এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল? এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল? অনলাইনে এখন বহু কাজ রয়েছে যে কাজগুলো হারাম তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং হালাল নাকি হারাম আজকে আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। সাথেই এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব, এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কি সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল
আপনি যদি অনলাইনে হালাল ভাবে ইনকাম করতে চান তাহলে এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন। অনলাইনে কিভাবে কোন পরিশ্রম ছাড়া অল্প সময় বেশি টাকা ইনকাম করা যায়. সেই বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে। গ্যারান্টি সহ নিচের এই উপায় গুলো অনুসরণ করলে আপনি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন একনজরে দেখে আসি এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল? এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো, এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? 

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে যে কোন কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের পণ্য গুলোকে অনলাইনে মাধ্যমে প্রচার করা হয়। বর্তমান সময়ে "অনলাইন" সবচেয়ে বড় মার্কেটিং প্লাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনলাইন এর মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যে হাজার হাজার ক্রেতা পাওয়া যায়। 

অনলাইনে যদি একটি পণ্যের বিজ্ঞাপন শেয়ার করা হয় তাহলে কয়েক মিনিটের মধ্যে হুরহুর করে ক্রেতার লাইন লেগে যায়। এই জন্য অনলাইনকে এখন মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে? 

অথবা এফিলিয়েট মার্কেটার এর কাজ কি? এফিলিয়েট মাগীরা এর কাজ হল কোন একটি কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠানের পণ্যগুলোকে অনলাইন এর মাধ্যমে প্রচার করা এবং সে প্রতিষ্ঠানের কেনাবেচার দ্বিগুণ করা। মনে করুন আপনার একটি ফেসবুক পেজ কিংবা ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে য

দি আপনি সেই প্রতিষ্ঠানের পণ্যগুলোর ভিডিও আপলোড করেন এবং সে প্রতিষ্ঠানের লিংক ভিডিওতে শেয়ার করেন তাহলে সেই লিংকে ক্লিক করে হাজার হাজার ক্রেতা সে পণ্যটি ক্রয় করবে এতে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং সেই কোম্পানিরও ইনকাম দিয়ে গুন হবে এই পদ্ধতিতে বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে বিক্রেতা এবং এফিলেট মাজেটার উভয়ই লাভবান হয়। ফ্রিল্যান্সিং জগতের বহু জনপ্রিয় একটি মার্কেটিং ব্যবস্থা এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে খুব অল্প পরিশ্রম এবং অল্প সময় প্রয়োজন হয়। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবার চলুন আমরা দেখে আসি এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো 

আপনি কি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে চান? কিন্তু জানেন না কিভাবে কোন পদ্ধতিতে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হবে? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। ইতিমধ্যেই আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে। যে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং একজন এফিলিয়েট মার্কেটার  এর কাজ কি। 

মার্কেটিং করার জন্য শুধুমাত্র পণ্যের লিঙ্ক প্রচার করতে হবে এবং পণ্য সম্পর্কে দুই এক লাইন গুনাগুন প্রকাশ করতে হবে। এতে ক্রেতারা আগ্রহের সাথে সে পণ্যটি ক্রয় করবে। আপনি যদি মনে করেন এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা অনেক ঝামেলা এবং সময় সাপেক্ষ তাহলে আপনি তারপরে ভুল ভাবেন। আপনি চাইলে এখন থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন।এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার নিচের তিনটি ধাপ দেখে নিন।

প্রথম ধাপ

এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, ইনস্টাগ্রাম চ্যানেল, ফেসবুক গ্রুপ, টেলিগ্রাম গ্রুপ, instagram গ্রুপ অথবা ব্লগ সাইট থাকতে হবে। আপনার যদি এমন কোন উপাদান না থাকে তাহলে দেরি না করে দ্রুত এখনই একটি ফেসবুক পেজ অথবা ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে ফেলুন। ফেসবুক পেজের তুলনায় ফেসবুক গ্রুপে দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করা যায়। ফেসবুক গ্রুপে নিয়মিত মেম্বার এড করুন বন্ধু-বান্ধবদের সাহায্যে আর অতিরিক্ত মেম্বার এড করুন।

দ্বিতীয় ধাপ

মেম্বারের সংখ্যা ৫০ হাজার - লক্ষ হলে amazon কিংবা অন্যান্য শপিং সাইটের বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাদের পণ্য আপনি প্রচার করবেন সেই বিষয়ে একটি অফার প্রদান করুন। একজন বিক্রেতা আপনার প্রস্তাবে রাজি না হলে এভাবে দুই থেকে তিনজন অথবা চারজন বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করুন। 

তৃতীয় ধাপ

বিক্রেতা রাজি হয়ে গেলে তারপর এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করুন। বিক্রেতার পণ্যগুলো প্রচার করার জন্য ফেসবুক গ্রুপে পূর্ণ সম্পর্কে দুই থেকে তিন লাইন গুনাগুন ক্যাপশন দিয়ে পোস্ট শেয়ার করুন। সে পোস্টে বিক্রেতার পণ্যের লিংক শেয়ার করুন 

এতে সেই লিংকে ক্লিক করে যতগুলো মেম্বার সেই পণ্যটি ক্রয় করবে তত পারসেন্ট কমিশন লাভ করতে পারবেন।এইজন্য গ্রুপের মেম্বার বৃদ্ধি করতে হবে গ্রুপের মেম্বার যত বেশি বৃদ্ধি পাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ইনকামের হার তত বেড়ে যাবে। 

এই তিনটি ধাপ ও অনুসরণ করলে অতি দ্রুত আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম শুরু করতে পারবেন। অনেকে জিজ্ঞাসা করেন যে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল নাকি হারাম?

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল

আমরা অনেকেই সৎপথে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে চাই। সৎ পথে কাজ করলে সেই টাকার বরকত অনেক থাকে। লক্ষ্য করে দেখুন একজন রিকশাচালক প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করলে সে সুখের জীবন যাপন করতে পারে। 

কিন্তু একজন কোটিপতি ব্যক্তি প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করেও সে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারেনা। বিভিন্ন কারণে তার জীবনে অশান্তি লেগেই থাকে। এটি হল মহান আল্লাহ তায়ালার বরকত মহান আল্লাহ তায়ালা সৎ পথে কাজ করলে সবসময় বরকত দেন।

তাই হালাল পথে ইনকাম করা খুবই জরুরী। হারাম পথে ইনকাম করার তুলনায় হালাল পথে ইনকাম করলে বরকত পাওয়া যায় সাথে মহান আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা লাভ করা যায়। অনেকে প্রশ্ন করেন এফিলিয়েট মার্কেটিং এটি হালাল নাকি হারাম? 

অনলাইনে ইনকাম হালাল নাকি হারাম? অনলাইনে হালাল এবং হারাম উভয় প্রকৃতির কাজ রয়েছে। যেমন অনলাইনে ব্লগ সাইটে কাজ করে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করা সম্পূর্ণ হালাল। কিন্তু অনলাইনে টাকা ইনভেস্ট করে টাকার বদলে টাকা ইনকাম করা এগুলো হারাম। 

এই কাজগুলো রিবার সাথে সম্পর্কযুক্ত। অনলাইনে এখন বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে জুয়া খেলে ইনকাম করা হয়। জুয়া সম্পর্কিত প্রতিটি কাজ এবং ইনকাম হারাম। এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল? এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জুয়া সম্পর্কযুক্ত নয়। 

তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পূর্ণ হালাল। মার্কেটিং এর সাথে রিবা কিংবা জুয়া কোনভাবেই সম্পর্কযুক্ত নয়। এফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ হল কোন একটি প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্র্যান্ডের পণ্যকে প্রচার করা তার বদলে অর্থ ইনকাম করা একদিকে সে বিক্রেতা অথবা প্রতিষ্ঠানের ইনকাম হচ্ছে।

আর একদিকে সেখান থেকে আপনি কিছু পার্সেন্ট কমিশন লাভ করতে পারছেন। তাই এটি সম্পূর্ণ হালাল। আপনারা যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তারা নিঃসন্দেহে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। ইসলামে রয়েছে যেমন অজু গোসল ছাড়া নামাজ কবুল হয় না।

ঠিক তেমনি হালাল ইনকাম ছাড়া দোয়া কবুল হয় না এর জন্য হালাল পথে ইনকাম করা খুবই জরুরী। হাদিসে দেওয়া রয়েছে রিবা / সুদ এবং জুয়া এর সাথে সম্পর্কযুক্ত প্রতিটি কাজই হারাম। অনলাইনে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন 1x**bet। এই ওয়েবসাইট গুলো জুয়া প্রচার করে। আর জুয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত প্রতিটি কাজে হারাম। কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিং এ জুয়া সুদ সম্পর্কযুক্ত নয়। তাই নিঃসন্দেহে এফিলিয়েট মার্কেটিং এটি হালাল।

যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে তাদের কি বলে

আপনি কি জানেন যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে তাদের কি বলে? যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আমরা অনেকেই তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলি কিন্তু এটি ফ্রিল্যান্সিং হলেও যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে তাদের অন্য নাম রয়েছে। যারা ইফিলিয়েট মার্কেটিং করে তাদেরকে এফিলিয়েট মার্কেটের বলা হয়। 

যে ডিজিটাল মার্কেটিং করে তাকে ডিজিটাল মার্কেটের বলা হয়। যে ফেসবুক মার্কেটিং করে তাকে সোশ্যাল মার্কেটার বলা হয়। প্রত্যেকটি কাজের আলাদা আলাদা নাম রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অংশ হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। 

এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন?

আপনারা যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন? বর্তমান সময়ে অনলাইনের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজের নাম হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। এফিলিয়েট মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ।  

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য আপনার সুবর্ণ একটি সুযোগ হতে পারে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ইউটিউব চ্যানেল কিংবা ফেসবুক পেজে থাকা খুবই জরুরী অথবা ফেসবুক গ্রুপ কিংবা ব্লগ সাইট থাকতে হবে। 

যেখানে আপনি আফিনেট মার্কেটিং করে টাকা উপার্জন করবেন। আপনারা যারা এফিলেট মার্কেটিং সম্পর্কে চিন্তিত রয়েছেন তারা চিন্তা করবেন না আজকের এই নির্দেশিকা অনুসরণ করলে আপনি আপনার নিজের বাসাতে বসেই আরামে প্রতি মাসে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে পারবেন।

মনে রাখবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং কোনো ম্যারাথন দৌড় নয় যেখানে আপনি দৌড় লাগিয়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে ফেসবুক পেজ ব্লগ সাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে সেখানে ভালো সাবস্ক্রাইবারস অথবা ফলোয়ার্স আনতে হবে। তারপর বিভিন্ন কোম্পানিতে যোগাযোগ করতে হবে। 

বেশ কয়টি কোম্পানি থেকে আপনি রিজেক্ট হতে পারেন কিন্তু ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং আবারও বিভিন্ন কোম্পানিতে অফার দিতে হবে। একটি প্রতিষ্ঠানকে কিভাবে রাজি করাতে হয় সে বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল গ্রো করতে হয় সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করতে হয় সে বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ফেসবুক পেজে ফলোয়ার্স কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে। 

সর্বশেষ ধাপ কিভাবে ফেসবুকে কিংবা ইউটিউব এ লিংক শেয়ার করতে হয় সে বিষয়গুলো অবশ্যই জানতে হবে। আপনি যদি ওপরের এই বিষয়গুলো জানেন তাহলে আপনি খুব সহজে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। একজন এফিডে মার্কেটের কে অবশ্যই জানতে হবে কিভাবে পণ্যের লিংক শেয়ার করতে হবে।

এবং সে পণ্য সম্পর্কে কিভাবে ক্যাপশন সেট করলে ক্রেতারা আগ্রহের সাথে এসে পণ্যটি ক্রয় করবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যে পণ্যগুলোর লিংক আপনি শেয়ার করছেন অবশ্যই সে পণ্যগুলো সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত জানতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত ঘন্টা কাজ করতে হবে 

অনেকে জিজ্ঞাসা করেন মার্কেটে কত ঘন্টা কাজ করতে হবে? ইতিমধ্যে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য বেশি সময় পর্যন্ত অনলাইনে কাজ করার কোন প্রয়োজন নেই দিনে এক থেকে দুই ঘন্টা কাজ করলে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ ইনকামের হার সময়ের উপর নির্ভর করে না এটি আপনার ফেসবুক পেজ ব্লগ সাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারস ভিজিটর অথবা ফলোয়ার্সদের ওপর ডিপেন্ড করে। আপনার ফেসবুক পেজে যত বেশি ফলোয়ার্স থাকবে কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে যত বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকবে ইনকামের হার তত বেশি হবে। 

একটি ফেসবুক পেজে যদি লক্ষ্য লক্ষ্য ফলোয়ার্স থাকে তাহলে সেখানে দুই থেকে তিন মিনিটে একটি লিংক ক্রিয়েট করে পাবলিশ করলে এই লিংক থেকে প্রতিদিন ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা ইনকাম হবে। এফিলেট মার্কেটিং সবচেয়ে সহজ এবং মজার কাজ। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন চিন্তা পরিশ্রম কিংবা চাপের প্রয়োজন নেই।

এমনকি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কোন পূর্ণ সম্পর্কে ক্রেতার মতামত কিংবা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না। এখানে এফিলিয়েট মার্কেটারের কাজ হল শুধুমাত্র পণ্যের লিংক শেয়ার করা এবং সে পণ্য সম্পর্কে দুই থেকে তিন লাইন বিস্তারিত ক্যাপশন সেট করা। দিনে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট থেকে 40 মিনিট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ করলে প্রতি মাসে ৫০০০০-৬০০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন

আপনি কি জানেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন? আমরা অনেকে হয়তো জানি না যে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন। যারা নতুন এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে চাইছেন তাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়গুলো জানতে হবে।

শুরু করার জন্য একটি ল্যাপটপ পিসি কিংবা কম্পিউটারের প্রয়োজন সাথে ইন্টারনেট কানেকশন এর প্রয়োজন, ফেসবুক পেজ, ফেসবুক গ্রুপ, টেলিগ্রাম গ্রুপ, instagram গ্রুপ, instagram page, ব্লগ সাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল প্রয়োজন। সাথেই মানুষের সাথে ভদ্র আচরণ এবং ব্যবহার করা প্রয়োজন। 

কেন নাম কোন একটি প্রতিষ্ঠান এর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য অবশ্য ভদ্র ব্যবহার ও আচরণ করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কোনটি প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকা খুবই জরুরী। প্রথমে বিভিন্ন কোম্পানিতে অফার করতে হবে যে আপনি পণ্যগুলোকে প্রচার করে দিবেন তার বিনিময়ে খুব সামান্য পরিমাণ কমিশন নিবেন। 

প্রথমে কয়েকটি কোম্পানি থেকে আপনি রিজেক্ট হতে পারেন কিন্তু নিয়মিত বিভিন্ন কোম্পানিতে অফার প্রদান করার ফলে কয়েকটি কোম্পানির সাথে আপনার যোগাযোগ হবে এবং তাদের সাথে ভাল ব্যবহার ও আচরণ করে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। তারপর তাদের পণ্যগুলোকে অনলাইনে প্রচার করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে হবে। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায় 

অনেকে জিজ্ঞাসা করেন যে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়? একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের ইনকাম সম্পন্ন নির্ভর করে তার ফেসবুক ফলোয়ার অথবা ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার এর ওপর। 

যেখানে আপনি লিংক শেয়ার করেছেন সেখানে কতজন ভিজিটর রয়েছে, সাবস্ক্রাইব রয়েছে, কিংবা ফলোয়ার রয়েছে সেই বিষয়টির ওপর ইনকাম নির্ভর করে। যদি ভিজিটর সাবস্ক্রাইবার কিংবা ফলোয়ার কম থাকে তাহলে ইনকাম কম হবে আর যদি বেশি থাকে তাহলে ইনকাম অনেক বেশি হবে। 

যেমন মনে করুন আপনার ব্লগ সাইটে প্রতিদিন এক হাজার ভিজিটের আসে এভাবে প্রতি মাসে ৩০ হাজার ভিজিটর আসে। প্রতিমাসে যদি এক হাজার ভিজিটর সেই লিংকে ক্লিক করে পণ্য ক্রয় করে তাহলে এক হাজার ভিজিটরের থেকে ১০০ টাকা ইনকাম করলে প্রতি মাসে ইনকাম দাঁড়াচ্ছে এক লক্ষ টাকা। একজন ভিজিটর থেকে ১০০ টাকা ইনকাম হলে ১০০০ ভিজিটর থেকে ১০০ টাকা ইনকাম হবে তাহলে ১ মাছের ইনকাম = ১০০০×১০০= ১০০০০০ টাকা।

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি জানলে অবাক হবেন যে একজন এফিলিয়েট মার্কেটার প্রতি মাসে প্রায় দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা ইনকাম করে। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন ঝামেলা কিংবা খাটাখাটনির প্রয়োজন নেই। এখানে শুধুমাত্র লিংক শেয়ার করতে হবে এবং পূর্ণ সম্পর্কে দুই লাইন বিস্তারিত লিখতে হবে। 

উপসংহার ঃএফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল? এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য কোন বিষয় জানা প্রয়োজন? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কত ঘন্টা কাজ করতে হবে অর্থাৎ এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করলাম । 

আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে চান তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনাকে গুরুত্বসহ পড়তে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে তাদেরকে এফিলিয়েট মার্কেটার বলা হয় তার প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ইনকাম করে

আপনি যদি তাদের মত ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব? ওপরে আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য তিনটি ধাপ শেয়ার করেছি এই তিনটি করলে খুব দ্রুত এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। আপনি চাইলে আজকে থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url