মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর ১০০+ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত

মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চান? মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তাদেরকে পৃথক করে। যেমন মেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে মেরুদন্ড উপস্থিত রয়েছে কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে কোন মেরুদন্ড নেই। এমনই আরো অসংখ্য বৈশিষ্ট্য আজকের এই পোস্টটি থেকে আপনারা জানতে পারবেন। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর ১০০+ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত, মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য এবং ২০ টি অমেরুদন্ডী প্রাণীর নাম কি শেয়ার করব। 
মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আজকের এই পোস্টটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য গুলো খাতায় সংরক্ষণ করে রাখুন। চলুন ঝটপট দেখে নেওয়া যাক মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর ১০০+ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত এবং মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য কি।

পেজ সূচিপত্র : মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর ১০০+ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত

       ভূমিকা        

ক্লাস নবম এবং দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞান বইয়ের মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে দেওয়া রয়েছে যারা বিজ্ঞানী বিভাগের শিক্ষার্থী রয়েছেন তাদেরকে মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণী সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী এই পৃথিবীতে দুই শ্রেণীর জীব রয়েছে।
  • মেরুদন্ডী
  • অমেরুদন্ডী
মেরুদন্ডী প্রাণীদের কঙ্কাল রয়েছে কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীর কোন কঙ্কাল নেই আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন তাহলে মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী কারা মেরুদন্ডী বলতে বোঝায় যেমন মানুষ, বাঘ,বিড়াল, চিতা। কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণী বলতে বোঝায় মশা, মাছি, পিপড়া, মৌমাছি।

আরো পড়ুন: মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীদের পার্থক্য জানতে চান ক্লিক
মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তাদের একে অপরকে পৃথক করতে সাহায্য করে যেমন মেরুদন্ডী প্রাণীর বহি কঙ্কাল নেই কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীর বহি কঙ্কাল উপস্থিত রয়েছে। এমনই আরো ১০০+বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচে দেখে নিন মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।

মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর ১০০+ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত

মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন এই পৃথিবীতে উভয় প্রাণীর দ্রুত অপরিসীম যে কোন একটি প্রাণীর অনুপস্থিত দেখা দিলে পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তবে সময়ের ব্যবধানে এখন মেরুদন্ডী প্রাণীর তুলনায় অমেরুদন্ডী প্রাণীর সংখ্যা অনেক বেশি কমে গেছে। 

তাই সময় থাকে সচেতন হতে হবে এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীদের পরিবেশে বসবাস উপযোগী বাসস্থান তৈরি করে দিতে হবে। পৃথিবীর ভারসাম্য টিকিয়ে রাখার জন্য অমেরুদন্ডী এবং মেরুদন্ডী উভয় প্রাণীর গুরুত্ব অপরিসীম নিচে দেখে নিন মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য। 

মেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য 

  1. মেরুদন্ড অথবা স্পাইন রয়েছে 
  2. ফুসফুসের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস নেই
  3. অভ্যন্তরীণ অঙ্গ পতঙ্গ রয়েছে 
  4. উষ্ণ রক্ত যুক্ত
  5. প্রজননের জন্য বিশেষ অঙ্গ বিদ্যমান
  6. সামাজিক আচরণ 
  7. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা
  8. পা কিংবা পাখনা রয়েছে
  9. দেহ বিশাল আকারের 
  10. হার ও কার্টিলেজ
  11. প্রাকৃতিক বংশবিস্তারের ক্ষমতা 
  12. বুদ্ধিমতা 
  13. শক্তিশালী শরীরের গঠন রয়েছে 
  14. শরীরে রক্ত চলাচল
  15. দুই পা দিয়ে হাঁটাচলা শক্তি রয়েছে 
  16. উচ্চতর শ্রবণ এবং দৃষ্টি শক্তি বিদ্যমান রয়েছে 
  17. উন্নতির দৃষ্টিশক্তি
  18. নির্দিষ্ট শারীরিক গঠন, মাথা, পা ,হাত এ বিভক্ত।
  19. জন্ম দেয়ার মাধ্যমে অথবা ডিম পাড়ার মাধ্যমে বংশবিস্তার ঘটে। 
  20. জলজ এবং স্থলজ উভয় পরিবেশে বসবাস করতে পারে।
  21. খাদ্য গ্রহণের জন্য উন্নতির যঠর রয়েছে 
  22. চিন্তাশক্তি অনেক কার্যকরী হয়
  23. বিভিন্ন পরিবেশে বসবাস করতে পারে 
  24. উদ্ভিদ আছে বা মাংসভোজী হয়
  25. মস্তিষ্ক অনেক উন্নত মানের হয়
  26. দীর্ঘকাল বাঁচার ক্ষমতা রয়েছে 
  27. জেনেটিকালি বৈচিত্র বেশি রয়েছে 
  28. উন্নত মানের হৃৎপিণ্ড রয়েছে
  29. শরীর দুই ভাগে বিভক্ত
  30. হৃদপিন্ড তিনটি কিংবা চারটি চেম্বারের 
  31. বংশগতির প্রভাব রয়েছে 
  32. মেরুদন্ডী প্রাণীর টিস্যু গঠন উন্নত মানের 
  33. খাদ্য শৃঙ্খলে উচ্চ অবস্থানে রয়েছে 
  34. উষ্ণ আবহাওয়ার মধ্যে দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে 
  35. মস্তিষ্কের আকার এবং কার্যকারিতা অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় অনেক বেশি উন্নত 
  36. শরীরে রক্ত চলাচল করে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিন রয়েছে 
  37. বাইরের পরিবেশের সাথে অভিযোজিত 
  38. সন্তানের যত্ন নেওয়া 
  39. বংশগতির প্রভাব 
  40. ছাল অথবা খোলসের বিভিন্ন গঠন 
  41. উন্নত অনুভূতি 
  42. শীতকালীন ঘুম 
  43. অতিরিক্ত শ্বাসের জন্য ফুসফুস কিংবা গিল রয়েছে
  44. বোঝার মানসিক ক্ষমতা রয়েছে
  45. পরিবেশের খাপ খাইয়ে চলার শক্তি রয়েছে
  46. প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট ঋতু ব্যবহার
  47. সামাজিক জীবন যাপন করা 
  48. রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যয়বহুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ 
  49. গ্রন্থি ও হরমোনের কার্যকারিতা 
  50. ক্ষত থেকে দ্রুত আরোগ্য 
ওপরের এই বৈশিষ্ট্য গুলো শুধুমাত্র মেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। যে প্রাণীর মধ্যে উপরের এই বৈশিষ্ট্য গুলো দেখতে পাওয়া যাবে তাকে মেরুদন্ডী প্রাণী বলা হবে। মেরুদন্ডী প্রাণীদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এদের শরীর শক্তিশালী হয় এবং এর স্মৃতিশক্তি ও ব্রেইন অনেক বেশি উন্নতমানের হয়। 

মেরুদন্ডী প্রাণীদের মস্তিষ্ক অমেরুদন্ডী প্রাণীর তুলনায় অনেক বেশি উন্নত। যেমন মানুষের ভাবার ধরন, মানুষের মানসিক শক্তি। মানুষ পরিবেশে খাপ খাইয়া চলতে পারে, সামাজিক জীবন যাপন করতে ভালোবাসে, ক্ষত থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করে।

অমেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য

  1. ঠান্ডা রক্ত যুক্ত।
  2. প্রাথমিক স্নায়ুতন্ত্র বিদ্যমান ।
  3. মেরুদন্ড কিংবা স্পাইন নেই ।
  4. সহজ প্রজনন পদ্ধতি বিদ্যমান ।
  5. শরীর বিভিন্ন খন্ডে বিভক্ত। 
  6. অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো অবিস্পষ্ট 
  7. বেশিরভাগ প্রাণী জলস পরিবেশে বসবাস করতে ভালোবাস। 
  8. টিস্যুর গঠন অতি সহজ এবং দুর্বল। 
  9. প্রাথমিক শ্রবণ এবং দৃষ্টি শক্তি দুর্বল 
  10. রং ও গঠনের মধ্যে বৈচিত্র্যতা রয়েছে। 
  11. স্বায়ত্তশাসিত 
  12. বেশিরভাগ প্রাণী খাদ্য শৃঙ্খলের নিম্ন অবস্থানে রয়েছে। অন্যের ভজন হিসেবে ব্যবহার হয়। 
  13. এরা সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 
  14. অমেরুদন্ডী প্রাণীরা আকারে অনেক ছোট হয়। 
  15. অল্প খরচেই এদের প্রজনন প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়। 
  16. কিছু অমেরুদন্ডী প্রাণী সামাজিক জীবন যাপন করতে ভালোবাসে। 
  17. অমেরুদন্ডী প্রাণীর স্থলচর এবং জলজ উভয় পরিবেশে বসবাস করতে পারেন। 
  18. কিছু অমেরুদন্ডী প্রাণীর প্রজাতি রঙিন হয়। 
  19. স্থানীয় অভিযোজন। 
  20. শ্বাস প্রক্রিয়ার জন্য গিল অথবা ত্বক ব্যবহার করা হয়। 
  21. একসাথে উচ্চ সংখ্যক সন্তান উৎপাদন করতে সক্ষম। 
  22. ক্লোনিং এর সাহায্যে প্রজনন প্রক্রিয়া ঘটে।
  23. বেশিরভাগ অমেরুদন্ডী প্রাণী গুলো আক্রমনাত্মক হয়। 
  24. আত্ম রক্ষার জন্য সীমিত ব্যবস্থা বিদ্যমান। 
  25. জীব বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অমেরুদন্ডী প্রাণীদের মৌলিক স্তর দেওয়া হয়। 
  26. রক্ত কিংবা রক্তনালী নেই ।
  27. স্থানীয় পরিবেশের সাথে অমেরুদন্ডী প্রাণীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে। 
  28. অতি সূক্ষ্ম দেহ। 
  29. খাদ্য গ্রহণের পদ্ধতি ফিল্টার অথবা ফিডিং।
  30. দেহ বিভিন্ন খন্ডে বিভক্ত।
  31. বিবর্তন প্রক্রিয়া তুলনামূলক কঠিন।
  32. শরীরে হার অথবা করটিলেজের অভাব।
  33. পরিবেশের প্রতি সংবেদনশীলতা।
  34. দেহ তুলনামূলক নরম এবং ছোট।
  35. অমেরুদন্ডী প্রাণীদের পূর্ণ জন্মের ক্ষমতা রয়েছে। 
  36. ত্বকের সাহায্যে আলো এবং অন্ধকারের উপস্থিতি বুঝতে পারে। 
  37. পরিবেশের টিকে থাকার জন্য অভিযোজন ক্ষমতা রয়েছে।
  38. শরীরে রোগ ক্ষমতা কম থাকে 
  39. নিষ্ক্রিয় জীবনপ্রিয়া বিদ্যমান। অর্থাৎ কিছু কিছু অমেরুদন্ডী প্রাণী স্থির অবস্থায় থাকে ।
  40. কিছু কিছু অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে রক্ত থাকে না। 
  41. রক্তে হিমোগ্লোবিন থাকেনা 
  42. জলজ পরিবেশের জীবন যাপন করে 
  43. বিবর্তনের প্রাথমিক স্তরে রয়েছে এবং অন্যের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  44. দেহের বৃদ্ধির ধরণ আলাদা।
  45. ছিদ্রযুক্ত দেহ বিদ্যমান।
  46. খাদ্য শৃঙ্খলে সবচেয়ে নিচের স্তরে অবস্থান।
  47. সর্বদা পরিবেশের উপর নির্ভরশীল।
  48. রঙিন সার কিংবা খোলস বিদ্যমান রয়েছে।
  49. যথেষ্ট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অভাব রয়েছে।
  50. একাধিক চোখ রয়েছে।
উপরের এই ৫০ টি বৈশিষ্ট্য হলো অমেরুদন্ডী প্রাণীদের। অমেরুদন্ডী এবং মেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে বেশ কয়েকটি বিষয় এর মিল রয়েছে। যেমন মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী প্রাণী উভয়ে স্থলজ ও জলজ পরিবেশে বসবাস করতে সক্ষম। মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীরা পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারে। 

তবে যারা জানতে চান যে মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর পার্থক্য গুলো কি কি তারা নিচে দেখে নিন মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা রয়েছে। মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তাদেরকে পৃথক করতে সাহায্য করে। 

মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য 

মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে অসংখ্য পার্থক্য রয়েছে। প্রধান একটি পার্থক্য হলো মেরুদন্ডী প্রাণী মেরুদন্ড অথবা স্পাইন রয়েছে কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে কোন হাড়, কর্টিলেজ অথবা স্পাইন নেই। 

মেরুদন্ডী প্রাণীদের শরীরে উষ্ণ রক্ত চলাচল করে। কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে ঠান্ডা রক্ত চলাচল করে এবং কিছু কিছু প্রাণীর শরীরে রক্ত নালি নেই। এমনই আরো অসংখ্য মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর পার্থক্য সম্পর্কে জানতে নিচে দেখুন। 

##মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে বিভিন্ন পার্থক্য রয়েছে যেমন তাদের স্থান, আকার, প্রজনন ক্ষমতা, দেহের গঠন, অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, রক্তের তাপমাত্রা, স্নায়ুতন্ত্র, জীবনকাল এবং শ্বাস প্রণালী। অমেরুদন্ডী প্রাণীদের তুলনায় মেরুদন্ডী প্রাণী দেহ ভিসার আকৃতি হয় এবং এদের ব্রেইন অনেক উন্নত মানের হয়। 
পার্থক্য ১) শারীরিক গঠন: মেরুদন্ডী প্রাণীর মেরুদন্ড অথবা স্পাইন রয়েছে কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীর কোন মেরুদন্ড অথবা স্পাইন নেই। 

পার্থক্য ২) স্নায়ুতন্ত্র: মেরুদন্ডী প্রাণীদের স্নায়ুতন্ত্র অনেক বেশি উন্নত মানের হয় কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীদের স্নায়ুতন্ত্র প্রথম শ্রেণীর হয়। 

পার্থক্য ৩) জন্ম: মেরুদন্ডী প্রাণীদের প্রচলন ক্ষমতা ডিম ও জন্মের মাধ্যমে হয় কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীদের প্রচলন ক্ষমতা বিভিন্ন পদ্ধতির হয় এবং এরা একসাথে অসংখ্য সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম। 

পার্থক্য ৪) বংশগতির হার : মেরুদন্ডী প্রাণীরা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বাঁচতে পারে কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীরা স্বল্প সময় পর্যন্ত বাঁচতে পারে। 

পার্থক্য ৫) দৃষ্টিশক্তি: অমেরুদন্ডী প্রাণীদের দৃষ্টিশক্তি দুর্বল প্রকৃতির হয় কিন্তু মেরুদন্ডী প্রাণীদের দৃষ্টি শক্তি অনেক বেশি উন্নত মানের হয় এবং এদের দুইটি চোখ থাকে কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীদের শরীরে অসংখ্য চোখ থাকতে পারে। 

পার্থক্য ৬) ত্বক: মেরুদন্ডী প্রাণীরা চোখের সাহায্যে পৃথিবী সৌন্দর্য উপভোগ করে কিন্তু কিছু কিছু অমেরুদন্ডী প্রাণীরা ত্বকের সাহায্যে আলো এবং অন্ধকারের অনুপস্থিতি বুঝতে পারে। 

পার্থক্য ৭) টিস্যু: মেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরের জটিল টিস্যু বিদ্যমান কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে সাধারণ এবং দুর্বল টিস্যু বিদ্যমান।

পার্থক্য ৮) পরিবেশ: মেরুদন্ডী প্রাণীরা বিভিন্ন পরিবেশে বেঁচে থাকতে সক্ষম এবং পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে সক্ষম কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণী নির্দিষ্ট পরিবেশে বাঁচতে পারে। 

পার্থক্য ৯) সংরক্ষণ ব্যবস্থা: মেরুদন্ডী প্রাণীদের উন্নত সংরক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীদের সীমিত সংরক্ষণ ব্যবস্থা বিদ্যমান। 

পার্থক্য ১০) খাদ্য চেইন: অমেরুদন্ডী প্রাণীরা খাদ্য চেইন বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে কিন্তু মেরুদন্ডী প্রাণীরা খাদ্য চেইন এর মূল অংশ হিসেবে কাজ করে।

পার্থক্য ১১) প্রজাতি সংখ্যা: অমেরুদন্ডী প্রাণীদের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে কিন্তু সংখ্যা কম আর মেরুদন্ডী প্রাণীদের অল্প প্রজাতি এবং সংখ্যা বেশি। 

পার্থক্য ১২) আকার: মেরুদন্ডী প্রাণীদের শরীর অমেরুদন্ডী প্রাণীর তুলনায় আকারে অনেক বড় হয়। 

পার্থক্য ১৩) গতি: অমেরুদন্ডী প্রাণীদের গতি অনেক ধীর গতির হয় কিন্তু মেরুদন্ডী প্রাণীরা দ্রুত গতির হয়। 

পার্থক্য ১৪) জন্ম গত বৈশিষ্ট্য: অমেরুদন্ডী প্রাণীদের সাধারণ জন্মগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে কিন্তু মেরুদন্ডী প্রাণীদের জটিল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। 

পার্থক্য ১৫) নির্দিষ্ট অঙ্গ: মেরুদন্ডী প্রাণীদের শরীরে নির্দিষ্ট অঙ্গ রয়েছে যেমন হাত-পা মাথা, কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে এমন কোন নির্দিষ্ট অঙ্গ বিদ্যমান নেই। 

পার্থক্য ১৬) শরীর: মেরুদন্ডী প্রাণীদের শরীর দুইটি ভাগে বিভক্ত করা যায় কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরকে অসংখ্য ভাগে বিভক্ত করা যায়। 

পার্থক্য ১৭) ছিদ্র: অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে ছিদ্র পদার্থ রয়েছে যার মাধ্যমে তারা শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে কিন্তু মেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে এমন কোন ছিদ্র নেই যার মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া যায়।

পার্থক্য ১৮) জলজ পরিবেশ: অমেরুদন্ডী প্রাণীরা বেশিরভাগ জলে বসবাস করতে ভালোবাসে কিন্তু মেরুদন্ডী প্রাণীরা স্থলজ পরিবেশে বসবাস উপযোগী।

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা উপরের আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য গুলো কি কি এদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে এবং এদের জীবনকাল থেকে শুরু করে প্রতিটি জিনিসের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। 

মেরুদন্ডী প্রাণীদের দেহ গঠন আচার-আচরণ অমেরুদন্ডী প্রাণীর তুলনায় অনেক বেশি আলাদা অমেরুদন্ডী প্রাণী উচ্চতায় ছোট হয় এবং এদের সমাজে খাপ খাইয়ে চলার অভিজ্ঞতা নেই। এরা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট পরিবেশে বসবাস করতে পারে।
 
মেরুদন্ডী প্রাণীদের মধ্যে বিভিন্ন পরিবেশে এরা খাপ খাইয়া চলতে পারে না। মেরুদন্ডী প্রাণীদের তুলনায় অমেরুদন্ডী প্রাণীর জীবনকাল অনেক কম। অমেরুদন্ডী প্রাণীরা খাদ্য চক্রে অন্যের ভোজ হিসেবে কাজ করে কিন্তু মেরুদন্ডী প্রাণীরা অন্যকে ভোঁজ করে বেঁচে থাকে।

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে ১০০ টি বৈশিষ্ট্য এবং মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য গুলো কি কি এবার চোদোন ছটফট দেখে নেওয়া যাক ২০ টি অমেরুদন্ডী প্রাণীর নাম সম্পর্কে। 

২০ টি অমেরুদন্ডী প্রাণীর নাম 

আপনি কি অমেরুদন্ডী প্রাণীর নাম সম্পর্কে জানতে চান? আমাদের আশেপাশে বসবাসকৃত কোন প্রাণীগুলো অমেরুদন্ড? অনেকেই অমেরুদন্ডী প্রাণী সম্পর্কে জানতে চাই তাই আজকের এই পোস্টে আমরা ২০ টি অমেরুদন্ডী প্রাণীর নাম সম্পর্কে আলোচনা করব নিচে দেখে নিন আমেরুদন্ডী প্রাণীদের নামগুলো দেওয়া রয়েছে।
  1. স্পঞ্জ 
  2. কাকড়া 
  3. অক্টোপাস 
  4. চিংড়ি মাছ 
  5. শামুক 
  6. জেলিফিস 
  7. মৌমাছি 
  8. কেঁচো 
  9. স্কুইড
  10. পিঁপড়া
  11. ফেনোল 
  12. কলম মাছ
  13. সি অ্যাকোর 
  14. টুরটেল মাছ
  15. ফড়িং
  16.  মাকড়সা 
  17. সি হর্স 
  18. সী উইক  
  19. প্রজাপতি 
  20.  সি কিউকুম্বার 
ওপরের এই প্রাণীগুলো হলো অমেরুদন্ডী প্রাণীদের অন্তর্ভুক্ত এদের শরীরে রক্ত চলাচল করে না। এদের শরীরে বহি কঙ্কাল অবস্থিত রয়েছে যেমন চিংড়ি মাছের উপরে খোলস রয়েছে। শামুকের ওপরে খোলস রয়েছে এইগুলোকে বলা হয় বহিঃ কঙ্কাল। মানব শরীরে যেমন অন্ত কঙ্কাল রয়েছে একইভাবে এই বহি কঙ্কাল তাদেরকে চলাচল করতে সাহায্য প্রদান করে।

আমাদের আশেপাশে বসবাস করে পিঁপড়া কেঁচো মৌমাছি মশা এই প্রাণীগুলো হলো অমেরুদন্ডী প্রাণীদের অন্তর্ভুক্ত। প্রজাপতিও একটি অমেরুদন্ডী প্রাণী। এইজন্য প্রজাপতি শরীরে কোন রক্ত নেই। এমনকি মশা মাছি এবং কেঁচো পিপড়া এদের শরীরে কোন রক্ত থাকে না। আর এই বৈশিষ্ট্য গুলো হল অমেরুদন্ডী প্রাণীদের। সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি। 

উপসংহার : মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর ১০০+ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য, মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য ২০ টি অমেরুদন্ডী প্রাণীর নাম এবং মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর ১০০+বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

অমেরুদন্ডী প্রাণী বলতে বোঝায় যাদের শরীর ও কোন মেরুদন্ড কিংবা অন্ত কঙ্কাল নেই। যেমন মশা মাছি পিঁপড়া মৌমাছি এদের শরীরে কোন অন্ত কঙ্কাল নেই কিন্তু বহি কঙ্কাল রয়েছে যেমন চিংড়ি মাছের ওপরে একটি খোলস থাকে এই খোলসকে বহি কঙ্কাল বলা হয় এবং চিংড়ি মাছ অমেরুদন্ডী প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত। 

অমেরুদন্ডী প্রাণীরা একত্রে অসংখ্য জন্ম দিতে সক্ষম। অমেরুদন্ডী প্রাণীরা স্থলজ এবং জলজ উভয় পরিবেশের বসবাস করতে পারে আবার মেরুদন্ডী প্রাণীরাও জলজ এবং স্থলজ উভয় পরিবেশের বসবাস করতে পারে। 

মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীদের মধ্যে বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তাদেরকে পৃথক করতে সাহায্য করে। আজকের এই পোস্টে আমরা মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীদের অসংখ্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করলাম পাশাপাশি তাদের মধ্যে কি কি পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। 

যেমন অমেরুদন্ডী প্রাণীদের অসংখ্য চোখ থাকে কিন্তু মেরুদন্ডী প্রাণীদের শুধুমাত্র দুটি চোখ থাকে। আশা করছি আজকের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন এবং মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এমনই আরো দুর্দান্ত পোস্ট নিয়মিত পেতে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url