রুমাইসা রাঃ এর জীবনী এবং রুমাইসা কে ছিলেন বিস্তারিত জানুন

রুমাইসা রাঃ ছিলেন একজন ঐতিহাসিক মহিলা যিনি ইসলাম যুগে প্রথম ছিলেন। ইসলাম যুগে রুমাইসা রাঃ এর অবদান প্রচুর আজকের এই পোস্টে রুমাইসা রাঃ এর জীবনী এবং রুমাইসা কে ছিলেন বিস্তারিত আলোচনা করব। 
রুমাইসা রাঃ এর জীবনী এবং রুমাইসা কে ছিলেন
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না রুমাইসা রাঃ এর জীবনে এবং রুমাইসা কে ছিলেন। ইসলামী ইতিহাসের প্রথম যুগে বর্ণিত যুদ্ধে এবং সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন রুমাইসা রাঃ । এইজন্য ইসলাম ও হাদিসে তিনি আজও স্মরণীয় এবং বরণীয়। চলন ঝটপট দেখে আসি রুমাইসা রাঃ এর জীবনী এবং রুমাইসা কে ছিলেন। 

রুমাইসা কে ছিলেন

আপনি কি জানেন রুমাইসা কে ছিল? আপনারা অনেকেই জিজ্ঞেসা করেন যে রুমাইসা কে? রুমাইসা হলো একজন ঐতিহাসিক মুসলিম মহিলা যিনি প্রথম ইসলাম গ্রহণকারীদের অন্তর্ভুক্ত। মহানবী সাঃ যখন ইসলাম প্রচার করেন তখন প্রথম ইসলাম গ্রহণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হলো রুমাইসা রা:।

ঐতিহাসিক সূত্র থেকে তার নাম এবং তার অবদান সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করা যায়। যেমন ইসলাম যুগে তিনি মহিলাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। রুমাইসা রাঃ এর পূর্ণ নাম হলো হযরত রুমাইসা বিনতে মিলহান আনসারিয়া। 

উপনাম হলো উম্মে সুলাইম। উম্মে সুলাইম তার সমস্ত জীবন এবং পরিবার মহান আল্লাহ তায়ালার সেবায় এবং রাসূলের সেবায় নিয়োজিত করেছেন। তিনি বিশেষ গুণের অধিকারী ছিলেন। উম্মে সুলাইম অনেক বেশি ধর্মভীরু ছিলেন তিনি মহান আল্লাহতালার ইবাদত ও আনুগত্যে ব্যস্ত থাকতেন।

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন রুমাইসা কে ছিলেন। রুমাইসা হলো উম্মে সুলাইম যার পূর্ণ নাম হলো হযরত রুমাইসা বিনতে মিলহান আনসারিয়া। এবার চলুন দেখে আসি রুমাইসা রাঃ এর জীবনী।

রুমাইসা রাঃ এর জীবনী

আপনি কি রুমাইসা রাঃ এর জীবনী সম্পর্কে জানতে চান? তার জীবনী কেমন ছিল এবং সে কেমন ব্যাক্তিদের অধিকারী ছিলেন? রুমাইসা ছিলেন ইসলামী যুগের মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম এর একজন সাহাবা। রুমাইসা রাঃ ছিলেন নবীর মহিলা সাহাবা।

রুমাইসা হযরত রুমাইসা বিনতে মিলহান আনসারিয়া নামে পরিচিত। তার ডাকনাম হলো উম্মে সুলাইম। উম্মে সুলাইম হল আনাস ইবনে মালিক এর আম্মা। তিনি উম্মে সুলাইম নামে প্রচুর প্রসিদ্ধ লাভ করেছেন এছাড়াও তার আরও কয়েকটি আসল নাম রয়েছে যেমন রুমাইসা, সাহলা, মুলাইকা, রুমাইলা। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য নাম হলো রুমাইসা। 

মহামানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনাতে হিজরতের পূর্বে তিনি মদিনা থেকে কিছু লোক মক্কায় নিয়ে আসেন এবং আকাবার প্রথম শপথ গ্রহণ করা শেষে আবারো মদিনায় ফিরে যান সেই সময় উম্মে সো লাইন অথবা রুমাইসা তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং মদিনার প্রাথমিক ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে তিনি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন এই জন্য তিনি ইসলাম জগতে আজও বেশ জনপ্রিয়।

উম্মে সুলাইম ছিলেন ধর্মভিরু এবং ইসলামের অনুসারী একজন মহিলা। ইসলাম গ্রহণের পূর্বে তিনি মালিক জীবনের নজর এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং সেই ঘরেই আনাস ইবনে মালিক জন্মগ্রহণ করেন। আনাস জীবনে মালিক ছেলের মালিক ইবনে নজরের পুত্র সন্তান। 

উম্মে সুলাইম ইসলাম গ্রহণ করার জন্য মালিকই বলে না জোর তার প্রতি ক্ষুব্ধ হন এবং তিনি দেশ ত্যাগ করে সিরিয়ায় চলে যেতে বাধ্য হন। দুর্ঘটনা বশত সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। এই অবস্থায় উম্মে সুলাইম ভেঙে পড়েন। তাই ছেলে আনাস জীবনে মালিক তাকে সান্তনা প্রদান করতে থাকেন। 

পরবর্তীতে তাকে বেশ কয়েকজন বিবাহর জন্য প্রস্তাব দেন। পরবর্তীতে আবু তালহা আনসারি নামক একজন লোক উম্মে সুলাইমকে বিবাহ প্রস্তাব দিলে উম্মে সুলাইম তাকে একটি শর্ত প্রদান করেন। সেই শর্তটি ছিল আবু তালহা আনসারীকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে। এটি উম্মে সুলাইম এর কাছে সবচেয়ে বড় উপহার।

আবু তালহা আনসারি এবং উম্মি সুলাইম তারা একে অপরকে পছন্দ করতেন এইজন্য আবু তালহা আনসারি তার শর্ত গ্রহণ করে এবং ইসলাম ধর্মকে আপন করে নিয়ে উম্মে সুলাইমকে বিবাহ করেন। তুমি সুলাইম একজন সুন্দরী যত্নবান এবং ধৈর্যশীল নারী এবং মা ছিলেন। 

বিবাহের পর আবু তালহা আনসারী এই ঘরে ২য় সন্তান আবু উমাইর জন্ম হয়। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত ছোট উমাইর তখনই মৃত্যুবরণ করেন এবং তার পরবর্তীতে আবারো আরেকটি শিশু জন্ম হয় নাম রাখা হয় আব্দুল্লাহ। উম্মে সুলাইম এভাবে খুব খুশিতে তার বাকি জীবন গুলো কাটিয়ে দেন তার দুইটি সন্তান এবং একজন সৎ স্বামী। 

উম্মে সুলাইম ছিলেন প্রচুর যত্নবান এবং তিনি  প্রতিবেশীদের প্রতি অনেক বেশি দায়িত্বশীল ছিলেন তিনি নিয়মিত তাদের কে খাবার উপকঠন পাঠাতে ভালবাসতেন। উম্মে সুলাইম তার শেষ জীবনটি আল্লাহর ভীতিতে আনুগত্যে এবং নবীর সেবাতে অতিবাহিত করেছেন তিনি সেই সময়ে আরব সমাজের একজন সবচেয়ে বিজ্ঞ এবং ফকির ও হাদিস বর্ণনাকারী মহিলা ছিলেন। তিনি অন্যান্য মানুষের মধ্যে ইসলাম প্রচার করতেন, ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিতেন।

উম্মে সুলাইম যুদ্ধের সময়েও যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মানুষদের খাবার এবং সেবা দিয়ে সাহায্য প্রদান করতেন। তিনি ছিলেন অতি যত্নশীল এবং দায়িত্বশীল একজন জ্ঞানী নারী। তিনি প্রথম ইসলাম গ্রহণকারীদের অন্তর্ভুক্ত এজন্য তার নামটি আজও ইসলামের পাতায় স্মরণীয় এবং বরণীয় হয়ে রয়েছে। 
সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন রুমাইসা কে ছিলেন এবং তার জীবনী সম্পর্কে। এবার চলুন দেখে আসি রুমাইসা নামের অর্থ কি। 

রুমাইসা নামের অর্থ কি

আপনারা অনেকে জিজ্ঞাসা করেন যে রুমাইসা নামের অর্থ কি এই নামটি ইসলামিক নাকি হিন্দু? রুমাইসা এটি একটি আরবি শব্দ এবং রুমাইসা নামের অর্থ হলো সম্মানিত ক্বাবা। রুমাইসা নামটি সম্মানকে বোঝায়। রুমাইসা নামের ইসলামিক অর্থ হলো সম্মানিত হওয়া কিংবা সম্মান পাওয়া। 

রুমাইসা এই নামটি খুবই সুন্দর পাশাপাশি রুমাইসা এই নামটি ইসলামে বেশ জনপ্রিয়। ইসলাম যুগে মদিনাতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইসলাম প্রচার করেন তখন তার প্রথম ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে রুমাইসা ছিলেন অন্তর্ভুক্ত। এর পূর্ণ নাম হলো হযরত রুমাইসা বিনতে মিলহান আনসারিয়া।

রুমাইসা এই নামটি খুবই সুন্দর অনেকেই সন্তানের নাম রাখতে চান সেক্ষেত্রে যারা নিজের সন্তানের জন্য এই নামটি রাখতে চাচ্ছেন তারা নিঃসন্দেহে নামটি রেখে ফেলুন। রুমাইসা রুকাইয়া এই নামগুলো খুব সুন্দর। রুমাইসা এই নামটি সুন্দর হওয়ার পাশাপাশি এটি ইসলামিক অর্থ সম্পন্ন এবং ইসলামী যুগে রুমাইসা নামের মহিলার বেশ চর্চা ছিল। 

সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন রুমাইসা নামের অর্থ কি এবং রুমাইসা কে ছিলেন পাশাপাশি রুমাইসা রাঃ  এর জীবনী সম্পর্কে। রুমাইসা রাঃ ছিলেন একজন ইসলাম ভীরু এবং সৎ ও দায়িত্বশীল মহিলা। তিনি সবসময়ই মহানবী এবং আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্যে ব্যস্ত থাকতেন। 

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর 

রুমাইসা নামের অর্থ কি 
আপনি কি জানেন রুমাইসা নামের অর্থ কি? রুমাইসা নামের অর্থ হলো সম্মান লাভ করা কিংবা সম্মানীয় ক্বাবা। একটি ইসলামিক নাম এবং আরবি শব্দ। রুমাইসা নামের অর্থ সম্মানকে নির্দেশ করে। 
রুমাইয়া নামের অর্থ কি? 
রুমাইয়া নামের অর্থ কি? আপনারা অনেকেই কমেন্ট বক্সে রুমাইয়া নামের অর্থ সম্পর্কে জানতে চান। রুমাইয়া নামের অর্থ হল নিরাপরাধ এবং বিশুদ্ধ। রুমাইয়া এটি একটি আরবি শব্দ এবং ইসলামিক নাম রুমাইয়া নামের আরবি অর্থ রয়েছে যেমন বিশুদ্ধতা অথবা নির অপরাধ
রুকাইয়া নামের অর্থ কি? 
অনেকেই রুকাইয়া নামের অর্থ কি জিজ্ঞাসা করেন। রুকাইয়া নামের অর্থ হলো ওপরে ওঠা। অর্থাৎ আরবীতে উঠা এই শব্দটিকে রুকাইয়া নামের উচ্চারণ করা হয়। রুকাইয়া নামের অর্থ হলো উঠতে, যেমন ওপরে উঠতে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে এমন উঠতে শব্দটি উচ্চারণ করার জন্য ইসলামের রুকাইয়া শব্দ উচ্চারণ করা হয়।

লেখক এর শেষ মন্তব্য 

সুপ্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে রুমাইসা রাঃ এর জীবনী, রুমাইসা কে ছিলেন এবং রুমাইসা নামের অর্থ কি সে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আপনারা অনেকেই রুমাইসা এর জীবনী সম্পর্কে জানতে চান এর পূর্ণ নাম হলো হযরত রুমাইসা বিনতে মিলহান আনসারিয়া তার ডাক নাম হল উম্মে সুলাইম। তিনি উম্মে সুলাইম নামে সবচেয়ে বেশি খ্যাতি লাভ করেছেন। 

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনাতে যখন ইসলাম প্রচার করেন তখন প্রথম ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে একজন হল রুমাইসা অথবা উম্মে সুলাইম। তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর থেকে ইসলামের প্রতি অনেক বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং মহানবী ও আল্লাহর আনুগত্যে তার শেষ জীবন কাটিয়ে দেন। 

তিনি অন্যদের মধ্যে ইসলাম প্রচার করতে শুরু করেন তিনি তার সমাজের ব্যক্তিদের ইসলাম সম্পর্কে আরও সচেতন করেন এবং ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। তিনি ইসলাম যুগের মহিলাদের ইসলাম সম্পর্কে জানান ইসলামের আলোর দিকে ডাক দেন। এইজন্য ইসলাম যুগে রুমাইসা এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি ছিল। তাই আজ পর্যন্ত ইসলাম এবং হাদিসে রুমাইসা অথবা উম্মে সুলাইম লাভ করে, স্মরণীয় এবং বরণীয় হয়ে রয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url