পরীক্ষাতে অনেক সময় এ প্রশ্নগুলো আসে যে ১০ টি পাখির নাম বাংলায় লেখ কিংবা পাখির নাম বাংলায় লেখো ম সে ক্ষেত্রে পরীক্ষাতে ফুল মার্কস পেতে পাখির নামগুলো জেনে রাখতে হবে তাই আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা ১০টি পাখির নাম বাংলায় শেয়ার করব পাশাপাশি দুই অক্ষরের পাখির নাম গুলো শেয়ার করব। নিচে দেখুন ১০টি পাখির নাম বাংলায় দেওয়া রয়েছেন

আপনি কি দশটি পাখির নাম বাংলায় খুঁজছেন? এই পৃথিবীতে তো প্রচুর পাখি রয়েছে তবে এতগুলো পাখির নাম মনে রাখা সত্যি কষ্টকর তবে আজকের এই প্রতিবাদের আমরা এমন কিছু পাখির নাম শেয়ার করব যে পাখির নাম গুলো খুব সহজেই মনে রাখতে পারবেন এবং পরীক্ষাতে খাতায় লিখতে পারবেন। 

দোয়েলঃ বাংলাদেশের জাতীয় পাখি হলো দোয়েল। গ্রামে অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশে এই দোয়েল পাখি দেখা যায় ভোর হলে দোয়েল পাখির ডাক শোনা যায় কোয়েল পাখির গান শুনেই গ্রাম অঞ্চলের মানুষের ঘুম ভাঙ্গে। দোয়েল কর্ডাটা পর্বের পাখি। ভারত ও বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি দোয়েল পাখি জনসংখ্যা দেখা যায়। 

দোয়েল পাখি অনেক অস্থির স্বভাবের হয় এরা যে কোন এক জায়গায় কখনোই বসে থাকে না। এই অস্থির পাখিগুলো বেশিরভাগ সময়ই গাছের ডালে থাকতে ভালোবাসে। গ্রামাঞ্চলের মানুষের দোয়েল পাখির কুকুকু আওয়াজ শুনে প্রাণ জুরাই। দোয়েল পাখি গ্রামাঞ্চলের সৌন্দর্যকে আরও বৃদ্ধি করে। 

শালিকঃ বাংলাদেশের শালিক পাখি বেশ জনপ্রিয়। শালিক পাখি দেখতে বিভিন্ন ধরনের হয় অনেক শারীরিক পাখি সাদা ও কালো হয় এবং ঠোটের অংশটি কমলা রঙের । এই পাখিকে গোবরে শালিক বলা হয়। শালিক পাখির ডাক বিচিত্র কন্ঠে ওঠা নামা করে, এরা মানুষের কন্ঠ নকল করতে পারে। এবং মানুষের কন্ঠ চিনতে পারে। শালিক পাখিরা খুব চঞ্চল প্রকৃতির হয় এরা নিজের মালিককে চিনে এবং নিজের মালিকের কন্ঠকে নকল করতে পারে। এইজন্য অনেকে শালিক পাখিকে বন্দি করে খাঁচায় রাখে এবং বিক্রি করে।

কবুতরঃ বাংলাদেশে পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল কবুতর পাখি। কবুতর পাখির মাংস খাওয়া জায়েজ। এইজন্য অনেকেই বাসায় কবুতর লালন পালন করেন। কবুতর বিক্রি করা যায়। বহুকাল আগে কবুতরের মাধ্যমে চিঠি আদান প্রদান করা হতো। কবুতর একটি গৃহপালিত পাখি। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কবিতার দেখতে পাওয়া যায়। অনেকেই কবুতরকে বাসায় লালন পালন করেন এবং বিক্রি করেন। 

বাজঃ বাজপাখির সবচেয়ে বড় আবাসস্থল হল আমেরিকা তবে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাজপাখি দেখতে পাওয়া যায়। পুরুষ বাজপাখির তুলনায় মেয়ে বাজপাখি আকার এবং উচ্চতা তে বড়। বাজপাখির খাদ্য হলো এর চেয়ে আকারে ছোট মাছ পাখি কীটপতঙ্গ। বাজপাখি বাংলাদেশে খুব অল্প পরিমাণে রয়েছে। বাজ পাখি মাঝারি আকারের হয়। এরা শিকার করতে ভালোবাসে।

চড়ুইঃ অন্যান্য পাখায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চড়ুই পাখি রয়েছে বিভিন্ন জায়গায় চড়ুই পাখি দেখতে পাওয়া যায় চড়ুই পাখি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর এবং এরা সবসময় দল বেঁধে চলাফেরা করতে ভালোবাসে প্রতিদিন সকাল হলেই চড়ুই পাখির গান শুনে ঘুম ভাঙ্গে। চড়ুই পাখির মিষ্টির তীক্ষ্ণ কন্ঠ প্রাণে স্বস্তি দেয়। এই পৃথিবীতে প্রায় 48 প্রজাতির চড়ুই পাখি রয়েছে মহিলা চড়ুই পাখির পুরুষ চড়ুই পাখি তো নাই দেখতে বেশ পাতলা হয়। এতে সহজেই বোঝা যায় কোনটি পুরুষ চড়ুই পাখি এবং কোনটি মেয়ে চড়ুই পাখি।

ময়ূরঃ ফ্যাজিয়ানিড পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ময়ূর পাখি দেখতে খুবই সুন্দর যে কেউ মোর পাখি, সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হবে। বাংলাদেশ ময়ূর পাখির সংখ্যা খুবই কম। তিন ধরনের ময়ূর পাখি দেখতে পাওয়া যায় একটি সবুজ রঙের একটি নীল রঙের আরেকটি সাদা রঙের। সাদা রঙের ময়ূর পাখির নীল ও সোনালী রঙের বড় বড় ফোটা নেই এজন্য সাদা ময়ূর পাখির তুলনায় নীল ও সবুজ পাখিগুলো দেখতে বেশি সুন্দর। পুরুষ পাখি স্ত্রী ময়ূর পাখিকে আকৃষ্ট করার জন্য নিজের পেখম তোলে, আর স্ত্রী ময়ূর পাখি শত্রুদেরকে ভয় দেখানোর জন্য নিজের পেখম তোলে। 

টিয়াঃ পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর পাখি হিসেবে চিনা হয় টিয়া পাখিকে। টিয়া পাখি দেখতে খুবই সুন্দর টিয়া পাখির দুই রঙের হয়ে থাকে একটি সবুজ আরেকটি হলুদ টিয়া পাখি দেখতে খুবই সুন্দর হয়। টিয়া পাখি সর্বপ্রথম পাখি যে মানবের মধ্যে বসবাস করতে ভালোবাসে। টিয়া পাখিকে অনেকেই খাচায় রেখে বাসায় লালন পালন করেন। টিয়া পাখির সৌন্দর্যতা দেখলে আপনি মুগ্ধ হবেন বিভিন্ন জায়গায় টিয়া পাখি দেখতে পাওয়া যায় তবে বাংলাদেশে টিয়া পাখির সংখ্যা খুবই কম।

কোকিলঃ সম্পূর্ণ পৃথিবী জুড়ে কোকিল পাখি প্রায় ২৬ ধরনের রয়েছে। কয়েকটি কোকিল পাখি হালকা বাদামী এবং সাদা রংয়ের দেখতে। কোকিল পাখির ঠোঁট দেখতে সামনের দিকে লম্বা এবং পাকানো এরা এদের মধুর কন্ঠের জন্য নাম দেওয়া হয়েছে কোকিল কারণ এরা সব সময় কুকুই করে ডাকতে থাকে গ্রামাঞ্চলে অনেক কোকিল পাখি দেখতে পাওয়া যায় এই কোকিল পাখিগুলোর আওয়াজ শুনে যেকোনো ব্যক্তি মুগ্ধ হবে। গ্রামাঞ্চলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে কোকিল পাখি সাহায্য করে। 

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বাংলাদেশের দশটি পাখি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এই দশটি পাখি দেখতে খুবই সুন্দর এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই পাখিগুলো দেখতে পাওয়া যায় দোয়েল পাখি বাংলাদেশের জাতীয় পাখি হিসেবে অভিহিত। উপরে আমরা ১০টি পাখির নাম বাংলায় শেয়ার করলাম। নিচে আরও কয়েকটি পাখির নাম দেওয়া রয়েছে দেখে নিন।

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ১০টি পাখির নাম বাংলায় সম্পর্কে। উপরের এই ১০ টি পাখির নাম খুবই সহজ। আপনি চাইলে সহজেই এই নাম গুলো মুখস্ত করতে পারবেন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি দুই অক্ষরের পাখির নাম গুলো। 

অনেকেই পাখি বাসায় লালন পালন করতে ভালোবাস। পাখির আকাশে উড়ে এদের প্রতি আমাদের আলাদা একটি টান ও ভালোবাসা কাজ করে। পশুপাখি দেখে ভালবাসলে তাদেরকে খাবার খেতে দিলে মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে ভালবাসবেন তাই আল্লাহর ভালোবাসা জয় করার জন্য পশু পাখিদেরকে ভালবাসতে হবে। 

পশুপাখিরা বাসায় থাকলে তারাও আমাদের একজন পরিবারের সদস্য। তাদের নাম রাখা জরুরী তাদের জন্য একটি সুন্দর নাম নির্ধারণ করতে হবে এবং সেই নামে তাদেরকে ডাকতে হবে। আজকের পোস্টে আমরা দুই অক্ষরের পাখির নাম গুলো দেখবো। নিচে দেখুন দুই অক্ষরের পাখির নাম গুলো দেওয়া রয়েছে। 

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা ১০টি পাখির নাম বাংলায় দুই অক্ষরের পাখির নাম এবং চার অক্ষরের পাখির নাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি আজকের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন এবং উপরের এই নামগুলো আপনার পছন্দ হয়েছে। 

উপরের প্রতিটির নাম খুবই আধুনিক এবং খুবই সুন্দর আপনি চাইলে নিঃসন্দেহে আপনার পাখির জন্য উপরের এই নাম গুলো ব্যবহার করতে পারবেন পাশাপাশি আমরা আজকের এই প্রতিবেদনে দশটি পাখির নাম বাংলায় শেয়ার করলাম। আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় পাখি হল দোয়েল গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় দোয়েল পাখি দেখতে পাওয়া যায় গ্রামের মানুষের দোয়েল পাখির কু কু আওয়াজ হলে ঘুম ভাঙ্গে। 

দোয়েল পাখির কন্ঠ খুবই মধুর হয়। এই পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দর ও মধুর কন্ঠ হলো পাখির। লক্ষ্য করে দেখুন কোন মানুষের কন্ঠ যদি সুন্দর হয় তাহলে তাকে বলা হয় তার কণ্ঠ পাখির মত। কারণ পাখির কন্ঠ সবচেয়ে বেশি তীক্ষ্ণ হয় এবং তাদের কন্ঠ খুবই সুন্দর হয়। পাখির কন্ঠ কিংবা পাখির চেচামেচি শুনতে ভালোবাসে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম।

গ্রামাঞ্চলে গেলেই পাখির চেঁচামেচি শোনা যায় কিন্তু শহরাঞ্চলের পাখির সংখ্যা খুবই কম। গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় পাখি দেখতে পাওয়া যায়। আশা করছি আপনারা আজকের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন এবং ওপরের এই দুই অক্ষরের এবং চার অক্ষরের পাতের নাম গুলো আপনার পছন্দ হয়েছে।