ড্রপশিপিং কি হালাল - ড্রপশিপিং করে মাসে ৫০ হাজার
ড্রপশিপিং মানে কি ড্রপশিপিং কি হালাল? আপনারা প্রথমবার যারা এই নামটি শুনেছেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি। আজকের এই পোস্টে আমরা ড্রপশিপিং কি হালাল নাকি হারাম, ডলারের ব্যবসা কি হালাল, অনলাইনে ইনকাম করা কি জায়েজ নাকি এবং ড্রপশিপিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো শেয়ার করব।
ড্রপ শিপিং এবং আফিলিয়েট মার্কেটিং এই দুইটি কাজ প্রায় একই কিন্তু মার্কেটিং এবং গ্রাফ শিপিং কি হালাল নাকি সেই বিষয়ে হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। আপনি যদি ড্রপ শিপিং কি হালাল নাকি এবং অনলাইনে ইনকাম করা কি জায়েজ নাকি সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি সম্পন্ন দেখতে থাকুন। চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি ড্রপ শিপিং বিজনেস কি এবং ড্রপ শিপিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো।
ড্রপশিপিং বিজনেস কি
ড্রপ শিপিং বিজনেস বলতে বোঝায় কোন একটি প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্র্যান্ডের পণ্যকে প্রমোট করা এবং বিক্রি করা তার বিনিময়ে কিছু অর্থ ইনকাম করা। প্রথমবার এই শব্দগুলো শুনে আপনার কাছে ড্রপ শিপিং এর মানে কঠিন মনে হতে পারে কিন্তু চলুন আপনাকে সহজ ভাবে ড্রপ শিপিং বুঝিয়ে দিন।মনে করুন একজন বিক্রেতা তার কোন বিক্রি করার জন্য আপনার নিকট সাহায্য চাইছে এবং তার পণ্যের দাম সে চাইছে ১৫০০ টাকা। এখন আপনার কাজ হল এ পণ্যের জন্য ক্রেতা খোঁজা। আপনার যদি ফেসবুক পেজ কিংবা ইউটিউব চ্যানেল থেকে তাহলে সেই চ্যানেল অথবা পেজে পণ্য সম্পর্কে দুই তিন লাইন ক্যাপশন লিখে পোস্ট করলেন।
বিক্রেতা অলরেডি ১৫০০ টাকা দাম চেয়েছে আপনি যদি ২ হাজার টাকা দিয়ে সেই পণ্যটি বিক্রি করতে পারেন তাহলে এখানে ৫০০ টাকা আপনার লাভ হচ্ছে। এইভাবে যদি আপনি আরো অন্যান্য বিক্রেতার থেকে পণ্য ক্রয় করে আর একটু বেশি দাম দিয়ে ক্রেতাদের নিকট বিক্রি করেন তাহলে ভালো করে লাভ করতে পারবেন এই ব্যবসাতে শুধুমাত্র লাভ রয়েছে লসের হার খুব কম।
অথবা কোন একটি বিক্রেতার পণ্যকে আপনি আর একটু বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করলে এই পদ্ধতিকে বলা হবে ড্রপ শিপিং। ড্রপ শিপিং ব্যবসাতে বন্য ক্রয় করার কোন প্রয়োজন নেই আপনার কাজগুলো শুধুমাত্র একটি বিক্রেতার পণ্যকে প্রমোট করা এবং ক্রেতা খুঁজে দেওয়া এবং ক্রেতার থেকে আরো কিছু মুনাফা লাভ করা।
যারা ড্রপশিপিং এর ব্যবসা করে তারা বিক্রেতাদের সাথে এমনভাবে চুক্তি করে নেয়। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ড্রপশিপিং বিজনেস কি। এবার চলুন আমরা দেখে আসি ড্রপশিপিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো।
ড্রপশিপিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায়
আপনি কি ড্রপ শিপিং করে মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনি অবশ্যই পারবেন। কারণ এখন খুব সহজেই ড্রপ শিপিং এর ব্যবসা করে মাসে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। ড্রপ শিপিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রায় একই।এখানে পার্থক্য হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারকে পণ্য বিক্রয়ের পর কিছু পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয় এবং ড্রপ শিপিংয়ে বিক্রেতা প্রথমেই তার পণ্যের দামটি ড্রপ সিপারে নিকট জানিয়ে দেয় এরপর গ্রাম শিপার যদি আরো অধিক দাম দিয়ে ১৫ টি বিক্রি করতে পারে।
তাহলে আরো অতিরিক্ত টাকা সে লাভ করতে পারবে যেমন কোন পণ্যের দাম বিক্রেতা যদি ২০০০ টাকা বলে তাহলে যে ক্রেতার নিকট পণ্য বিক্রি করবে সে দাম ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা ছাড়বে অতিরিক্ত ১০০০ টাকা সে লাভ করবে এই পদ্ধতিকে বলা হয় ড্রপশিপিং।
এখন প্রশ্ন হল জব শিপিং করে কিভাবে মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব? আপনি যদি মাসে 50 হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে না আপনি এখন থেকে এই কাজটি শুরু করতে পারবেন। ডাব শিপিং কাজ অনলাইনে এবং অফলাইনে উভয় মাধ্যমে করা যায় যদি অনলাইনে ড্রপ শিপিং এর কাজ করতে চান তাহলে দ্রুত ওপেন করুন Daraz ।
Daraz বাংলাদেশের এক নাম্বার অনলাইন শপিং সাইট। এখানে হাজার হাজার ফেদার রয়েছে তাদের নিকট যোগাযোগ করে ড্রপ শিপিং এর অফার প্রদান করে তাদের পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন। অনলাইনে বেশিরভাগ মানুষই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেন
কারন এটি অধিকতর সহজ এবং পরিশ্রম কম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ড্রপ শিপিং এর ব্যবসা অফলাইনে করা হয় যেমন কোন একটি লোকাল মার্কেটে যে দোকানে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম সেখানে ড্রপ শিপিং এর অফার করতে হবে।
মনে করুন একজন বিক্রেতা তার দোকানে শুধুমাত্র ফ্রিজ কিংবা টিভি বিক্রি করে। তার দোকানে ক্রেতা সংখ্যা খুবই কম ব্যবসাতে উন্নতিও নেই। তাকে যে যদি আপনি ড্রপ শিপিং এর জন্য অফার করেন তাহলে সে অবশ্যই আপনার অফারটি গ্রহণ করবে। ক্রেতা যদি তার একটি ফ্রিজের দাম চায় ২০০০০ টাকা তাহলে সে ফ্রিজের ছবি নিয়ে অনলাইনে পোস্ট করুন
এবং ক্রেতার নিকট ২৫০০০ টাকা দাম বলুন। ক্রেতা যদি পঁচিশ হাজার টাকা দিয়ে সেই ফ্রিজ ডি ক্রয় করে তাহলে এইখানে আপনার লাভ থাকছে ৫ হাজার টাকা এবং বিক্রেতা লাভ করতে পারছে ২০ হাজার টাকা। বিক্রেতা এবং আপনি উভয়ে লাভ বান হচ্ছেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে লাভের সম্ভাবনা অনেক বেশি।
এভাবে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ টি পূর্ণ ক্রয় করলে প্রতি মাসে 50 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করলে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব এখন ছোট ছোট বাচ্চারাও অনলাইন থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তাই দেরি না করে দ্রুত ড্রপ শিপিং এর কাজ শুরু করুন তবে আপনারা যারা ইসলামিক উপায়ে হালাল ভাবে ইনকাম করতে চান, তারা নিচে দেখে নিন ড্রপশিপিং কি হালাল?
ড্রপশিপিং কি হালাল
ভালোর পথে ইনকাম করার সবচেয়ে ভালো হালাল পথে মাসে দশ হাজার টাকা ইনকাম করলেও সে টাকাতে খুব সহজেই মাছ চলে যায় কিন্তু হারাম পথে লক্ষ টাকা ইনকাম করলেও সে টাকায় কোন বরকত থাকে না এজন্য সব সময় হারার কথা ইনকাম করে উত্তম। হাদিস ও কুরআনে হালালভাবে ইনকাম করার প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি আরোপ করা হয়েছে। ইচ্ছা করলে অতিরিক্ত টাকা লাভ করা যাবে না টাকা দিয়ে টাকা নেওয়া যাবে না সাহায্য করে তার বিনিময়ে টাকা চাওয়া যাবে না।
এই কাজগুলো ইসলামী হারাম বলা হয়েছে তবে ড্রপশিপিং কি হালাল নাকি হারাম? ড্রপশিপিং ব্যবসাতে একজনের নিকট থেকে পণ্য নিয়ে ক্রেতার নিকট উচ্চ দামে বিক্রি করা এই পদ্ধতিটি হালাল নাকি হারাম? ইসলামে রয়েছে যদি কোন ব্যবসায়ী বলে যে তুমি এই কোনটি বিক্রি করে দাও এবং এত টাকার ওপরে যত টাকা লাভ হবে সেটা সম্পূর্ণ তোমার।
যেমন সহজ ভাষায় বলি একজন বিকেলে যদি আপনাকে বলে তুমি এই পণ্যটি ২০০০ টাকায় বিক্রি করে দাও এর ওপর তুমি যতটুকু লাভ করতে পারবা যেমন তুমি যদি ২৫০০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকায় এই ১৫ টি বিক্রি করতে পারো তাহলে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা তোমার। এই ব্যবসাটি ইসলামী হালাল বলা হয়েছে।
মুসলিমরা ভাই ভাই তারা একে অপরকে সাহায্য করতে পারে দোকানে ভালো ক্রেতা আসে না যার ফলে ব্যবসাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়। এক্ষেত্রে যদি একজন তার পণ্যগুলোকে বিক্রি করে দেয় তার বিনিময় সে কিছু অর্থ উপার্জন করে তাহলে এই পদ্ধতিতে বিক্রেতা এবং সে ব্যক্তি উভয়ই লাভবান হতে পারবে এই পদ্ধতিটি সম্পন্ন হালাল।
ঠিক একই ভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল। মার্কেটিং এ কোন একটি বিক্রেতার পণ্যগুলো কি বিক্রি করে দেওয়ার বল লিখেছি পারসেন্ট কমিশন লাভ করা যায় এই পদ্ধতি গুলো হারাম নয় টাকা ইনকাম করা কে হারাম বলা হয়েছে । অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি টাকা দিয়ে তার বিনিময়ে
কোন পরিশ্রম ছাড়াই আরও অধিক টাকা ইনকাম করেন কিংবা অধিক টাকা দাবি করে তাহলে এই পদ্ধতিকে হারাম বলা হবে। কিন্তু ড্রপশিপিং হালাল। যারা ইসলামের পথ অনুসরণ করতে ভালোবাসেন হালাল পথে ইনকাম করতে ভালোবাসেন তারা নিঃসন্দেহে ড্রপ শিপিং এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
টাকা দিয়ে টাকা কেনা কি জায়েজ
আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন টাকা দিয়ে টাকা কেনা কি জায়েজ? হ্যাঁ। টাকা দিয়ে টাকা কেনা জায়েজ এর মধ্যে কোন ভুল কিংবা ত্রুটি লক্ষ্য করা যায় না। এখানে শরীয়তে রয়েছে কেউ যদি টাকার বিনিময়ে আরও অধিক টাকা লাভ করতে চাই এবং এখানে কোন পরিশ্রম যদি না থাকে,
তাহলে এটি অবশ্যই হারাম কাজের সাথে লিপ্ত। যেমন একজন ব্যক্তিকে আপনি 10000 টাকা দিয়েছেন তার বিনিময়ে আপনি তার থেকে আরও অধিক ৫ হাজার টাকা চেয়েছেন অর্থাৎ ১৫ হাজার টাকা চেয়েছেন। এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ হারাম। কিন্তু টাকা দিয়ে টাকা কেনাবেচা করা জায়েজ।
অনেক সময় দেখা যায় টাকা অনেক দিনের পুরনো হয়ে টাকা গুলো ছিড়ে যায়। সেই টাকা আর কোন ভয় ব্যবহার করা যায় না এক্ষেত্রে আপনি টাকা বিক্রি করে নতুন চকচকে টাকা ক্রয় করতে পারেন। এছাড়াও রমজান মাসে দেখা যায় রাস্তাতে টাকার বান্ডিল নিয়ে বিক্রি করা হয় এই টাকা গুলো সম্পন্ন জায়েজ। আপনি চাইলে এই টাকা গুলো কিনতে পারবেন। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন টাকা দিয়ে টাকা কেনা জায়েজ নাকি এবার চলুন আমরা দেখে আসি ডলারের ব্যবসা কি হালাল?
ডলারের ব্যবসা কি হালাল
অনেকে কম দামে ডলার পেলে বেশি করে কিনে রাখেন এবং পরবর্তী সময় ডলারের দাম বৃদ্ধি পেলে সেই ডলারগুলো বিক্রি করেন। একই দেশের টাকা যদি ভিন্ন ভিন্ন দ্বারা বিক্রি করা হয় তাহলে এটি সুদের সাথে মিলিত হয়ে যাবে কিন্তু ডলার যদি অন্যান্য দেশে বিক্রি করা হয় যেমন ডলার থেকে টাকা, ডলার থেকে রুপিস কিংবা ডলার থেকে ইউরোসে কনভার্ট করে বিক্রি করা হয় তাহলে এটি হালাল।
যেমন বাংলাদেশে অনেকেই টাকার বদলে ডলার বিক্রি করেন। এই ব্যবসাটি হালাল হিসেবে ধরা হয় কিন্তু যদি একই দেশে যেমন আমেরিকাতে বসবাস করে ডলার বিভিন্ন জেলাতে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি করা হয় তাহলে এই ব্যবসাটি হারাম। কিন্তু যদি আপনি ডলার বিভিন্ন দেশে যে আমার বাংলাদেশে পাকিস্তানের আমেরিকাতে তাদের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেন তাহলে সেই ব্যবসাটি হালাল হবে।
ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল
আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল নাকি? ফ্রিল্যান্সিং বলতে বোঝায় একটি মুক্ত পেশা, যেখানে আপনার কোন বস নেই। আপনি নিজেই আপনার বস আপনার ইচ্ছা হলে কাজ করবেন ইচ্ছা না হলে বিশ্রাম করবেন। এই পেশাটি খুবই আরামদায়ক এবং বাসাতে বসে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এই জন্য হাজার হাজার যুবকরা এখন ফ্রিল্যান্সিংকে নিজের একক পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
মাধ্যমে প্রতিমাসে কয়েক হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়। বাংলাদেশের হাজার হাজার যুবকরা প্রতিমাসে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তাইলে আপনিও ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার কে গঠন করতে পারবেন কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল নাকি হারাম?
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে কিছু কাজ হালাল এবং কিছু কাজ হারাম। এমন লোগো ডিজাইন ডিজিটাল মার্কেটিং মার্কেটিং এই কাজগুলো হালাল করতে পারবেন কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছু অনলাইন ব্যবসায়ী নিজেকে ফ্রিল্যান্সার বলে দাবি করেন এবং অনলাইনে টাকার বিনিময়ে টাকা ইনকাম করেন,
যেমন 1x***bet এর মতো এপ্লিকেশনগুলো থেকে টাকার বিনিময়ে টাকা ইনকাম করেন। এই পদ্ধতিটি ইসলামে হারাম বলা হয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যে সমস্ত কাজ রয়েছে যেমন লোগো ডিজাইন, এসিইও অপটিমাইজেশন, এফিলেট মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এই সমস্ত কাজগুলো হালাল।
এই সমস্ত কাজে অনলাইনে কাজ করে পরিশ্রম করে পরিশ্রমের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করা হয়। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল নাকি হারাম এবার চলুন আমরা দেখে আসি অনলাইনে কন কাজ হারাম
অনলাইনে কোন কাজ হারাম
যে সমস্ত কাজগুলোতে টাকার বিনিময়ে টাকা ইনকাম করা হয় সেই সমস্ত কাজগুলোকে অনলাইনে হারাম বলা হয় যেমন কিছু কিছু ওয়েবসাইট টাকা ইনভেস্ট করে সেই টাকার বিনিময়ে আরো ইনকাম করা হয় যেখানে লাভ এবং লস এর প্রশ্ন উঠে। অনলাইনে কিছু ব্যবসায়ীরা জুয়া খেলেন এবং জুয়াতে টাকা ইনকাম করেন আবার টাকা হেরে যান এই পদ্ধতিগুলোকে সম্পূর্ণ হারাম বলা হয়।
কিছু লোক অনলাইনে জুয়া খেলে এবং নিজেকে ফ্রিল্যান্সার বলে দাবি করে এদের কাজগুলো সম্পন্ন হারামের সাথে লিপ্ত। অনলাইনে হাজার হাজার কাজ রয়েছে যেমন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম, ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম, লোগো ডিজাইন করে ইনকাম, গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম,
আর্টিকেল লিখে ইনকাম। এই কাজগুলো করে ইনকাম করলে এতে কোন ভুল নেই। লাইনে থাকার বিনিময় কিংবা টাকা লাগিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতিকে হারাম বলা হবে। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অনলাইনে কোন কাজ হারাম এবার চলুন আমরা দেখে আসি অনলাইনে ইনকাম করা কি জায়েজ?
অনলাইনে ইনকাম করা কি জায়েজ
আপনারা অনেকেই এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন যে অনলাইনে ইনকাম করা কি জায়েজ নাকি? কারণ হাজার হাজার যুবকরা অনলাইন ইনকামকে নিজের একক স্পেশাল হিসেবে বেছে নিয়েছেন এবং অনলাইন থেকে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। তবে এই অনলাইনে ইনকাম পদ্ধতিটি হালাল নাকি হারাম?
অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে যেমন
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- লোগো ডিজাইন
- অ্যানিমেশন ক্রিয়েট
- কার্টুন তৈরি
- ট্রান্সলেটটিং
- কপি টু পেস্ট
- ডাটা এন্ট্রি
- টি শার্ট ডিজাইন
- বুক কভার এডিটিং
এছাড়াও অনলাইনে আরো বিভিন্ন কাজ রয়েছে এই কাজগুলো করে ইনকাম করলে ইনকাম অবশ্যই হালাল হবে এতে কোন ভুল নেই কিন্তু যে কাজগুলোতে টাকার বিনিময়ে টাকা ইনকাম করা হয় এই কাজগুলো হারাম যেমন অনলাইনে যেখানে জুয়া কে প্রমোট করা হয় জুয়া খেলে টাকা ইনকাম করা হয় এই ওয়েবসাইট গুলো থেকে টাকা ইনকাম করলে সেটি অবশ্যই হারাম হবে।।
কিন্তু অনলাইনে পরিশ্রম করে খাটাখাটনি করে ইনকাম করা অবশ্যই সেটি হালাল। আপনারা অনেকে মনে করেন অনলাইনে কোথায় থেকে টাকা আসে? অনলাইনে টাকা ইনকাম হারাম। কিন্তু এই ধারণাগুলো সম্পূর্ণ ভুল অনলাইনে প্রতিটি কাজ হারাম নয়। যেমন হাজার হাজার ইউটিউবার youtube এ ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করেন এই কাজগুলো হালাল। আবার অনেকে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ইনকাম করে। এই কাজগুলো হালাল।
উপসংহার: ড্রপশিপিং কি হালাল - ড্রপশিপিং করে মাসে ৫০ হাজার
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম ড্রপসিপিং কি হালাল নাকি হারাম। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন ড্রাফ শিপিং কি হালাল নাকি হারাম পাশাপাশি ড্রপ শিপিং করে কিভাবে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায় আমরা সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম আশা করছি আজকের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। প্রতিবেদনটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে একটি কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই জানাবেন ধন্যবাদ।
ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url