অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পয়েন্ট কমিশন দেওয়া হয়? আপনারা যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আগ্রহী তাদেরকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে, যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায় ? এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে আজকের এই পোষ্টের সম্পূর্ণ মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন।
 
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়
আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন। কিভাবে ঘরে বসে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়? সে বিষয়গুলো আজকের পোস্টটি শেয়ার করব। চলুন ঝটপট দেখে আসি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?,এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়? এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা কি?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল একটি বিপণন ব্যবস্থা। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বোঝায় একটি ব্যবসায়িক মডেল এখানে একটি কোম্পানি কিংবা ব্র্যান্ডের পণ্য অথবা সে বা প্রচার করার মাধ্যমে আপনি কিছু টাকা কমিশন পাবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ। আপনারা যারা কোন প্রকার খাটাখাটনি এবং পরিশ্রম ছাড়া অনলাইনে ইনকাম করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সবচেয়ে সেরা কাজ হবে।

সহজ ভাষায় বলি, মনে করুন কোন একটি প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোকে প্রচার করতে হবে। আপনার একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে অথবা ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। আপনার ফেসবুক পেইজে যদি তাদের অন্যের লিংক জুড়ে দেন তাহলে সেই লিংকে ক্লিক করে যখন ক্রেতা পণ্যটি ক্রয় করবে তখন আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

আপনার একটি ফেসবুক পেজ থাকলে ,আপনার ফেসবুক পেজে সেই ব্র্যান্ডের পণ্য সম্পর্কে দুই তিন লাইন ক্যাপশন সহ যদি পণ্যের লিংক শেয়ার করেন তাহলে আপনার পেজে লিংক এ ক্লিক করে যতজন ক্রেতা সেই পণ্যটি ক্রয় করবে তত পারসেন্ট কমিশন আপনি লাভ করতে পারবেন।

অর্থাৎ এফিলেট মার্কেটিং এর মেইন কাজ হল কোন একটি ব্র্যান্ড কিংবা কোম্পানির পণ্যের লিংক শেয়ার করা। এর জন্য আপনার ফেসবুক পেজে কিংবা ইউটিউব এ ভালো সাবস্ক্রাইবার কিংবা ফলোয়ার থাকতে হবে। এভাবে ব্লগার ইনফ্লুয়েন্সার অথবা ইউটিউবাররা বিভিন্ন কোম্পানি কিংবা ব্র্যান্ডের পণ্যকে ফেসবুক পেজ কিংবা ইউটিউবের মাধ্যমে প্রমোট করে 

এবং টাকা ইনকাম করে মনে করুন আপনার একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে সেখানে দারাজ এর একটি ফ্রিজের মূল্য ৫০ হাজার টাকা। এই পণ্যটির লিংক যদি আপনার ফেসবুক পেজ এ শেয়ার করেন এবং সেই লিংকে ক্লিক করে যদি একজন ক্রেতা ৫০০০০ টাকা মূল্যের ফ্রিজ ক্রয় করে তাহলে চার পার্সেন্ট কমিশনে ২০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

এভাবে লিংকে যদি দিনে ৪ থেকে ৫ জন কিংবা দশজন ক্লিক করে এবং ফ্রিজ ক্রয় করে তাহলে  এফিলিয়েট মার্কেটিং করে দিনে ২০ হাজার টাকা ইনকাম হবে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন অ্যাফিলয়েট মার্কেটিং কি অথবা এফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা। 

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা

বহুবার আগে থেকেই প্যাসেজ ইনকামের সোর্স হিসেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং বেশ জনপ্রিয়। এফিলিট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায় সম্পূর্ণ বাংলাদেশ জুড়ে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সাররা এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন। আসুন আমরা জেনে নেই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধাগুলো কি কি। 

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়

এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কোন পরিশ্রম ছাড়াই ইনকাম করতে পারবেন। এফিলেট মার্কেটিং এর জন্য সবসময় পরিশ্রম কিংবা কাজ করতে হয় না। কোন একটি কোম্পানি কিংবা ব্র্যান্ডের পণ্য নিয়ে সুন্দর করে কয়েক লাইন লিখে এবং ভিডিও বানিয়ে সে পণ্যকে প্রচার করতে পারবেন। এতে ক্রেতারা আগ্রহের সাথে সে পণ্যটি ক্রয় করবে এতে আপনার প্যাসিভ ইনকাম হবে। আপনি অতীতে যে পণ্যের লিঙ্গ গুলো শেয়ার করেছেন সেই লিংক থেকে ইনকাম হবে একেই বলা হয় প্যাসিভ ইনকাম। 

ঝুঁকির হার কম

অ্যাফিকেট মার্কেটিং এর ঝুঁকির হার খুব কম থাকে। মার্কেটিং করে আপনাকে মেধা খাটাতে হবে না পরিশ্রম করতে হবে না কিংবা কোন প্রোডাক্ট নিয়ে ভাবতে হবে না আপনাকে শুধু কোন একটি কোম্পানি প্রোডাক্টকে ক্রেতাদের মাঝে তুলে ধরতে হবে এবং সেই গুনাগুন গুলো যাচাই করতে হবে। এতে ক্রেতারা আগ্রহর সাথে সেই পণ্যটি ক্রয় করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করবে। এফিলিয়েট মার্কেটারদের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এখানে গ্রাহকদের কোন প্রশ্ন কিংবা মতামতের মোকাবেলা করতে হবে না।

পার্ট টাইম জব 

স্টুডেন্টদের জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সবচেয়ে সেরা পার্ট টাইম জব। আপনারা অনেকে অনলাইনে খুজেন কিভাবে পার্ট টাইম জব করে প্রতি মাসে লক্ষ দিক টাকা ইনকাম করা যায়। অফলাইনে পার্ট টাইম জব করে কখনোই প্রতি মাসে লক্ষ্য দিক টাকা ইনকাম করা সম্ভব নয়। কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা কাজ করে প্রতিমাসে কয়েক লক্ষ  টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্লেক্সিবিলিটি 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে আপনাকে সবসময় অনলাইনে কাজ করতে হবে না। অনলাইনে অল্প সময় কাজ করেও ইনকাম করতে পারবেন। একজন এফিলিয়েট মার্কেটার দিনে সর্বোচ্চ ১ ঘন্টা কাজ করে এবং এই এক ঘন্টার মধ্যে 10 থেকে 12 টি পণ্যের রিসোর্স তৈরি করে। রিসার্চ থেকে প্রতিদিনে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম হয়। 

এফিলিয়েট মার্কেটার এর সুবিধা অনেক। এরা অল্প সময়ের মধ্যে কাজ করে অধিক টাকা ইনকাম করতে পারে এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এ কোন ঝামেলা নেই, কাজ করার চিন্তা নেই। শুধুমাত্র দেখতে হবে এবং সে পণ্য সম্পর্কে কয়েক লাইন বিস্তারিত লিখে শেয়ার করতে হবে। সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো কি কি এবার চলুন আমরা দেখে আসি এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার

এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার

আপনি কি জানেন এফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং চার ধরনের হয় যেমন: সিপিএ মার্কেটিং ইউটিউব মার্কেটিং ইমেইল মার্কেটিং  এবং ফেসবুক মার্কেটিং। বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটে, এফিলিয়েট মার্কেটিং এর অপশন থাকে। যেখানে ইউটিউব চ্যানেল, টেলিগ্রাম গ্রুপ কিংবা ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। কিছু শপিং সাইট রয়েছে যেমন amazon , daraz। এই শপিং সাইটগুলোর পণ্য নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

ফেসবুক মার্কেটিং 

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় মার্কেট ব্যবস্থা হল ফেসবুক। ফেসবুকের মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যে শত শত ক্রেতা পাওয়া যায়। আপনার যদি একটি ফেসবুক পেজ থাকে কিংবা ফেসবুক গ্রুপ থাকে সেখানে বহু মেম্বার থাকে তাহলে সেই গ্রুপে একটা ব্র্যান্ড কিংবা কোম্পানির পণ্য লিংক শেয়ার করেন তাহলে সেই লিংকে ক্লিক করে বহু ক্রেতা পণ্যটি ক্রয় করবে এবং সেখান থেকে আপনি কিছু পার্সেন্ট কমিশন লাভ করতে পারবেন।

ইমেইল মার্কেটিং 

লক্ষ্য করে দেখবেন অনেকে ফেসবুকে ইমেইল ক্রয় করে নেয়। এটি এক ধরনের ইমেইল মার্কেটিং বিভিন্ন দেশের ইমেইল সংগ্রহ করে কোম্পানির সেলিং এর কাজে লাগানো হয়। লক্ষ করে দেখবেন মাঝে মাঝে আমাদের ইমেইলে বিভিন্ন পণ্যের অ্যাড আসে। এগুলোই মূলত ইমেইল মার্কেটিং কোম্পানি অথবা ব্র্যান্ড ইমেইলের মাধ্যমে তাদের পণ্যের প্রচার ঘটায়। 

ইউটিউব মার্কেটিং 

এখন youtube ওপেন করে বিভিন্ন পণের অ্যাড দেখা যায়। ইউটিউবার রাম বিভিন্ন কোম্পানি কিংবা ব্র্যান্ডের পূর্ণ সম্পর্কে একটি ভিডিও তৈরি করে এবং সেই ভিডিও দেখে যতজন ক্রেতা সে পণ্যটি ক্রয় করে তাদের ইনকাম হয়। আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে এবং ইউটিউব চ্যানেলে বহু সাবস্ক্রাইবার থাকে তাহলে এভাবে আপনিও এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন। 

সিপিএ মার্কেটিং 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি শাখা হলো সিপিএ মার্কেটিং । সিপিএ মার্কেটিং করা খুবই সহজ এখানে শুধুমাত্র ক্লিক করার মাধ্যমে কমিশন লাভ করতে পারবেন তবে এই সিপিএম মার্কেটিং এর সৎ থাকা খুবই জরুরী সৎ থাকতে না পারলে আপনার ইনকাম হবে না।

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন এপিলেন্ট মার্কেটিং কত প্রকার এফিলেট মার্কেটিং হল চার প্রকার। এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি  এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো?

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো

আপনি কি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে চান? এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনার একটি ফেসবুক পেজ ফেসবুক গ্রুপ টেলিগ্রাম গ্রুপ instagram গ্রুপ কিংবা ব্লগ ওয়েবসাইট থাকতে হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং করা খুবই সহজ কিন্তু এই মার্কেটিং করার জন্য উক্ত জিনিসগুলো প্রয়োজন। এত ঝামেলার মধ্যে না জড়িয়ে আজকে আমরা দেখব কিভাবে সবচেয়ে সহজ উপায় এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করা যায়। 

এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান? তাহলে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করুন। পেজের লিংক নিয়মিত বিভিন্ন গ্রুপে এবং ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করুন এতে আপনার ফেসবুক পেজের জনপ্রিয়তা বাড়বে। ফেসবুক পেইজে যথাযথ ফলোয়ার হয়ে গেলে, daraz অথবা amazon এ যে কোন ক্রেতার সাথে যোগাযোগ করুন তাদের প্রোডাক্ট প্রচার করার জন্য অফার করুন। 

এবার আপনার ফেসবুক পেজে daraz অথবা amazon এর পনের লিঙ্ক শেয়ার করুন সেই লিংকে ক্লিক করে ক্রেতা যখন পণ্যটি ক্রয় করা শুরু করবে তখন আপনার ইনকাম শুরু হবে যেমন একটি মোবাইল এর দাম ৪০০০০ টাকা। 

আপনার ফেসবুক লিংকে ক্লিক করে ক্রেতা এই মোবাইলটি ক্রয় করছে তাহলে সেখান থেকে আপনি ৫ পার্সেন্ট কমিশনে ২০০০ টাকা পাবেন। এভাবে সেলিং এ ক্লিক করে যদি আরো তিন থেকে চারজন ক্রেতা মোবাইলটি ক্রয় করে তাহলে এভাবে দিনে দশ হাজার টাকা ইনকাম হবে। 

তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অপেক্ষা করার কোন প্রয়োজন নেই দ্রুত একটি ফেসবুক পেজ কিংবা ব্লগ সাইট তৈরি করুন। ব্লক সাইটে নিয়মিত ব্লক লেখা শুরু করুন যেমন ইউটিউব মার্কেটিং কাকে বলে? ফেসবুক মার্কেটিং কাকে বলে? সে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে ব্লগ লিখে নিচে একটি লিংক এড করুন। সেই লিংকে ক্লিক করে যখন ক্রেতা পণ্যটি ক্রয় করবে তখন আপনি কমিশন লাভ করতে পারবেন।

তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অপেক্ষা করার কোন প্রয়োজন নেই। উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করুন এবং দ্রুত এফফিডেড মার্কেটিং শুরু করে অনলাইন থেকে ইনকাম করা শুরু করুন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়?

তারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে যে এফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পার্সেন্ট কমিশন দেওয়া হয়? এফিলিয়েট মার্কেটিং এ ৫ পার্সেন্ট থেকে শুরু করে ৭০ পার্সেন্ট পর্যন্ত কমিশন দেওয়া হয়। যে যেমন একটি মোবাইল ফোন এর দাম ২০০০০ টাকা হলে সেখানে ৫ পার্সেন্ট কিংবা ৪% কমিশন দেওয়া হবে। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সর্বনিম্ন চার পার্সেন্ট কমিশন দেওয়া হয়। এবং সর্বোচ্চ ৭০ পার্সেন্ট কমিশন দেওয়া হয়। বর্তমান সময়ে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সাররা এই এফিলিয়েট মার্কেটিং কে নিজের অন্যতম একটি পেশায় হিসেবে বেছে নিয়েছেন কারণ মার্কেটিং কোনপ্রকার চিন্তা ভাবনা এবং পরিশ্রম ছাড়াই অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়। 

এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে পরিশ্রম ছাড়াই প্যাসিভ ইনকাম করা যায়। স্টুডেন্টদের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি অবশ্যই সময়ে এক থেকে দুই ঘন্টা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কোন পণ্যে বেশি কমিশন পাওয়া যায়?

কোন পণ্যে বেশি কমিশন পাওয়া যায়?

ইলেকট্রনিক ডিভাইস, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, বিলাসজাত পণ্য তে বেশি পার্সেন্ট কমিশন পাওয়া যায়। যেমন একটি ল্যাপটপের দাম ৮০ হাজার টাকা। ল্যাপটপটি আপনার মাধ্যমে বিক্রি করলে এখান থেকে আপনি ৭/৮ পার্সেন্ট কমিশনে ৬৮০০ টাকা পাবেন। এভাবে যদি দিনে তিন থেকে চারটি ক্রেতা সেই ল্যাপটপটি ক্রয় করে তাহলে প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে।

কোন ধরনের পণ্যে সর্বোচ্চ কমিশন পাওয়া যায় 

যে পণ্যগুলোর দাম অনেক বেশি সেই পণ্যে বেশি কমিশন পাওয়া যায়। যেমন পণ্যের দাম যদি ১ লক্ষ টাকা হয় তাহলে সেখান থেকে ১০ পার্সেন্ট কমিশন পাওয়া যাবে পণ্যের যদি দুই লক্ষ টাকা হয় তাহলে সেখান থেকে ২০ পার্সেন্ট কমিশন পাবেন। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক ডিভাইস কিংবা বড় বড় আসবাপত্রের ক্ষেত্রে বেশি কমিশন পাওয়া যায়। কিন্তু বড় বড় আসবাবপত্র এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস খুব কম সংখ্যক কেনাবেচা হয়। 

কোন ধরনের পণ্যে সর্বনিম্ন কমিশন পাওয়া যায় 

জামা কাপড় চকলেট খাবার ফাস্টফুড কিংবা আর অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রতে সর্বনিন্ম কমিশন পাওয়া যায়। যেমন মেয়েদের জামা ফ্রক কামিজ ছেলেদের প্যান্ট টি-শার্ট বিক্রি করে ১/২% কমিশন পাওয়া যায়। যেমন একটি জামার দাম যদি ১৫০০ টাকা হয় এবং সেই জামাটি আপনার মাধ্যমে বিক্রি হলে সেখান থেকে আপনি ২ পার্সেন্ট কমিশনে ৩০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়?। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং বিলাস জাত দ্রব্যতে বেশি পার্সেন্ট কমিশন পাওয়া যায়। এবার চলুন আমরা দেখে আসি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?

আপনারা অনেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য প্রথমে আপনার কাছে একটি ফেসবুক পেজ ফেসবুক গ্রুপ instagram গ্রুপ টেলিগ্রাম গ্রুপ কিংবা whatsapp গ্রুপ থাকতে হবে।

গ্রুপে মেম্বারের পরিমাণ অনেক বেশি হতে হবে। কিংবা আপনার যদি একটি ব্লগ সাইট থাকে তাহলে সেখানে কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠানের পণ্যের লিংক শেয়ার করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য উক্ত জিনিসগুলো থাকতে হবে তারপর বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। 

তাদের প্রোডাক্ট প্রচার করার অফার করতে হবে। প্রথমে অল্প কমিশনের কাজ শুরু করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে উপায় জানতে হবে।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার শর্তগুলো নিচে দেখে নিন।

প্রথম শর্ত

  • একটি ফেসবুক পেজ 
  • ব্লগ সাইট
  • ফেসবুক গ্রুপ 
  • ইউটিউব চ্যানেল
  • টেলিগ্রাম গ্রুপ অথবা instagram গ্রুপ উক্ত উপাদান গুলো থাকতে হবে।
দ্বিতীয় শর্ত
  • Daraz, amazon এর মত শপিং সাইটগুলোতে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং তাদের পণ্য প্রচারের জন্য অফার করতে হবে। তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। 
তৃতীয় শর্ত 
  • তাদের পণ্যগুলো ফেসবুক পেজে কিংবা ব্লক সাইটের মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। অথবা ইউটিউব চ্যানেলে ভালো সাবস্ক্রাইবার থাকলে সেখানে পূর্ণ সম্পর্কে একটি শর্ট ভিডিও তৈরি করে পাবলিশ করতে হবে।
ওপরের এই তিনটি শর্ত মানতে হবে তাহলে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতিমাসের লক্ষ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়তে হবে তাহলে আপনি সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জানতে পারবেন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোথায় করব? 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোথায় করব 

আপনি কি জানেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোথায় করতে হয়? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ফেসবুকে instagram এ youtube এ কিংবা ওয়েবসাইটে করতে পারবেন। টাকা ইনকাম করার ইচ্ছা থাকলে বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আপনার মধ্যে শুধু আগ্রহ থাকতে হবে। মার্কেটিং করার জন্য বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো ফেসবুক। ফেসবুকের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে প্রচুর ক্রেতা পাওয়া যায়।

তাই ফেসবুকে একটি পেজ তৈরি করুন। সেই পেজে ভালো ফলোয়ার থাকলে কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্র্যান্ডের সাথে যোগাযোগ করে চুক্তিবদ্ধ হয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট

সিলেট মার্কেটিং করার জন্য বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যা বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে বহু জনপ্রিয় যেমন Amazon, clickbank, daraz, share sell, commission johnson, rakuten marketing। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলো আলোচনা করলাম এই ওয়েবসাইট গুলোতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সবচেয়ে বেশি ইনকাম করা সম্ভব।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায় 

আপনি কি জানেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে চাইলে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়। অনলাইনে ইনকামের হার নির্ভর করে আপনি কথা সময় পর্যন্ত কাজ করছেন এবং আপনার জনপ্রিয়তা কতটুকু। 

অনলাইনে আপনার ফেসবুক পেজে যদি বহু ফলোয়ার থাকে তাহলে আপনার ইনকাম অনেক বেশি হবে আর যদি ফলোয়ারের পরিমাণ কম থাকে তাহলে ইনকামও কম হবে। একটি ফেসবুক পেজে যত বেশি ফলোয়ার থাকবে তত বেশি ক্রেতা ভিড় জমিয়ে পণ্য ক্রয় করবে।

এতে ইনকামের হার তত বেশি হবে। এজন্য প্রথমে ফেসবুক পেজে কিংবা ব্লক সাইটে ভিজিটর অথবা ফলোয়ার এর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। আপনি চাইলে অবাক হবেন যে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এর প্রতি মাসের বেতন হলো প্রায় তিন থেকে চার লক্ষ টাকা।

চাইলে আপনিও পারবেন আপনি যদি উপরের উপায় গুলো অনুসরণ করেন তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতিমাসের লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আশা করছি আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং মার্কেটিং কিভাবে করব।

উপসংহারঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়?

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়। অর্থাৎ এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 

আপনারা যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি। এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বোঝায় কোন একটি প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলোকে প্রচার করা। প্রতিটি কোম্পানি কিংবা ব্র্যান্ডের পণ্য প্রচার করার মাধ্যমে কিছু পার্সেন্ট কমিশন লাভ করতে পারবেন। একে বলা হবে এফিলিয়েট মার্কেটিং।

বর্তমান সময়ে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্স মার্কেটিং করার মাধ্যমে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। আশা করছি আপনারা আজকের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন এমনই আরো দুর্দান্ত পোস্ট পেতে টাকা ইনকাম করার উপায় জানতে এই ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url