সারোগেসি কিভাবে করা হয় - সারোগেসি কি হালাল

আপনি কি জানেন সারোগেসি কিভাবে করা হয়? সারোগেসি কি হালাল? আপনারা যারা সারোগেসি পদ্ধতিতে আগ্রহী রয়েছেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি। সারোগেসি করার আগে অবশ্যই এই পোস্টটি মনোযোগ সহ দেখে নিন। সারোগেসি পদ্ধতি সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? আজকের এই পোস্টে আমরা সারোগেসি পদ্ধতি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু আলোচনা করব। 
সারোগেসি কিভাবে করা হয় - সারোগেসি কি হালাল
ইসলামে সারোগেসি সম্পূর্ণ হারাম এবং সারোগেসি করার ফলে কি কি ক্ষতি হতে পারে? সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব। তাই যারা সারোগেসি করতে চাচ্ছেন তাদেরকে অবশ্যই সারোগেসি সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত সারোগেসি কিভাবে করা হয়? সারোগেসি কি হালাল নাকি? চলুন ঝটপট দেখে আসি সারোগেসি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো।

সারোগেসি পদ্ধতি কাকে বলে

সারোগেসি পদ্ধতি বলতে বোঝায় গর্ভ ভাড়াকে। বর্তমান সময়ে সারোগেসি একটি কৃত্রিম পদ্ধতি। যার মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়া হয়। যেমন একজন দম্পতি যদি সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হয় তাহলে সে সারোগেসি পদ্ধতি অবলম্বন করে সন্তান জন্ম দিতে পারবে তার সন্তানকে অন্য কারো গর্ভে প্রতিস্থাপন করে সন্তান জন্ম দিতে পারবে।

ভারতে বেশ প্রচলিত এই পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়া হয় কিন্তু এর বিনিময়ে সারগেট মাদার অথবা যে তার গর্ভে সন্তান জন্ম ধারণ করে তাকে কিছু অর্থ প্রদান করা হয় সেই অর্থের পরিমাণ প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। অনেকে বিভিন্ন সমস্যার কারণে সন্তান জন্ম দিতে পারে ন যেমন বন্ধ্যাত্ব জনিত সমস্যা স্বাস্থ্যের সমস্যা, হার্টের সমস্যা অথবা ক্যান্সার। 

শরীর অতিরিক্ত দুর্বল থাকলে এই অবস্থায় গর্ভধারণ করলে গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে এই জন্য অনেকেই সন্তান ধারণ করতে পারে না যারা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম তাদের জন্য সারোগেসি পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে এটি এক প্রকার চিকিৎসা যার মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়া হয়।

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন সারোগেসি পদ্ধতি কাকে বলে। এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি সারোগেসি কিভাবে করা হয়? নিচে দেখে নিন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করা রয়েছে। 

সারোগেসি কিভাবে করা হয়

আপনারা যারা সারোগেসি করতে আগ্রহী তাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে তারও কিছু কিভাবে করতে হয় এবং সারোগেসি করতে কত টাকা খরচ হতে পারে। সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে বলিউড এবং হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রীরা সন্তান জন্ম দিচ্ছেন। যেমন সংগীত শিল্পী নিক জোনাস এবং বলিউডের জনপ্রিয় তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। 

এই সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিয়েছেন শুধুমাত্র তারাই নন পৃথিবীর হাজার হাজার মানুষ এখন তারও কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে সন্তান জন্ম দিচ্ছেন। যেমন শাহরুখ খান তার ছোট ছেলের জন্ম দিয়েছেন এই সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে। সারোগেসি বলতে বোঝায় গর্ভ ভাড়া নেওয়া। সারোগেসি শব্দের অর্থ হলো অন্যের গর্ভে নিজের সন্তান ধারণ করানো। 

গর্ভকালীন সময়ে সারোগেট মায়ের সব ধরনের খরচ এবং যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব হল দাম্পত্যর। যে দাম্পত্যরা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম কিংবা কেউ যদি সিঙ্গেল বাবা-মা হতে চায় তাহলে তারা এই সারোগেসি পদ্ধতির অবলম্বন করার মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেন। এখন প্রশ্ন হল সারোগেসি কিভাবে করা হয়? 

সারোগেসি এর অন্যতম একটি মাধ্যম হলো IVF প্রযুক্তি। আইভিএফ এর পূর্ণরূপ হল ইন VIETRO ফার্টিলাইজেশন। এই বিষয়ে ভাটিয়া স্যানন ব্যাখ্যা করেন যে নিষিদ্ধকরণ বলতে বোঝায় পুরুষ ও নারীর শুক্রাণু ও ডিম্বানু মিলন ঘটিয়ে ভ্রূণ তৈরি করা। ইন ভিট্রো অর্থাৎ একটি স্বচ্ছ কাঁচের মধ্যে। এক্ষেত্রে কাজ বলতে আমরা টেস্টটিউব ব্যবহার করতে পারি। 

এই কাজটি ল্যাবে করা হয়। নারীর শরীর থেকে টেস্টটিউব এর মাধ্যমে ডিম্বানু বের করে শুক্রানুর মধ্যে প্রবেশ করিয়ে কাঁচের ভেতরে ভ্রুণ তৈরি করা হয় এরপর মেডিকেল টিউবের মাধ্যমে সারোগেট নারীর জরায়ুতে এই ভ্রূণ প্রবেশ করানো হয়। এরপর ধীরে ধীরে সেই নারীর শরীরে ভ্রুন থেকে সন্তানের শরীর তৈরি হওয়া শুরু হয় এই অবস্থায় দাম্পত্যর দায়িত্ব হলো সে সারোগেট মাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সাপোর্ট করা সাহায্য করা। 

এই পদ্ধতিকে বলা হয় সারোগেসি পদ্ধতি এভাবেই সন্তান জন্ম দেওয়া হয়। যারা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম কিংবা সন্তান জন্ম দেয়ার ফলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে। তারা এই সারোগেসি পদ্ধতি অবলম্বন করে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সারোগেসি কিভাবে করা হয়। এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি সারোগেসি খরচ কত?

সারোগেসি খরচ কত

আপনারা যেন সারিগেছে পদ্ধতিতে আগ্রহী তাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে যে সারোগেসিভ পদ্ধতি খরচ কত এই পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে? তারকিত পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দিতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। সারোগেসি অবশ্যই একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি । 

সারোগেসি পদ্ধতিতে স্মারকের মায়ের জন্য চিকিৎসা স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয় অর্থ খরচ করতে হবে। পাশাপাশি যে মহিলা সন্তান নিজের গর্ভে ধারণ করছেন তার খরচ রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় 15 থেকে 16 লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে কিন্তু আপনি যদি খরচ কমাতে চান তাহলে পরার্থপর সারোগেসি পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন । পরার্থপর সারোগেসি পদ্ধতিতে আত্মীয়র মধ্যে করা হয় যেমন আপনার কোন আত্মীয় কিংবা বাসার সদস্য থাকলে তার গর্ভে নিজের সন্তান ধারণ করিয়ে অল্প খরচের মধ্যে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন।
  • পরার্থপর সারোগেসি পদ্ধতিতে ২-৩ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
  • সারোগেসি পদ্ধতিতে ১২-১৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। আরো অন্যান্য খরচসহ প্রায় ১৫-১৮ লক্ষ টাকা খরচ হবে। 
সারোগেসি পদ্ধতির খরচ বিভিন্ন পরিবর্তনশীলতার ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি সারোগেসি পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দিতে চান তাহলে আপনার বাজেট ১৫-১৬ লক্ষ টাকা হতে হবে। আর যদি আপনি অল্প খরচের মধ্যে সন্তান জন্ম দিতে চান তাহলে আত্মীয়-স্বজন অথবা পরার্থপর সারোগেসি পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে হবে। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে সারোগেসি পদ্ধতি খরচ কত এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি সারোগেসি পদ্ধতি ইসলাম কি বলে? সারোগেসি কি হালাল?

সারোগেসি কি হালাল

আপনারা যারা সারোগেসি পদ্ধতি করতে চাচ্ছেন তাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে সারোগেসি পদ্ধতি হালাল নাকি হারাম? বিশেষ করে আপনি যদি মুসলিম হন তাহলে আপনাকে বিশেষভাবে দৃষ্টি আরোপ করতে হবে। সারোগেসি এমন এক ধরনের পদ্ধতি যেখানে সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য অন্য আরেকটি নারীর গর্ভ ভাড়া নেওয়া হয়। যারা গর্ভ ভাড়া দেয় তাদেরকে সারোগেট মা বলা হয়। মহান আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেকের শারীরিক চাহিদা পূরণ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি বলে দিয়েছেন। 

মহান আল্লাহ তা'আলা জৈবিক চাহিদা পূরণ এবং পরিবারের সদস্য বৃদ্ধি করার জন্য স্ত্রীকে চিহ্নিত করেছেন। এর বাইরে অন্য কারোর মাধ্যমে জৈবিক চাহিদা পূরণ করা যাবে না এবং পরিবারের সদস্য বৃদ্ধি করা যাবে না যদি কেউ এর বাইরে যেয়ে কাজ করে তাহলে অবশ্যই সে কুরআনের সীমা লংঘনকারী হবে এবং হারাম কাজে লিপ্ত হবে। সারোগেসি পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয় যেমন বংশ পরম্পরা ক্ষুন্ন হয়। পুরুষের শুক্রাণু অন্য নারীর জরায়ুতে প্রবেশ করানো হয় এটি এক ধরনের জঘন্য কাজ। 

আমাদের সমাজে যখন অবিবাহিত নারী এবং পুরুষ সন্তান জন্ম দেয় তখন তাদের সন্তানকে অবৈধ সন্তান হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং নিন্দনীয় চোখে দেখা হয়।। সারোগেসি পদ্ধতি ঠিক একই ভাবে অবৈধ সন্তান জন্ম দেওয়া হয়। সারোগেসি পদ্ধতিতে দাম্পত্য পুরুষের শুক্রাণু নিয়ে অন্য পরনারীর ডিম্বানুর সাথে নিষিক্ত করা হয় এবং সন্তান জন্ম দেওয়া হয়। এতে সেই দাম্পত্য বাবার গুনাগুন এবং সারোগেট মাতার গুনাগুন সেই সন্তানের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়। 

অর্থাৎ আইনীয়ভাবে সেই সন্তানের বাবা-মা হলো সারোগেট মা এবং দাম্পত্য বাবা। যাদের মধ্যে কোন বিবাহর সম্পর্ক নেই। বিবাহ বন্ধন ছাড়া সন্তান জন্ম দেওয়া কে সমাজে আমরা অবৈধ সন্তান হিসেবে জানি এক্ষেত্রে সারোগেসি পদ্ধতিতে সন্তান জন্মদিনে অবশ্যই সেই সন্তান অবৈধ। এটি এক ধরনের জঘন্য পাপ তাই সারোগেসি পদ্ধতি ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম এছাড়াও সারোগেসি পদ্ধতির বিভিন্ন জটিলতা রয়েছে।

সারোগেসি পদ্ধতির জটিলতা 

সারোগেসি পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দিলে সন্তানের মধ্যে সারোগেট মাতা এবং বাবার গুনাগুন স্থানান্তরিত হবে এরপরে মাতার কোন গুনাগুন সেই সন্তানের মধ্যে থাকবে না। এবং আইনীয়ভাবে সেই সন্তানের বাবা-মা হবে সারোগেট মা এবং বাবা। যাদের মধ্যে কোন প্রকার বিবাহ সম্পর্ক নিয়ে এবং যদি তারা অবৈধ সন্তান জন্ম দেয় 

তাহলে এটি এক ধরনের পাপ আবার তারকের মা যখন সন্তান জন্ম দিবে তখন সেই সন্তানের প্রতি তার একটি মায়া এবং ভালোবাসা কাজ করবে নয় মাস সে তার গর্ভে সে সন্তানকে অল্প অল্প করে গড়ে তুলেছে। তাই সেই সন্তানের প্রতি তার মায়া এবং ভালোবাসা অবশ্যই থাকবে। পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরো বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয় যেমন: সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তান প্রতিবন্ধী হতে পারে কিংবা তার শারীরিক জটিলতর থাকতে পারে।

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে জটিলতা গুলো কি কি এবং সারোগেসি পদ্ধতি হালাল নাকি হারাম। ইসলামের দৃষ্টিতে সারোগেসি পদ্ধতি অবশ্যই হারাম তাই আপনারা যারা মুসলিম রয়েছেন তারা অবশ্যই হারাম থেকে দ্রুত বজায় রাখুন এবং সারোগেসি পদ্ধতি সম্পর্কে  মানুষকে সচেতন করুন। আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা সারোগেসি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন এছাড়াও কারো কিছু পদ্ধতি অনেক বেশি ব্যয়বহুল পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য প্রায় ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়। 

সারোগেসি পদ্ধতিতে আইনিভাবে মা বাবা কে?

অনেকে জিজ্ঞাসা করেন যদি স্যার পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দেওয়া হয় তাহলে তার আইনিভাবে মা-বাবাকে? সারোগেসি পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দিলে যার গর্ভে সন্তান ছিল সে অবশ্যই সেই সন্তানের মা এবং যার শুক্রাণুর মাধ্যমে নিষিক্তকরণ ঘটানো হয়েছে সে সন্তানের বাবা। এখানে মাথার কোন ভূমিকা নেই কিংবা মায়ের কোন গুনাগুন অথবা জিন্স এ সন্তানের মধ্যে স্থানান্তরিত হবে না। তার গেট মাতার প্রতি সন্তানের আলাদা ভালোবাসা ও টান থাকবে এবং সে সন্তানের প্রতিও সারোগেট মাতার ভালবাসা থাকবে।

প্রকৃতপক্ষে সেই সন্তানের বাবা-মা হল সারোগেট মাতা, এবং বাবা। যারা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম কিংবা সন্তান জন্ম দেওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে তারা এই সারোগেসি পদ্ধতি অবলম্বন করে কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে সরোগেসি পদ্ধতি সম্পূর্ণ হারাম। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সারোগেসি পদ্ধতিতে আইনিভাবে মা-বাবাকে কে? সেই সন্তানের মা-বাবা হল সারোগেট মা এবং বাবা। এখানে দাম্পত্য মাতার কোনো ভূমিকা নেই।

টেস্ট টিউব বেবি কি জায়েজ

আপনি কি জানেন টেস্ট টিউব বেবি কি জায়েজ নাকি? সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম না থাকলে টেস্টটিউব বেবি এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করা হয়। টেস্ট টিউব বেবি বলতে বোঝায় দাম্পত্যের ডিম্বানু এবং শুক্রাণু নিয়ে একটি টেস্টটিউব এর মাধ্যমে নিষিক্তকরণ ঘটানো হয় এবং ভ্রূণ তৈরি করা হয়। সেই ভ্রূণ নিয়ে নারীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয় এবং ভ্রূণ থেকে ধীরে ধীরে বাচ্চা সৃষ্টি হয়। 

অর্থাৎ সারোগেসি পদ্ধতির মত ভ্রূণ নিয়ে অন্য নারীর গর্ভাশয় প্রতিস্থাপন করা হয় না। এটি সেই দাম্পত্য নারীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। তাহলে টেস্টটিউব বেবি কি জায়েজ? হ্যাঁ টেস্টটিউব বেবি জায়েজ হতে পারে কিন্তু নিজের শর্তগুলো মেনে চললে টেস্ট টিউব বেবি অবশ্যই জায়েজ।
  • শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু শুধুমাত্র স্বামী এবং স্ত্রীর কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। অন্য কোন পুরুষ কিংবা মহিলা থেকে শুক্রাণু অথবা ডিম্বাণু সংগ্রহ করা যাবে না। 
  • সংগ্রহকৃত শুক্রানু এবং ডিম্বাণু নিষিদ্ধ করে শুধুমাত্র স্থির গর্ভাশয় প্রতিস্থাপন করা যাবে অন্য কোন নারীর গর্ভাশয়ে দেওয়া যাবে না। 
  • সেই পুরুষের মৃত্যুর পর অথবা তার জীবিত থাকা অবস্থায় তার শুক্রাণু অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না এবং অন্য কোন নারীর গর্ভাবস্থায় প্রতিস্থাপন করা যাবে না এই বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে হবে। 
এই তিনটি বিষয় নিশ্চিত করলে টেস্ট টিউব বেবি সম্পূর্ণ জায়েজ। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন টেস্ট টিউব বেবি জায়েজ নাকি হারাম। স্বামীর শুক্রাণু স্ত্রীর গর্ভাশয় ছাড়া অন্য কোন নারীর গর্ভাশয় প্রবেশ করানো যাবে না। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন টেস্ট টিউব বেবি এবং সারোগেসি হালাল নাকি হারাম।

উপসংহার: সারোগেসি কিভাবে করা হয় - সারোগেসি কি হালাল

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা তার কিছুই কিভাবে করা হয় সারোগেসি কি হালাল নাকি হারাম? বিভিন্ন কারণে এই সারোগেসি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় যেমন বন্ধ্যাত্বজনিত সমস্যা থাকলে কিংবা স্বাস্থ্যের কোন ঝুঁকি থাকলে অথবা বাবা যদি সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হয় তাহলে এই সারোগেসি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। পদ্ধতি ব্যবহার করার মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়া হয়।

সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে যারা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম তারাও এখন সন্তানের স্বাদ গ্রহণ করতে পারছেন। প্রতিটি মায়ের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা থাকে সন্তান জন্ম দেওয়া সন্তান জন্ম না দিলে বংশ বিস্তার হবে না। অনেকেই সন্তান জন্ম দিতে না পারলে সন্তান দত্তক নেন। কিন্তু এখন যারা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম তাদের জন্য নতুন একটি পদ্ধতি এসেছে তার নাম হলো সারোগেসি।

কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে এই চারু গেছি পদ্ধতি সম্পূর্ণ হারাম যারা গেছে পদ্ধতির সন্তান জন্ম দিতে চাচ্ছেন তাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে কিছু পদ্ধতি হালাল নাকি হারাম আমার মতে পদ্ধতি অবলম্বন করে কখনোই উচিত নয় বিশেষ করে আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সারোগেসি পদ্ধতি থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

কারণ সারোগেসি পদ্ধতিতে অন্য একটি নারীর জরায়ুতে পুরুষের শুক্রাণু প্রবেশ করানো হয় যা সম্পূর্ণ হারাম। হারামভাবে সারোগেসি পদ্ধতিতে অবৈধ সন্তান জন্ম দেওয়া হয়। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সারোগেসি পদ্ধতি হালাল নাকি হারাম। আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url