উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় - বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় কি করা যায়? উৎপাদন মুখী ব্যবসা বলতে বোঝায় পণ্য উৎপাদন করে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা। উৎপাদন মুখী ব্যবসা অল্প টাকা তেল শুরু করা যায়। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখব উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা এবং নতুন ব্যবসার আইডিয়া গুলো।
আপনি যদি আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখেন তাহলে মাত্র ৫০০০ টাকার মধ্যে উৎপাদন মুখী ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারবেন। সাথে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি এবং নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পারবেন। চলুন ঝটপট দেখে আসি বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি এবং উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায়।
পেজ সূচিপত্রঃ উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় - বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
ভূমিকা
উৎপাদন কি ব্যবসা সুবিধা অনেক খুব অল্প টাকার মধ্যে উৎপাদন মুখী ব্যবসা করা যায় উৎপাদন মুখী ব্যবসা বলতে বোঝায় উৎপাদন প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজ করা হয় উৎপাদন কি কাজ করতে বেশি টাকা খরচ হয় না।
যেমন মনে করুন আপনি আপনার জমিতে টমেটো অথবা অন্যান্য সবজি চাষ করছেন। সেই সবজি চাষ করে প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বাজারজাতকরণ করছেন। বাজারের সবজিগুলো বিক্রি করে যে মুনাফা লাভ হচ্ছে এটিকে বলা হয় উৎপাদন মুখী ব্যবসা। উৎপাদন মুখী ব্যবসা শুরু করতে খুবই অল্প টাকা খরচ হয় কিন্তু উৎপাদন মুখী ব্যবসা করে প্রচুর টাকা লাভ করা যায়।
আবার এই ব্যবসায় পরিশ্রম অনেক বেশি দিতে হয়। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা কিছু উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় এবং বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো কোন ব্যবসা গুলো করে অতি দ্রুত বেশি মুনাফা অর্জন করা যায়।
উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায়
৫০০০ টাকায় কি উৎপাদনমুখী ব্যবসা শুরু করা সম্ভব? হ্যাঁ মাত্র ৫০০০ টাকাতেও উৎপাদন মুখী ব্যবসা করা সম্ভব। যেমন মৎস্য উৎপাদন ব্যবসা দুধ উৎপাদন ব্যবসা, কাঁচামাল, বাচ্চাদের খেলনা, ফুলের ব্যবসা, হ্যান্ডক্রাফট এর ব্যবসা, কাগজ এর ব্যবসা,জৈব সার তৈরি ব্যবসা, মৎস্য উৎপাদন, মুদি দোকানের ব্যবসা, চালের ব্যবসা, চিংড়ি মাছের ব্যবসা, চা এর ব্যবসা। আপনারা যারা খুব অল্প টাকার মধ্যে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই ব্যবসা গুলো ভালো হবে।
অল্প টাকার মধ্যেই বীজ কিনে মাটিতে ফুল চাষ করে সে ফুল নিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন, পুকুরে মাছ চাষ করে সেই মাছ বাজারে বিক্রি করতে পারবেন কিংবা হ্যান্ডক্রাফট পণ্য তৈরি করে বিক্রি করতে পারবেন। অন্যান্য ব্যবস্থা তুলনায় উৎপাদন মুখী ব্যবসা একটু সময় সাপেক্ষ এবং এই ব্যবসায় পরিশ্রম অনেক বেশি দিতে হয়। কিন্তু উৎপাদন মুখী ব্যবসা করে খুব অল্প টাকার মধ্যে বেশি টাকা মুনাফা অর্জন করা যায়।
ফুলের ব্যবসা
ফুল পছন্দ করে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। অল্প বিনিয়োগের মধ্যেই ফুলের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। আমাদের দেশে যে কোন উৎসব এবং অনুষ্ঠানে ফুল ব্যবহার করা হয় যেমন বিবাহতে সম্পন্ন বাড়ি এবং রাস্তা ফুল দিয়ে সাজানো হয় জন্মদিনেও আমরা ফুল প্রয়োজনীয় জিনিস। ওদের ব্যবসা করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফুল একটি উৎপাদন মুখী ব্যবসা মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে ওদের ব্যবসা শুরু করা যায়।
ফুল চারা থেকে বড় হতে প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগে। গোলাপ ফুল চারা থেকে ফুল ফুটতে প্রায় ছয় মাস সময় লাগে। ওদের ব্যবসাতে খুব অল্প মূলন প্রয়োজন শুধুমাত্র ফুলের ধারাগুলো নিয়ে মাটিতে গাছ লাগাতে হবে। এবং নিয়মিত কাছে পরিচর্যা করতে হবে। উৎপাদন মুখী কাজে পরিশ্রমের পরিমাণ অনেক বেশি হয়।
কিন্তু ফুলের ব্যবসায় পরিশ্রমের পরিমাণ কম। ফুলকি তাজা রাখার জন্য স্প্রে বটলে পানি রাখতে হবে। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর পর স্প্রে করতে হবে তাহলে ফুল তাজা থাকবে। ফুল বেশিদিন রাখা যায় না এগুলো পছন্দ উপাদান এই জন্য ফুল সঠিক সময় বিক্রি করতে না পারলে সম্পূর্ণ টাকা লস হবে।
হ্যান্ডিক্রাফট পণ্যের ব্যবসা
আমরা অনেকেই হ্যান্ডিক্রাফট পণ্য তৈরি করতে খুব ভালোবাসি যেমন হ্যান্ড পেইন্টিং, থ্রি পিস, কাস্টমইজ, কাগজ দিয়ে বিভিন্ন আইটেম তৈরি, প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরি অথবা হাতের ব্যাগ তৈরি। এইগুলো এক ধরনের হস্তশিল্পের মধ্যে পরে। ফোনে চাহিদা অনেক বেশি অনলাইনে হ্যান্ডক্রাফ পণ্য বিক্রি করলে অল্প সময়ের মধ্যে অধিক টাকা
ইনকাম করা যাবে। হ্যান্ড ক্রাফ্ট পণ্য তৈরি করতে খুব অল্প টাকা খরচ হয়। হ্যান্ডক্রাফ্ট করার জন্য এটি দোকান দিতে পারেন অথবা অনলাইনে পণ্যগুলো বিক্রি করতে পারবেন হাতে তৈরি ব্যাগ অথবা টি-শার্টে চিত্র আঁকিয়ে অধিক টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে এখন অনেকে পুঁতি অথবা মুক্ত দিয়ে মালা বালা থেকে শুরু করে বিভিন্ন আইটেম তৈরি করছে এই আইটেম গুলোর দাম অনেক বেশি ১০০ গ্রাম পুতির দাম প্রায় ৬০ টাকা কিন্তু ১০০ গ্রাম পুঁথি দিয়ে যখন আপনি একটি পণ্য তৈরি করবেন তখন সে পণ্যের দাম হবে প্রায় ৪০০-৫০০ টাকা।
হান্ডিক্রাফট প্রতিটি পণ্যের জন্য ১০০ টাকা খরচ করে ৪০০ টাকা লাভ করা। হ্যান্ডিক্রাফট বিক্রি করার জন্য দোকানের প্রয়োজন নেই বাসায় পণ্যগুলো তৈরি করে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ডেলিভারি করতে পারবেন।
চালের ব্যবসা
চাল আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য হলো চাল। চাল দিয়ে ভাত তৈরি করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ বিভিন্ন অঞ্চলের চাল চাষ করা হয় চাল চাষ করার জন্য খুব অল্প মূলধনের প্রয়োজন মাত্র ৫০০০ টাকার মধ্যে চালের ব্যবসা শুরু করা যায়। বর্তমান সময় বাজারে চালের দাম অনেক বেশি মাত্র ১ কেজি চালের দাম প্রায় 70 টাকা।
এবং মিনিকেট ১ কেজি চালের দাম ৯০ টাকা। চালের ব্যবসা করলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অধিক টাকা লাভ করতে পারবেন। চাঁদের ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমে জমিতে ধান চাষ করতে হবে ধান থেকে চাল উৎপাদন করতে হবে এবং সেই চালকে বাজার প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বিক্রি করতে হবে।
বাজার থেকে পাইকারি হলে চাউল ক্রয় করে খুচরা মূল্যে বাজারে বিক্রি করে মুনাফা লাভ করা যায় কিংবা কৃষক যখন চাউল বাজারজাতকরণ করে বাজারে বিক্রি করে সেই সময় তাদের থেকে অল্প মূল্যে চাউল ক্রয় করে বাজারে চড়া দামে খুচরা মূল্যে বিক্রি করা যায়।
মাছ চাষের ব্যবসা
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে উৎপাদন মুখী ব্যবসার মধ্যে জনপ্রিয় একটি ব্যবসা হল মাছ চাষের ব্যবসা। মাছ চাষ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। যেমন ইলিশ মাছ কাতলা মাছ চিংড়ি মাছ। পুকুরে থাকলে বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করতে পারবেন নিয়মিত মাছদের খাবার প্রদান করে পাট থেকে ছয় মাসের মধ্যে মাছ বড় হলে, সে মাছকে বাজার প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বিক্রি করা যায়।
মাত্র ৫০০০ টাকার মাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু মাছ চাষ করার আগে বিশেষ কয়েকটি দিকের ওপর নজর রাখতে হবে মাছের সঠিক পুষ্টি নির্ধারণ করতে হবে তাদেরকে ভিটামিন খাওয়াতে হবে এবং পানি পরিষ্কার রাখতে হবে। অপরিষ্কার পানিতে মাছ বাঁচতে পারেনা।
বাজারে যে মাছগুলো উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়। সেই মাছগুলো পুকুরে চাষ করতে হবে যেমন বড় রুই মাছ, টুনা মাছ, বাইম মাছ, চিংড়ি মাছ। প্রথমে ছোট ছোট মাছের পুনা পুকুরে ফেলতে হবে, মাছের সঠিক পুষ্টির জন্য পুকুরের পানিতে ভিটামিন ছিটিয়ে দিতে হবে তারপর নিয়মিত খাবার দিতে হবে।
এতে ধীরে ধীরে মাছগুলো বড় হবে। ৫ থেকে ৬ মাস পর মাছ মাঝারি সাইজের হয়ে আসলে বাজারজাতকরণ করে বিক্রি করতে হবে।। মাত্র ৫ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে মাছের ব্যবসা করে ৫০০০০ টাকা ইনকাম করা যায়।
গরু পালন
দুধ দিয়ে বিভিন্ন মিষ্টান্ন খাবার তৈরি করা হয়। এছাড়াও ছোট বাচ্চাদেরকে দুধ খাওয়ানো হয় এর জন্য দুধের চাহিদা অনেক বেশি। বাংলাদেশ গরুর দুধের চাপ বেড়েই চলেছে আগে এক কেজি দুধের দাম ছিল 40 টাকা এখন এক কেজি দুধের দাম ৭০ থেকে ৯০ টাকা। বাসায় গরু লালন পালন করলে তাদেরকে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার দিতে হবে।
তার বদলে আপনি দুধের ব্যবসা করতে পারবেন পাশাপাশি গরু বিক্রি করল প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। একটি ছোট বাচ্চা গরু ১০ থেকে ১৫ হাজারে কিনতে পাওয়া যায়। সেই গরুকে লালন পালন করে ৩ বছর ৬ মাসে দুধ দেওয়া শুরু করে। এভাবে গরু লালন পালন করে এবং গরুর দুধের ব্যবসা করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
গরুর দুধ পাড়াতে বিক্রি করতে পারবেন কিংবা ফ্যাক্টরিতে বিক্রি করতে পারবেন। উৎপাদন মুখী ব্যবসার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসা হলো গরুর লালন পালন গরুর লালন পালন করে খুব অল্প মূল্যের মধ্যে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়।
মুদি দোকানের ব্যবসা
মুদি দোকানের ব্যবসা করে ওদিক টাকা ইনকাম করা যায়। আশেপাশে লক্ষ্য করে দেখুন বেশিরভাগ দোকান গুলোই মুদি দোকান। বর্তমান সময়ে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়রা প্রত্যেকেই ফাস্ট ফুড খেতে খুব ভালোবাসি অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি মুখরচোখ এই খাবারটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। পাসপোর্ট এর ব্যবসা করেও প্রতি টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
মুদি দোকানের ব্যবসা করার জন্য পাঁচ হাজার টাকা মূলধন থাকাই যথেষ্ট। ৫০০০ টাকা মূলধন থাকলে উৎপাদনশীল কাজের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসা মুদি দোকানের ব্যবসা করে প্রতি মাসে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
চা এর ব্যবসা
আশেপাশে একটি চায়ের দোকান দিলে ভালো টাকা ইনকাম করা সম্ভব। সকালে দুপুরে এবং বিকালে যেকোনো সময় ছেলেটা দোকানে বসে চা খেতে ভালোবাসে এবং বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা দিতে ভালোবাসে। এক্ষেত্রে একটি চায়ের দোকান দিলে খুব সহজে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
চায়ের দোকানে হালকা পাতলা খাবার যেমন বিস্কুট পাউরুটি কিংবা কেক রাখতে হবে। চায়ের ব্যবসা করতে বেশি অর্থ খরচ হয় না মাত্র পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে চায়ের ব্যবসা শুরু করা যায়। চায়ের জন্য লিকার পানি একটি গ্যাসের চুলা রাখতে হবে। ১০০০ টাকার লিকার পনেরশো টাকার চিনি ক্রয় করে চায়ের দোকান দিতে হবে। মাত্র ৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রতি মাসে চায়ের দোকান থেকে ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন উৎপাদনমুখি ব্যবসা ৫০০০ টাকায়। উপরের এই ব্যবসা গুলো পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে শুরু করতে পারবেন এবং আরো অধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ের দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেশি। বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের দাম সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই জানি।
আগে একটি গোলাপ ফুলের দাম ছিল 10 টাকা কিন্তু এখন একটি গোলাপ ফুলের দাম ২০ টাকা। ৫০০০ টাকার মধ্যে গোলাপ ফুলের ব্যবসা শুরু করলেও প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। উৎপাদনমুখি ব্যবসা পাঁচ হাজার টাকায় শেয়ার করলাম এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি।
আরো পড়ুন: স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০টি বাক্য
আপনারা যারা অল্প মূল্যের মধ্যে উৎপাদনশীল ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য উপরে আমরা পাঁচ হাজার টাকায় উৎপাদন মুখী ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করেছি এবার চলুন দেখে আসি বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি ।
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি
আপনি কি ব্যবসা করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে চান? আমাদের প্রত্যেকেরই আশা থাকে যে আমরা ব্যবসা করে কিংবা চাকরি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করব আপনি যদি ব্যবসা করার মাধ্যমে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে ব্যবসা সম্পর্কে জানতে হবে। কোন ব্যবসা করে দ্রুত বেশি টাকা মুনাফা লাভ করা যায় সে বিষয়গুলো জানতে হবে।
ভুল ব্যবসা করলে লস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ব্যবসার উপর পরিবেশ নির্ভর করে। যেমন একটি বিদ্যালয় কিংবা কলেজের পাশে যদি মোবাইলের দোকান দেন তাহলে ভালো ব্যবসা হবে না কিন্তু যদি কলেজ কিংবা স্কুলের পাশে মুদিখানার দোকান দেন কিংবা স্টুডেন্ট এর প্রয়োজনীয় ওপেন কাগজ-কলম এর দোকান দেন তাহলে প্রচুর মুনাফা লাভ করতে পারবেন।
বিজ্ঞানীরা বলেন ব্যবসা করার আগে পরিবেশ দেখতে হবে যেকোনো পরিবেশেই সব ব্যবসা ভালো হয় না। মোবাইলের দোকান মার্কেটে দিতে হবে। মার্কেটে মোবাইল ক্রয় করার জন্য হাজার হাজার ক্রেতা যায়। এইজন্য মার্কেটে মোবাইলের দোকান কিংবা অন্যান্য পণ্য সামগ্রী দোকান দিলে বেশি লাভবান হওয়া যাবে।
ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার ইচ্ছা নির্ভর করে ক্রেতার আয়ের উপর। ক্রেতার আয় যদি ভালো না হয় তাহলে সে দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করতে আগ্রহ প্রকাশ করবে না এই জন্য মধ্যবিত্ত পরিবেশে বেশি দামি প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা শুরু করা যাবে না। তবে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ব্যবসা সবচেয়ে ভালো চলছে। যেমন
কাপড়ের ব্যবসা
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ব্যবসা হলো কাপড়ের ব্যবসা কাপড়ের ব্যবসা করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অধিক টাকা ইনকাম করা যায় তারপর আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর মধ্যে একটি মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা রয়েছে পানি, অর্থ, বস্ত্র, বাসস্থান এবং খাদ্য।
মানুষের মৌলিক পাঁচটি চাহিদার মধ্যে বস্ত্র রয়েছে বস্ত্র মানে কাপড়। কাপড়ের দামের হ্রাস - বৃদ্ধির উপর ক্রেতা চাহিদার হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে না কারণ কাপড় এটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে একটি। কাপড়ের দাম বাড়লেও কাপড় কিনতে হবে আবার দাম কমলেও কাপড় কিনতে হবে।
এইজন্য কাপড়ের ব্যবসা করলে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায় বর্তমান সময় বেশিরভাগ কাপড় ব্যবসায়ীরা পাইকারি মূল্যে বাজারে কাপড় বিক্রি করে প্রতি মাসে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা ইনকাম করছেন। প্রথম অবস্থাতে মূলধনের পরিমাণ কম থাকলে মাত্র ৫০০০ টাকাতেও কাপড়ের ব্যবসা শুরু করা যায়।
একটি কাপড় বিক্রি করে প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা লাভ করা যায়। যেমন একটি ১২০০ টাকার পাইকারি মূল্যে কাপড় কিনে ২০০০ টাকাতে বিক্রি করলে ৮০০ টাকা লাভ থাকে। একটি কাপড় প্রতিযোগী ৮০০ টাকা লাভ হয় তাহলে এভাবে দশটি কাপড় বিক্রি করলে প্রতিদিন প্রায় ৮০০০ টাকা মুনাফা লাভ হচ্ছে।
এভাবে কাপড় ব্যবসায়ীরা ক্ষুদ্র অবস্থা থেকে বৃহৎ অবস্থার রূপান্তরিত হন। এছাড়াও এখন তো অনলাইনে যোগ অনলাইনের মাধ্যমে কাপড় ডেলিভারি করার মাধ্যমেও আরো অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারবেন অনলাইনে একটি কাপড়ের পোস্ট দিলে প্রায় মিনিটের মধ্যে শত শত ক্রেতার ভিড় জমে যায়। তাই আপনি যদি অল্প সময়ের মধ্যে ব্যবসা করে লাভবান হতে চান তাহলে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করুন।
চিংড়ি মাছের ব্যবসা
বাংলাদেশের সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন এবং দামি মাছের মধ্যে একটি হল চিংড়ি মাছ প্রায় ইলিশ মাছের তুলনায় ডাবল দাম এখন চিংড়ি মাছের। চিংড়ি মাছ বিক্রি করে অতি দ্রুত লাভবান হওয়া চাই। বাংলাদেশের চিংড়ি মাছ প্রায় ১৯০০ টাকা কেজি।
চিংড়ি মাছের দাম এত হওয়ার কারণ হলো বাংলাদেশের চিংড়ি মাছের চাহিদা অনেক বেশি থাকে সেই দ্রব্যের দাম বেড়ে যায়। বিক্রেতার চড়া দামে সেই পন্যকে বাজারে বিক্রি করেন। গত বছরে চিংড়ি মাছ রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৩০০ হাজার কোটি টাকা ইনকাম করেছেন।
অল্প মূলধনের মধ্যে একটি ভালো ব্যবসার আইডিয়া হল একটি পুকুর ভাড়া নিয়ে সেই পুকুরে চিংড়ি মাছের পুনা চাষ করুন। নিয়মিত মাছকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য প্রদান করতে হবে এবং ৬ থেকে ৭ বাসের মধ্যে চিংড়ি মাছ বড় হয়ে গেলে প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বাজারে পাইকারি দামে বিক্রি করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে ১ কেজি চিংড়ি মাছের দাম ১৯০০ টাকা আপনি যদি ১৭০০ টাকা কিংবা ১৫০০ টাকায় ১ কেজি চিকনি মাছ বিক্রি করেন তাহলে কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনি শত শত ক্রেতা লাভ করতে পারবেন। ৫০০০ টাকা খরচ করে চিংড়ি মাছ চাষ করে মাসে ৫০০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
রড ও সিমেন্টের ব্যবসা
বাসা তৈরি করার জন্য রড ও সিমেন্টের প্রয়োজন বর্তমান সময়ে গাছপালা কেটে বাসা তৈরি করা হচ্ছে। মানুষের বসবাসের জন্য বাসার প্রয়োজন। বাসা না থাকলে আপনি থাকবেন কোথায় এই জন্য বাসাকে বিজ্ঞানীরা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে গণনা করেন।
রড ও সিমেন্ট এমন একটি উপাদান যার ওপর দাম বৃদ্ধি ও হ্রাসের কোন প্রভাব পড়ে না অর্থাৎ দাম বৃদ্ধি পেলেও ক্রয় সিমেন্ট ক্রয় করতে হবে আবার দামটা আসবেও ক্রয় করতে হবে। তবে রড ও সিমেন্টের জাম যদি হ্রাস পায়,
তাহলে ক্রেতার চাহিদা বাড়বে এবং তারা অধিক পরিমাণে রড ও সিমেন্ট ক্রয় করা শুরু করবে এতে বেশি মুনাফা অর্জন হবে এবং বিক্রেতার বেশি লাভ হবে। এভাবে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয় লাভবান হবে। রড ও সিমেন্টের ব্যবসা করার জন্য অধিক মূলধনের প্রয়োজন কিন্তু ব্যবসা করার মাধ্যমে এক বছরের মধ্যে আপনি কোটিপতি হতে পারবেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভবান ব্যবসার মধ্যে একটি হলো রড ও সিমেন্টের ব্যবসা। রড ও সিমেন্ট অনলাইন এর মাধ্যমে ক্রেতাদের মা বাসায় ডেলিভারি করার মাধ্যমে নিজের জনপ্রিয় থেকে বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং দেশ-বিদেশে আপনার নাম ছড়িয়ে যাবে।
অনলাইন ব্যবসা
বর্তমান সময়ে ব্যবসায়িকদের জন্য সবচেয়ে বড় একটি প্ল্যাটফর্ম হল অনলাইন। অনলাইনের মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শত শত ক্রেতা পাওয়া যায়। একটি দোকানে সব সময় ক্রেতার ভিড় জমে না কিন্তু অনলাইনে একটি পোস্টে সবসময় ক্রেতার ভিড় জমে থাকে। অনলাইনে কোন বিষয়ে একটি পোস্ট করলে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে হাজার হাজার ক্রেতা পাওয়া যায়।
অনলাইনের মাধ্যমে এখন মানুষের জীবনযাত্রা অনেক সহজ হয়ে উঠেছে অনলাইনকে ব্যবহার করে প্রতি মাসে ব্যবসা করে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। এখন ফেসবুক কিংবা instagram ওপেন করে বিভিন্ন পোস্ট এর বিজ্ঞাপন দেখা যায় এগুলো মূলত অনলাইন ব্যবসা।
ইনভেস্টমেন্ট এর ব্যবসা
অল্প সময়ের মধ্যে অধিক টাকা ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যবসা হল ইনভেস্টমেন্ট। ইনভেস্টমেন্ট বলতে বোঝায় অর্থ বিনিয়োগ করা যেমন মনে করুন আপনার কাছে ২০০ টাকা রয়েছে এই ২০০ টাকা কে আপনি বিনিয়োগ করার মাধ্যমে ৪০০ টাকা করতে পারছেন।
এভাবে যদি আপনারা দুই হাজার টাকা থাকে তাহলে ২০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ৪০০০ টাকা ইনকাম করা যাবে। বিনিয়োগ করার মাধ্যমে অতি দ্রুত অধিক টাকা ইনকাম করা যায় এই জন্য ধনী ব্যক্তিরা বলেন তোমরা যদি কোটিপতি হতে চাও
তাহলে বেশি বেশি বিনিয়োগ করা শুরু করো বিনিয়োগ করার মাধ্যমে নিজের ভাগ্যকে পরিবর্তন করা যায়। কিন্তু না জেনে হুটহাট করে যে কোন প্রতিষ্ঠানের অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে না অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে খুঁটিয়ে যাচাই করতে হবে সে প্রতিষ্ঠানটি কতটুকু সত্য।
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনারা যদি উপরের এই ব্যবসা গুলো করেন তাহলে আশা করছি অতি দ্রুত নিজের বর্তমানকে পরিবর্তন করে নিজের কল্পনার জগতকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে পারবেন। আমাদের প্রত্যেকের মনে আশা থাকে যে আমরা অধিক টাকা ইনকাম করব নিজের জীবন যাপনকে আরো উন্নত মানের করবো।
কিন্তু সঠিক পথে ইনকাম না করলে সঠিক পথে কাজ না করলে আপনি কখনোই নিজের কল্পনাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে পারবেন না নিজের স্বপ্নকে পূরণ করার জন্য উপরের এই উপায় গুলো আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। কিছু ব্যবসা রয়েছে যে ব্যবসা গুলো করার মাধ্যমে লাভের পরিবর্তে বরং আরো লস হয়।
সেই ব্যবসা গুলো করা যাবে না উপরে আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করলাম আপনি যদি উপরের এই ব্যবসা গুলো করেন তাহলে অতি দ্রুত অধিক টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে।
নতুন ব্যবসার আইডিয়া
আপনি কি নতুন ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন? কোন ব্যবসা করলে দ্রুত বেশি টাকা ইনকাম করা যায়? বর্তমান সময় বাংলাদেশে বেশ কিছু ব্যবসা রয়েছে যে ব্যবসা গুলো করলে অতি দ্রুত বেশি টাকা ইনকাম করা যায় বেশি টাকা ইনকাম করার জন্য বুদ্ধি খাটাতে হবে এবং স্বাগত করতে হবে যে ব্যবসা মুনাফা বেশি অর্জন হয়।
হুটহাট করে যে কোন ব্যবসা শুরু করলে মুনাফা অর্জন হবে না। আর যে কোন ব্যবসাকে অনলাইন ব্যবসাতে রূপান্তরিত করতে হবে তাহলে ইনকামের হার আরো দুই থেকে তিন গুণ বেশি বৃদ্ধি পাবে। নিচে দেখে নিন নতুন কিছু ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
- মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ মেরামতের দোকান।
- মোবাইল ফোনের কভার এর দোকান।
- AC মেরামতের দোকান।
- সোফার কভার কিংবা বালিশ এর দোকান
- ফ্রিজ পরিষ্কার করার সার্ভিস
- ছোট কফি শপ
- ফ্যাশন হাউজ
- হ্যান্ডিক্রাফট
- কসমেটিক শপ
- ব্যবহৃত পণ্য কিনা বেচা
- গিফটের দোকান শিশুদের ডাইপার এবং ফিডারের দোকান
- শিশুদের জামা কাপড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর দোকান। ফলমূলের দোকান
- ফুল দিয়ে তৈরি অর্নামেন্টসের দোকান
- আর্টিফিশিয়াল ফুল দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের দোকান
- বেকারির দোকান
- মুক্তা দিয়ে তৈরি জুয়েলারির দোকান
উপরের এই ব্যবসা গুলো খুবই দুর্দান্ত হবে অল্প সময়ের মধ্যে এই ব্যবসা গুলো করে অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। পুরাতন মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপ কিনে সেই ল্যাপটপ গুলোকে আরো চকচকে ও নতুন করে বিক্রি করলে প্রচুর টাকা লাভ করতে পারবেন।
এছাড়া বেকারির কাজ করতে পারেন কিংবা হ্যান্ড ক্রাফট পণ্য তৈরি করে বিক্রি করতে পারবেন। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে। উপরের এই ব্যবসা গুলো করলে অতি দ্রুত মুনাফা লাভ করতে পারবেন।
উৎপাদন মুখী ব্যবসা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন
উৎপাদনমুখি ব্যবসা কাকে বলে?
আপনি কি জানেন উৎপাদন মুখী ব্যবসা কাকে বলে? আমরা অনেকেই google এ সার্চ করি উৎপাদন মুখী ব্যবসা কাকে বলে এবং অল্প টাকার মধ্যে উৎপাদন মুখী ব্যবসা কি করা যায়? অল্প টাকার মধ্যে সবচেয়ে সেরা কিছু উৎপাদন কি ব্যবসা হলো চিংড়ি মাছ চাষ ধান চাষ, শাকসবজি ফলন এবং ফুল চাষ । উৎপাদনমুখী ব্যবসা বলতে বোঝায় যেই পণ্যগুলো আমরা নিজে তৈরি করি এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বাজারে বিক্রির জন্য তৈরি করি।
কোন ব্যবসা করে দ্রুত লাভবান হওয়া সম্ভব?
আপনি কি জানেন কোন ব্যবসা করে দ্রুত লাভবান হওয়া সম্ভব? কাপড়ের ব্যবসা, চিংড়ি মাছের ব্যবসা, রড ও সিমেন্টের ব্যবসা এবং চালের ব্যবসা করে দ্রুত লাভবান হওয়া যায়। সাথেই ফাস্ট ফুডের ব্যবসা করে দ্রুত বড়লোক হওয়া যায়।
৫০০০ টাকায় উৎপাদনমুখী ব্যবসা কি কি রয়েছে?
আপনি কি মাত্র পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে উৎপাদনও কি ব্যবসা শুরু করতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই পোস্টে আমরা পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে ব্যবসার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ন দেখেন তাহলে পাঁচ হাজার টাকায় উৎপাদন নথি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
উপসংহার : উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় - বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় এবং নতুন ব্যবসার আইডিয়া গুলো কি কি। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের এমন কিছু ব্যবসা রয়েছে যে ব্যবসা গুলো করে অল্প সময়ের মধ্যে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায় ব্যবসার উপর পরিবেশ নির্ভর করে যে কোন পরিবেশে ব্যবসা করে লাভবান হওয়া সম্ভব নয়।
প্রথমে পরিবেশ দেখুন এবং সে পরিবেশ অনুসারে একটি ব্যবসা শুরু করুন উপরে আমরা বেশ কয়েকটি ব্যবসার সম্পর্কে আলোচনা করলাম উপরের এই ব্যবসা হতে পারবেন আশা করছি আজকের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনের মূল লক্ষ্য ছিল ৫০০০ টাকায় উৎপাদন মুখী ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করা।
মাত্র ৫ হাজার টাকায় কি ব্যবসা শুরু করা সম্ভব? হ্যাঁ এখন মাত্র পাঁচ হাজার টাকা ব্যবসা শুরু করা সম্ভব আপনি যদি উৎপাদন ব্যবস্থা করেন তাহলে মাত্র ৫,০০০ টাকা শুরু করতে পারবেন। উপরে দেখে নিন কোন ব্যবসা গুলো মাত্র ৫০০০ টাকায় শুরু হয়।
ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url