গ্যাসের চুলায় নরম তুলতুলে পুডিং বানানোর রেসিপি

আসসালামু আলাইকুম আশা করছি আপনারা সকলে ভাল আছেন। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের সাথে গ্যাসের চুলায় পুডিং বানানোর রেসিপি, পারফেক্ট পুডিং রেসিপি শেয়ার করব এবং পুডিং কেন ভেঙে যায় সে বিষয়গুলো আলোচনা করব। কিভাবে মাত্র দুইটি ডিম দিয়ে পারফেক্ট পুডিং বাড়ানো যায় সে বিষয়গুলো জানতে প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ দেখতে থাকুন। 
গ্যাসের চুলায় পুডিং বানানোর রেসিপি
আপনি যদি পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখেন তাহলে গ্যারান্টি সহ গ্যাসের চুলায় একটি পারফেক্ট পুডিং তৈরি করতে পারবেন। পারফেক্ট পুডিং তৈরি করার জন্য মাত্র দুই থেকে তিনটি উপকরণের প্রয়োজন রয়েছে। চলুন দেরি না করে আমরা ঝটপট দেখে নেই গ্যাসের চুলায় পুডিং বানানোর রেসিপি পারফেক্ট পুডিং রেসিপি।

পেজ সূচিপত্র: গ্যাসের চুলায় নরম তুলতুলে পুডিং বানানোর রেসিপি 

     ভূমিকা      

পুডিং ডেজার্ট হিসেবে আমরা প্রত্যেকে খেতে খুব ভালোবাসি এই গ্রীষ্মকালের ঠান্ডা পুডিং প্রাণটি শান্তি দেয়। অনেকে পুডিং নাস্তা হিসেবে খেতে ভালোবাসে। পুডিং খেতে সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এটি অনেক পুষ্টিকর। পুডিং খাওয়ার ফলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয়। বিজ্ঞানীরা বলেন পুডিং খেতে মুখরোচক খাবার হলেও এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে অনেকে মনে করেন পুডিং তৈরি করার জন্য ওভেনের প্রয়োজন। আজকের এই পোস্টে আমরা গ্যাসের চুলায় পুডিং বানিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। পুডিং বানানোর জন্য কি কি প্রয়োজন সে উপকরণ গুলো নিচে দেখে নিন।

পুডিং বানানোর উপকরণ 

পুডিং বাড়ানোর জন্য এক লিটার দুধ, নিজের পছন্দ অনুসারে চিনি এবং ৪ টি ডিম প্রয়োজন। খুব অল্প উপকরণের মধ্যেই পুডিং তৈরি করা যায়। পুডিং তৈরি করতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি এই মুখরোচক খাবারটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পুডিং এ শুধুমাত্র দুধ এবং ডিম ব্যবহার করা হয় এইজন্য পুডিং খাওয়ার ফলে শরীরের শক্তি যোগায় এবং প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয়।
  • এক লিটার দুধ 
  • চারটি ডিম 
  • আধা টেবিল চা চামচ ঘি অথবা মাখন 
  • পছন্দমত চিনি অথবা মধু। 
  • মাত্র এই চারটি উপকরণ দিয়ে কিভাবে পুডিং তৈরি করতে হবে নিচে দেখে নিন পুডিং বানানোর রেসিপি। 

পুডিং বানানোর রেসিপি 

পুডিং বানানোর রেসিপি খুবই সহজ। মাত্র এক থেকে ২ বার এই রেসিপিটি আপনি দেখে নিলে খুব সহজে বাসায় তৈরি করে আপনার বাচ্চাদের এই সুস্বাদু মুখরচক খাবারটি খাওয়াতে পারবেন। পুডিং তৈরি করার জন্য প্রথমে প্যানে সম্পূর্ণ দুধ নিয়ে জাল দেওয়া শুরু করুন। দুধ ঘন করে শুকিয়ে অর্ধেক পরিমাণ করে ফেলতে হবে। তারপর দুধ ঠান্ডা করার জন্য রেখে দিন। এবার আরেকটি বাটিতে চারটি ডিম নিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে। এর মধ্যে পরিমাণ মত চিনি দিয়ে ফেটাতে থাকুন।

ডিম ফেটানোর জন্য ইলেকট্রিক বিটার ব্যবহার করতে পারেন। ইলেকট্রিক বিটার ব্যবহার করলে অল্প সময়ের মধ্যে ডিমে ক্রিমি  ভাব চলে আসবে। ডিম এবং চিনি ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়ে তার মধ্যে ঘি ব্যবহার করতে হবে। কি অথবা মাখন ব্যবহার করে আবার পাঁচ থেকে ছয় মিনিট ফেটিয়ে নিতে হবে। পুডিং খেয়াল রাখতে হবে আপনি যত সময় পর্যন্ত এই মিশ্রণটিকে ফেটাতে থাকবেন পুডিং তত বেশি নরম হবে।

এবার আপনি যে বাটিতে পুডিং তৈরি করতে চান সে বাটিতে মধু অথবা পরিমাণমতো চিনি নিয়ে তলায় ছড়িয়ে দিতে হবে। চিনি দিয়ে ক্যারামেল তৈরি করতে হবে। চিনি দিয়ে ক্যারামেল তৈরি করার জন্য পরিমাণমতো চিনি নিয়ে হালকা একটু পানি দিয়ে চুলায় গরম করতে থাকুন। চুলায় লো তাপমাত্রায় চিনি গলে যাবে এবং লাল বর্ণ ধারণ করবে। চিনির ক্যারামেল তৈরি হয়ে গেলে এবার ডিম ও চিনির যে মিশ্রণটি তৈরি করেছিলাম তার মধ্যে ঠান্ডা দুধ ধীরে ধীরে মিশিয়ে নিতে হবে। মনে রাখবেন যদি দুধ সামান্য পরিমাণ গরম থাকে তাহলে ডিম জমে যাবে। 

এই জন্য সম্পূর্ণরূপে দুধ ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। দুধ সম্পূর্ণরূপে ঠান্ডা হয়ে গেলে সেই ডিম ও চিনির মিশরের মধ্যে দুধ ধীরে ধীরে ঢেলে দিতে হবে।। তারপর যে পাত্রতে আপনি পুডিং তৈরি করতে চান সে পাত্রর তলায় ক্যারামেল রেখে উপর থেকে পুডিং এর মিশ্রণটি ঢেলে দিতে হবে। তারপর ওভেনে 15 থেকে 20 মিনিটের জন্য রেখে দিন। 15 থেকে 20 মিনিট পর একটি কাঠির সাহায্যে চেক করে দেখুন পুডিং হয়েছে নাকি। পুডিং হয়ে গেলে ঠান্ডা করার জন্য ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। তারপর একটি পাত্রের পুডিংয়ের পাত্রটি উল্টো করে বসিয়ে দিন। উপর থেকে হালকা করে ট্যাপ ট্যাপ করুন। তারপর পুডিং এর উভর করে রাখা পাত্রটি তুলে ফেলুন।

ব্যস পুডিং তৈরি হয়ে গেছে। এভাবে খুব সহজে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে বাসায় পুডিং তৈরি করে বাচ্চাদেরকে খাওয়াতে পারবেন। বাসায় ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়রা পর্যন্ত প্রত্যেকের পুডিং খেতে খুব ভালোবাসে পুডিং স্বাদের গুনে ভরপুর এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পুডিং এ কোন প্রকার রাসায়নিক পদার্থ কিংবা ক্ষতিকর পদার্থ মেশানো হয় না। শুধুমাত্র দুধ এবং ডিমের সংমিশ্রণ থাকে‌।

এই জন্য পুডিং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পুডিংই একমাত্র ডেজার্ট যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং খেতে সুস্বাদু। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পুডিং বানানোর রেসিপি সম্পর্কে। তবে যাদের বাসায় ওভেন নেই তারা কিভাবে পুডিং তৈরি করবেন? ওভেন না থাকলে খুব সহজেই গ্যাসের চুলায় বাসায় পুডিং তৈরি করতে পারবেন। নিচে দেখে নিন গ্যাসের চুলায় পুডিং বানানোর রেসিপি। 

গ্যাসের চুলায় পুডিং বানানোর রেসিপি

আপনি কি গ্যাসের চুলায় পুডিং তৈরি করতে চান? অনেকে মনে করেন গ্যাসের চুলাতে হয়তো পুডিং তৈরি করা যায় না কিন্তু এই ধরনের সম্পন্ন ভুল এখন গ্যাসের চুলাতে পুডিং সহ জন্মদিনের কেক তৈরি করতে পারবেন মিষ্টি তৈরি করতে পারবেন রসগোল্লা তৈরি করতে পারবেন। আজকের এই পোস্টে আমরা দেখব গ্যাসের চুলায় কিভাবে পুডিং তৈরি করতে হয়। পুডিং তৈরি করার জন্য আগের মত ঠিক একইভাবে চুলাই দুধ জাল দিতে হবে এবং দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক পরিমান করতে হবে। 

তারপর ডিম ও চিনির মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। ডিম ও চিনির মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে যে পাত্রতে পুডিং তৈরি করতে চান সেই পাত্রের তলায় পরিমাণমতো চিনি নিয়ে চুলায় জাল দিয়ে চিনির ক্যারামেল তৈরি করতে হবে। চিনির ক্যারামেল তৈরি হয়ে গেলে  পাত্রটি এক সাইডে রেখে দিতে হবে এবং ডিম ও চিনির মিশ্রণে জাল দেওয়া দুধ ধীরে ধীরে মেশাতে হবে। দুধ সম্পূর্ণরূপে ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এবং ঠান্ডা দুধ মেশাতে হবে। পুডিং এর মিশ্রণটি তৈরি হয়ে গেলে। 

যে পাত্রে পুডিং তৈরি করতে চান সেই পাত্রে মিশ্রণটি ঢেলে দিয়ে চুলাই জ্বাল দিতে হবে। তবে জাল দেওয়ার আগে একটি বড় হারি অথবা করায় নিতে হবে। বড় হাড়ির মধ্যে এক চতুর্থাংশ পানি দিতে হবে। তার ওপর একটি স্ট্যান্ড বসিয়ে রাখুন। আপনি যে পাত্রের পুডিং এর মিশ্রণটি রেখেছেন সেই পাত্রটি স্ট্যান্ডের ওপর বসিয়ে দিন। পুডিং এর পাত্রের ওপর ভারী কিছু দিয়ে চাপা দিন। এবার এভাবে জাল করতে থাকুন। ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর পুডিং তৈরি হয়েছে নাকি? একটি কাঠির সাহায্যে চেক করে দেখুন। পুডিং তৈরি হয়ে গেলে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করতে পারেন। অথবা একটি পাত্রের উপর পুডিং এর বাটি উল্টো করে বসিয়ে দিন।

ব্যস আপনার পুডিং তৈরি হয়ে গেছে। মাত্র ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে চুলায় যে কোন সময় এভাবে পুডিং তৈরি করতে পারবেন পুডিং তৈরি করার জন্য শুধুমাত্র ডিম দুধ এবং চিনি ও ঘি এর প্রয়োজন। এই চারটি উপকরণ বাসায় থাকলে যে কোন সময় বাসায় পুডিং তৈরি করতে পারবেন। পুডিং এ ডিম ও দুধ ব্যবহার করা হয় এজন্য ডিমের গন্ধ দূর করার জন্য ভ্যানিলা এসেন্স ব্যবহার করতে হবে। পুডিং এ ভ্যানিলা এসেন্স ব্যবহার করলে ডিমের গন্ধ দূর হবে এবং এটি নতুন স্বাদ যুক্ত হবে।

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে গ্যাসের চুলায় পুডিং বানানো যায়। গ্যাসের চুলায় পুডিং বানানোর রেসিপি কি। তবে অনেকে জিজ্ঞাসা করেন কিভাবে পারফেক্ট পুডিং রেসিপি তৈরি করতে হবে? আমরা পুডিং তৈরি করার সময় অনেকেই কিছু সাধারণ ভুল করি, যে ভুলগুলোর জন্য পুডিং পারফেক্ট হয় না এবং পুডিং ভেঙ্গে যায়। কিভাবে একটি পারফেক্ট পুডিং তৈরি করতে হবে সে বিষয়ে জানতে নিজে দেখে নিন। 

পারফেক্ট পুডিং রেসিপি 

আপনি কি পারফেক্ট পুডিং রেসিপি খুঁজছেন? আপনি যদি এই পারফেক্ট পুডিং রেসিপিটি দেখে নিন তাহলে গ্যারান্টি সহ আপনি পুডিং এক্সপার্ট হয়ে যাবেন। এরপর থেকে কখনোই আর আপনার পুডিং ভেঙে যাবে না কিংবা নষ্ট হবে না। গ্যারান্টি সহ আপনি পারফেক্ট পুডিং তৈরি করতে পারবেন। যেকোনো সময় বাসায় পুডিং তৈরি করে বাসার মেহমানদেরকে খুশি করতে পারবেন।

টিপস ১) পুডিং তৈরি করার সময় পুডিং এর স্বাদ বৃদ্ধির জন্য প্রথমে দুধকে প্রচুর জাল দিতে হবে। দুধকে  জাল দিয়ে ঘন করে প্রায় অর্ধেক পরিমাণ করতে হবে। যেমন এক কেজি দুধ চুলায় জাল দিয়ে হাফ কেজি করতে হবে। বেশিরভাগ মানুষই দুদিকে ভালোভাবে জাল দেয় না, যার কারণে পুডিং স্বাদ হয় না।

টিপস ২) অনেকের সঠিকভাবে পুডিং এর ক্যারামেল তৈরি করতে পারেনা। বেশিরভাগ মানুষই  পুডিং এর ক্যারামেল তৈরি করতে যেয়ে হিমশিম খান। পুডিং এর ক্যারামেল তৈরি করার সময় অধিক পানি দেওয়া যাবে না। বেশি পানি দিয়ে ফেললে ক্যারামেল সঠিকভাবে তৈরি হবে না। ১৩ মাস সঠিকভাবে তৈরি করার জন্য হাফ কাপ চিনির মধ্যে এক চা চামচ পানি দিতে হবে। তারপর চুলায় ল- তাপমাত্রাতে জাল দিতে হবে। অনেকেই ক্যারামেল তৈরি করার সময় হাই তাপমাত্রার জাল দেন যার ফলে ক্যারামেল পুড়ে যায়। 

টিপস ৩) পুডিং তৈরি করার সময় ডিম ও চিনির মিশ্রণের মধ্যে অনেকেই ভুল করে গরম দুধ ঢেলে দেন। এইজন্য পুডিং সঠিকভাবে জমে উঠে না এবং খেতেও সুস্বাদু হয় না। পুডিং তৈরি করার সময় কখনোই ডিম ও চিনির মিশ্রণের মধ্যে গরম দুধ দেওয়া যাবে না। ডিম ও চিনি মিশরের মধ্যে গরম দুধ দিলে গরম দুধের সাথে ডিম শক্ত হয়ে উঠবে। এইজন্য দুধ জাল দিয়ে ঘন করে ঠান্ডা হওয়ার জন্য ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিতে হবে। দুধ সম্পূর্ণ ঠান্ডা হয়ে গেলে তারপর পুডিং এর মিশ্রণের মধ্যে দুধ ব্যবহার করতে হবে।

টিপস ৪) পুডিংয়ের মিশ্রণে অবশ্যই ঘি অথবা মাখন ব্যবহার করতে হবে। অনেকে মিশ্রণে ঘি অথবা মাখন ব্যবহার না করেই পুডিং তৈরি করেন। এতে পুডিং জমে উঠে না এবং ভেঙে যায়। পুডিং এর মিশ্রণের ঘি অথবা মাখন ব্যবহার করে চুলায় জাল দিতে হবে। তাহলে আশা করছি পুডিং ভাঙবে না এবং পারফেক্ট পুডিং তৈরি করতে পারবেন।

টিপস ৫) পুডিং এরশাদ বৃদ্ধি করার জন্য পুডিং এর মিশ্রণের মধ্যে ক্রিম দুধ ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে প্রেমের দুধ কিনতে পাওয়া যায় এই দুধগুলো পুডিং এ ব্যবহার করলে পুডিং খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। কেউ আপনার হাতের পুডিং খেয়ে সুনাম করবে। পুডিং এ যেহেতু ডিম ব্যবহার করা হয় তাই ডিম এর গন্ধ দূর করার জন্য পুডিং এ ভ্যানিলা এসেন্স ব্যবহার করতে হবে এতে একটি নতুন স্বাদ যুক্ত হবে।

এই পাঁচটি টিপস মনে রাখলে পরবর্তী সময় আপনি যখনই পুডিং তৈরি করবেন আপনার পুডিং গ্যারান্টি সহ পারফেক্ট হবে। পুডিং তৈরি করার জন্য নিয়ম একই কিন্তু নিজের কিছু ভুলের জন্যই পুডিং পারফেক্ট হয় না। পুডিং পারফেক্ট করার পাশাপাশি পুডিং এর সাজ বৃদ্ধি করার জন্য ভ্যানিলা এসেন্স এবং ক্রিম দুধ ব্যবহার করতে হবে। ক্রিম দুধ ব্যবহার করলে পুডিংটি আরো দ্রুত জমে উঠবে এবং খেতে খুবই সুস্বাদু হবে।

আর মনে রাখবেন পুডিং তৈরি করার সময় আপনি যত সময় পর্যন্ত পুডিং এর মিশ্রণটি ফেটতে থাকবেন তত বেশি পুডিং নরম এবং তুলতুলে হবে। অনেকেই ৫ থেকে ১০ মিনিট পুডিং এর মিশ্রণ ফেটেন এইজন্য পুডিং তৈরি করার সময় পুডিং ভেঙ্গে যায়। পুডিং এর মিশ্রণ সর্বনিম্ন ২০-২২ মিনিট পর্যন্ত ফেটতে হবে। তাহলে আপনি বাসায় একটি পারফেক্ট পুডিং তৈরি করতে পারবেন। 

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন পারফেক্ট পুডিং রেসিপি কি এবং গ্যাসের চুলায় পুডিং বানানোর উপায় কি। গ্যাসের চুলায় পুডিং বানানোর রেসিপি খুবই সহজ শুধুমাত্র একটি বড় হাঁড়ি নিতে হবে এবং সে হাঁড়ির মধ্যে এক চতুর্থাংশ পানি দিয়ে একটি স্ট্যান্ড বসাতে হবে সেই স্ট্যান্ডের উপর পুডিংয়ের পাত্রটি বসিয়ে দিতে হবে। তাহলেই বাসায় গ্যাসের চুলাতে অথবা মাটির চুলাতে পুডিং তৈরি করতে পারবেন। এভাবে ঠিক একই উপায়ে বাসায় জন্মদিনের কেক তৈরি করতে পারবেন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি পুডিং খাওয়ার উপকারিতা। 

পুডিং খাওয়ার উপকারিতা 

পুডিং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বিজ্ঞানীরা বলেন বাচ্চাদেরকে নিয়মিত পুডিং খাওয়াতে পুডিং খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের মেধা শক্তি বিকাশ হবে এবং শরীরের শক্তি উৎপন্ন হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে প্রোটিনের অভাব পূরণ হবে।। পুডিং থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায় যা জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে। পুডিং থেকে ভরপুর প্রোটিন পাওয়া যায় যার নতুন পোস্ট গঠন করতে সাহায্য করে।

বাচ্চাদের সঠিক বৃদ্ধিতে নিয়মিত তাদের পুডিং খাওয়াতে হবে নিয়মিত পুডিং খাওয়ালে বাচ্চার সঠিক বৃদ্ধি হবে। বাচ্চার দ্রুত লম্বা হবে এবং বাচ্চার শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হবে। পুডিং খাওয়ার ফলে শিশুদের মেধা বিকাশ হবে। ১০০ গ্রাম পুডিং থেকে প্রায় দুই থেকে ৫ গ্রাম চর্বি পাওয়া যায় এটি শিশুর মেধা বিকাশ করতে সাহায্য করবে। পুডিং থেকে ভিটামিন কে ও ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যা বাচ্চাদের হাড়কে মজবুত করবে। ভিটামিন ডি বাচ্চার দাঁত মজবুত করবে। 

এছাড়াও পুডিং থেকে প্রচুর আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ভূমিকা পালন করবে। বাচ্চারা সরাসরি ডিম অথবা দুধ খেতে চাই না। তাই তাদেরকে ডিম দুধের বদলে পুডিং হিসেবে সুস্বাদু ডেজার্ট খাওয়াতে পারবেন। যা পুষ্টি গুণে ভরপুর। পুডিং খাওয়ালে বাচ্চারা ডিম ও দুধের পরিপূর্ণ উপকারিতা লাভ করতে পারবে। আপনারা যেটা জানতে চান পুডিং থেকে কি কি পুষ্টিগুণ উপাদান পাওয়া যায় তারা নিচে দেখে নিন পুডিং এর পুষ্টিগুণ উপাদান।

পুডিং এর পুষ্টিগুণ উপাদান 

পুডিং থেকে প্রচুর পুষ্টিগুণ উপাদান পাওয়া যায় পুডিং তৈরিতে ডিম ও দুধ ব্যবহার করা হয় সাথে ঘি ব্যবহার করা হয়। ডিম দুধ ও ঘি একত্রে বিভিন্ন ভিটামিন ও পুষ্টি সমাহার। পুডিং থেকে ১৬০ থেকে ১৭৫ গ্রাম কিলো ক্যালোরি পাওয়া যায়, 20 গ্রাম শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ও ভিটামিন বি ৬ ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন পাওয়া যায়।

উপরের এই ভিটামিন গুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী আমাদের প্রত্যেকের শরীরের নিয়মিত কিছু ভিটামিনের চাহিদা থাকে। তাই প্রতিদিন সকালে নাস্তা হিসেবে পুডিং খেলে শরীরের যাবতীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে। পুডিং থেকে শক্তি পাওয়া যায় পুডিং খাওয়ার ফলে শরীরে প্রচুর শক্তি উৎপন্ন হয় প্রতিদিন সকালে নাস্তা হিসেবে পুডিং খেলে সারাদিন শরীরে প্রচুর শক্তি উৎপন্ন হবে।

উপসংহার: গ্যাসের চুলায় নরম তুলতুলে পুডিং বানানোর রেসিপি 

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম পারফেক্ট পুডিং রেসিপি গ্যাসের চুলায় পুডিং বানানোর রেসিপি এবং পুডিং তৈরি করার সময় কি কি ভুল হয় সে ভুল গুলো শুধরানোর উপায়। আমরা অনেকেই বাসায় পুডিং তৈরি করতে খুব ভালোবাসি কারণ পুডিং খেতে খুবই সুস্বাদু পাশাপাশি এটি স্বাস্থ্যকর খাবার। বিজ্ঞানীরা বলেন নিয়মিত পুডিং হওয়ার ফলে শরীর থেকে প্রশ্নের অভাব পূরণ করা যায়। পুডিং এর শুধুমাত্র দুধ ও ডিম ব্যবহার করা হয় এই জন্য পুডিং নিঃসন্দেহে এটি স্বাস্থ্যকর খাবার। পুডিং খাওয়ার ফলে শরীরের শক্তি উৎপন্ন হবে এবং প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হবে।

এছাড়াও আমরা আজকের এই প্রতিবেদনে আরো দেখলাম পুডিং খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা প্রত্যেকেই জানি যে ফাস্টফুড স্বার্থের জন্য খুবই কিন্তু পুডিং ডেজার্ট হলেও এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিজ্ঞানীরা বলেন নিয়মিত পুডিং খাওয়ার ফলে প্রোটিনের  ঘাটতি পূরণ হবে হাড় মজবুত হবে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হবে বাতের ব্যথা দূর হবে শরীরের শক্তি উৎপন্ন হবে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হবে। এছাড়াও পুডিং থেকে প্রচুর আয়রন পাওয়া যায় যার শরীরে রক্তকণিকা তৈরি করে। পুডিং থেকে দুধ ও ডিমের পরিপূর্ণ উপকারিতা পাওয়া যায়। 

বাচ্চারা ডিম ও দুধ খেতে যায় না এক্ষেত্রে তাদেরকে ডিম ও দুধের বদলে পুডিং তৈরি করে খাওয়াতে পারবেন এতে তারা ডিম ও দুধের পরিপূর্ণ উপকারিতা গুলো লাভ করতে পারবে। এছাড়াও বাসায় মেহমান আসবে তাদেরকে পুডিং তৈরি করে খাওয়াতে পারবেন এতে প্রচুর সুনাম লাভ করতে পারবেন। কারণ পুডিং খেতে কম বেশি প্রত্যেকেই খুব ভালবাসি অল্প সময়ে তৈরি এই মুখরোচক খাবারটি খেতে খুবই সুস্বাদু। ওপরের উপায়টি অনুসরণ করে পারফেক্ট পুডিং বানাতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url