হোয়াইট টোন পাউডার মাখলে কি হয় বিস্তারিত জানুন
হোয়াইট টোন পাউডার মাখলে কি হয়? আপনার ত্বকে অতিরিক্ত তৈলাক্ত? তাহলে এই পাউডারটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব হোয়াইট টন পাউডার মাখলে কি হয়, হোয়াইট টোন ক্রিম এর উপকারিতা কি কি এবং হোয়াইট ক্রিম এর দাম কত, হোয়াইট টন পাউডার এর দাম কত।
আপনি যদি হোয়াইট টন পাউডার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। এই পাউডারটি অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ত্বকের কি ক্ষতি হতে পারে? সে সকল বিষয় সম্পর্কে আজকের এই পোস্টটি থেকে জানতে পারবেন। চলুন ঝটপট দেখে নেওয়া যাক হোয়াইট টোন পাউডার মাখলে কি হয় বিস্তারিত জানুন, হোয়াইট টোন পাউডার এর দাম কত, হোয়াইট টোন ক্রিম এর উপকারিতা কি কি এবং হোয়াইটন ক্রিম এর দাম কত।
পেজ সূচিপত্র : হোয়াইট টোন পাউডার মাখলে কি হয় বিস্তারিত জানুন
ভূমিকা
রূপচর্চা করতে প্রতিটি মেয়ে খুব ভালোবাসে। বর্তমান সময়ে প্রত্যেকেই সুন্দর রূপের অধিকারী হতে চাই। যদিও আমরা প্রত্যেকেই মহান আল্লাহতালা সৃষ্টি। তবুও এ সমাজে সুন্দর এবং ফর্সা মানুষদের বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়। তাই আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই ফর্সা এবং সুন্দর হওয়ার একটি আকাঙ্ক্ষা থেকে যায়।
এছাড়াও দেখতে সুন্দর লাগলে এবং ফর্সা ত্বকের অধিকারী হলে নিজের মধ্যে কনফিডেন্ট অথবা আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। এজন্য অনেকেই বাইরে গেলে স্নো পাউডার ব্যবহার করে নিজেকে স্মার্ট ভাবে প্রদর্শন করেন। এছাড়াও ঝটপট তৈরি হওয়ার জন্য হোয়াইট টন স্নো এবং হোয়াইটন পাউডার সবচেয়ে সেরা একটি কম্বিনেশন।
আরো দেখুন: ব্যবসা করে কোটিপতি হতে চান? দেখে নিন এই জাদুকরী উপায়
কোন ঝামেলা ছাড়াই ঝটপট অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি হওয়া যায়। হোয়াইট টন স্নো এবং পাউডার থাকলে অতিরিক্ত মেকাপের প্রয়োজন হয় না।।এটি আপনাকে মেকআপের মতো লুক দেয় এবং দেখতে ন্যাচারাল মনে হয়। তবে এই হোয়াইট টন পাউডার এবং স্নো ব্যবহার করার কি কোন ক্ষতিকর দিক রয়েছে? আজকের এই পোষ্ট জুড়ে আমাদের মূল আলোচ্য বিষয় হলো হোয়াইট টন ফেস পাউডার মাখলে কি হয়?
কোন ঝামেলা ছাড়াই ঝটপট অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি হওয়া যায়। হোয়াইট টন স্নো এবং পাউডার থাকলে অতিরিক্ত মেকাপের প্রয়োজন হয় না।।এটি আপনাকে মেকআপের মতো লুক দেয় এবং দেখতে ন্যাচারাল মনে হয়। তবে এই হোয়াইট টন পাউডার এবং স্নো ব্যবহার করার কি কোন ক্ষতিকর দিক রয়েছে? আজকের এই পোষ্ট জুড়ে আমাদের মূল আলোচ্য বিষয় হলো হোয়াইট টন ফেস পাউডার মাখলে কি হয়?
হোয়াইট টোন ফেস পাউডার মাখলে কি হয়
আপনি কি জানেন হোয়াইট টোন ফেস পাউডার মাখলে কি হয়? হোয়াইট টোন ফেস পাউডার মাখলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয় এবং ত্বক ইনস্ট্যান্ট ফর্সা হয়। যারা ইনস্ট্যান্ট ফর্সা হতে চান এবং ত্বককে সুন্দর করতে চান ত্বককে নরম ও লাবণ্যময় দেখাতে চান তারা এই পাউডারটি ব্যবহার করতে পারেন।
যেকোনো সময় বাইরে যাওয়ার আগে ঝটপট এই পাউডারটি মেখে নিলে সম্পূর্ণ ন্যাচারাল ফর্সা মনে হয়। যেকোনো অনুষ্ঠানে ঝটপট তৈরি হওয়ার জন্য ফাউন্ডেশন অথবা মেকআপ ব্যবহার করার সময় থাকে না এক্ষেত্রে ঝটপট তৈরি হওয়ার জন্য এবং সঠিক ফিনিশিং দেওয়ার জন্য এই হোয়াইটন পাউডার ব্যবহার করতে হবে।
ত্বকে মেকাপ ব্যবহার করলে বোঝা যায় এবং দেখে অনেক ভারী মেকআপ মনে হয়। কিন্তু যদি হোয়াইট টোন পাউডার ব্যবহার করেন তাহলে ন্যাচারাল ফর্সা মনে হয়। তবে অতিরিক্ত হোয়াইটন ফেস পাউডার ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এই পাউডারের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে। যা আপনার ত্বকে ইনস্ট্যান্ট ফর্সা করতে সাহায্য করে। তবে যদি অতিরিক্ত এই পাউডারটি ব্যবহার করেন তাহলে এটি ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করে এবং ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি করে।
তাই অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। হোয়াইট টন ফেস পাউডার মাখলে কি হয় আরো বিস্তারিত জানতে নিচে দেখে নিন:
- হোয়াইট টোন ফেস পাউডার মাখলে ত্বক ইনস্ট্যান্ট উজ্জ্বল ও ফর্সা হয়।
- ত্বককে মসৃণ ও কোমল দেখায়।
- এটি ব্যবহার করার ফলে ত্বককে ম্যাট দেখায়।
- এই পাউডারটি মাখলে ত্বকে মেকাপ সেট করতে সাহায্য করে।
- হোয়াইট টন ফেস পাউডার মাখলে ত্বকে ঘাম হয় না।
- এই পাউডারটি ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়।
- হোয়াইট টন পাউডার ব্যবহার করলে ত্বক ন্যাচারাল ফর্সা মনে হবে।
- এটি ত্বক থেকে তেল শোষণ করে এবং ত্বকে শুকনো এবং ম্যাট ফিনিশিং দেয়।
- হোয়াইট টন ফেস পাউডার ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বেড়ে যায় এবং ফাউন্ডেশন এর উপরে এই পাউডারটি ব্যবহার করলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মেকআপ সুন্দর থাকে।
হোয়াইট টোন পাউডার মাখলে উপরের এই উপকারিতা গুলো লাভ করতে পারবেন। এটি ত্বকের জন্য উপকারী এবং অতিরিক্ত ঘাম কমাতে সাহায্য করে, ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাতে সাহায্য করে, ত্বককে একটি পারফেক্ট এবং ন্যাচারাল ফর্সা লুক দেয়।
যেকোনো অনুষ্ঠানে ঝটপট তৈরি হওয়ার জন্য এই পাউডারটি ব্যবহার করতে পারেন এছাড়াও স্কুল-কলেজে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাতে এবং ঘাম কমাতে এই পাউডারটি ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্নভাবে এই পাউডারটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এবার চলুন ঝটপট দেখে নেওয়া যাক হোয়াইট টোন ফেস পাউডার এর দাম কত?
হোয়াইট টন ফেস পাউডার এর দাম কত
আপনি কি জানেন হোয়াইট টোন ফেস পাউডারের দাম কত? আপনারা অনেকে জিজ্ঞাসা করেন যে এই পাউডার এর দাম কত? কোথায় পাওয়া যাবে? হোয়াইট টন ফেস পাউডার সম্পন্ন বাংলাদেশ জুড়ে পাওয়া যায় যে কোন দোকানে জিজ্ঞাসা করলে পাউডারটি আপনি পেয়ে যাবেন এবং এই পাউডারটির লোকাল বাজারের দাম হলো ১৫০ থেকে শুরু করে 180 টাকা।
অনলাইন থেকে হোয়াইট টন ফেস পাউডার ক্রয় করলে ১৩০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন যেমন বর্তমান সময়ে daraze বিশাল অফার চলছে এই অফারে হোয়াইট টোন ফেস পাউডার মাত্র ১২২ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। তবে লোকাল বাজারের দেখে শুনে যাচাই করে পাউডার ক্রয় করতে পারবেন। লোকাল বাজারে হোয়াইট টোন ফেস পাউডার এর দাম ১৫০ টাকা।
হোয়াইট টন ফেস পাউডার ছোট প্যাকেজে রয়েছে, মাঝারি প্যাকেজে রয়েছে এবং বড় প্যাকেজে রয়েছে। ছোট হোয়াইট টন ফেস পাউডার এর দাম ৮০ টাকা, মাঝারি সাইজের হোয়াইট টোন ফেস পাউডার এর দাম ১৫০ টাকা এবং বড় হোয়াইট টোন ফেস পাউডার এর দাম ২২০ টাকা। White tone ফেস পাউডারটি খুবই উপকারী যে কোন অনুষ্ঠানে ঝটপট তৈরি হতে এবং ত্বককে ন্যাচারাল ফর্সা করতে সাহায্য করে।
হোয়াইট টন ফেস পাউডার ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক
হোয়াইট টোন ফেস পাউডার ব্যবহারের কোন ক্ষতিকর দিকই নেই কিন্তু অতিরিক্ত এই পাউডারটি ব্যবহার করলে তাকে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া বেড়ে যেতে পারে এবং ত্বক উস্ক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। যে কোন প্রোডাক্ট তাকে অতিরিক্ত ব্যবহার করা হলে ত্বকের ক্ষতি হয় কারণ প্রতিটি প্রোডাক্টের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা থাকে সে প্রোডাক্টটিকে প্রিজারভেটিভ এবং সংরক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মিশানো হয়।
এই কেমিক্যাল গুলো ত্বকের জন্য ক্ষতিকর ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করে এবং তাকে ভেতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তাই অতিরিক্ত ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে শুধুমাত্র হোয়াইট টোন ফেস পাউডারই নয়। যেকোনো ধরনের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট অতিরিক্ত ব্যবহার করা যাবে না। অতিরিক্ত হোয়াইট টন ফেস পাউডার ব্যবহার করার ফলে যে ক্ষতিগুলো হতে পারে:
- ত্বক রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যাবে।
- ত্বকের কোমল ভাব এবং মসৃণ ভাব কমে যাবে।
- ত্বকের চামড়া ফেটে যাবে।
- ত্বকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হবে।
- ত্বকে বড় বড় ব্রণ তৈরি হবে।
- ত্বকে এলার্জির প্রভাব বেড়ে যাবে।
অতিরিক্ত ও হোয়াইট টন পাউডার ব্যবহার করলে ওপরের এই সমস্যাগুলো দেখা দেবে তাই অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন এবং অল্প পরিমানে এই পাউডারটি ব্যবহার করে ন্যাচারাল ফর্সা ভাব উপভোগ করুন। এবার চলুন আমরা দেখে আসি হোয়াইট টন পাউডার ব্যবহার করলে কি এলার্জির প্রতিক্রিয়া বাড়ে?
হোয়াইট টন ফেস পাউডার ব্যবহার করলে কি এলার্জি হয়?
আপনারা অনেকেই এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন যে হোয়াইট টোন ফেস পাউডার ব্যবহার করলে কি এলার্জি হয় নাকি? হোয়াইট টন ফেস পাউডার ব্যবহার করার সাথে এলার্জি হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। হোয়াইট টন ফেস পাউডারে এমন কোন উপাদান বিদ্যমান নেই যার ফলে মানব শরীরে কিংবা ত্বকে এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।
তবে আমাদের প্রত্যেকের শরীর আলাদা যদি আপনি ক্লিয়ার জানতে চান আপনার হোয়াইট টন ফেস পাউডারের এলার্জি রয়েছে কি তাহলে প্রথমে একবার ব্যবহার করে দেখুন যদি কোন অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তাহলে পরবর্তী সময়ে আর ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।
তবে যেহেতু এই পাউডারের অনেক বেশি রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা রয়েছে তাই অতিরিক্ত পাউডারটি ব্যবহার করার ফলে ত্বকে ব্রণ এবং কালচে দাগ তৈরি হতে পারে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন হোয়াইট টোন ফেস পাউডার ব্যবহার করলে কি এলার্জি হয় নাকি এবার দেখে নেওয়া যাক হোয়াইট টন ফেস পাউডার কিভাবে ব্যবহার করব?
হোয়াইট টন ফেস পাউডার কিভাবে ব্যবহার করব
আপনি কি হোয়াইট টন ফেস পাউডার কিভাবে ব্যবহার করব জানতে চান? যেকোনো পাউডার ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম রয়েছে ভুল নিয়মে পাউডার ব্যবহার করলে দেখতে ভালো লাগবে না এবং লোকে হাসাহাসি করবে এই জন্য পাউডার ব্যবহার করার সঠিক নিয়মটি দেখে নিন তাহলে আপনার কাউকে দেখতে সম্পূর্ণ ন্যাচারাল ফর্সা মনে হবে।
যেকোনো পাউডার তুলি কিংবা কাপড়ের সাহায্যে না মেখে হোয়াইট টোন ফেস পাউডার হাতে নিয়ে দুই হাতের সাহায্যে ত্বকে অ্যাপ্লাই করুন। হাতের সাহায্যে ত্বকের সাথে মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন এতে ন্যাচারাল ফর্সা মনে হবে। অথবা একটি তুলির ওপরে অল্প পরিমাণ হোয়াইট টোন পাউডার নিয়ে ত্বকে অ্যাপ্লাই করুন।
এটি ত্বকে সেট হয়ে গেলে হালকা হাতের সাহায্যে ত্বকের ড্যাব ড্যাব করুন। এতে ত্বকের ভেতর পর্যন্ত হোয়াইট টন পাউডারটি মিশে যাবে যেকোনো পাউডার কিংবা মেকআপ টকে যত বেশি ডাব ডাব করবেন এবং মিশিয়ে দেবেন ত্বক তত বেশি ন্যাচারাল ফর্সা মনে হবে। আর কখনোই কোন পাউডার ত্বকে মাখামাখি অথবা ড ডলা ডলি করবেন না।
আলতোভাবে হাতের সাহায্যে অথবা তুলির সাহায্যে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন হোয়াইট টোন পাউডার কিভাবে ব্যবহার করব? এবার চলুন ঝটপট দেখে আসি হোয়াইট টোন ক্রিম এর উপকারিতা কি কি।
হোয়াইট টোন ক্রিম এর উপকারিতা কি কি
আপনি কি হোয়াইট টন ক্রিম এর উপকারিতা কি কি জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। ব্যবহার করতে খুব ভালোবাসি এটি ত্বককে নরম ও গ্লোয়িং করতে সাহায্য করে। এছাড়া হোয়াইট টোন ক্রিম সানস্ক্রিনের মতো কাজ করে ত্বককে সানবার্ন থেকে বাঁচায়। যেকোনো অনুষ্ঠানে কিংবা বিয়ে বাড়িতে ঝটপট রেডি হওয়ার জন্য হোয়াইট টোন ক্রিম এবং হোয়াইটন পাউডার ব্যবহার করলে ত্বক ন্যাচারাল ফর্সা মনে হয় এটি ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের স্নো পাওয়া যায় কিন্তু আমার মধ্যে সেই সকল তুলনায় সবচেয়ে ভালো হলো হোয়াইট টোন ক্রিম। এটি ত্বককে ইনস্ট্যান্ট গ্লো এবং ফর্সা ভাব দেয়। হোয়াইট টোন ক্রিম এর কিছু উপকারিতা নিচে দেওয়া হল দেখে নিন।
- ত্বককে উজ্জ্বল করে
- ত্বক থেকে কালো দাগ, মেছতা এবং সানট্যান দূর করে।
- এই ক্রিমটি ত্বকে ব্যবহার করলে ইনস্ট্যান্ট ন্যাচারাল ফর্সা মনে হয়।
- ত্বকে হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করলে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না।
- ত্বকে হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের মসৃণতা বাড়ে এবং ত্ব থেকে যাবতীয় দাগ কমে যায়।
- হোয়াইট টন ক্রিমে ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বকের শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং ত্বক থেকে বয়সের ছাপ কমায় এবং ত্বককে আরো টানটান করে।
- হোয়াইট টোন ক্রিম এ প্রচুর পরিমাণে এক্সফলিয়েটিন উপাদান ব্যবহার করা রয়েছে যা ত্বকের দাগ কমিয়ে দেয় এবং ত্বককে স্বাভাবিক ভাবে উজ্জ্বল দেখায়।
- ত্বকে হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের উস্কো শুষ্ক ভাব দূর হয় এবং ত্বক দেখতে অনেক মসৃণ ও গ্লোয়িং হয়।।
- ড্রাই স্কিনের জন্য হোয়াইট টন ক্রিম খুবই উপকারী এটি ব্যবহার করলে ত্বকের চামড়া উঠার সমস্যা দূর হয়।
প্রিয় পাঠক হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করলে ওপরের এই উপকারিতা গুলো লাভ করতে পারবেন বাইক টোন ক্রিম শুধুমাত্র ত্বককে ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ভাব দেয় না। বরং এই ক্রিমটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী ত্বক থেকে বয়সের ছাপ কমায় ত্বকে উজ্জ্বল ও ফর্সা করে তাকে মসৃণ করে এবং ত্বক থেকে দাগ দূর করতে সাহায্য করে। হোয়াইট টোন ক্রিমে ভিটামিন সি সহ এক্সফলিয়েটিন উপাদান রয়েছে যা ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করে ত্বকে আরও টানটান এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
তাই এখন থেকে যে কোন অনুষ্ঠান কিংবা বিয়ে বাসাতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত হেভি ভারী মেকআপ না করে হোয়াইট টোন ক্রিম এবং হোয়াইট টোন পাউডার ব্যবহার করুন এই দুইটি উপাদান আপনার ত্বকে ইনস্ট্যান্ট ফর্সা করতে সাহায্য করবে এবং ন্যাচারাল ফর্সা মনে হবে। প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন হোয়াইট টোন ক্রিম এর উপকারিতা কি কি এবার চলুন ঝটপট দেখে আসি হোয়াইট টোন ক্রিম এর দাম কত।
হোয়াইট টোন ক্রিম এর দাম কত
আপনি কি জানেন হোয়াইট ক্রিম এর দাম কত? হোয়াইট টোন ক্রিম কোথায় পাওয়া যায়? এই ক্রিমটি আপনার আশেপাশে লোকাল বাজারে অথবা অনলাইনে কিনতে পাবেন এটি খুবই জনপ্রিয় তাই সম্পূর্ণ বাংলাদেশ জুড়ে এই টিমটি সাপ্লাই দেওয়া হয়।
হোয়াইট টোন ক্রিম এর দাম হলো 170 টাকা। আগে হোয়াইটন ক্রিম এর দাম ছিল ১২০ টাকা কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এর দাম এখন বেড়েছে এবং ১২০ থেকে ১০০ টাকা হয়েছে। খুচরা মূল্যের দোকানে হোয়াইট টোন ক্রিম এর দাম 220 টাকা। পাইকারি দোকানে হোয়াইট টোন ক্রিম এর দাম ১৭০ টাকা।
অনলাইনে হোয়াইট টোন ক্রিম কিনলে ১৫০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শপিং সাইট daraz এ বিশাল অফার চলছে এই সময় যে কোন প্রোডাক্ট অল্প মূল্যে পাওয়া যাবে তাই দেরি না করে ঝটপট হোয়াইট টোন ক্রিম ক্রয় করে ফেলুন। হোয়াইট টোন ক্রিম শুধুমাত্র একটি প্যাকেজেই পাওয়া যায়। ২৫ গ্রাম হোয়াইট টোন ক্রিম এর দাম ১৭০ টাকা।
হোয়াইট টোন ক্রিম কি সানস্ক্রিন?
আপনারা অনেকেই এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন যে হোয়াইট টোন ক্রিম কি সানস্ক্রিন নাকি? হোয়াইট টন ক্রীম এ ভিটামিন সি ব্যবহার করা রয়েছে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত কাজ করে এবং ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচায় এজন্য হোয়াইট টোন ক্রিম কে অনেকে সানস্ক্রিন হিসেবে ব্যবহার করে এটি ব্যবহার করে বাইরে গেলে ত্বকের সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি পরে না।
বাইরে যাওয়ার আগে ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা খুবই জরুরী এতে ত্বকের ক্ষতিকর রশ্মি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না এবং ত্বক মসৃণ ও কোমল থাকবে। যেকোনো ধরনের সানস্ক্রিন ত্বকে ব্যবহার করা খুবই জরুরি। যদি সানস্ক্রিন না থাকে তাহলে হোয়াইট টোন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন এটি ত্বকে সানস্ক্রিন এর মত কাজ করে।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন হোয়াইট টোন ক্রিম কে সানস্ক্রিন নাকি ওয়াইট ক্রিমে ২০% সান প্রটেকশন দেওয়া থাকে এইজন্য এই গেমটি ব্যবহার করলে ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি পড়ে না। এবার চলুন ঝটপট দেখে আসি White tone powder এর কাজ কি?
White tone powder এর কাজ কি?
আপনি কি জানেন White tone powder এর কাজ কি? আজকের এই পোস্ট জুড়ে আমরা আলোচনা করলাম হোয়াইট টোন ক্রিম এবং হোয়াইটন পাউডার সম্পর্কে এই দুইটি প্রোডাক্ট ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এবং ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করে না।
আমরা প্রত্যেকে জানি প্রতিটি প্রোডাক্ট এর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা থাকে যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে যে কোন প্রোডাক্ট অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে তৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিন্তু হোয়াইট টোন ক্রিম এবং হোয়াইট টন পাউডার যদি ব্যবহার করেন তাহলে এতে ত্বকের কোনো ক্ষতি হবে না।
হোয়াইট টোন ক্রীম ব্যবহার করে তৈলাক্ত ভাব কমাতে পাউডার ব্যবহার করলে এতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে এবং ত্বক দেখতে মসৃণ কমল ও উজ্জ্বল ফর্সা হবে। হোয়াইট টোন ক্রিম এবং হোয়াইট টোন পাউডার ব্যবহার করলে ত্বক ইনস্ট্যান্ট ৫ গুণ বেশি ফর্সা হয়।
আমরা অনেকেই স্নো এবং পাউডার ব্যবহার করতে খুব ভালোবাসি। কিন্তু আপনি যদি একবার এই দুইটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন তাহলে আপনি আর কখনো অন্য কোন পাউডার কিংবা মেকআপ ব্যবহার করবে না যে কোন অনুষ্ঠানে ফাংশানের এই দুইটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে ত্বক ন্যাচারাল ফর্সা মনে হবে এবং প্রত্যেকে আপনাদের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হবে।
White tone powder এর কাজ হলো
- ত্বকে ইনস্ট্যান্ট ফর্সা এবং উজ্জ্বল করা
- ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধি করা।
- ত্বককে ইনস্ট্যান্ট গ্লোয়িং করা।
- হোয়াইট টন পাউডার ব্যবহার করলে ত্বকের মসৃণতা অনেক বেড়ে যায় এবং ত্বক নরম হয়।
- ত্বকে হোয়াইট টন পাউডার ব্যবহার করলে ত্বক থেকে কালো দাগ ডার্ক স্পট দূর হয়।
- ত্বককে ক্লিন নরম ও মশ্চরাইজ করা।
- ত্বকের ভেতর থেকে যাবতীয় দাগ দূর করা এবং ত্বকে দাগ হীন সুন্দর কোমল নরম করা।
- ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করা।
সুপ্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন White tone powder এর কাজ কি? হোয়াইট টন পাউডার ব্যবহার করলে উপরের এই উপকারিতা গুলো লাভ করতে পারবেন। যে কোন ফাংশনে অথবা অনুষ্ঠানে হোয়াইট টোন পাউডার সাথে হোয়াইটন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক দেখতে ইনস্ট্যান্ট ন্যাচারাল ফর্মা হবে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠক আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা দেখলাম হোয়াইট টোন ফেস পাউডার এর দাম কত হোয়াইট টোন ক্রিম এর উপকারিতা কি কি হোয়াইট টোন ক্রিম এর দাম কত এবং হোয়াইট টোন ফেস পাউডার মাখলে কি হয় পাশাপাশি হোয়াইট টন ক্রিম কি সানস্ক্রিন এবং White tone powder এর কাজ কি?
আপনারা যারা জিজ্ঞাসা করেন যে অল্প সময়ে ঝটপট তৈরি হওয়ার জন্য কোন কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে তারা নিঃসন্দেহে এই দুইটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন এটি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে। হোয়াইট টোন ক্রিম ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বক থেকে দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
পাশাপাশি হোয়াইট টন পাউডার ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয় এবং ত্বক দেখতে অনেক বেশি ন্যাচারাল ফর্সা মনে হয়। যে কোন বিয়ে বাসা অনুষ্ঠান কিংবা ফাংশনের ঝটপট তৈরি হওয়ার জন্য এই দুইটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন এটি আপনাকে ঝটপট ইনস্ট্যান্ট গুলো দিবে এবং ফর্সা দেখাবে।
ঝটপট তৈরি হওয়ার জন্য আমার কাছে সবচেয়ে সেরা হল এই দুইটি প্রোডাক্ট। অল্প বাজেটের মধ্যে অল্প খরচে এই দুইটি প্রোডাক্ট ক্রয় করে খুব সহজে নিজেকে ন্যাচারাল ফর্সা হিসেবে দাবি করতে পারবেন। আশা করছি আজকের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন হোয়াইট টোন ফেস পাউডার এবং হোয়াইট টোন ক্রিম এর উপকারিতা সম্পর্কে।
ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url