কোষ বিভাজন কত প্রকার ও কি কি? কোষ বিভাজন সম্পর্কে A - Z

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি আপনারা খুব ভালো আছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব কোষ বিভাজন কত প্রকার ও কি কি, কোষ বিভাজন কাকে বলে অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন কাকে বলে কোষ বিভাজন কত প্রকার অপত্য কোষ কাকে বলে। সহজ ভাষায় কোষ বিভাজন সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত খুঁটিনাটি আজকের এই পোস্টটি আলোচনা করা হবে তাই যারা বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থী রয়েছেন তারা এই প্রতিবেদনটি সম্পন্ন মনযোগ সহ দেখে নিন।
কোষ বিভাজন কাকে বলে-কোষ বিভাজন কত প্রকার ও কি কি
আজকের এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি কোষ বিভাজন সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন। এবং নিজের ভাষায় সহজ করে কোষ বিভাজনকে ভাগ করে প্রতিটি খন্ড সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। চলুন দেরি না করে ঝটপট দেখে নেওয়া যাক কোষ বিভাজন কত প্রকার ও কি কি কোষ বিভাজন কাকে বলে বিভাজন কত প্রকার অপত্য কোষ কাকে বলে এবং অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন কাকে বলে। 

পেজ সূচিপত্র : কোষ বিভাজন কত প্রকার ও কি কি? কোষ বিভাজন সম্পর্কে A - Z 

      ভূমিকা       

কোষ বিভাজন হলো একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোষ দুইটি থেকে আরো নতুন কৌশল জন্ম হয় এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবদেহে বৃদ্ধি বংশবিস্তার ঘটে। কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অধিক কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবদেহে নতুন কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং বংশবিস্তার ঘটে। কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কোষের মেরামত হয় এবং নতুন প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। বিজ্ঞানী বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী।

অনেকে প্রশ্ন করেন কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কত প্রকার? কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া তিন প্রকার। এই তিন প্রকারের কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে বিভিন্ন ধাপ রয়েছে আজকে সে সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।। নিচে দেখে নিন কোষ বিভাজন কত প্রকার ও কি কি? কোষ বিভাজন সম্পর্কে A - Z ।

কোষ বিভাজন কত প্রকার ও কি কি? কোষ বিভাজন সম্পর্কে A - Z 

কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া তিন প্রকার এবং প্রতিটি প্রক্রিয়া অথবা পর্যায়কে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে যেমন মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াকে পাঁচটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াকে দুইটি পর্যায় বিভক্ত করা হয়েছে এবং এমাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার কোন পর্যায়ে নেই এটি সরল ও প্রাথমিক ধরনের কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া। কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া তিন প্রকার যেমন অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন, মাইটোসিস কোষ বিভাজন এবং মিয়োসিস কোষ বিভাজন। 

এমাইটোসিস কোষ বিভাজন 

এমাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়। এমাইটোসিস কোষ ভাজান প্রক্রিয়া শুধুমাত্র প্রাথমিক শ্রেণীর প্রাণীতে দেখা যায় যেমন কৃমি, কেঁচো। অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া একটি সরল এবং প্রাথমিক ধরনের কোষ বিভাজন এখানে কোন নির্দিষ্ট পর্যায়ে উল্লেখ করা নেই। এমাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে নিউক্লিয়াস এবং কোষদেহ সরাসরি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।

এমাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার উদাহরণ

অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজনের কিছু উদাহরণ যেমন ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা, ইস্ট, কেঁচো, শৈবাল, প্রোটোজোয়া। সব ধরনের ব্যাকটেরিয়াতে অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রজনন প্রক্রিয়া ঘটে। এদের নিউক্লিয়াস এবং কোষ দেহ দুইবার বিভাজিত হয় একটি ব্যাকটেরিয়ার কোষ দুইটি সমান অংশে বিভক্ত হয় এবং নতুন ব্যাকটেরিয়ার কোষ দেহ তৈরি করে। এমাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার কোন নির্দিষ্ট পর্যায়ে নেই।

মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া 

মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াকে পাঁচটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়। যেমন ইন্টারফেজ প্রফেজ ,মেটাফেজ, এনাফেজ, টেলফেজ, সাইটোকাইনেসিস। প্রফেজ পর্যায়ে নিউক্লিয়াসের আকার সবচেয়ে বড় থাকে এবং ক্রোমোজোম দৃশ্যমান থাকে অর্থাৎ দেখা যায়। মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া তে ধীরে ধীরে নিউক্লিয়াসের আগার কমতে থাকে এবং ক্রোমোজোম অদৃশ্যমান হতে থাকে।

ইন্টারফেজ পর্যায় 

ইন্টারফেজ পর্যায়ে মাইটোসিসের প্রস্তুতিকরণ হয়। প্রথম পর্যায়ে ইন্টারফেজে কোষ বিভাজনের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে এবং ডিএনএ প্রতিলিপন ঘটে কোষের জেনেটিক উপাদান গুলো অথবা ডিএনএ এই পর্যায়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়। এইজন্য ইন্টারফেজ পর্যায়ে নিউক্লিয়াসের আকার সবচেয়ে বড় দেখা যায় এবং কোষের আকার ও আয়তন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। ইন্টারফেজ পর্যায়ে মাইট্রোকনডিয়া গোলজি বডি ইত্যাদি এদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। 

প্রফেজ 

মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় পর্যায়ে হলো প্রফেজ প্রফেজ পর্যায়ে ক্রমশম গুলো ঘনীভূত হতে থাকে এবং দৃশ্যমান হয়ে ওঠে এই পর্যায়ে নিউক্লিয়াস ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হতে থাকে। মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার প্রফেজ পর্যায়ে সেন্ট্রোসোম দুটি বিপরীত মেরুতে সরে যায়

এবং সেখানে স্পিন্ডল তন্ত্র তৈরি করে।। এই স্পিন্ডল তন্ত্ত গুলোর জালের মত বিছিয়ে থাকে। মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার প্রফেজ ধাপে সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এখানে স্পিন্ডল তন্তু তৈরি হয় এবং নিউক্লিয়াস ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হতে থাকে।। 

মেটাফেজ 

মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার তৃতীয় ধাপ হল মেটাফেট মেটাফেজ পর্যায়ের ক্রোমোজোম গুলো বিষুবীয় অঞ্চলে সাজানো থাকে এবং ক্রোমাটিড গুলো স্পিন্ডল তন্ত্র সাথে যুক্ত হয়ে যায় এক্ষেত্র গ্লু এর মত কাজ করে এবং ক্রোমাটিড গুলোকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে থাকে যার ফলে ক্রোমাটিয়েড গুলো হৃদপিন্ডল তন্তুর সাথে যুক্ত হয়ে যায়। 

এনাফেজ 

মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া চতুর্থ ধাপ অথবা পর্যায়ে হলো এনাফেজ। অ্যানাফেজ পর্যায়ের ক্রোমাটিড হলো বিপরীত মেরুতে ধীরে ধীরে সরতে থাকে এবং সেন্ট্রোমিয়ারে বিভক্ত হয়ে যায়। এরাফেজ পর্যায়ের বৈশিষ্ট্য হল এখানে শুধুমাত্র ক্রোমাটিয়েড গুলো সেন্ট্রোমিয়ারে বিভক্ত হয়ে যায় এবং বিপরীত নিয়ত ধীরে ধীরে সরতে থাকে। 

টেলোফেজ 

মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার সর্বশেষ পর্যায়ে হলো তেলপেজ এখানে নতুন নিউক্লিয়াসের গঠন হয় এবং প্রতিটি মেরুতে নতুন নিউক্লিয়াস তৈরি হয় ক্রোমোজোম গুলো লম্বা এবং আকারে পাতলা হয়ে যায় এবং নিউক্লিওলাস আবারো পূর্ণ গঠিত হয়। টেলোফেজ পর্যায়ে হলো মাইটোসিস কোষ বিভাজের প্রক্রিয়ার সর্বশেষ পর্যায়ে এখানে অনেকগুলো নিউক্লিয়াস দেখতে পাওয়া যায়।

তারপর কষদেহ মাঝখান থেকে চুপসে যায় এবং দুইটি অপত্য কোষে বিভক্ত হয় এই পদ্ধতিকে বলা হয় মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া। এবার চলুন আমরা দেখে আসি মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া সম্পর্কে।

মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া 

মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াকে দুইটি পর্যায়ে বিভক্ত করা হয়েছে যেমন এক) মিয়োসিস 1 এবং দুই) মিয়োসিস 11। মিয়োসিস 1 পর্যায়ের প্রফেজ 1, মেটাফেজ 1 এনাফেজ 1  এবং টেলোফেজ 1 পর্যায়ে রয়েছে। মিয়োসিস 2 পর্যায়ে, প্রফেজ 11 , মেটাফেজ 11, এ্যানাফেজ 11,  এবং টেলোফেজ 11 রয়েছে। নিচে দেখুন মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে ব্যাখ্যা করা রয়েছে। 

মিয়োসিস 1
প্রফেজ 1 ধাপে হোমোলগাস ক্রোমোজোম গুলো একত্রে জোড়া বাদ দিয়ে শুরু করে। এতে ক্রোমোজোমের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং ক্রসিং ওভার ঘটে। মেটাফেজ 1 ধাপে জোরা বাধার সেই ক্রমশম গুলো বিষুবীয় অঞ্চলের তলের একে একে সাজানো শুরু করে। অর্থাৎ প্রথমে ক্রমশম গুলো একত্রে জোড়া হতে শুরু করে তারপর সেই জোড়া হওয়া প্রমোশন গুলো বিষুবীয় অঞ্চলের তোলিও দেশে সাজানো শুরু করে।।

এ্যানাফেজ 1 এর হোমোলোগাস ক্রমশম গুলো বিপরীত মেরুর দিকে অগ্রসর হতে থাকে এবং সরে যায়। তারপর সর্বশেষ ধাপ টেলোফেজ 1 এ দুইটি নতুন নিউক্লিয়াসের জন্ম হয়। এই নিউক্লিয়াসকে বলা হয় মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার দুইটি অপর্ত্য নিউক্লিয়াস। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায়ে মিয়োসিস 1 এ দুইটি অপর্ত নিউক্লিয়া সৃষ্টি হয়।

তারপর মিয়োসিস 11 এ তৈরি হয় তারপর মেটাফেজ 11 ধাপের ক্রোমাটিড গুলো বিষুবীয় অঞ্চলের তলে সাজতে শুরু করে। তারপর ক্রোমাটিয়েড গুলো বিপরীত মেরুর দিকে অগ্রসর হতে থাকলে চারটি নতুন অপত্য নিউক্লিয়লাস এর গঠন হয়। সর্বশেষ টেলিফেজ 11 ধাপে দুইটি অপত্য নিউক্লিয়া থেকে চারটি অপত্য নিউক্লিয়া সৃষ্টি হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া। 

মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া অন্যান্য কোষ বিভাজনের তুলনামূলক জটিল এবং সময় সাপেক্ষ। বাজার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রজনন প্রক্রিয়া ঘটে এবং নতুন জীব পৃথিবীর আলো দেখে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে আসি কোষ বিভাজন কাকে বলে? 

কোষ বিভাজন কাকে বলে 

যে পদ্ধতিতে নতুন জীবের সৃষ্টি হয় তাকেই কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া বলা হয়। কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া হলো একটি জৈবিক প্রক্রিয়া। এখানে একটি কোষ দুই কিংবা ততোধিক কোষে বিভক্ত হয় এবং কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে জীবদেহের ক্ষতিগ্রস্ত মেরামত হয় জীবদেহের বৃদ্ধি হয় এবং প্রজনন ক্ষমতা বাড়ে। কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া ব্যতীত প্রজনন প্রক্রিয়া সম্ভব নয়। 

যে প্রক্রিয়ায় জীব কোষের বিভাজনের মাধ্যমে একটি কোষ থেকে চারটি কিংবা দুইটি কোষের সৃষ্টি হয় তাকে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া বলে। যেমন মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে একটি কোষ থেকে দুইটি অপত্য কোষের সৃষ্টি হয় মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে দুইটি অপত্য নিউক্লিয়াস থেকে চারটি অপত্য নিউক্লিয়াসের সৃষ্টি হয় এই পদ্ধতি গুলোকে বলা হয় কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া। 

একটি  সুকেন্দ্রিক জীবের দুই রকমের কোষ বিভাজন ঘটে, একটি বর্ধনশীল অন্যটি প্রজনন সংক্রান্ত কোষ বিভাজন।। সহজ ভাষায় একটি সুকেন্দ্রিক জীবের মধ্যে মাইটোসিস এবং মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া ঘটে। আর প্রাথমিক প্রাণীগুলোর মধ্যে অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া ঘটে, প্রাথমিক প্রাণী বলতে বোঝায় ব্যাকটেরিয়া ,অ্যামিবা, ছত্রাক, ইস্ট।

মানবদেহ একটি কোষ থেকেই তৈরি হয়। কোষ বিভাজন তিন ধরনের হয় যেমন অ্যামাইটোসিস মাইটোসিস এবং মিয়োসিস। অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া প্রাথমিক শ্রেণীর প্রাণীদের মধ্যে ঘটে এবং মাইটোসিস ও মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া সুকেন্দ্রিক এবং উন্নত মানের প্রাণীদের মধ্যে ঘটে যেমন মানুষ ,বাঘ ,চিতা। 

বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা খুব জরুরী কোষ বিভাজন কাকে বলে কোষ বিভাজন কত প্রকার এবং কি কি? কোষ বিভাজন তিন প্রকার যেমন মাইটোসিস অ্যামাইটোসিস এবং মিয়োসিস। কোষ বিভাজন কাকে বলে সংজ্ঞা নিচে দেওয়া রয়েছে দেখে নিন। 

কোষ বিভাজন কাকে বলে 

যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাতৃ কোষ বিভাজিত  হয়ে অপত্য কোষ সৃষ্টি করে তাকে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া বলে। অথবা যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাতৃ কোষ বিভাজিত হয়ে দুইটি কিংবা চারটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে তাকেই কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া বলা হয়। যেমন মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে মাতৃ কোষ বিভাজিত হয়ে দুইটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে মাতৃকোষ বিভাজিত হয়ে চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে। 

এই প্রক্রিয়া গুলোকে বলা হয় কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া। মানব দেহে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অনেক বেশি এটি শুধুমাত্র মানবদেহের জন্যই নয় বরং সামাজিক টিকে থাকার জন্য এবং বংশবিস্তার করার জন্য কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অসীম। 

কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব 

কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া জীব দেহের জন্য এবং এই মানব সমাজের জন্য খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি কোষ থেকে দুই বা ততোধিক কোষের সৃষ্টি হয় এই প্রক্রিয়াটিতে জীবদেহের বৃদ্ধি ঘটে, ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো মেরামত হয় এবং প্রজনন ক্ষমতা আরো বাড়ে। মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে নতুন কোষের সৃষ্টি হয়। পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়াটিতে একটি কোষ থেকে চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি হয় যার ফলে নতুন জীবের জন্ম হয়।

মিয়োসিস কোষ ভাজন প্রক্রিয়াতে মাতৃকোষ থেকে চারটি অপরত কোষ সৃষ্টি হয় এবং এই চারটি অপত্য কোষ থেকে ধীরে ধীরে নতুন প্রাণ তৈরি হয়।। যদি কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া না ঘটে তাহলে জীবের প্রধান প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে এবং নতুন যে জন্ম দিতে ব্যার্থ হবে। যার ফলে মানুষ বংশবিস্তার করতে পারবে না এবং ধীরে ধীরে এই পৃথিবী থেকে মানুষ বিলুপ্ত হতে থাকবে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। এক কথায় যদি কোষ ভাজের প্রক্রিয়া না ঘটে তাহলে এই পৃথিবীতে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে এবং ধীরে ধীরে পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে। 

সু কেন্দ্রিক এবং উন্নত প্রাণীদের মধ্যে মাইটোসিস এবং মিয়োসিস কোষ ভাজন প্রক্রিয়া ঘটে আর প্রাথমিক শ্রেণীর প্রাণীদের মধ্যে যেমন ইস্ট অ্যামিবা এবং ব্যাকটেরিয়াদের ক্ষেত্রে এমাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া ঘটে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব কতটুকু এবার চলুন আমরা দেখে আসি অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কাকে বলে। 

অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কাকে বলে 

যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে একটি মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম কোন জটিল মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাড়াই সরল পর্যায়ে সরাসরি বিভক্ত হয়ে দুইটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে তাকে বলা হয় অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া। অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া, প্রধানত নিম্ন শ্রেণি অথবা প্রাথমিক শ্রেণীর প্রাণীদের মধ্যে ঘটে যেমন ইস্ট ব্যাকটেরিয়া অ্যামিবা ছত্রাক ইত্যাদি।

এমাইটোসিস কোষ ভাজন প্রক্রিয়াকে ক্যারিওস্টেনোসিস অথবা প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় বলা হয়। অনেকেই অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াকে দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়া বলে। এমাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া শুধুমাত্র নিম্ন শ্রেণীর প্রাণীদের মধ্যে ঘটে। এইজন্য এই কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব তুলনামূলক কম। এমাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার কোন পর্যায় নেই।

এই কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার সরল ভাবে ঘটে, প্রথমে নিউক্লিয়াস বিভক্ত হয় তারপর জীবদেহে বিভক্ত হয়। অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে মাতৃ ব কোষ দুইটি অপত্য কোষে বিভক্ত হয়।। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কাকে বলে এবার চলুন আমরা দেখে আসি মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কাকে বলে।

মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কাকে বলে 

অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া তুলনায় মাইটোসিস কোষ বিভাজন  প্রক্রিয়া তুলনামূলক জটিল। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবের মাতৃকোষ প্রথমে নিউক্লিয়াস এবং পরে সাইটোপ্লাজম বিভাজনের মাধ্যমে সম আকৃতির এবং সমগুণ সম্পন্ন দুইটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে এরূপ প্রক্রিয়াকে মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া বলা হয়। মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া শুধুমাত্র সুকেন্দ্রিক প্রাণীদের মধ্যে ঘটে।

মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে মাতৃকোষ থেকে দুইটি অপত্য কোষ সৃষ্টি হয়। এই কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে জিনগত ভাবে সমবৈশিষ্ট সম্পন্ন ও ভিন্ন কোষ এর জন্ম দেয়। মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া তে ক্রোমোজোমের সংখ্যা বজায় থাকে এবং ইন্টারফেজ পর্যায়ে ডিএনএ অনুলিপন ঘটে। মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া সর্বশেষ পর্যায় সাইটোকাইনেসিস পর্যায়ে একটি কোর্স থেকে সাইটোপ্লাজম কোষ অঙ্গাণু কোষ ঝিল্লি বিভক্ত হয়ে প্রায় সমপরিমাণ উপাদান সমৃদ্ধ দুইটি কোষের সৃষ্টি করে। 

এভাবে মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে একটি মাতৃকোষ বিভাজিত হয়ে জিনগতভাবে অভিন্ন দুইটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে। মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে প্রথমে DNA রেপ্লিকেশন ঘটে তারপর মাইটোসিস কোষের প্রক্রিয়া থেকে to diploid cells গঠিত হয়। সুপ্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কাকে বলে এবার চলুন আমরা দেখে আসি মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কাকে বলে।

মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কাকে বলে 

যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে একটি মাতৃকোষ থেকে দুইবার নিউক্লিওলাস এবং একবার ক্রোমোজোম বিভাজিত হয়ে চারটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে তাকে প্রক্রিয়া করে মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে চারটি অপত্য কোষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোমের সংখ্যার অর্ধেক হয় সংক্ষেপে বলা যায়,

যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে চারটি অপত্য কোষ ক্রোমোজোমের সংখ্যা মাতৃকোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যার অর্ধেক হয় তাকে মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া বলেন। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া সবসময়ই উন্নত শ্রেণীর প্রাণীদের মধ্যে ঘটে। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াকে মায়োসিস কোষ বিভাগের প্রক্রিয়ায় বলা হয়। 

এখানে মাতৃকোষ এর নিউক্লিয়াস দুইবার বিভাজিত হলেও ক্রোমোজোম একবার বিভাজিত হয় যার ফলে অপত্য ক্রোমোজোমের সংখ্যা মাতৃকোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যা আর অর্ধেক হয়। ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে স্ট্রাস বার্গার উদ্ভিদের জনন মাতৃকোষ থেকে মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দেন। মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াকে ২ পর্যায় বিভক্ত করা যায়। 

মিয়োসিস ১ 

মিয়োসিস ১ এই পর্যায়টি বেশ জটিল এবং দীর্ঘস্থায়ী। মিয়োসিস ১ পর্যায় এ প্রথম ধাপ প্রফেজ ১ কে পাঁচটি উপধবে ভাগ করা হয়েছে যেমন ল্যাপটোটিন, জাইগোটিন , প্যাকাইটিন ,ডিপ্লোটিন, ডায়াকাইনেসিস।
ল্যাপটোটিন
এই উপপ পর্যায়ে ক্রোমাটিন তন্তু গুলো নিউক্লিয় পর্দার কাছে ফুলের ন্যায় বকের আকারে সজ্জিত থাকে একে বলা হয় বোকে স্টেজ। এই পর্যায়ে নিউক্লিয়াস সবচেয়ে বড় থাকে। জাইগোটিন উপপর্যায়ে বাইভেলেন্ট স্টেজ দেখতে পায়। এবং এই পর্যায়ে সাইনাইসিস ঘটে। 
  • মেটাফেজ ১
  • অ্যানাফেজ ১
  • টেলোফেজ১
  • ইন্টারকাইনেসিস

মিয়োসিস ২

মিয়োসিস ১ থেকে সৃষ্ট হ্যাপ্লয়েড মাতৃকোষ যে পদ্ধতিতে চারটি হ্যাপ্লয়েড n অপত্য কোষে সৃষ্টি হয় তাকেই বলা হয় মিয়োসিস ২। মিয়োসিস দুই পর্যায়ে নিউক্লিওলাস দুইবার বিভাজিত হয় এবং ক্রোমোজোম একবার বিভাজিত হয় যার ফলে মাতৃকোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যা অপত্য কোষের ক্রমশমের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়। মিয়োসিস ২ পর্যায়কে ৫ টি উপ পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে যেমন 
  • প্রোফেজ ২
  • মেটাফেজ ২
  • অ্যানাফেজ২
  • টেলফেজ ২
  • সাইটোকাইনেসিস
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মিয়োসিস কোষ বিভাজন কাকে বলে এবং মিয়োসিস কোষ বিভাজন কত প্রকার ও মিয়োসিস কোষ বিভাজনের পর্যায় গুলো কি কি। মিয়োসিস কোষ বিভাজনকে দুই পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে যেমন মিয়োসিস ১ এবং মিয়োসিস ২। 

মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া শুধুমাত্র উন্নত শ্রেণীর প্রাণীদের মধ্যে ঘটে যেমন মানুষ। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কাকে বলে মাইটোসিস কোষ ভজন প্রক্রিয়া কাকে বলে এবং অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া জটিল নাকি সহজ। এবার চলুন আমরা দেখে আসি অপত্য কোষ কাকে বলে। 
অপত্য কোষ কাকে বলে

অপত্য কোষ কাকে বলে 

যে প্রক্রিয়াতে একটি কোষ থেকে দুইটি কিংবা চারটি কোষের সৃষ্টি হয় তাকে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া বলে আর কোষ বিভাজনের ফলে সৃষ্ট নতুন কোষ গুলোকে  অপত্য কোষ বলা হয় কিংবা কন্যা কোষ বলা হয়। যেমন মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে একটি মাতৃকোষ থেকে দুইটি অপত্য কোষ সৃষ্টি হয় এই অপত্য কোষ গুলোকে মাতৃকোষের কন্যা কোষ বলা যাবে।

মিয়োসিস কোষ বিভাজনে নিউক্লিওলাস দুইবার এবং ক্রোমোজোম একবার বিভাজিত হয়ে চারটি অপত্য সৃষ্টি করে এ ক্ষেত্রে মিয়োসিস কোষ বিভাজনের ফলে বলা যায় যে মিয়োসিস কোষ বিভাজনে মাতৃকোষ থেকে চারটি কন্যা কোষ সৃষ্টি হয়েছে এই কন্যা কোষ থেকে নতুন প্রাণ সৃষ্টি হবে। অনেকে জিজ্ঞাসা করেন আপদ্যা কোষ কাকে বলে? মূলত কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার ফলে যে সমস্ত নতুন কোষ সৃষ্টি হয় তাকে বলা হয় অপত্য কোষ। 

উপসংহার 

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম কোষ বিভাজন কাকে বলে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় কত প্রকার এবং কি কি কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব কি অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কাকে বলে মাইটোসিস কোর্স প্রক্রিয়া কাকে বলে এবং মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কাকে বলে পাশাপাশি অপত্য কোষ কাকে বলে সে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম। 

আপনারা যারা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রয়েছেন আপনাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে কারণ আজকের এই পোস্টে কোষ বিভাজন কত প্রকার ও কি কি? কোষ বিভাজন সম্পর্কে A - Z বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ক্লাস টেন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞান বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায় কোষ বিভাজন রয়েছে। 

এই অধ্যায়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যারা কোষ বিভাজন সম্পর্কে জানেন না তারা আজকের এই পোস্টটি খুব গুরুত্বসহ দেখুন সম্পূর্ণ নিজের ভাষায় কোষ ভাজন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা রয়েছে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা কোষ বিভাজন সম্পর্কে A - Z জানতে পারবেন। কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া বলতে বোঝায় প্রক্রিয়াতে একটি কোষ থেকে দুইটি কিংবা চারটি অপত্য অথবা কন্যা কোষের সৃষ্টি হয়।

যেমন মাইটোসিস কোষ বিভাজনে মাতৃকোষ থেকে দুইটি অপত্য কোষ সৃষ্টি হয় আবার মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াতে একটি মাতৃকোষ থেকে চারটি অপত্য হ্যাপ্লয়েড n কোষের সৃষ্টি হয় এই প্রক্রিয়াকেই বলা হয় কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া ৩ প্রকার। অ্যামাইটোসিস, মাইটোসিস, এবং মিয়োসিস। কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে কমেন্ট অবশ্যই জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url