শালগম ও ওলকপি পার্থক্য - ওলকপি খাওয়ার উপকারিতা

শালগম ও ওলকপি পার্থক্য কি? বাজারে ওলকপি খুব কম পাওয়া যায়। ওলকপি দেখতে শালগমের মতো এইজন্য আমরা অনেকেই মনে করি এটা তো শালগম। কিন্তু ওলকপি এবং শালগম দুইটি আলাদা আলাদা সবজি। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা শালগম ও ওলকপি পার্থক্য ,ওলকপি খাওয়ার উপকারিতা, শালগম কিভাবে খায় সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
শালগম ও ওলকপি পার্থক্য - ওলকপি খাওয়ার উপকারিতা
শালগম ও ওলকপি পার্থক্য এবং ওলকপি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহ দেখতে থাকুন। ওলকপি নিয়মিত খেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় হজম শক্তি ভালো হয়।

পেজ সূচিপত্রঃ শালগম ও ওলকপি পার্থক্য - ওলকপি খাওয়ার উপকারিতা

          ভূমিকা          

শীতকালে বাজারে শালগমের মতো দেখতে সবুজ রঙের সবজি পাওয়া যায় এগুলোকে আমরা অনেকে মনে করি এটি হয়তো শালগম। শালগম এবং ওলকপি দেখতে একই হলেও এরা ভিন্ন ভিন্ন সবজি এবং এদের স্বাদ ভিন্ন শালগমের স্বাদ মিষ্টি এবং মাটির স্বাদ যুক্ত। 

কিন্তু ওলকপির স্বাদ তীক্ষ্ণ এবং কিছুটা তেতো ধরনের। ওলকপি সবজি হিসেবে তরকারি রান্না করা হয় কিংবা সালাদের ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শালগম এবং কবি চাষ করা হয়। বাজারে ওলকপি তুলনায় শালগমের চাহিদা অনেক বেশি। নিচে দেখে নিন শালগম ও ওলকপি পার্থক্য। 

শালগম ও ওলকপি পার্থক্য

শালগম এবং ওলকপির মধ্যে বিভিন্ন পার্থক্য রয়েছে। শালগম এক ধরনের মূল জাতীয় সবজি এটি সারা বিশ্বে উষ্ণমণ্ডলীয় জলবায়ু অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায় শালগম আকারে বড় হয়।  শালগম ওলকপির রংয়ের ভিন্নতা রয়েছে শালগম দেখতে সাদা ও ও গোলাপি রঙের মধ্যে 

আর ওল কপির সবুজ রংয়ের মধ্যে। শালগমের আকার ওলকপি তুলনায় বড় হয়। আমরা অনেকেই স্বাগতম এবং ওলকপিকে একই সবজি মনে করি কিন্তু এটা ভিন্ন ভিন্ন সবজি এদের জাত ও বর্গ ভিন্ন এটা আলাদা পরিবারের সবজি।

পার্থক্য
  • শালগম এরশাদ মিষ্টি এবং মাটির গন্ধযুক্ত। কিন্তু ওলকপি সাধ তীক্ষ্ণ আর করলার মতো তেতো। 
  • শালগন থেকে ভিটামিন সি, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, মিনারেল পাওয়া যাই কিন্তু ওলকপি থেকে ভিটামিন কে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং এন্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। 
  • শালগম তরকারি রান্নাতে সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং শালগম দিয়ে স্যুপ তৈরি করা হয়।। কিন্তু ওলকপির সালাদ হিসেবে খাওয়া হয় এবং সেদ্ধ করে খাওয়া যায়। 
  • শালগমের রং সাদা এবং গোলাপী মিশ্রিত। শালগম সাদা গোলাপি বেগুনি এবং হলুদ রঙের হয়।। শালগম দেখতে খুবই সুন্দর হয় কিন্তু ওলকপির রং সবুজ হয়।
  • শালগ্রাম খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হাড় ক্ষয় রোধ হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। ওলকপি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার্টের স্বাস্থ্য কে উন্নত করে।
  • শালগমের আকৃতি গোলাকার অথবা ডিম্বাকার হয় কিন্তু ওলকপির আকৃতি ওপরের অংশ ফুলকপির মত হয় 
  • শালগম এবং ওলকপি দুইটি ভিন্ন সবজি এদের স্বাদ ভিন্ন এবং এদের আগার আকৃতি ভিন্ন। শালগম ওলকপি পার্থক্য মনে রাখার জন্য সংক্ষেপে দেখে নিন।
  •  ওলকপি ও শালগমের পার্থক্য সংক্ষেপে
ওলকপি
  • ওলকপির আকৃতি গোলাকার কিন্তু ওপরের অংশ ফুলকপির মত চক্ষু। 
  •  ওলকপির রং ফ্যাকাশে সবুজ। 
  • ওলকপি সবজি হিসেবে রান্না করা যায় সাথেই সালাদ হিসেবে শসা কিংবা টমেটোর সাথে খাওয়া যায়।
  • ওলকপি থেকে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়।
  • ওলকপির স্বাদ তীক্ষ এবং করলার মতো তেতো। 
শালগম
  • শালগমের আকৃতির গোলাকার এবং ডিম্বাকার ডিমের মতো।
  • শালগমের রং দেখতে খুবই সুন্দর। এরা সাদা এবং গোলাপি রঙের মধ্যে হয়। অনেক শালগম হলুদ এবং বেগুনি হয়।
  • শালগম সবজি হিসেবে তরকারিতে রান্না করে খাই অথবা স্যুপ হিসেবে খাওয়া যায়।
  • শালগম থেকে উচ্চমানের ফাইবার সহ ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা হজম শক্তিকে বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 
সুপ্রিয় পাঠক বিন্দুর আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ওলকপি ও শালগম পার্থক্য সম্পর্কে। ওলকপি এবং শালগম ল্যাবের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখলে এদের বিভিন্ন পার্থক্য দেখতে পাওয়া যায় 

যেমন এদের রংয়ের ভিন্নতা রয়েছে এদের স্বাদের ভিন্নতা রয়েছে এমনকি এদের পুষ্টির ও ভিন্নতা রয়েছে। ফুলকপি খেলে হৃদ যন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় হার্ট এটাকে সুখী করে এবং শালগম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। 

ওলকপি এবং শালগম শাকসবজি এদের আকৃতির রং এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও এদের মধ্যে পুষ্টিগুণ ও খনিজ উপাদান ভরপুর রয়েছে। পছন্দ রেসিপি অনুযায়ী যে কোন সবজি তরকারিতে ব্যবহার করলে,

তরকারি স্বাদ আরো বাড়বে এবং পুষ্টিগুণের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে ওলকপি ও শালগম এর উপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন এবার চলুন আমরা দেখে আসি ওলকপির বৈশিষ্ট্য।

ওলকপির বৈশিষ্ট্য 

ওলকপি এবং শালগমের মধ্যে পার্থক্য মনে রাখার জন্য আপনাদেরকে ওলকপির বৈশিষ্ট্য এবং শালগমের বৈশিষ্ট্য গুলো জেনে রাখতে হবে। ওলকপি এবং শালগম এর বৈশিষ্ট্যের মধ্যে যথেষ্ট ভিন্নতা রয়েছে যেমন ওলকপি এবং শালগমের বৈজ্ঞানিক নাম আলাদা, এদের জাত আলাদা, বর্গ আলাদা। প্রতিটি শাকসবজি নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই বৈশিষ্ট্য গুলো হলো এদের পরিচয়।

ওলকপি এর ইংরেজি নাম হল Kohrabi। কপি গোত্রের অন্যতম সবজি হলো ওলকপি বৈজ্ঞানিক নাম হলো Brassica Oleracea। সবজি বাজারে ওলকপি অন্যান্য সবজির মত এত জনপ্রিয় নয়। এইজন্য আমরা অনেকেই ওলকপি চিনি না। 

শীতকালে বিভিন্ন এলাকায় ওলকপি চাষ করা হয় ওলকপি দুই ধরনের হয় একটি গাঢ় বেগুনি রংয়ের আরেকটি ফ্যাকাশে সবুজ রঙের। সবুজ রঙের ওলকপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয়। ওলকপি শীতের শক্ত ধরনের সবজি এটি ইউরোপীয় দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলোতে চাষ করা হয়। 

বাঁধাকপির বিশেষ প্রজাতির নাম হলো ওলকপি। কপির চেয়ে শক্ত আবরণ রয়েছে ওলকপির। ওলকপি সেদ্ধ হতে অনেক সময় নেই। ওলকপির স্বাদ করলার মতো তেতো ধরনের। ইউরোপের কিছু অঞ্চলে গৃহপালিত পশু পাখির খাদ্য হিসেবে ওলকপি দেওয়া হয়। ওলকপি থেকে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এবং এন্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। 

ওলকপির উপকারিতা অনেক থাকলেও কিছু কিছু ওলকপি খাওয়ার ফলে এলার্জি হতে পারে। ওলকপি দেখতে গোলাকার এবং ফুলকপির মতো চক্ষু আকৃতির হয়। সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ওলকপির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এই বৈশিষ্ট্য গুলো দেখে আপনি বুঝতে পারবেন কোনটি ওলকপি এবং কোনটি শালগম।

শালগমের বৈশিষ্ট্য 

শালগম সারা বিশ্বজুড়ে উষ্ণ মন্ডলীয় জলবায়ু অঞ্চল গুলোতে জন্ম নেয় এই উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম হল Brassica Rapa। বাঙালিরা শালগম তরকারিতে ব্যবহার করে। শালগম দেখতে সাদা এবং গোলাপি রঙের হয়। শালগম Brassicaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।  

শালগমের রং সাদা এবং গোলাপি রঙের হয় এরা মাটি থেকে এক থেকে ছয় সেন্টিমিটার উপরে জন্মায় শালগমের স্বাদ মিষ্টি হয়। শালগম থেকে মাটির গন্ধ পাওয়া যায় শালগম খেতে খুবই সুস্বাদু এবং এদের আকার ডিমের মতো গোল হয় এজন্য এদেরকে ডিম্বাকার আকৃতি বলা হয়। 

কাঁচা শালগম সালাদ হিসেবে খাওয়ার পাশাপাশি তরকারিতে ব্যবহার করা হয় শালগমের স্বাদ কিছুটা মুলার মত। শালগমের পুষ্টিগুন উপাদান অনেক। শালগম থেকে ভরপুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায় ক্ষমতা বাড়ে ক্যান্সার প্রতিরোধ হয় রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।  

শালগম খেলে রক্ত থেকে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে, দৃষ্টি শক্তিকে উন্নত হয়। অতিরিক্ত শালগম খেলে অন্ত্রের সমস্যা হতে পারে এবং হজম শক্তিতে সমস্যা দেখা দিবে। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন শালগমের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। 

শালগম দেখটে ডিম্বাকার ডিমের মত গোল হয় এবং এর রং সাদা ও গোলাপি রঙের মধ্যে হয় কিছু কিছু শালগম বেগুনি রংয়ের হয়। শালগমের স্বাদ মিষ্টি হয়। শালগম তরকারিতে ব্যবহার করা যায়। এবার চলুন আমরা দেখে আসি শালগম কিভাবে খায়। 

শালগম কিভাবে খায় 

আপনি কি শালগম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান? অনেকে জিজ্ঞাসা করেন শালগম কিভাবে খায়? শালগম খাওয়া বিভিন্ন উপায় রয়েছে বিভিন্ন অঞ্চলের শালবন দিয়ে বিভিন্ন তরকারি রান্না করা হয়। যেমন অনেকেই শালগমের ভাজি খেতে পছন্দ করে আবার অনেকে শালগম শসার সাথে সালাদ হিসেবে খায়। 

দক্ষিণ পূর্ব আমেরিকাতে শালগমের পাতা রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। ছোট পাতা গুলো খাবার কাজে ব্যবহার করা হয় কিন্তু বড় পাতাগুলো কটু স্বাদযুক্ত হয় এই জন্য বড় পাতা বাদ দেওয়া হয়। বাঙালিরা শালগমের পাতা বাদ দিয়ে শালগম দিয়ে তরকারি রান্না করে। তরকারিতে শালগম ব্যবহার করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়, নিচে দেখে নিন শালগমের কিছু রেসিপির নাম ।
  • ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে শালগমের তরকারি 
  • শালগম দিয়ে নিরামিষ 
  • শালগম ভর্তা 
  • শালগমের ঘন্ট
  • শালগম দিয়ে টক ঝাল তরকারি 
  • শালগম দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি 
  • শালগম দিয়ে কড়াইশুঁটি
  • শালগম দিয়ে মক্কে কি রোটি 
  • ভেজিটেরিয়ান শালগম ক্লিয়ার স্যুপ
  • নিরামিষ খিচুড়ির সাথে শালগম ভাজি
  • শালগম দিয়ে শুটকি মাছ রেসিপি
  • এছাড়াও শালগম সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়। শালগম স্যুপ হিসেবেও খাওয়া যায়।
আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন শালগম কিভাবে খায় এবার চলুন আমরা দেখে আসি ওলকপির পুষ্টিগুণ উপাদান সম্পর্কে। অর্থাৎ ওলকপি থেকে কি কি পুষ্টিগুণ উপাদান গুলো পাওয়া যায়। 

ওলকপির পুষ্টিগুণ উপাদান 

আপনি কি জানেন ওলকপি থেকে কি কি পুষ্টিগুণ উপাদান পাওয়া যায়? ওলকপি ফুলকপি বাঁধাকপি এই নামগুলো প্রায় একই তাই না? এরা প্রত্যেকে কপি জাতের সবজি। কপি জাতের অন্যতম সবজি হল ওলকপি। ওলকপি থেকে উচ্চমানের ভিটামিন পাওয়া যায় যেমন 
  • ভিটামিন সি 
  • ভিটামিন কে 
  • ভিটামিন এ 
  • অক্সিডেন্ট ফাইবার
  • পটাশিয়াম 
  • ম্যাগনেসিয়াম 
  • আয়রন 
ওল কবে থেকে প্রচুর ভিটামিন সি পাওয়া যায় ভিটামিন সি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত কাজ করে। ওর কপি থেকে ভিটামিন কে পাওয়া যায় যার শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে। এছাড়াও ওলকপি থেকে পটাশিয়াম পাওয়া যায়, 

যা হার্টের জন্য উপকারী এবং আয়রন রক্তস্বল্পতা সমস্যা দূর করে। রক্তে শরবত থাকলে ত্বক চোখ মুখ ফ্যাকাশে হয়ে ওঠে প্রাকৃতিক উপায় দূর করতে হবে। সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ওলকপির পুষ্টিগুণ উপাদান সম্পর্কে দেখে আসি  ওলকপি খাওয়ার উপকারিতা গুলো। ওলকপি খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়। 

ওলকপি খাওয়ার উপকারিতা 

বাংলাদেশ বিচিত্র ঋতুর দেশ এই দেশে প্রতিটি ঋতুর আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন শীতকালের সুস্বাদু শাকসবজি সমাহারের পাশাপাশি বিভিন্ন পিঠার উৎসব। পিঠার ঘ্রাণ বলে দেয় এটি শীতকাল। শীতকালে বিভিন্ন সুস্বাদু সবজি পাওয়া যায় যেমন ওলকপি। ওলকপি খেতে খুবই সুস্বাদু পাশাপাশি এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর ওলকপি শুধুমাত্র শীতকালে পাওয়া যায় উপকারিতা রয়েছে যেমন: 

উচ্চ রক্তচাপ কমাই

ওলকপি খেলে উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস পায়। ওলকপি থেকে নাইট্রেট নামক উপাদান পাওয়া যায় যা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে দেয় এবং রক্তচাপকে শিথিল করে জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। ওলকপি থেকে পটাশিয়াম পাওয়া যায় এটি হার্ট এর জন্য উপকারী।

সোডিয়ামকে দূর করে এবং ধমনী প্রসারিত করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রক্তচাপ বলতে বোঝায় যখন হাট অন্যান্য অঙ্গতে রক্ত সরবরাহ করার জন্য অতিরিক্ত চাপ প্রদান করবে এই অবস্থায় রক্ত জমাট বাড়তে শুরু করে। তাই উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ওলকপি খেতে হবে। 

ওলকপি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে

ওললকপি থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় যা ওজন কমাতে সাহায্য করে যারা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অতিরিক্ত ওজন থেকে রেহাই পেতে চান তারা নিয়মিত খাদ্য তালিকাতে ওল্ড কপি রাখুন। 

ওলকপি বিপাক ক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করে। যেকোনো খাবার দ্রুত পরিপাক হয় এতে অবাঞ্ছিত চর্বি জমা হয় না যার ফলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই মিলে 

ওলকপি থেকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে সাহায্য করে আমরা অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য দ্বারা আক্রান্ত রয়েছি কোষ্ঠকাঠিন্য অনেক জটিল রোগ। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই পেতে ওলকপি খেতে হবে ওলকপি থেকে ফাইবার পাওয়া যায় যা থেকে মল পানি শোষণ করে। এছাড়াও ওলকপি খেলে হজম শক্তি ভালো থাকে। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি 

ওলকপি থেকে উচ্চমানের ভিটামিন সি পাওয়া যায় ভিটামিন সি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত কাজ করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এর কাজ হল কোষ মেরামত করা এবং ইমিউনিটি সিস্টেম এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে বিভিন্ন রোগবালয় দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এজন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ওলকপি খেতে হবে। 

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা উপরের আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন ওলকপি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে উচ্চ রক্তচাপ কম শিথিল করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে পাশাপাশি ওই কবি থেকে উচ্চমানের ডায়েটারি ফাইবার পাওয়া যায়। 
যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কে দূর করে এবং হজম শক্তিকে আরো উন্নত করে। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন শালগম ও ওলকপি পার্থক্য কি এবং ওলকপি খাওয়ার উপকারিতা কি পাশাপাশি শালগম কিভাবে খায়। 

উপসংহারঃশালগম ও ওলকপি পার্থক্য - ওলকপি খাওয়ার উপকারিতা

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম শালগম ওলকপি পার্থক্য কি ওলকপি খাওয়ার উপকারিতা কি এবং শালগম কিভাবে খায়। বাজারে শালগম এবং ওলকপি উভয় সবজি দেখতে পাওয়া যায় আমরা অনেকে ওলকপিকে সালমা মনে করি কিন্তু শালগম এবং ওলকপি দুইটি আলাদা আলাদা সবজি।

শালগম মিষ্টি স্বাদ যুক্ত এবং শালগম থেকে মাটির গন্ধ আসে কিন্তু ওলকপি কিছুটা তীক্ষ্ণ এবং তেতো স্বাদ যুক্ত। ওলকপি তরকারি হিসেবে রান্না করা হয় ওই কপি থেকে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট সহ আরো অন্যান্য খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। শালগম এবং ওলকপি উভয় সবজি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন শালগম ও ওলকপি পার্থক্য সম্পর্কে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url