white tone cream এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

white tone cream এর উপকারিতা ও অপকারিতা  সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। এই ক্রিমটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আজকের এই প্রতিবেদনের মূল আলোচ্য বিষয় হলো white tone cream price in bangladesh, হোয়াইট টোন ক্রিম এর দাম এবং white tone cream এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। 
white tone cream এর উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনি যদি আজকের এই পোস্টটি সম্পন্ন দেখেন তাহলে white tone cream এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। এই ক্রিম ত্বকের জন্য কতটুকু উপকারী এবং কতটুকু ক্ষতিকর সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন তাহলে ঝটপট দেখে নেওয়া যাক white tone cream price in bangladesh এবং হোয়াইট টোন ক্রিম এর উপকারিতা।

পেজ সূচিপত্র : white tone cream এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত 

        ভূমিক        
যেকোনো ফাংশন কিংবা অনুষ্ঠানে তৈরি হওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর প্রয়োজন হয়। যেমন হাইলাইটার, ফাউন্ডেশন, সেটিং পাউডার, ব্রাস। এত কিছু ঝামেলার মধ্যে না যে যদি আপনার কাছে হোয়াইট টোন ক্রিম এবং হোয়াইট টন পাউডার থাকে তাহলে মাত্র ৫ মিনিটে তৈরি হতে পারবেন। 

মাত্র ৫ মিনিটে ঝটপট তৈরি হতে হোয়াইট টোন ক্রিম এবং হোয়াইট টোন পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। এই দুইটির প্রোডাক্ট ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আপনার ত্বকের যে কোন দাগ, মেস্তা এবং বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করবে। আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব হোয়াইট টোন ফেস পাউডার এবং হোয়াইট টোন ক্রিম ত্বকের জন্য কতটুকু উপকারী এবং কতটুকু ক্ষতিকর।

white tone cream এর উপকারিতা

white tone cream এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? এই ক্রিমটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এটি আপনার ত্বক থেকে দাগ মেছতা দূর করবে, ত্বককে আরো টান টান করবে, ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করবে, ত্বকে ইনস্ট্যান্ট ফর্সা করতে সাহায্য করবে। যে কোন অনুষ্ঠানের ঝটপট রেডি হতে এই ক্রিমটি আপনাকে সাহায্য করবে।

আমরা অনেকেই অতিরিক্ত ভারী মেকআপ করতে পছন্দ করি না। সিম্পল থাকতে পছন্দ করি। তাদের ক্ষেত্রে এই ক্রিমটি এবং পাউডারটি খুব উপকারী। মাত্র পাঁচ মিনিটেই হাতের সাহায্যে ত্বকে ব্যবহার করে ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ভাব আনা যায়। যেকোনো অনুষ্ঠানে এই দুইটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করে যেতে পারবেন।  white tone cream এর উপকারিতা গুলো নিচে দেওয়া রয়েছে, এক নজরে দেখে নিন।
  • হোয়াইট টোন ক্রিমে রয়েছে হাইড্রোকোনিন এবং গ্লাইকলিক এসিড যা ত্বক থেকে দাগ দূর করে এবং ত্বক থেকে ব্ল্যাকহেডস দূর করে ত্বককে সাদা ফর্সা করতে সাহায্য করে। 
  • হোয়াইট টোন ক্রিমে ভিটামিন সি উপাদান রয়েছে যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচায় এবং ত্বককে আরো টানটান করে বয়সের ছাপ দূর করে।
  • হোয়াইট টন ক্রিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের মেরামত করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের বড় বড় পর গুলোকে মিনিমাইজ করতে সাহায্য করে।
  • হোয়াইট টোন ক্রিমে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা রয়েছে এজন্য হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক ভেতর থেকে গ্লোয়িং হয় এবং ত্বকের রুক্ষ শুষ্ক ভাব দূর হয়।
  • হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক মুলায়ম এবং সফট হয়।
  • হোয়াইট টোন ক্রিম জিংক অক্সাইড ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচায়। এ জন্য হোয়াইট টোন ক্রিম কে অনেক সানস্ক্রিন হিসেবে ব্যবহার করে।
  • হোয়াইট টোন ক্রিম এ গ্লিসারিন রয়েছে যা ত্বককে আরো সফট এবং মশ্চারাইজ করে। 
  • হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করার সাথে সাথে আপনার ত্বক ভেতর থেকে গ্লোয়িং হয়ে উঠবে এবং ইনস্ট্যান্ট ফর্সা হবে। 
  • হোয়াইট টোন ক্রিম ত্বকে সান প্রটেকশন দিবে এবং ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচাবে। ত্বক থেকে ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস দূর করবে ত্বক থেকে ব্রণের সমস্যা দূর করবে। 
  • হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক থেকে যাবতীয় দাগ মুছে যাবে।
  • হোয়াইট টোন ক্রীম ব্যবহার করলে ত্বক থেকে দাগ ও পিগমেন্টেশন দূর হবে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
  • ত্বক থেকে ব্রণ ও কালচে দাগ দূর করতে হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
  • এই ক্রিমে রয়েছে গ্লাইকোলিক এসিড যা ত্বকের মরাকোষ অথবা ব্ল্যাক হেডস দূর করে এবং ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে সাহায্য করে। 
  • হোয়াইট টন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ও গ্লোয়িং হয়। 
  • হোয়াইট টন ক্রীম ব্যবহার করলে ত্বকের রুক্ষ শুষ্ক ভাব দূর হয় কারণ হোয়াইট টোন ক্রিমে রয়েছে নিয়াসিনামাইড যা ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।
হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করে ওপরের এই উপকারিতা গুলো লাভ করতে পারবেন কিন্তু মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে কোন প্রকার উপকারিতা পাওয়া যায় না বরং আরো ত্বকের ক্ষতি হয় এগুলো ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করে ব্রণ সৃষ্টি করে। তাই অতিরিক্ত ভারী মেকআপ না করে ঝটপট তৈরি হতে ও হোয়াইট টন ক্রিম এবং হোয়াইট টোন পাউডার ব্যবহার করুন এটি ত্বকের জন্য উপকারী পাশাপাশি ত্বককে ইনস্ট্যান্ট ন্যাচারাল ফর্সা ভাব দেয়।

বাইরে যাওয়ার সময় হোয়াইট টন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন এটি আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশি থেকে বাঁচাবে এবং ত্বকে কালো দাগ পরবেনা। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন white tone cream এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত এই ক্রিমটি ড্রাই স্কিনের জন্য খুবই উপকারী। এবার চলুন আমরা দেখে আসি হোয়াইট টোন ক্রিম এর অপকারিতা। 

হোয়াইট টোন ক্রিম এর অপকারিতা 

আপনি কি হোয়াইট টোন ক্রিম এর অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? ইতিমধ্যেই আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এই ক্রিমটির উপকারিতা সম্পর্কে এবার চলুন ছটফট দেখে নেওয়া যাক এই ক্রিমটি ত্বকের জন্য কতটুকু ক্ষতিকর হতে পারে? হোয়াইট টোন ক্রিম এর অপকারিতা নিচে দেওয়া রয়েছে দেখে নিন।

হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক অতিরিক্ত উস্কো শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। হোয়াইট টোন ক্রিমে হাইড্রকোনিন উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে ত্বক উস্কো শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে।
  • অতিরিক্ত হোয়াইট টন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের স্বাভাবিক রং পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। 
  • হোয়াইট টন ক্রীম ব্যবহার করার ফলে ত্বকে ব্রণ, কালো দাগ, দাদ, চুলকানি তৈরি হতে পারে।
  • হোয়াইট টোন ক্রীম অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে অয়েলি স্কিনে অতিরিক্ত ব্রণ তৈরি হবে।
  • ত্বকে অতিরিক্ত হোয়াইটন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের উপরিভাগের চামড়া পাতলা হয়ে যাবে।
  • ত্বকে অতিরিক্ত ও হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় হলুদ কালো বর্ণের দাগ তৈরি হতে পারে।
হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করার পরে ওপরের এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। হোয়াইট টোন ক্রিম ত্বকের জন্য উপকারী হলে অতিরিক্ত এই ক্রিমটি ব্যবহার করলে ওপরের এই সমস্যা গুলো দেখা দিবে তাই আপনারা যদি সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে চান তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করুন। এবার চলুন ঝটপট দেখে আসা যাক white tone cream price in bangladesh

white tone cream price in bangladesh

white tone cream price সম্পর্কে জানতে চান? white tone cream price in bangladesh। বাংলাদেশের বিভিন্ন লোকাল মার্কেটে এই ক্রিমটি কিনতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের হোয়াইটন ক্রিম এর দাম হলো 170 টাকা লোকাল খুচরা পণ্যের দোকানে এই ক্রিমটি ২২০ থেকে শুরু করে ২৫০ টাকা দাম নিতে পারে।

তবে লোকাল মার্কেটে পাইকারি দোকান গুলো থেকে হোয়াইট টোন ক্রিম ক্রয় করলে ১৭০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। হোয়াইট টোন ক্রিম ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি সানস্ক্রিন হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। অনলাইনে হোয়াইট টোন ক্রিম মাত্র ১৩০ টাকায় পাওয়া যায়।

 তবে অনলাইনের প্রডাক্ট গুলো সবসময় ভালো হয় না। এই জন্য দেখেশুনে যাচাই করে লোকাল মার্কেটে পাইকারি দোকান থেকে হোয়াইট টোন ক্রিম ক্রয় করুন। লোকাল মার্কেটে পাইকারি দোকানগুলোতে মাত্র 170 টাকায় এই হোয়াইট টন ক্রিম কিনতে পাওয়া যায়। 

হোয়াইট টোন ক্রিম এর দাম হলো ১৭০ টাকা। অনলাইনে হোয়াইট টোন ক্রিম এর দাম ১৩০ টাকা। খুচরা পণ্যের দোকানে হোয়াইট টোন ক্রিম এর দাম ২২০ টাকা। সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন white tone cream price in bangladesh সম্পর্কে এবার চলুন ঝটপট দেখে নেওয়া যাক হোয়াইট টোন ক্রিম মাখলে কি হয়। 

হোয়াইট টোন ক্রিম মাখলে কি হয় 

আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন যে হোয়াইট টন ক্রিম মাখলে কি হয়? এটি কি ত্বকের জন্য উপকারী? ইতিমধ্যেই আমরা আলোচনা করেছি যে হোয়াইট টোন ক্রিম এর উপকারিতা গুলো কি কি এবার আমরা জানবো হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করলে কি হয়?
  • হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়, ইনস্ট্যান্ট ত্বক ফর্সা হয়, ত্বক থেকে ব্রণ, কালচে দাগ দূর হয়, ত্বক থেকে মেছতা দূর হয়।
  • হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর হয়। হোয়াইট টোন ক্রিমে প্রচুর পরিমাণে গ্লিসারিন ব্যবহার করা হয়েছে এটি ত্বকে মসৃণ রাখে এবং ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করে।
  • হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক থেকে সূর্যের কালো দাগ দূর হয়। চোখে নিচ থেকে ডার্ক সার্কেল দূর হয়। হোয়াইট টোন ক্রিমে রয়েছে গ্লাইকোলিন যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং ত্বক থেকে দাগ দূর করে।
  • ত্বকে হোয়াইট টন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক মশ্চারাইজ থাকে। হোয়াইট টোন ক্রিমে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা হয়েছে এটি ত্বককে মসৃণ করে। 
ত্বকে হোয়াইট টন ক্রিম ব্যবহার করলে ওপরের এই উপকারিতা গুলো লাভ করতে পারবেন। হোয়াইটন ক্রিম ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে ত্বকের ভেতর থেকে সুন্দর করে এবং তাদের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । আশা করছি ওপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন হোয়াইট টোন ক্রিম মাখলে কি হয়। এবার চলুন ঝটপট দেখে আসি হোয়াইট টোন ক্রিমে কি কি উপাদান রয়েছে।

হোয়াইট টোন ক্রিমে কি কি উপাদান রয়েছে 

আপনি কি জানেন হোয়াইট টন ক্রিমে কি কি উপাদান রয়েছে? আপনারা অনেকেই এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন, যে হোয়াইট টোন ক্রিমে কি কি উপাদান রয়েছে এখানে কি কোন প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে?

হোয়াইট টোন ক্রিম এ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান এবং রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে এই ক্রিমটি তৈরি করা হয়েছে। হোয়াইট টোন ক্রিমে কি কি উপাদান রয়েছে এর নিচে দেওয়া রয়েছে দেখে নিন।

প্রাকৃতিক উপাদান
শিয়া বাটার 
অ্যালোভেরা 
দুধ
অলিভ অয়েল 
টক দই

রাসায়নিক উপাদান
হাইড্রোকিনন
গ্লাইকলিক এসিড
নিয়াশিনামাইড
ভিটামিন সি
গ্লিসারিন
ওপরের এই উপাদান গুলো সংমিশ্রণে হোয়াইট টোন ক্রিম তৈরি করা হয়েছে এজন্য হোয়াইট টোন ক্রিম ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হোয়াইটন ক্রিমে কোন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করা হয় নি। হোয়াইট টোন ক্রিমে শুধুমাত্র উপকারী উপাদান গুলো ব্যবহার করা হয়েছে যেমন শিয়া বাটার, এলোভেরা, দুধ, অলিভ অয়েল এবং টক দই। 

পাশাপাশি হোয়াইট টোন ক্রিমে আরো কিছু রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে। এই উপাদান গুলো তাদের জন্য উপকারী এবং ত্বককে ভেতর থেকে ইনস্ট্যান্ট ফর্সা করতে সাহায্য করে। ত্বকের দাগ, মেছতা দূর করতে সাহায্য করে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন হোয়াইট টোন ক্রিমে কি কি উপাদান রয়েছে। এবার চলুন ঝটপট দেখে আসি হোয়াইট টোন ক্রিম কিভাবে ব্যবহার করব? 

হোয়াইট টোন ক্রিম কিভাবে ব্যবহার করব 

আপনি কি হোয়াইট টোন ক্রিম কিভাবে ব্যবহার করব জানতে চান? যে কোন ক্রিম সঠিক নিয়মে ব্যবহার না করলে ক্রিমের উপকারিতা গুলো লাভ করতে পারবেন না তাই আপনাকে প্রথমে জানতে হবে যে হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করার নিয়ম কি। 

ক্রিম হাতের সাহায্যে নিয়ে অতিরিক্ত ডলা ডলি কিংবা ঘষাঘষি করা যাবে না। হাতের সাহায্যে আলতো ভাবে নিয়ে ত্বকে এপ্লাই করতে হবে এতে ত্বকে একটি ফর্সা ভাব আসবে আর যদি হোয়াইটন ক্রিম নিয়ে ত্বকে অতিরিক্ত ডলাডলি এবং ঘষাঘষি করেন তাহলে ক্রিম ত্বকে কোনো কাজ করবে না।

দুই আঙ্গুলের সাহায্যে হোয়াইট টোন ক্রিম নিয়ে ত্বকে আলতো ভাবে এক থেকে দুইবার এপ্লাই করতে হবে। এবং সেখানে বারবার হাত দিয়ে ঘষাঘষি করা যাবে না। হোয়াইট টোন ক্রিম ত্বকে অ্যাপ্লাই করে একটু অপেক্ষা করুন দুই থেকে তিন মিনিট পর ক্রিমটি ত্বকের সাথে মিশে গেলে ত্বকে ইনস্ট্যান্ট ফর্সা এবং গ্লোয়িং ভাব আসবে। 

আপনার অনেকেই যেভাবে ক্রিম ব্যবহার করেন; 
ত্বকে দুই হাতে সাহায্যে ক্রিম নিয়ে মাখিয়ে ত্বকে ব্যবহার করেন এবং ত্বকের ডলাডলি ও ঘষাঘষির সাহায্যে ক্রিমগুলো মিশিয়ে দেন। কিন্তু এতে ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবেন না। যখন ত্বকে অতিরিক্ত ডলা ডলি কিংবা ঘষাঘষি করা হয় তখন ত্বকে মেছতা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।

তাই দুই আঙ্গুলের সাহায্যে হোয়াইট টোন ক্রিম নিয়ে ত্বকে আলতো ভাবে ব্যবহার করতে হবে তারপর দুই থেকে তিন মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এবং ক্রিমটি ত্বকের সাথে শুকিয়ে গেলে ত্বকে ইনস্ট্যান্ট একটি ফর্সা এবং গ্লোয়িং ভাব দেখতে পারবেন এবং এটি সারাদিন আপনার ত্বককে ন্যাচারাল ফর্সা দেখাবে।

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে। ওপরে আমরাও হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম গুলো ব্যাখ্যা করলাম এই নিয়মে হোয়াইট ক্রিম ত্বকে ব্যবহার করলে পরিপূর্ণ উপকারিতা লাভ করতে পারবেন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি হোয়াইট টোন ক্রিম কখন ব্যবহার করব? 

হোয়াইট টোন ক্রিম কখন ব্যবহার করব?

আপনারা অনেকেই এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন যে হোয়াইট টোন ক্রিম কখন ব্যবহার করব? হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করার কোন নির্ধারিত নিয়ম নেই যখন আপনি বাইরে যাবেন কিংবা কোন অনুষ্ঠান কিংবা ফাংশনে যাবেন তখন ঝটপট তৈরি হওয়ার জন্য হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। 

কিংবা স্কুল কলেজে ক্লাসে যাওয়ার আগে ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশি থেকে বাঁচানোর জন্য সানস্ক্রিন হিসেবে হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন এটি আপনার ত্বকে ইনস্ট্যান্ট একটি ফর্সা এবং গ্লোয়িং ভাব প্রদান করবে। 

এছাড়াও বাসায় মাঝে মাঝে হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক থেকে দাগ দূর হবে এটি ঔষধের মতো কাজ করে। ত্বকে অতিরিক্ত ব্রণের সমস্যা থাকলে হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন এটি ত্বক থেকে ব্রণের সমস্যা দূর করবে এবং ব্রণ থেকে সৃষ্টি কালচে দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।

হোয়াইট টন পাউডার এর উপকারিতা 

উপরে আমরা এতক্ষন দেখলাম হোয়াইট টোন ক্রিম এর উপকারিতা এবং হোয়াইট টোন ক্রিম এর ব্যবহারবিধি সম্পর্কে। এবার আমরা দেখব হোয়াইট টোন পাউডারের উপকারিতা গুলো। হোয়াইট টোন ক্রিম এর পাশাপাশি ত্বকে হোয়াইট টোন পাউডার ব্যবহার করলে ত্বক অনেক বেশি নরম মসৃণ এবং উজ্জ্বল হয়। 

হোয়াইট টন পাউডার এবং হোয়াইট টন ক্রিম একত্রে ব্যবহার করলে ত্বক দেখতে ন্যাচারাল ফর্সা মনে হয় তাই যারা ঝটপট যে কোন অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি হতে চান তারা দ্রুত হোয়াইট টোন ক্রিম এবং হোয়াইট টন পাউডার ব্যবহার করতে পারেন এই দুইটি প্রোডাক্ট আপনার তাদের জন্য একদম পারফেক্ট ত্বকের রুক্ষ শুষ্ক ভাব কম করবে এবং শীতকালেও উজ্জ্বল ও সুন্দর করে তুলবে।

হোয়াইট টোন পাউডার এর উপকারিতা অনেক ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল ফর্সা করতে সাহায্য করে। চলুন ঝটপট দেখে নেওয়া যাক হোয়াইট টন পাউডার এর উপকারিতা গুলো। 

হোয়াইট টোন পাউডার এর উপকারিতা 

  • ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে হোয়াইট টন পাউডার ব্যবহার করতে হবে।
  • হোয়াইট টন পাউডার ব্যবহার করলে ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি পড়ে না। 
  • হোয়াইট টন পাউডার ব্যবহার করার সাথে সাথে ইনস্ট্যান্ট গ্লো এবং ফর্সা ভাব আসবে। 
  • হোয়াইট টন পাউডার ব্যবহার করলে ত্বক ঘামবে না। 
  • হোয়াইট টোন পাউডার ব্যবহার করলে ত্বক থেকে যাবতীয় কালচে দাগ মুছে যাবে। 
  • হোয়াইট টন পাউডার ব্যবহার করার ফলে ত্বকের সৌন্দর্যতা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক ন্যাচারাল ফর্সা মনে হবে। 
  • হোয়াইট ক্রিম এর সাথে হোয়াইট টোন পাউডার ব্যবহার করলে এটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ত্বককে উজ্জ্বল রাখবে।
  • যেকোনো ফাউন্ডেশনের ওপরে সেটিং পাউডার হিসেবে হোয়াইট টন পাউডার ব্যবহার করা যায়। 
  • হোয়াইট পাউডার ব্যবহার করলে মেকাপের ম্যাট ফিনিশিং আসবে।
  • হোয়াইট টোন পাউডার ব্যবহার করলে ত্বক অনেক মসৃণ ও ময়েশ্চারাইজ থাকবে। 
হোয়াইট টোন পাউডার ব্যবহার করলে ওপরের এই উপকারিতা গুলো লাভ করতে পারবেন। হোয়াইট টোন পাউডার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ব্যবহার করার ফলে সাথে সাথে ত্বকে একটি ইনস্ট্যান্ট গ্লো পাবেন। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন হোয়াইট টন পাউডার এর উপকারিতা সম্পর্কে এটি আপনার ত্বককে ম্যাট ফিনিশিং দিতে সাহায্য করবে এবং আপনার ত্বককে ন্যাচারাল ফর্সা দেখাবে।

লেখকেরই শেষ মন্তব্য 

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম white tone cream এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত , হোয়াইট টোন ক্রিম কিভাবে ব্যবহার করব হোয়াইট টোন ক্রিম কখন ব্যবহার করব হোয়াইট টন ক্রিম এর অপকারিতা গুলো কি কি হোয়াইট টোন পাউডার এর উপকারিতা গুলো কি কি ।

যেকোনো ফাংশনে কিংবা অনুষ্ঠানের ঝটপট রেডি হতে হোয়াইট টোন ক্রিম এবং হোয়াইট টোন পাউডার আপনাকে সাহায্য করবে । এই দুইটি প্রোডাক্ট ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। যেকোনো অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত ভারী মেকআপ করলে শান্তি পাওয়া যায় না। আবার দেখতেও ভালো লাগে না। অতিরিক্ত ভারী মেকআপ করার ফলে ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। যেমন ব্রণ, কালচে দাগ, মেছতা, দাদ ।

তাই অল্প সময়ে তৈরি হতে ও হোয়াইট টন ক্রিম এবং হোয়াইট টন পাউডার ব্যবহার করতে পারেন এই দুইটি প্রোডাক্ট আপনার ত্বকে ইনস্ট্যান্ট গুলো সহ ইনস্ট্যান্ট ফর্সা করতে সাহায্য করবে আর এই দুইটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে মনে হবে সম্পূর্ণ ন্যাচারাল সৌন্দর্যতা। আমার মতে যে কোন অনুষ্ঠানের জন্য এই দুইটি প্রোডাক্ট সবচেয়ে উপকারী এবং অল্প বাজেটের এর মধ্যে এ দুইটি প্রোডাক্ট কিনতে পাওয়া যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url