পরার্থপর সারোগেসি কাকে বলে - সারোগেসি পদ্ধতি কি

সারোগেসি পদ্ধতি কি? সারোগেট মাদার কাকে বলা হয়? আপনারা যারা সারোগেসি সম্পর্কে জানেন না। তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি। আজকের এই পোস্টে আমরা সারোগেসি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। যেমন পরার্থপর সারোগেসি কাকে বলে, সারোগেসি পদ্ধতি ইসলাম কি বলে।
পরার্থপর সারোগেসি কাকে বলে - সারোগেসি পদ্ধতি কি
সাধারণত সারোগেসি বলতে আমরা গর্ভ ভাড়া পদ্ধতিকে বুঝি কিন্তু এই পদ্ধতি কি ইসলামে হালাল নাকি হারাম? এবং পরার্থপর সারোগেসি কাকে বলে? জানতে আজকের এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন। চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি সারোগেসি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য যেমন সারোগেসি পদ্ধতি কি, সারোগেসি পদ্ধতি ইসলাম কি বলে।

পেজ সূচিপত্রঃ পরার্থপর সারোগেসি কাকে বলে - সারোগেসি পদ্ধতি কি

          ভূমিকা          

এখন প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে। আর প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কৃত হচ্ছে। যেমন তার মধ্যে একটি অন্যতম পদ্ধতি হলো সারোগেসি। আমরা অনেকেই হয়তো জানি না। এই সারোগেসি পদ্ধতির সম্পর্কে তাই আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের সাথে সারোগেসি পদ্ধতি কি এবং কিভাবে সরোগেসি করা হয়, সারোগেসি হালাল নাকি হারাম 

সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া পর্যন্ত পদ্ধতির মাধ্যমে নিজের সন্তান জন্ম দিয়েছেন।। এমন আরো বিভিন্ন তারকারা সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে সন্ধান জন্ম দিয়েছেন। সারোগেসি পদ্ধতিতে সন্তান জন্মদিনে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায় যেমন ফিগার নষ্ট হয় না কোন ঝামেলা ছাড়াই কিছু অর্থ খরচ করে সন্তান জন্ম দেওয়া যায়।

গর্ভকালীন সময়টি গর্ভবতী নারীর জন্য খুবই স্পেশাল আবার অনেকের জন্য একটু কষ্টকর হয়ে ওঠে তাই যারা এই গর্ভকালীন সময়ে ঝামেলা এড়িয়ে চলতে চান তারা সারোগেসি পদ্ধতির ব্যবহার করে  সন্তান জন্ম দিতে পারবেন। আপনারা যারা স্যারও কিছু কথা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তারা নিচে দেখে নিন সারোগেসি পদ্ধতি কি।

সারোগেসি পদ্ধতি কি 

সারোগেসি পদ্ধতি বলতে বোঝায় গর্ভ ভাড়া। সন্তান জন্মের জন্য গর্ভ ভাড়া নেওয়াকে সারোগেসি পদ্ধতি বলা হয়। এই প্রক্রিয়াটি একজন মহিলা অন্য আরেকজন দম্পতির সন্তানকে নিজের গর্ভে ধারণ করবে। এবং বাচ্চা জন্মের পর তাকে সেই দাম্পত্যের কাছে হস্তান্তর করবে। এই বদলের সেই মহিলাটি কিছু অর্থ দাবি করবে।

আরো সহজ ভাষায় বলি যেমন মনে করুন B নামক একটি দাম্পত্তি রয়েছে এবং A নামের মহিলা রয়েছে। B দাম্পত্যের সন্তান A মহিলা তার গর্ভে ধারণ করাকে সারোগেসি পদ্ধতি বলা হয়। বিভিন্ন কারণে দাম্পত্যরা সারোগেসি পদ্ধতি ব্যবহার করেন। এখন প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে আর প্রযুক্তির কল্যাণে এখন যে কোন সমস্যা সমাধান পাওয়া যাচ্ছে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন সারোগেসি পদ্ধতি কি এবার চলুন দেখে আসি সারোগেসি পদ্ধতি কত প্রকার।

সারোগেসি পদ্ধতি কত প্রকার 

আপনি কি জানেন সারোগেসি পদ্ধতি কত প্রকার?  এখন সারোগেসি পদ্ধতি অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হাজার হাজার দম্পতি ব্যবহার করে নিজের সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানোর জন্য। সারোগেসি একটি চিকিৎসা। যারা সন্তান ধরনের অক্ষম সন্তান জন্ম দিতে পারবেন না তাদের জন্য এই সারোগেসি পদ্ধতিটি ভালো হবে। নিচে রেখে নিন সারোগেসি পদ্ধতি কত প্রকার। 
  • গর্ভকালীন সারোগেসি পদ্ধতি
  • ঐতিহ্যগত সারোগেসি পদ্ধতি 

গর্ভকালীন সারোগেসি পদ্ধতি 

গর্ভকালীন সারোগেসি পদ্ধতিতে নিষিক্ত ভ্রূণ গুলো সেই মহিলা অথবা সারোগেট মায়ের গর্ভে স্থানান্তরিত করা হয়।। দাম্পত্য ইচ্ছাকৃতভাবে সে মহিলার সাথে IVF পদ্ধতির মাধ্যমে ভ্রুণ উৎপাদন করেন এবং সেই ভ্রূণ থেকে বাচ্চার জন্ম হয় গর্ভকালীন পদ্ধতিতে সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে দাম্পত্য সন্তান অন্য আরেকটি মহিলার গর্ভে ধারণ করা হয়।

ঐতিহ্যগত সারোগেসি পদ্ধতি 

ঐতিহ্যগত সারোগেসি পদ্ধতিতে মায়ের জিন অক্ষুন্ন থাকে। এই পদ্ধতিতে মায়ের ডিম্বানু ব্যবহার করেন এবং ডিম্বানু পেকে গেলে কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুক্রানুর সাথে মিলিয়ে নিষিক্ত করা হয়।ভ্রূণ তৈরি হয়ে গেলে গর্ভাবস্থায় স্থাপন করা হয়। ঐতিহ্যগত সারোগেসি পদ্ধতিতে ডিম্বানু ও শুক্রাণু কৃত্রিমভাবে মিলিত করা হয় এবং নিষিক্ত করে ভ্রূণ তৈরি করা হয়।

এই দুইটি উপায়ে সারোগেসি করা হয়। ঐতিহ্যগত সারোগেসি করতে গর্ভ ভাড়া নিতে হয় না। পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি আপনার পরিবারের সদস্যকে আরও বৃদ্ধি করতে পারবেন যারা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম কিংবা বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত সমস্যায় রয়েছেন তারা এই সারোগেসি পদ্ধতি অবলম্বন করে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন এবং বংশ পরম্পরাকে অক্ষুন্ন রাখতে পারবেন।

সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সারোগেসি পদ্ধতি কি এবং সারোগেসি কত প্রকার। এবার চলুন আমরা দেখে আসি সারোগেসি কেন করা হয়।

সারোগেসি কেন করা হয় 

আপনি কি জানেন সারোগেসি কেন করা হয়? বিভিন্ন কারণে এই সারোগেসি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। অনেকে সন্তান জন্ম দিতে পারেনা চাইলেও শারীরিক সমস্যার কারণে সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম। তাদের জন্য চিকিৎসা স্বরূপ এই সারোগেসি পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়েছে। সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে খুব সহজেই সন্তান জন্ম দিতে পারবেন। প্রত্যেকটি নারীর ইচ্ছা থাকে মা হওয়ার মা হওয়ার অনুভূতিটি আলাদা। 

নিজের বাচ্চাকে লালন পালন করা খাওয়ানো ছোট ছোট হাত পা নিয়ে খেলাধুলা করা। এই অনুভূতিগুলো একটি মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা সন্তান জন্ম দিতে এখন তারা প্রতি মুহূর্তে একটি সন্তানের প্রয়োজন অনুভব করে তাদের জন্য চিকিৎসকরা চিকিৎসা স্বরূপ এই সারোগেসি পদ্ধতিকে আবিষ্কার করেছেন। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে নিজের জিনকে অক্ষুন্ন রাখতে পারবেন এবং নিজের ডিম্বানু ও শুক্রাণু ব্যবহার করে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন।

অনেকের সন্তান জন্ম দিতে না পারলে তারা সন্তান দত্তক নেন। সন্তান দত্তক নিলে তার শরীরে সম্পূর্ণ আলাদা জিন রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি সারোগেসি পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাহলে আপনার সন্তানের শরীরে শুধুমাত্র আপনার জ্বীন গুলোই স্থানান্তরিত হবে। আপনারা যারা জানতে চান তারও কিছু কেন করা হয় তারা নিচে কারণ গুলো দেখে নিন। 
  • শারীরিক অক্ষমতা 
  • বন্ধ্যাত্ব 
বেশিরভাগ মানুষ এই দুইটি কারণেই সারোগেসি পদ্ধতি অবলম্বন করেন। এক শারীরিক অক্ষমতা এবং  বন্ধ্যাত্ব। অনেক মায়ের শরীর ভালো থাকে না অর্থাৎ সন্তান জন্ম দেওয়া তাদের শরীরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কোন গুরুতর রোগ থাকতে পারে রোগের কারণে সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হতে পারেন। আবার অনেক পুরুষ কিংবা মহিলা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হন। তবে যারা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম তারা কি সন্তানের স্বাদ গ্রহণ করবে না? হ্যাঁ করবে। 

তাদের জন্য এখন সারোগেসি পদ্ধতি এসেছে এই সারোগেসি পদ্ধতি ব্যবহার করে তারা খুব সহজে নিজের সন্তানকে জন্ম দিতে পারবে। নিজের সন্তানের মধ্যে নিজের জীন গুলো স্থানান্তর করতে পারবে। এখন নামিদামি কারো করা পর্যন্ত এই সারোগেসি পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজের সন্তানকে জন্ম দিচ্ছেন। যেমন করণ যোগার, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া তারা এই সারোগেসি পদ্ধতি ব্যবহার করে সন্তানকে জন্ম দিয়েছেন। সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সারোগেসি কেন করা হয়।

পরার্থপর সারোগেসি কাকে বলে

অন্যান্য সারোগেসি পদ্ধতির মতোই পরার্থপর সারোগেসি। পরার্থ পর সারোগেসিতে একজন মহিলা থাকে এবং একটি দাম্পত্য থাকে। দাম্পত্যর ইচ্ছাতে তারা তাদের ভ্রুণ ও ডিম্বানু নিষিক্ত করে সেই সারোগেট মায়ের শরীরে প্রবেশ করান। এতে তাদের বাচ্চা জন্ম হয় এবং আইরিন চুক্তি অনুসারে বাচ্চা জন্ম হওয়ার পর সেই মায়ের দায়িত্ব হল দাম্পত্য কাছে সেই বাচ্চা হস্তারান্তর করা। পরার্থপর সারোগেসি এবং সারোগেসি পদ্ধতি প্রায় একই। 

তারও বেশি পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দেওয়ার বিনিময়ে অর্থ না হয় কিন্তু পদার্থ আরো কিছু পদ্ধতিতে কোন অর্থ কিংবা ফী নেওয়া হয় না। হতে পারে পরার্থপর সারোগেসি পরিবারের সদস্যের মাধ্যমে করানো হচ্ছে যেমন আপনি সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম। সেক্ষেত্রে আপনার পরিবারের যদি কোন সদস্য থাকে তাহলে তার সাহায্যে তার গর্ভে আপনাদের ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন। ভারতে এই পদ্ধতিটি সম্পন্ন বৈধ কিন্তু সারোগেসি পদ্ধতি অবৈধ।

এই পরার্থপর সারোগেসি পদ্ধতিকে পরোপকারী সারোগেসি পদ্ধতিও বলা হয়। আমরা সাধারণত জানি সারোগেসি করানোর জন্য গর্ভ ভাড়া নেওয়া হয় এবং সারোগেট মাকে অর্থাৎ যে তার গর্ভে সন্তানটি ধারণ করছে তাকে কিছু অর্থ দেওয়া হয়। কিন্তু এই পরার্থপর সারোগেসি পদ্ধতি কোন অর্থ দেওয়া হয় না এটা শুধুমাত্র উপকারের আশায় করা হয় এই জন্য এই পদ্ধতিটি বৈধ। পরার্থপর সারোগেসি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন আপনার পরিবারের সদস্যের ক্ষেত্রে। 

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন পরার্থপর সারোগেসি কাকে বলে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি সারোগেট মাদার কাকে বলে।

সারোগেট মাদার কাকে বলে 

আপনি কি জানেন সারোগেট মাদার কাকে বলে? যে গর্ভ ভাড়া দেয় তাকে স্বাগত মাদার বলা হয়। যেমন A দাম্পত্যের সন্তানের জন্য গর্ভ ভাড়া দিচ্ছে B মহিলা। যেহেতু একজন মহিলা সবসময় সন্তান ধারণ করে এবং সন্তান জন্ম দেয় এই জন্য এদের নাম রাখা হয়েছে সারোগেট মাদার।


সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন কাকে বলা হয় এবার চলুন আমরা ঝটপার দেখে আসি পরার্থপর সারোগেসি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য যেমন পরার্থপর সারোগেসি কেন করা হয় এবং এর সুবিধা গুলো কি কি। 

পরার্থপর সারোগেসি কেন করা  হয়

বিভিন্ন কারণে পদার্থপয় সারোগেসি করা হয়। প্রথম কারণ হলো বন্ধ্যাত্ব জনিত সমস্যা। অনেকে ই সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হন। এক্ষেত্রে তারা কি সন্তানের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেনা অবশ্যই পারবে। বন্ধ্যাত্বদের জন্য সারোগেসি পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে এই সারোগেসি পদ্ধতিটির মাধ্যমে এখন সন্তান জন্ম দেওয়া হচ্ছে। অথবা আরও বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেমন 
  • স্বাস্থ্য অসুস্থতা: ক্যান্সার হার্টের সমস্যা কার্ডিয়াক রোগ দুর্বলতা।
  • জরায়ু জনিত সমস্যা: জেনেটিক জরায়ুর অস্বাভাবিকতা স্টেপটেট জরায়ু , দ্বিকোষ জরায়ু।
  • সমকামী দম্পতি 
  • পূর্বে গর্ভাবস্থার কোন সমস্যা থাকলে পরবর্তী সময়ে গর্ব ধারণ করতে বেশ অসুবিধা হয় এবং জীবনে হুমকিস্বরূপ হয়ে দাঁড়ায়। 
উপরের এই সমস্যা গুলোর কারণে তারোগেশি করা হয় করা হয় । তবে স্যারোগেশী আমরা প্রত্যেকে জানি এটি হারাম যারা হারাম থেকে বাঁচতে চান তারা হালাল পথ অনুসরণ করুন এবং পরার্থপর সারোগেসিকে অবলম্বন করুন। পরার্থপর সারোগেসি তে কোন প্রকার অর্থ প্রদান করতে হয় না এটি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে করা হয় অথবা কোন চেনা জানা আত্মীয়র মধ্যে করা যায়। 

পদার্থ সারোগেসি এটি ইন্ডিয়াতে হালাল রয়েছে। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পরার্থপর সারোগেসি কেন করা হয় এবার চলুন আমরা দেখে আসি পরার্থপর সারোগেসি  এর সুবিধাগুলো। 

পরার্থপর সারোগেসির সুবিধা 

পরার্থপর সারোগেসি করার পরে সন্তানের মধ্যে পিতা-মাতার জিন অক্ষুন্ন থাকে। কোন বাচ্চা দত্তক নেই তার মধ্যে তার মা বাবার জিন স্থানান্তরিত হয় কিন্তু আপনি যদি সার্ভিস পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাহলে আপনার জিনগুলো আপনার গুনাগুন গুলো আপনার সন্তানের মধ্যে স্থানান্তরিত হবে এটি সম্পূর্ণ আপনার সন্তান হবে শুধুমাত্র পার্থক্য হল অন্য গর্ভে জন্ম নিবে। পরার্থপর সারোগেসি র সুবিধা অনেক নিচে দেখে নিন এর সুবিধাগুলো ব্যাখ্যা করা রয়েছে। 

  • পরার্থপর সারোগেসি তে নরমাল সারোগেসি তুলনায় খরচ অনেক কম হয় যারা অল্প খরচে সন্তান জন্ম দিতে চাচ্ছেন তাদের জন্য পরার্থপর সারোগেসি ভালো হবে।
  • পড়াতে পড়ার গেছি ভারতের সম্পূর্ণ বৈধ। যাদের বন্ধ্যাত্বজনিত সমস্যা রয়েছে তারা নিঃসন্দেহে এই পরার্থপর সারোগেসি বেছে নিতে পারেন।
  • পরার্থপর সারোগেসি তে আর্থিক খরচের পরিবর্তে সারোগেট মায়ের ঔষধ চিকিৎসা খাবার খরচ সম্পর্কিত বীমা কভারেজ দিতে হবে। 
  • পরার্থপর সারোগেসি তে যারা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম তারাও সন্তানের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন এবং বংশ পরম্পরায় নিজের গুনাগুন ও জিনকে অক্ষুন্ন রাখতে পারবেন। 
  • পরার্থপর সারোগেসির মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তির সন্তান জন্ম দিতে পারবেন পরিবারের সদস্য বৃদ্ধি করতে পারবেন।
পরার্থপর সারোগেসির মাধ্যমে ওপরের এই সুবিধা গুলো লাভ করতে পারবেন সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সারোগেসি কি, সারোগেসি পদ্ধতি কি এবং পরার্থপর সারোগেসি কাকে বলে পরার্থপর সারোগেসির সুবিধা গুলো কি কি। এবার চলুন আমরা দেখে সারোগেসি পদ্ধতি ইসলাম কি বলে। 

সারোগেসি পদ্ধতি ইসলাম কি বলে

অনেকে জিজ্ঞাসা করেন সারোগেসি পদ্ধতি হালাল নাকি হারাম সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? ইসলামে কি সারোগেসি পদ্ধতির জায়েজ রয়েছে? আপনারা যারা ফারুক এসে বর যদি করতে চাচ্ছেন তাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে তারও বেশি পদ্ধতির সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? যারা সন্তান ধারণের অক্ষম তারা এখন সন্তান গ্রহণের জন্য নতুন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করছেন তার নাম হলো বেশি। কিন্তু এই তারও কিছু পদ্ধতি পবিত্রতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। 

তারও গীতি পদ্ধতি অবলম্বন করে সন্তান জন্মদিনের প্রকৃত বাবা মা কে? বাবা এবং সেই সারোগেট মা যাদের বিবাহের কোন সম্পর্ক নেই।। বিবাহের সম্পর্ক না থাকলে সন্তান জন্মদিনের সেই সন্তানকে সমাজে অবৈধ সন্তান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। মহান আল্লাহ তা'আলা জৈবিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সন্তান গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট পথ দেখিয়েছেন। কিন্তু সেই পথ বাদ দিয়ে অন্যান্য পথ অবলম্বন করলে এটি অবশ্যই হারাম। 

এছাড়াও মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা মুমিনুর আয়াত ৫ থেকে ৭ এ ইরশাদ করেছেন যে নিজের যৌনাঙ্গকে সংরক্ষিত রাখতে হবে নিজের স্ত্রী অথবা অধিকারভুক্ত দাসীগণ ছাড়া অন্য কেউ কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে। অতএব নিঃসন্দেহে বলা যায় যে ইসলামের দৃষ্টিতে সারোগেসি পদ্ধতি সম্পূর্ণ হারাম। তাই যারা মুসলিম রয়েছেন তারা সারোগেসি থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সারোগেসি পদ্ধতি ইসলাম কি বলে।

উপসংহার ঃপরার্থপর সারোগেসি কাকে বলে - সারোগেসি পদ্ধতি কি

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম সারোগেসি পদ্ধতি কি, সারোগেসি কাকে বলে সারোগেসি কত প্রকার, পরার্থপর সারোগেসি কাকে বলে এবং পরার্থপর সারোগেসি সুবিধা গুলো কি কি। বর্তমান সময় প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে আর প্রযুক্তির উন্নতির পাশাপাশি আমরা উন্নত হয়েছি আমরা উন্নত জীবন যাপন করতে ভালবাসি। 

আমাদের সমাজে অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম কিংবা সন্তান জন্ম দিতে পারেন না। এমন ব্যক্তিরা সন্তান দত্তক নিতেন। যে মা সন্তান ধরনের অক্ষম সে মাজলে সন্তানের প্রয়োজন কতটুকু। বন্ধ্যাত্বজনিত সমস্যার কারণে অনেকেই সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হন এক্ষেত্রে যাদের বন্ধ্যাত্বজনিত রয়েছে তারা এখন তারও বেশি পদ্ধতি ব্যবহার করার মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন।

এবং বংশ পরম্পরায় নিজের জিন ও ব্যক্তিত্বকে ধরে রাখতে পারবেন। সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তানের মধ্যে নিজের জিন ও গুনাগুন গুলো স্থানান্তরিত হয়। সারোগেসি পদ্ধতি বলতে বোঝায় গর্ভ ভাড়াকে। একজন দম্পতি সন্তান যখন অন্য একটি মহিলা তার গর্ভে ধারণ করবে তখন তাকে সারোগেসি পদ্ধতি বলা হবে এটি ভারতে বহু প্রচলিত একটি পদ্ধতি।

সারোগেসি পদ্ধতি অবলম্বন করে বলিউডের বিভিন্ন তারকারা সন্তান জন্ম দিচ্ছেন। সারোগেসি পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দেওয়ার পরিবর্তে টাকা দেওয়া হয়। অর্থাৎ যে ব্যাক্তি দাম্পত্য সন্তান নিজের গর্ভে ধারণ করছে তাকে অর্থ প্রদান করা হবে। আশা করছি আজকের এই পোস্টে মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন সারোগেসি পদ্ধতি সম্পর্কে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url