বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমন পদ্ধতি
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা সকলে ভাল আছেন। আজকের এই প্রতিবেদনে মূল আলোচ্য বিষয় হলো বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমন পদ্ধতি, বেগুন গাছের ভিটামিন এবং বেগুন গাছের রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা।
যারা কৃষিকাজ করেন বেগুন গাছ নিয়ে অনেক চিন্তিত রয়েছেন, বেগুন গাছে বারবার পোকার জ্বালায় বিরক্ত হয়ে পড়েছেন তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনটি খুবই কার্যকারী। আজকের এই আর্টিকেলে শেয়ার করব কি করে আপনারা দ্রুত বেগুন গাছের ডগা ও ফল থেকে পোকা দমন করতে পারবেন।
বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমন পদ্ধতি
বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমন পদ্ধতি খুবই সহজ। গাছে এবং কৃষি জমিতে একটি কীটনাশক ব্যবহার করলেই এই পোকা দমন হবে। বেগুনের ডগা এবং ফলের মধ্যে এক ধরনের পোকা দেখতে পাওয়া যায়। এই পোকা বেগুনের ভেতরের অংশগুলোকে নষ্ট করে ফেলে এবং বেগুন গাছের ডগা তে থাকে যার ফলে বেগুন কম হয়।বেগুনের ডগায় এবং ফলের মধ্যে এ পোকাগুলো খুবই ক্ষতিকর। এই পোকা সহ বেগুন রান্না করে খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে। কৃষি কাজের সময় বেগুনের গাছে বেগুনের ডগা ও ফলে এই পোকাগুলো দেখা গেলে কৃষকের বেশ ক্ষতি হয়। ভালো ফলন হয় না এবং যে বেগুনগুলো হয় তার মধ্যে ভেতরে পোকা থাকে ফলে ক্রেতা এই পোকা সহ বেগুন গুলো ক্রয় করতে চায়না।
বেগুন গাছের ডগা ও বেগুনের মধ্যে পোকা থাকলে মাটিতে চাপান স্যারের সাথে দানাদার কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। যদি বেগুন গাছে অতিরিক্ত পোকার সমস্যা থাকে তাহলে একে প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারবেন তার নাম হলো F 35।
এটি খুবই কার্যকরী একটি বায়ো প্রোডাক্ট। দীর্ঘ বছর থেকে অনেকেই বেগুন গাছে এই বায়ো প্রোডাক্ট ব্যবহার করছেন এবং এটি সত্যি খুবই কার্যকারী। সপ্তাহে একবার এই প্রোডাক্ট বেগুন গাছের উপর ছিটিয়ে দিলে এতে বেগুন গাছে কোন পোকা ধরবে না।
আরো জানুন: এই ৯টি ওয়েবসাইটে গ্যারান্টি সহ free লটারী খেলে টাকা ইনকাম করুন
F 35 এর সাথে Acetampirid 20% ব্যবহার করলে বেশি ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এই ওষুধটি যদি বেগুন গাছে ব্যবহার করেন তাহলে বেগুন গাছ সম্পর্কে তো আর কোন চিন্তা থাকবে না বেগুন গাছে পোকা হবে না বেগুন গাছের দ্রুত অধিক ফলন হবে এবং প্রচুর বেগুন চাষ করতে পারবেন। যারা বেগুন চাষ করেন তাদের জন্য এই প্রোডাক্টটি খুবই কার্যকারী।
F 35 এর সাথে Acetampirid 20% ব্যবহার করলে বেশি ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এই ওষুধটি যদি বেগুন গাছে ব্যবহার করেন তাহলে বেগুন গাছ সম্পর্কে তো আর কোন চিন্তা থাকবে না বেগুন গাছে পোকা হবে না বেগুন গাছের দ্রুত অধিক ফলন হবে এবং প্রচুর বেগুন চাষ করতে পারবেন। যারা বেগুন চাষ করেন তাদের জন্য এই প্রোডাক্টটি খুবই কার্যকারী।
ব্যবহারবিধি
প্রতি ১৫ থেকে ১০ লিটার পানির মধ্যে ১০ মিলিগ্রাম F35 বায়ো প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে তারপর সেই পানিটি জমিতে ছিটিয়ে দিতে হবে এতে বেগুন গাছের গোড়ায় কিংবা বেগুনের ভেতরে কোন প্রকার পোকা হবে না। গ্রীষ্মকালের বেগুন গাছের পোকার সমস্যা বেশি দেখা দেয় এজন্য গ্রীষ্মকালে প্রতি 15 লিটার পানির মধ্যে ১৫ মিলিগ্রাম F 35 ব্যবহার করতে হবে।Acetampirid 20% প্রতি ১৫ লিটার পানির মধ্যে ১৫ মিলিগ্রাম ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত ব্যবহার করা যাবে না। ১০ লিটার পানির মধ্যে ১০ মিলিগ্রাম Acetampirid 20% ব্যবহার করতে হবে আর যদি ১৫ থেকে ২০ লিটার পানি থেকে তাহলে ১৫-২০ মিলিগ্রাম ব্যবহার করবেন।
শীতকালে ঘন ঘন জমিতে স্প্রে করার কোন প্রয়োজন নেই প্রতি একমাস পর পর F 35 এবং Acetampirid 20% ব্যবহার করতে পারবেন। যদি একবার এই প্রোডাক্টটি গুলো ব্যবহার করেন তাহলে আগামী এক মাস পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন এবং বেগুন গাছে কোন সমস্যা দেখা দিবে না।
গ্রীষ্মকালে ঘনঘন এ প্রোডাক্ট গুলো কৃষিতে ব্যবহার করতে হবে কারণ গ্রীষ্মকালে পোকার হার অনেক বেশি থাকে। গ্রীষ্মকালের প্রতি সপ্তাহে কিংবা ১৫ দিন পর পর একবার Acetampirid 20% এবং F 35 ব্যবহার করতে হবে।
সতর্কতা
বেগুনের পোকা দমন করার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে এই কীটনাশক গলো ব্যবহার করলে বেগুনের স্বাদ অনেকটা তিতো হয়ে যাবে এবং এই বেগুন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠবে। ফসলে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে এই কীটনাশক গুলো ফলের ভিতরে প্রবেশ করে এবং যখন এই সবজি কিংবা ফল কে রান্না করা হয় তখন এটি মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে যার ফলে ডায়রিয়া আমাশয় ইত্যাদি দেখা দিবে।বেগুন গাছের ডগায় এবং বেগুনের ভেতরে অতিরিক্ত পোকার সমস্যা থাকলে প্রতি 15 লিটার পানির মধ্যে ১৫ মিলিগ্রাম F 35 কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে এবং এক সপ্তাহ থেকে ১৫ দিন পর পর এই কীটনাশকটি বেগুন গাছের উপর ছিটিয়ে দিতে হবে। গ্রীষ্মকালে পোকার সমস্যা একটু বেশি থাকে এজন্য গ্রীষ্মকালে চেষ্টা করবেন প্রতি এক সপ্তাহ থেকে ১৫ দিন পর পর বেগুন গাছের ওপর এই কীটনাশক ব্যবহার করার।
আরো জানুন: মধু মিশ্রিত আখরোট খাওয়ার নিয়মাবলি এবং ২৫টি উপকারিতা
শীতকালে একবার f 35 ব্যবহার করলে আগামী এক মাস পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন এবং প্রতিমাসে একবার f 35 কীটনাশক জমিতে ব্যবহার করবেন। তবে মনে রাখবেন অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করা যাবে না প্রতি ১৫ লিটার পানির মধ্যে ১৫ মিলিগ্রাম কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে অতিরিক্ত পরিমাণে কীটনাশক স্বাস্থ্যের জন্য এবং ফসলের জন্য ক্ষতিকর।
শীতকালে একবার f 35 ব্যবহার করলে আগামী এক মাস পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন এবং প্রতিমাসে একবার f 35 কীটনাশক জমিতে ব্যবহার করবেন। তবে মনে রাখবেন অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করা যাবে না প্রতি ১৫ লিটার পানির মধ্যে ১৫ মিলিগ্রাম কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে অতিরিক্ত পরিমাণে কীটনাশক স্বাস্থ্যের জন্য এবং ফসলের জন্য ক্ষতিকর।
বেগুনের পোকা দমন কীটনাশক এর দাম কত
বেগুনের পোকা যেমন দুইটি সবচেয়ে সেরা কীটনাশক হল F 35 এবং Acetampirid 20% । বাজারের F 35 এর দাম হল ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। Acetampirid 20% এক পাতার দাম ৪০ টাকা। এই দুইটি কীটনাশক বহুদিন ব্যবহার করতে পারবেন তাই বারবার ক্রয় করার কোন প্রয়োজন হবে না।একবার ক্রয় করলে প্রতি মাসে একবার ব্যবহার করে প্রায় এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত এই কীটনাশকগুলো সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। বেগুন গাছের পোকা রোধ করতে এই দুইটি কীটনাশক সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। তাই বেগুন গাছের ডগায় কিংবা বেগুনের ভেতরে পোকার সমস্যা থাকলে এই দুইটি কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
বেগুন গাছে কখন পোকা ধরে?
অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন বেগুন গাছে কখন পোকা ধরে এবং বেগুন গাছে পোকা ধরার কারন কি কেন বেগুন গাছের ডগায় এবং বেগুনের ভেতরে পোকা ধরা শুরু হয়? যে কোন ফুলে পোকা ধরবে এটাই স্বাভাবিক। তবে অনেক সময় সঠিক পরিচর্যার অভাবেও গাছে পোকা ধরতে পারে।
বেগুন গাছে সাধারণত চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ এর মধ্যে এই প্রকার আক্রমণ ঘটে এবং বেগুন গাছের ফুল আসা শুরুতেই পোকা দেখতে পাওয়া যায়। বেগুন গাছে পোকা ধরে গাছের ফুল ও পাতা, নেতিয়ে পরে এবং বেগুনের হাড় অনেক কমে যায় এতে কৃষকের ব্যবসাতে প্রচুর ক্ষতি হয়।
বেগুন গাছের ডগা তে এবং বেগুন এর ভেতরে পোকা ধরলে সেই বেগুন আর খাওয়ার যোগ্য থাকে না এবং এই বেগুনগুলো বাজে দেখেও ক্রয় করতে চায় না যার ফলে কৃষকের প্রচুর লস হয় এই জন্য বেগুন গাছের সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া খুবই জরুরী এবং বেগুন গাছে সঠিক কীটনাশক প্রয়োগ করা জরুরী।
বেগুন গাছের ভিটামিন
বেগুন গাছের সঠিক ভিটামিন এর প্রয়োজন যদি সঠিকভাবে ভিটামিন প্রয়োগ করা না হয় তাহলে বেগুন গাছে পোকা ধরবে বেগুন এর হার কমে যাবে এবং ব্যবসায়ী ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই বেগুন চাষ করার পূর্বে জানতে হবে বেগুন গাছে কি কি ভিটামিন প্রয়োজন।
বেগুন গাছে যে ভিটামিন গুলোর প্রয়োজন নিচে দেওয়া রয়েছে;
ভিটামিন এ : ভিটামিন এ গাছের বৃদ্ধি ঘটায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বেগুন গাছের জন্য ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন এ ব্যবহার করার ফলে বেগুন গাছের পাতা এবং ফলের সঠিক বিকাশ ঘটবে এবং গাছে প্রচুর বেগুন আসবে। যদি সঠিকভাবে ভিটামিন এ ব্যবহার করা না হয় তাহলে গাছে ফলন কম হবে এবং এতে ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ভিটামিন বি ১: ভিটামিন বি১ অথবা থায়ামিন বেগুন গাছের জোড়া খুবই উপকারী এটি গাছে শিকড় কে শক্তিশালী করে এবং শিকড়কে মজবুত করে এতে গাছ মাটি থেকে প্রচুর পুষ্টি দূষণ করতে পারে এতে গাছের শক্তি উৎপাদন হয় এবং পুষ্টির অভাব পূরণ হয়। গাছে সঠিকভাবে থায়ামিন প্রয়োগ করা না হলে গাছের শিকড় দুর্বল হয়ে পড়বে এতে গাছ পর্যাপ্ত পরিমাণে মাটি থেকে পুষ্টি শোষণ করতে পারবেনা। যার ফলে বেগুন গাছ নেতিয়ে পড়বে।
ভিটামিন বি ২ : ভিটামিন বি গাছের জন্য খুব উপকারী এটি গাছের রংকে উন্নত করে এবং পাতা কে সবুজ রাখতে সাহায্য করে। যদি গাছে বেগুনের রং ভালো না হয় তাহলে ক্রেতারা আগ্রহ ক্রয় করবে না কারণ বর্তমান সময়ে বাজারে যে বিক্রেতার বেগুনের রং সবচেয়ে টকটকে তাজা সেই বিক্রেতার কাছে সবচেয়ে বেশি ভিড় জমে।
নিয়াসিন : নিয়াসিন বেগুন গাছের জন্য খুবই জরুরী। বেগুন গাছে, নিয়ে আসেন ব্যবহার করার ফলে গাছে এনার্জি উৎপন্ন হবে পাতা বৃদ্ধি ঘটবে এবং দ্রুত ফুল তৈরি হবে। যত দ্রুত ফুল তৈরি হবে তত দ্রুত গাছে বেগুন ধরা শুরু হবে। কারণ বেগুন গাছের ফুল থেকেই ফল উৎপাদন হয় এজন্য ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে গাছে সঠিকভাবে নিয়াসিন ব্যবহার করার জরুরী।
পাইরিডক্সিন : পাইরি ডক্সিন অথবা ভিটামিন বি ৬ বেগুন গাছের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টিকর উপাদান এটি এনজাইম এর কার্যকলাপের সহায়তা প্রদান করে এবং গাছে সঠিকভাবে প্রোটিন ও শর্করা সরবরাহ করে। এতে বেগুন গাছের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে এবং প্রচুর বেগুন ধরে। সঠিকভাবে যদি গাছে ভিটামিন দেওয়া না হয় তাহলে বেগুন এর পরিমাণ কম হবে এতে ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবে এর জন্য বেগুন গাছের প্রতিটি ভিটামিন সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।
বায়োটিন : বায়োটিন বেগুন গাছের সঠিক বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে এবং শিকড়কে আরো মজবুত করে ও শিকড়কে দ্রুত বৃদ্ধি করে। বেগুন গাছের শিকড় বৃদ্ধি পেলে এতে দ্রুত শিকড় থেকে প্রচুর পুষ্টি বেগুন গাছে সরবরাহ হবে এতে দ্রুত গাছে ফলো ফুল উৎপাদন হবে। তাই ফসলের গুণমান বৃদ্ধি করতে বেগুন গাছে বায়োটিন ব্যবহার করতে হবে।
ভিটামিন সি : বেগুন গাছে ভিটামিন সি ব্যবহার করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং এতে বেগুন গাছের পোকার হার কম হবে। অনেকে জিজ্ঞাসা করেন বেগুন গাছের ডগায় এবং বেগুনের ভেতরে পোকা হওয়ার কারণ কি এর কারণ হলো বেগুন গাছের সঠিকভাবে ভিটামিন সি ব্যবহার করা হয় না।
ভিটামিন ডি : বেগুন গাছে ভিটামিন ডি এর কাজ হল ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করা। বেগুন গাছ কা শিকড়ের সাহায্যে মাটির ভেতর থেকে ক্যালসিয়াম এবং আরো অন্যান্য পুষ্টিগুণ শোষণ করে। যদি বেগুন গাছের শিকড় শক্ত না হয় তাহলে সেই মাটির ভেতর থেকে পুষ্টি শাসন করতে পারবে না এই জন্য বেগুন গাছের সঠিকভাবে ভিটামিন দিয়ে ব্যবহার করতে হবে এতে বেগুন গাছে সঠিক পুষ্টি সরবরাহ হবে।
ভিটামিন কে: বেগুন গাছে ভিটামিন কে ব্যবহার করলে বেগুনের রং সুন্দর হয় এবং ক্লোরোফিল উৎপাদনের সাহায্য করে। এছাড়াও ভিটামিন কে রপক্ষে ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং গাছের সার্বিক উন্নতি ঘটায় এতে দ্রুত ফল ও ফুল উৎপাদন হয়।
ভিটামিন ই : বেগুন গাছের জর ভিটামিন ই খুবই শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং এটি মুক্ত জাডিকেল থেকে বেগুন গাছকে রক্ষা করে এই জন্য বেগুন গাছের সঠিক পরিমাণে ভিটামিন ই ব্যবহার করতে হবে। বেগুন গাছে ব্যবহার করা বিভিন্ন কীটনাশক থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই সহ আরো অন্যান্য ভিটামিন পাওয়া যায়।
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন বেগুন গাছে কি কি ভিটামিন প্রয়োজন এবং বেগুন গাছে কোন ভিটামিনের কি কি গুরুত্ব রয়েছে। বেগুন গাছে প্রতিটি ভিটামিন সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। যারা বেগুন চাষ করে তাদেরকে জানতে হবে বেগুন গাছে কি কি ভিটামিন প্রয়োজন। এবার চলুন দেখে আসি বেগুন গাছের রোগ ও প্রতিকার।
বেগুন গাছের রোগ ও প্রতিকার
যারা নতুন বেগুন গাছ চাষ করছেন তারা অনেকে হয়তো এ সমস্যাগুলো সম্মুখীন হচ্ছেন বেগুন গাছের বিভিন্ন রোগ বালাই হচ্ছে এবং বুঝতে পারছেন না কিভাবে এই রোগের প্রতিকার করতে হবে। বেগুন গাছের কয়টি স্বাভাবিক রোগ নিচে দেওয়া হল দেখে নিন।
- বেগুন এর সাদা অথবা হোয়াইট মোল্ড রোগ
- বেগুনের ফল বিকৃতি হওয়া
- বেগুনের ছত্রাক জনিত সমস্যা
- বেগুনের গোড়া পচে যাওয়া কিংবা নেতিয়ে পড়া রোগ
- বেগুনের পাতায় ছোট ছোট কালো কালো দাগ
- বেগুনের ফল এবং কাণ্ড পচে যাওয়া
- বেগুনের পাতা ছোট হাওয়া
- বেগুনে মাকড়সার আক্রমণ
- বেগুনের শিকড় গিট গিট হওয়া
- বেগুন গাছে ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ
- বেগুনের কনি ফেরা ব্লাইট রোগ
- বেগুনের ফল হঠাৎ ফেটে যাওয়া
- বেগুনের পাতা মোচড়ানো রোগ
- বেগুনের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়া
- বেগুনের তাপমাত্রা জনিত সমস্যা
- বেগুনে ভাইরাস আক্রমণ
- বেগুনের পাউডারী মলিডিউ অসুখ
সাধারণত যারা ফসলে কাজ করেন তাদেরকে বেগুন চাষ করার সময় এই সমস্ত সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়। বেগুন গাছে ফুল আসার পরে এই পোকার আক্রমণ ঘটে এবং যদি সঠিকভাবে বেগুন গাছের পরিচর্যা না করা হয় তাহলে উপরের এই রোগ গুলো তৈরি হয় তাই বেগুন গাছের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরী এবং সঠিকভাবে বেগুন গাছের ভিটামিন ও কীটনাশক ব্যবহার করার জরুরী।
বেগুন গাছের ওপর এর রোগ গুলো হবার কারণ হলো আদ্রতা কিংবা পানির অভাব, সঠিক পরিচর্যার অভাব, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা, পোকামাকড়ের আক্রমণ, বায়বীয় রোগ, পুষ্টির অভাব, অতিরিক্ত সার কিংবা কীটনাশক ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর বীজ এবং ছত্রাক জনিত সমস্যা পাশাপাশি মাকড়সার সংক্রমণ হলেও এই রোগগুলো দেখা দেয়।
প্রতিকার ১
উপরের এই রোগ গুলো প্রতিকার করার নিয়ম হলো সঠিকভাবে সার প্রয়োগ করতে হবে সুষমা সার প্রয়োগ করতে হবে এবং গাছের পুষ্টির অভাবকে পূরণ করতে হবে। গাছের পুষ্টির অভাব দেখা দিলে বিভিন্ন রোগবালাই তৈরি হয় তাই প্রথমেই নিশ্চিত করুন গাছে সঠিকভাবে পুষ্টি সরবরাহ হচ্ছে।
প্রতিকার ২
গাছে ছত্রাক নাশক অথবা জীবাণুনাশক স্প্রে প্রয়োগ করতে হবে। এখন বাজারে বিভিন্ন প্রকার জীবাণু নাশক স্প্রে পাওয়া যায় এই স্প্রে গুলো গাছে ব্যবহার করতে হবে এতে গাছে পোকামাকড় কিংবা ছত্রাক এর আক্রমণ ঘটবে না। বেগুন গাছে পোকামাকড় এর সংক্রমণ ঘটলে বেগুন ও বেগুড়ের ডগা পচে যায় এজন্য বেশি বেশি স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। সাত দিন পর পর একবার গাছে স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।
প্রতিকার ৩
বেগুন গাছে পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ করতে প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করতে পারেন এতে নিম তেল কিংবা এটোমেশিন স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। নিম তেল অতিরিক্ত তিত হওয়ায় পোকামাকড় বেগুন গাছে বসে না।
প্রতিকার ৪
মাটি পরিশোধন করতে হবে। ফাঙ্গার ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে এবং বেগুন গাছে দ্রুত বেশি ফলন ঘটাতে বেশি বেশি মাটি পরিশোধন করতে হবে মাটির মাধ্যমে অনেক সময় রোগ বালাই ছড়িয়ে থাকে এর জন্য মাটি পরিশোধন করা খুবই জরুরী।
প্রতিকার ৫
বেগুন গাছে সঠিকভাবে সূর্যের আলো দিতে হবে। এজন্য এমন জায়গাতে ফসল করতে হবে যেখানে সঠিকভাবে সূর্যের আলো পড়ে। সূর্যের আলোর অভাবে বেগুন গাছের প্রচুর রোগ বালাই তৈরি হয়। এই জন্য সঠিকভাবে সূর্যের আলো বেগুন গাছের পরে এমন জায়গাতে বেগুন গাছ লাগাতে হবে। আর বেগুন গাছে ভালো মানের বীজ ব্যবহার করতে হবে।
ওপরের এই কয়েকটি উপায় অনুসরণ করলে আশা করছি বেগুন গাছের রোগ বালাই কম হবে এবং সঠিকভাবে বেগুন চাষ করতে পারবেন। যারা নতুন বেগুন গাছ চাষ করছেন তাদেরকে প্রথমে জানতে হবে বেগুন গাছের কি কি ভিটামিন প্রয়োজন এবং বেগুন গাছে রোগ বালাই প্রতিরোধ করতে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। আজকের এই প্রতিবেদনে সে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করলাম।
লেখকের শেষ মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমন পদ্ধতি, বেগুন গাছের ভিটামিন এবং বেগুন গাছের রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন বেগুন গাছে কি কি রোগ হয়
এবং বেগুন গাছের সেই রোগ গুলো প্রতিরোধ করার জন্য কি কি স্টেপ গ্রহণ করতে হবে আজকের এই আর্টিকেলটি ছিল শুধুমাত্র বেগুন সম্পর্কে বেগুন গাছে অতিরিক্ত প্রকার কারণে বেগুন গাছের ফলন ভালো হয় না এবং বেগুন গাছ নিয়ে পড়ে এতে ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই যারা বেগুন চাষ করছে তাদেরকে প্রথমে জানতে হবে বেগুন গাছ চাষ করা সঠিক নিয়ম।
বেগুন গাছ চাষ করার সময় ভালো মানের বীজ ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়মিত গাছে ভালোভাবে কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। এতে গাছে পোকামাকড়ের সংক্রমণ কম ঘটবে এবং গাছে বেগুনের পরিমাণ অনেক বেশি হবে যখন গাছে পোকামাকড়ের সংক্রমণ ঘটবে।
তখন সেই গাছে বেগুনের পরিমাণ কম হতে শুরু করবে এবং বেগুন ভেতর থেকে পচে যাবে। এইজন্য বেগুন গাছের সঠিক পরিচর্যা করা খুবই জরুরী আশা করছি আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন বেগুন গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে।
ড্রিমার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url