রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম বাংলাদেশে/rabies vaccine price

রেবিস ভাইরাসের আক্রমণে জলাতঙ্ক রোগ হয়। জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধ করার জন্য রেবিস ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম বাংলাদেশে কত টাকা? আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা ডেভিস ভ্যাকসিন এর দাম বিড়ালের কামড়ে ভ্যাকসিনের দাম কত রেবিস ভ্যাকসিন এর কার্যকারিতা কতদিন থাকে এবং বিড়াল কামড়ালে কি হয় সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম বাংলাদেশে-rabies vaccine price
বিড়াল কিংবা কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। এমনকি বিড়ালের সামান্য আচরেও জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। আর জলাতঙ্ক রোগ থেকে বাঁচতে রেবিস ভ্যাকসিন দিতে হবে। তবে আপনি কি জানেন লেডিস ভ্যাকসিন এর দাম কত? না জানলে নিচে দেখে নিন  রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম বাংলাদেশে, বিড়াল কামড়ালে কি হয় এবং রেবিস ভ্যাকসিন এর কার্যকারিতা কতদিন থাকে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।

পেজ সূচিপত্রঃ রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম বাংলাদেশে/rabies vaccine price

      ভূমিকা        

আমরা অনেকেই বাসাতে কুকুর বিড়াল লালন পালন করতে খুব ভালোবাসি। ইসলামের দৃষ্টিতে বিড়াল কিংবা কুকুর লালন পালন করতে কোন বাধা নেই কিন্তু বিড়ালদের সঠিক ভাবে খাদ্য সরবরাহ করতে হবে তার যত্ন নিতে হবে। বিড়ালের প্রতি যথাযথ  দোয়া ও অনুগ্রহ দেখাতে হবে। বাসায় বিড়াল অত কিংবা কুকুর লালন পালন করলে অবশ্যই তাদেরকে ভ্যাকসিন দিতে হবে অন্যথায় তাদের আচার কিংবা কামড় লাগলে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। আপনি যদি আরও বিস্তারিত জানতে চান যে বিড়াল কামড়ালে কি হয় তাহলে নিচে দেখে নিন।

বিড়াল কামড়ালে কি হয়

আমরা বাসায় বিড়াল আর লালন পালন করতে খুব ভালোবাসি কিন্তু আপনি কি জানেন বিড়াল কামড়ালে কি হয় বিড়াল কামড়ালে ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং জলাতঙ্ক রোগ হয় । জলাতঙ্ক রোগ রেবিস ভাইরাস থেকে ছড়ায়। এই রোগটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে থাকে। এইজন্য বাসায় বিড়াল লালন পালন করলে তাদেরকে প্রথমে টিকা দিতে হবে। বাসায় বিড়াল লালন পালন করলি তাই তাদের সাথে খেলাধুলা করতে যে আচর লাগা কিংবা কামড় লাগা স্বাভাবিক সে ক্ষেত্রে যেন জলাতঙ্ক রোগ না ছড়াতে পারে এইজন্য সাবধান থাকতে হবে এবং বিড়ালকে টিকা দিতে হবে।

আপনি জানলে অবাক হবেন যে জলাতঙ্ক রোগের কারণে প্রতি বছরে এই বিশ্বে প্রায় 24 থেকে ৬০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। জলাতঙ্ক খুবই মারাত্মক। রেবিস নামক ভাইরাস নিউরো ট্রপিক ভাইরাস দিয়ে এই রোগ হয়। জলাতঙ্ক রোগ এন্টার্কটিকা ছাড়া সব মহাদেশেই ছড়িয়ে গেছে বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশে জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিড়াল কামড় দিলে কিংবা বিড়ালের আঁচল লাগলে জলতঙ্কর রোগ হতে পারে। 

বিড়ালের হাতে পায়ে সরু প্রকৃতির নখ থাকে। এই নখ দিয়ে আচর লাগলে ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং রক্তক্ষরণ হতে পারে। এই মুহূর্তে যত দ্রুত সম্ভব হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। বিড়াল কামড় দিলে বিড়ালের মুখ থেকে যে লালাটি বের হয় এই লালা থেকে রেবিশ ভাইরাস পাওয়া যায়। এই ভাইরাসটি মানব শরীরে প্রবেশ করলে জলাতঙ্ক রোগ সৃষ্টি করে এবং মানুষ প্রাণীর মতো আচরণ করতে শুরু করে তারা তাদের সাধারণ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জলাতঙ্ক রোগ এত বেশি ভয়াবহ যে প্রতিবছর এই জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। 

তাই সময় থাকতে সাবধান হোন এবং বাসায় বিড়াল কিংবা কুকুর থাকলে তাদেরকে ভ্যাকসিন প্রদান করুন। আমরা অনেকেই বিড়াল কিংবা কুকুর লালন পালন করতে খুব ভালোবাসি এরা নিষ্পাপ প্রাণী। ইসলামে পশু পাখি দেখে ভালবাসতে বলা হয়েছে এবং পশু পাখিদের প্রতি অনুগ্রহ দেখাতে বলেছে। তাই বাসায় কোন পশুপাখি লালন পালন করলে অবশ্যই তাদেরকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। তাদেরকে ভ্যাকসিন দিলে পরবর্তী সময়ে তাদের কামড় কিংবা আচরে কোন ক্ষতি হবে না। সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বিড়াল কামড় দিলে কি হয় এবার চলুন আমরা দেখে আসি বিড়াল কামড় দিলে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হবে 

বিড়াল কামড় দিলে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হবে

বাসায় বিড়াল কিংবা কুকুর থাকলে তাদের আচরে কিংবা কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ ছড়াতে পারে। জলাতঙ্ক রোগ প্রাণীর লালা থেকে ছড়ায়। এটি প্রাণীদের মধ্যে থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। জলাতঙ্ক রোগ খুবই ভয়াবহ তাই আমাদেরকে জানতে হবে যে বিড়াল কামড় দিলে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হবে? 

বিড়াল কামড় দিলে সঙ্গে সঙ্গে অথবা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই টিকা দিতে হবে। আমরা অনেকেই বিড়াল কামড় দিলে কিংবা আঁচড় দিলে অবহেলা করি এবং হাত হালকা ধুয়ে ফেলি। কিন্তু জলাতঙ্ক রোগ খুবই ভয়াবহ। এটি বিড়ালের কামর অথবা আচরের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে থাকে। এবং কোনো ব্যক্তি যদি জলাতঙ্ক রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে সে পশু পাখির মত আচরণ করতে শুরু করবে এবং সে তার স্বাভাবিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলবে।

তাই জলাতঙ্ক রোগ থেকে বাঁচতে বিড়াল কামড় দিলে সাথে সাথে ভ্যাকসিন দিতে হবে অথবা ২৪ ঘন্টার মধ্যে টিকা নিতে হবে। কোন কারনে যদি ইউমিনোগ্লোবিন পাওয়া না যায় তাহলে প্রতিদিন দুই বাহুতে দুইটি টিকা দিতে হবে। এভাবে তিন, সাত, চৌদ্দো ও আঠাস দিনে ভ্যাকসিন দিয়ে হবে। এভাবে বিড়াল কামড় দেওয়ার প্রথম দিনে টিকা দেওয়ার পর আবার তৃতীয়তম দিনের সাততম দিনে এবং ১৪ তম ও ২৮ তম দিনে আবারও টিকা দিতে হবে।

পাঁচ বছরের মধ্যে যদি টিকা না থাকে তাহলে ০ ও তৃতীয় দিনে বুস্টার টিকা দিতে হবে। তবে যদি গৃহপালিত কুকুর কিংবা বিড়ালের কামড়ে পরবর্তী ১০ কিংবা 12 দিনে ও ব্যক্তিসম্পন্ন সুস্থ থাকে তাহলে ১৪তম কিংবা ২৮ তম দিনে টিকা দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। জলাতঙ্ক এটি ব্যক্তির মস্তিষ্কের আক্রমণ করে যখন কোন বিড়াল কিংবা কুকুর কামড় দেয় এবং সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন নেওয়া হয় না তখন বিড়াল থেকে রেবিস ভাইরাসটির ব্যক্তির শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এবং এই ভাইরাসটি সরাসরি মস্তিষ্কে আক্রমণ করে।

এটি মস্তিষ্কের এমন গুরুতর রোগ যা প্রতিরোধের জন্য কোন ধরনের অবহেলা করা যাবে না। একবার কোন ব্যক্তি জলাতঙ্ক রোগ দ্বারা আক্রান্ত হলে তার মস্তিষ্ক এর কার্যক্রম ব্যাহত হয় এবং সে তার স্বাভাবিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এতে ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে প্রতিবছরের জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। বিড়াল কামড় দিলে রেবিস ভ্যাকসিন দিতে হয়। রেবিস ভাইরাস এর ফলে জলাতঙ্ক রোগ হয়। তাই বিড়াল কিংবা কুকুর কামড় দিলে রেবিস ভ্যাকসিন দিলে ভাইরাস প্রতিরোধ হয়। নিচে দেখে নিন রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম বাংলাদেশ 

রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম বাংলাদেশে/rabies vaccine price


রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম হল ৫০০ টাকা। আমরা অনেকেই বাসায় পশুপাখি লালন পালন করতে খুব ভালোবাসি বিশেষ করে বিড়াল বেশিরভাগ বাসাতেই এখন বসবাস করে। ইসলামে ও হাদিসে বিড়াল লালন পালনের কথা বলা হয়েছে এবং বিড়ালকে ভালবাসতে বলা হয়েছে কারণ বিড়াল মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করতেন। বাসায় বিড়াল কিংবা কুকুর থাকলে তারাও আমাদের পরিবারের একজন সদস্য হয়ে ওঠে তাই তাদের যত্ন নেওয়া তাদেরকে সঠিকভাবে খাবার সরবরাহ করা আমাদের দায়িত্ব। 

বাসায় বিড়াল কিংবা পুকুর লালন পালন করার আগে তাদেরকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। কারণ বিড়াল কিংবা কুকুরের সাথে খেলাধুলা করতে যে মাঝে মাঝে হাত পায়ে আমাদের হাচর লাগে অথবা বিড়াল কামড় দেয়। বিড়ালের লালা থেকে এক রেবিস ভাইরাস পাওয়া যায়। এটি জলাতঙ্ক রোগের জন্য দায়ী। এজন্য বাসায় বিড়াল কিংবা কুকুর পুষলে তাদেরকে প্রথমেই ভ্যাকসিন দিতে হবে। তবে যদি বিড়াল কিংবা কুকুর কামড় দেয় তাহলে রেবিস ভ্যাকসিন দেওয়া খুবই জরুরী আর রেবিস ভ্যাকসিন এর প্রতি পিচের দাম হলো ৫০০ টাকা।

বিড়াল কামড় দিলে সঙ্গে সঙ্গে কিংবা ২৪ ঘন্টার মধ্যে রেবিস ভ্যাকসিন দিতে হবে। তারপর তৃতীয় দিনের সাত দিনে, ১৪ দিনে এবং 28 তারিখে দিতে হবে মোট পাঁচটি রেবিস ভ্যাকসিন দিতে হবে। তবে ভ্যাকসিন দেওয়া নির্ভর করে ক্ষতর ওপর ক্ষত যদি অনেক বেশি গভীর হয় তাহলে হসপিটালের এডমিট থাকতে হবে। আর বিড়াল কিংবা কুকুর কামড় দেওয়ার যদি ১০ থেকে ১২ দিন পরেও ব্যক্তি স্বাভাবিক থাকে সামনের দিকে চলাফেরা করে তাহলে ১৪তম এবং ২৮তম ভ্যাকসিন দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম বাংলাদেশে কত?

বাংলাদেশের রেবিস ভ্যাকসিন এর প্রতি পিচ এর দাম হলো ৫০০ টাকা। এবার চলুন আমরা দেখে আসি রেবিস ভ্যাকসিন কখন দিতে হবে।

রেবিস ভ্যাকসিন কখন দিতে হবে

অনেকে জিজ্ঞাসা করেন লেডিস ভ্যাকসিন কখন দিতে হবে? বিড়াল কিংবা কুকুর কামড় দেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে রেবিস ভ্যাকসিন দিতে হবে। শরীরে রেবিস ভাইরাস ছড়িয়ে গেলে জলাতঙ্ক রোগ সৃষ্টি হবে। এই জন্য জলাতঙ্ক রোগ থেকে বাঁচতে এই রেবিস ভ্যাকসিন দিতে হবে। 

সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন রেবিস ভ্যাকসিন কখন দিতে হবে বিড়াল কিংবা কুকুর কামড় দেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে রেবিস ভ্যাকসিন দিতে হবে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি রেবিস ভ্যাকসিন কতবার দিতে হবে। 

রেবিস ভ্যাকসিন কতবার দিতে হবে

আমরা বাসাতে বিড়াল কিংবা কুকুর করতে খুব ভালোবাসি। কিন্তু তাদের সাথে খেলা করতে যেয়ে মাঝে মাঝে হাতে কিংবা পায়ের লেগে যায় অথবা বিড়ালের কামড় লেগে যায়। এক্ষেত্রে বিড়ালের কামড় কিংবা আচর লেগে গেলে রেবিস ভ্যাকসিন দেওয়া খুবই জরুরী। অনেকেই প্রশ্ন করেন রেবিস ভ্যাকসিন কতবার দিতে হবে?

যখন বিড়াল কিংবা কুকুর কামড় দিবে সেই মুহূর্তে দ্রুত একটি ভ্যাকসিন দিতে হবে তার পরবর্তী সময়ে আরো চারবার দিতে হবে। অর্থাৎ কুকুর কিংবা বিড়াল কামড় দিলে মোট পাঁচবার রেবিস ভ্যাকসিন দিতে হবে। রেবিস ভ্যাকসিনকে ডোজ বলা হয়। প্রথম দিনে একটি ডোজ, ৩ম দিনে দ্বিতীয় ডোজ, ৭ম দিনে তৃতীয় ডোজ, ১৪তম দিনে চতুর্থ ডোজ এবং ২৮তম দিনে পঞ্চম ডোজ দিতে হবে। এভাবে পাঁচটি রেবিস ভ্যাকসিন ডোজ দিতে হবে।

রেবিস ভ্যাকসিন কাকে দিতে হবে?

কুকুর বিড়াল কিংবা অন্যান্য প্রাণী যেমন বাদুর কামড় দিলে অথবা আচর দিলে তাকে রেবিস ভ্যাকসিন দিতে হবে। যারা পশু চিকিৎসক যেমন সব সময় পশু নিয়ে চিকিৎসা করেন কাজ করেন তাদের জন্য রেবিস জরুরী। এতে কখনো কোন প্রাণীর আচর কিংবা কামড় লাগলে কোন ক্ষতি হবে না এবং জলাতঙ্ক রোগ হবে না। 

আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার বিড়াল কিংবা কুকুর এর শরীরে রেবিস ভাইরাস রয়েছে তাহলে তাকে রেবিস ভেসলিন দিতে হবে যেকোনো পশু পাখি বাসায় লালন পালন করার আগে তাদেরকে দিতে হবে। বাসায় ছোট ছেলে মেয়েরা বিড়াল কিংবা কুকুর নিয়ে খেলতে খুবই ভালোবাসে। মাঝে মাঝে খেলতে যেয়ে বিড়াল কিংবা কুকুরের আচর অথবা কামড় লেগে যায়। 

ক্ষতস্থানে দ্রুত সাবান এবং পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে তারপর যত দ্রুত সম্ভব রেবিস ভ্যাকসিন নিতে হবে। এছাড়াও যারা জঙ্গলে থাকতে ভালোবাসেন জঙ্গলে ভ্রমন করেন তাদের জন্য রেবিস ভ্যাকসিন নেওয়া খুবই জরুরী। ১টি রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম ৫০০ টাকা। সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন রেবিস ভ্যাকসিন কখন এবং কাকে দিতে হবে সাথেই রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম কত বাংলাদেশে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি রেবিস ভ্যাকসিন কোথায় পাওয়া যায়। 

রেবিস ভ্যাকসিন কোথায় পাওয়া যায় 

আপনি কি জানেন রেবিস ভ্যাকসিন কোথায় পাওয়া যায়? আপনি যদি বাসায় কোন বিড়াল কিংবা কুকুর পুষতে চান তাহলে তাকে ভ্যাকসিন দিতে হবে আর এক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে যে এই রেবিস ভ্যাকসিন কোথায় পাওয়া যায়। রেবিস ভ্যাকসিন প্রায় সব জায়গাতেই পাওয়া যায় সরকারি মেডিকেলে বেসরকারি মেডিকেলে অথবা পশু চিকিৎসকের কাছে। 

স্বাস্থ্য কেন্দ্রতেও রেবিস ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। রেবিস ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর যদি প্রাণীর শরীরে রেবিস ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে চান তাহলে একজন পশু চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আশেপাশের হাসপাতালে কিংবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যদি রেবিস ভ্যাকসিন পাওয়া না যায় তাহলে ইন্টারনেটে খুঁজতে পারেন।

 সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন রেবিস ভ্যাকসিন কোথায় পাওয়া যায় এবং এর দাম কত। বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন এর দাম হলো ৫০০ টাকা। বিড়ালের ভ্যাকসিনগুলো কোর্স আকারে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র একটি অথবা দুইটি ভ্যাকসিন দিলে সম্পূর্ণ ডোজ কমপ্লিট করতে হবে। 

উপসংহার ঃরেবিস ভ্যাকসিন এর দাম বাংলাদেশে/rabies vaccine price

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই পোস্টে আমরা দেখলাম বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত রেবিস ভ্যাকসিন কোথায় পাওয়া যায় এবং লেডিস ভ্যাকসিন এর দাম বাংলাদেশে কত টাকা। আমরা অনেকেই বাসাতে বিড়াল কিংবা কুকুর লালন পালন করতে খুব ভালোবাসি। এছাড়া মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি নিজে বিড়াল খুব পছন্দ করতেন। বিড়ালে নিষ্পাপ মানুষ মানুষের ভালোবাসা না বুঝলেও বিড়াল এবং পশু পাখিরা ঠিকই বুঝে। মানুষের সাথে পশুপাখি ভালোবাসা সবচেয়ে খাঁটি। যেখানে কোন ভেজাল নেই। 

নবী বলেছেন বিড়াল কিংবা পশুপাখির ঠিক সেভাবে আমরা পরিবারের সদস্যদের যত্ন নেই। তাদেরকে সময় মতো যথাযথ খাদ্য প্রদান করতে বলা হয়েছে এবং তাদেরকে ভালবাসতে বলা হয়েছে। বিড়াল অন্যান্য সকল পশু পাখির তুলনায় সবচেয়ে পরিষ্কার। বিড়াল নিজে পরিষ্কার থাকতে খুব ভালোবাসে। তাই বাসায় বিড়াল লালন পালন করলে অবশ্যই বিড়ালকে ভ্যাকসিন দিয়ে নিবেন। 

বাসায় বিড়াল কিংবা পুকুর থাকলে তারাও আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠে। তাদের সাথে মজা মাস্তি করতে যে মাঝে মাঝে হাতে কিংবা পায়ে আচর অথবা কামড় লেগে যায় এক্ষেত্রে জলতঙ্ক রোগ থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন দেওয়া খুবই জরুরী। ওপরে আমরা রেবিস একদিন এর দাম কত এবং ভ্যাকসিন টি কতবার দিতে হবে কিভাবে দিতে হবে সে সমস্ত বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url