বাইম মাছের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

বাইম মাছ প্রোটিনের চমৎকার উৎস। বাইম মাছ থেকে প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়। আপনি যদি বাইম মাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা বাইম মাছ এর উপকারিতা, বাইম মাছের শুটকি দাম, বাইম মাছের দাম মাছের রেসিপি এবং বাইম মাছের বৈজ্ঞানিক নাম কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 
বাইম মাছের উপকারিতা
আপনি যদি বাইম মাছ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন বাইম মাছ খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় এবং বাইম মাছের দাম কত সে বিষয়গুলো আজকের পোস্টে আলোচনা করা হবে। চলুন ঝটপট দেখে আসি বাইম মাছের রেসিপি এবং বাইম মাছের দাম।

পেজ সূচিপত্রঃ বাইম মাছের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

          ভূমিকা          

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাইম মাছ চাষ করা হয়না। বাইম মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু। আমরা মাছের ভাতে বাঙালি বলে কথা। বাঙালিদের বাড়িতে প্রায় দিনেই বাইম মাছ রান্না করা হয়। বাইম মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। খুব অল্প উপকরণের মাধ্যমে বাইম মাছ রান্না করা হয় এবং রান্না করতে ঝামেলা নেই। এই জন্য অনেকের বাসায় ডেইলি খাবার হিসেবে রয়েছে বাইম মাছ।

আমরা অনেকেই বাইম মাছ খেতে খুব ভালোবাসি কিন্তু বাইম মাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানিনা। বাইম মাছে খুব অল্প কাটা থাকে এজন্য বাচ্চারাও বাই মাছ খেতে ভালোবাসে। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখব বাইম মাছের উপকারিতা। বাইম মাছের দাম কত এবং বাইম মাছের কিছু দুর্দান্ত রেসিপি। এই রেসিপি অনুসারে বাসায় রান্না করলে প্রত্যেকে আপনার রান্না খেয়ে সুনাম করবে।

বাইম মাছের উপকারিতা 

বাইম মাছের উপকারিতা কি? বাইম মাছ থেকে ভরপুর প্রোটিন পাওয়া যায়, ওমেগা থ্রী ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়। যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে। বাইম মাছ থেকে প্রচুর মিনারেল পাওয়া যায় যা হারের স্বাস্থ্য কে উন্নত করে। বাইম মাছ খেলে হৃদরোগ প্রতিরোধ হয়, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। বাইম মাছ খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়।

বাইম মাছের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। বাইম মাছ খেলে অধিক সময় পর্যন্ত পেট ভরা অনুভূত হয় এতে ওজন কমে। বাই মাঠ থেকে খুব অল্প পরিমাণে চর্বি পাওয়া যায় যার শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। বাইম মাছের আরও স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানতে নিচে দেখে নিন।

স্ট্রেস কমায়

বাইম মাছ থেকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়।  মস্তিষ্ককে সিথির রাখে এবং স্মৃতিশক্তির বিকাশ ঘটায় পাশাপাশি ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে। আমাদের প্রত্যেকে জীবনে কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে ডিপ্রেশন অথবা স্ট্রেস থাকে।  ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যুক্ত খাবার খাওয়ার পরে মস্তিষ্ক শিথিল থাকে এবং স্ট্রেস কমে যায়। 

ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে 

বাইম মাছ থেকে খুব অল্প পরিমাণে ফ্যাট পাওয়া যায়। তাই বাই মাছ খাওয়ার ফলে ওজন বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বাই মাছ খাওয়ার পরে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পেট ভরা অনুভূত থাকে এদের ক্ষুধার পরিমাণ কমে যায়। 

ক্ষুধার পরিমাণ কম থাকলে খাবার আহারের পরিমাণ কমে যাবে এতে ধীরে ধীরে ওজন কম। যারা অতিরিক্ত ওজন থেকে রেহাই পেতে চান তারা নিয়মিত খাদ্য তালিকাতে বাইম মাছ রাখুন আর বাইম মাছের তরকারিতে অতিরিক্ত ঝাল কিংবা মসলা দেওয়া যাবে না। 

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় 

বাইম মাছ থেকে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। পটাশিয়াম রক্তচাপকে শিথিল করে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। বিজ্ঞানীরা বলেন নিয়মিত কাপ্তাই লেকের বাইম মাছ খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমবে এবং হার্টের কার্যক্ষমতা বাড়বে। কাপ্তাই লেকের বাই মাছ থেকে পটাশিয়াম পাওয়া যায় এটি হার্টের সোডিয়ামকে কমাতে থাকে যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায় এবং হার্ট এটাকের ঝুঁকিও কমে যায়। 

ভিটামিন ও মিনারেল ভরপুর 

বাইম মাছ তাকে ভরপুর ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায় যা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা কে বজায় রাখে এবং শরীরে ভিটামিনের অভাব পূরণ করে। প্রতিদিন আমাদের শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকে এই অভাবকে পূরণ করার জন্য আমরা খাদ্য গ্রহণ করি। নিয়মিত শুধুমাত্র বাইম মাছ খেলে শরীরের যাবতীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হবে।

ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়

বাইম মাছ থেকে উচ্চমানের ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। বয়স ৪০ এর ওপরে গেলে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দেয় পাশাপাশি ক্যালসিয়ামের অভাবে বাতের ব্যথা তৈরি হয়। তাই ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে নিয়মিত বাইন মাছ খেতে হবে। খাদি তালিকায় ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হবে এবং বাতের ব্যথা দূর হবে। 

চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি 

বাইম মাছ খাওয়ার ফলে দ্রুত চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। বিজ্ঞানীরা বলেন, সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার বাইম মাছ খেতে হবে। এতে চোখের দৃষ্টি শক্তি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। বাইম মাছ থেকে ভরপুর ওমেগা থ্রী ফ্যাটি এসিড সহ ভিটামিন এ পাওয়া যায় যার চোখের দৃষ্টি শক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

প্রোটিনে ভরপুর 

বাইম মাছ থেকে ভরপুর প্রোটিন পাওয়া যায় বিজ্ঞানীরা বাই মাছকে প্রোটিনের উৎস বলেন। নিয়মিত বাইন মাছ খেলে দ্রুত কোষ মেরামত হবে কোষ গঠন হবে এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বজায় থাকবে। আমাদের প্রত্যেকের শরীরে নিয়মিত কিছু প্রোটিনের অভাব থাকে সেই অভাবকে পূরণ করতে বাইম মাছ খেতে হবে। 

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বাই মাছের উপকারিতা সম্পর্কে বালি মাছ খেলে উপরের এই উপকারিতাগুলো লাভ করা যাবে। বাইম মাছ বাংলাদেশ ভীষণ প্রিয় একটি খাবার। বাই মাছ দেখতে সাপের মতো লম্বা এবং সরু। 

বাইম মাছের আঁশ এর পরিমাণ খুবই কম হয় এমনকি আঁশবিহীন বললেই চলে। বাইম আছে খুব অল্প কাটা থাকে এজন্য খুব সহজে বাই মাছ খাওয়া যায় বাই মাছ খেতেও খুবই সুস্বাদু হয় অল্প উপকরণের মাধ্যমে বাইম মাছ রান্না করা যায়। 

বিজ্ঞানীরা বলেন বাইম থেকে ভরপুর ভিটামিন পাওয়া যায় নিয়মিত বাই মাছ খেলে শরীর থেকে সমস্ত রোগ বাড়ায় দূর হবে। বাইম মাছ প্রাকৃতিকভাবেই পুকুরে এবং নদীতে জন্মায়। কাপ্তাই নদীর বাইম মাছের বিশাল আকার, 

পুষ্টিগুণ এবং স্বাদ অন্যান্য অঞ্চলের বাইম মাছের তুলনায় অধিক মানসম্পন্ন করে তুলেছে এ জন্য বাজারে বাই মাছের দাম অনেক বেশি। সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি ওপরের আলোচনাতে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বাইম মাছের চাহিদা এবং বাইম মাছের দাম সম্পর্কে পাশাপাশি বাইম মাছ খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি বাইম মাছের বৈজ্ঞানিক নাম কি।

বাইম মাছের বৈজ্ঞানিক নাম কি

বাইম আজকে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে ডাকা হয় অনেকে বাইম মাছকে বাইন বলেন অথবা বাও বাইন, রাজ বাইন, বানেহারা, বামোস। বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন নাম রয়েছে তবে নাম আলাদা হলেও এর পুষ্টিগুণ গুলো একই। বাইম মাছ দেখতে সাপের মত সরু এবং লম্বা।

অনেকে বাইম আজকে সাপ মনে করেন। বাইম মাছের বৈজ্ঞানিক নাম হল Anguilla Bengalensis। বাই মাছ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায় বাইম মাছ Anguillidae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এবং Actinopterygii শ্রেণীর মাছ। বাইম মাছ কর্ডাটা পরের প্রাণী।

বাইম মাছ পানির তলদেশ দিয়ে চলাফেরা করতে ভালোবাসে। বিজ্ঞানীরা বলেন নিয়মিত বাই মাছ খেলে শরীর থেকে দ্রুত ওজন ঝরে যাবে হার্ট এটাকে ঝুঁকি কমে যাবে উচ্চ রক্তচাপ কমে যাবে পাশাপাশি শরীর সুস্থ থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে। 

বাই মাছের উপকারিতা অনেক নিয়মিত বাই মাছ খাওয়ার পরে উপরের উপকারিতা গুলো লাভ করা যায় এবার চলুন আমরা দেখে আসি বাইম মাছের দাম কত। 

বাইম মাছের দাম কত?

আপনি কি জানেন বাইম মাছের দাম কত? আমরা অনেকেই তো বাই মাছ খেতে খুব ভালোবাসি কিন্তু বাইম মাছ কেনার আগে আমাদেরকে জানতে হবে যে এই মাছের দাম কত? ১ কেজি বাইম মাছের দাম ৯৬০ টাকা।বর্তমান সময়ে বাই মাছের দাম অনেক বেশি। অন্যান্য মাছের তুলনায় কাপ্তাই লেকের বাইম মাছ অনেক বেশি জনপ্রিয় এবং দামও অনেক বেশি। 

হাফ কেজি বড় আকারের বাইম মাছের দাম ৪৪০ টাকা। ১ কেজি বড় বাইম মাছের দাম ৯৬০ টাকা। ছোট বাই মাছের দাম একটু কম। ছোট ১ কেজি বাইম মাছের দাম ৮৮০ টাকা। ছোট 2 কেজি বাই মাছের দাম ১৭৫০ টাকা। অনলাইনে বাই মাছ অর্ডার করলে ডেলিভারি চার্জ সহ এক কেজি বাই মাছের দাম প্রায় ১০২০ টাকা।

লোকাল মার্কেটেও বাইম মাছ কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু লোকাল মার্কেটে সব সময় বড় বাইম মাছ দেখতে পাওয়া যায় না। অনলাইনে বিভিন্ন পেজ রয়েছে যেখানে বাইম মাছ বিক্রি করা হয় গুগলের সার্চ করলে আপনি বাই মাছের পেজ দেখতে পারবেন সেখান থেকে বাইম মাছ  অর্ডার করলে ডেলিভারি চার্জ সহ ১ কেজি বাই মাছের দাম প্রায় ১০২০ টাকা।

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বায়ু মাছের দাম কত এবার চলুন আমরা দেখে আসি বাইম মাছের শুটকির দাম কত। 

বাইম মাছের শুটকির দাম 

অনেকে জিজ্ঞাসা করেন বাই মাছের শুটকির দাম কত? ৫০০ গ্রাম বাইম মাছের শুটকির দাম প্রায় 950 টাকা এবং ১ কেজি বাই মাছের শুটকির দাম ১৯০০ টাকা। বাজারে বাই মাছের শুটকির দাম অনেক বেশি। বাইম মাছের শুটকির উপকারিতা অনেক বাই মাছের শুটকি ভর্তা খেতে খুবই সুস্বাদু আমরা অনেকেই শুটকি মাছের ভর্তা খেতে খুব ভালোবাসি। শুটকি মাছের ভর্তা থেকে উচ্চমানের প্রোটিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। 

বাইম শুটকি মাছের দাম এক হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। বড় বাই মাছের শুটকির দাম ১৯০০ টাকা এবং হাফ কেজি অথবা ৫০০ গ্রাম বড় বাই মাছের শুটকির দাম ৯৫০ টাকা। বাংলাদেশে আমরা শুটকি মাছ খেতে কম বেশি প্রত্যেকে ভালোবাসি শুটকি মাছের স্বাদ ও ঘ্রাণ বাঙ্গালীকে মাতিয়ে তোলে। 

লোকাল মার্কেটে বাই মাছের শুটকি কিনতে পাওয়া যায় অথবা অনলাইনে এখন বিভিন্ন পেজে বাইম মাছের শুটকি পেয়ে যাবেন। আশা করছি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন বাইম মাছের শুটকির দাম কত। এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি বাইম মাছের রেসিপি। 

বাইম মাছের রেসিপি

আপনি কি বাইম মাছের রেসিপি খুজছেন? আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। বাইম মাছ খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম খুব অল্প উপকরণের মাধ্যমে বাইম মাছ রান্না করা হয়।

এই জন্য অনেকের বাড়িতে বাইম মাছ রেগুলার থাকে। বাইম মাছের স্বাদের পাশাপাশি এর পুষ্টি অনেক। নিচে দেখে নিন বাই মাছের রেসিপি শেয়ার করা রয়েছে এই রেসিপি অনুসারে বাই মাছ রান্না করলে আশা করছি খেতে খুবই সুস্বাদু হবে।
বাবা মাছ রান্না করার জন্য কি কি উপকরণ প্রয়োজন? 
  • কাপের চার ভাগে দুই ভাগ তেল 
  •  দুই চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো 
  • ২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো 
  • এক চা চামচ হলুদের গুড়ো
  •  দুই চা চামচ মরিচের গুঁড়ো 
  • চারটি তেজপাতা 
  • চার কাপ পানি 
  • পরিমাণমতো লবণ 
  • এক কেজি বড় বাইন মাছ 
  • এবং এক চা চামচ ভাজা জিরার গুঁড়ো। 
ওপরের এই উপকরণগুলো থাকলে নিচের রেসিপি অনুযায়ী বাইম মাছ রান্না করতে পারবেন। বাইম মাছ রান্না করার জন্য প্রথমে একটি কড়াই য়ে তেল দিতে হবে। তেল ভালোভাবে গরম করে নিতে হবে এবার তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি গুলো ভেজে নিতে হবে। 

পেঁয়াজ কুচি গুলো বাদামী রং না ধারণ করা পর্যন্ত ভাজতে থাকতে হবে। পেঁয়াজ বাদামী রং হয়ে গেলে তার মধ্যে মসলার পেস্ট তেজপাতা সহ ৬ থেকে ৭ মিনিট জুলাই নাড়াচাড়া করতে হবে। এবার মসলার ওপর তেল ভেসে উঠলে বাইম মাছ দিয়ে দিতে হবে। 

বাইম মাছ সহ মসলা কষিয়ে নিয়ে চার কাপ পানি ঢেলে দিতে হবে। এবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত চুলা লো মাত্রায় রাখতে হবে। বাই মাছের সুন্দর ঘ্রাণ আসতে শুরু হলে তার মধ্যে জিরা ভাজা গুড়ো দিয়ে দিতে হবে। এবার তরকারি একটু নাড়াচাড়া করে চলা বন্ধ করে দিতে হবে।

বাইম মাছের সুস্বাদু তরকারি। আপনি যদি বাই মাছের তরকারিতে সবজি ব্যবহার করতে চান তাহলে মসলা কষানোর সময় আলু এবং বেগুন একসাথে কষিয়ে নেবেন। 

তারপর বাই মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে পানি দিয়ে রান্না করতে হবে। তরকারিতে পানি দেওয়ার পর অবশ্যই ঠাকুনের সাহায্যে ঢেকে দিতে হবে। এভাবে রান্না করলে তরকারি খুবই সুস্বাদু হবে এবং যে কেউ আপনার তরকারি খেয়ে সুনাম করতে বা। 

উপসংহারঃ বাইম মাছের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম বাইম মাছের উপকারিতা, বাইন মাছের শুটকি মাছের দাম এবং বাইম মাছের বৈজ্ঞানিক নাম কি। আমরা অনেকেই বাইন মাছ খেতে খুব ভালোবাসি বাই মাছ খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায় পাশাপাশি এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। বাইম মাছ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ।

বিজ্ঞানীরা বলেন নিয়মিত বাই মাছ খাওয়ার ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব পাশাপাশি উচি  রক্তচাপ কমিয়ে ফেলা সম্ভব। উচ্চ রক্তচাপ বলতে বোঝায় যখন হার তার অন্যান্য অঙ্গ গুলোতে রক্ত সরবরাহ করার জন্য চাপ প্রদান করবে। 

এই অবস্থাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। বাই মাছ খাওয়ার পরে বাই মাছ থেকে পাওয়া পটাশিয়াম রক্তের চাপে শিথিল করে এবং উত্তর রক্তচাপের মাত্রা কমিয়ে দেয় যার ফলে রক্তের সঠিকভাবে চলাচল করে। সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা আজকের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন এবং বাইম মাছ খাওয়ার উপকারীতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url