৫০ টি মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী ৫টি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত
মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী ৫টি বৈশিষ্ট্য খুঁজছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর পার্থক্য তিনটি অমেরুদন্ডী প্রাণীর নাম, অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে উদাহরণ দাও ,১০টি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম, ২০টি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম এবং ৫০ টি মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী ৫টি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন। নিচে দেখে নিন ৫০ টি মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী ৫টি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত , মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর পার্থক্য এবং অমেরুদণ্ডী প্রাণী কাকে বলে উদাহরণ সহ।
পেজ সূচিপত্র: ৫০ টি মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী ৫টি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত
ভূমিকা
অমেরুদন্ডী প্রাণী বলতে বোঝায় তাদের শরীরে কোন কশেরোকা নেই। প্রতিটি মেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে মেরুদন্ড রয়েছে যারা তারা তাদের স্নায়ুতন্ত্র কে সুরক্ষা দেয় কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে কোন কশেরুকা অথবা মেরুদন্ড নেই। মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে প্রধান বৈশিষ্ট্য হল অমেরুদন্ডী প্রাণীগুলোর কোনো কশেরুকা এবং মেরুদন্ডী প্রাণীর মেরুদন্ড রয়েছে।মেরুদন্ডী প্রাণী গুলোর দুইটি চোখ রয়েছে কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীর চোখের মধ্যে আরও অনেক চোখ থাকে। পরীক্ষাতে বারবার এ প্রশ্নগুলো আসে যে মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর পার্থক্য গুলো কি কি এবং এদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা কর।
একটু সহজভাবে চিন্তা করলে পড়া গুলো খুব সহজে মনে রাখা যায় যেমন আমরা মানুষ অর্থাৎ আমরা মেরুদন্ডী প্রাণী এবং কীটপতঙ্গ মশা মাছি এরা হলো অমেরুদন্ডী প্রাণী এদের শরীরে কোন মেরুদন্ড নেই। নিচে দেখে নিন ৫০ টি মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী ৫টি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত ।
৫০ টি মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী ৫টি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত
এই পৃথিবীতে মেরুদন্ডী প্রাণীর তুলনায় অমেরুদন্ডী প্রাণীর সংখ্যা অনেক কম এবং অমেরুদণ্ডীর প্রাণীর প্রজাতীয় অনেক কম। এই পৃথিবীতে সর্বমোট ১,৩০০,০০০ অমেরুদন্ডী শ্রেণীর প্রজাতি রয়েছে। অমেরুদন্ডী প্রাণী বলতে বোঝায় যাদের শরীরে কোন মেরুদন্ড নেই তেমন কীটপতঙ্গ মশা মাছি পোকামাকড় শামুক মাকড়সা। অমেরুদন্ডী প্রাণীর এবং মেরুদন্ডী প্রাণীর পাঁচটি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব। প্রথমেই চলুন আমরা আমরা ঝটপট দেখে আসি ৫০ টি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম।৫০ টি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম
এই ৫০টি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম সম্পর্কে জেনে রাখলে আপনি খুব সহজেই যে কোন কাউকে উত্তর দিতে পারবেন ৫০ টি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম অনেকে জিজ্ঞাসা করে যে পাঁচটি অথবা দশটি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম বলো সে ক্ষেত্রে আপনি যদি না জানেন তাহলে বিভিন্ন হেলাস্টা শিকার হতে হবে নিচে দেখে নিন ৫০টি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম দেওয়া রয়েছে।- মানুষ
- অজগর
- কচ্ছপ
- পেঙ্গুইন
- হাঁস
- কবুতর
- ঈগল
- তোতা
- পাখি
- কোকিল
- ময়ূর পাখি
- সিংহ
- বাঘ
- কাতলা মাছ
- পাঙ্গাস মাছ
- ইলিশ মাছ
- মিরকা মাছ
- মুরগি
- উট
- গাধা
- বাদুর
- খরগোশ
- বানর
- লেবুর
- মৌল
- গন্ডার
- পান্ডা
- কাঠবিড়াল
- পেঙ্গুইন
- কাকতুয়া
- টার্কি
- হোয়েল
- তিমি হিপো
- চিতা
- জেব্রা
- ক্যাঙ্গারু
- সলমন
- ইদুর
- রাসেল ভাইপার
- টিয়া পাখি
- বুলবুল পাখি
- শার্ক
- স্টারফিশ
- মেরিন লাইফ
- সাপ
- কাক
- ওটার
- বানর
- জিরাফ
- শিম্পাঞ্জি
- কেঁচো
- কৃমি
- মশা
- মাছি
- শামুক
- তারা মাছ
- স্কুইড
- জেলিফিশ
- অক্টোপাস
- ঘুঘু
- টিকটিকি
- পিঁপড়া
- মানুষ
- কুকুর
- বিড়াল
- গরু
- ছাগল
- ভেড়া
- হাতি
- মুরগি
- ক্যাঙ্গারু
- হাস
- কাক
- টিয়া পাখি
- দোয়েল পাখি
- চিতল মাছ
- পাঙ্গাস মাছ
- ইলিশ মাছ
- রুই মাছ
- কাতলা মাছ
- ব্যাঙ
- কুমির
উপরের এই প্রাণীগুলো হলো মেরুদন্ডী শ্রেণীর প্রাণী এদের শরীরে হৃদপিণ্ড রয়েছে এবং এদের শরীরে মেরুদন্ড বিদ্যমান রয়েছে এর জন্য এই প্রাণীগুলোকে বলা হয় মেরুদন্ডী প্রাণীর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এদের দুইটি চোখ থাকে আর ওপরের এই প্রতিটি প্রাণীর দুইটি চোখ রয়েছে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন ৫০টি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে আসি ৫০ টি মেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য
৫০টি মেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য
মেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য কি? মেরুদন্ডী প্রাণীর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এদের শরীরে কশেরুকা বিদ্যমান রয়েছে। সুতোর মতো লম্বা মোটা হাড়ের মতো অংশ যা প্রাণীর দেহকে সচল রাখে এবং স্নায়ুতন্ত্র রক্ষার কাজে নিয়োজিত হয়। আজকের এই প্রতিবেদনে আমাদের মূল টপিক হল মেরুদন্ড প্রাণী এবং অমেরুদন্ড প্রাণীর বৈশিষ্ট্য এবং পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করা নিচে দেখে নিন ৫০ টি মেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করা রয়েছে।
মেরুদন্ডী প্রাণী গুলো দেহ গঠন সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্য রয়েছে জীবন ক্রিয়া সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্য এবং আরো অন্যান্য বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন শাস ক্রিয়া মস্তিষ্ক হৃদপিণ্ড পেশী চোখ দ্বিপাক্ষিক সমিতি অন্ত কঙ্কাল। সমস্ত বৈশিষ্ট্য আমরা নিচে ব্যাখ্যা করেছি দেখে নিন।
- একটি মেরুদন্ডী প্রাণীর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো তার শরীরে মেরুদন্ডের উপস্থিতি রয়েছে।
- মেরুদন্ডী প্রাণী গুলো শরীরের দুইটি সমানভাগে ভাগ করা যায়।
- প্রতিটি মেরুদন্ডী প্রাণীর মস্তিষ্ক অনেক বেশি জটিল আচরণ করে এবং শেখার ক্ষমতা দেয়। মেরুদন্ডী প্রাণীর মস্তিষ্ক অনেক বেশি উন্নতমানের হয় এরা সব কিছু বুঝার এবং শেখার ক্ষমতা রাখে।
- মেরুদন্ডী প্রাণীর হৃদপিণ্ড শরীরের অভ্যন্তরীণে অঙ্কিও দেশে অবস্থান করে।
- মেরুদন্ডী প্রাণী শরীরে রক্ত চলাচল করে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিন ও লোহিত রক্তকণিকা রয়েছে।
- মেরুদন্ডী প্রাণীদের বিভিন্ন অংশকে চালানোর জন্য পেশি কাজ করে।
- প্রতিটি মেরুদন্ডী প্রাণীর চোখ কান নাক রয়েছে যার মাধ্যমে তারা দেখতে পায় শুনতে পায়।
- মেরুদন্ডী প্রাণীরা ফুসফুস অথবা গিল এর সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নাই। যেমন মানুষ ফুসফুসের মাধ্যমে শ্বাস- প্রশ্বাস নেই।
- মেরুদন্ডী প্রাণীদের প্রজনন ব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত এরা যৌন প্রজননের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়।
- মেরুদন্ডী প্রাণীদের আকার আকৃতি খুব বৈচিত্র্যময় হয় এবং এরা অমেরুদন্ডী প্রাণীর তুলনায় আকারে এবং উচ্চতায় বড় হয়।
- মেরুদন্ডী প্রাণীরা প্রায় সব জায়গায় বসবাস করতে পারে যেমন স্থল জলদ বায়ু।
- মেরুদন্ডী প্রাণীরা পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়া চলতে পারে যেমন পরিবেশের পরিবর্তন এর সাথে তারাও পরিবর্তন হয়।
- মেরুদন্ডী প্রাণীদের শরীরে অন্ত কঙ্কাল রয়েছে। অস্থি এবং তরুণাস্থি দিয়ে এই অন্ত কঙ্কাল গঠিত হয়।
- মানুষ বাদে প্রতিটি মেরুদন্ড প্রাণীর লেজ রয়েছে।
- মেরুদন্ড প্রাণীদের দুইটি চোখ রয়েছে।
- মেরুদন্ডী প্রাণীরা বিভিন্ন খাদ্য অভ্যাসে অভ্যস্ত যেমন তারা শাক-সভ্য মাংসাশী।
- এই পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মেরুদন্ডী প্রাণীর প্রজাতি রয়েছে।
ওপরের এই বৈশিষ্ট্যগুলো হল মেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। এক কথায় যাদের শরীরে মেরুদন্ড রয়েছে তাদেরকে বলা হবে মেরুদন্ডী প্রাণী যেমন মানুষের শরীরে মেরুদন্ড অথবা হার রয়েছে যা মেরুদন্ডী প্রাণীর প্রধান বৈশিষ্ট্য। এবার চলুন আমরা দেখে আসি ৫০ টি অমেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য গুলো।
৫০টি অমেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য
অমেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য কি? একটি অমেরুদন্ডী প্রাণীর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো তার শরীরে কোন অসুবিধা থাকে না এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীরা ত্বকের মাধ্যমে শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণ করে। মেরুদন্ডী প্রাণী যেমন ফুসফুস কিংবা গিলের মাধ্যমে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়।
কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীর শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ধরন সম্পন্ন আলাদা তাদের ত্বকের ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। একটি অমেরুদন্ডী প্রাণীর শত শত চোখ থাকতে পারে। অনেক প্রাণীর সম্পূর্ন শরীর জুড়ে চোখ থাকে এই বৈশিষ্ট্য গুলো হল অমেরুদন্ডী প্রাণীর। নিচে দেখে নিন অমেরুদন্ডী প্রাণী সম্পর্কে আরো অধিক বৈশিষ্ট্য দেওয়া রয়েছে।
- অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে মেরুদন্ডের অনুপস্থিত।
- অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে কঙ্কাল না থাকলেও এদের বাইরের অংশে শক্ত খোলো থাকে যাকে বহি কঙ্কাল বলা হয়।
- অমেরুদন্ডী প্রাণীর দেহের কংসের সংখ্যা অনেক ।
- অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে কয়েকশো চোখ থাকতে পারে।
- অমেরুদন্ডী প্রাণীর দেহ-গহ্বর কোয়েলং এবং সিউডোসিলম দ্বারা গঠিত।
- ও মেরুদন্ডী প্রাণীরা ট্রাকিয়া অথবা গিল এর মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস নেই।
- অমেরুদন্ডী প্রাণীর রক্ত সরবরাহ হয় না অনেক প্রাণী শরীরের রক্ত থাকলেও রক্তে হিমোগ্লোবিন থাকে না। যার রক্তের রং সাদা হয়।
- ও মেরুদন্ডী প্রাণীদের যৌন এবং অযৌন উভয় প্রকার প্রজনন ক্ষমতা রয়েছে অনেক প্রাণী ডিম দেয় আবার অনেকে সরাসরি বাচ্চা জন্ম দেয়।
- অমেরুদন্ডী প্রাণীরা অপচয় পদার্থ নিষ্কাশন করে যেমন মাটিতে কেঁচো খাবার খেয়ে সেই খাবার এর মাধ্যমে মাটিকে উর্বর করে।
- অমেরুদন্ডী প্রাণীরা সব জায়গায় বসবাস করতে পারি যেমন জল,বায়ু ও স্থল।
- অমেরুদন্ডী প্রাণীরা পরিবেশের পরিবর্তন এর সাথে নিজেরাও পরিবর্তন হয়।
- অনেক সময় অমেরুদন্ডী প্রাণীরা মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়।।
- অমেরুদন্ডী প্রাণী পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলার বিভিন্ন ধরনের অভিযোজন রয়েছে।
- অমেরুদন্ডী প্রাণীদেরকে বিভিন্ন ফাইলাই ভাগ করা হয় যেমন আর্থ্রোপোডা, মলাস্কা, ইকিনোডার্মাটা।
অমেরুদন্ডী প্রাণীদের কিছু উদাহরণ হল যেমন কীটপতঙ্গ, মাকড়সা, কাঁকড়া, ঝিনুক, শামুক, অক্টোপাস, তারামাছ জেলিফিশ ,করাল, ঝিনুক, মশা ,মাছি। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অমেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ওপরে আমরা আলোচনা করলাম ৫০ টি অমেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে আসি মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর পার্থক্য গুলো কি কি।
মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর পার্থক্য
আপনি কি জানেন মেরুদন্ডী ও ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর পার্থক্য গুলো কি কি? এই পৃথিবীতে দুইটি শ্রেণীর প্রাণী রয়েছে যেমন মেরুদন্ডী এবং আরেকটি অমেরুদন্ডী। অমেরুদন্ডী বলতে বোঝায় যে সমস্ত প্রাণীগুলো মেরুদন্ডী প্রাণীর তুলনায় অনেক ছোট হয় এবং ত্বকের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে। মেরুদন্ডী প্রাণী বলতে বোঝায় মানুষ এবং আর অন্যান্য প্রাণী সমূহ। যেমন মাছ সাপ বিড়াল কুকুর ইত্যাদি। নিচে দেখে নিন মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর পার্থক্য ব্যাখ্যা করা রয়েছে।
মেরুদন্ডী প্রাণীদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এদের শরীরে মেরুদন্ড বিদ্যমান রয়েছে এবং এই মেরুদন্ডী কোষের উপর মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে মেরুদন্ডী প্রাণীদের শরীরে মেরুদন্ড থাকায় এরা সহজে চলাফেরা করতে পারে এবং এই মেরুদন্ড অন্যান্য অংশগুলোকে সংযুক্ত করে পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্র কে রক্ষা করে। কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে কোন মেরুদন্ড নেই।
- একটি মেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে সর্বোচ্চ দুইটি চোখ থাকে কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে কয়েকশো চোখ থাকতে পারে ।
- মেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে রক্তে সরবরাহ হয় কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে কোন রক্তের সরবরাহ হয় না। অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে রক্ত সরবরাহ হলেও এদের রক্তে হিমোগ্লোবিন থাকে না এই জন্য রক্তের রং সাদা হয়। কিছু কিছু অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে হিমোগ্লোবিন থাকলেও সেই হিমোগ্লোবিন রক্ত ঘনীভূতকরণে ব্যবহার হয়।
- অমেরুদন্ডী প্রাণীর বহি কঙ্কাল রয়েছে যা তাদের ওপরে গোলকের মত কাজ করে কিন্তু মেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে কোন বহি কঙ্কাল থাকে না এদের শরীরের অভ্যন্তরে অন্ত কঙ্কাল রয়েছে।
- অমেরুদন্ডী প্রাণীর হৃদপিণ্ড পৃষ্ঠ দেশে থাকে কিন্তু মেরুদন্ডী প্রাণীর হৃদপিণ্ড অঙ্কিওদেশে অবস্থিত।
- অমেরুদন্ডী প্রাণীর কিছু উদাহরণ যেমন কীটপতঙ্গ, মাকড়সা জেলিফিস, তারা মাছ, শামুক এবং মেরুদন্ডী প্রাণীর কিছু বৈশিষ্ট্য যেমন বাঘ শৃঙ্গ হাতে গরু ঘোড়া কুকুর বিড়াল উভচর ইত্যাদি।
আরো পড়ুন: ড্রপ শিপিং কাকে বলে? বিস্তারিত জানুন
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর পার্থক্য গুলো কি কি উপরে আমরা আলোচনা করলাম মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর পার্থক্য সম্পর্কে এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি ১০টি অমেরুদন্ডী প্রাণীর নাম।
১০ টি অমেরুদন্ডী প্রাণীর নাম
পরীক্ষাতে বারবার এ প্রশ্নগুলো আসে যে ১০ টি অমেরুদন্ডী প্রাণীর নাম লেখ। অমেরুদন্ডী প্রাণী বলতে বোঝায় যে প্রাণীগুলোর শরীরে কোন অন্ত কঙ্কাল বিদ্যমান থাকে না বরং উপরিভাগের অংশে বহি কঙ্কাল বিদ্যমান থাকে। নিচে দেখে নেন ১০ টি অমেরুদন্ডী প্রাণীর নাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা রয়েছে।
ওপরের এই প্রাণীগুলো হলো অমেরুদন্ডী প্রাণী এদের শরীরে কোন অন্ত কঙ্কাল অবস্থিত নেই। অমেরুদন্ডী প্রাণীদের শরীরে কোন রক্ত চলাচল করে না। আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন ১০ টি ও মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম সম্পর্কে এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি ২০ টি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম।
২০ টি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম
ইতিমধ্যেই আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে মেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে এবং মেরুদন্ডী প্রাণী গুলো কারা? মেরুদন্ডী প্রাণী হলো মানুষ যেমন মানুষের শরীরে অন্ত কঙ্কাল রয়েছে মানুষের শরীরে হাড় রয়েছে রক্ত চলাচল করে মানুষের দুটি চোখ রয়েছে মানুষ যেকোনো পরিবেশে খাপ খাইয়ে চলতে পারে। এইজন্য মানুষ হলো মেরুদন্ডী প্রাণী। এমনই আরো ২০টি মেরুদন্ডী প্রাণীর নাম নিচে দেওয়া রয়েছে দেখে নিন।
উপরের এই প্রাণীগুলো হলো মেরুদন্ডী প্রাণী সুপ্রিয় আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে মেরুদন্ডী প্রাণী এবং অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে এবং মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর পার্থক্য গুলো কি কি আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা ৫০টি মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম আশা করছি আজকের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন এবং মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণী সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
পাঠকদের কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর সমূহ
অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে
যাদের শরীরে কোন মেরুদন্ড নেই এবং যারা মেরুদন্ডী প্রাণীর তুলনায় ছোট তাদেরকে অমেরুদন্ডী প্রাণী বলা হয়। এক কথায় যদি অমেরুদন্ডী প্রাণীর সংজ্ঞা চাই তাহলে লিখতে পারেন যে যাদের শরীরে কোন মেরুদন্ড অথবা অন্ত কঙ্কাল নেই তাদেরকে অমেরুদন্ডী প্রাণী বলে যেমন কেচো, মাকড়সা পিপড়া।
১০ টি অমেরুদন্ডী প্রাণীর নাম কি
১০ টি অমেরুদন্ডী প্রাণীর নাম সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই পোস্টে আমরা শুধুমাত্র মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। নিচে দেখুন দশটি অমেরুদন্ডী প্রাণীর নাম দেওয়া রয়েছে।
- কেঁচো
- পিঁপড়া
- মশা
- মাছি
- মাকড়সা
- পিঁপড়া
- কৃমি
- মৌমাছি
- প্রজাপতি
- চিংড়ি মাছ
অমেরুদন্ডী এবং মেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য কি?
আপনি কি অমেরুদন্ডী এবং মেরুদন্ডী প্রাণীদের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই পোস্টে আমরা মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীর পার্থক্য সম্পর্কে আলোচনা করেছি আপনি যদি এই পোষ্টটি সম্পন্ন দেখেন তাহলে মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীর পার্থক্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।
উপসংহার : ৫০ টি মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী ৫টি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম পঞ্চাশটি মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর ৫টি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত এবং অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে উদাহরণ সহ ও মেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে পাশাপাশি মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর পার্থক্য গুলো কি কি। মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে বিভিন্ন পার্থক্য রয়েছে যেমন মেরুদন্ডী প্রাণীর সরে মেরুদন্ড রয়েছে এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীর রেডি করা মেরুদন্ড নেই। মেরুদন্ডী প্রাণীরা ফুসফুস অথবা গিল এর সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয় কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীরা ত্বকের সাহায্যে অথবা গিল এর সাহায্যে শ্বাস প্রশ্বাস নেই। আপনি যদি মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য কালেক্ট করতে চান তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন। আজকের এই পোস্টে আমরা মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url