এরোমেটিক যৌগ কাকে বলে- জৈব যৌগ কাকে বলে

সহজ ভাষায় অ্যারোমেটিক যৌগ হলো যার অনুতে ইলেকট্রন গুলো চক্রাকার ভাবে আবর্তিত হতে থাকে। অ্যারোমেটিক যৌগ অন্যান্য যৌগের তুলনায় অনেক বেশি স্থিতিশীল হয়ে ওঠে। এরোমেটিক যৌগ কাকে বলে- জৈব যৌগ কাকে বলে , অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন কাকে হেটারও অ্যারোমেটিক যৌগ কাকে বলে সে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব। 
এরোমেটিক যৌগ কাকে বলে- জৈব যৌগ কাকে বলে
আপনি যদি আজকের এই পোস্টটি সম্পন্ন দেখেন তাহলে এরোমেটিক যৌগ কাকে বলে- জৈব যৌগ কাকে বলে , অ্যারোমেটিক যৌগ এর প্রকারভেদ এবং হেটারো অ্যারোমেটিক যৌগ কাকে বলে? সে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। অ্যারোমেটিক যৌগের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং অ্যারোমেটিক যৌগের উদাহরণসহ সবকিছু বিস্তারিত আজকের এই প্রতিবেদনে শেয়ার করব। 

জৈব যৌগ কাকে বলে 

যে যৌগগুলো প্রাকৃতিকভাবে জীবদেহে পাওয়া যায় বা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয় তাকে বলা হয় জৈব যৌগ জৈব যৌগ এমন এক ধরনের যৌগ যার মধ্যে মূল উপাদান রয়েছে কার্বন। আমরা প্রত্যেকেই কার্বন এই শব্দটির সাথে পরিচিত বিশেষ করে যারা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তারা অবশ্যই কার্বন শব্দের সাথে পরিচিত রয়েছেন। জৈব যৌগের গুরুত্ব অধিক। 

আরো দেখুন: যজ্ঞ ডুমুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
জৈব যৌগের সংজ্ঞা: ''হাইড্রোকার্বন এবং হাইড্রোকার্বন হতে সৃষ্ট যে যৌগসমূহ তৈরি হয় তাকেই জৈব যৌগ বলা হয়।'' জৈব যৌগকে যৌগিক উপাদান বলা হয় এবং এই উপাদানের মূল বৈশিষ্ট্য হলো কার্বন মূলত হাইড্রোকার্বন এবং হাইড্রোকার্বন এর সম্মেলনে জৈব যৌগ তৈরি করা হয়। এই জন্য জৈব যৌগের মূল উপাদান হলো কার্বন। 

জীব এবং প্রাণীদেহ শুধুমাত্র জৈব যৌগের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে কার্বনের যৌগসমূহ অথবা জৈব যৌগের ধর্ম গঠন প্রস্তুতি এবং বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি সম্বন্ধে আলোচনা করা হয় জৈব রসায়নে। জৈব রসায়ন এটি আলাদা একটি বিষয় যেখানে শুধুমাত্র জৈব যৌগ নিয়ে আলোচনা করা হয়। জৈব যৌগের মাধ্যমে প্রাণীদেহ তৈরি করা হয় এজন্য জীববিজ্ঞান এবং জৈব রসায়ন একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। 

১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী বার্জিলিয়াসের মাধ্যমে জৈব যৌগের মতবাদটি পাওয়া যায় এবং সেই মতবাদকে প্রাণশক্তি মতবাদ বলা হয়। জৈব এই শব্দটির উৎপত্তি হয়েছিল প্রথম শতাব্দীতে। জৈব যৌগকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যেমন 
  • প্রাকৃতিক যৌগ 
  • সংশ্লেষিত যৌগ 
জৈব যৌগকে শ্রেণিবিন্যাস করার বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয় এছাড়াও জৈব যৌগসমূহ কে হেটারো পরমাণুর উপস্থিতির মাধ্যমে বিন্যাস করা যায় আকারের দিক থেকে জৈব যৌগ সমূহ কে ক্ষুদ্রাকার অনু এবং পলিমার এই দুই শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। নিচে দেখে নিন জৈব যৌগের প্রকারভেদ। 

প্রাকৃতিক যৌগ 

প্রাকৃতিক যৌগ বোঝা যায় যে যৌগগুলো শুধুমাত্র প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় এবং প্রাণীদেহে রয়েছে। জীব এবং প্রাণীদেহ জৈবিক যৌগ দ্বারা তৈরি। এই যৌগ গুলো প্রকৃতি থেকে আহরণ করা হয়। এইজন্য এই যৌগ গুলোকে প্রাকৃতিক যৌগ বলা হয় তবে এই যৌগগুলো কৃমির তৈরি করা যায় কিন্তু সেটি অনেক ব্যয়বহুল। প্রাকৃতিক যৌগের উদাহরণ নিচে দেওয়া রয়েছে দেখে নিন।
  • টারপিনয়েড 
  • এলকালয়েড
  • ভিটামিন বি১২ 
এই যৌগগুলো প্রকৃতি থেকে পাওয়া যায় এই জন্য এদেরকে প্রাকৃতিক যৌগ বলা হয়। এছাড়াও এই উপাদান গুলো মানব শরীরে পাওয়া যায়। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন প্রাকৃতিক যৌগ কাকে বলে এবার চলুন আমরা দেখে আসি সংশ্লেষিত যৌগ কাকে বলে। 

সংশ্লেষিত যৌগ 

যে সমস্ত যৌগ অন্যান্য যৌগের রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা হয় তাকে বলা হয় সংশ্লেষিত যৌগ এই যৌগগুলো শুধুমাত্র প্রাণী এবং জীবদেহে পাওয়া যেতে পারে তাছাড়া প্রকৃতি থেকে এই যৌগগুলো পাওয়া অসম্ভব। এক কথায় বিভিন্ন যৌগের সমন্বয় তৈরি করা হয় সংশ্লেষিত যৌগ।  সংশ্লেষিত যৌগের উদাহরণ নিচে দেওয়া রয়েছে দেখে নিন।
  • পলিমার 
  • প্লাস্টিক পলিথিন 
পলিমার এবং প্লাস্টিক বিভিন্ন যৌগের সমন্বয় তৈরি করা হয় এই জন্য একে বলা হয় সংশ্লেষিত যৌগ পরীক্ষাতে অনেক সময় আসে যে সংশ্লেষিত যৌগের কয়েকটি উদাহরণ দাও। সংশ্লেষিত যৌগের উদাহরণ হল পলিমার ও প্লাস্টিক।

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন জৈব যৌগ কাকে বলে এবং জৈব যৌগের প্রকারভেদ গুলো কি কি জৈব যৌগ বলতে বোঝায় হাইড্রোকার্বন ও হাইড্রোকার্বন এর মাধ্যমে তৈরি যৌগ সমূহ। জৈব যৌগ এর মূল উপাদান হলো কার্বন। জৈব যৌগের উদাহরণ হল গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সেলুলোজ ,প্রোটিন ও এসপিরিন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি অ্যারোমেটিক যৌগ কাকে বলে। 

এরোমেটিক যৌগ কাকে বলে- জৈব যৌগ কাকে বলে 

আপনি কি জানেন এরোমেটিক যৌগ কাকে বলে? অ্যারোমেটিক যৌগ বলতে বোঝায় যৌগটি বিভিন্ন অনু একাধিক বেনজিন এর মত চক্রাকার ভাবে আবর্তিত হতে থাকে এবং অ্যারোমেটিক যৌগের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো অ্যারোমেটিক যৌগ গুলো সুগন্ধি গন্ধযুক্ত হয় এজন্য এর নামকরণ অ্যারোমেটিক করা হয়।

সকল অ্যারোমেটিক যৌগগুলো সাধারণ সম্পাদনা প্রকাশ করা যায় যেমন c4r +2h2r + 4। এখানে r হলো বলই সংখ্যা। এইখানে সকল অ্যারোমেটিক যৌগ কিন্তু অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন নয় কারণ সেই যৌগগুলোকে অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন হতে হলে হাইড্রোজেন এবং কার্বন দিয়ে গঠিত হতে হবে প্রতিটি অ্যারোমেটিক যৌগ ও হাইড্রোজেন এবং কার্বন দিয়ে গঠিত হয় না এই জন্য প্রতিটি অ্যারোমেটিক যৌগিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বনন নয়। 

অ্যারোমেটিক যৌগ কোন শব্দ থেকে এসেছে 

অ্যারোমেটিক এই শব্দটি গ্রিক শব্দ অ্যারোমা থেকে এসেছে এবং অ্যারোমেটিক নামকরণের পিছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে কারণ অ্যারোমেটিক যৌগ গুলো সুগন্ধিযুক্ত হয়।। এইজন্য এই যোগের নাম দেওয়া হয়েছে অ্যারোমেটিক। সুগন্ধর ইংরেজি হল Aroma অথবা Arometic। তাই এই যৌগ গুলোকে বলা হয় অ্যারোমেটিক যৌগ। 

অ্যারোমেটিক যৌগের সংকেত 

বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যারোমেটিক যৌগের সংকেত জেনে রাখা খুবই জরুর। অ্যারোমেটিক যৌগের সবচেয়ে পরিচিত কিছু যৌগের সংকেত হলো C10H8, C6H6, C14H10। C10H8=ন্যাপথলিন, C6H6= বেনজিন এবং C14H10= এনথ্রাসিন। এই প্রতিটি উপাদান থেকে সুগন্ধ বের হয় আমরা প্রত্যেকেই নিশ্চয়ই ন্যাপথলিন চিনি?

ন্যাপথলিন থেকে একটি সুগন্ধি আসে তাইতো? ন্যাপথলিন কার্বন দ্বারা তৈরি এবং এই উপাদান থেকে প্রচুর সুগন্ধি আসে এই জন্য এই যৌগকে বলা হয় অ্যারোমেটিক যৌগ পরীক্ষা যদি যৌগের উদাহরণ চাওয়া হয় তাহলে নিঃসন্দেহে ন্যাপথলিন দিতে পারবেন।

প্রতিটি অ্যারোমেটিক যৌগকে হকের নীতি অনুসারে 4n+2 সংখ্যক সঞ্চালনশীল পাই ইলেকট্রন যৌগের মাধ্যমে চিহ্নিত করা সম্ভব। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অ্যারোমেটিক যৌগ কাকে বলে এবং এরোমেটিক যৌগের সংকেত কি ? এবার চলুন আমরা দেখে আসি কেন একে অ্যারোমেটিক যৌগ বলা হয়? অর্থাৎ অ্যারোমেটিক যৌগ নামকরণের ইতিহাস 

অ্যারোমেটিক যৌগ নামকরণের ইতিহাস 

অ্যারোমেটিক যৌগ নামকরণ করা হয় ইংরেজি শব্দ Aroma থেকে। অ্যারোমেটিক যৌগ গুলো থেকে সুগন্ধি পাওয়া যায় আর সুগন্ধি এর ইংরেজি শব্দ হলো aroma। এজন্য এই যৌগ গুলোর নাম অ্যারোমেটিক দেওয়া হয়। অ্যারোমেটিক নামকরণের মূল কারণ হলো সুগন্ধি যুক্ত যৌগ।

প্রথম আবিষ্কৃত অ্যারোমেটিক যৌগগুলো সুগন্ধি যুক্ত ছিল। এইজন্য বিজ্ঞানীরা চিন্তা করেন এই যোগের নাম যদি অ্যারোমেটিক রাখা হয় তাহলে বেশ ভালো হবে। কারণ সুগন্ধি এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Aroma অথবা arometic। এইজন্য এই যৌগ গুলোর নাম দেওয়া হয়  অ্যারোমেটিক যৌগ বললেই বোঝা যায়। আসলে যে এই অ্যারোমেটিক যৌগ থেকে সুগন্ধ পাওয়া যায়।

অ্যারোমেটিক যৌগ গুল বেনজিরের মত গঠন সম্পন্ন। এই যৌগ গুলোর অণুতে বেনজিন এর মত ইলেকট্রন গুলো প্রতি মুহূর্ত চক্রাকার ভাবে আবর্তিত হয় এই জন্য একে বেনজিনের রিং বলে। ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে এই যৌগের নামকরণ করা হয় আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন অ্যারোমেটিক যৌগের নামকরণের ইতিহাস সম্পর্কে। এবার যখন আমরা দেখে আসি অ্যারোমেটিক যৌগের বৈশিষ্ট্য গুলো

অ্যারোমেটিক যৌগের বৈশিষ্ট 

অ্যারোমেটিক যৌগের বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন এরা অতিরিক্ত স্থিতিশীল ইলেকট্রনের বিকেন্দ্রীকরণ সমতলীয় গঠন এবং চক্রাকার ভাবে আবর্তিত হতে। অ্যারোমেটিক যৌগ বলতে বোঝায় যে যৌগ গুলো সুগন্ধিযুক্ত হয় এবং অ্যারোমেটিক যৌগ এমন এক ধরনের যৌগ যার অনুতে একাধিক বেনজিন এর মতো চক্রাকার ভাবে ইলেকট্রন প্রতিমুহূর্তে আবর্তিত হতে থাকে। এইজন্য এই যৌগ গুলোকে অ্যারোমেটিক যৌগ বলা হয় অ্যারোমেটিক যৌগের মূল কয়েকটি বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া রয়েছে দেখে নি।

স্থিতিশীলতা

অ্যারোমেটিক যৌগ এর ইলেকট্রনের বিকেন্দ্রীকরণের কারণে যৌগগুলো অতিরিক্ত স্থিতিশীল হয়। অ্যারোমেটিক যৌগের স্থিতিশীলতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই স্থিতিশীলতা অন্যান্য গঠন এবং ইলেকট্রন বিন্যাসের কারণে হয়ে থাকে।

প্রতিটি যৌগোতে অণু এবং পরমাণু থাকে। অনু পরমাণু প্রতিমুহূর্তে চলমান থাকে কিন্তু অ্যারোমেটিক যৌগের ইলেকট্রন গুলো স্থিতিশীল হয়। অ্যারোমেটিক যৌগের ইলেকট্রন গুলো বিকেন্দ্রীকরণের কারণে অনুর শক্তি কমে যায় এবং তারা স্থিতিশীল হয়ে যায়। 

সমতলীয় গঠন 

অ্যারোমেটিক যৌগের প্রতিটি পরমাণু একই তলে থাকে। অ্যারোমেটিক যৌগের সমতলীয় গঠন হলো একটি বিশদ ব্যাখ্যা । গঠন বলতে বোঝায় এই যৌগের অনুতে থাকা সকল পরমাণুগুলো একই তলে বসবাস করে। এই সমতলীয় গঠনকেই মূলত অ্যারোমেটিক যৌগের স্থিতিশীলতা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য গুলোর জন্য দায়ী হিসেবে মানা হয়।

হুকেলের নিয়ম 

অ্যারোমেটিক যৌগে স্থিতিশীলতার সম্পর্কে হুকালের একটি নিয়ম রয়েছে । সেই নিয়ম হল অ্যারোমেটিক যৌগতে 4n+২ সমান r ইলেকট্রন থাকা। অ্যারোমেটিক যৌগ সম্পর্কে হুকালে নিয়ম হলো একটি চক্রাকার সমতলীয় যৌগকে অ্যারোমেটিক যৌগ বলা যাবে। অ্যারোমেটিক যৌগতের 4n+2 হতে হবে এবং এইখানে r সংখ্যক ইলেকট্রন থাকা জরুরী। n একটি পূর্ণ সংখ্যা এবং চক্রাকার গঠনে 2,6,10 এবং 14 সখক r থাকতে হবে।

ইলেকট্রনের বিকেন্দ্রীকরণ 

চক্রাকার গঠনের মধ্যে যৌগের মূল বৈশিষ্ট্য হল এরা একে নির্দিষ্ট প্যাটারনেবিকৃতভাবে আবর্তিত হতে থাকে এই বিকেন্দ্রীকরণকে মূলত কনজুগেশন বলা হয়। 

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অ্যারোমেটিক যৌগের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। অ্যারোমেটিক যৌগের এই মূল কয়েকটি বৈশিষ্ট্য ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য মুখস্ত করা খুবই জরুরী এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি অ্যারোমেটিক যৌগের ব্যবহার।

অ্যারোমেটিক যৌগের ব্যবহার 

অ্যারোমেটিক যৌগকে আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি যেমন এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অ্যারোমেটিক যৌগের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং রাসায়নিক গঠনের কারণে এগুলো বিভিন্ন শিল্প ও কারখানাতে ব্যবহার করা হয়। যেমন ঔষধ শিল্পের রাসায়নিক শিল্পে আরো অন্যান্য শিল্পে অ্যারোমেটিক যৌগ ব্যবহার করা হয়। 

ঔষধ শিল্পে: এসপিরিন প্যারাসিটামল এন্ড সেপটিক জীবাণুনাশক ঔষধ ক্যান্সারের ঔষধ তৈরিতে অ্যারোমেটিক যৌগ ব্যবহার করা হয়। 

অন্যান্য শিল্পে: সুগন্ধি তৈরিতে অ্যারোমেটিক যৌগ ব্যবহার করা হয় আবার খাদ্য সংরক্ষণের জন্য প্রিজারভেটিভ করার জন্য অ্যারোমেটিক যৌগ ব্যবহার করা হয় এছাড়াও ফসলের কীটনাশকে অ্যারোমেটিক যৌগ ব্যবহার করা হয়। 

রাসায়নিক শিল্পে: রাসায়নিক শিল্প কারখানাতে রং ও পেইন্ট তৈরি করার সময় এর মধ্যে মূল উপাদান রয়েছে অ্যারোমেটিক যৌগ এইজন্য রং থেকে কিছু সুগন্ধি পাওয়া যায়। এই সুগন্ধির মূল কারণ হলো অ্যারোমেটিক যৌগ। প্লাস্টিকে অ্যারোমেটিক যৌগ ব্যবহার করা হয় আবার সলভেন্ট দ্রাবকে অ্যারোমেটিক যৌগ ব্যবহার করা হয় এছাড়াও বিস্ফোরক কিছু উপাদানেও অ্যারোমেটিক যৌগ ব্যবহার করা হয়।

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অ্যারোমেটিক যৌগের ব্যবহার সম্পর্কে। বিভিন্ন কাজে অ্যারোমেটিক যৌগ ব্যবহার করা হয় এছাড়াও ন্যাপথলিন কাপড়ে ব্যবহার করা হয় এর কারণ হলো এর মধ্যে অ্যারোমেটিক যৌগ বিদ্যমান রয়েছে। 

 অ্যারোমেটিক যৌগের উদাহরণ 

আপনি কি অ্যারোমেটিক যৌগের উদাহরণ খুঁজছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন অ্যারোমেটিক যৌগের কিছু জনপ্রিয় উদাহরণ রয়েছে যেমন ন্যাপথলিন, বেনজিন, অ্যানথ্রাসিন। যারা বিজ্ঞানী বিভাগের শিক্ষার্থী রয়েছেন তাদের জন্য অ্যারোমেটিক যৌগ সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী।

অ্যারোমেটিক যৌগ কাকে বলে এবং অ্যারোমেটিক যৌগের উদাহরণ কি কি পরীক্ষাতে বারবার এমন প্রশ্ন আসে যে অ্যারোমেটিক যৌগ গুলো কাকে বলে। ইতিমধ্যে আমরা বুঝতে পেরেছি যে অ্যারোমেটিক যৌগ কাকে বলে এবার আমরা জানবো অ্যারোমেটিক যৌগের উদাহরণ সমূহ। 
  • ন্যাপথলিন 
  • ফিন্যাল 
  • টলুইন 
  • অ্যানিলিন 
  • বেনজিন 
  • অ্যানথ্রাসিন
 সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অ্যারোমেটিক যৌগের উদাহরণ সম্পর্কে। ওপরের এই উপাদানগুলো হল অ্যারোমেটিক যৌগ। এই যৌগ গুলোর নাম মনে রাখা খুবই জরুরী এবার চলুন আমরা দেখে আসি হেটারো অ্যারোমেটিক যৌগ কাকে বলে।

হেটারো অ্যারোমেটিক যৌগ কাকে বলে 

হেটারও অ্যারোমেটিক যৌগ বলতে বোঝায় যেসব বৃত্তাকার যৌগের বলাই গঠনে কার্বন পরমাণু সহ অন্য ভিন্ন মনের পরমাণু যেমন o s এবং n প্রভৃতির অংশগ্রহণ করে তাকে বলা হয় হেটারও অ্যারোমেটিক যৌগ। 

এককথায় হেটারও অ্যারোমেটিক যৌগ বলতে বোঝায় এমন একটি চক্রাকার যৌগ যেখানে চক্রটি পরমাণু গুলোর মধ্যে কার্বন ছাড়া আরো অন্যান্য পরমাণু যেমন নাইট্রোজেন সালফার বা অক্সিজেন অংশগ্রহণ করবে। 

এটারও অ্যারোমেটিক যৌগের বৈশিষ্ট্য 

হেটারো অ্যারোমেটিক যৌগগুলো চক্রাকার কাঠামো যুক্ত হয় এরা অ্যারোমেটিক যৌগের মতোই হয় একান্তর একক দিবন্ধন থাকে।

এটারও অ্যারোমেটিক যৌগগুলো সমতলীয় কাঠামোযুক্ত হয়, চক্রাকার পদ্ধতিতে আবর্তিত হয় এবং এদের ইলেকট্রন গুলো চকলেট সারাংশে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করে। 

হেটারও অ্যারোমেটিক যৌগের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এদের সুগন্ধি থাকে এদেরকে সাধারণত সুগন্ধিযুক্ত অ্যারোমেটিক যৌগ বলা হয়।।

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন হেটারও অ্যারোমেটিক যৌগের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে হেটারো অ্যারোমেটিক যৌগের উদাহরণ কি? হেটারও অ্যারোমেটিক যৌগের উদাহরণ হল পিরিডিন, থিওফেন এবং ফুরান। আশা করছি উপরের এত আলো যার মাধ্যমে আপনারা অ্যারোমেটিক যৌগ কাকে বলে এবং জৈব যৌগ কাকে বলে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। 

উপসংহার 

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা এরোমেটিক যৌগ কাকে বলে- জৈব যৌগ কাকে বলে , অ্যারোমেটিক যৌগের বৈশিষ্ট্য অ্যারোমেটিক যৌগের উদাহরণ জৈব যৌগের বৈশিষ্ট্য এবং জৈব যৌগ কত প্রকার সে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা অবশ্যই অ্যারোমেটিক যৌগ এবং জৈব যৌগ সম্পর্কে জানেন।

পরীক্ষা দে বার বার অ্যারোমেটিক যৌগ কাকে বলে এবং জৈব যৌগ কাকে বলে সে বিষয়গুলো আসে তাই আপনি যদি জৈব যৌগ এবং অ্যারোমেটিক যৌগ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই প্রতিবেদনটি মনোযোগসহ দেখে নিন। জৈব যৌগের মূল উপাদান হলো কার্বন এবং অ্যারোমেটিক যৌগের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এরা সুগন্ধি যুক্ত হয়। এই দুইটা জিনিস মনে রাখতে হবে। 
জৈব যৌগের উদাহরণ এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে উপরে দেখে নিন। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা অ্যারোমেটিক যৌগের সংকেত এবং জৈব যৌগের সংকেতগুলো শেয়ার করেছি আশা করছি আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন এমনই দুর্দান্ত আরও টিপ পেতে এই ওয়েবসাইটের টিপস এবং ট্রিকস পেজ ভিজিট করুন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url