শরিফা ও আতা ফলের পার্থক্য - আতা ফলের উপকারিতা
শরিফা ও আতা ফলের পার্থক্য কি? আমরা অনেকেই শরিফা এবং আতা ফলকে একই মনে করি। কিন্তু এই দুইটি ভিন্ন প্রজাতির। আজকের প্রতিবেদনে আমরা আতাফল এর উপকারিতা সহ আতা ও শরিফা এর পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
আতাফলকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয় যেমন নোনা ফল, আতা ফল, শরিফা ফল। বগুড়াতে আতা গাছের সংখ্যা খুব বেশি। আতা গাছ চাষ করা হয় না এই জন্য বাংলাদেশে আতা গাছ খুব কম সংখ্যক দেখা যায়। চলুন দেরি না করে আমরা ঝটপট দেখে নেই শরিফা ও আতা ফলের পার্থক্য কি এবং আতা ফলের উপকারিতা গুলো কি কি।
পেজ সূচিপত্রঃ শরিফা ও আতা ফলের পার্থক্য - আতা ফলের উপকারিতা
ভূমিকা
শরিফা ও আতা ফলের পার্থক্য
অনেকে জিজ্ঞাসা করেন শরিফা ও আতা ফলের পার্থক্য কি? শরিফা ও আতা ফল কি ভিন্ন? না শরিফা ও আতা ফল ভিন্ন নয়। কিন্তু শরিফা এবং আতা এই দুইটি ভিন্ন প্রজাতির ফল। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শরিফা ও আতাফল দেখতে পাওয়া যায়। এগুলো চাষ করতে হয় না। দোআঁশ মাটিতে শরিফা ও আতাফল জন্মায়। আমরা অনেকেই শরিফা ও আতাফলকে একই মনে করি কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল শরিফা এবং আতাফল এই দুইটি ভিন্ন প্রজাতি শরিফা ফলের গায়ে চোখের মতো গুটিগুটি অংশ হয়।এই গুটি গুটি অংকের মধ্যে প্রচুর কোষ রয়েছে। শরিফা ফল থেকে উচ্চমাত্রায় ফাইবার পাওয়া যায়। আমরা অনেকেই শরিফা ফলকে আতাফল হিসেবে চিনি। শরিফা ফল খেতে মিষ্টি স্বাদের হয় আর আতা ফল নোনতা স্বাদের এজন্য অনেকে আতা ফলকে নোনা ফল বলে। বিভিন্ন অঞ্চলে আতাফলকে শরিফা ফল এবং নোনা ফল নামে ডাকা হয়। আতা ফলের গায়ে কোন চোখের মতো গুটি গুটি অংশ থাকে না এটি সম্পূর্ণ মসৃণ হয়। আপেলের মতো দেখতে মসৃণ চকচকে হয় আতা ফল। আতা ফলের রং সবুজ হয়।
শরিফা ফলের গায়ে গুটি গুটি অংশ থাকে। শরিফা ফল খেলে মিষ্টি স্বাদের হয়। শরিফা ফল দিয়ে শরবত তৈরি করা যায় আচার তৈরি করা যায়। শরিফা ফলের ভেতরের অংশে ছোট ছোট কোর্স থাকে এবং প্রতিটি কোষের মধ্যে একটি করে বীজ দেখতে পাওয়া যায় শরিফা ফল যখন পেকে যায় তখন এর বীজের রং কালো হয় এবং কাঁচা অবস্থায় সাদা রঙের বীজ হয়। শরিফা ও আতা ফলের পার্থক্য সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে নিচে দেখে নিন।
শরিফা ও আতা ফল কি ভিন্ন প্রজাতির?
হ্যাঁ শরিফা ও আতাফল ভিন্ন প্রজাতির। শরিফা এবং আটা একই ফলের অন্তর্ভুক্ত হলেও এদের প্রজাতি ভিন্ন যার কারণে এরা দেখতে আলাদা হয়। শরিফা ফল Annona Squamusa প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত এবং আতা ফল Annona Reticulata প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। এইজন্য শরিফা ফলের গায়ে ছোট ছোট চোখের মতো গুটি গুটি অংশ রয়েছে কিন্তু আতা ফলের চামড়া সম্পূর্ণ মসৃণ এবং চকচকে।আতাফল এবং শরিফা ফল উভয়ই annonaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত কিন্তু এদের প্রজাতি আলাদা আলাদা। যেমন বরই বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে ছোট বড়ই, নারকেল বড়ই, পানি বরই। ঠিক তেমনভাবে আতা ফলেরও বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে যেমন শরিফা ও আতা ফল। এই দুইটি একই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হলেও এদের প্রজাতি আলাদা এজন্য স্বাদ ভিন্ন এবং দেখতেও ভিন্ন। শরিফা ফল দেখতে হৃৎপিণ্ডের আকারের মত হয়। আর আতা ফল দেখতে গোলাকার হয়। শরিফা ও আতা ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে কিন্তু পেকে গেলে শরিফা ফল হলুদ বর্ণ ধারণ করে এবং আতাফল বাদামী বর্ণ ধারণ করে।
শরিফা ও আতা ফলের স্বাদ ভিন্ন নাকি অভিন্ন?
হ্যাঁ শরিফা ও আতা ফলের স্বাদ এর মধ্যে কিছু ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেছে। শরিফা ফল মিষ্টি স্বাদের হয় এ বছর চোখে ছোট ছোট গুটি অংশগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু এগুলো থেকে প্রচুর আশ পাওয়া যায় কিন্তু আতা ফলের মধ্যে এমন কোন গুটি অংশ দেখতে পাওয়া যায় না এজন্য আদা ফলের স্বাদ কিছুটা নোনতা এবং হালকা মিষ্টি যুক্ত। কিন্তু শরিফা ফল সম্পূর্ণরূপে পেকে গেলে এর স্বাদ গভীর মিষ্টি হয়।অনেক শরিফা ফল চিনির মতো মিষ্টি হয়ে থাকে। অনেকে মনে করেন শরিফা ও আতা ফল এই দুইটি একই কিন্তু ধারণা সম্পূর্ণ ভুল শরিফা এবং আতা এই দুইটি একই পরিবারের ফল হলেও এদের প্রজাতি আলাদা। এজন্য শরিফা ও আদা ফলের স্বাদ ভিন্ন। শরিফা ফল থেকে একটি মিষ্টি সুগন্ধ আসে। শরিফা ফলের ভিতরে ছোট ছোট দুটি অংশের মধ্যে সাদা আঁশ রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ গেম খেলে টাকা ইনকাম করুন গ্যারান্টি সহ
এই সাদা আঁশ গুলো খেতে খুবই মিষ্টি এবং সাদা আঁশ এর মধ্যে ছোট একটি পাকা কালো বিচি রয়েছে। এটি ফেলে দিতে হয়। আতা ফলের মধ্যেও ছোট ছোট বীজ থাকে কিন্তু শরিফা ফলের তুলনায় আতা ফলে বীজের পরিমাণ অনেক কম। শরিফা ফলের তুলনায় আতা ফলের স্বাদ একটু নোনতা ও হালকা মিষ্টি ধরনের।
শরিফা ও আতা ফলের আকারের দিক থেকে ভিন্নতা
শরিফা ও আতাফল এর মধ্যে আকারের দিক থেকেও ভিন্নতা রয়েছে। শরিফা ফলের গায়ে ছোট ছোট চোখের মতো গুটি অংশ রয়েছে কিন্তু আতা ফলের গায়ে কোন গুটি অংশ নেই আর তখন সম্পূর্ণ মসৃণ এবং চকচকে। আপেলের মতো আটা ফলের গাড় সম্পূর্ণ মসৃণ হয় কিন্তু আপেলের রং লাল বর্ণ আর আতা ফলের রং বাদামী রঙের। আতা ফলের ভেতরে বীজের সংখ্যা শরিফা ফলের তুলনায় অনেক কম। আতা ফলে সাদা আঁশ এর পরিমাণ অনেক বেশি।শরিফা ফলের গায়ে ছোট ছোট গুটির মত অংশ রয়েছে এই গুটির মধ্যে প্রচুর আশ রয়েছে। আতা ফল খেতে খুবই মিষ্টি স্বাদের হয়। আটা ফলের আকৃতি দেখতে হার্টের মতো। শরিফা ফল গুলো দেখতে আকারে ছোট ও মাঝারি সাইজের হয়ে থাকে। আর শরিফা ফলগুলো হৃদ আকৃতির হয়ে থাকে। শরিফা ফল খুব বেশি বড় হয় না। কাঁচা অবস্থাতে শরিফা ফল সবুজ বর্ণের হয় এবং পেকে গেলে হলুদ বর্ণ ধারণ করে।
আতা ফল দেখতে সম্পূর্ণ মসৃণ এবং চক্রকে হয় আর আতা ফলের আকার শরিফা ফলের তুলনায় অনেক বড় হয়। আতা ফলের সাইজ মাঝারি সাইজের ডাবের মত হয়। আতা ফল দেখতে গোলাকার ডিম্বাকার হয়ে থাকে। কাঁচা অবস্থাতে আতাফল সবুজ বর্ণের থাকলেও এটি পেকে গেলে বাদামি বর্ণের হয়ে থাকে। আতা ফল দিয়ে অনেকে আইসক্রিম তৈরি করে। আতা ফল নোনতা ও হালকা মিষ্টি স্বাদযুক্ত। আতাফল ও শরিফা ফলের মধ্যে পার্থক্যগুলো আমরা দেখলাম। আতাফল ও শরিফা ফলের মধ্যে আকারগত দিক থেকে পার্থক্য রয়েছে স্বাদের দিক থেকে পার্থক্য রয়েছে।
গ্রীষ্মকালে শরিফা ফল পেকে পরিবেশে মিষ্টি স্বাদ ছড়ায়। আর আতা ফল শরিফা ফল পেকে যাওয়ার পরেই পাকে। যেমন শরিফা ফল গ্রীষ্মকালে পেকে গেলে এক থেকে দুই মাস পর আতাফল পেকে যায়। সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন শরিফা ও আতা ফলের পার্থক্য গুলো কি কি। এবার চলুন আমরা দেখে আসি আতা ফলের উপকারিতা সম্পর্কে।
আতা ফলের উপকারিতা
আমরা অনেকেই আদ ফল খেতে খুব ভালোবাসি আতাফল দেখতেই হৃদপিণ্ড আকৃতির হয় এবং এতে প্রচুর পরিমাণে আমি ও শর্করা রয়েছে। পাকা আদা ফল খেতে খুবই সুস্বাদু মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। আতা গাছে কিছু ভেষজ গুনাগুন রয়েছে আতা গাছ দিয়ে বিভিন্ন ঔষধ তৈরি করা হয় বিশেষ করে আয়ুর্বেদিক ঔষধে আতা ফল ব্যবহার করা হয়। আতা ফল থেকে প্রচুর ফাইবার পাওয়া যায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আমরা অনেকেই অন্যান্য ফলের ভিড়ে এত ফলকে একটু অবহেলা করি কিন্তু আতা ফলের পুষ্টি ও গুনাগুনের পাশাপাশি ও স্বাস্থ্য উপকারিতা ও রয়েছে।কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: আতা ফলের মধ্যে থেকে প্রচুর নিয়াসিন পাওয়া যায়। এটি শরীরকে ভালো রাখে এবং শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। মানব শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল এবং ভাল কোলেস্টেরল রয়েছে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে হার্টের সমস্যা দেখা যায় যে কোন মুহূর্তে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে কিংবা হার্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে তাই শরীর থেকে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করতে এবং নিয়ন্ত্রণ করতে আতা ফল খেতে হবে।
হার্ট কে সুস্থ রাখে: হার্ট মানব শরীরে সবচেয়ে ভারী এবং দায়িত্বশীল অঙ্গ গুলোর মধ্যে একটি হার্টের কাজ হলো শরীরের রক্তগুলোকে পরিশোধিত করা। তাই হার্টের যত্ন নিতে হাঁটতে সুস্থ রাখতে নিয়মিত আতা ফল খেতে হবে আতা ফল খাওয়ার মাধ্যমে হার্টের সুস্থ রাখা যায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আতা ফল থেকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় এটি সোডিয়ামের মাধ্যমে কমাতে থাকে এবং রক্তচাপকে শিথিল করে হৃৎপিণ্ডের পেশী গুলোকে আরো মসৃণ করে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক রোধ করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথেই হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় তাই হৃৎপিণ্ড জনিত সমস্যা দূর করতে এবং হাড় কি সুস্থ রাখতে নিয়মিত সকালে এক গ্লাস আতা ফলের জুস পান করতে হবে।
মানসিক চাপ দূর করে: আতাফল থেকে মিষ্টি ঘ্রান পাওয়া যায় এটি মন মেজাজ ভালো রাখে ও মানসিক চাপকে দূর করে। আমাদের জীবনে বিভিন্ন কারণ নিয়ে মানসিক চাপ থাকে এই মানসিক চাপের কারণে শরীর আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বে যে মানসিক চাপকে কমাতে নিয়মিত আতা ফলের জুস পান করতে হবে। আটার ফল থেকে ভিটামিন বীজ হয় পাওয়া যায় এটি সেরিটোনিন, ডোপামিন ও নিউরো ট্রান্সমিটার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এটি মানসিক চাপকে দূর করতে সাহায্য করে। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে ভিটামিন বি৬ এর অভাব দেখা দেয় এজন্য তারা হতাশায় ভুগতে থাকে। জীবনে হতাশা বেড়ে গেলে বিভিন্ন রোগবালায় দেখা দেয় এজন্য শরীরে ভিটামিন বি৬ এর ঘাটতি পূরণ করতে নিয়মিত আতা ফল খেতে হবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: আতা ফল থেকে প্রচুর পরিমাণে ফ্লাভনয়েড পাওয়া যায় এটি টিউমার এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আমরা প্রত্যেকেই নিশ্চয়ই ক্যান্সারের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানি। ক্যান্সার একটি মরণ ব্যাধি রোগ। ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে নিয়মিত একটি আতাফল খেতে হবে আতাফল ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে টিউমার রোধ করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: আতাফল থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। ফাইবার অথবা খাদ্যআস সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য একটি মারাত্মক রোগ কোষ্ঠকাঠিন্যর ফলে পাইলস হতে পারে। শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে কিংবা ফাইবারের অভাব দেখা দিলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সৃষ্টি হয় কিন্তু আতা ফল খাওয়ার ফলে ফাইবারের অভাব পূরণ হবে, এতে মল নরম হবে এবং দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
আরো পড়ুন: এই apps থেকে অ্যাড দেখে ইনকাম করুন
ওজন কমায়: বিজ্ঞানীরা বলেন নিয়মিত আতা ফল খাওয়ার মাধ্যমে অতি সহজেই ওজন ঝড়িয়ে ফেলা যায়। আমরা অনেকেই অতিরিক্ত ওজন নিয়ে খুবই চিন্তিত থাকি। কিন্তু ওজন কমাতে চাইলে এখন আতাফল কে ঘরে আনুন আতা ফল খাওয়ার মাধ্যমে খুব সহজে অতিরিক্ত ওজনকে জড়িয়ে ফেলতে পারবেন। এত ফল থেকে খুব অল্প পরিমাণে ফ্যাট পাওয়া যায় এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় খাওয়ার পরে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরা অনুভূত হবে এবং ওজন কমতে থাকবে।
ত্বক সুন্দর হয়: আতাফল থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি 6 পাওয়া যায় এবং ভিটামিন বি ৬ সরাসরি ত্বককে সুন্দর করে ত্বক থেকে বয়সের ছাপকে দূর করে দাগ সব দূর করে এবং টানটান করে। আতা ফল খেলে ত্বক ভেতর থেকে সুন্দর হয়। তাই যারা প্রাকৃতিক উপায়ে তাকে সুন্দর করতে চাচ্ছেন তারা নিয়মিত সকলে একটি আতা ফল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। একটি আতাফল প্রতিদিন সকালে খেলে সারাদিন শরীরে পুষ্টি ভরপুর থাকবে।
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ আশা করছি আপনারা উপরের আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন আতা ফলের উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা অনেকেই বিভিন্ন ফলের মাঝে আতাফলকে অবহেলা করি। কিন্তু আতাফল থেকে প্রচুর ঔষধি গুনাগুন পাওয়া যায় নিয়মিত একটি আতা ফল খেলে শরীরের যাবতীয় সমস্যা দূর হবে যেমন হাতে ব্যথা, পায়ে ব্যথা, মাজায় ব্যথা প্রদাহ, অতিরিক্ত ওজন, উচ্চ কোলেস্টেরল হার্টের সমস্যা। আতা ফল খাওয়ার মাধ্যমে পেট সংক্রান্ত সমস্যা দূর হবে যেমন গ্যাসের সমস্যা হজম শক্তির সমস্যা। আতা ফল খেলে ত্বক সুন্দর হয়। আতা ফল খেলে হজম শক্তি উন্নত হয় ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়।
পোস্ট সম্পর্কিত পাঠকদের কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর সমূহ
শরিফা ও আতা কোন পরিবারের অন্তর্ভুক্ত?
শরিফা ও আতা একই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। আতা ও শরিফা ফল annonaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।
শরিফা ও আতাফল কি দেখতে একই রকমের?
না শরিফা ও আতাবাল দেখতে একই রকমের নাম শরিফা ও আদাবল এরা একই পরিবারের হলেও এদের প্রজাতিগত ভিন্নতা রয়েছে অর্থাৎ এটা ভিন্ন ভিন্ন প্রজাদের। যেমন বউয়ের মধ্যে ভিন্ন প্রজাতি রয়েছে ছোট বড় আপেল বরই নারকেল বরই। একইভাবে শরিফা ও আতা ফল এই দুইটা ভিন্ন প্রজাতির শরিফা ফল দেখতে হৃৎপিণ্ড ও আকৃতির। শরিফা ফলের গায়ে ছোট ছোট চোখের মতো দানা অংশ রয়েছে। কিন্তু আতাফল সম্পূর্ণ মসৃণ। শরিফা ও আদা ফল কাঁচা অবস্থাতে উভয় সবুজ রঙের থাকে কিন্তু এরা পেকে গেলে আতা ফল বাদামী রঙের হয় এবং শরিফা ফল গাঢ় হলুদ বর্ণের হয়।
শরিফা ও আতা ফলের পার্থক্য গুলো কি কি?
আপনি কি শরিফা ও আতাফল এর পার্থক্য সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা শরিফা ও আতা ফলের পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। শরিফা ও আতা ফল এরা একই পরিবারের কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির। শরিফা ও আতাফল এর পার্থক্য সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে উপরে দেখে নিন শরিফা ও আতা ফলের পার্থক্য গুলো ব্যাখ্যা করা রয়েছে।
উপসংহারঃ শরিফা ও আতা ফলের পার্থক্য - আতা ফলের উপকারিতা
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম আতা ফলের উপকারিতা এবং শরিফা ও আতা ফলের পার্থক্য গুলো কি কি। আমরা অনেকেই আতা ফল খেতে খুব ভালোবাসি আতা ফল মিষ্টি স্বাদ যুক্ত হয় আতাফল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এই ফলটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এত ফল থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে পচন ক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং হজম শক্তিকে উন্নত করে।
আমরা অনেকেই আতাফল এবং শরিফা ফল কে একই মনে করি কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল কারণ আতাফল এবং শরিফা ফল একই পরিবারের হলেও এই দুইটি ভিন্ন প্রজাতির। আতা ফল Annona Reticulata প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত এবং শরিফা ফল Annona Squamusa প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। আতা এবং শরিফা এই দুইটি একই ফল কিন্তু এদের প্রজাতি আলাদা এজন্য এদের স্বাদ আলাদা এবং আকার আকৃতি আলাদা।
আতা এবং শরিফা ফলের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য রয়েছে আতাফল নোনতা ও হালকা মিষ্টি স্বাদ যুক্ত কিন্তু শরিফা ফল গাঢ মিষ্টি স্বাদ যুক্ত। আতা ও শরিফা ফলের আকার আকৃতি ও আলাদা। শরিফা ফল দেখতে হৃৎপিণ্ড আকৃতির হয়ে থাকে কিন্তু আতা ফল দেখতে গোলাকার ও ডিম্বাকার আকৃতির। আতাফল পেকে বাদামী রঙের হয় কিন্তু শরিফা ফল পেকে গেলে গাঢ় হলুদ বর্ণের হয়। এর প্রতিবেদনে আমরা আরো আলোচনা করেছি যে আতাফল এর উপকারিতা গুলো কি কি আপনি যদি আতা ফলের উপকারিতা এবং শরিফা ও আতাফল এর পার্থক্য সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে ওপরে দেখে নিন।
ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url