ভেড়ার ঘর দক্ষিণমুখী হওয়া ভালো কেনো এর ৫টি কারণ জানুন
ভেড়ার ঘর দক্ষিণ মুখী হওয়া ভালো। অনেকেই নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন ভেড়ার ঘর সর্বদা দক্ষিণ মুখী করা হয়। কিন্তু কেন? ভেড়ার ঘর দক্ষিণমুখী হওয়া ভালো কেন জানতে আজকের এই প্রতিবেদনটি সম্পন্ন পড়তে থাকুন এই প্রতিবেদনে ভেড়ার ঘর দক্ষিণমুখী হওয়া ভালো কেনো এর ৫টি কারণ ব্যাখ্যা করব।
ভেড়ার ঘর দক্ষিণ মুখী হলে এতে সূর্যের আলো ও তাপ প্রবেশ করে। সূর্যের আলো ঘরের ভেতরে প্রবেশ করলে এতে ঘরে তাপমাত্রা বাড়বে এটি শীতকালে ভেড়াদের জন্য উপকারী হতে পারে। ভেড়ার ঘর দক্ষিণমুখী হওয়া ভালো, কেন এর ৫টি কারণ সম্পর্কে জানতে নিচে দেখে নিন।
ভেড়ার ঘর দক্ষিণমুখী হওয়া ভালো কেন
অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন ভেড়ার ঘর দক্ষিণমুখী হওয়া ভালো কেন? কারণ এতে ভেড়ার ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যের আলো প্রবেশ করবে বাতাস প্রবেশ করবে এবং ভেড়ার ঘর তাহলে আলোর দিকে থাকবে এবং দিন ও রাতে ভেড়ার ঘরে প্রাকৃতিক আলো প্রবেশ করবে এটা ভেড়ার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
দক্ষিণমুখী দিকে কম পরিমাণে ঝড় হয় এবং বৃষ্টি হওয়ার পরিমাণও অনেক কম হয় এজন্য এই দিকে ভেড়া লালন পালন করে বেশ মুনাফা অর্জন করা যাবে এজন্য বিশেষজ্ঞরা বলেন দক্ষিণমুখী জায়গাতে ভেড়ার ঘর তৈরি করতে। ভেড়ার ঘর দক্ষিণ মুখী হলে ঘরে প্রাকৃতিক বাতাস এবং আলো প্রবেশ করবে এতে ঘরের আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং ভেড়ার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।
ভেড়ার ঘর দক্ষিণ দিকে থাকলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘরে সূর্যের আলো ও তাপ প্রবেশ করে: দক্ষিণ মুখী দিকে বেশি পরিমাণ সূর্যের আলো পাওয়া যায়। সূর্যের আলো প্রত্যেকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
ভিটামিন ডি ভেড়ার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়াও শীতকালে অতিরিক্ত ঠান্ডা ভাপে কাটিয়ে ওঠার জন্য ভেড়ার ঘর দক্ষিণ দিকে রাখতে হবে এতে সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশ করবে এবং ঘরের তাপমাত্রাকে গরম রাখবে এতে অতিরিক্ত ঠান্ডা ভাত কেটে যাবে।
ভেড়ার ঘর দক্ষিণ দিকে থাকলে ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণে বাতাস ও আলো প্রবেশ করে: ভেড়ার ঘর দক্ষিণ দিকে রাখার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো এতে ঘরে প্রাকৃতিক বাতাস এবং আলো প্রবাহিত হয়। যা ঘরের আর্দ্রতাকে বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ভেড়াদের শরীরের জন্য তাজা বাতাস এবং আলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভেরা প্রিয় প্রাণী এরা ঠান্ডা থাকতে ভালোবাসে এবং অতিরিক্ত গরম সহ্য করতে পারে না।
ভেড়ার ঘর দক্ষিণ দিকে থাকলে বৃষ্টিপাতের ঝামেলা কমে: দক্ষিণ দিকে বৃষ্টিপাত কম হয় এই জন্য দক্ষিণমুখী দিকে ভেড়ার ঘর তৈরি করলে বৃষ্টিপাতের ঝামেলা কম হয় বৃষ্টিপাত হলে ভেড়ার ঘরে পানি ঢুকে যায় এবং ভেড়া পানি সহ্য করতে পারে না।
এই জন্য বৃষ্টি হলে ভেড়া লালন পালনকারীকে বেশ হেনস্থা শিকার হতে হয়।। সবদিক বিবেচনা করে এই জন্য এখন ব্যবসায়ীরা ভেড়ার জন্য দক্ষিণমুখী ঘর নির্বাচন করেন। দক্ষিণ দিকে বৃষ্টিপাতের হার খুব কম।
ভেড়ার ঘর দক্ষিণ দিকে থাকলে ঝড়ের সম্ভাবনা কম থাকে: দক্ষিণ দিকে প্রবল ঝড় কিংবা অনেক বাতাসে প্রবণতা অনেক কম। অতিরিক্ত ঝড় বৃষ্টিতে যেকোনো পশু পাখি লালন পালন করা কষ্টকর।
এজন্য বুদ্ধিমতী ব্যবসায়ীরা সবসময় পশু পাখি লালন পালন করার ক্ষেত্রে দক্ষিণ দিকে ঘরবাড়ি বেছে নেন। এতে ঝড় বৃষ্টি এর সম্ভাবনা কম থাকে এবং সহজেই পশুপাখি লালন পালন করে অল্প সময়ের মধ্যে বেশি মুনাফা অর্জন করা যায়।
ভেড়ার ঘর দক্ষিণ দিকে থাকলে ঘরের আদ্রতা বজায় থাকে: দক্ষিণ দিকে ভেড়ার ঘর তৈরি করা হলে এতে দিনরাত ঘরে আলো প্রবেশ করে এবং ঘরের আদ্রতা বজায় থাকে। পশু পাখির জন্য এমন জায়গায় ঘর স্থাপন করতে হবে যেখানে আলো বাতাস রয়েছে আলো বাতাস না থাকলে রোগবালাই এর সংখ্যা বাড়তে শুরু করবে।
তাই আলো বাতাস পূর্ণ ঘরে পশু পাখিকে স্থান দিতে হবে এতে রোগ বালাই কম হবে এবং সূর্যর আলো ভেড়ার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বিশেষ করে বিজ্ঞানীরা বলেন দুধ উৎপাদন করার ক্ষেত্রে ভেড়ার শরীরে সূর্যের আলো লাগা খুবই জরুরী।
দক্ষিণমুখী ভেড়ার ঘর থাকলে উপরের এই উপকারিতা সমূহ পাওয়া যায় এবং ভেড়ার স্বাস্থ্য উন্নত হয় পাশাপাশি এটি ভেড়ার দুধ উৎপাদন করতে সাহায্য করে তাই ভেড়ার জন্য দক্ষিণ মুখী ঘর সবচেয়ে ভালো হবে। আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন দক্ষিণমুখী ঘর ভেড়ার জন্য ভালো কেন।
ভেড়ার আবাসস্থল কেমন হওয়া প্রয়োজন
অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন ভেড়ার অবস্থান কেমন হওয়া প্রয়োজন? যারা নতুন ভেড়া লালন পালন করতে চাচ্ছেন তাদেরকে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী ভেড়ার ঘর তৈরি করার প্রথমে জানতে হবে ভেড়ার আবাসস্থল কেমন হওয়া উচিত।
ভেড়া লালন পালন করে অতি দ্রুত প্রচুর মুনাফা লাভ করা যায় এবং বিজ্ঞানীরা বলেন ভেড়া পালন করা বুদ্ধিমতি ব্যবসায়ীদের কাজ। ভেড়া এর গায়ের পশম বিক্রি করে ইনকাম করা যায় দুধ বিক্রি করে ইনকাম করা যায়। পাশাপাশি ভেড়ার মাংস বিক্রি করে ইনকাম করা যায়।
আবার ভেড়া বড় হলে সেই ভেড়াকে বাজারে বিক্রি করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করা যায় অর্থাৎ ভেড়া লালন পালন করলে প্রতিটি দিক থেকে ইনকাম করা সম্ভব। নিচে দেখে নিন ভেড়ার আবাসস্থল কেমন হওয়া প্রয়োজন।
ভেড়ার আবাসস্থল দক্ষিণ মুখী হওয়া প্রয়োজন: ভেড়ার আবাসস্থল দক্ষিণ মুখী হওয়া প্রয়োজন এতে ভেড়ার ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণে আরো এবং বাতাস প্রবেশ করবে। ভেড়ার ঘরে সূর্যের আলো প্রবেশ করলে ভেড়ার রোগ বালাই এর সংখ্যা কমবে এবং দুধ উৎপাদন বাড়বে। ভেড়ার আবাসস্থল দক্ষিণ দিকে তৈরি করলে এতে ঝড় বৃষ্টি এর সম্ভাবনা কমবে। করে ঝামেলা ছাড়াই তাহলে ভেড়া লালন পালন করতে পারবেন।
ভেড়ার ঘরের জন্য শুষ্ক ও জায়গা নির্বানন করা প্রয়োজন: ভেড়ার জন্য শুষ্ক আবাসস্থল নির্বাচন করতে হবে ভেড়া পানি কিংবা ভেজা স্যাঁত স্যাঁত জায়গায় থাকতে পারে না। আর বর্ষাকালে ভেড়ার ঘরে পানি ঢুকবে না এমন শুষ্ক জায়গা নির্বাচন করতে হবে এই জন্য ভেড়ার ঘর দক্ষিণ দিকে তৈরি করতে হয় দক্ষিণ দিকে বৃষ্টি এবং ঝড় কম হয়।
ভেড়ার ঘর অতিরিক্ত রোদ আবার অতিরিক্ত ঠান্ডা জায়গায় তৈরি করা যাবে না: ভেড়া ঠান্ডা প্রিয় প্রাণী এরা অতিরিক্ত রোধ সহ্য করতে পারে না আবার অতিরিক্ত ঠান্ডা পরিবেশ কিংবা ভেজা পরিবেশে থাকতে পারে না তাই ভেড়ার জন্য হালকা রোদ প্রবেশ করে এমন ঘর নির্বাচন করতে হবে। ভেড়া শরীরে অতিরিক্ত পোষণ থাকে যার ফলে তারা অতিরিক্ত গরম কিংবা রোদ সহ্য করতে পারেনা।
ভেড়ার আবাসস্থল সবসময় শুকনো এবং পরিষ্কার রাখতে হবে: ভেড়ার আবাসস্থল সবসময় শুকনো এবং পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরী ভেড়ার ঘরের নিচে মাটিতে প্লাস্টিক অথবা কাঠের প্রাঙ্ক ব্যবহার করতে হবে। ভেড়ার ঘরে পানি প্রবেশ করে এমন কোন কিছু রাখা যাবে না।
ভেড়ার ঘরে পানি নিষ্কাশন পদ্ধতির প্রযুক্তি রাখতে হবে। হালকা রোদ প্রবেশ করে এমন জায়গায় ভেড়ার আবাসস্থল তৈরি করতে হবে এবং সর্বদা ভেড়ার ঘরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পরিষ্কার আবাসস্থলে ভেড়া অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
ভেড়ার আবাসস্থল দুর্গন্ধ মুক্ত হতে হবে: ভেড়ার আবাসস্থল নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে এবং দুর্গন্ধ মুক্ত রাখতে হবে। ভেড়া একটি পরিষ্কার প্রাণী এরা দুর্গন্ধযুক্ত আবাসস্থলে থাকতে পারে না। ভেড়ার ঘর সব সময় পরিষ্কার পৌঁছালে রাখতে হবে এবং তাদেরকে শুকনো স্থানে জায়গা দিতে হবে। ভেড়ার ঘর খোলামেলা হতে হবে। তারা হাঁটাচলা খেলাধুলা করতে পারে এমন জায়গায় ঘর তৈরি করতে হবে ঘরের পাশে মাঠ থাকলে বেশ ভালো হয়।
ওপরের এই দিকগুলো বিবেচনা করে ভেড়ার আবাসস্থল তৈরি করতে হবে। ভেড়ার আবাসস্থল সবসময় দুর্গন্ধ মুক্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং শুষ্ক রাখতে হবে আর ভেড়ার ঘরে পানি নিষ্কাশন পদ্ধতি মেশিন থাকতে হবে যার মাধ্যমে বৃষ্টি কালীন সময়ে ভেড়ার ঘর থেকে পানি দূর করা যাবে। আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন ভেড়ার আবাসস্থল কেমন হওয়া প্রয়োজন।
ভেরা পালন করে লাখপতি হতে পারবেন
ভেড়া পালন করে লাখপতি হওয়া সম্ভব? হ্যাঁ সঠিক পদ্ধতিতে ভেড়া পালন করলে লাখপতি এবং কোটিপতি হওয়া সম্ভব ভেড়া পালন সবচেয়ে বুদ্ধিমতার একটি কাজ বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এইখানে প্রচুর খোলা জায়গা রয়েছে যেখানে ভেড়া পালন করে গরু বকরি লালন পালন করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
বাজারে ভেড়ার মাংসের দাম অনেক বেশি পাশাপাশি বাজারে ভেড়া দুধেরও দাম অনেক বেশি ভেড়া দুধ থেকে এখন চিজ পনির তৈরি করা হয় এই খাবার গুলো বাজারে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ভেড়া পালন করে খুব সহজেই লাখপতি হওয়া যায়।
আগামী এক বছরের মধ্যে কোটিপতি হতে চান? তাহলে আসুন আমরা জেনারেল এ কিভাবে আপনার কোটিপতি হওয়ার যাত্রা এখান থেকে শুরু হবে। একটি ভেড়া প্রতি বছরের দুইটি বাচ্চা জন্ম দেয়। প্রথমে পাঁচটি ভাড়া ক্রয় করতে হবে এবং সেই পাঁচটি ভাড়া আগামী বছরে দুইটি বাচ্চা জন্মদিনে পাঁচটি ধারা থেকে মোট ১০টি বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে।
আবার দ্বিতীয় বছরে এই ১০ টি ধারা থেকে আবারো আরো দশটি ভেড়ার বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে এভাবে যতদিন যাবে ভেড়া এর বংশবিস্তার ঘটতে থাকবে। বেড়ার জন্য একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শুকনো আবাসস্থল নির্বাচন করতে হবে যেখানে ভেড়ার কোন রোগবালাই হবে না
এবং তারা শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। ভেড়া সাধারণত প্রথম ১.২ থেকে দুই বছর বয়সে প্রথম বাচ্চা দেয় এবং একটি ভেড়ার সাত থেকে আট বছর পর্যন্ত বাচ্চা দিতে পারে। ভেড়ার প্রাপ্ত বয়স হয়ে গেলে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।
অথবা ভেড়ার মাংস বাজারে বিক্রি করতে পারবেন বাজারে ভেড়ার মাংসের চাহিদা এবং দাম প্রচুর। বাজারে ভেড়ার মাংস এক হাজার টাকা কেজি। ভেড়ার মাংস বাজারে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন এছাড়াও প্রাপ্তবয়স্ক ভেড়ার দাম ২০০০০-২৫০০০ হাজার টাকা।
একটি ভেড়ার ৭ থেকে ৮ বছর হয়ে গেলে প্রাপ্তবয়স্ক ভেড়া বাজারে বিক্রি করে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। একটি ছোট বাচ্চা ভেড়ার দাম সাধারণত চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। এখন পাঁচটি ভাড়া ক্রয় করে সঠিকভাবে তাদের যত্ন নিতে হবে এবং লালন পালন করতে হবে।
তাদের বয়স ১.২ বছর হলে তারা বাচ্চা দিতে শুরু করবে এবং প্রথমে পাঁচটি ভাড়া ক্রয় করেছেন আগামী বছরের সেই পাঁচটি ভাড়া যদি দুইটি করে বাচ্চা দেয় তাহলে পরের বছরে আপনার মোট ভেড়া থাকছে ১৫টি। আবারো দ্বিতীয় বছরে এই ১৫ টি ভেড়া দুটি বাচ্চা জন্ম দিলে মোট ভেড়ার পরিমাণ থাকছে ৩০ টি।
৩০ টি ভেরা এর দুধ বিক্রি করে একদিনে ৩০০০ টাকা ইনকাম হবে। বাজারে ভেড়ার ১ কেজি দুধের দাম ৯০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা। এবং একটি ভেড়া প্রতিদিন প্রায় এক কেজি পরিমাণ দুধ দিতে পারে। প্রতিদিন ৩০ টি ভাড়া যদি ৩০ কেজি দুধ দেয় তাহলে বাজারে ৩০ কেজি দুধ ১০০ টাকা দরে বিক্রি করলে প্রতিদিন ৩০০০ টাকা ইনকাম হচ্ছে।
পাশাপাশি ভেড়ার মাংস বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। বাংলাদেশে বাজারে ভেড়ার মাংসের দাম 1200 টাকা কেজি। প্রতিদিন যদি ১০ কেজি ভেড়ার মাংস বিক্রি করেন তাহলে একদিনে 12 হাজার টাকা ইনকাম হচ্ছে।
ভেড়ার মাংস বিক্রি করে একদিনে বারো হাজার টাকা ইনকাম পাশাপাশি সেই ভেড়ার দুধ বিক্রি করে একদিনে তিন হাজার টাকা ইনকাম এভাবে প্রতিদিন ১৫ হাজার টাকা ইনকাম হচ্ছে। যদি প্রতিদিন ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করেন তাহলে এক মাসের ইনকাম দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৪৫০০০০ টাকা।
একজন ব্যবসায়ী চাইলে ভেড়া লালন পালন করে প্রতি মাসে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবে। আবার দ্বিতীয় বছরে এই ইনকামের পরিমাণ আরো দুই গুণ বেশি বেড়ে যাবে কারণ দ্বিতীয় বছরে এই 30টি ভেড়া থেকে যখন বাচ্চা হবে তখন মোট ভেড়ার পরিমাণ হবে আপনার ৬০টি।
৬০টি ভেড়া প্রতিদিন ৬০ কেজি পরিমাণ দুধ দিবে এবং তাদের এই ৬০ কেজি দুধ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে প্রতিদিন দুধ বিক্রি করে শুধুমাত্র ৬০০০ টাকা ইনকাম হবে। পাশাপাশি ভেড়ার মাংস বিক্রি করে ইনকামের পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে অর্থাৎ এভাবে একজন ব্যক্তি ভেড়া বিক্রি করে খুব দ্রুত কোটিপতি হতে পারবে।
ভেড়ার লালন পালন করে আগামী ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে আপনার মূলধনের পরিমাণ এবং ইনকামের পরিমাণ আরও অনেক গুণ বেড়ে যাবে। ভেড়া পালন করে ইনকাম কখনো কমে না বরং দিনের সাথে সময়ের সাথে ইনকামের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠক আজকের এই প্রতিবেদনে ভেড়া পালন করে লাখপতি হওয়ার উপায় , ভেড়ার আবাসস্থল কেমন হওয়া প্রয়োজন এবং ভেড়ার ঘর দক্ষিণমুখী হওয়া ভালো কেন এর ৫টি কারণ আজকের এই প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করলাম। আপনারা অনেকে হয়তো ভেড়া পালন সম্পর্কে জানেন। ভেড়ার মাংস খেতে খুবই সুস্বাদু এবং ভেড়ার দুধ থেকে বিভিন্ন প্রকার চিজ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার তৈরি করা হয়।
বাজারে এক কেজি ভেড়ার মাংসের দাম 1200 টাকা এবং বাজারে এক কেজি ভেড়ার দুধের দাম ৯০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা। বাজারে ভেড়া দুধ এবং মাংসের চাহিদা অনেক বেশি প্রত্যেকে আমরা ভেড়ার দুধ এবং মাংস খেতে খুব ভালোবাসি ভেড়ার মাংসকে ইংরেজিতে মাটন বলা হয় আপনারা অনেকেই নিশ্চয়ই মাটন এই শব্দটি শুনেছেন।
বাজারে ভেড়ার মাংসের দাম এবং চাহিদা উভয়ে অনেক বেশি এজন্য একজন ভেড়া ব্যবসায়ী চাইলে মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে নিজেকে কোটিপতি বানাতে পারে কারণ ভেড়া প্রতি বছরের দুইটি সন্তান জন্ম দেয় এবং যদি প্রথমে পাঁচটি ধারা ক্রয় করা হয় তাহলে আগামী বছরে সে পাঁচটি ধারা থেকে আপনার মোট ১৫ টি ভাড়া হবে।
আবার তৃতীয় বছরে এই ১৫ টি ভেড়া থেকে ৩০ টি ভেরা উৎপন্ন হবে। অর্থাৎ মোট ভেড়া ৪৫টি। একটি ভেড়া প্রতি বছরের দুইটি সন্তান জন্ম দেয় এবং একটি ভেড়া সর্বোচ্চ সাত থেকে আট বছর পর্যন্ত সন্তান জন্ম দেয়। বাজারে একটি ছোট বাচ্চা ভেড়ার দাম পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা কিন্তু একটি প্রাপ্তবয়স্ক ভেড়ার দাম বাজারে ২০ হাজার থেকে শুরু করে ২৫ হাজার টাকা।
ভেড়ার লালন পালন করে অতি দ্রুত প্রচুর মুনাফা অর্জন করা যায় এর জন্য বুদ্ধিমতি ব্যবসায়ীরা গরু এবং ছাগল লালন পালন না করে তারা দক্ষিণমুখী অঞ্চলে ভেড়া লালন পালন করতে শুরু করে। ভেড়া লালন পালনের জন্য দক্ষিণ মুখী অঞ্চল সবচেয়ে উপকারী। দক্ষিণ মুখে অঞ্চলের ঝড় বৃষ্টির কম হয় এতে খুব সহজে ভেড়া লালন পালন করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়। ভেড়া লালন পালনের জন্য সবচেয়ে সেরা আবাসস্থল হল দক্ষিণ মুখী জায়গা।
ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url