অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে উদাহরণ দাও ১০০টি উদাহরণ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে, মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য, অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে উদাহরণ দাও ১০০টি উদাহরণ এবং মেরুদন্ডী প্রাণীদের কয়টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় ও কি কি সেই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে উদাহরণ দাও
আপনি যদি মেরুদন্ডী প্রাণী সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য উপকারী হতে চলেছে। এই পোস্টে অমেরুদন্ডী প্রাণীর ১০০টি উদাহরণ শেয়ার করব। চলুন ঝটপট দেখে আসি মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর বৈশিষ্ট্য, মেরুদন্ডী প্রাণীদের কয়টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় ও কি কি এবং অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে উদাহরণ দাও ১০০টি উদাহরণ।

পেজ সূচিপত্র : অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে উদাহরণ দাও ১০০টি উদাহরণ 

       ভূমিকা         

এই পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীদের দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে যেমন ১) মেরুদন্ডী এবং ২) অমেরুদন্ডী। মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীর সমন্বয়ে এই পৃথিবী তৈরি হয়েছে এই পৃথিবীতে মেরুদন্ডী প্রাণীর তুলনায় অমেরুদন্ডী প্রাণীর সংখ্যা খুবই কম। কারণ সময়ের ব্যবধানে অমেরুদন্ডী প্রাণীদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। 

এই পৃথিবীতে মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী প্রাণী উভয়ের গুরুত্ব রয়েছে। ও মেরুদন্ডী প্রাণীর সংকট এ পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে তাই আমরা আজকের এই পোস্টের পৃথিবীতে অমেরুদন্ডী প্রাণীর পরিবেশগত গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন প্রথমে দেখে আসি অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে উদাহরণ দাও ১০০টি উদাহরণ।

অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে উদাহরণ দাও ১০০টি উদাহরণ 

অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে উদাহরণ দাও ১০০টি উদাহরণ। সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। অমেরুদন্ডী প্রাণী বলতে বোঝায় যে প্রাণীদের শরীরে কোন মেরুদণ্ড কিংবা ভার্টেব্রা উপস্থিত নেই। 

মেরুদন্ডী প্রাণীর মূল বৈশিষ্ট্য হল তাদের শরীরে কঙ্কাল উপস্থিত রয়েছে। অমেরুদন্ডী প্রাণীর সৈন্য কঙ্কাল রয়েছে কিন্তু মেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে অন্ত কঙ্কাল উপস্থিত এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে বহি কঙ্কাল উপস্থিত। 

যেমন মানুষের শরীরে হাড় রয়েছে এবং অমেরুদন্ডী শামুকের শরীরের উপরের অংশে খোলস রয়েছে। প্রথম শ্রেণীর প্রাণীদেরকে অমেরুদন্ডী প্রাণী বলা হয়। এছাড়াও এককোষী অথবা বহু কোষী জীবদের অমেরুদন্ডী প্রাণী বলা হয়। 

এদের শরীর তুলনামূলক অনেক বেশি নরম এবং সরু প্রকৃতির হয়। অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে ছোট ছোট ছিদ্র রয়েছে যার মাধ্যমে তারা শ্বাস-প্রশ্বাস নেই। অমেরুদন্ডী প্রাণীর কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য নিচে ব্যাখ্যা করা হলো দেখে নিন।

অমেরুদন্ডী প্রাণীর ৫ টি বৈশিষ্ট্য 

অমেরুদন্ডী প্রাণীর গুরুত্বপূর্ণ ৫টি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অমেরুদন্ডী প্রাণীর মূল বৈশিষ্ট্য হলো এদের শরীরে কোন মেরুদন্ড নেই। মেরুদন্ড বলতে বোঝায় ভার্টেব্রা। মেরুদন্ডের সাহায্যে প্রাণীরা সহজে চলাচল করতে পারে এবং বিভিন্ন কর্ম সম্পাদন করতে পারে।

কিন্তু অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে কোন মেরুদণ্ড অথবা অন্ত কঙ্কাল উপস্থিত নেই। অমেরুদন্ডী প্রাণীর আরো গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে নিচে দেখুন অমেরুদন্ডী প্রাণীর ৫ টি বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করা রয়েছে।

বহু কোষ বৈশিষ্ট্য জীব

অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরের বিভিন্ন কোষ ও শিশু সমন্বয়ে গঠিত এজন্য অমেরুদন্ডী প্রাণীদেরকে বহু কোষ বিশিষ্ট জীব বলা হয়। অমেরুদন্ডী প্রাণীদের শরীর বিভিন্ন খন্ডে বিভক্ত। যেমন একটি কেঁচোর শরীর হাজারো খন্ডে বিভক্ত। 

প্রজনন ক্ষমতা

অমেরুদন্ডী প্রাণীরা যৌন এবং অযৌন অভয় প্রকার পদ্ধতির মাধ্যমে বংশবিস্তার করে। কিন্তু মেরুদন্ডী প্রক্রিয়া যেকোনো একটি পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে। 

অসংখ্য চোখ

অমেরুদন্ডী প্রাণীদের অসংখ্য চোখ থাকে। আবার কিছু কিছু অমেরুদন্ডী প্রাণীদের কোন চোখ উপস্থিত থাকে না। যেমন কেঁচোর শরীরে কোন চোখ নেই। তারা ত্বকের মাধ্যমে আলো এবং অন্ধকারের উপস্থিতি বুঝতে পারে।

স্থলজ এবং জলজ পরিবেশ

অমেরুদন্ডী প্রাণী স্থলজ এবং জলজ উভয় পরিবেশে বসবাস করতে সক্ষম। লক্ষ লক্ষ অমেরুদন্ডী প্রাণী জলজ পরিবেশে বসবাস করে আবার অনেক অমেরুদন্ডী প্রাণী আমাদের আশেপাশের স্থলজ পরিবেশে বসবাস করে। 

নরম শরীর

অমেরুদন্ডী প্রাণীর শরীরে কোন হাড় থাকে না যার ফলে তাদের শরীর অনেক বেশি নরম এবং সরু প্রকৃতির হয়। এদের শরীরে হার অথবা কঙ্কাল না থাকার কারণে এদের শরীরে বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করা থাকে।

সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অমেরুদন্ডী প্রাণীর ৫ টি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। ওপরের এই বৈশিষ্ট্য গুলো শুধুমাত্র অমেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যেই দেখতে পাওয়া যায় এজন্য অমেরুদন্ডী প্রাণী মেরুদন্ডী প্রাণীর তুলনায় অনেক বেশি আলাদা। এবার চলুন আমরা দেখে আসি অমেরুদন্ডী প্রাণীর উদাহরণ সম্পর্কে।

অমেরুদন্ডী প্রাণীর ১০০টি উদাহরণ

আপনি কি অমেরুদন্ডী প্রাণীর উদাহরণ খুঁজছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। এই পৃথিবীতে অজস্র অমেরুদন্ডী প্রাণী রয়েছে কিন্তু আমরা হয়তো অনেকে প্রাণীগুলোর নাম জানিনা। 

কিন্তু এই পরিবেশের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ক্রিয়াশীল রাখার জন্য অমেরুদন্ডী এবং মেরুদন্ডী উভয় প্রাণী জরুরী। নিচে দেখে নিন অমেরুদন্ডী প্রাণীর ১০০টি উদাহরণ।
  1. মাছি 
  2. মাকড়সা 
  3. তেলাপোকা 
  4. পিঁপড়ে
  5. অক্টোপাস 
  6. তারা মাছ
  7. উভচরপোকা 
  8. জেলিফিশ 
  9. শামুক 
  10. কেঁচো 
  11. কৃমি 
  12. কাকড়া 
  13. সামুদ্রিক ঘোড়া 
  14. বাদুর পোকা 
  15. পিঁপড়ে 
  16. উলু
  17. কেলমার 
  18. ঝিনুক
  19. সি উক্স
  20. অক্টোপাস
  21. সামুদ্রিক ঘোড়া
  22. শাকিবিদ (স্পঞ্জ)
  23. শামুকখোলা
  24. বাদুড় পোকা
  25. মাকড়সা মাছি
  26. পিঁপড়ে
  27. উলু
  28. শামুক
  29. কৃমি
  30. সি স্টার (সমুদ্রের তারা)
  31. পিপড়ে মাকড়সা
  32. আর্থওয়ার্ম
  33. সমুদ্র কাঁকড়া
  34. মেনোরা মাছ
  35. ঝিনুক মাছ
  36. স্করপিয়ন
  37. ক্যালমার
  38. ঝিনুক
  39. সি উক্স (সমুদ্রের উক্স)
  40. লবণাক্ত জলজ কৃমি
  41. অ্যাকোয়ারিয়াম শামুক
  42. কেঁচো
  43. ব্যাঙমার্ক
  44. কাঁকড়া
  45. হোয়াইট পিঁপড়ে
  46. অ্যানেমোন
  47. লিটার (জলজ ভাসমান উদ্ভিদ)
  48. সি জেলিফিশ
  49. টাইপট (পোকা)
  50. শিম্পাঞ্জি
  51. লাল মাছি
  52. ভাইব্রেশন মাছি
  53. পোকা মাছি
  54. নেমেটোড (অলবাই)
  55. সি এ্যানিমোন
  56. স্পঞ্জ মাছ
  57. মাকারাঙ
  58. টার্নস (তিনজাত শামুক)
  59. সি অ্যার্চিন (সমুদ্রের গ্রীণ)
  60. জলের কাঁকড়া
  61. বুগ ফিশ
  62. গৃহপালিত ঘোড়া
  63. পোকা জেলিফিশ
  64. কঁচুরী মাছ
  65. কাঁঠাল মাছ
  66. জলের পোকা
  67. বিচালি মাছ
  68. সামুদ্রিক কাঁকড়া
  69. জৈবিক কৃমি
  70. সি স্টিং
  71. টিপি মাছ
  72. জলজ পোকা
  73. সি ট্রে
  74. সি কাকড়া
  75. আর্দ্রশাক
  76. সি কোয়াল
  77. সি রেক
  78. পার্শ্ব স্নেক
  79. জলজ চিংড়ি
  80. গৃহপালিত শামুক
  81. জলের বাদাম
  82. মুকুন্দর মাছ
  83. সি ফাঁকা
  84. জেলিফিশ মাকড়সা
  85. সি ব্লাড পোকা
  86. প্রান্তর মাছি
  87. বড় মাছি
  88. ঝিনুকের মাছ
  89. উভচর কাঁকড়া
  90. পোকা শামুক
  91. শামুক মাছ
  92. পিঁপড়ে মাছ
  93. সি প্রজাপতি
  94. সমুদ্রের বাগদা
  95. কাচের শামুক
  96. হালকা মাছি
  97. সি উইঙ্গ (মৌমাছি)
  98. কচ্ছপ মাছ
  99. সি লেমন
  100. আন্ডারওয়াটার পোকা
এই ১০০ টি প্রাণী হল অমেরুদন্ডী শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। এমনই আরো হাজার হাজার প্রাণী এই পৃথিবীতে উপস্থিত রয়েছে যারা অমেরুদন্ডী শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। অমেরুদন্ডীর অন্তর্ভুক্ত প্রাণীদের প্রধান কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো এদের কোন কঙ্কাল থাকেনা , 

এদের শরীর বিভিন্ন খন্ডে বিভক্ত এবং এদের শরীরে রক্ত চলাচল করে না। যেমন মশা ও মাছের শরীরে কোন রক্ত উপস্থিত থাকে না। অমেরুদন্ড শ্রেণীর আরও বিশেষ কয়েকটি প্রাণী রয়েছে নিচে দেখে নিন সে পানি গুলোর উদাহরণ।
  1. সি মাদার
  2. কৃমি মাছ
  3. আর্থওয়ার্ম মাছ
  4. সমুদ্রের মাছি
  5. সমুদ্রের মাছি
  6. সি কেপ্টার
  7. সি ব্লু
  8. নরম সাপ
  9. গ্রীন পোকা
  10. টার্গেট মাছ
  11. জলজ অ্যানিমন
  12. লবণাক্ত পোকা
  13. সি পাউন্ড
  14. জলের সাঁতরানো পোকা
  15. সমুদ্র শামুক
  16. কাঁকড়া মাছ
  17. জলের খাঁচা
  18. জলজ ওয়েটলার
  19. সামুদ্রিক কাঁকড়া
  20. টার্ন ট্রে
  21. জলজ গাছ
  22. সি প্ল্যান্ট
  23. জলজ পোকা
  24. সি প্যাড
  25. সামুদ্রিক কৃমি
  26. শামুকের মতো পোকা
  27. জলজ ফ্লাই
  28. টার্ন ট্রে
  29. গ্রীন সি কাঁকড়া
  30. জলজ বুলেট
ওপরের এই প্রতিটি প্রাণীর মধ্যে একই বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান রয়েছে যেমন এই প্রাণীগুলোর শরীরে কোন মেরুদন্ড উপস্থিত নেই এবং এরা ত্বক অথবা গিল এর মাধ্যমে শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণ করে। 

এইজন্য এই প্রাণীদেরকে অমেরুদন্ডী শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অমেরুদন্ডী প্রাণীদের সম্পর্কে এবার চলুন ঝটপট দেখে নেওয়া যাক অমেরুদন্ডী প্রাণীদের কয়টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় ও কি কি। 

অমেরুদন্ডী প্রাণীদের কয়টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় ও কি কি 

অমেরুদন্ডী প্রাণীদের কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় ও কি কি? ও মেরুদন্ডী প্রাণীদের ৮ শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। এই পৃথিবী মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী শ্রেণীর সমন্বয়ে গঠিত তাই এই পৃথিবীতে মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী উভয় প্রাণীর গুরুত্ব অপরিসীম। 
অমেরুদন্ডী প্রাণীদের আটটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয় যেমন: 
  1. Polifera
  2. Cnidaria 
  3. Platyhelminthes 
  4. Nematode
  5. Annelida
  6. Arthropoda
  7. Mollusca
  8. Echinodermata
অমেরুদন্ডী প্রাণীদের এই একটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। এই আটটি শ্রেণীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি Annelida এবং arthropoda শ্রেণীর প্রাণী দেখা যায়। Arthropoda শ্রেণীর প্রাণীরা আমাদের আশেপাশে সমাজে বসবাস করে। 

সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন অমেরুদন্ডী প্রাণীদের কয়টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় ও কি কি। এবার চলুন আমরা দেখে আসি পৃথিবীতে অমেরুদন্ডী প্রাণীর পরিবেশগত গুরুত্ব।

পৃথিবীতে অমেরুদন্ডী প্রাণীর পরিবেশগত গুরুত্ব

আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না অমেরুদন্ডী প্রাণীদের এই পরিবেশে গুরুত্ব কতটুকু? পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে অমেরুদন্ডী প্রাণী বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও খাদ্য শৃংখলায় অমেরুদন্ডী প্রাণীর ভূমিকা অধিক। আমরা প্রত্যেকে জানি এই পৃথিবী মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীদের সমন্বয়ে গঠিত। 

যদিও অমেরুদন্ডী প্রাণীদের কোন মেরুদন্ড নেই তবুও এরা পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষার্থে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যেমন কেঁচো মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে যদি মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি না হতো তাহলে মাটিতে সঠিকভাবে ফসল ফলানো সম্ভব হতো না। 

এতে ফসলের সংকট দেখা দিত। এছাড়াও জীববৈচিত্র্য তে বিভিন্ন জীব একে অপরকে ভক্ষণ করার মাধ্যমে এ পৃথিবীতে টিকে রয়েছে যদি অমেরুদন্ডী প্রাণীর কোন অস্তিত্ব না থাকতো তাহলে তাদের ওপর নির্ভরশীল জীবগুলো অনাহারে মারা যেত।

অনেক অমেরুদন্ডী প্রাণী পরাগায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যেমন মৌমাছি ফুল থেকে মধু আহরণের সময় কিছু পরাগরেণু সংগ্রহ করে এবং অন্য ফুলে স্থানান্তরিত করার মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটায়। যদি এ পৃথিবীতে অমেরুদন্ডী প্রাণীর কোন অস্তিত্ব না থাকতো তাহলে পরাগায়ন ঘটতো না।

এতে উদ্ভিদের সংখ্যা কমতে শুরু করত। উদ্ভিদকে ভক্ষণ করেই হাজার হাজার প্রাণীরা এই পৃথিবীতে টিকে রয়েছে যদি উদ্ভিদ সঠিকভাবে না জন্ম তো তাহলে হাজার হাজার প্রাণীকুলের জীবন হুমকির মুখে পড়ে যেত। 

অমেরুদন্ডী প্রাণী জলস পরিবেশ কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন জলে বসবাস করা পোকামাকড় ময়লা আবর্জনা অমেরুদন্ডী প্রাণীরা ভক্ষণ করে এবং জলকে পরিষ্কার করে। 

যদি অমেরুদন্ডী প্রাণীদের অস্তিত্ব না থাকে তাহলে জলজ পরিবেশ পরিষ্কার থাকবে না এবং পানিতে নোংরা আবর্জনার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকবে যার ফলে সমাজে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়বে।

এক কথায় অমেরুদন্ডী প্রাণীদের গুরুত্ব এই সমাজে অধিক। অমেরুদন্ডী প্রাণীদের অস্তিত্ব না থাকলে পৃথিবীর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে যার ফলে পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হবে এবং এই পৃথিবীতে মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে পড়বে। 

সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পৃথিবীতে অমেরুদন্ডী প্রাণীর পরিবেশগত গুরুত্ব সম্পর্কে। 

লেখকের মন্তব্য : অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে উদাহরণ দাও ১০০টি উদাহরণ 

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে অমেরুদন্ডী প্রাণীর ১০০ টি উদাহরণ এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীদের কয়টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় ও কি কি পাশাপাশি ২০ টি অমেরুদন্ডী প্রাণীর নাম কি।

অমেরুদন্ডী প্রাণী বলতে বোঝায় তাদের শরীরে কোন অন্ত মেরুদন্ড উপস্থিত থাকে না এবং বহি মেরুদন্ড উপস্থিত থাকে। অমেরুদন্ডী প্রাণীদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ওপরে আমরা অমেরুদন্ডী প্রাণী সম্পর্কে বৈশিষ্ট্য এবং উদাহরণ নিয়ে আলোচনা করেছি।

আজকের এই পোষ্টের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল অমেরুদন্ডী প্রাণী কাকে বলে উদাহরণ দাও ১০০টি উদাহরণ এবং অমেরুদন্ডী প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য। আশা করছি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা অমেরুদন্ডী প্রাণীর সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন এই পৃথিবীতে অমেরুদন্ডী প্রাণীর গুরুত্ব অধিক।

যদি অমেরুদন্ডী প্রাণী না থাকতো তাহলে পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হতো, মানবদের বেঁচে থাকা মুশকিল হয়ে পড়তো এবং ধীরে ধীরে পৃথিবী ধ্বংসের মুখে এগিয়ে যেত। এই পৃথিবী মেরুদন্ডী এবং অমেরুদন্ডী সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। তাই এই উভয় শ্রেণীর প্রাণীদের গুরুত্ব অধিক।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url