মেরুদন্ডী প্রাণীদের কি কি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়
আপনি কি মেরুদন্ডী প্রাণী সম্পর্কে জানতে চান মেরুদন্ডী প্রাণীদের কী কী শ্রেণীতে ভাগ করা যায়? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই পোস্টে আমরা মেরুদন্ডী প্রাণী সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করব মেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে, মেরুদন্ডী প্রাণীর উদাহরণ কি এবং মেরুদন্ডী প্রাণীদের কি কি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
চলন ঝটপট দেখে আসি মেরুদন্ডী প্রাণীদের কি কি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় এবং মেরুদন্ডী প্রাণীর উদাহরণ কি ও মেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে। আজকের এই পোস্টে মেরুদন্ডী প্রাণী সম্পর্কে A - Z বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
চলন ঝটপট দেখে আসি মেরুদন্ডী প্রাণীদের কি কি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় এবং মেরুদন্ডী প্রাণীর উদাহরণ কি ও মেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে। আজকের এই পোস্টে মেরুদন্ডী প্রাণী সম্পর্কে A - Z বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
মেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে
মেরুদন্ডী প্রাণী বলতে বোঝায় যে প্রাণীদের শরীরে মেরুদণ্ড রয়েছে এই পৃথিবীতে দুই শ্রেণীর প্রাণী রয়েছে এক অমেরুদন্ডী এবং দুই মেরুদন্ডী। প্রথম শ্রেণীর প্রাণীদের অমেরুদন্ডী প্রাণী বলা হয় এবং পৃথিবীর সকল উন্নত শ্রেণীর প্রাণীদেরকে মেরুদন্ডী প্রাণী বলা হয়।
অমেরুদন্ডী প্রাণীদের শরীরে কোন অন্ত কঙ্কাল উপস্থিত থাকে না এবং এদের শরীরে রক্ত থাকে না। অমেরুদন্ডী শ্রেণীর প্রাণীদের শরীরে ফুসফুস উপস্থিত থাকে না যার ফলে তারা গিলা অথবা ত্বকের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নাই। মেরুদন্ডী প্রাণীদের শরীরে ও ফুসফুস উপস্থিত রয়েছে এই যেন মেরুদন্ডী প্রাণীরা ফুসফুস অথবা গিল এর সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নেই।
মেরুদন্ডী প্রাণীর সংজ্ঞা
মেরুদন্ডী প্রাণীর সংজ্ঞা হলো মেরুদন্ডী প্রাণী বলতে বোঝায় যাদের শরীরে অন্ত কঙ্কাল উপস্থিত রয়েছে। বিভিন্ন বিজ্ঞানী মেরুদন্ডী প্রাণী সম্পর্কে বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। যেমন সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটি বিজ্ঞানীর মেরুদন্ডী প্রাণীর সংজ্ঞা নিচে দেওয়া রয়েছে দেখে নিন।
অ্যারিস্টোটল এর সংজ্ঞা
মেরুদন্ডী প্রাণীরা হল সেই প্রাণীর যার শরীরে হাড় কিংবা মেরুদন্ড রয়েছে। অ্যারিস্টোটল প্রাণিজগতের শ্রেণীবিভাগের মেরুদন্ডী প্রাণীদের কে বিশেষ স্থান দিয়েছেন।
লিনিয়াস এর সংজ্ঞা
লিনিয়াস মেরুদন্ডী প্রাণী শ্রেণীবিভাগের vertebrata এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন এবং মেরুদন্ডী প্রাণীদের সংজ্ঞায়িত করেছেন। লিনিয়াস বলেন মেরুদন্ডী প্রাণীদের শারীরিক গঠন এবং স্নায়ুতন্ত্র অনেক বেশি উন্নত। এদের বুঝার ক্ষমতা অনেক বেশি।
জেমস গোল্ড স্মিথ এর সংজ্ঞা
জেমস গোল্ড স্মিথ মেরুদন্ডী প্রাণীদের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। যেমন মেরুদন্ডী প্রাণী এরা হলো সেই প্রাণী যাদের হাড়ের গঠন এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সাহায্যে নিজেদের পরিচালনা করে।
রিচার্ড ড অক্সফোর্ড এর সংজ্ঞা
রিচার্জ ড অক্সফোর্ড মেরুদন্ডী প্রাণীদের ক্ষেত্রে বলেন যার শরীরে একটি মেরুদন্ড এবং অন্যদের স্নায়ুতন্ত্র উন্নত মানের রয়েছে তাদেরকে মেরুদন্ডী প্রাণী বলা হয়।
সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে এবার চলুন আমরা দেখে আসি মেরুদন্ডী প্রাণীদের কি কি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
মেরুদন্ডী প্রাণীদের কি কি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়
অনেকে জিজ্ঞাসা করেন যে মেরুদন্ডী প্রাণীদের কি কি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়? মেরুদন্ডী প্রাণীদেরকে ভার্টিব্রাটা উপব্যের প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হয়। মেরুদন্ডী প্রাণীর মূল বৈশিষ্ট্য হল তাদের শরীরে অন্ত কঙ্কাল রয়েছে এবং এদের স্নায়ুতন্ত্র অনেক উন্নতমানের পাশাপাশি মেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে রক্তের চলাচল হয় এবং রক্ত হিমোগ্লোবিন উপস্থিত রয়েছে।
মেরুদন্ডী প্রাণীদের সাতটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যেমন:
- সাইক্লোস্টোমাটা
- কনড্রিকথিস
- অসিটকথিস
- অ্যামফিবিয়া
- রেপ্টিলিয়া
- অ্যাভেস
- ম্যামালিয়া
এই সাতটি ভাগে মেরুদন্ডী প্রাণীদের এই সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়। মেরুদন্ডী প্রাণী শ্রেণীবিন্যাস সম্পর্কে জানতে দেখে নিন প্রতিটি শ্রেণিকে আলাদা আলাদা করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
সাইক্লোস্টোমাটা শ্রেণীর উদাহরণ এবং সাইক্লোস্টোমাটা কাকে বলে
সাইক্লোস্টোমাটা এই শব্দটি গ্রিক শব্দ সাইক্লোস থেকে এসেছে। সাইক্লোস অর্থাৎ সার্কেল এবং স্টোমা শব্দের অর্থ মুখ। এই দুইটি শব্দ একত্রিত করে সাইক্লোস্টোমাটা শব্দটির উৎপত্তি হয়। সাইক্লোস্টোমাটা শ্রেণীর প্রাণীদের দাঁত আস কিংবা বরন শোষণ করার জন্য বিশেষ কোনো অঙ্গ নেই এর জন্য এরা অন্যান্য জলের প্রাণীদের ওপর নির্ভর থাকে।
সাইক্লোস্টোমাটা শ্রেণীর উদাহরণ যেমন : হাগ ফিস এবং ল্যাম্প্রে।
মেরুদন্ডী প্রাণীদের দ্বিতীয় শ্রেণি হলো কনড্রিকথিস। কনড্রিকথিস বলতে বোঝায় মাছের শ্রেণীকে। কনড্রিকথিস মূলত এক ধরনের মাছের শ্রেণি এটি করটিলেজ দ্বারা গঠিত হয়। এই শ্রেণীর প্রানীদের শক্তিশালী চোয়ালসহ দাঁত উপস্থিত রয়েছে। প্রতিটি মাছ কনড্রিকথিস শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত নয়। শুধুমাত্র হাঙর প্রজাতির মাছগুলোই কনড্রিকথিস শ্রেণীর।
কনড্রিকথিস শ্রেণির উদাহরণ
- হাঙ্গর
- স্কেট
- রে
- সাদা হাঙ্গর
- নীল হাঙ্গর
- হাম্প ব্যাক শার্ক
- ব্ল্যাক টিপ শার্ক
- ওয়াক্সিং শার্ক
- ম্যাকো শার্ক
- লেমন শার্ক
- রেগুলার শার্ক
- স্পিনিং শার্ক
- বাটারফ্লাই শার্ক
- ইলেক্ট্রিক শার্ক
- স্কাটার শার্ক
- বাটারফ্লাই রে
- পুনিস রে
- স্যান্ড রে
- ব্ল্যাক মার্বেল্ড রে
- গরুর হাঙ্গর
- মাকো হাঙ্গর
- রিফ হাঙ্গর
- মহাসাগরীয় হাঙ্গর
অসিটকথিস শ্রেনী কাকে বলে এবং এর উদাহরণ
মেরুদন্ডী প্রাণীর তৃতীয় শ্রেণি হল অসিটকথিস। অসিটকথিস শ্রেণীর একটি প্রাচীনতম মাছ রয়েছে যেমন ইলিশ মাছ। ইলিশ মাছের শরীরে মেরুদন্ড উপস্থিত রয়েছে এবং এরা জলজ প্রাণী। অসিটকথিস শ্রেণির প্রাণী কে স্পাইনফাইন মাছও বলা হয়।
অসিটকথিস শ্রেণির মাছের দেহ সরল ও সমতল হয় এবং এদের স্পাইন রয়েছে অর্থাৎ এদের শরীরে পিঠের দিকে কাটা উপস্থিত রয়েছে এই মাছগুলোর অস্থি রয়েছে এদের শরীরে হার না থাকলেও কিছু হার্ড ক্যানেল এবং স্পাইন রয়েছে। অসিটকথিস শ্রেণীর উদাহরণ যেমন
- অ্যাকানথোডেস
- অ্যাকানথোডেস ব্রননি
- অ্যাকানথোডেস গ্রেসিলিন
- অ্যাকানথোডেস হেটিকা
- অ্যাকানথোডেস যাইগাস
- অ্যাকানথোডেস ব্রিজি
- অ্যাকানথোডস প্লানিষেপস
- ডিপ্লাক্যানথাস স্পিজিজ
- ডিপ্লাক্যানথাস লংগিসপিনাস
- প্টাইকোডস
- প্টাইকোডস মোর্টোনি
- ইস্চিওডাস
- ক্লাডোডাস
- পশুডওকানথোডেস
অ্যামফিবিয়া শ্রেণী কাকে বলে এবং এর উদাহরণ কি
মেরুদন্ডী প্রাণীদের চতুর্থ শ্রেণীর নাম হল অ্যামফিবিয়া। এই শ্রেণির প্রাণীরা জল এবং স্থল উভয় পরিবেশে বসবাস করতে পারে এই শ্রেণীর প্রাণীদের কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এদের জীবন চক্র এদের শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ধরন এদের চামড়া এবং এদের প্রচলন ক্ষমতা।
এই শরীরের প্রাণীদের সাধারণত দুইটি পর্যায়ে থাকতে হয় যেমন একটি জল এবং পূর্ণবয়স্ক অবস্থায় স্থলজ পরিবেশ। যেমন কুনোব্যাঙ। এরা অপূর্ণ অবস্থায় জলজ পরিবেশে বসবাস করে এবং প্রাপ্ত পূর্ণবয়স্ক অবস্থায় স্থলজ পরিবেশে বসবাস করে।
অ্যামফিবিয়া শ্রেণীর প্রাণীরা সাধারণত পানিতে ডিম পারে এবং এই ডিমের সাহায্যে তাদের বংশ বিস্তার হয় এদের চামড়া অনেক পাতলা হয়। অ্যামফিবিয়া ট্রেনের কিছু মূল উদাহরণ হল যেমন মাকড়সা, ব্যাঙ সালামান্ডার।
অ্যামফিবিয়া শ্রেণীর ১০ টি উদাহরণ
- বাগু
- পানি ব্যাঙ
- জলজ মাকড়সা
- কৌশল মাকড়সা
- প্যাঁচার মাকড়সা
- শংকর সালাম্যান্ডার
- সাধারণ মাকড়সা
- গ্রেট সালাম্যান্ডার
- সালাম্যান্ডার
- নিউট
রেপ্টিলিয়া শ্রেনী কাকে বলে
মেরুদন্ডী প্রাণীদের ৫ নম্বর শ্রেণীর নাম হলো রেপ্টিলিয়া। সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণীরা রেপ্টিলিয়া শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। এই শ্রেণীর প্রাণীর কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন এদের শুষ্ক ত্বক ঠান্ডা রক্তের প্রাণী এবং এদের ফুসফুসের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার প্রক্রিয়া।
রেপ্টিলিয়া শ্রেণির প্রাণীদের শুষ্ক ত্বক রয়েছে। এদের ত্বক গুরি দ্বারা আবৃত যা এদের পানি শোষণকে রোধ করে। রেপ্টিলিয়া শ্রেণীর প্রাণীদের রক্ত ঠান্ডা প্রকৃতির হয় এদের দেহ পরিবেশের উপর নির্ভরশীল। রেপ্টিলিয়া শ্রেণীর কিছু প্রাণী যেমন কচ্ছপ, টিকটিকি, ডাইনোসর, সাপ।
রেপ্টিলিয়া শ্রেণীর উদাহরণ
- গর্গল
- কচ্ছপ
- বক্স কচ্ছপ
- কাকড়া
- সাপ
- মিউটেশন সাপ
- এনাকন্ডা
- স্কিং
- স্নেক
- কামরান
- ব্লু টেগু
- গোঁফ যুক্ত লিজার্ড
- কাকড়া সাপ
- বিষাক্ত সাপ
- টটেরাপিন
- মারকারী সাপ
- সুন্দর সাপ
এই সমস্ত প্রাণীগুলো রেপ্টিলিয়া শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। রেপ্টিলিয়া শ্রেণীর প্রাণীগুলো সরীসৃপ প্রজাতির হয় যেমন টিকটিকি কচ্ছপ সাপ। সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন রেপ্টিলিয়া কাকে বলে এবং এর উদাহরণ সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে আসি অ্যাভেস শ্রেনী কাকে বলে।
অ্যাভেস শ্রেনী কাকে বলে
মেরুদন্ডী প্রাণীর ছয় নাম্বার শ্রেণীর নাম হল অ্যাভেস। অ্যাভেস হলো পাখিদের শ্রেনী। অ্যাভেস শ্রেণীর মূল কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল তাদের দানা তাদের পালক হালকা দেহ, ফুসফুস এবং অভ্যন্তরীণ প্রজনন ক্ষমতা।
অ্যাভেস শ্রেণির প্রাণীদের ডানা রয়েছে যা তাদেরকে উঠতে সাহায্য করে এবং তাদের পালক রয়েছে এই পালক তাদেরকে তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এদের শরীর অনেক বেশি হালকা। অ্যাভেস শ্রেণীর প্রাণীদের অভ্যন্তরীণ প্রজনন ক্ষমতা রয়েছে এরা অধিকাংশই ডিম পারে।
অ্যাভেস শ্রেণির প্রাণীরা ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাস প্রশ্বাস নেই। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন অ্যাভেস শ্রেণীর প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে আসি অ্যাভেস শ্রেণীর উদাহরণ।
অ্যাভেস শ্রেণীর উদাহরণ
- হোয়াইট টেইল ইগোল
- পিপড়ে
- কাক
- কাকাতুয়া
- টুইটি
- পিকক
- পাপিয়া
- কিচু
- দোয়েল
- ট্যাঙ্গার
- সারস
- ডাক
- ফিঞ্চ
- হর্ন বিল
- হাউজ
- গ্রিন ফিঞ্চ
ওপরের এই উদাহরণ গুলো হল অ্যাভেস শ্রেণীর উদাহরণ। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন অ্যাভেস শ্রেণির প্রাণী সম্পর্কে এবার চলুন আমরা দেখে আসি সর্বশেষ শ্রেণীর প্রাণী ম্যামালিয়া সম্পর্কে।
ম্যামালিয়া কাকে বলে
ম্যামালিয়া হলো স্তন্যপায়ী শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। মেরুদন্ডী প্রাণীদের সর্বশেষ শ্রেণি হলো ম্যামালিয়া। এই শ্রেণীর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন এদের পশম উষ্ণ রক্তের প্রাণী এরা এবং এদের প্রজনন পদ্ধতি অনেক বেশি উন্নত।
এরা যৌগিক প্রজনন করে এদের উন্নত মানের স্নায়ুতন্ত্র বিদ্যমান রয়েছে পাশাপাশি এরা স্তন্যপান করানোর জন্য দুধ তৈরি করে। ম্যামালিয়া শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত কিছু প্রাণী যেমন মানুষ সিংহ গরু।
ম্যামালিয়া শ্রেণীর প্রাণীদের অন্তঃকাল উপস্থিত রয়েছে এবং এদের স্নায়ুতন্ত্র অনেক বেশি উন্নত মানের হয় এটা সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমতী প্রাণী হিসেবে পরিচিত।ম্যামালিয়া শ্রেণীর প্রাণীদের দুইটি চোখ এবং দুইটি হাত ও দুইটি পা রয়েছে এরা উন্নত প্রজনন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রাণী।
ম্যামালিয়া শ্রেণীর উদাহরণ
- মানুষ
- হাতি
- ডলফিন
- বাঘ
- জেব্রা
- মোর
- পেঙ্গুইন
- বানর
- চিতা
- উট
- শিম্পাঞ্জি
- ছাগল
- গরু
- হরিণ
- গাধা
- বক
- নেকড়ে
- জিরাফ
- বাবুন
- লিজার্ড
- শেয়াল
- কুকুর
- সিংহ
- গিনিপিগ
- পেঙ্গুইন
- ভালুক
ওপরের এই প্রাণীগুলো হলো ম্যামালিয়া শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত এদের শরীর অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় অনেক বেশি উন্নতমানের এবং এদের শরীরে উন্নতমানের স্নায়ুতন্ত্রে উপস্থিত রয়েছে এরা ফুসফুসের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহন করে এবং এদের প্রজনন প্রক্রিয়া অনেক বেশি উন্নত। এরা স্তন্যদান করে। ম্যামালিয়া প্রাণীরা অন্যান্য শ্রেণীর প্রাণীর তুলনায় অনেক বেশি উন্নতমানের হয়।
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মেরুদন্ডী প্রাণীদের কি কি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় মেরুদন্ডী প্রাণীদের এই ৭টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। কোন কোন বইয়ে মেরুদন্ডী শ্রেণীদের পাঁচটি শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কে আলোচনা করা রয়েছে কিন্তু সত্যি কারের অর্থে মেরুদন্ডী প্রাণীদের সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়।
উপসংহার : মেরুদন্ডী প্রাণীদের কি কি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়
সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম মেরুদন্ডী প্রাণীদের কি কি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় এবং মেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে ও মেরুদন্ডী প্রাণীর উদাহরণ সম্পর্কে। মেরুদন্ডী প্রাণী বলতে বোঝায় যে সমস্ত প্রাণী শরীরে অন্ত কঙ্কাল অবস্থিত রয়েছে যেমন মানুষ ও চিতা।
আমাদের প্রত্যেকের শরীরে একটি অন্ত কঙ্কাল রয়েছে যার মাধ্যমে আমরা সহজে চলাচল করতে পারি। কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীদের শরীরে কোন অন্ত কঙ্কাল উপস্থিত নেই। কিন্তু কিছু কিছু অমেরুদন্ডী শ্রেণীর প্রাণীর শরীরে বহি কঙ্কাল উপস্থিত রয়েছে যেমন শামুক।
শামুকের ওপরে একটি খোলস রয়েছে এই খোলসের মধ্যে তারা আবৃত থাকে। মেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে এমন কোন বহি কঙ্কাল উপস্থিত না থাকলেও তাদের শরীরে অন্ত কঙ্কাল রয়েছে।
মেরুদন্ডের শ্রেণির প্রাণীরা অনেক বেশি বুদ্ধিমতী হয় এবং এদের স্নায়ুতন্ত্র অনেক বেশি উন্নত মানের হয় এদের শরীরে রক্ত চলাচল করে এবং মেরুদন্ডী প্রাণীদের শরীরে রক্তে হিমোগ্লোবিন রয়েছে যার ফলে রক্তের রং লাল।
কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীদের শরীরের রক্ত নেই বললেই চলে। আজকের এই পোস্টে আমরা মেরুদন্ডী প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করলাম পাশাপাশি মেরুদন্ডী প্রাণীদের কি কি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম।
ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url