তোকমা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

আপনি কি তোকমা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? তোকমা খেলে কি হয় তোকমা থেকে কি ভিটামিন পাওয়া যায়? আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা তোকমা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব তাই আপনি যদি তোকমা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন।  
তোকমা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তোকমা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন কিন্তু কিছু ভুল নিয়মে তোকমা খাওয়ার পরে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। কিভাবে তোকমা খেলে ক্ষতি হবে না এবং উপকারিতা পাওয়া যাবে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে। চলুন দেরি না করে ঝটপট দেখে আসি তোকমা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। 

পেজ সূচিপত্র : জেনে নিন তোকমা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

          ভূমিকা          

তোকমা এর বৈজ্ঞানিক নাম হল hyptis suaveolens। তোকমার ছোট ছোট কালো দানা হয় এই দানাগুলোর পুষ্টি অনেক। তোকমা থেকে ভরপুর আয়রন প্রোটিন ও ফাইবার পাওয়া যায়। আমরা অনেকেই তোকমা খেতে ভালবাসি। তোকমা বিভিন্ন সুস্বাদু মিষ্টি পানীয়তে ব্যবহার করা হয়। 

তোকমা দেখতে ছোট কালো কালো জিরার মত। তোমার আঁকার ছোট হলেও এর উপকারিতা অনেক বেশি। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা তোকমার উপকারিতা ও তোকমার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। নিচে দেখুন তোকমার অপকারিতা দেওয়া রয়েছে ।

তোকমা খাওয়ার অপকারিতা 

তোকমা খাওয়ার অপকারিতা কি? তোকমা খেলে কি কোন ক্ষতি হয়? তোকমার কোন অপকারিতা নেই কিন্তু অতিরিক্ত তোকমা খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে যেমন গর্ভকালীন সময় অতিরিক্ত তোকমা খাওয়ার ফলে গর্ভের বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে এমনকি গর্ভপাত পর্যন্ত হতে পারে গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • অতিরিক্ত তোকমা খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন ডায়রিয়া ও আমাশয়।
  • তোকমাতে প্রচুর তেল এবং মসলা ব্যবহার করা হয়। এতে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত তৈলাক্ত এবং মসলাযুক্ত খাবার হার্টের জন্য ক্ষতিকর।
  • তোকমাতে থাকা উচ্চ ক্যালরি ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। অতিরিক্ত তোকমা খাওয়ার পরে ওজন বৃদ্ধি পায়। 
  • তোকমা থেকে কোলেস্টেরল পাওয়া যায় এটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা কে বৃদ্ধি করে। 
  • তোকমা খাওয়ার ফলে আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে। যেমন পেট ফেঁপে থাকা ও গ্যাসের সমস্যা ইত্যাদি।
  • ডায়াবেটিসে আক্রান্ত থাকলে তোকমা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ডায়াবেটিসের রোগীরা অতিরিক্ত তোকমা খেলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে।
  • অতিরিক্ত তোকমা খেলে কিডনির সমস্যা হয়। তোকমা খাওয়ার পরে শরীরে কোলেস্ট্রল বৃদ্ধি পায় এবং হার্টের সমস্যা দেখা দেয় এর থেকে কিডনি সমস্যা সৃষ্টি হয়। 
তোকমা খাওয়ার অপকারিতা অনেকভাবে সঠিকভাবে তোকমা খেলে অনেক উপকারিতাও লাভ করা যায়। তোমার উপকারিতা নেই বললেই চলে তবে অতিরিক্ত তো তোমাকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অতিরিক্ত তোকমা খাওয়ার ফলে কি কি সমস্যা দেখা যেতে পারে সেই বিষয়ে আমরা উপরে আলোচনা করলাম। 

যেমন অতিরিক্ত তোকমা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস ওজন বৃদ্ধি কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত তোকমা খাওয়ার ফলে কিডনির সমস্যা দেখা দিবে। সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অতিরিক্ত তোকমা খাওয়ার অপকারিতা গুলো কি কি এবার চলুন আমরা দেখে আসি তোকমা খাওয়ার উপকারিতা।

তোকমা খাওয়ার উপকারিতা 

তোকমা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন তমা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বিজ্ঞানীরা বলেন রোজা থাকা অবস্থাতে ইফতারের তোকমা শরবত খেলে শরীরের যাবতীয় ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয় এবং শরীর হাইড্রেট থাকে শরীর পুষ্টিতে ভরপুর থাকে। 

বিজ্ঞানীরা রোজা থাকাকালীন সময়ে ইফতারে অন্যান্য শরবত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন এবং তোকমা এর শরবত খেতে বলেছেন। তোকমা শরবত খেতে খুবই সুস্বাদু এবং এটি মিষ্টি স্বাদের তোকমা শরবত দেখতে কিছুটা চিয়া সিডের মত এটি পানিতে ভিজানোর পর থকথকে আকার ধারণ করে।

তোকমার শরবত খেলে ওজন কমে, শরীর থেকে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। তোকমা থেকে শর্করা পাওয়া যায় যার রক্তের শর্করার মাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও তোকমার আরো হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে । আপনি যদি তোকমার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচে দেখে নিন আমরা তোকমা খাওয়ার উপকারিতা গুলো বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 

তোকমা থেকে প্রচুর ফ্ল্যাভনয়েড পাওয়া যায়। ফ্ল্যাভনয়েড শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত কাজ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ হল গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা এবং শরীর থেকে ফ্রি রেডিকেল দূর করা। মানব শরীরে কিছু অস্থির অণু থাকে এগুলোকে ফ্রি রেডিকেল বলে। 

ফ্রী রেডিক্যালস এর জন্য কোষের ক্ষতি হতে পারে। সাথেই অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, কার্ডিও ভেস্কুলার ডিজিজ, নিউরোডিজেনেটিভ ডিজিজ হয়। এছাড়াও ফ্রি রেডিকেল এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার দেখা দেয় যেমন কোলন ক্যান্সার। তোকমা খাওয়ার ফলে তোকমা থেকে পাওয়া ফ্ল্যাভনয়েড এর এই ফ্রি রেডিকেলস কে দূর করে।

তোকমা থেকে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান পাওয়া যায়। এটি শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস কে দূর করে এবং শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ এর হাত থেকে বাঁচায়। তোকমা থেকে প্রচুর পুষ্টিগুণ ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায় এটি শরীরকে পুষ্টি করে ভরপুর রাখে এবং যেকোনো রোগ বালাইকে দ্রুত দূর করতে সাহায্য করে। 

তোকমা খাওয়ার ফলে আর্থরাইটিস কিংবা বাতের ব্যথা দূর হয়। হাড় ক্ষয়ের সমস্যা দেখা দিলে কিংবা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে বাতের ব্যথা হয়। এটি যে কোন বয়সই হতে পারে বেশিরভাগ সময়ে বয়স ৪০ এর ওপরে গেলে এই পাতের ব্যথা সৃষ্টি হয়। বাতের ব্যথা থেকে রেহাই পেতে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস তোকমার শরবত খেতে হবে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দুর্দান্ত ঔষধ হিসেবে কাজ করে তোকমার শরবত। তোমার শরবত একদিকে সুস্বাদু আরেকদিকে এই সুস্বাদু শরবত পান করার ফলে শরীরের যাবতীয় রোগ বালাই দূর হবে যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস তোকমার রস পান করলে সকালে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। 

তোকমা থেকে ভিটামিন কে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং বিভিন্ন রোগ বালাইকে দূর করতে সাহায্য করে। শরীরকে ঠান্ডা রাখে, গ্রীষ্মকালে তোকমার উপকারিতা অনেক। গ্রীষ্মকালের তোকমা খাওয়ার ফলে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং শরীরে ঘাম কম হয়।

তোকমাতে মিউকিলেজ উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। এইজন্য তোকমা পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর পানি থকথকে আকার ধারণ করে। এই থকথকে শরবত পান করার ফলে নিমিষেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয় এবং হজমশক্তি উন্নত হয়। হজম শক্তি দুর্বল থাকলে বারবার গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় তাই গ্যাসের সমস্যাকে চিরতরে দূর করতে নিয়মিত সকালে এক গ্লাস তকমার শরবত পান করতে হবে।

তোকমা থেকে প্রচুর ডায়েটারি ফাইবার পাওয়া যায়। যা পেটকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত তৃষ্ণা দূর করে। এইজন্য বিজ্ঞানীরা বলেন তোকমা খাওয়ার ফলে ওজন কমতে পারেনি আমি তো সকালে এক গ্লাস তোকমা এর শরবত পান করলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরা থাকে এর ফলে ক্ষুধা হ্রাস পায়। 

তোকমা খাওয়ার ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এটি রক্তের শর্করার মাত্রাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিয়মিত সকালে এক গ্লাস তোমার শরবত পান করার ফলে রক্ত প্রবাহের চিনি নিঃসরণ আরো ধীরগতির হয় এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য তোকমা উপকারী হতে পারে। 

তবে অতিরিক্ত তোকমা খাওয়া ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য মারাত্মক হতে পারে এর জন্য ডায়াবেটিসের রোগীরা তোকমা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। তোকমা থেকে প্রচুর পলিফেনোল নামক উপাদান পাওয়া যায় এটি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। এছাড়াও তোকমা খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে শরীরে কোলেস্টেরল এর মাত্রা বৃদ্ধি পেলে কিডনির সমস্যা দেখা দেয় পাশাপাশি হার্ট এটাকের ঝুঁকি বাড়ে। 
  • গ্রীষ্মকালে তোকমা শরবত খাওয়ার ফলে শরীর ঠান্ডা থাকে। গরমে অতিরিক্ত ঘাম হয় যার ফলে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায় এই ক্ষেত্রে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে নিয়মিত তোকমা এর শরবত পান করতে হবে। গ্রীষ্মকালে তোকমার শরবত বহু জনপ্রিয়। তোকমার শরবত পান করার ফলে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং মস্তিষ্ক শিথিল হয়ে থাকে।
  • তোকমা খাওয়ার ফলে হজম ক্রিয়া উন্নত হয়। হজম ক্রিয়া দুর্বল থাকলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয় পেট ফেঁপে থাকে। হজম ক্রিয়াকে আরো উন্নত করার জন্য তোকমা খাওয়ার জরুরী। তোকমা খাওয়ার পরে হজম শক্তি উন্নত হবে গ্যাসের সমস্যা দূর হবে। 
  • তোকমা খেলে শরীর হাইড্রেট থাকে এজন্য বিজ্ঞানীরা প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস তোকমা খাওয়ার কথা বলেন। তোকমার শরবত খাওয়ার পরে শরীর থেকে পানির অভাব পূরণ হয় এবং ডিহাইড্রেশন দূর হয় শরীর হাইড্রেট থাকে।
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন তোকমা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। তোকমা খাওয়ার উপকারিতা অনেক তোকমা খাওয়ার ফলে শরীর শিথিল থাকে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করে এবং বিভিন্ন রোগবালাই দূর হয় পাশাপাশি নিয়মিত তকমা খাওয়ার ফলে ক্যান্সার পর্যন্ত প্রতিরোধ হতে পারে। ওপরে আমরা তোকমা খাওয়ার উপকারিতা এবং তোকমা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম এবার চলুন আমরা দেখে আসি তোকমা থেকে কি কি ভিটামিন পাওয়া যায়। 

তোকমা থেকে কি কি ভিটামিন পাওয়া যায় 

আপনি কি জানেন তোকমা থেকে কি কি ভিটামিন পাওয়া যায়? একজন ব্যক্তির শরীরে প্রতিদিন যা যা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান প্রয়োজন থাকে প্রায় সেই সব কিছুই এক গ্লাস তোমার শরবত থেকে পাওয়া যায়। তোকমা শরবত ঠান্ডা জাতীয়। 

তাই গ্রীষ্মকালে তোমার শরবত পান করলে শরীর হাইব্রিড থাকে এবং শরীর ঠান্ডা থাকে এতে গরম কম লাগে। তাই গরমকালে গরমের অনুভূতি কমাতে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস তকমা শরবত পান করতে হবে এবং মস্তিষ্ক ও শরীরকে ঠান্ডা রাখতে হবে। তোকমা থেকে কি কি ভিটামিন পাওয়া যায় সেই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে নীচে দেখুন। 
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট 
  • এন্টি ইনফ্লামেটরি 
  • ডায়েটারি ফাইবার 
  • প্রোটিন
  • ক্যালসিয়াম 
  • পটাশিয়াম 
  • আয়রন
  • ফ্যাট 
  • শক্তি
  • লৌহ 
  • ভিটামিন সি 
  • ভিটামিন এ 
  • ভিটামিন বি 
  • ভিটামিন ই 
  • পলিফেনল 
  • রাইবোফ্লাভিন 
  • নায়াসিন
তোকমা থেকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যার শরীরে কোষ কে রক্ষা করে এবং ফ্রি রেডিকেলস দূর করে। শরীরে অতিরিক্ত ফ্রি রেডিকেলস এর ফলে কোলন ক্যান্সার সম্পর্কে রয়েছে এই জন্য নিয়মিত সকালে এক গ্লাস তোকমার শরবত পান করতে হবে।

তোকমা সম্পদ সারাদিন শরীরের শক্তি উৎপন্ন করবে এবং সইতে সুস্থ রাখবে পাশাপাশি গ্রীষ্মকালে শরবত পান করার উপকারিতা রয়েছে। গ্রীষ্মকালের ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচাবে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখবে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস তোকমার শরবত পান করলে শরীরে শক্তি উৎপন্ন হবে। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে তোকমা থেকে কি কি ভিটামিন পাওয়া যায়। 

বিজ্ঞানীরা বলেন প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস তোকমার শরবত পান করেন তাহলে শরীরে সমস্ত ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে। রমজান মাসে রোজা থাকা অবস্থায় ইফতারের তোকমা শরবত পান করলে সারাদিনের পুষ্টির ঘাটতি হলো পূরণ হবে। রোজা থাকাকালীন সময়ে অনেকের ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দূর করতে বিজ্ঞানীরা তোকমার শরবত পান করতে বলেন। তোকমার শরবত পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয় শরীর সুস্থ থাকে। নিয়মিত তো তোমার শরবত পান করলে কলন ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়।

উপসংহার : জেনে নিন তোকমা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দরা আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা তোকমা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা তোকমা থেকে কি কি ভিটামিন পাওয়া যায় এবং তোকমার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। ছোট ছোট কালো দানা কে তোকমা বলা হয় এই তোকমা দেখতে অনেকটা চিয়া সিডের মত। তোকমা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে থকথকে আকার ধারণ করে এবং এই পানিও পান করলে শরীর থেকে কোলেস্টেরল দূর হয় শরীর ঠান্ডা থাকে এবং মস্তিষ্ক শিথিল থাকে।

তোকমার উপকারিতা এক দুই লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয় তোকমা থেকে উচ্চমানের দায়েত্রাই ফাইবার পাওয়া যায়। যা কোষ্ঠকাঠিন্য কে দূর করে হজম শক্তিকে আরো উন্নত করে নিয়মিত তোকমার শরবত পান করার ফলে শরীর থেকে ডি হাইড্রেশনের সমস্যা দূর হয় এবং সেই হাইড থাকে প্রতিদিন অন্তত এক গ্লাস তোমার শরবত পান করতে হবে। এতে শরীর থেকে যাবতীয় ভিটামিনের ঘাটতি ও অভাব পূরণ হবে। 

তোকমা শরবত পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এমনকি ক্যান্সার প্রতিরোধ হয় শরীর থেকে ফ্রি রেডিক্যাল দূর করে। তোকমা থেকে শর্করা পাওয়া যায় এটি ইন্সুলিনের মাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য তোকমা ঔষধ সমতুল্য। যেকোনো রোগ বালাই দূর করতে নিয়মিত তোকমার শরবত পান করতে হবে। যারা ওজন কমাতে যাচ্ছেন তারা নিয়মিত  তোকমার শরবত পান করুন। প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত সকালে গরম পানির সাথে তোকমা ভিজিয়ে পান করতে হবে এতে দ্রুত ওজন কমতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url