যজ্ঞ ডুমুরের উপকারিতা-দেশি ডুমুরের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

আমরা অনেকেই হয়তো যজ্ঞ ডুমুরের সাথে চেনা পরিচিত নয়। কিন্তু যোগ্য ডুমুরের উপকারিতা অনেক যোগ্য ডুমুরের শিকর রক্ত আমার প্রতিরোধ করে, প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করে, ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে, চোখের দৃষ্টি শক্তিকে উন্নত করে। আপনারা অনেকেই জানতে চান যজ্ঞ ডুমুর এর উপকারিতা কি। তাই আজকের প্রতিবেদনে আমরা দেশি উপকারিতার উপকারিতা এবং ত্বীন ফল কি ডুমুর নাকি সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 
যজ্ঞ ডুমুরের উপকারিতা-দেশি ডুমুরের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
আপনি যদি আজকের এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ দেখেন তাহলে যজ্ঞ ডুমুরের উপকারিতা এবং উপকারিতার সাথে ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম কি এবং ত্বীন ফল কি ডুমুর নাকি সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। ডুমুর থেকে প্রচুর ঔষধি গুনাগুন পাওয়া যায় ডুমুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারিতা নিয়মিত ডুমুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর হয় পেট সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়। ডুমুরের উপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পোস্টটি সম্পন্ন দেখতে থাকুন।

পেজ সূচিপত্র: যজ্ঞ ডুমুরের উপকারিতা-দেশি ডুমুরের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত 

     ভূমিকা      

যজ্ঞ ডুমুর এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Ficus Racemosa। যজ্ঞ ডুমুর Moraceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। ডুমুরের একটি প্রজাতির নাম হলো যজ্ঞ ডুমুর। যজ্ঞ ডুমুরের প্রচুর ঔষধি গুনাগুন রয়েছে এবং খেতেও সুস্বাদু আমরা অনেকেই ডুমুরের তরকারি খেতে খুব ভালোবাসি। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডুমুর গাছ দেখতে পাওয়া যায় এবং বাজারে ডুমুর স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে। যজ্ঞ ডুমুরের উপকারিতা অনেক। বসন্ত কালে অনেকের শরীরে পানির ফোস্কার মতো জল বসন্ত রোগ হয়, 

এই রোগ থেকে রেহাই পেতে যজ্ঞ ডুমুরের গাছের পাতা বেটে তার রস আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে জল বসন্তের রোগ দূর হয়। অথবা যজ্ঞ ডুমুর বেটে তার রস খেলে জল বসন্তের রোগ দ্রুত দূর হবে। যজ্ঞ ডুমুরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেন পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে নিয়মিত যজ্ঞ ডুমুর খেতে হবে। ডুমুরের বিভিন্ন জাত রয়েছে তার মধ্যে একটি প্রজাতির নাম হলো যজ্ঞ ডুমুর। নিচে দেখে নিন যজ্ঞ ডুমুরের উপকারিতা গুলো বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা রয়েছে।

যজ্ঞ ডুমুরের উপকারিতা 

আপনি কি যোগ্য ডুমুরের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? নিয়মিত যোগ্য ডুমুর খেলে কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা দূর হবে অতিরিক্ত ওজন কমবে প্রস্তাবের জ্বালাপোড়া কমবে প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর হবে জন্ডিস হলে জন্ডিস ভালো হবে ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা করলে গলা ব্যথা দূর হবে টনসিল প্রতিরোধ হবে। এক কথায় শরীরের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে জগতে ব্যবহার করা যেতে পারে। ভাত খাওয়ার তিরিশ মিনিট আগে হাফ কাপ পরিমাণ ডুমুর পাতার রস খেলে বহুমূত্র রোগ প্রতিরোধ হবে। 

বহুমূত্র রোগ বলতে বোঝায় অনেকে দেখা যায় দুই থেকে তিন মিনিট পর পর ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। ঘনঘন প্রস্রাব থেকে বাঁচতে ভাত খাওয়ার আগে হাফ কাপ যজ্ঞ ডুমুরের পাতার রস খেতে হবে। এতে চিরদিনের জন্য ঘনঘন প্রস্রাবের সমস্যা দূর হবে। যজ্ঞ ডুমুর চোখের জন্য উপকারী পাশাপাশি যোগ্য ডুমুর পেট সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে এবং জন্ডিস দূর করতে সাহায্য করে। আপনি যদি যজ্ঞ ডুমুরের উপকারিতা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে দেখে নিন।
  • প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দূর করে। 
  • বারবার অথবা ঘনঘন প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে। 
  • হলুদ বর্ণের প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে। 
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে। 
  • জন্ডিস হলে যোগ্য ডুমুরের রস খেলে জন্ডিস ছিড়ে যায়। 
  • মৌসুমী রোগ ঠান্ডা জ্বর সর্দি কাশির দূর করে।
  •  কানে ইনফেকশন দূর করে।
  • গনোরিয়া রোগ প্রতিরোধ করে। 
  • প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর করে। 
  • ফোঁটা ফোটা প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে। 
  • আমাশয় প্রতিরোধ করে। 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে। 
  • ত্বককে সুন্দর করতে সাহায্য করে। 
  • হজম শক্তিকে আরও উন্নত করে। 
মূত্রথলি সংক্রান্ত সমস্যা দূর: মূত্রথলী সংক্রান্ত সমস্যা যেমন অনেকের ঘনঘন প্রসারণ সমস্যা দেখা দেয় অথবা প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হয়। নিয়মিত সকালে এক কাপ যোগ্য ডুমুরের পাতার রস খেলে ঘনঘন প্রস্রাবের সমস্যা এবং প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দূর হবে। পানিকে প্রস্রাবের সময় ফোঁটা ফোটা প্রস্রাব হয়। অথবা প্রসাব ক্লিয়ার হয় না এটি অনেক যন্ত্রণাদায়ক। প্রস্রাব ক্লিয়ার করতে এবং ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাবের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত সকালে হাফ কাপ যজ্ঞ ডুমুরের পাতার রস খেতে হবে।

জন্ডিস দূর করে: যজ্ঞ ডুমুরের পাতা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এটি জন্ডিস দূর করতে সাহায্য করে। রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা যায় জন্ডিসের কারণে প্রস্রাব অনেক হলুদ বর্ণ ধারণ করে এবং চোখ ও মুখ হলুদ হয়ে যায়। যজ্ঞ দুপুরের পাতা থেকে এমন কিছু এন্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যার রক্তের বিলিরুবিনের মাত্রা কে কমাতে থাকে।

গলা ব্যথা দুর: অনেকে ঠান্ডা জনিত কারণে গলা ব্যথা করে কিংবা গলাতে টনসিল দেখা দেয়। গলাতে টনসিল হলে কিংবা গলা ব্যথা করলে এক কাপ যোগ্য ডুমুরের রস পান করতে হবে এতে দ্রুত গলা ব্যথা সেরে যাবে এবং টনসিল ভালো হয়ে যাবে। টনসিলের কারণে গলায় প্রচুর ব্যথা অনুভূত হয় এবং কথা বলতে অসুবিধা হয় তাই টনসিল পরামর্শ নিতে হবে এবং যজ্ঞ ডুমুরের রস পান করতে হবে।

কানের সংক্রমণ দূর: কানের সংক্রমণ ঘটলে কানের একসাইডে ফুলে যায় এবং প্রচুর ব্যথা অনুভূত হয়। কানের সংক্রমণ দূর করতে যজ্ঞ ডুমুর খেতে হবে। যজ্ঞ ডুমুর খাওয়ার ফলে কানের সংক্রমণ দূর হবে এবং কানের ব্যথা সেরে যাবে। কানে পানি ঢুকলে কিংবা কানে কোন ব্যাকটেরিয়া কি অথবা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণ ঘটলে কানের এক সাইডে ফুলে লাল বর্ণ ধারণ করে। যজ্ঞ ডুমুরের পাতার রস আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে এতে কানে সংক্রমণ দূর হতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর: জাগো ডুমুর থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কি দূর করে। সাধারণ ডুমুরের থেকেও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যাতে ভুগছেন তারা নিয়মিত যজ্ঞ ডুমুর খাওয়া শুরু করুন। এতে দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হবে ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা নিমেষেই দূর হয়। আর যজ্ঞ ডুমুর থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়।

ওজন কমে: যজ্ঞ ডুমুরে খুব অল্প পরিমাণে ফ্যাট পাওয়া যায়। তাই যোগ্য তোমার খাওয়ার ফলে ওজন কমার সম্ভাবনা রয়েছে যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ভুগছেন কিংবা অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় যোগ্য ডুমুর রাখুন। যজ্ঞ ডুমুর থেকে প্রচুর ফাইবার পাওয়া যায়। তাই যজ্ঞ ডুমুর খাওয়ার ফলে পেট দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ভরা অনুভূতি থাকে এদের ক্ষুধা হ্রাস পায়।

রক্তশূন্যতা দূর: যজ্ঞ ডুমুর থেকে বেদনার তুলনায় অনেক বেশি আয়রন থাকে। আয়রন রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করে এবং অ্যানিমিয়া দূর করে। যজ্ঞ ডুমুর খাওয়ার ফলে রক্তশূন্যতা নিমিষেই দূর হবে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি হবে। রক্তের শূন্যতা থাকলে শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং চোখের ঝাপসা দেখা দেয়। তাই রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর করতে এবং শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে যজ্ঞ ডুমুর খেতে হবে।

প্রদাহ দূর করে: বহুকাল আগে থেকে আয়ুর্বেদ কাজে যোগ ডুমুর ব্যবহার করে আসা হচ্ছে এই গাছের ছাল পাতা পেস্ট করে আক্রান্ত স্থানে লাগালে আরাম পাওয়া যায় এবং প্রদাহ কমে। পোকামাকড় কামড় দিলে এর বিষ ত্বকে প্রবেশ করলে প্রদাহ অথবা জ্বালাপোড়া ভাব সৃষ্টি করে। জ্বালাপোড়া দূর করতে যজ্ঞ ডুমুরের ছাল বেটে পেস্ট করে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে এতে দ্রুত প্রদাহ দূর হবে। 

আলসার প্রতিরোধ করে: দীর্ঘদিন থেকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে আলসারের সমস্যা সৃষ্টি হয়। যজ্ঞ ডুমুরের পাতা দিয়ে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করা হয় এবং এই ঔষধ গুলো আলসারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানীরা বলেন যজ্ঞ ডুমুরের পাতা গুড়া করে বেটে নিয়মিত সকালে গরম পানির সাথে গুলিয়ে খেলে আলসারের সমস্যা দূর হবে। যজ্ঞ ডুমুরের পাতাগুলো চা হিসেবে খাওয়া যায়।ডায়াবেটিসের ঔষধ তৈরিতে যজ্ঞ ডুমুরের পাতা ব্যবহার করা হয়।

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা উপরের আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন যজ্ঞ ডুমুরের উপকারিতা সম্পর্কে। যজ্ঞ ডুমুর ফল খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ প্রায় বেদেনার চেয়ে তিন গুণ বেশি আয়রন পাওয়া যায় যোগ্য ডুমুর থেকে যজ্ঞ ডুমুর দেখতে ডিম্বাকৃতির এবং লাল কমলা বর্ণের হয়। যজ্ঞ ডুমুরের স্বাদ মিষ্টি হয়। পাকা যজ্ঞ ডুমুর খালি মুখে খাওয়া যায়।যজ্ঞ ডুমুর ডায়াবেটিসের ঔষধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যজ্ঞ ডুমুরের উপকারিতা সম্পর্কে  এবার চলুন আমরা দেখে আসি দেশি ডুমুরের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। 

দেশি ডুমুরের উপকারিতা

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডুমুর গাছ দেখতে পাওয়া যায় বিশেষ করে রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলে ডুমুর গাছের সংখ্যা অনেক বেশি। ডুমুর গাছ নয় থেকে দশ ফিট লম্বা হয়। ডুমুর কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকে এবং পেকে গেলে এটি লাল অথবা কমলা বর্ণ ধারণ করে। ডুমুর খেতে খুবই সুস্বাদু হয়, ডুমুর পেকে গেলে এটি মিষ্টি স্বাদ যুক্ত হয়। টাকা দেবো খালি মুখে খাওয়া গেলেও কাঁচা ডুমুর তরকারি হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে  কাঁচা ডুমুর ভাজি করা হয় । আমরা অনেকেই কাঁচা ডুমুর খেতে খুব ভালোবাসি কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে হয়তো জানিনা। তাই নিচে দেখে নিন দেশি ডুমুরের উপকারিতা।
  • বিশেষজ্ঞদের মতে জানা যায় ডুমুর খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে
  • কিডনি জনিত সমস্যা দূর হয় 
  •  মূত্র সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয় 
  • চোখের দৃষ্টি শক্তি উন্নত করে
  •  মস্তিষ্কে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়
  •  স্নায়বিক দুর্বলতা প্রতিরোধ হয় 
  • সর্দি কাশি দূর হয়
  •  ফোড়া দূর হয়
  • লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে।
  •  স্ত্রী সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয় 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয় 
  • অতিরিক্ত ওজন কমে যায়
  • রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
  • প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর হয় 
  • রক্তশূন্যতা দূর করে।
  • গলা ব্যথা দূর হয় 
  • টিউমার জনিত সমস্যা দূর হয়। 
  • ক্যামেরা প্রতিরোধ হয় 
গবেষণা বিদ বলেন নিয়মিত একটি কাঁচা ডুমুর খেলে সারাদিন শরীরে শক্তি বজায় থাকবে সর্দি কাশি সমস্যা দূর হবে মস্তিষ্ক স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে কিনা সমস্যা দূর হবে। ডুমুর থেকে প্রচুর পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ডুমুর কে জান্নাতি ফল বলা হয়। আপনি যদি ডুমুরের উপকারিতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে দেখে নিন।

ডুমুরের উপকারিতা 

ডুমুর থেকে ভরপুর ভিটামিন পাওয়া যায়। এইজন্য ডুমুরকে ভিটামিনের উৎস বলা হয়।সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান সম্পন্ন হল ডুমুর। ডুমুর থেকে প্রায় ৩৭ কিলো ক্যালরি ও খাদ্য শক্তি পাওয়া যায়, 125 গ্রাম ক্যারোটিন সহ ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন বি ১, কেরোটিন, প্রোটিন এবং শক্তি পাওয়া যায়। নিয়মিত দুই থেকে তিনটি পাকা ডুমুর খেলে সারাদিন শরীরে ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান ভরপুর থাকবে। টাকা দেবো থেকে শর্করা পাওয়া যায় এটি ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: ডুমুরে আছে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার। ফাইবার থেকে মল পানির শোষণ করে এতে মল নরম হয় এবং দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। আমরা অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দ্বারা ভুগছে কিন্তু কেউ লোক লজ্জার ভয়ে এই সমস্যাগুলোকে প্রকাশ্যে আনে না কিন্তু আপনি চাইলে এখন থেকে নিয়মিত একটি ডুমুর খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করতে পারবেন। এর সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা ডায়রিয়া কিংবা অন্যান্য পেট সংক্রান্ত গন্ডগোল দূর করতে নিয়মিত ডুমুর খেতে হবে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: ডুমুর থেকে প্রচুর পটাশিয়াম পাওয়া যায়। পটাশিয়াম হার্ট এর জন্য উপকারী হার্টের সোডিয়ামের মাত্রা অনেকাংশে বেড়ে গেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। উচ্চ রক্তচাপ বলতে বোঝায় যখন হৃদযন্ত্র তার অন্যান্য অঙ্গ গুলোতে রক্ত সরবরাহের জন্য অতিরিক্ত চাপ প্রদান করবে তখন উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হবে।। ডুমুর খাওয়ার ফলে ডুমুর থেকে পাওয়া পটাশিয়াম রক্তের গতিকে শিথিল করে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

রক্তশূন্যতা দূর করে: শরীরে রক্তের অভাব দেখা দিলে রক্ত শুনাতে দেখা দেয় রক্তশূন্যতার ফলে চোখ মুখ ফ্যাকাসে হয়ে ওঠে এবং শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে মৃত্যুর মতো যন্ত্রণা না দায়ক সিচুয়েশন তৈরি হয়।। তাই রক্ত ছিল দূর করতে নিয়মিত ডুমুর খেতে হবে ডুমুর থেকে বেদনার চেয়ে তিনগুণ বেশি আয়রন পাওয়া যায় যার রক্ত তৈরি করে। ডুমুর খাওয়ার ফলে শরীরের রোহিত রক্তকণিকা তৈরি হবে এবং রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি পাবে। 

ওজন কমে: যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ভুগছেন তারা নিয়মিত ডুমুর খাওয়া শুরু করুন। ডুমুর খেলে শরীরের অতিরিক্ত মেয়েদের ঝরে যায় এবং ওজন কমতে থাকে। ডুমুর খাওয়ার পরে ফাইবার মেটাবলিজম ঠিক থাকে। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পায় না এবং অতিরিক্ত ক্ষুধাও হ্রাস পায়। তাই যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন তারা চিন্তা বাদ দিন এবং ওজন কমাতে ডুমুর খাওয়া শুরু করুন। 
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভরপুর: তোমার থেকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় এটি ফ্রী রেডিকেলস কে নষ্ট করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। শরীরে ফ্রী রেডিক্যালস এর প্রভাবে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয় পাশাপাশি আরও বিভিন্ন রোগবালের সৃষ্টি হয়। উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং ফ্রি রেডিকেলস দূর করতে নিয়মিত ডুমুর খেতে হবে। অক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ইমিউনিটি সিস্টেমকে ভালো রাখে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত ডুমুর খাওয়া শুরু করুন।

ত্বককে সুন্দর করে: ছেলে এবং মেয়ে প্রত্যেকের সুন্দর টক পেতে চাই সুন্দর ত্বকের অধিকারী হতে চাই। সুন্দর ত্বকের রহস্য হলো ডুমুর। ডুমুর ফল থেকে প্রচুর ভিটামিন বি ৬ পাওয়া যায় এটি ত্বকের জন্য উপকারী ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করে দাগ দূর করে ত্বকে টানটান করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ফর্সা করতে সাহায্য করে।। নিয়মিত কাঁচা ডুমুর খাওয়ার ফলে ত্বকের সুন্দর করতে পারবেন। ডুমুর পাতার রস ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক থেকে কালো দাগ দূর হবে।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর: অতিরিক্ত মসলা যুক্ত কিংবা ঝাল খাবার খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি হয়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলো এক ধরনের পেট সংক্রান্ত সমস্যা। আর ডুমুর খাওয়ার ফলে পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর হয়। ডুমুর থেকে প্রচুর ফাইবার পাওয়া যায় এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাকে দূর করে এবং হজম শক্তিকে উন্নত করে। গ্যাসের ফলে পেট ফেঁপে থাকে এবং পেটে ব্যথা অনুভূত হয়। ডুমুর খাওয়ার পরে গ্যাসের সমস্যা দূর হবে সাথেই পেট ফেঁপে থাকা দূর হবে। 

রাতকানা রোগ প্রতিরোধ: ডুমুর থেকে ভিটামিন এ পাওয়া যায় রোগ প্রতিরোধ করে। অনেকেই রাতে সঠিকভাবে চোখে দেখতে পায় না। একে বলা হয় রাতকানা রোগ। ভিটামিন এ এর ঘাটতি দেখা দিলে রাত কানা সমস্যা তৈরি হয়। রাতকানা রোগের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। রাতকানা রোগ থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এতে চোখের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। 

হজম শক্তি উন্নত হয়:  হজম শক্তি দুর্বল থাকলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় যেমন খাবার গ্রহণ করার পরে খাবার দ্রুত পরিপাক হয় না এতে পেট পেতে থাকে এবং পেটে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যাকে দূর করতে নিয়মিত ডুমুর খেতে হবে। ডুমুর থেকে পাওয়া ফাইবার এটি হজম শক্তিকে দূর করবে এবং পেট পেপে থাকা দূর করবে গ্যাসের সমস্যা দূর করবে। 

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা উপরের আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন ডুমুরের উপকারিতা সম্পর্কে। ডুমুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বিজ্ঞানীরা বলেন নিয়মিত ডুমুর খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ হবে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এই কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা দূর হবে অতিরিক্ত ওজন কমবে অতিরিক্ত মেদ ঝরে যাবে ত্বক সুন্দর থাকবে। 

এক কথায় ডুমুরের নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং ডুমুরের যাবতীয় স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো লাভ করতে নিয়মিত খাদ্য তালিকাতে ডুমুর রাখতে হবে। তবে ডুমুরে অতিরিক্ত মসলা কিংবা ঝাল ব্যবহার করে রান্না করা যাবে না এতে ডুমুরের পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে হালকা সিদ্ধ করে ডুমুর খেতে হবে। ডুমুর থেকে প্রচুর ভিটামিন এ পাওয়া যায়। ডুমুর চোখের স্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এবার চলুন আমরা দেখে আসি ত্বীন ফল কি ডুমুর?

ত্বীন ফল কি ডুমুর

অনেকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে ত্বীন ফল কি ডুমুর? ত্বীন ফল এবং ডুমুর দেখতে একই রকমের তাহলে ত্বীন ফল এবং ডুমুর ফল কি একই? হ্যাঁ। ত্বীন এবং ডুমুর ফল একই। বাংলাদেশে ত্বীন ওকে আমরা ডুমুর হিসেবে চিনি কিন্তু ভারতে তুরস্কতে এবং মিশরে ডুমুর ফল আনজির ফল হিসেবে পরিচিত। ডুমুর ফল পেকে গেলে নাল অথবা কমলা বর্ণ ধারণ করে এবং পাকা ডুমুর খেতে খুবই মিষ্টি এবং সুস্বাদু হয়। 

আরবে ডুমুর ফল ত্বীন নামে পরিচিত। তাই অনেকে মনে করে হয়তো বাংলাদেশের ডুমুর ফল এবং সৌদি আরবের ত্বীন এই দুটি আলাদা আলাদা ফল কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল ডুমুর এবং ত্বীন এই দুইটি একই ফল। শুধুমাত্র জায়গা ভেদে এদের নাম আলাদা আলাদা। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা মিশরে ডুমুরকে ত্বীন নামে ডাকা হয়। 

বাংলাদেশে আমরা ডুমুর হিসেবে চিনি। এবং এই একই ডুমুর ফলকে সৌদি আরবে ত্বীন বলা হয়। জায়গা ভেদে অথবা স্থান ভেদে এর নাম পরিবর্তন হলেও এর পুষ্টিগুণ এবং অপকারিতা কিন্তু একই। ত্বীন ফলকে জান্নাতি ফল বলা হয় কারণ এটি খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টি করে ভরপুর। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ত্বীন ফল কি ডুমুর নাকি? ত্বীন ফলই ডুমুর ফল। শুধুমাত্র জায়গা ভেদে এর নাম পরিবর্তন হয়েছে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম। 

ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম 

আপনারা অনেকেই জানতে চান কিভাবে ডুমুর ফল খেলে পরিপূর্ণ উপকারিতা লাভ করতে পারব ডুমুর ফল খাওয়ার জন্য নির্ধারিত কোনো নিয়ম দেওয়া নেই কিন্তু ডুমুর ফলে অতিরিক্ত ঝাল মসলা কিংবা তেল ব্যবহার করলে এর গুনাগুন এবং পুষ্টি গুলো নষ্ট হবে তাই ডুমুর ফলে অতিরিক্ত লবণ মসলা ঝাল ব্যবহার করা যাবে না। 

হালকা লবণ এবং হালকা পানি দিয়ে ডুমুর ফল সিদ্ধ করলে এতে পরিপূর্ণ উপকারিতা লাভ করতে পারবেন। সিদ্ধ করা পানিটি ফেলে দিবেন না এই পানিটি রস হিসেবে খেয়ে ফেলুন। অথবা পাকা ডুমুর খালি মুখে খেতে পারেন। পাকা ডুমুর খেতে খুবই সুস্বাদু এবং মিষ্টির স্বাদ যুক্ত যুক্ত হয়। পাকা ডুমুর খালি মুখেই খাওয়া যায়। কিন্তু কাঁচা ডুমুর খালি মুখে কষ্টা লাগে। তাই কাঁচা ডুমুর হালকা সিদ্ধ করে খেতে পারেন অথবা কাঁচা ডুমুর ভাজি করে খাওয়া যায়। 

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডুমুর ভাজি করে খাওয়া হয়। ডুমুর ভাজি খেতে খুবই সুস্বাদু ডুমুর ভাজির সাথে গরম গরম ভাত অমৃতের মত সুস্বাদু। সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। ডুমুর ফল খাওয়ার নির্ধারিত কোন নিয়ম নেই। আপনি ইচ্ছা অনুসারে ডুমুর ফল খেতে পারবেন তবে মনে রাখবেন যে কোন শাকসবজিতে অতিরিক্ত মসলার তেল কিংবা লবণ ব্যবহার করলে এর পুষ্টিগুণ  নষ্ট হয়। তাই অতিরিক্ত মসলার তেল ব্যবহার না করে হালকা সিদ্ধ করে শাকসবজি খেতে হবে এতে পরিপূর্ণ উপকারিতা গুলো লাভ করা যায়।

উপসংহার :যজ্ঞ ডুমুরের উপকারিতা-দেশি ডুমুরের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত 

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম যজ্ঞ ডুমুরের উপকারিতা, দেশী ডুমুরের উপকারিতা, ডুমুর খাওয়ার নিয়ম  এবং ত্বীন ফল কি ডুমুর নাকি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডুমুর কাস্ট রয়েছে বিশেষ করে রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ডুমুর গাছের সংখ্যা অনেক বেশি। আমরা অনেকেই ডুমুর খেতে খুব ভালোবাসি। ডুমুর থেকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন পাওয়া যায় ১০০ গ্রাম ডুমুর থেকে প্রায় ১২৫ গ্রাম ক্যারোটিন শক্তি ফাইবার প্রোটিন আয়রন ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। 

ডুমুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক কাজে ডুমুর ব্যবহার করা হয়। ডুমুর দিয়ে বিভিন্ন ঔষধ তৈরি করা হয়। ডুমুরের মধ্যে বিভিন্ন জাত রয়েছে। যেমন যজ্ঞ ডুমুর। যোগ্য তোমার কাঁচা অবস্থায় সবুজ বর্ণের থাকে এবং পেকে গেলে লাল অথবা কমলা বর্ণের হয়ে ওঠে। যজ্ঞ ডুমুর খেতে খুবই সুস্বাদু পেকে গেলে মিষ্টি স্বাদযুক্ত হয় এবং যত গাছে পেকে গেলে মিষ্টি ঘ্রাণ ছড়ায়।   আমরা অনেকেই ডুমুর খেতে খুব ভালোবাসি কিন্তু ডুমুরের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানি না 

তাই আজকের প্রতিবেদনে আমরা ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কিংবা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে অথবা উচ্চ রক্তচাপকে দূর করতে নিয়মিত ডুমুর খেতে হবে। আজকে প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম ডুমুর খাওয়ার নিয়ম এবং ডুমুর খাওয়ার উপকারিতাগুলো এমনই আরো নিত্য নতুন স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে পোস্ট পেতে এই ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url