মোবাইলে ট্রেনের টিকেট কাটার সহজ নিয়ম দেখুন

মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম কি?  মোবাইল দিয়ে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে চাচ্ছেন? এখন প্রযুক্তি এত বেশি উন্নত হচ্ছে যে আমরা ঘরে বসে মোবাইলে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারছি। আজকের শিরোনাম দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে আজকে আমরা কি নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। আজকের এই পোস্টে আমরা দেখব মোবাইলে টোনের টিকিট কাটার নিয়ম, অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বুকিং, অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করার নিয়ম সাথে বিকাশের ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম গুলো কি কি। মোবাইলে ট্রেনের টিকেট কাটার সহজ নিয়ম দেখুন
মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন দেখেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে মোবাইলে টিকিট কাটতে হয়। ট্রেনের টিকেট কাটা খুবই সোজা। আমাদের প্রত্যেকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে চলুন ঝটপট দেখে আসি বিকাশের ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সময় এবং মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম গুলো কি কি।মোবাইলে ট্রেনের টিকেট কাটার সহজ নিয়ম দেখুন

পেজ সূচিপত্র:  মোবাইলে ট্রেনের টিকেট কাটার সহজ নিয়ম দেখুন

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে এখন ঘরে বসে আমরা মোবাইলে ইন্টারনেট টিকিট ক্রয় করতে পারি বাসের টিকিট ক্রয় করতে পারি এয়ারপ্লেন টিকেট ক্রয় করতে পারি। টিকিট ক্রয় করার জন্য কিংবা শপিং করার জন্য এখন আমাদেরকে আর সশরীরে যে স্টেশনে কিংবা বাজারে উপস্থিত থাকতে হয় না। ঘরে বসে ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করে আমরা ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারি বাসের টিকেট ক্রয় করতে পারি। এই সব কিছু শুধুমাত্র প্রযুক্তির কল্যাণ। 

তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণ আমাদের জীবন কে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে। আগে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে হাজারো মানুষের ভিড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। হাজারো মানুষের ভিড়ে লড়াই করে যেন ট্রেনের টিকিট কাটতে হতো কিন্তু এখন ঘরে বসে আমরা আরামে দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারছি। তবে আপনি কি জানেন কিভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয়? অথবা মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম কি? 

না জানলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন। আজকের এই পোস্টে আমরা অনলাইনের ট্রেনের টিকিট কাটার সময় অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম অথবা টিকিট ক্রয় করার নিয়ম গুলো বিস্তারিত শেয়ার করব। নিচে দেখুন মোবাইলে ট্রেনের টিকেট কাটার সহজ নিয়ম দেখুন।

মোবাইলে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম

মোবাইলে এখন ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম খুবই সহজ। সব সময় যে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য শত শত মানুষের ভিড়ে লাইনে যেয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। এখন তথ্যপ্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে আর তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে মোবাইলে ঘরে বসে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করা যায়। মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার দুইটি নিয়ম রয়েছে এটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আরেকটি অ্যাপ ডাউনলোড করার মাধ্যমে। 
মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
আপনি চাইলে সরাসরি ওয়েবসাইট থেকে মোবাইল দিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন তবে আপনি যদি সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করতে চান তাহলে মোবাইলের রেল সেবা অ্যাপ ডাউনলোড করে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। রেল সেবা অ্যাপ থেকে সবচেয়ে সহজ উপায়ে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করা সম্ভব। মোবাইল ট্রেনের টিকিট ক্রয় করার জন্য দ্রুত ডাউনলোড করুন রেল সেবা। 

রেল সেবা অ্যাপ ডাউনলোড হয়ে গেলে ওপেন করুন। ওপেন করে আপনার এনআইডি কার্ডে যে নাম্বার দেওয়া আছে সেই নাম্বারটি দিয়ে আপনার ফোন নাম্বার দিন এবং আপনার জিমেইল এড্রেস সহ date of birth দিতে হবে। এইখানে অবশ্যই সঠিক তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে এবং এনআইডির সাথে মিলিয়ে ডেট অফ বার্থ সেট করতে হবে।
 
তারপর আপনার এড্রেস পোস্টাল কোড, এবং আপনি যে নাম্বারটি প্রদান করেছেন সেই নাম্বারে একটি ওটিপি কোড যাবে সেই কোডটি এখানে বসিয়ে নিচের কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করুন। এভাবে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনার সামনে এমন একটি পেজ ওপেন হবে।
মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

এইখানে আপনি কোন স্টেশন থেকে আপনার যাত্রা শুরু করতে চান এবং কোন স্টেশনে আপনার যাত্রা শেষ করতে চান সাথে কেমন সিটে জার্নি করতে চান সেই সমস্ত বিষয় নিচে দেওয়া রয়েছে। From অপশনে ক্লিক করে আপনি আপনার যাত্রা কোন স্টেশন থেকে শুরু করতে চান সেই বিষয়টি নিশ্চিত করুন। To অপশনে ক্লিক করে আপনি আপনার যাত্রা কোন স্টেশনের সম্পন্ন করতে চান সে বিষয়টি ক্লিয়ার করুন। 

মনে করুন আপনি ঢাকা থেকে অথবা রাজশাহী থেকে খুলনা যেতে জানি সে ক্ষেত্রে From অপশনে ঢাকা অথবা রাজশাহী স্টেশন নিশ্চিত করুন। এখন প্রশ্ন হল আপনি ঢাকা অথবা রাজশাহী থেকে কোথায় যেতে চান আপনার গন্তব্য কোথায়? আপনি যদি ঢাকা অথবা রাজশাহী থেকে খুলনা কিংবা ময়মনসিং যেতে চান তাহলে সেখানে To অপশনে ময়মনসিং অথবা খুলনা সিলেক্ট করুন। 

তারপর ক্লাস অপশন রয়েছে। আমরা অনেকেই রয়েছি যারা আরামদায়ক জার্নি পছন্দ করি। সেক্ষেত্রে আপনি যদি এসি সিট অথবা ভিআইপি সিট পেতে চান তাহলে এখানে ক্লাস অপশন থেকে ভি আই পি সি অথবা এসি সিলেক্ট করতে পারবেন অথবা নর্মাল সিট নির্বাচন করতে পারবেন। আপনার বাজেট কম থাকলে নর্মাল সিট ব্যবহার করতে পারেন।

তারপর নিচের সার্চ ট্রেনস অপশনে ক্লিক করুন। এই অপশনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে যে ট্রেনগুলো অ্যাভেলেবল রয়েছে সেই সমস্ত ট্রেনের তালিকা দেখাবে। কোন ট্রেনে কতগুলো আসন ফাঁকা রয়েছে সে সবকিছু এখানে দেখতে পারবেন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি ট্রেনের টিকিট ক্রয় করার নিয়ম। 

ট্রেনের টিকিট ক্রয়

ওপরে আমরা দেখলাম কোন কোন ট্রেনে কতগুলো আসন ফাঁকা রয়েছে এবার আমরা দেখব কিভাবে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে হয়। ট্রেনে টিকিট অনলাইন থেকে ক্রয় করার জন্য প্রথমে নিশ্চিত করুন যে আপনার বিকাশ একাউন্ট নগদ একাউন্ট পেপাল একাউন্ট ভিসা অথবা মাস্টার্ড কার্ড রয়েছে।

আপনার যদি বিকাশ একাউন্ট অথবা নগদ একাউন্ট থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। চলুন ঝটপট দেখে নেই ট্রেনের টিকিট ক্রয় করার নিয়ম গুলো।

ওপরে দেখলাম কোন ট্রেনে কতগুলো আসন ফাঁকা রয়েছে এবার আপনি যে আসনটি ক্রয় করতে চান তার নিচে দেখুন বাই টিকেট নামক অপশন রয়েছে। তার ওপর ক্লিক করুন। 
মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

তারপর আপনার সামনে এমন একটি পেজ ওপেন হবে এখানে আপনার টিকিটের সমস্ত তথ্যগুলো দেখাবে। আপনি কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশনে যেতে চান। এবং যেতে কত সময় লাগবে কত তারিখে কোন সময় আপনার ভ্রমণ শুরু হবে। 

এবার ট্রেনের টিকিট ক্রয় করার জন্য নিচে স্ক্রল করুন। নিচে দেখুন আসন সংখ্যাগুলো দেওয়া রয়েছে যে আসনের উপর হলুদ কালার রয়েছে সে আসনটি অলরেডি বুক করা রয়েছে আর যে আসনটি  সাদা কালার রয়েছে, সেই আসনটি এখনো ফাঁকা আছে।
মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

এইখানে যে সিটগুলো ফাঁকা রয়েছে সেখানে যেকোনো একটি সিটের উপর ক্লিক করুন। যেমন আমি Kha 4 পিটের উপর ক্লিক করেছি। তারপর নিচে দেখুন কন্টিনিউ পেমেন্ট নামক অথবা কন্টিনিউ পারচেস নামক অপশন রয়েছে।

এখানে দেখুন কয়েকটি পেমেন্ট মেথড দেওয়া রয়েছে। আপনার যদি বিকাশ একাউন্ট অথবা নগদ একাউন্ট থাকে তাহলে এইখানে বিকাশ অথবা নগদের ওপর ক্লিক করে নিচের কন্টিনিউ বাটনের উপর ক্লিক করুন। 

তারপর আপনার বিকাশ অথবা নগদ একাউন্ট এখানে প্রদান করুন। আপনার বিকাশ অথবা নগদ একাউন্টে একটি otp কোড যাবে। এই otp কোডটি এইখানে বসিয়ে আবারো কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করুন।

এবার আপনার বিকাশ অথবা নগদ পিন কোডটি এইখানে বসিয়ে দিন। তারপর নিচের কন্টিনিউ বাটার এ ক্লিক করুন। 

প্রিয় পাঠক অভিনন্দন আপনি অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে সক্ষম হয়েছেন। এটি ছিল অনলাই টিকেট ক্রয় করার সবচেয়ে সহজ একটি পদ্ধতি আপনি চাইলে যে কোন সময় অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। 

প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম কি এবং মোবাইলের ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম কি। এই নিয়মটি যদি আপনাদের কাছে কঠিন মনে হয় তাহলে আমি আরও একটি সহজ নিয়ম আপনাদের সাথে এবার শেয়ার করব। নিচে দেখুন বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম।

বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম

আপনি কি বিকাশ ব্যবহার করেন? বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রায় 80% মানুষই এখন বিকাশ ব্যবহার করে কারণ বিকাশের সুযোগ সুবিধা অনেক। এখন বিকাশের মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট করা যায় অনলাইনে কেনাকাটা করা যায় বিদ্যুৎ বিল দেওয়া যায়। বিকাশ দিয়ে ফ্লেক্সিলোড করা যায় বিকাশের মাধ্যমে ঘরে বসে দূর দূরান্তের মানুষের কাছে টাকা পৌঁছানো যায়। 

বিকাশের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই জানি তবে বিকাশের মাধ্যমে কি ট্রেনের টিকেট অথবা বাসের টিকিট কাটা যায়? আপনি কি এর আগে কখনো বিকাশের ট্রেনের টিকেট কেটেছেন? আপনি যদি না জেনে থাকেন যে কিভাবে বিকাশের ট্রেনের টিকেট কাটতে হয় তাহলে নিচে দেখে নিন। 

বিকাশ থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা খুবই সহজ বিকাশ থেকে ট্রেন টিকিট কাটার জন্য প্রথমে বিকাশ একাউন্ট ওপেন করুন। 

সামনেই দেখুন টিকেট নামক একটি অপশন রয়েছে। এই অপশন থেকে আপনি বাসের টিকিট ট্রেনের টিকেট এয়ারপ্লেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।

আপনার মোবাইল ফোনে যদি বিকাশ অ্যাপ থাকে তাহলে আপনাকে আর অন্য কোন অ্যাপ ডাউনলোড করার প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র এই বিকাশ অ্যাপ থেকেই আপনি এখন ট্রেনের টিকেট ক্রয় করতে পারবেন। 

বিকাশের টিকেট অপশনে ক্লিক করেছেন? 
টিকেট অপশনে ক্লিক করে নিচে দেখুন ট্রেন অপশন রয়েছে। আপনি যদি ট্রেনের টিকেট কাটতে চান অথবা বাসের টিকিট কাটতে চান তাহলে এখানে ট্রেন অথবা বাসের উপর ক্লিক করুন। 

ফ্রেন্ড অপশনে ক্লিক করার পর বাংলাদেশ রেলওয়ে অপশন আসবে। তার ওপর ক্লিক করে নিচের শর্তাবলী গুলো দেখে নিন। শর্তাবলী গুলো পড়ে নিয়ে ঠিক আছে অপশনের উপর ক্লিক করে এগিয়ে যান। 

এবার বাংলাদেশ রেলওয়ে পেজ ওপেন হবে এইখানে রেজিস্ট্রেশন করুন। আপনার এনআইডি কার্ডের নাম্বার গুলো আপনার মোবাইল নাম্বার  এবং date of birth দিয়ে কন্টিনিউ করুন।

রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ঠিক আগের মত একই ভাবে আপনি কোথায় যেতে চান কখন যেতে চান সে সমস্ত বিষয়গুলো সিলেক্ট করে টিকিট ক্রয় করুন। 

আমরা অ্যাপ থেকে যেভাবে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করেছিলাম ঠিক একইভাবে বিকাশ অ্যাপ থেকে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে হবে শুধু পার্থক্য হল আমরা অ্যাপ থেকে যখন ট্রেনের টিকিট ক্রয় করেছিলাম সেখানে পেমেন্ট মেথড ছিল বিকাশ নগদসহ মাস্টার কার্ড এবং ভিসা। 

এইখানে পেমেন্ট মেথড অপশন আসবে না সরাসরি বিকাশ থেকে ট্রেনের টিকিটের টাকা কাটবে। ট্রেনের আসন পছন্দ করে সরাসরি বিকাশ পিন নাম্বার সেট করে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। 

আপনার কাছে যে উপায়টি সবচেয়ে বেশি সহজ মনে হয়েছে সেই উপায়টির মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। আশা করছি ওপরের এই বিকাশের ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম আপনি বুঝতে পেরেছেন।  উভয় নিয়ম খুবই সহজ তবে প্রথম অবস্থাতে আপনার কাছে একটু কঠিন মনে হতে পারে। 

ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম সম্পর্কে আপনার যদি আর কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর 

মোবাইল ফোন দিয়ে কি ট্রেনের টিকিট কাটা যায়? 
হ্যাঁ এখন মোবাইল ফোন দিয়ে ঘরে বসে ট্রেনের টিকিট কাটা যায়। এখন প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে আর প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা এখন ঘরে বসে এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারছি, বাসের টিকিট কাটতে পারছি। এয়ার প্লেনের টিকিট কাটতে পারছি পাশাপাশি মোবাইল ফোন দিয়ে এখন অনলাইন শপিং করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়। ইন্টারনেট কানেকশন এবং এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন আমাদের জীবনকে আরো বেশি সহজ করে তুলেছে।।

মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম কি? 
মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই পোস্টে আমরা অনলাইনে মোবাইলের ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম গুলো ব্যাখ্যা করেছি ওপরে সবচেয়ে সহজ নিয়ম শেয়ার করা রয়েছে।। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে ওপরে নিয়মগুলো দেখে নিন। 

ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য কি কি প্রয়োজন? 
ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য তিনটি উপাদানের প্রয়োজন। এনআইডি কার্ড একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট এবং ফোন নাম্বার। আপনার যদি এনআইডি কার্ড থাকে তাহলে এনআইডি কার্ডে দেওয়ার নাম্বারটি টোনের টিকিট কাটার জন্য প্রয়োজন হবে পাশাপাশি একটি চলমান নাম্বার এবং জিমেইল অ্যাকাউন্ট। এই তিনটি উপাদানের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে।। 

কতদিন আগে ট্রেনের টিকিট কাটা যায়?
সর্বনিম্ন পাঁচদিন আগে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। তবে চেষ্টা করবেন ভ্রমণের 15 থেকে 16 দিন আগে ট্রেনের টিকিট কাটার। কারণ সব সময় ট্রেনের টিকিট অ্যাভেইলেবল পাওয়া যায় না এই জন্য ১০ থেকে ১৫ দিন আগে টিকিট কেটে রাখার চেষ্টা করবেন।

উপসংহার : মোবাইলে ট্রেনের টিকেট কাটার সহজ নিয়ম দেখুন

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই পোস্টে আমরা দেখলাম বিকাশের ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম এবং অনলাইনে টিকিট বুকিং করার নিয়ম গুলো কি কি। সাথেই আজকের এই পোস্টে আমরা আরো দেখলাম মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার সময় সম্পর্কে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি উন্নত হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষরা এখন অনেক বেশি আধুনিক হয়েছে। 

আগে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টার রেলওয়ে স্টেশনে শত শত মানুষের ভিড়ের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো কিন্তু এখন আপনি চাইলে ঘরে বসেই তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে মোবাইল ফোন দিয়ে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারছেন। আপনাকে সশরীরে রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত থাকতে হচ্ছে না অনলাইন থেকে এখন ট্রেনের টিকিট কাটা সম্ভব।। 

প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে আরো বেশি সহজতর করে তুলেছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কার্যপ্রণালী গুলো সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আমরা ঘরে বসে অনলাইন থেকে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারছি বাসের টিকিট ক্রয় করতে পারছি প্লেনের টিকিট ক্রয় করতে পারছি পাশাপাশি খাবার অর্ডার করতে পারছি অনলাইনে শপিং করতে পারছি। 

অনেকে এখন আবার অনলাইন থেকে ইনকাম করছে। মোবাইল ফোন দিয়ে এখন ইনকাম করছে। আপনি যদি মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটে আর্ন মানি অনলাইন ক্যাটাগরিটি ঘুরে আসুন এই ক্যাটাগরিতে অনলাইন থেকে ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় আমরা শেয়ার করে রেখেছি। আশা করছি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন কিভাবে মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url