টেম শেয়ার করেছি। 

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বুকিং করার জন্য কত টাকা প্রয়োজন?
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বুকিং করার জন্য কত টাকা প্রয়োজন? সে বিষয়ে ক্লিয়ার বলা মুশকিল। কারণ প্রতিটি জিয়াগায় যাওয়ার জন্য আলাদা আলাদা চার্জ প্রয়োজন হয় । যেমন আপনি যদি খুলনা থেকে চট্টগ্রাম যেতে চান তাহলে আলাদা টিকিট ভাড়া দিতে হবে। 

আর যদি আপনি ঢাকা থেকে রাজশাহী যেতে চান তাহলে টিকিটের ভাড়া আলাদা হবে। এই জন্য অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বুকিং করার জন্য কত টাকা প্রয়োজন সে বিষয়ে ক্লিয়ার বলা খুবই মুশকিল। তবে প্রিয় পাঠক অনলাইনে যদি টিকিট ক্রয় করেন তাহলে বিশেষ টাকা ছাড়ে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করব কিভাবে? 
বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করতে চান? বুঝতে পারছেন না বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করব কিভাবে? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি কিভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করতে হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করার জন্য আমরা দুইটি উপায় শেয়ার করেছি এই দুইটি উপায় অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করতে পারবেন।

উপসংহারঃ মাত্র ২ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করুন

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই পোস্টে আমরা দেখলাম মাত্র ২ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করার উপায় গুলো। সাথে অনলাইন ট্রেনের টিকিট কি বৈধ নাকি এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করার উপায় কি সে বিষয় সম্পর্কে আমরা দুইটি শেয়ার করেছি এবং খুবই সহজে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং এর পেমেন্ট সিস্টেম শেয়ার করেছি। 

আপনারা যারা অনলাইন থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করতে চান, তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি খুবই দুর্দান্ত হবে। কারণ আজকের এই পোস্টে আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং এর সবচেয়ে সেরা এবং সহজ উপায় শেয়ার করেছি। ওপরের এই উপায় গুলো অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে যেমন মাত্র ২ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বুকিং করুন। 

বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে আমরা বাসায় বসে এখন বাইরের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারছি। প্রযুক্তির সবচেয়ে দুর্দান্ত আবিষ্কার হলো মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন। আপনার কাছে যদি মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে ঘরে বসে বাইরের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল অথবা পোস্টটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url